বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ৭

0
1304

বিষাক্তময় আসক্তি (The Villain😈)
Sumaiya Akter Mim
পর্ব ৭………….🌼

ইরফানের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে তারপর পিছন ফিরে দরজা টান দিতেই খট করে খুলে যায় আর কিছু না ভেবে দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে যায় তাঁর দিকে তাকিয়ে ইরফান বাঁকা হেসে বলে উঠে তোমাকে আমার কাছে ধরা দিতে হবে আয়ু পাখি বলে নিজের সানগ্লাস টা পরে শিষ বাজাতে থাকে
পুপু পু ্্্পু পু পুপু পু ্্্পু পু ্্্্্্্

আয়ানা দৌড়ে নিচে নেমে আসে হঠাৎ স্বজোরে ধাক্কা খায় তুতুলের সাথে তুতুল আয়ানার হাত ধরে বলতে লাগে।
কি হয়েছে তোর আবার চোখ মুখের এই অবস্থা কেনো নিশ্চই ভয় পেয়েছিস তোকে একা ছাড়া একদম ঠিক না তুই একা থাকবি মানে কোনো না কোনো কান্ড ঘটাবি এবার বল কি দেখে আবার ভয় পেলি।।

অন্ধকার দেখে দি (মিথ্যা কথা বললো)।
আমি জানতাম এমটা হবে কেনো এতো ভয় পাস আয়ু গালে হাত রেখে আবার বলতে থাকে আমরা সবসময় তোর পাশে থাকবো না আয়ু তোর ভয় দূর করার জন্য তোকে নিজে এই ভয় কাটাতে হবে এতো ভয় নিয়ে বাঁচা যায় না ।।
তুতুলের কথা শুনে তুলতুলকে জরিয়ে ধরে আয়ানা কান্না করতে করতে বলে আমার সবসময় তোমাদের কাছে থাকতে চাই দি আমি কোথাও যাবো না আব্বি আম্মি কে ছাড়া।।
তুতুল আয়ানার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল ঠিক আছে এবার কান্না থামায় এমন মনে হচ্ছে সাফিয়ার সাথে সাথে আজকে তোর ও বিয়ে বলে নাক টিপে দিল তুতুলের ভিশন চিন্তা হয় আয়ানাকে নিয়ে এই মেয়েটা এতো ভয় পায় কেনো কি করে থাকবে এই ভিতু মেয়েটাকে ছাড়া বিয়ের পর অনেক ভালোবাসে তার পিচ্চি বোনটাকে আয়ানা খুব ডিপেন্ডেট তুতুলের উপর তার সব কাজ সবসময় তুতুল করে দিয়েছে ভয় পেলে মায়ের পর সে বেশি আগলিয়ে রেখেছে কখনো বাসার বাহিরে গেলে কোথাও গিয়ে থাকতে পারতো না শুধু আয়ানার কথা মনে পরতো তাই কোথাও গিয়ে ও বেশি দিন থাকতো না আয়ানার ও একটু মন টিকে না তুতুল কে ছাড়া দুজনে দুজনার জান। আকাশের ছোট ভাই থাকলে অবশ্যই আয়ানাকে তার বৌ বানিয়ে নিয়ে যেতো তাহলে তো আর তার পিচ্চি বোন থেকে দূরে থাকতে হতো না কিন্তু দুর্ভাগ্য আকাশের কোনো ছোট ভাই নেই।এসব ভেবে আয়ানাকে ওয়াশরূমে নিয়ে মুখ ধুইয়ে নিয়ে আসার সময় লাবিহা দৌড়ে আয়ানা আর তুতুলের কাছে যায় গিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে বলে ,
তোমরা দুজন এখানে আমি সব জায়গায় খুঁজে ফেলেছি।।লাবিহার অবস্থা দেখে আয়ানা তুতুল দুজনে অবাক হয়ে যায় তুতুল এসে লাবিহার কাছে এসে বলে,
কি হয়েছে লাবিহা এমন হাপাচ্ছিস কেনো সব ঠিক আছে তো কিছুটা চিন্তিত হয়ে।।
কিছু ঠিক নেই দি আয়ানার দিকে তাকিয়ে বলে আয়ানা চল তোকে মামা ডাকছে খুব জরুরি।(লাবিহা)
আ-আমাকে ডাকছে কেনো কিছুটা তোতলিয়ে বলল আয়ানা।।
কি হয়েছে বল তো লাবু (আদর করে লাবু বলে ডাকে) এমন টেন্স কেন দেখাচ্ছে তোকে সব ঠিক আছে তো।(তুতুল)
আমি কিছু বলতে পারবো না দি তোমারা চলো প্লিস হাত মোচরাতে মোচরাতে বলল।।
আচ্ছা ঠিক আছে চল আয়ু বলে হাত ধরতে নিলে আয়ানা কিছুটা পিছিয়ে যায় আর বলে আমি যাবো না দি আমার কেমন ভয় লাগছে সব ঠিক লাগছে না ভীতু মুখ করে বলল আয়ানা।।
আরে কিছু হবে না আব্বি হয়তো কোনো কাজে ডেকেছে চল আমি সাথে আছি তো বলে আয়ানাকে নিয়ে সেন্টারের বিশেষ কক্ষে গেলো।।।

আয়ানা তুতুলের হাত ধরে রুমে প্রবেশ করলো ভয়ে ক্রমে কাঁপছে সে কি এমন হয়েছে যে তাকে তার আব্বি ডেকেছে । রুমে প্রবেশ করতে শিতল এসে আয়ানার হাত ধরে নিজের কাছে নিয়ে আসলো আয়ানা তার আম্মির মুখের দিকে তাকিয়ে আছে তার আম্মির মুখটা এমন দেখাচ্ছে কেন চারপাশে তাকিয়ে দেখলো রুমে জায়েদ আহাম্মেদ একটা সোফায় হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে রেখেছে তার পাশে জায়েফ আহাম্মেদ তার মাথার কাছে সোফায় হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে সামিয়া আহম্মেদ কিছুক্ষণ পর রূমে অসলো জিসান তার সাথে সাফিয়া ও এসেছে এক কথায় রুমে সবাই আছে সাফিয়া কে দেখে ভয় পেয়ে গেল তার তো স্টেজে থাকার কথা সে এখানে কি করছে সবার মুখ কালো বোঝাই যাচ্ছে সবার উপরে বড়সর ঝড় গেছে আয়ানা তার আব্বিকে এই ভাবে চুপচাপ থাকতে দেখে ভয় পেয়ে যায় তাই জায়েদ আহাম্মেদ এর কাছে যেতে নিলে শিতল আহাম্মেদ আয়ানার হাত ধরে ফেলে তা দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল শিতল আহাম্মেদ দিকে শিতল মেয়ের দুই হাত ধরে নিচের দিকে তাকিয়ে বলে।

আমরা তোমার বিয়ে ঠিক করেছি আয়ানা আর আজকে তোমাকে আংটি পরিয়ে যাবে কিছুটা কাঁপা কাঁপা গলায় বলল ।।

শিতলের কথা শুনে আয়ানার ভিতরে মুচর দিয়ে ওঠে তারপর কাঁপা গলায় বলে কি বলছো আম্মি আমার বিয়ে ঠিক করেছো মানে কি আমার সাথে মজা করছো তুমি বলে কান্না করে দেয়।।

আমি তোমার সাথে মজা করছি না আয়ানা তোমার মনে হয় বিয়ে বাড়িতে বিয়ে রেখে আমরা তোমার সাথে মজা করবো।।

শিতলের কথা শুনে শিতলের হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে কিছু পা পিছিয়ে যায়। আয়ানাকে এইভাবে পিছোতে দেখে অনেক কষ্ট পায় শিতল বুঝতে পারছে তার ছোট মেয়ের মনে বড়সর ধাক্কা খেয়েছে কিন্তু তার কিছু করার নেই শিতল আবার এগিয়ে এসে মেয়ের হাত ধরে মাথা নত করে কান্না করে দেয় আর বলতে থাকে।।
আমরা তোমার ভালো আম্মি আব্বি হতে পারিনি আমাদের কাছে এখন কিছু নেই অনেক দেরি হয়ে গেছে আমরা চাইলে ও কিছু করতে পারবো না তুমি যদি তোমার আব্বি আমাকে তোমার বোনকে আর বাকি সবাই কে বাঁচাতে চাও কোনো প্রশ্ন ছাড়া বিয়েতে মত দিবে আর এখন যা যা হবে তা চুপ করে দেখবে কোনো প্রশ্ন করবে না বলে আয়ানাকে ছেড়ে অন্য পাশে চলে যায় এসব শুনে আয়ানা একদম চুপ হয়ে যায় মাথাটা তার ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।।। এমন কি হয়েছে যে আম্মি আব্বির হাতে কিছু নেই!

এমন সময় রুমে কিছু লোক প্রবেশ করলো যাদের হাতে অনেক জিনিস ছিল তারা রুমে প্রবেশ করে সেন্টার টেবিলের উপর এক এক করে সব জিনিস রেখে বের হয়ে যেতে রুমে প্রবেশ করলো ইমরান খান আর আসফিয়া তাদের কে আয়ানা চিনে না আয়ানা কখনো তাদের সাথে দেখা হয়নি তাদের দিকে তাকিয়ে আছে ইমরান খানের পরনে লাল পাঞ্জাবি দেখতে লম্বা বয়সের ছাপ পরেছে কিন্তু এখনো খুব ইয়াং গালের দারি গুলো সুন্দর করে কেটে রেখেছে যাতে হালকা পাক ধরেছে আর আসফিয়া কালো শাড়ির সাথে কালো আর গোল্ডেন কালার মিক্সড হিজাব পরেছে দেখতে খুব সুন্দরী হঠাৎ গালে স্পর্শ পেতে সামনে তাকিয়ে দেখে মহিলাটি তার গাল ছুঁয়ে আছে অদ্ভুত হাসি লেগে আছে তার মুখে হঠাৎ তার কথায় আয়ানার ঘোর ভাঙ্গে।।

মাসাল্লাহ আমার ছেলের পছন্দ আছে একদম পরীর মতো দেখতে মেয়েকে পছন্দ করেছে তা নাহলে যে ছেলে মেয়েদের পছন্দ করতো না এক রাতের মধ্যে বিয়ের জন্য পাগল হয়ে সব রেডি করে ফেলেছে।তারপর আয়ানার গাল টেনে বলে রাজ রানী করে রাখবে তোমাকে। ইরফান একটা পোকা ও কামড় দিতে দিবে না তোমাকে । প্রথমে মানিয়ে নিতে কষ্ট হবে পরে ঠিক হয়ে যাবে আমার ছেলেকে পাওয়ার জন্য সবাই দিওয়ানা আর সে তোমাতে । একদম চটাতে যেওনা তাকে যেমনটা চাবে তেমন করে মানিয়ে নিবে বুঝেছো বলে আয়ানাকে ধরে সোফায় বসিয়ে দেয় আর তার কথা শুনে ভয় পেয়ে যায় আয়ানা বুঝতে এখন কষ্ট হচ্ছে না কেনো সবাই কিছু বলছে না কারণ তারা খুব ক্ষমতাশালী তাহলে কি এই লোক গুলো ওই সাইকোটার মা বাবা ভেবে ভয়ে এখন কাঁপুনি শুরু হয়ে গেছে।। আয়ানাকে এইভাবে কাঁপতে দেখে মনে মনে অনেক খুশি হন আসফিয়া তার ছেলের জন্য যগ্যে বৌ খুঁজে পান এমন সুন্দরী মেয়ে পুরো কাশ্মীরে নেই।। আয়নার হাতে তাদের খানদানি বালা জোরো পরিয়ে দেয় আর বলে বাহ খুব সুন্দর লাগছে তোমার হতে বালা জোরা।।

তখন যখন সামিয়া আহম্মেদ শিতল আহাম্মেদ কে নিয়ে রুমে প্রবেশ করেন এসে দেখেন সেই খানে জায়েদ আহাম্মেদ আর জায়েফ আহাম্মেদ উপস্থিত আছেন আর তাদের সামনে ইমরান খান আর আসফিয়া তারা ইরফানের জন্য আয়ানার হাত চাইলে জায়েদ আহাম্মেদ সাথে সাথে মানা করে দেন যে মেয়ে তার খুব ছোট এই বয়সে মেয়ে বিয়ে দিবে না কারন জায়েদ ভালো করে জানে এরা কেমন লোক কিন্তু এসব কথা কোনো কাজে আসে না বিভিন্ন ভাবে ধমকি দেন যদি আয়ানা কে ইরফানের সাথে বিয়ে না দেওয়ায় হয় তবে তাদের সবাইকে ইরফান মেরে দিবে আর আয়ানাকে ও সে বিয়ে করবে অনেক বুঝানোর পর যখন জায়েদ আহাম্মেদ মানছিল না তখন একজন গার্ড জায়েদের মাথায় বন্দুক ধরে ইমরান খান এক কথা বারবার বলতে পছন্দ করেন না আর তার কথা না শুনলে তার মৃত্যু নিশ্চিত নেহাত ছেলের শশুর বলে ।জয়েফ আহাম্মেদ বুঝিয়ে জায়েদ আহাম্মেদ কে রাজি করায়।। ইমরান খান চেয়েছিলেন ইসহাক এর বিয়ের পর কথা বলবেন কিন্তু ইরফানের কথার উপরে কথা বলা কার সাধ্যি আছে সে আয়ানাকে ইসহাকের বিয়ের আগে নিজের নামের মোহরা লাগাতে চায় তাই বিয়ের আগে এই আংটি পরানোর কাজ শেষ করতে চান তাঁরা।।

একজন গার্ড দরজা খুলে দিতে রুমে প্রবেশ করে ইরফান । ইরফানকে দেখে ভয়ে আয়ানা উঠে যেতে নিলে আসফিয়া টান দিয়ে সোফায় বসিয়ে দিয়ে সোফা থেকে উঠে অন্য সোফায় গিয়ে বসে আর চোখ দিয়ে ইশারা করলো এখান থেকে যেনো সে না নড়ে আয়ানাকে এইভাবে কাঁপতে দেখে ইরফান মুচকি হেসে আয়ানার পাশে গা গেসে বসে পরে আয়ানা যেন রোবট হয়ে গেছে ভয়ে আশে পাশের সব কিছু ঘোলাটে লাগছে কান্নার কারনে চোখ গুলো ছাপসা ছাপসা লাগছে ইরফান আরেকটু গেসে আয়ানার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল।
কেমন লাগলো সারপ্রাইজ আয়ু জান।
আয়ানা কোনো কথা না বলে মুখ ধরে ডুকরে কেঁদে উঠলো জায়েদ আর শিতল মেয়ের কান্না দেখে নিজেদের চোখেও পানি চলে আসলো এমন একটা পরিস্থিতিতে জিবনে পরতে হবে ভাবতে পারেনি।।আয়ানাকে এইভাবে কান্না করতে দেখে ইরফানের মাথা গরম হয়ে গেল আয়ানারা হাত শক্ত করে ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিল তারপর খুব জোরে এক ধমক দিলো যা শুনে আয়ানার সাথে সাথে বাকি সবাই কেঁপে উঠলো।।

কি হয়েছে এমন নেকা কান্না কেনো করছো আমকে ভালো লাগছে না আমাকে বিয়ে করতে চাও না তাই কান্না করছো তাই তো গাল দুটো চেপে ধরে বলল আমাকে পছন্দ না হলে ও আমাকে তোমায় বিয়ে করতে হবে বুঝতে পারছো বলে খুব জোরে সোফার মধ্যে অন্য হাত দিয়ে বারি মারলো আয়ানার মনে হচ্ছে এখনি দাঁতের ভেতরে গালের মাংস ঢুকে যাবে ব্যাথায় কান্নার পরিমাণ বেরে গেল জায়েদ মেয়ের কাছে আসতে নিলে গার্ডরা তাকে আটকিয়ে ফেলে তার পাশে দাঁড়িয়ে শিতল কান্না করছে তুতুল ও কান্না করছে।।আয়ানা ব্যাথা পাচ্ছে দেখে ইরফান হাতটা সরিয়ে নেয় তারপর আয়ানার গালে চুমু খেয়ে বলে।
সরি সরি আয়ু জান তুমি প্লিস কান্না করো না আর এমন করবো না তুমি আমার কথা না শুনায় আমার রাগ উঠে গেছে তাই এমন করেছি বলে জরিয়ে ধরলো।।সবাই অবাক হয়ে ইরফানকে দেখছে খুব স্বাভাবিক ভাবে আচারন করছে কিন্তু একটু আগেও খুব রেগে ছিলো এখন একবারে ঠান্ডা ইরফানের রাগ সম্পর্কে সবার ধারণা আছে রেগে গেলে তার মাথা ঠিক থাকে না সে যখন রেগে যায় সামনের ব্যাক্তিকে খুন করতেও দ্বিধা করবে না কিন্তু আয়ানার ক্ষেত্রে তা না সে মরে যাবে কিন্তু তার আয়ু জানের কিছু হতে দিবে না ইরফান শান্ত গলায় বলল ,

একদম কান্না করবে না আয়ু জান আর আমাকে বিয়ে করা ছাড়া তোমার আর অন্য কোনো অপশেন নেই তাই ঝামেলা না করে যা হচ্ছে তা দেখে যাও কেমন মুচকি হেসে আয়ানার চুল গুলো কানের পিছনে গুজে দেয় আর আমার কথা না শুনলে কি হবে তুমি খুব ভালো করে জানো ।আয়ানকে নিজের সাথে আরেকটু মিশিয়ে বলে আরেহ আরেহ তুমি ভয় পাচ্ছো কেন , তোমাকে কিছু করবো নাকি তুমি তো আমার জান আর জান ছাড়া কেউ বাচে বলো আর আমাকে বাঁচাতে হলে তোমাকে প্রয়োজন তুমি যদি সোজা কথায় বিয়ে না করো কিংবা পালাতে চাও তাহলে তোমার পরিবারের কেউ বাচবে না আর আমি কি করতে পারি এটা তোমার জানা আছে বলে ডেবিল মার্কা হাসি দেয় ইরফানের কথা শুনে আয়ানার চোখ গুলো বড় বড় হয়ে গেলো ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে কাজ শুরু করতে বলে।

মিসেস আসফিয়া আয়ানার হাতে একটা আংটি দরিয়ে দেয় ইরফান কে পরানোর জন্য কিন্তু আয়ানা আংটি নিয়ে বসে আছে ভয়ে তাঁর হাতের আংটিটা যেকোনো সময় পরে যেতে পারে আয়ানা কে বসে থাকতে দেখে ইরফান আয়ানার হাত ধরে নিজের হাতের মাঝে নিয়ে আয়ানার হাতে থাকা রিং ইরফানের হাতে পরে নেয় আর আরেকটি হিরের রিং আয়ানার হাতে পরিয়ে দেয় সমর্পূণ কাজ সম্পন্ন হলো আয়ানার অনিচ্ছায়।। ইরফান হাতে রিং পরিয়ে দিয়ে আয়ানার হাতে চুমু খেলো তারপর আয়ানাকে নিয়ে
আয়ানার আব্বি আম্মির কাছে যায় গিয়ে জায়েদ আহাম্মেদ আর শিতল আহাম্মেদ এর উদ্দেশ্য বলে

আপনাদের মেয়ে এখন আমার হবু বউ তার ঠিক মতো যত্ন নিবেন পাঁচ দিন পর এসে নিয়ে যাবো এর মধ্যে কোনো গন্ডগল ঘটালে এর জন্য প্রস্তাতে হবে , এখন থেকে মেয়েকে আর নিজেদের প্রস্তুত করুন।।

আয়নার দিকে তাকিয়ে আয়ানকে নিজের সামনে দাঁড় করায় আয়ানার গালে হাত রেখে মাথাটা উপরে তুলে আয়ানার কপালে একটা চুমু দিয়ে বলে কি বলেছি বুঝতে পেরেছো আয়ু জান আমাকে একদম রাগাবে না এর ফল তোমার পরিবারের জন্য ভালো হবে না নিজের খেয়াল রাখবে আমার নজর তোমার উপর চব্বিশ ঘন্টা থাকবে বলে চলে যায়।।

ইরফান যেতে আয়ানা ডুকরে কেঁদে উঠলো তুতুল এসে তাকে জড়িয়ে ধরলো আসফিয়া আয়ানার সামনে এসে আয়ানার মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে থাকে,
শুনো মেয়ে আমার ছেলে ভিষন রাগি তার মন মতো হয়ে চলবে রাগাবে না আর নিজের ক্ষতি করার কথা একদম মাথায় আনবে না নিজের ক্ষতি তুমি যতোটুকু করবে তার ফল তোমার পরিবার কে ভুগতে হবে ইরফান নিজের জিনিস খুব যত্ন করে রাখতে যানে বলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় ইমরান খান ও একই রকম উপদেশ বাণী শুনায় তার পর জায়েদ আহাম্মেদ আর জায়েফ আহাম্মেদ এর উদ্দেশ্য করে বলেন বিয়ে শুরু করতে বলে চলে যান।।

সবাই মন খারাপ নিয়ে এই পরিস্থিতিতে সাফিয়ার বিয়ে দিয়ে বিদায় করে কারোর মনে কোনো ভাব আবেগ নেই গতকাল কি হবে আর ভবিষ্যতে কি হবে তা নিয়ে আগাম চিন্তায় আছে।।

To be continued….🌼

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here