তুমি হাতটা শুধু ধরো – পর্ব ৪১

0
454

#তুমি_হাতটা_শুধু_ধরো
#পর্বঃ৪১
#Jhorna_Islam

শহরে এসে দায়ানের আবার যান্ত্রিক জীবন শুরু।ব্যস্তময় মুহূর্ত কাটছে।এতোদিনের ফেলে রাখা কাজ সব এখন করতে হচ্ছে। খাবার সময়টা ও পাচ্ছে না। সেই সকাল আটটায় বের হয়।আসতে আসতে রাত এগারোটা বারোটা বেজে যায়।

সোহা আর নোহার দিন ভালোই কাটছে।সারাদিন দুই বোন গল্প করতে থাকে। এটা ওটা নিয়ে আলোচনায় মেতে থাকে।সোহার সব দুষ্টুমি এখন বোনের সাথে। যেহেতু দায়ান কে এখন খুব একটা কাছে পায় না,তাই সব দুষ্টুমি বোনের সাথেই করে।সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত হয়ে যখন বেচারা বাসায় ফিরে। তখন মুখ দেখেই সোহার খুব মায়া হয়।তাই আর নিজ থেকেই জ্বালায় না।

বিকেল হলে দুই বোন বাগানে চলে যায়। সোহার বাগানে এখন ফুলে ফুলে ভরে গেছে।কি সুন্দর লাগে দেখতে।বিকেলের সময়টা দুই বোন বাগানের গাছে পানি দিয়ে গল্প করতে থাকে। সে কতো শতো গল্প,, ছোটে বেলা কি করেছে না করেছে সব।রাতে বসে এক সাথে টিভি দেখা। সব মিলিয়ে দিন চলে যাচ্ছে।

নোহার মাঝে মাঝে নিজের অতীতের স্মৃতি চোখের সামনে ভাসে।যতোই হোক এতোদিন থেকেছে।একটা টানতো থাকবেই।তাও নোহা নিজের মন কে বোঝ দেয়।পাত্তা দেয় না বেশি।এড়িয়ে যায়।হয়তো একদিন এসব কালো অতীত থেকে বের হতে পারবে।

আজ শুক্রবার বিধায় অফিস বন্ধ। দায়ানের ও আজ কাজের চাপ নেই তাই বাড়িতেই আছে।
সকাল দশটা বাজে,দায়ান এখনো ঘুমুচ্ছে।কালও দেরি করে বাসায় আসছে।তাই সোহা আর ডাকেনি।ঘুমুচেছ যখন ঘুমুক।কয়দিন অনেক ধকল গেছে বেচারার উপর দিয়ে।

সোহা আর নোহা রান্না ঘরে রান্নায় ব্যস্ত। আজ অনেক কিছু রান্না করছে।অবশ্য সব নোহাই করছে।সোহা কে কিছু করতে দিচ্ছে না। বলে দিয়েছে তুই পাশে দাড়িয়ে থাক আমি করে দিচ্ছি। তাই সোহা চুপচাপ বসে বসে বোনের রান্না দেখছে।

রুশকে আজ বাসায় দাওয়াত দিয়েছে।সেই যে বাড়িতে দেখা হয়েছিলো আর হয়নি।তাই সোহাই ফোন করে বলে দিয়েছে আসার জন্য। সবাই এক সাথে খেয়ে গল্প করা যাবে।অবশ্য সোহার আরেকটা প্লেন আছে।দায়ান ও যখন বাড়িতে আছে,তাই ভেবে রেখেছে বিকেলে একটু ঘুরতে যাবে সবাই মিলে।তাহলে বোনের ও মনটা ভালো হয়ে যাবে।

সোহার ও শহরে এসে তেমন কোথাও ঘোরা হয়নি।নোহা ও আসার পর থেকে বাড়িতেই আছে।সো সবাই মিলে বাইরে একটু ঘুরাঘুরি করবে।আর বিকেলে খাওয়া দাওয়া করবে।

নোহা মনোযোগ দিয়ে রান্না করছে।সকলের জন্যই সকলের প্রিয় খাবার এক আইটেম করে তৈরি করছে। দায়ানের জন্য দায়ানের প্রিয় তরকারি রান্না করছে প্রথমে নোহা। তরকারি তে যখন মরিচ গুঁড়ো দিতে যাবে তখন সোহা লাফ দিয়ে বলে উঠে,, আপুওওও বেশি দিও না। নোহা ব্রু কোচকে বলে কেনো? তুইনা ঝাল খেতে ওস্তাদ তাহলে বেশি দিতে মানা করছিস কেনো? নোহা অবশ্য জানে না কার প্রিয় খাবার কোনটা।সোহা বলেনি,,সোহা শুধু খাবারের আইটেম গুলোর নাম জানিয়েছে,,এই খাবার গুলো রান্না হবে।

আসলে হয়েছে কি আপু,,,এটাতো আমার জন্য না।না মানে আসলে উনার জন্য। উনি ঝাল খেতে পারে না।তারপর আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বলে,,এই খাবার গুলোতে ঝাল দিও না।এগুলো রুশ ভাইয়া আর উনার প্রিয় খাবার। আর দুইটার একটা ও ঝাল খেতে পারে না।বলেই মুচকি হাসে।

আহারে ঝাল খেতে পারে না তোমার উনিইই? কিছুটা টেনেই বলে নোহা।

এরই মাঝে দায়ানের ডাক পরে,,সোহাকে চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে ডাকছে।
নোহা মুচকি হেসে সোহার গাল টেনে বলে,,যাও তোমার উনিইইই ডাকছে।যাও যাও।

সোহা রুমে যেতে যেতে বলে,, লোকটাও আর সময় পেলোনা আমাকে ডাকার? সব সময় আমায় লজ্জায় ফেলে দেয়। কে বলেছিলো এভাবে ডাকতে।

সোহা রুমে ঢুকতে ঢুকতে বলে,,কি হয়েছে কি এমন ষাঁড়ের মতো চিৎকার করছেন কেনো?

— দায়ান শোয়া থেকে উঠে বসতে বসতে বলে,,হোয়াট! আমি ষাঁড়ের মতো চিৎকার করছি?

— তা নয়তো কি? আশ্চর্য আমার সম্মানের দফা রফা করে দেন।

— আমি আবার কি করলাম?

— কি করেন নি তাই বলেন।এমন ভাবে ডাক দেওয়ার কি আছে? আপুর সামনে আমায় লজ্জায় ফেলে দিলেন।কি ভাবছে আপু বলুনতো?

— কিছুই ভাবছে না তোমার আপু।তোমার মতো গা’ধী না নোহা।

— সোহা এবার কোমড়ে হাত দিয়ে বলে,,এই আপনি কি বললেন আমি গা’ধী? আপনি গা’ধী।থুড়ি গা’ধা।আপনার বউ গা’ধী।বলেই জিহবায় কামড় বসায়।ধুর আপনার বউ তো আমি।গা’ল’তিছে মিসটেক হয়ে গেছে। আপনার বউ গা’ধী এই কথাটা আমি উঠিয়ে নিলাম।।

দায়ান হাসতে হাসতে বলে,,না না উঠাতে হবে না।তুমি একদম ঠিক ধরেছো।আমার বউ আসলেই একটা আস্ত গা’ধী।তানাহলে নিজের বর ডাকলে কেউ লজ্জা পায়।

এই চুপ করেন আপনার সাথে এখন ঝগড়া করার একদম মুড নেই।কি জন্য ডেকেছেন বলুন।নয়তো গেলাম আমি।

আরে কই যাও আমার কফি নিয়ে আসো।
সোহা মুখ ভেংচি দিয়ে চলে যেতে যেতে বলে আনছি।

দায়ান ও মুচকি হেসে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ায়।আর মনে মনে বলে পা’গলি আমার।

——————————————
নোহার রান্না বান্না শেষ। সব কিছু গুছিয়ে রাখার পালা এবার। সোহা দায়ানের জন্য কফি বানাচ্ছে। নোহাই দিয়েছে বানানোর জন্য। নোহা চায় দায়ানের সম্পর্কটা সোহার সাথে সব সময় সুন্দর গভীর ও ভালো থাকুক।

এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠে,,, সোহা কফি বানাতে বানাতে বোনের দিকে একবার আবার দরজার দিকে একবার তাকায়।

আপু তুমি একটু দেখোনা।দরজাটা একটু খোল প্লিজ। হয়তো রুশ ভাইয়া এসেছে।আমিতো কফি বানাচ্ছি।

আ-আমি?
তুই ই যা বোন।

কিছু হবে না।যাও উনার কফি দিতে দেরি হলে আবার রেগে যাবে।তুমি একটু দরজাটা খুলে দাও।আমি রুশ ভাইয়ার জন্য ও কফি নিয়ে নিচ্ছি।

নোহা ধীরে ধীরে হেটে দরজার কাছে যেতে থাকে।।খুবই অস্বস্তি হচ্ছে তার। লোকটার সাথে শুধু একবার দেখা হয়েছিলো।কথাও হয়নি।।এসব ভাবনা ভাবতে ভাবতেই দরজার পাশে এসে আস্তে আস্তে দরজা খুলে দিলো।দরজার ঐ পাশে রুশ দাঁড়িয়ে আছে।

নোহা রুশের দিকে একবার তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নেয়। রুশ ভেবে ছিলো সোহা এসে দরজা খুলবে।কিন্তু নোহাকে দরজা খুলতে দেখে মনে মনে বেশ অবাক হয়ে যায়। নোহার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।রুশের এমন করে তাকাতে দেখে নোহার অস্বস্তির পরিমান বারতে থাকে।দরজার পাশ থেকে সরে দাঁড়িয়ে ভিতরে আসুন বলেই তারাতাড়ি চলে যায়। রুশ নোহার যাওয়ার পানে তাকিয়ে রয় কিছু সময়।তারপর নিজেও ভিতরে ঢুকে পরে।

সোহা কফি বানিয়ে রান্না ঘর থেকে বের হয়ে দেখে রুশ সোফায় বসছে।সোহা হাসি মুখে জিজ্ঞেস করে কেমন আছো রুশ ভাইয়া?

এইতো বোন ভালো আছি তুই কেমন আছিস?

আমিও খুব ভালো আছি।

সোহার কফি নিয়ে যেতে লে’ট হচ্ছে বলে, দায়ান রুম থেকে বেরিয়ে আসে। এসে দেখে তার বউ রুশের সাথে কথায় বিজি।তা ম্যাডাম কফি কি ঠান্ডা করে শরবত বানিয়ে খাওয়াবেন ভাবছেন?

সোহার এতক্ষনে মনে হয় কফির কথা।তাই তারাতাড়ি দায়ান আর রুশের হাতে কফি এগিয়ে দেয়।

রুশ একটা প্যাকেট হাত থেকে সোহার দিকে এগিয়ে দেয়।সোহা প্যাকেট টা হাতে নিতে নিতে বলে,, কি আছে এতে রুশ ভাইয়া?

খুলে দেখ।

সোহা প্যাকেট টা খুলে দেখে,,,,,পুরি- সিঙারা আছে অনেক গুলো।ওয়াও এতোগুলা পুরি-সিঙারা? এগুলাতো আপুর অনেক ফেভারিট। তুমি কি করে জানলে আমার আপু এগুলো খেতে ভালোবাসে?

সবাই ভূত দেখার মতো সোহার দিকে তাকায়। নোহার তো বোনের কথায় স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রুশের খালি মুখে বিষম খাওয়ার জোগার।অনেক কষ্টে নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে,, বোন আমিতো আসার টাইমে দোকান টা সামনে পেলাম,তাই ভাবলাম নিয়ে যাই।অন্য কিছু ভেবে আনিনি,মিনমিনিয়ে বলে।

সোহা নিজের মাথায় নিজেই থাপ্পড় দিয়ে বলে,, উফফ আমি যে কি বলিনা।তুমি কি করে জানবে আপুর পছন্দ। আসলে এসবতো আপু খেতে অনেক লাইক করে।তাই দেখে কি বলতে কি বলে ফেলেছি।তুমি কিছু মনে করো না।

তারপর সোহা ঐগুলা নিয়ে রান্না ঘরের দিকে চলে যায়। দুই বোন মিলে খাবার সাজাতে থাকে টেবিলে। রুশ ও দায়ান টুকটাক কথা বলতে থাকে।

খাবার টেবিলে সাজানো শেষ হলে,, সোহা রুশ আর দায়ানকে ডাকে।রুশ ও দায়ান দু জন এসে টেবিলে বসে।দায়ান নোহাকে আর সোহাকে বলে তোমরা ও বসো।সবাই এক সাথে খাই। আমরা আমাদেরটা নিয়ে খেতে পারবো।সোহা মাথা নাড়িয়ে দায়ানের পাশে বসে পরে।বোনকেও ইশারা করে বসার জন্য। আর দুইটা চেয়ারই বসার জন্য বাকি আছে।একটা রুশের পাশে আরেকটা সামনে।নোহা কি করবে বুঝে পায়না।ইতস্তত করতে থাকে। সোহা ও এদিক দিয়ে জোর করতে থাকে বসার জন্য। তাই কোনো উপায় না পেয়ে সামনের চেয়ারে বসে পরে।

রুশ খাবার খেতে খেতে বলে ওয়াও আমার পছন্দের খাবার? উফফ বোন তুই দিন দিন আরো ভালো রান্না করছিস।খাবার এতো সুস্বাদু হয়েছে না কি বলবো।আমিতো এমন খাবার হলে সারাজীবন বসে বসে খাইতাম।দায়ান ভাই বউ পেয়েছিস একটা।আমার বউ এমন ভালো রান্না করলে,,সারাদিন বসে বসে তার হাতে চুমু খেতাম।
রুশ খাবারের স্বাদ পেয়ে কি বলছে নিজেই জানে না। সবাই অবাক হয়ে রুশের দিকে তাকিয়ে আছে।

সোহা এবার বলে,,কিন্তু এগুলোতো আমি রান্না করিনি। আপু করেছে।

রুশ সোহার কথা শুনে বিষম খায়।কাশতে থাকে অনবরত।নোহা পানির গ্লাসটা এগিয়ে দেয়।রুশ নোহার দিকে তাকিয়ে একটু হাসার চেষ্টা করে তারাতাড়ি পানি ঢক ঢক করে গিলতে থাকে।
তারপর আর কথা বাড়ায় নি।চুপ চাপ খাবার শেষ করে।

————————————————-
খাওয়া শেষ করে সকলেই কিছু সময় বিশ্রাম নিতে চলে যায়। নোহা এখন সোহা আগে যেই রুমে থাকতো সেখানে থাকে।তাই ঐরুমে ঢুকে যায় বিশ্রাম নেওয়ার জন্য।
রুশ গেস্ট রুমে চলে যায় রেস্ট নিতে।

সোহা দায়ানের মাথায় বসে বসে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। আর দায়ান সোহার কোলে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে আছে।

শুনো সোহা,তুমি কিন্তু আমার পাশে বসবে গাড়িতে। বুঝতে পেরেছো?

কিন্ত?

কোনো কিন্তু না।আমি যা বলছি তাই হবে।নয়তো আমার কথা না শুনলে ম’জা রাতে বুঝাবো। ঐ দিনের শাস্তির কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। বলেই,,সোহার পেটে আস্তে করে জামার উপর দিয়েই কাম’ড় মেরে উঠে দাঁড়ায়। তারাতাড়ি তৈরি হও।

উফফ বা’জে লোক একটা।সব সময় জ্বালায় দূর।
বলেই তৈরি হতে যায়।

—————————————–
গাড়ির কাছে এসে দায়ান ড্রাইভিং সিটে বসে পরে।রুশ এখনো গাড়ির পাশে আসে নাই। সোহা দায়ানের পাশে বসতে যাবে,,এমন সময় নোহা সোহার হাত ধরে বলে,,তুই আমার সাথে পিছনে বস।সোহা পরেছে এবার মা’ই’ন’কা চি’পা’য়।দায়ানের দিকে তাকিয়ে দেখে দায়ান সোহার দিকেই তাকিয়ে আছে।
আপু বলছি কি তুই পিছনে বস না।আমি সামনে বসি? না মানে উনার সাথে কথা ছিলো কিছু।

নোহা বোনের দিকে তাকিয়ে ভাবলো থাক,তার বোনটা হয়তো দায়ানের সাথে সময় কাটাতে চায়।বসুক নোহার জন্য না আবার ওদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। তাই বলল,,ঠিক আছে সমস্যা নাই বস।তারপর নোহা পিছনের সিটে বসে পরলো।
কিছুসময় পর রুশ ও আসে গাড়িতে উঠতে। সামনে তাকিয়ে দেখে সোহা দায়ানের পাশে বসেছে।তাই কথা না বাড়িয়ে পিছনের ডোর খোলে বসতে বসতে নোহার দিকে তাকায়। নোহা রুশের দিকে তাকিয়ে জানালার পাশ ঘেঁষে বসে। রুশ ও চুপচাপ বসে পরে।

দায়ান গাড়ি চালাতে চালাতে সোহার একটা হাত টেনে নিয়ে চুমু বসায়।সোহা অবাক হয়ে দায়ানের দিকে একবার পিছনের দিকে একবার তাকায়। পিছনে তাকিয়ে দেখে নোহা বাইরে তাকিয়ে আছে। রুশ ফোন টিপছে।এবার দায়ানের দিকে তাকিয়ে বলে,, আপনিতো বে’শ লু/চু।এই জন্যই আমায় সামনে বসতে বলেছেন তাই না?

দায়ান সোহার দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ মেরে বলে,,সেটা তোমার মোটা মাথায় এতোক্ষনে ঢুকলো?
সোহা দায়ানের দিকে চোখ কটমট করে তাকায় কিছু বলে না।
———–
প্রায় আধা ঘণ্টা পর দায়ান একটা পার্কের কাছে এসে গাড়ি থামায়।তারপর গাড়ি থেকে নেমে সবাই মিলে এদিক ওদিক ঘুরতে থাকে।সোহা তো প্রায় লাফালাফি শুরু করে দিয়েছে।

হঠাৎ করেই সোহা হাওয়াই মিঠাই দেখে।খুশিতে চকচক করে উঠে চোখ জোরা। দায়ানের হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে যায় কিনে দেওয়ার জন্য।

নোহা আর ওদের সাথে আগায় নি।ঐখানেই দাড়িয়ে রয়।
ঠিক তখনই পাশে এসে রুশ দাঁড়ায়। নোহা একবার রুশের দিকে তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নেয়।

রুশ গলা খেঁকারি দিয়ে বলে,,কেমন আছেন?

–নোহা ইতস্তত করে বলে জ্বি আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আপনি?
— এইতো চলে যাচ্ছে কোনো রকম।
‘,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,নোহা আর কিছু বলছেনা দেখে রুশই বলে,,

আমার জীবনে কাউকে এতোটা প্রতিবাদী হতে দেখিনি।আপনিই প্রথম। সত্যি বলতে প্রতিটা নারীরই উচিত সব মুখ বুঁজে সহ্য না করে,অন্যায়ের প্রতিবাদ করা।সবাই কিন্তু এতোটা সাহস করে না।ব’দ’না’ম নিজের ক্ষতির ভয়ে।আপনি সত্যিই সবার থেকে আলাদা।দেরিতে হলেও আপনি যে একটা খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার জন্য আপনার প্রতি আলাদা একটা শ্রদ্ধাবোধ কাজ করছে।

“ধন্যবাদ আপনাকে।”

এরপর ভবিষ্যতে কি করবেন ভাবছেন?

এখনো কিছুই ভাবিনি দেখি ভাগ্য কোথায় নিয়ে যায়।

সোহা একেরপর এক হাওয়াই মিঠাই নিয়ে চলেছে।দায়ান ও কম না বলে দিয়েছে কিনো ঠিক আছে। কিন্তু তুমি একটার বেশি খেতে পারবে না।পার্কে থাকা বাচ্চাদের দিয়ে দিবে।সোহা বলেছে ঠিক আছে আমি দুইটা রাখবো।

রুশ দায়ান আর সোহার দিকে তাকিয়ে বলে,, ওদের খুব সুন্দর মানিয়েছে তাই না।কি সুন্দর লাগছে এক সাথে দেখতে।

নোহা ও রুশের কথা মতো সামনে তাকিয়ে বলে,, হ্যা খুব সুন্দর লাগছে।

গম্ভীর, রা’গী ছেলে ভার্সেস চঞ্চল, দুষ্টু মেয়ে।বলেই রুশ নোহার দিকে তাকায়।

রুশের কথা শুনে নোহা মুচকি হাসে

#চলবে,,,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here