মন নিয়ে কাছাকাছি – পর্ব ২৫

0
251

#মন_নিয়ে_কাছাকাছি
#পর্ব_২৫
লেখনীতে #পুষ্পিতা_প্রিমা

সকালের নাশতা তৈরির সময় রাহাকে কাছে পেয়ে মনোয়ারা বেগম আর খানসা বেগম কিছু কথা বলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। রাহাকে স্বাভাবিক দেখে ভেবে নিলেন কথাটা বলবেন। দু’জনেই টুকটাক কথা বলার ফাঁকে রাহার কাজ দেখছিলেন। বেশ ভালোই পটু। মাথায় ঘোমটা টেনে চুপচাপ কাজ করছে সে।

আমেনা বেগম রান্নাঘরের বাইরে যেতেই মনোয়ারা বেগম কথাটা বলার সুযোগ পেলেন। ধীরেসুস্থে বললেন…

যেহেতু বিয়েটা হয়েই গেছে আর কিছু তো করার নেই। তোমার বরকে একটু বুঝাও মেয়ে । যাতে বাড়ি ফিরে। এই বাড়িটা তো থাকবে বলে তুলেনি। ভাড়া দেয়ার কথা ছিল। ওই বাড়িতে ওর বউয়ের জন্য ঘর আছে। আমাদেরই তো ছেলে।

রাহা কথাগুলো শোনার সময় হাতের কাজ বন্ধ রাখলো। আবার পুনরায় কাজে হাত লাগিয়ে বলল

আমি এসব ব্যাপারে উনার সাথে কথা বলিনা জেম্মা । উনি আমার মুখে এসব প্রস্তাব শুনলে খুশি হবেন না।

না মানে তুমি তো বউ। যদি বুঝিয়ে বলো শুনতেই পারে…
আসলে ওর সাথে ওর চাচা জেঠুর একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল আমেরিকা যাওয়ার আগে। সেটা ধরে আর তোমার বিষয়ে একদম বাড়ি যাওয়ার কথা ভাবছেনা। ওর চাচা জেঠুরা এই বিষয়টা নিয়ে বাড়িতে সারাক্ষণ অশান্তি করে। কথা কাটাকাটি হয়। সারাক্ষণ এসব হলে তো আর ভালো লাগেনা। আমরা কখনো ভাবিনি ওকে কখনো আলাদা করব। কখনো আলাদা চোখে তো চাইনি আমরা। একটু বুঝিয়ে বলো।

রাহা সেদ্ধ ডিমের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে ভাবলো, আমাকেই তো নিজের কাছে রাখবেন না উনি। আমি আবার কি বলব?

শোনো মেয়ে তোমার পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারে একটা শত্রুতা আছে তা তো তুমি জানোই। তুমি জানতে না তোমাদের বিয়েটা হলে একেকটা সমস্যা হবে। তারপরও বিয়ে করলে কেন? তোমার সাহস আছে বৈকি। তোমার কি এখন মনে হচ্ছেনা বিয়েটা করে ভুল করেছ?

রাহাকে তখনি ঘাড় ঘুরিয়ে চাইতে দেখে উনি থামলেন। বললেন

মানে অশান্তি হচ্ছে তাই বলছিলাম। তুমি নিজেও তো শান্তি পাচ্ছনা। ছেলেটার পেছনে বিপদ লেগেই আছে। এই চৌদ্দ বছর আমরাই তো মানুষ করেছি। ও আমাদের কিছু মনে না করলেও ওর কিছু হলে আমাদের আগে লাগে। পেটে ধরিনি তাই আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে গেলেও সবাই মনে করে আলগা দরদ দেখাচ্ছি। আমাদের কতটা লাগে সেটা আমরাই জানি। ও থাকতে পারে আমাদের ছাড়া। যত জ্বালা আমাদের। আগলে রাখতেও পারিনা। ছাড়তেও পারিনা। তোমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি উচিত হয়নি ছেলেটাকে আমাদের হাতে ছেড়ে যাওয়া। তুমি মাত্র ক’দিন থেকেছ ওর সাথে। বুঝবে এবার ও কেমন ছেলে। তুমি নিজেও ভাবতে পারবেনা ওর মনে কি চলছে এবং ও কি করতে চায়। বুঝা মুশকিল।

আপনাদের ছেলে আপনাদের কাছে ফিরে যাবে। চিন্তা করবেন না।

মনোয়ারা বেগম খুশি হলেন। খানসা বেগম এবার কথা বললেন

আচ্ছা?তোমাকে বলেছে এরকম?

বলেনি। আমার মনে হচ্ছে।

সত্যি হলে ভালো। তোমাকে কিন্তু আমাদের সাথেই থাকতে হবে তখন।

উনি আমাকে ওই বাড়িতে নিয়ে যাবেন না।

কেন কেন?

যতদিন উনার চাচা জেঠু খুশিমনে মেনে না নেয়।

কিন্তু তুমি যে বললে ও যাবে।

উনি যাবেন কিন্তু আমি না।

দু’জনকে ধাঁধায় ফেলে রাহা বেরিয়ে গেল রান্নাঘর থেকে। পথে মিনার সাথে দেখা হতেই সে বলল

খালি পেটে ভাইয়ার মেডিসিন আছে। আগে ওটা খাইয়ে দিস।

রাহা মাথা নাড়লো। চলে যেতে উদ্যত হতেই মিনা বলল

শোন!

রাহা পিছু ফিরলো।

বলো।

আমার কথায় রাগ করিস না। আমার মাথা ঠিক ছিল না তখন। কি বলতে কি বলে ফেলেছি।

রাহা মাথা দুলিয়ে চুপচাপ হেঁটে চলে গেল। মিনা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। আম্মা আব্বাটা থাকলে তাদের জীবনের সমীরণটা অনেকটা সহজ থাকতো।

_____________

রাহা ঘরে যেতেই দেখলো বিছানা খালি। তানজীব জানালার পাশে দাঁড়িয়ে। বামহাতের তোয়ালে দিয়ে ভেজা মুখ মুছছে। ডান হাতে ফোন টিপছে। রাহা ড্রয়ার খুলে ঔষধ বক্স খুঁজতেই তানজীব তাকে ঘাড় ঘুরিয়ে চাইলো।

রাহা ঔষধ নিয়ে তানজীবের পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো। বলল

ঔষধ খেয়ে নিন।

তানজীব ফোন কানে দিয়ে রাহার দিকে ফিরলো। রাহা ঔষধটা বাড়িয়ে দিল। পানির গ্লাস বাড়িয়ে দিতেই তানজীব পানিটা খেয়ে নিয়ে বলল

আমায় ডেকে দাওনি কেন?

এলার্ম বেজে উঠলেই উঠে যাবেন তাই।

ওকে।

বাম হাতে রাহার কোমড় পেঁচিয়ে জানালার দিকে মুখ করে দাঁড়ালো সে আবার। বড় ইউক্যালিপটাস গাছে দুটো হলুদ পাখি ডাকাডাকি করছে,

রাহা কিছু বলার আগেই সে বলল

ফোনটা সেরে নেই। ওয়েট।

ফোনে কথা বলার পুরোটা সময় রাহা ওর মুখের দিয়ে তাকিয়েছিল। কি এক অপূর্ব সুখোবেদনায় কেঁপে উঠছিল তার ভেতরটা।
মেজরের মাথার চুলগুলো খানিকটা বেড়েছে। এরকম কখনো হয় না। গালভর্তি কাটছাট দাঁড়ি গুলো গেঁথে রয়েছে শ্যামবরণ গালে।

কথোপকথনের শেষার্ধে তানজীব সমাপ্তি টেনে বলল,

ওকে। এখন রাখছি । দেখা হচ্ছে তাহলে।

ফোনটা কেটে যেতেই তানজীব পকেটে ফোনটা রেখে রাহার চোখে চোখ রাখলো। ভুরু উঁচিয়ে বলল,

কি বলতে চান বলে ফেলুন।

রাহা কিছুক্ষণ ভারমুখে চেয়ে রইলো। কিয়ৎক্ষণ পর চোখ নামিয়ে বলল..

আপনি আর ক’দিন আছেন?

পনের দিনের মতো। তার কমবেশি হতে পারে। হেলথ কন্ডিশনের উপর ডিফেন্ড করে। পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া অব্দি যাওয়া বারণ আছে।

রাহা সংশয় নিয়ে আবারও চোখ তুলে তাকালো। তানজীবের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বুঝে নিল রাহা কিছু জিজ্ঞেস করতে চায়।

নাক জোরে টেনে দিয়ে বলল

বি ইজি। আজ ক’দিন যেন!

তিনদিনের সংসার।

তিনদিন! ইন্ট্রেস্টিং। তিনদিনের সংসার।

বলেই হাসলো তানজীব। রাহা ক্ষিপ্ত গলায় বলল

হাসবেন না।

তানজীব মাথাটা নিচে নামিয়ে বলল

ওকে। হাসলাম না। কি জানতে চাও ফটাফট বলো।

কালকে যা বলেছিলেন তা সত্যি সত্যি?

হ্যা পেপার রেডি করে দিয়েছি অধীরকে।

কিসের পেপার?

এগ্রিমেন্ট পেপার সেনা কমান্ডোর তরফ থেকে। এই পেপারে সাইন করা মানে আর কোনো অপরাধে শনাক্ত হলে সরাসরি কারাদণ্ড। এইবারের মতো মুক্তি।

রাহার দুচোখের তারা অপ্রত্যাশিত খুশিতে চকচক করে উঠলো। ঠোঁটের কোণায় একঝলক হাসিরছটা দেখা গেল।

আব্বা আর জেঠু এবার বুঝবে আপনার কদর। না?

তানজীব চোখ ঘুরিয়ে বলল

হয়ত।

রাহা তার শার্টের খোলা বোতামগুলো লাগিয়ে দেয়ার জন্য হাত লাগালো। বলল

আর রোস্তম শিকদার?

সেইম।

রাহা বিমূঢ় চোখে চাইলো। তানজীব তার বিস্ময় বিহ্বলিত চোখজোড়া দেখে হাসলো কেমন তুচ্ছ করে।

ওর চাকরিটা তো গেছে প্রাণো। যে পোশাক ওর থেকে খুলে নেয়া হয়েছে সেটা ও আর কখনো ফিরে পাবেনা। এটাই ওর সবচেয়ে বড় শাস্তি। ওর মাকে কাঁদতে দেখেছিলাম ওইদিন। ভদ্রমহিলা নিজের মুখেই ছেলেকে দোষারোপ করছেন। কিন্তু ছেলেকে ওখানে দেখতেও পারছেন না। মায়ের মন বলে কথা। সেসব দেখে আম্মাটার কথা হঠাৎ মনে পড়ে গেলো। তোমার মনে আছে স্কুলের মাঠে খেলতে গিয়ে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছিলাম পায়ে। আম্মা সেদিন পুরোটা সময় কেঁদেছিল। আর বলছিল

আমি এত চোখে চোখে রাখার পরেও তোর এ দশা। আমি না থাকলে কি হবে তোর?

আম্মারা চলে যাওয়ার পরদিন থেকেই আমি বদলে গেছি অন্যরকম ভাবে। বোনকে আগলে রেখেছি। শুধু নিজের দায়িত্ব নয় বোনের দায়িত্ব নিয়েছি। এই আমাকে দেখলে আম্মা কতটা খুশি হতো আমি তোমায় বুঝাতে পারব না প্রাণো।

রাহা পূর্ণমনোযোগ দিয়ে দেখলো নিরেট কঠিন একরোখা আর্মি অফিসারের গলার স্বর কাঁপছে। এতটা আবেগী হয়ে পড়তে কখনো সে দেখেনি মেজরকে।

আম্মা আব্বা থাকলে আমাদের বিয়েটা অনেক ঝাঁক ঝমক করে হতো। তোমাকে এত কষ্ট করতে হতো না। তুমি তাদের একমাত্র ছেলের বউ হতে। আম্মা তোমাকে কত স্নেহ করতে সে ব্যাপারে তোমার ধারণাই নেই। আমি রেগে গেলে বলতো, প্রাণো তোকে কি করে সামলাবে আমি জানিনা। ওর বোধবুদ্ধি হোক দেখবি ও নিজেই বলবে আন্টি তোমার গবেট ছেলেকে আমি বিয়ে করব না।

আমি তখন তোমার নামটা শুনেই রেগে যেতাম। আম্মা আর আব্বা তখন মিটমিট করে হাসতো। তোমার দাদা শুধু ওদের শেষ করেনি প্রাণো। ওদের স্বপ্নগুলোকে, আমাদের দু ভাইবোনের আশ্রয়, ভালোবাসা,স্নেহ মমতা সব কেড়ে নিয়েছে। তোমার থেকে সুন্দর একটা সংসার কেড়ে নিয়েছে। ওরা তছনছ করে দিয়েছে সব। সব শেষ করে দিয়েছে প্রাণো।

রাহাকে ছেড়ে দিয়ে ফিরে গেল সে। কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করে গলা পরিষ্কার করে বলল

যাইহোক খেয়েছ?

রাহা তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। শক্ত করে জড়িয়ে বুকের একপাশে মাথা রেখে বলল

মেজর আমাদের সুন্দর একটা পরিবার হবে। আমরা খুব ভালো থাকব। আপনি শুধু আমাকে দূরে সরিয়ে দেবেন না। আপনার পাশে থাকতে দিন প্লিজ। আমি তো আপনার এককথায় রাজী হয়ে গিয়েছিলাম। আপনাকে ভালো রাখার চেষ্টা করব বলে। আমি খুব সুন্দর করে আপনার পরিবারের সাথে মানিয়ে নিতে পারব। আপনি প্লিজ ওদের দূরে ঠেলে দেবেন না। ওদের নিজের করে ভাবুন। ওরা দিনশেষে আপনার আপন। আপনার ভালো চায়। প্লিজ মেজর। ওদের কাছে ফিরে যান। ওই বাড়িতে থাকলে আপনার চারপাশটা এত বিষন্ন লাগবে না। একা লাগবে না। আপনি নিজেও জানেন না ওরা আপনাকে নিয়ে কতটা ভাবে। প্লিজ।

না।

রাহা সাথেসাথেই মাথা তুললো। তানজীবের স্থির চোখে চোখ মিলিয়ে বলল

কি না?

তানজীব ওর কানের নিচে হাত গলিয়ে ওর মুখটা দুহাতে আগলে ধরলো।

ওরা আমাকে ভালোবাসে জানি। কিন্তু ওদের তাকেও ভালোবাসা উচিত যাকে আমি ভালোবাসি।

রাহার সারা শরীরজুড়ে শীতল আবহ সৃষ্টি হলো। বুকের ভেতর অপ্রতিরোধ্য সুখের উতালপাতাল ঢেউ তুলছে। কেমন সুখ সুখ লাগলো কথাটা শুনে।

তাই আমি চাইনা ওরা আমার মুখ চেয়ে তোমাকে ঘরে তুলুক। তোমাকে হেঁটে ওই বাড়িতে যেতে দেব না আমি। একজন মেয়ে তার শ্বশুর বাড়িতে যেই সাজে যায়, যেভাবে যায়, যদি যেতে হয় তুমি সেভাবেই যাবে। ওই কথা যতদিন ওদের মুখ থেকে না বেরোয় যতদিন তাদের ওই কথা উপলব্ধি না হয় ততদিন আমি তোমাকে ওই বাড়িতে নিয়ে যাব না। এটা আমার প্রমিজ।
আমি তো বিয়েটা করে নিয়েছিলাম নিশ্চিন্তে ইউএসএ গিয়ে কোর্সটা কমপ্লিট করার জন্য। তোমাকে এখানে রেখে গেলে আমার মন বসতো না তাই। তোমাকে হারিয়ে ফেললে জীবনের অনেক বড়সড় কিছু একটা হারিয়ে ফেলতাম আমি। আমার নিজের মানুষ হারাতে যে ভীষণ ভয় প্রাণো। কে কি বলবে তা নিয়ে ভাবতে ইচ্ছে হয় না। তোমার বাবা এমনিতেও আমার সাথে তোমার বিয়ে দিত না। কাউকে না জানিয়ে বিয়ে করেছি, হ্যান করেছি ত্যান করেছি এসব শোনার ভয়ে আমি তোমাকে নিয়ে রিস্ক নিতে পারতাম না। আমার এ নিয়ে কোনো আফসোস নেই।

রাহার গাল বেয়ে বড় বড় কয়েকটা জলফোঁটা গড়িয়ে পড়লো।

আপনি এজন্যই আমাকে গ্রামে পাঠিয়ে দেবেন?

তানজীব সহাস্য হেসে তার বৃদ্ধাঙ্গুল চেপে জল মুছে দিল। মুড চেঞ্জ করে বড় করে শ্বাস নিল।

একেবারের জন্য তো না। এটা আমার তোমার মধ্যে থাকবে। ওকে? সবাই বুঝবে আমি তোমার উপর এটা চাপিয়ে দিচ্ছি এবং সবাই যাতে ভুলটা বুঝতে পারে। বেশিদিন না ম্যাডাম। আপনাকে ছাড়া থাকতে তো আমারও কষ্ট হয়। না? আমি তো পাথর না। তিনমাস বারোদিন পর আমি আপনার কাছে হাজির। হ্যা আমাদের ফোনে যোগাযোগ থাকবে। রাত এগারোটা বারোটার মধ্যে ফোনে কথা হবে। ওকে? তোমার পরিবার আমার পরিবার ওদের সবাইকে তো বুঝাতে হবে।

রাহা ঠোঁটের কোণায় হাসি টানলো আঁখিজলে।

আবার বিয়ে করার শখ?

অফকোর্স ম্যাডাম। টোপর তো পড়িনি না।

রাহা হেসে উঠলো। বুকে আবারও মাথা ঠেকিয়ে বলল

আচ্ছা। এই পনেরদিন তাহলে আমার।

তানজীব হাসলো।

ওকে।

রাহা মাথা তুললো। ভুরু কুঁচকে বলল,

ওয়েট ওয়েট টোটাল কতদিন যেন। এদিকে তিনদিন ওদিকে পনের। হুমম আমার আঠারো দিনের সংসার।

তানজীব তার কোমল গালে অধর ছুঁয়ে বলল

হুম। আঠারো দিন।

রাহা অভিমানী গলায় বলল

কিন্তু এরজন্য আপনি আমাকে আঠারো মাস অপেক্ষা করান মেজর।

রাহাকে আরও নিকটে টেনে গ্রীবাদেশে মুখ লুকোলো তানজীব। রাহা নড়েচড়ে উঠে বলল

আল্লাহ! পুরো বাড়ি ভর্তি মানুষ।

সো হোয়াট? ডোন্ট ডিস্টার্ব মি ননসেন্স।

চলবে………

একটুখানি দিলাম🥺

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here