মন নিয়ে কাছাকাছি – পর্ব ২২

0
318

#মন_নিয়ে_কাছাকাছি
#পর্ব_২২
লেখনীতে #পুষ্পিতা_প্রিমা

বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সেনা সদস্য স্পেশাল ফোর্স অফিসার মেজর তানজীব তাহমিদকে বেলা আড়াইটার সময় স্কুল সড়কে মালবাহী ট্রাক দ্বারা সেচ্ছায় আক্রমণ করার অপরাধে গ্রেফতারকৃত আসামীকে নিহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
আইএসপি শেখ তানভীরুল হক এবং সিবিও হেড অফিসার আরিফুল তৈয়মুর জানালেন এর পেছনে অনেক বড় ষড়যন্ত্রকারীর হাত আছে। এবং তার সুষ্ঠু তদন্তের কাজ চলছে। অতিশীঘ্রই আসল অপরাধীকে…

রিমোট চেপে টিভি বন্ধ করে দিলেন আমজাদ সাহেব। রিমোটটা মেঝেতে ছুঁড়ে মারতেই সেটি ভেঙে খানখান হয়ে গেল। ভয়ে খ্যাঁচখ্যাঁচ শব্দ করে কেঁদে উঠলো নাইরা। ছোট ছোট পায়ে দৌড়ে চলে যেতেই রাজিয়া বেগম, মাহফুজা বেগম আর অন্তরার পেছন পেছন আশরাফও ছুটে এল। সোফায় বসা দুই ভাইয়ের অগ্নিমূর্তি দেখে সে মেয়েকে কোলে তুলে নিয়ে সামনাসামনি এসে জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে তোমাদের?

রাজিয়া বেগম বলে উঠলেন

মাথা খারাপ হয়েছে? ঘরে ভাঙচুর করতেছেন কেন? আপনার জন্য সব হয়ছে। এখন গরম দেখাচ্ছেন কেন?

টি টেবিলের উপর থেকে গ্লাস নিয়ে মেঝেতে ছুঁড়লেন আমজাদ সাহেব। দাঁড়িয়ে পড়ে বললেন

তুই চুপ থাক। তোর জন্য হয়ছে সব। তুই ঠিকঠাক শাসন করতে পারোসনাই তোর মেয়েকে? আমি এখন মুখ দেখাবো কি করে?

যে ছেলে আরেকজনকে মারার পরিকল্পনা করতে পারে তার সাথে আমার মেয়ের বিয়ে হচ্ছেনা এটাই যথেষ্ট। ভালো হয়েছে ও বিয়ে করে নিয়েছে। একদম ভালো করেছে। যাকে করেছে তার মতো ছেলে লাখে একটাই হয়। সে রোস্তমের মতো অত কূটকাচালির সময় পায় না। আপনাদের মতো লোকদের শায়েস্তা করার জন্য ওই ছেলেই ঠিক আছে। একদম উচিত জবাব দিয়েছে।

আমজাদ সাহেব রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে এদিকওদিক তাকালেন। আশরাফ গর্জে বলল

আব্বা তুমি আম্মাকে ধমকাবেনা একদম। তুমি কি করে তানজীবকে মারার পরিকল্পনা করেছ? রোস্তমকে আমি ভালো মনে করেছিলাম। এখন আমাকে আম্মার মতোই বলতে হচ্ছে যা হয়েছে ভালো হয়েছে। রোস্তমের সাথে রাহার কোনোদিকে যায় না। তুমি কি করে অমন একটা ছেলের হাতে রাহাকে তুলে দেওয়ার কথা ভাবতে পারলে? মানুষকে মেরে ফেলা কি ছেলেখেলা? তুমি জানো একজন আর্মি অফিসারকে ষড়যন্ত্র করে মারলে আগুন জ্বলবে দেশে? তোমার এ ব্যাপারে ধারণা আছে বিন্দুমাত্র? নিজেকে কি মনে করো তুমি? গুটিকতক মানুষের দেয়া ভোটে জয়ী হওয়া তুমি চেয়ারম্যান ছাড়া আর কিছুই নয়। আমার তো ভাবতেই খারাপ লাগছে আব্বা। কি করে এটা করতে পারলে তুমি?

একদম চুপ। মা ছেলে এক কাতারে দাঁড়িয়েছিস?
তোদের কারণেই মেয়েটা সাহস পেয়েছে। তোরা ওকে উসকে দিয়েছিস। নইলে ও এতবড় কাজ করতে সাহস পেত না। আমার মেয়ের মাথাটা তোরা সবাই মিলে নষ্ট করেছিস।

আশরাফ বলল

আমরা উসকে দিয়েছি তোমার মেয়েকে? কেন ও কি ছোট? ভালোমন্দ বুঝেনা ও? ও নিশ্চয়ই রোস্তমকে চিনতে পেরেছে আগে থেকে। আর তোমার হাত থেকে বাঁচার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তুমি আমাদের দোষ দিচ্ছ কেন?

কেউ তো ওকে উসকে দিয়েছে। আমি নোরার সাথে কথা বলব এক্ষুণি। জামাইটাকে ভালো মনে করছিলাম। ওই ছেলের সঙ্গ পেয়ে বরবাদ হয়ে গেছে।

ওরা দুদিনের বন্ধু নয় যে বরবাদ হবে। ওদের বন্ধুত্ব অনেক গাঢ়। তোমার মধ্যে এতটুকুও আফসোস দেখতে পাচ্ছিনা আব্বা। আমাকে এটাই অবাক করছে।

কিসের আফসোস? আমার মেয়ে এতবড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একবারও ভাবলো না আমার কথা? ওকে আমি এই শিক্ষা দিয়েছি এতদিন? আমার ওকে নোরার শ্বশুরবাড়িতে থাকতে দেওয়াটাই ভুল হয়েছে। সবাই মিলে ওকে উসকে দিয়েছে। কেউ আমার ভালো চায় না। তোরা কি ভেবেছিস ও নিজে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে? না না ওকে কেউ না কেউ উসকেছে।

রাজিয়া বেগম চেঁচিয়ে বললেন

ভালো করেছে উসকেছে। আপনি কি মানুষ? কেন ছেলেটাকে মারতে চেয়েছিলেন? কেন রোস্তমকে তানজীবের প্রতি রোষ ঢুকিয়ে দিলেন? ছেলেমেয়ে দুটোকে অনাথ তো করে দিল আপনার জেঠা। এখন ওদের ছাড়ছেন না কেন?

অন্তরার কোলে নাইরাকে দিয়ে দিল আশরাফ। বলল

এখন নিজেকে কি করে বাঁচাবে সেই রাস্তা ধরো। ও ডিফেন্সের লোক। বুঝতে পারছ তুমি? আমার তো মনে হচ্ছে ও অলরেডি বুঝে গিয়েছে এই কাজে তোমার আর জেঠুর হাত ছিল। হসপিটালে ও জেঠুর দিকে তাকিয়েছিল অন্য চোখে। ওরা তোমাদের চাইতে বড় বড় টেরোরিস্টদের সাথে খেলা করে। ও নিশ্চয়ই প্রমাণ না থাকায় চুপ থেকেছে। তোমার মেয়ে নিজেই তো ওর কাছে ছোট হয়ে যাবে।

আজমল কবির কেশে উঠলেন।

মাথা খারাপ? আমরা কিছু করব কেন? যা করেছে রোস্তম করেছে। আমরা কিছু করতে বলিনি। আমাদের কি দোষ? আমরা শুধু বলেছি ওই ছেলে যেন এই গ্রামে ঢুকতে না পারে।

রাজিয়া বেগম ফুঁসে উঠলেন। বললেন

এখন তো এইরকম বলবেন। এরকম শয়তান মানুষ আমি দেখিনি আর।

আমজাদ সাহেব আঙুল তুলে বললেন,

তুই চুপ থাক। একদম ফটরফটর করবি না।

একদম তুইতুকারি করবেন না। কাল সকালে আমি আমার মেয়েকে দেখতে চলে যাব। ওকে বলব যে ওর কাজে আমরা খুশি। আমাকে দেখি কে আটকায়।

আমজাদ সাহেবের চোখজোড়া দপদপ করে জ্বলে উঠলো। আজমল সাহেব বললেন

খবরদার আশরাফের মা এই কাজ ভুলে ও করবেনা। ওই মেয়ের জন্য এই বাড়ির দরজা বন্ধ। যে তার সাথে যোগাযোগ করবে তারও জায়গা হবেনা এই বাড়িতে।

আশরাফ কপাল চেপে বসে পড়লো সোফায়। অন্তরা এসে বলল

চিন্তা করবেন না। সব ঠিক হয়ে যাবে। সবাই এরকম করলে কিভাবে হবে? উনি কি এখন সুস্থ আছেন?

কে মরলো কে বাঁচলো আমাদের কিছু যায় না আসেনা বৌমা? ওই ছেলের নাম নেবেনা এই বাড়িতে। ওই মেয়ের নামও নেবেনা। খবরদার ভুলেও ফোন করবেনা। কোনো যোগাযোগ রেখেছ জানলে আমার চাইতে খারাপ কেউ হবেনা।

শ্বশুরের কথায় কেঁপে উঠলো অন্তরা।

রাজিয়া বেগম অন্তরাকে টেনে নিয়ে যেতে যেতে বললেন

চলো বউ। এই লোকের সাথে কথা বলবেনা একদম। বুড়ো হচ্ছে তারপরও গলার স্বর নিচে নামেনা। আল্লাহ এদের কবে বুঝ হবে?

________________

রান্নাঘর খুঁজে খুঁজে বের করতেই রাহা দেখলো আমেনা বিবি রান্নাঘরে বসে কাটাকাটি করছেন। চুলায় কি যেন রান্না হচ্ছে। রাহা পা টিপে টিপে রান্নাঘরের দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। কি বলে সম্বোধন করবে ভাবতেই মনে পড়লো মেজর গতকাল রমিজা মিয়াকে কাকা ডেকেছিলেন। তারমানে ইনি কাকি। কাকি বলে ডাকবে কি? দ্বিধাদ্বন্দে ভুগতে ভুগতে একসময় সে বলল…

আসতে পারি কাকি?

আমেনা বিবি হকচকিয়ে গেলেন। ভূত দেখার মতো চমকালেন যেন। ঘাড় ঘুরিয়ে চেয়ে রইলেন রাহার দিকে।
কাল যে এতকিছুর পরেও একটা কথা বলছিল না সে আজ নিজ থেকে কথা বলছে।

এত সকাল সকাল উঠলা ক্যান বউ? এখনো তো সূর্য উঠেনাই।

রাহা রান্নাঘরে চারপাশে চোখ বুলালো। দেখলো কয়েকপ্রকার কাঁচা মাছ, মাংস, শাকসবজি।

তোমাগো কাকা কাল রাতেই বাজার কইরা আনছে। বাবু বাজার করতে বলছে। মিনি আর তোমার বোনরা নাকি আসবো। তাই আমি কাটাকুটি শুরু করে দিছি। তোমার কি চা লাগবো?

রাহা দুপাশে মাথা নাড়ালো। বলল

আপনি একাহাতে করছেন। আমিও সাহায্য করি আপনাকে?

না না তুমি নতুন বউ। বাবু কি ঘুম থেকে উঠছে?

না। উনার শরীরের অবস্থা ভালো না। ঘুমোক। একটু নরম খাবার দিতে হবে। শক্ত কিছু চিবোলে মাথায় আঘাত লাগবে।

ওই ওখানে সবকিছু রাখা আছে। তুমি বলো কি করা লাগবো।

না আমি পারব।

না না তুমি করবা কেন বউ? তোমার জামাই দেখলে কি বলবো আমারে ? বলবো নতুন বউরে দিয়া কাজ করাইতেছে কাকী।

রাহা হেসে বলল

কিছু বলবেনা। আপনাকে একা একা কাজ করতে দেখলেও উনার ভালো লাগবেনা।

হ্যা সেটা ঠিক কইছো । পেটে না ধরেও এমন একটা পোলা আছে আমার। সবদিক খেয়াল রাখে। তারে ভালা রাইখো।

রাহা শাড়ির আঁচল কোমরে গুঁজে সকালের নাশতা বানাতে মনোযোগ দিল। মিনমিন করে বলল

আমি তারজন্যই তো সব ছেড়ে ছুঁড়ে চলে এসেছি। তাকে ভালো রাখব বলে। আব্বা কি কখনো তাকে মাফ করবে না?
আব্বাও তো কম ভুল করলো না। পুত্রসম একটা মানুষকে কি করে মারার পরিকল্পনা করতে পারলেন উনি? বুক কি একবারও কাঁপলো না? মেজরের চোখে কতটা নিচে নেমে গেল সে? মেজর যখন জানতে পারবে সবটা তখন কি করে মুখ দেখাবে সে?

আমেনা বিবি নিজের ফাঁকে ফাঁকে রাহার কাজ দেখতে লাগলো। কাজে বেশ পাকা। রাহা উনার কৌতূহল দেখে বললেন

আপনাকে দেখেছিলাম তখন, আমরা এই বাসার পাশের বাসাটাতে উঠেছিলাম কয়েকমাস আগে।

আমেনা বিবি এবার বেশ চমকালেন। সাহস করে বলে বসলেন

তোমাগো কি আগে পরিচয় ছিল বউ?
কোনোদিন বাবুরে বলতে শুনলাম না।

রাহা নিজেও বিস্মিত হলো।

এমা ইনারা কিছুই জানেন না? মেজরের অনুমতি ছাড়া কিছু বলা কি ঠিক হবে?

রাহাকে চুপ দেখে উনি বলে উঠলেন

আচ্ছা থাক বউ। পরে জানবো। কেমন? আসলে বাবু কাউরে তো সব খুলে বলেনা। আমরা এমনিতেও ভাবছিলাম এইবার বাড়িত আসলে একটা বউ আনতে বলব। বলতে হলো না বউ তো সাথে করে নিয়ে আসছে। কিন্তু একটু অনুষ্ঠান হলে ভালো হতো আর কি। তার মা বাপ থাকলে তো কতবড় অনুষ্ঠান করতো। মিনির বিয়ে কতবড় করে হলো। বাবুর বিয়েও বড় করে হতো। একটা-ই তো ছেলে।

রাহা এবার আর উত্তর করলো না।

নাশতা বানানো শেষ হতেই তানজীবকে ঘুম থেকে তুলে দিতে গেল। সে এখনো ঘুম। পিঠের নিচে বালিশ রেখে সারারাত এভাবে ঘুমিয়েছে সে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় পুরো শরীর ঝিমঝিম করছিল। রাহা পা টিপে টিপে তার পাশে গিয়ে বসলো। তানজীবের মুখটা ওপাশে ফেরানো। বাম হাতটা ডান হাত দিয়ে ধরা। চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে। ব্যান্ডেজের নিচে কালচে শুকিয়ে যাওয়া রক্ত। সে আলতো হাতে মুখটা ফিরিয়ে এনে ডাকলো

মেজর!

তানজীব তখনও গভীর ঘুমে। রাহা তার কোমল পেলব ঠোঁট ছুঁয়ালো তার কপালের ব্যান্ডেজের নিচে, দু চোখের পাতায়। গায়ের উপর কাঁথা টেনে দিয়ে চলে যেতেই তানজীব ডানহাতে টান দিয়ে বসিয়ে রাখলো। রাহা অবাক গলায় বলল

আল্লাহ! আপনি জেগে আছেন? উঠুন।

তানজীব তাকে টেনে এনে বুকের ডানপাশে রেখে কপালে চুমু খেয়ে বলল

কাকীর সাথে কথা হয়েছে?

রাহা মুখ তুলে বলল

হুমম। উনি আমার ব্যাপারে কিছুই জানেনা।

বলা হয়নি।

আমি নাশতা বানিয়েছি। ফ্রেশ হয়ে নিন।

আপনি বানিয়েছেন?

রাহা তার দিকে মুখ তুলে বলল

আমি রান্না পারি মিস্টার।

তানজীব হেসে উঠে তার নাকে নাক ঠেকিয়ে বলল

গুড গার্ল।

______________

সকাল নয়টার দিকে মিনা আর সানজু এল রাহানের সাথে। সাথে বাচ্চাটা তো আছেই। নোরাহ আর অধীর এল তার কিছু পরে। রাহা সবাইকে পেয়ে ভীষণ খুশি। অধীর তাকে এত হাসিখুশি দেখে তানজীবকে বলল

বউ তো ভীষণ খুশি। এবার ট্রিট দে শালা আর্মি।

দেব সুস্থ হয়। পায়ে জোর আসুক। এমন ট্রিট দেব বউয়ের নাম ভুলে যাবি।

সবাই একসাথে হেসে উঠলো।

অধীর বলল

না না বাপ তোর ওরকম ট্রিট লাগবেনা।

রাহান বলল

শালা রাখ তোর ট্রিট । ওর রক্ত লাগবে। আগে রক্ত যোগাড় কর।

মিনি অবাক গলায় বলল..

রক্ত দিতে হবে?

রাহান বলল

হ্যা। সাথে কিছু টেস্ট আছে। আমরা বেরোবো এখন। তুই রাহার জিনিসগুলো বুঝিয়ে দিবি। ব্রো রেডি হয়ে নে।

তানজীব বলল

কিন্তু আমাকে কর্নেল স্যারের সাথে মিট করতে হবে ইমার্জেন্সি। সাথে থানায় যেতে হবে। হসপিটালে সন্ধ্যায় গেলে হয় না?

অধীর বলল

সবার আগে নিজের সুস্থ থাকাটা ইম্পর্টেন্ট। তোকে আগে ফিট হতে হবে। পরে না হয় সব করবি। এতবড় জঘন্য কাজ কে করলো কোনো ক্লু পেলি? এত বড় বড় ইনভেস্টিগেশন অফিসাররা কাজ করছে তারপরও কোনো কিছুর খোঁজ নেই? কেন? নাকি লুকোনো হচ্ছে?

তানজীব চুপ করে থাকলো। রাহান সন্দিগ্ধ গলায় বলল

ওকে নিশ্চয়ই ওরা ইনফর্ম করেছে। তোকে কিছু বলেছে তানজীব? আমাদের কিছু বলছিস না কেন?

তানজীব দুপাশে মাথা নাড়ালো।

না। কই? কিছু জানাজানি হলে অবশ্যই সবখানে জানাজানি হবে। তোরাও জানবি।

মিনা বলল

ভাইয়া দেখো কোনোকিছু লুকোবেনা। যারা এই কাজটা করেছে তাদের চরম শাস্তি দাও। মানুষের জীবন নিয়ে খেলা এত সহজ ব্যাপার নয়। তুমি ওদের কি ক্ষতি করেছ যে ওরা তোমাকে মেরে ফেলতে চাইলো। ওদের একদম ছাড়বেনা।

অধীর বলল

একদম ঠিক।

রাহা শাড়ির আঁচল মুসলেকা করতে করতে তানজীবের দিকে তাকালো। তানজীবও একই সাথে তাকালে রাহা ভড়কে গেল। তানজীব চোখ ঘুরিয়ে নিল। রাহা ভাবলো

মেজর ওভাবে তাকালো কেন? উনি কি কিছু আন্দাজ করতে পারছেন? রাহার কি আগে থেকে বলে দেওয়া উচিত নয়? মেজর পরে যখন জানতে পারবে তখন কি হবে?

চলবে
বেশি লেখা হয়নি। ছোট করে দিলাম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here