দীপ্ত গোধূলি – পর্ব ৮

0
485

#দীপ্ত_গোধূলি
#লেখনীতে _স্বর্ণালী তালুকদার
#পর্ব-৮

ফুল স্পিডে গাড়ী চলছে!উন্মাদের মতো ড্রাইভ করছে দীপ্ত।যে দীপ্ত কিনা একটা তুচ্ছ বিষয়কেও খুব গুরুত্ব দিয়ে হ্যান্ডেল করে,আর আজ সেই দীপ্তই কিনা এমন ক্ষিপ্ত হয়ে ড্রাইভিং করছে।এমন ভাবে ড্রাইভ করছে যেন রাস্তাটা ওর চিরশত্রু।অনুষ্ঠানে থাকাকালীন আহসান সাহেব দীপ্তকে কল দিয়েছিলেন বলেছিলেন আহান ওর জন্য অপেক্ষা করছে।সিঙ্গাপুর থেকে স্পেশাল গেস্ট আসছে তাদেরকে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করতে ওকে আর আহানকে যেতে হবে।কে বা কারা আসছে এই রকম কোনো প্রশ্ন দীপ্ত করে নি।গোধূলিকে বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়েই দীপ্ত আহানকে কল করে জেনে নেয় আহান কোথায় আছে?তারপর দুজন এয়ারপোর্টে চলে যায়।যাওয়ার পথে আহানকে দীপ্ত জিজ্ঞেস করলো,

– আহান, সিঙ্গাপুর থেকে কারা আসছে রে ?

– স্পেশাল গেস্ট!

– আরে বাবা স্পেশাল গেস্ট এর কি কোনো পরিচয় নেই নাকি?তখন বড় মামুও বলল স্পেশাল গেস্ট! তা কে এই স্পেশাল গেস্ট শুনি?

আহান উৎফুল্লতা সাথে বললো,

– ভাই বাড়িতে বিয়ের ফুল ফুটেছে।বোনের জন্য হবু বরকে আনতে যাচ্ছি আমরা!

– ও আচ্ছা এই ব্যাপার?তাই এত স্পেশাল স্পেশাল লাগিয়ে রেখেছিস সবাই?

– অবশ্যই স্পেশাল! আমার বোনের বিয়ে বলে কথা!

তখন দীপ্ত ভেবেছিল হয়তো আদিবার বিয়ে।আর সেটাই স্বাভাবিক নয় কি?বাড়ির বড় মেয়ে বলে কথা ইনফ্যাক্ট সকল কাজিনদের থেকেও বড়!সেই হিসেবে তো আদিবারই বিয়ে হওয়ার কথা।কিন্তু না!কনে ঠিকই এলো কিন্তু সেটা গোধূলি!আর সেটা দেখেই দীপ্তের মাথা গরম যায়।গোধূলির বিয়ে?তাও আবার দীপ্ত বেঁচে থাকতে?আচ্ছা তাও ঠিক ছিল।কাউকে দেখতে আসলেই তো আর বিয়ে হয়ে যায় না।এটা ভেবেই দীপ্ত ওর রাগ আর ক্ষোভ যাই ছিল না কেন তা কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছিল।কিন্তু বনির বলা কথাটা আগুনে ঘি দেওয়ার জন্য যতেষ্ট ছিল।আর সহ্য করতে না পেরে ওখান থেকে বেড়িয়ে আসে।কিন্তু আবার যখন ফিরে আসে তখন রায়ানের বলা কথায় থমকে যায় ওর পুরো পৃথিবী।এই সব ভাবতে ভাবতে ড্রাইভ করছে দীপ্ত।
এই মুহুর্তে সাজ্জাদ সাহেবের উপর ভীষণ রাগ হচ্ছে দীপ্তের।জোড়ে গাড়ির ব্রেক কষার ফলে তাল সামলাতে না পেরে স্ট্রেয়ারিং গিয়ে দীপ্তের মাথা বারি খায়।কপালের বাম পাশটায় বেশ ক্ষানিকটাই কেটে গেছে।ওইসবে ওর কিচ্ছু আসে যায় না।নিজের জখমের কোনো পাত্তা না দিয়ে গাড়ি থেকে বেড়িয়ে এসে খুব জোড়ে দরজার লাগিয়ে একটা লাথি মারে।রাগ তো কিছুতেই কমছেই না বরং শুধু বেড়েই যাচ্ছে।গাড়ির পিছনের ডিকিতে থাকা হকি স্টিকটা নিয়ে এসে গাড়ির সামনের কাঁচটায় বারি দিতেই ঝনঝন শব্দে কাঁচের টুকরো গুলো নিমিষেই নিচে গড়িয়ে পরে। ঠিক ওর মনটার মতো!এতেও দীপ্তের রাগ এতটুকুও কমে নি।রাগটা যেন চড়াও হয়ে উঠেছে।হকি স্টিকটা ফেলে দিয়ে হাইওয়ের মাঝখান দিয়ে হাটা শুরু করে।বেখেয়ালি হয়ে হাটছে দীপ্ত।তাও আবার যে-সে রাস্তা না,হাইওয়ে!অনেক রাত হয়ে গেছে।শুনশান হাইওয়ের এই দিকটায় লাইটও নেই।রাস্তার পাশে অনেক গুলো খুটি দাঁড়িয়ে আছে ঠিকই কিন্তু লাইটশূন্য!তারউপর এই রাস্তার এইখানে অনেকটা মোড়ও নিয়েছে!বিপদজনক স্পট গুলোর মধ্যে এইটা একটা!দিনের বেলায়ই এখানে অনেক এক্সিডেন্ট হতে শুনা যায় রাতের বেলায় তো কোনো কথায় নেই!কিন্তু দীপ্ত এই সবে তোয়াক্কা না করে এলোমেলো পা ফেলে হেটেই যাচ্ছে।কোনো এক ঘোর এর মধ্যে রয়েছে ও।তাই কি করছে বুঝতেই পারছে না!

– দীপ্ত!

চলন্ত ট্রাকের সামনে থেকে হেচকা টানে আহান দীপ্তকে রাস্তার সাইডে নিয়ে আসে।এক্ষুনি দীপ্তের একটা বড়সড় এক্সিডেন্ট হয়ে যেতো।দীপ্তকে এতটা উদাসীন দেখে আহানের রাগ হচ্ছে খুব।আহান দীপ্তের বাহু ঝাকিয়ে বাজখাঁই গলায় বললো,

– কি করছিসটা কি তুই?এইভাবে হাইওয়ের মাঝখান দিয়ে কেউ হাটে?আমি যদি ঠিক সময় মতো না আসতাম,তাহলে কি হতো ভাবতে পারছিস?এক্ষুনি তো বড়সড় একটা এক্সিডেন্ট হয়ে যেতো।

……..

ওদের বিপরীত থেকে আসা গাড়ির হেডলাইটের আলোয় দীপ্তের কপালে রক্ত দেখে চমকে উঠে আহান।এতক্ষণ তো ও খেয়ালই করে নি।আহানে চিন্তিত হয়ে বললো,

– তোর কপাল কাটলো কিভাবে?তুই কি এক্সিডেন্ট করে এসেছিস?

দীপ্ত আহানের কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দিচ্ছে না।দীপ্তকে দেখে মনে হচ্ছে ও একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছে।দীপ্তকে চুপ করে থাকতে দেখে আহান বিরক্ত হয়ে দীপ্তের বাহু ধরে ফের ঝাকি দিয়ে উৎকন্ঠিত স্বরে বললো,

– আরে ইয়ার কিছু তো বল?

দীপ্তকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না।কারণ ও কারোর ফোনেই তুলছিল না।পরে উপায় না পেয়ে আহান দীপ্তের লোকেশন ট্রেস করে ওর কাছে পৌঁছায়।
দীপ্তের ঘোর কাটিয়ে উঠতে কয়েক মুহুর্ত সময় লাগে।পর মুহূর্তেই আহানের কন্ঠস্বর ওর কর্ণকুহরে প্রবেশ করতেই দীপ্তের মাথায় রক্ত উঠে যায়!আহানের এতো গুলো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করলো না দীপ্ত।দীপ্তের দৃষ্টি তো ওর বাহুতে ধরে থাকা আহানের হাতের উপর।আহানের দিকে রাগান্বিত চোখে তাকিয়ে চোয়াল শক্ত করে বললো,

– হাত ছাড় আহান!

আহান ভ্রু কুচকে তাকায় দীপ্তের দিকে।দীপ্তের কথা বলার ভঙ্গিমা দেখে অবাক হয় আহান।বললো,

– কি!

দীপ্ত রুদ্ধ কন্ঠে বললো,

– শুনতে পাস নি কি বললাম?আমার হাতটা ছাড়!

– না।আগে তুই বল তোর কপালে কি……

আহানকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়েই আহানের নাক বরাবর এক ঘুষি মেরে বসে দীপ্ত!ঘটনাটা এতোটাই অপ্রত্যাশিত ছিল যে আহান নিজেকে সামলাতে না পেরে ছিটকে গিয়ে মাটিতে পড়ে যায়।আহান কিছু বুঝে উঠার আগেই দীপ্ত আহানকে এলোপাতাড়ি মারধোর শুরু করে।আহান হতভম্ব হয়ে দীপ্তের হাতের মার খাচ্ছে।শেষে আহানও নিজের আত্মরক্ষার্থে দীপ্তিকে মারতে থাকে।ব্যাস!শুরু হয়ে গেলো দুইজনের দস্তাদস্তি।কেউ কাউকে ছাড়ছে না।

অবশেষে দুইজনই ক্লান্ত হয়ে সারা শরীরে ধূলাবালি লাগিয়ে হাইওয়ের ধারে বসে পরে।আহানের মাথায় কিছুই ঢুকছে না।সবকিছু মাথার উপর দিয়ে চলে গেল।দীপ্তই বা কেন ওকে ওইভাবে মারলো?আড়চোখে দীপ্তের দিকে তাকায় আহান।দীপ্ত এখনো রাগে ফোঁস ফোঁস করছে।আহান তপ্ত একটা নিঃশ্বাস ফেলে বললো,

– এবার বলতো কি হয়েছে?

আহান যেন দীপ্তের কাটা গায়ে নুন ছিটিয়ে দিয়েছে!দীপ্ত আবার রেগেমেগে আহানের উপর হামলে পড়ে।আহানেত শার্টের কলার চেপে ধরে রাগান্বিত হয়ে চিৎকার করে বললো,

– তুই কেন বলিস নি বাড়িতে গোধূলির বিয়ের কথা চলছে?তুই কেন বলিস নি যে, আজ গোধূলিকে ওরা দেখতে আসছে?বল কেন বলিস নি বল?

দীপ্ত শেষের কথাটা আহানকে ঝাকিয়ে শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে চিৎকার দিয়ে বললো।দীপ্তের দিকে আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে আছে আহান।দীপ্ত এইসব কি বলছে?গোধূলির বিয়ে মানে?রাগে দীপ্তের সারা শরীর থরথর করে কাঁপছে।এই মুহুর্তে আহান হাঁসবে না কাঁদবে ভেবে পাচ্ছে না।

– বিয়ে!দাঁড়া করাচ্ছি বিয়ে!ওই শালা রায়ানের বাচ্চাকে এমন ডোজ দিবো না আমি!সারা জীবনের জন্য বিয়ে করার স্বাদ মিটে যাবে ওর!

কথাটা বলে যেই না দীপ্ত আহানকে ছেড়ে উঠার জন্য উদ্যত হয় ওমনি আহান হুহু করে হেঁসে উঠে।কপাল কুচকে আসে দীপ্তের।আহানকে ওইভাবে হাসতে দেখে দীপ্তের রাগটা বেড়ে যায় আরো এক ধাপ।দীপ্ত চোখ রাঙিয়ে বললো,

– একদম হাসবি না বলে দিলাম।তোকে তো আমি পরে দেখে নিচ্ছি!আগে ওই শালাকে শায়েস্তা করে আসি!

দীপ্ত উঠে কয়েক কদম এগিয়ে যেতেই আহান চটজলদি ওর হাসি থামিয়ে কড়া গলায় বললো,

– এই সাবধান!আমার বোনের বরের গায়ে যাতে একটা আছড়ো না পড়ে বলে দিলাম কিন্তু।আর তুই শালা কাকে বলছিস রে?আমার বোনের বর কি তোর শালা হয়?শালা তো হবি তুই! সো সম্মান দিয়ে কথা বল।

আহানের দিকে চকিত দৃষ্টিতে তাকায় দীপ্ত। তাচ্ছিল্যের সুরে বলে,

– সম্মান?হাহ্!সম্মান মাই ফুট!

দীপ্ত ফের চলে যেতে নিলেই আহান ওকে থামিয়ে দিয়ে সন্দিহান চোখে তাকিয়ে বলে,

– এই এই এক সেকেন্ড দাঁড়া!সাজির বিয়ে, তো তোর কি হয়েছে?তুই এমন করছিস কেন?মেয়ে বড় হয়েছে ওকে কি বিয়ে দিবে না?ওকে কি সারাজীবন শোকেসে সাজিয়ে রাখবে রাখ…

– আমি রাখবো!

আহানকে বলতে না দিয়ে দীপ্ত প্রত্যুত্তর করে।আহান কপাল কুচকে তাকায়।বিস্মিত কন্ঠে বলল,

– মানে?

– মানে কিছু না!

দীপ্ত চলে যেতে নিলেই আহান ওর হাত ধরে আবার থামিয়ে দেয়।চরম বিরক্তিতে পেছন ফিরে দীপ্ত।আহান টিপে হেসে বললো,

– আরে পুরো কথাটা তো শুনে যাবি!

দীপ্ত রাগে আহানের হাত ঝাড়া দিয়ে ফেলে দিয়ে ঝাঁঝালো কণ্ঠে বললো,

– তুই আর কি শুনাবি আমায়?

– সামনের শুক্রবার বুবুর এনগেজমেন্ট!

দীপ্ত আশ্চর্য হয়ে বলে,

– মানে?

– মানে কি তুই বুঝতে পারছিস না?রায়ান ভাইয়ারাই বুবুকে দেখতে এসেছিল।

দীপ্ত শক্ত গলায় বললো,

– তাহলে ওখানে গোধূলি কি করছিল?

– আরে সাজি তখন দুষ্টুমি করেছিল।

– তাহলে রায়ান ভাইয়া যে বলল গোধূলিকে উনার পছন্দ হয়েছে?

– ওটাও দুষ্টুমি ছিল!সাজি যখন ওইভাবে রায়ান ভাইয়াকে বোকা বানিয়েছে ইনফ্যাক্ট সবাইকেই।তখন রায়ান ভাইয়া সাজির জালে সাজিকেই ফেলতে বলেছিল যে উনি সাজিকে বিয়ে করতে চান।

আহানের কথা শুনে দীপ্ত রেগে আগুন হয়ে যাচ্ছে।দাঁত কড়মড় করে মনে মনে বলে,

– দুষ্টুমি করারো একটা লিমিট আছে গোধূলি।তুই আজকে সব লিমিট ক্রস করে গেছিস।এর ফল তো তোকে ভোগ করতেই হবে।বড্ড বার বেড়েছে তোর না?আসছি আমি!

দীপ্ত চলে আসার জন্য পা বাড়াতেই আহান বললো,

– কোথায় যাচ্ছি?

– বাসায়।

– পায়ে হেঁটে যাবি বুঝি?তোর গাড়ি কোথায়?

_____________

ভাঙাচোরা গাড়িটার সামনে দাঁড়িয়ে আছে আহান আর দীপ্ত।আহানের তো মাথায় হাত।আহান দীপ্তের দিকে তাকিয়ে করুণ স্বরে বললো,

– দীপ্ত!ভাই আমার,গাড়িটার তুই এ কি হাল করেছিস?এই গাড়িটা না কালকে নতুন কিনলি?

– তো কি হয়েছে?

ভাবলেশহীন জবাব দেয় দীপ্ত।আহান উৎকন্ঠিত স্বরে বললো,

– কি হয়েছে মানে?তুই এক্সিডেন্ট করেছিস এইটা যদি ফুপি জানতে পারে তাহলে কি হবে ভাবতে পারছিস?

– আমি এক্সিডেন্ট করি নি!

গম্ভীর কণ্ঠে বলে দীপ্ত।আহান অবাক হয়ে বললো,

– তাহলে গাড়ির কাঁচ ভাঙলো কিভাবে?

– আমি ভেঙ্গেছি!

দীপ্তের উত্তরে আহান মোটেও অবাক হয় নি।বরং মনে মনে এই রকমই উত্তর আশা করছিল।কারণ এই ছেলের ভাঙাচোরার হাত বেশ পোক্ত।আহান ফোঁস করে একটা তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলে তাচ্ছিল্যের সুরে বললো,

– ও তাহলে ঠিক আছে!

– দে!

কপাল কুচকে তাকায় আহান।দীপ্ত ওর সামনে হাত পেতে দাঁড়িয়েআছে।কিন্তু আহান এর কারণ বুঝতে না পেরে বললো,

– কি দিবো?

দীপ্ত কর্কশভাবে বললো,

– আরে দে তো?

আহান বিরক্ত হয়ে বলে,

– আরে কি দিবো সেটা তো বলবি?

– চাবি!

– কিসের চাবি?

– তোর গাড়ির চাবিটা দে আমাকে।হয়েছে এবার,বুঝে গেছিস?

ধমকে ধমকে বলে দীপ্ত।আহান দীপ্তের ভাঙা গাড়িটার দিকে এক পলক তাকিয়ে নিষ্পাপ কণ্ঠে বলে,

– তাহলে আমি কিভাবে বাসায় যাবো?

– কেন?আমার গাড়ি করে!এটা নিয়ে আসতে হবে না?

আহানের হাতে দীপ্তের গাড়ির চাবি ধরিয়ে দিয়ে দীপ্ত আহানের গাড়ি নিয়ে চলে যায়।এইদিকে বেচারা আহান ক্যাবলাকান্তের মতো দীপ্তের ভাঙ্গা গাড়িটার সামনে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

চলবে…..

#বিঃদ্রঃ আপনাদের কাছ থেকে একটু গঠনমূলক মতামত চাই পাঠমহল।আজকের পর্বটা টাইপিং করা প্রায় শেষ, আর মাত্র কয়েকটা লাইন বাকি আছে এমন সময় পুরো পর্বটাই ডিলিট হয়ে যায়।বলুন তো তখন কেমন কষ্ট লাগে?😒যাইহোক হ্যাপি রিডিং🥰

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here