বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ১

0
1574

বিষাক্তময় আসক্তি (The Villain😈)
Sumaiya Akter Mim
সূচনা পর্ব 🌼🌼

(কিছু সমস্যার কারনে আইডির নামটা বদলাতে হয়েছে)
কুয়াশা ঢাকা চারিপাশ রাস্তা দালান গাছপালা সবখানেই কুয়াশা। ঠান্ডা বাতাস বইছে উঁচু উঁচু পাহাড় গুলোতে বরফে সাদা হয়ে আছে মনে হচ্ছে সাদা পাহাড় কিন্তু যখন বরফ গুলো গলবে তখন সাদা আবরন সরে সবুজে পরিনত হবে।।। আজাদ কাশ্মীর নামের মত সুন্দর স্থান। পাকিস্তান এর অধীনে এই কাশ্মীর। সুন্দরের অন্যতম জায়গা কাশ্মীর ।এর সৌন্দর্যের বর্ণনা মুখে বলে প্রকাশ করা যাবে না।।। কাশ্মীরকে স্বর্গ নামে চিনে সকলে।।।। কাশ্মীরের বনগুলোতে বিভিন্ন ধরনের গাছ পাওয়া যায় যেমন পুপলার গাছ,ওইলো গাছ ,ক্যারিকা গাছ শষ্য ইত্যাদি।। কাশ্মীরকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয় ভারতের জাম্মুর কাশ্মীর , পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর আর এক ভাগ চিনের অধীনে।।। কাশ্মীরকে আঞ্চলিক ভাষায় কাশি বলা হয় , বলা যায় কাশ্মীরের কশোর লোক বেশি বাস করত।।কশোর লোক হলো যারা আদীম যুগে মাংস ভাগ করতো।। (কাশ্মীর সম্পর্কে বেশি কিছু জানি না ইউটিউব থেকে কিছু তথ্য জেনে লিখেছি 😑)

আজাদ কাশ্মীর এর নিলাম বেলী শহরে জেনো আজ খুশির বন্যা বইছে।। দল বেঁধে সবাই খান বাড়ি দিকে যাচ্ছে খান বাড়ির ছেলের আজ জন্মদিন সেই উদ্দেশ্যে।।।খান বংশ হচ্ছে কাশ্মীর এর সবচেয়ে ধনি বংশ।। রাজত্ব করে সম্পূর্ণ কাশ্মীরে।। কয়েক যুগ ধরে এই খান বংশের রাজত্ব চলে আসছে।। ইমরান খান হচ্ছেন খান বংশের মালিক।। তাকে যেমন সবাই শ্রদ্ধা ভালোবাসেন তেমনি অনেক ভয় পায়।।। সম্পূর্ণ কাশ্মীরের লোক খাঁন বংশের দাসত্ব করেন।।খারাপ বলতে যদি কিছু আছে কাশ্মীরে তা হলো খান বংশের লোকজনেরা।। এখানে ভুলের শাস্তি হলো মৃত্যু আর সেটা নিজ হাতে দেন তারা। নেশাজাতীয় দ্রব্য হিরোইন ইয়াবা থেকে শুরু করে সব ধরনের কালো বিজনেস করেন ।। তার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য সবথেকে এগিয়ে এই খান বংশ।।। কাশ্মীরের কিং হলো তারা।। তাদের অনুমতি ছাড়া কাশ্মীরের পাতা পর্যন্ত পড়ার অনুমতি নেই।।। বিভিন্ন দেশের সাথে ব্যবসা বাণিজ্যে এগিয়ে তারা অনেক মসুল।।।

খান বাড়ি অনেকখানি এরিয়া নিয়ে গঠিত ।খান বাড়ির গেট থেকে শুরু করে বাড়ির সিঁড়ি পর্যন্ত লোকের ভিড় শুধুমাত্র ইমরান খানের ছোট ছেলের জন্মদিন বলে।। ইমরান খান ও তার স্ত্রী আসফিয়া খান লিরার দুই ছেলে।। বড় ছেলের নাম ইসহাক খান আর ছোট ছেলের নাম ইরফান খান।।। ইমরান খানের বড় ছেলে ইসহাক খান জন্মের পর থেক প্রতিবন্ধী ত্রিশ বছরের ইসহাক খান এখনো তিন বছরের আটকে আছেন।।।তার খাবার অন্য কাউকে খাইয়ে দিতে হয়।। ছেলের যাবতীয় কাজের জন্য আলাদা আলাদা লোক রাখা হয়েছে।। ইসহাক দেখতে লম্বাটে কিছুটা নাদুসনুদুস প্রতিবন্ধী হওয়ার ফলে সব কথা স্পষ্ট নয়।। কিছু কিছু কথা তোতলিয়ে বলে গার টা বাঁকা করে হাটে হাত গুলো বাকা কথা বলার সময় মুখ থেকে লালা বের হয়।।। ছেলের এই অবস্থা নিয়ে চিন্তা করেন না ইমরান খান কারন এক ছেলে এমন হলে কি হবে আরেক ছেলে ইরফান খান পুরাই শের। বাবার থেকে চতুর সব দিক থেকেই এগিয়ে।। তার একমাত্র লক্ষ্য জিতা ইরফান আর হেরে যাওয়া এক সাথে কখনো সম্ভব না।।। এতো এতো সুনাম নাম টাকা পয়সা সব ইরফান এর জন্য।।‌ ইরফান দেখতে ছয় ফুট লম্বা বয়স ২৮ বছর হলুদ ফর্সা চোখের মনি গুলো সাদা চুল গুলো সবসময় জেল দিয়ে সেট করে রাখে পুরাই কিলার লুক গাল ভর্তি চাপ দাড়ি, চাপ দাড়িতে যদি হাত বুলিয়ে বাঁকা চোখে তাকায় তাহলে মেয়েরা সেখানে ফিদা।।।পা থেকে মাথা পর্যন্ত পুরাই আইটেম।। সাদা সাদা চোখে যখন সুরমা লাগায় অনেক সুন্দর দেখতে লাগে সব সময় নিজের এটিটিউট বজায় রখায় তার মুখ্যম কাজ।।।সকল মেয়েদের হার্ট দারকান।।। বিভিন্ন ম্যাগাজিনে তার ছবি বের হয় আর হ্যাডলাইনে লিখা থাকে ক্রাস আইকন।।।
ছোট বেলায় থেকে সে খুব রাগী কেউ তাকে মন খুলে হাসতে দেখেনি একজন হার্টলেস ম্যান।।যা চাই তা চাই।। অন্ধকার রাজ্যের বাদশাহ সে বিষাক্ত তার মন যে কাউকে ধ্বংস করতে পিছু পা হবে না সে , আলোকে ও নিজের অন্ধকারে ডুবিয়ে দেবে।।সব খারাপ গুনের অধিকারী সে এক কথায় #The_villain।।

ইরফান খান জিন্দাবাদ ইরফান খান জিন্দাবাদ ্্্্্্
জোরে জোরে চিৎকার করে লোকেরা ইরফান খান কে বাহবা দিচ্ছে।। ঠিক সেই সময় বাড়ির বাইরে বেরোলো ইমরান খান আর তার এক হাত ধরে বের হলো ইমরান খানের বড় ছেলে ইসহাক খান যে একটু পরপর হাসছে তার কাছে বিষয়টি ভারি মজার লাফিয়ে লাফিয়ে হাত তালি দিচ্ছে ইমরান খান ছেলের দিকে তাকিয়ে থামতে বললেন সাথে থেমে গেল ইসহাক।। তাদের পাশে
এসে দারালেন ইমরান খান এর খাস লোক আলি আকবর বয়সের ছাপ মুখে তবু ও শক্তিশালী আর তাদের পাশে বর্ডিগাডরা।।হাত উঠিয়ে ইশারা করতেই থেমে গেল সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লোক গুলো।। ইমরান খান সকলের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বললেন এরি মাঝে সেইখানে উপস্থিত হলো ইরফান সকলে তাকে দেখে জোরে জোরে চিৎকার করতে লাগলো ইরফান তাদের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেসে ইমরান খানের দিকে গেল।।। কালো পাঞ্জাবি কালো জুতা কালো ব্যান্ডের ঘড়ি চোখে সুরমা দেওয়া এক কথায় পুরাই চকলেট কেক লাগছে।।

সালাম আব্বি হুজুর ইমরান খানের হাতে চুমু খেয়ে।।
আমার শের কাঁধে হাত দিয়ে (ইমরান খান)

ইরফানকে কাছে আসতে দেখে নিজের হাত বাড়িয়ে দেয় ইসহাক।। ইসহাকের হাতে চুমু খায় ইরফান এটা তাদের বংশের নিয়ম।।।

এর পর সকলের উদ্দেশ্যে সামনে যেতে এক এক করে সকলে ইরফানের হাতে চুমু খেতে আসে।।

হঠাৎ করে পুলিশ এর গাড়ির আওয়াজে সবাই সেই দিকে তাকায় সবাই দুই দিকে চলে যায় আর পুলিশের গাড়িটি প্রবেশ করে।। গাড়ি থেকে নেমে আসে একজন পুলিশ আর একজন এসে দারায় ইমরান খানের সামনে।।।

সালাম স্যার।। কাঁপা কাঁপা পায়ে এসে চুমু খায় ইমরান খানের হাতে।।

আরে নেয়ামত অফিসার যে সাথে আনিস মিয়া ও আছে কিছু টা বিদ্রোহ করে।।।

আসলে স্যার এনাকে আপনার কাছে প্রধান করার ছিল এখন আমি আসি এই বলে দৌড়ে পালিয়ে গেল আফিসার নেয়ামত।।।।

নেয়ামত সাহেব দারান দারান।।আনিস মিয়া চিৎকার করে ডাকলো কিন্তু কে শোনে কার কথা বাঘের মুখে তাকে ইচ্ছে করে দিয়ে গেছে ।। আনিস মিয়া ভেবেছিল আর কেউ তার কেইস নেক বা না নেক নেয়ামত নিবে কিন্তু না এখানে মেয়ের বিচার নিতে এসে নিজে মৃত্যু সঙ্গানে গ্ৰহন করলো।।।

কী আনিস মিয়া মেয়ের মৃত্যুর বিচার করতে এসেছেন যেখানে বিচারপতি ও আমি আর আপনার মেয়ের খুনি ও আমি বাঁকা হেসে ।( ইরফান)
এই গালে দেখুন এই গালে থাপ্পর মেরেছে পুরা নিলাম বেলী শহরে সাহস নেই সেখানে আমাকে থাপ্পর তাই একদম মেরে দিয়েছি এই ইফরান খানের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলার সাহস মৃত্যু।। হিংস্র বাঘের মত চিৎকার করে উঠল।।

আমি মন্ত্রী মিনিস্টার ইনচার্জ এসআই যার কাছে যেতে হয় তার কাছে যাবো আমার মেয়ের মৃত্যুর বদলা আমার চাই কাঁপা কাঁপা গলায়।।

হো হো হো করে হেসে উঠলো ইরফান আর সাথে বাকি লোক গুলো মনে হচ্ছে বছরের শেরা জুকস শুনেছেন।। ইরফান বলল,
মন্ত্রী মিনিস্টার ইনচার্জ এসআই সব আমার পকেটে থাকে আমি তাদের প্রতি মাসে টাকা না দিলে এতো দিন ফকির হতো ।।আর আমাকে তাদের ভয় দেখাছিস এক পা করে সামনে এগিয়ে আসছে আর লোক টা পিছোচ্ছে।। তুই এখানে আসিসনি তোর মৃত্যু তোকে এখানে এনেছে বলে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় নিচে।। নিচে ফেলে দেওয়ার সাথে সাথে সামনের লোকগুলো তাকে পায়ের নিচে ফেলে মারতে থাকে যতখন না ভিতরের জান টা না বের হচ্ছে।।। বাঁকা হেসে ইমরান খানের পাশের চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে বসে পরে ইরফান।।আনিস মিয়ার মেয়ে লিজা কলেজে পড়ে বান্ধবীদের সাথে আড্ডায় একসময় বাজি ধরে ইরফান কে থাপ্পর মারে কিন্তু সে জানতো না এটা ইরফান ছিল ভয়ে যার সামনে যেতে হাঁটু কাঁপে তার এবং সকলের সামনে তাকে থাপ্পড় মেরেছে । ইরফান নির্বাচনের জন্য কলেজের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল এমন সময় গাড়িটা নষ্ট হয়ে যায় আর এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে যার ফলস্বরূপ ইরফান মেয়েটির মাথা বরাবর শুট করে দেয়।। এসব কথা ভাবছে আর মুখের মধ্যে শয়তানি হাসি ফুটে উঠে।।

🌼🌼🌼
আম্মু আম্মু কোথায় আপনি আমার ভার্সিটির দেরি হয়ে যাচ্ছে আমি গেলাম।।।
এই দাঁড়া নাস্তাটা তো করে যা।।‌
না না আম্মু আমি র্ভাসিটির পাশের ক্যানটিন থেকে খেয়ে নেব আপনি খেয়ে নিন।। বলে মেয়েটি বের হয়ে গেল।।। যে মেয়েটির কথা বললাম তার নাম হচ্ছে রোজেলা আহাম্মেদ সাফিয়া বাবা জায়েফ আহাম্মেদ আর মা সামিয়া আহম্মেদ।। বড় ভাই জিসান আহাম্মেদ।।।। কাশ্মীরের লিপা বেলীতে বাস করে।।।

সাফিয়া ভার্সিটির সামনে এসে নিজের ভাড়া মিটিয়ে ভার্সিটি পাশের ক্যান্টিনের দিকে গেল সেখান থেকে নিজের পছন্দ মত কিছু খাবার অর্ডার করে নিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পেল একটি ছেলে রাস্তার মাঝখানে দিয়ে হাটাহাটি করছে ছেলেটিকে দেখে বোঝা যাচ্ছে ছেলেটা কিছু খোঁজছে।। ছেলেটার পিছনে অনেকগুলো গাড়ি আসছে যেকোনো সময় একটি গাড়ি ধাক্কা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে তা দেখে সাফিয়া তাড়াতাড়ি করে ছেলেটির কাছে গেল ছেলেটির হাত ধরে রাস্তার কিনারে নিয়ে আসলো।।

আপনি ঠিক আছেন আপনার কোথাও লাগেনি তো ছেলেটি মাথা দুলিয়ে বলল না।। সাফিয়া আবার ছেলেটিকে প্রশ্ন করল যে আপনি কি কিছু খুঁজছিলেন।। ছেলেটি এবার মাথা দুলিয়ে হ্যা বোধক জানালো সাফিয়া ছেলেটির দিকে গভীরভাবে লক্ষ্য করে বুঝতে পারলো যে ছেলেটি একজন অসুস্থ ব্যক্তি আশেপাশে দেখে বুঝার চেষ্টা করলো যে ছেলেটির সাথে কেউ আছে কিনা না কেউ নেই তারপরে সাফিয়া আবার ছেলেটিকে প্রশ্ন করল যে সে কি খুজছিল তখন ছেলেটি ইশারা করে দেখিয়ে দিল রাস্তার কিনারায় পড়ে থাকা একটা জিনিসের উপর সাফিয়া জিনিসটাকে তুলে দেখলো একটা বউ পুতুল সাফিয়া ছেলেটার কাছে এসে দেখিয়ে বললো এটা খুঁজছিলেন আপনি মাথা দোলালো হ্যাঁ এটা খুজছিল তখন সাফিয়া পুতুলটিকে নিজের কাছে নিয়ে ইশারা করে বললো এটা আপনার বউ পুতুল ছেলেটা তখন ফিক করে হেসে উঠলো এত বড় ছেলে কিন্তু বাচ্চাদের মত করে কোন স্বাভাবিক মানুষ এমন করে না।।। হঠাৎ করে অনেক মানুষের আওয়াজে পিছনে তাকালো একটা পুরুষ দৌড়ে এসে ছেলেটি কে জরিয়ে ধরলো লোকটিকে দেখে অনেক ভয় পেয়ে গেলো সাফিয়া কারণ তার সামনে ইমরান খান আর তাদের আশেপাশে তার বডিগার্ডরা যাদের প্রত্যেকের হাতে বন্দুক।।।
ইমরান খান ও তাদের সম্পূর্ণ বংশকে সারা কাশ্মীর চিনে সাফিয়া ও চিনে কিন্তু ইসহাক কে চিনতে পারে নি ইসহাক এর ছবি ম্যাগাজিনে দেখে ছিল।। ইমরান খানের বড় ছেলে ইসহাক খান যে প্রতিবন্ধী জানত কিন্তু কখনো সামনে থেকে দেখেনি তাই চিনতে অসুবিধা হয়েছে।।।

কোথায় গিয়েছো তুমি ইসহাক আমার দিকে তাকাও।। ইসহাক সাফিয়ার দিকে ইশারা করছে ইমরান খান সাফিয়ার দিকে স্থির দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো অনেক চিকন কিন্তু চেহারা অনেক সুন্দর সাফিয়ার থেকে চোখ শরিয়ে ইসহাক এর দিকে তাকালো সে সাফিয়া কে উদ্দেশ্য করে কিছু বলছে।।

ব-বউ আ আ আমার বউ তোতলিয়ে।।। ইসহাক এর কথা শুনে অবস্থিত সকলে অবাক ইমরান খান নিজে ও কারন ইসহাক এমন কথা আজকে প্রথম বলছে।।

আসসালামু আলাইকুম স্যার।। ইমরান খানের উদ্দেশ্যে করে বলল সাফিয়া।।
সালাম।। কী নাম তোমার গম্ভীর গলায় জিজ্ঞেস করল ইমরান খান।।।
জ্বী রোজেলা আহাম্মেদ সাফিয়া।।
তোমাকে শুকরিয়া আমার ছেলেকে এতক্ষণে দেখে রাখার জন্য তোমাকে আমার লোক বাড়ি পৌঁছে দিবে।।
না না স্যার আমি যেতে পারবো স্যার আপনাদের কষ্ট করতে হ্্্্্।। তুমি আমাকে নিশ্চয় চিন ইমরান খান না শুনা পছন্দ করেন না।।।যাও গম্ভীর গলায় বললেন।।
জ্বী স্যার কিছু টা ভয়ে।। ইমরান খান একজন কে কিছু ইশারা করতেই সে মাথা দুলিয়ে হ্যা বোধক জানায় আর সাফিয়া কে বাড়ি পৌঁছে দিতে যায়।।।।

ইমরান খান একটা ইনভিটেসনে আসে দিপা বেলীতে আসার সময় ইসহাক বাহানা করায় তাকে ও নিয়ে আসতে হয় প্রোগ্রামে যখন ইমরান খান বিজি হয়ে যায় তখন সকল গার্ডদের ফাঁকি দিয়ে প্রোগ্ৰাম থেকে বের হয়ে যায় ইসহাক আর তারপর এই ঘটনা ঘটে।।

ক্লাবে এতক্ষণ পার্টি করে এখন পুরোপুরি নাইট ক্লাব খালি করে একাএকা ড্রিংস করছে ইরফান।। জম্মদিন উপলক্ষে নিলাম বেলীর সকলে জমজমাটভাবে পার্টি করে।বারোটার মধ্যে সকলকে নাইট ক্লাব থেকে বের করে দেয় ইরফান এর গার্ডরা, এমনটা রোজ হয় ইরফান ক্লাবে আসার ১০মিনিট আগে সারা ক্লাব তার খালি চাই।।একা থাকতে পছন্দ করে ইরফান।।সারা রাত ড্রিংস করে কাটিয়ে দেয় তার সাথে তার সাঙ্গপাঙ্গরা বিভিন্ন নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে কিন্তু এতো নেশায় ও নেশা হয় না ইরফানের সেই সবসময়ই স্ট্রং সে এর চেয়ে গভীর নেশায় আসক্ত হতে চায় সে।।এমন মাত্রাতিরিক্ত নেশা যদি পৃথিবীতে থেকে থাকে তাহলে তার সে বিষাক্ত নেশাটা চায়।।আর তা সে খুঁজে নিবে এসব কথা ভাবছে হঠাৎ হাতের ভারি খেয়ে টেবিল এর ওপর থেকে তার ওয়ালেটটা পরে যায় উবুত হয়ে সেটা নেওয়ার সময় শার্ট ভেদ করে গলার লকেটা বের হয়ে যায়।। সোজা হয়ে লকেটটার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সাদার মধ্যে কালো পাথরের স্টোন বসানো ছোট্ট একটা গিটার অনেক সুন্দর গিটার টার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে ইরফান আজকে তার অতীত টা ভেসে ওঠে চোখের সামনে।।

ইরফানের যখন ১৩ বছর লিপা বেলীতে নিজেদের বাংলোতে আসে ১৩ বছরের জম্মদিন উপলক্ষে।। জম্মদিন সেলিব্রেট করার পরের দিন বিকালে পাশের একটা লেকে যায় যেখানে অনেকে বাচ্চা নিয়ে আসে সব বাচ্চাদের সাথে কেউ না কেউ আছে শুধু একজন ছাড়া আর সেই একজনায় আটকিয়ে যায় ইরফান পিচ্চি পরী টায় ধবধবে সাদা ফর্সা গায়ের রং বড় বড় চোখ আর লম্বা চুলগুলো ঝুটি করা চুল যেটা মেয়েটার লাফালাফির সাথে তাল মিলাচ্ছে।। নেশা কি সেই টা ১৩ বছরের ইরফান বুঝতে পারেনি কিন্তু এই পরীটা তার চাই যেকোনো মূল্যে।।রোজ দেখতো পরীটাকে খেলার শেষে পরীটার পিছন পিছন তার বাসা পর্যন্ত যেতো একদিন যানতে পারে পরিটা তার ফুফির বাসায় বেড়াতে এসেছে এখানে।। অনেক চেষ্টা করতো কথা বলার কিন্তু বলতে পারতো না অজানা কারণে তাকে খুব ভয় পেতো পরীটা। একদিন লেকের কাছে গিয়ে দেখে পরীটা কান্না করছে যা দেখে তার চোখে পানি এসে পরে এই প্রথম সে কারোর জন্য কান্না করছে।।পরীর কষ্ট তাকে দ্বিগুণ কষ্ট দিচ্ছে।।‌জানতে পারল পরীটা তার সবচেয়ে প্রিয় ছোট্ট গিটার টার জন্য কান্না করছে তাই সে গিটার টা খুঁজতে লাগল এবং পেয়েও গেল কিন্তু ততোক্ষণে পরী বাড়ি ফিরে গেছে।।। বাড়িতে গিয়ে ইমরান খান কে বলল এই গিটারের রিয়েল টা তার চাই যেখান থেকে সম্ভব তাকে এনে দিতে হবে।।। ছেলের জন্য এই গিটার আনতে লোক লাগায় অনেক খুজার পর জানতে পারে এটা ডুবাইয়ের লেটেস্ট নিউ ডিজাইনের গিটার ।। দুই দিন এর মধ্যে ইমরান খান ইরফান কে গিটার টা এনে দেয়।। ইরফান খুব খুশি হয় এবং তার পরীর কাছে যায়।। কিন্তু গিয়ে যা দেখে ক্ষনিকের মধ্যে হাঁসি উধাও হয়ে রাগ ফুটে ওঠে মুখে তার পরীটা একটা ছেলের হাত ধরে খেলছে তা দেখে ভিষন রেগে যায় দৌড়ে গিয়ে ছেলেটাকে পরীর হাত থেকে ছাড়িয়ে ছেলেটাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় নিচে বড় একটা পাথর দিয়ে অনেক জুরে আঘাত করতে থাকে মাথায় ছেলেটার রক্তে লাল হয়ে যায় ইরফান সাথে পরীটাও ভয়ে জোরে জোরে কান্না করে পরীটা তখন একটা মহিলা এসে পরীটাকে কুলে করে নিয়ে যায়।।আর কখনো দেখা হয়নি অনেক খুঁজেছে ইমরান খান ও ইরফান কিন্তু পা নি ঘটনার পরের দিন নিজ দেশে ব্র্যাক করে পরীটা তার ফুফি ও নিজ বাসায় ছেরে অন্য কোথাও চলে যাই।। এখনো জানতে পারলো না তার পরীটার নাম কি ।। সেই ১৩ বছরে ইরফান প্রথম মাডার করে তার পরীর জন্য আর এখন খুন করা টা তার বা হাতের খেলা। হঠাৎ গার্ডের ডাকে অতীত থেকে বর্তমান ফিরে আসলো।।।
স্যার বড় স্যার আপনাকে বাড়ি ফিরতে বলেছেন।।গার্ডের কথায় সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে শার্টের ভিতর লকেটটি ঢুকিয়ে বড়ির উদ্দেশ্য রওনা হলো পিছন পিছন তার গার্ডরা।।।

To be continued 🌼🌼
(পরবর্তী পর্ব নায়িকার এন্ট্রি হবে আজকে এতো টুকু পযন্ত কেমন হয়েছে কমেন্ট করে জানাবেন আপনাদের ভালো মন্তব্য আশা করছি 🌻🌻🌻)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here