বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ৫৮

0
1097

#বিষাক্তময়_আসক্তি(The Villain 😈)
#Sumaiya_Akter_Mim
#পর্ব_৫৮……….🌼

“একের পর এক আপেলের টুকরো আয়ানার মুখে পুরিয়ে যাচ্ছে ইরফান।।একটা শেষ না হতে আরেকটা দিচ্ছে।মুখ ফাকা পাচ্ছে না যে বলবে,দয়া করে এবার থামুন।।। ইরফান অনেক কিছু বোঝাছে আর ফ্রুট্স খাইয়ে যাচ্ছে।।।আয়ানা মাথা নাড়িয়ে বারবার আর দিতে নিষেধ করছে কিন্তু ইরফান সেদিকে কোনো পাত্তা দিচ্ছে না।।একসময় আয়ানা আর খেতে না পেরে ইরফানের হাত আঁকড়ে ধরলো যাতে আর দিতে না পারে।। ইরফান কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ফল খাওয়ানো বন্ধ করে বললো,,,,

—-একটু পর আবার খাবে এখন আপাতত বন্ধ।মাত্র দুটো হাঁফ আপেল, পাঁচটা স্ট্রবেরি খেয়ে হাঁপিয়ে গিয়েছো।এটা ঠিক না আয়ু জান আরো অনেক খাবার খেতে হবে।।। বিরক্তির নিঃশ্বাস নিয়ে।।।।
আয়ানা মুখ কুঁচকে বললো,,,,

—-এগুলো আপনার একটুনি মনে হয়। আপনি খুব খারাপ সবসময় খাবারের র্টচার করেন।আমি থাকবো না আব্বি আম্মির কাছে চ,,,,,,,।
বলার আগে গাল চেপে ধরে শক্ত গলায় বললো,,,

—–দুঃস্বপ্নেও এই কথাটা ভাববে না।।। তাহলে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না।মাইন্ড ইট।।।গাল ছেড়ে।।।
আয়ানা ঢোক গিলে গাল ঘষে আমতা আমতা করে বলতে লাগলো,,,,

—-আমি তো মজা করে বলেছি। ঠোঁট উল্টিয়ে।।
ইরফান আয়ানার গালে চুমু খেয়ে নাকে নাক ঘষে বললো,,,

—আমার থেকে দূরে যাবে এটা নিয়ে কোনো দুষ্টুমি হবে না আয়ু। আমার কষ্ট হয় এমন কথা তোমার মুখ থেকে শুনলে।।।
আয়ানা মৃদু হেসে ইরফানের গালে আলতো চুমু খেয়ে বললো,,,,

—স্যরি আর ভুল করেও এমন কথা বলবো না।প্লিজ স্যরি একসেপ্ট করুন। বাচ্চাদের মতো ফেইস করে।।।
ইরফান মুচকি হেসে আয়ানাকে আলতো ভাবে জড়িয়ে ধরে বললো,,,,

—স্যরি একসেপ্ট করা হলো পিচ্চি পরীজান ।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা মৃদু হেসে আরেকটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।। ইরফান আয়ানাকে বুকে চেপে রাখা অবস্থায় জুসের গ্লাস এগিয়ে দিলো খাওয়ার জন্য।।আয়ানা আবার ফলের জুস দেখে চোখ মুখ কুঁচকে নিয়ে হাত দিয়ে সরিয়ে দিয়ে বুকে মুখ গুজে মাথা নাড়িয়ে না বললো।খাবে না সে।।।
ইরফান মাথায় হাত বুলিয়ে বলতে লাগলো,,,,

—-প্লিজ মেরি জান জুস খেয়ে তারপর যা করার করবে কিন্তু জুস খেতে হবে।সো ফাস্ট।।।
লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।
আয়ানা পুনরায় মাথা নাড়িয়ে না বললো। সে আজ কোনোমতে খাবে না। আঙ্গুল দিয়ে ইরফানের বুকে আঁকিবুঁকি করছে।। ইরফান আবার বললো,,,,

—-খাবার নিয়ে এতো অনিহা কেনো মেরি জান।। তোমার শরীর সবসময় দূর্বল থাকে শুধু পরিমাণ মতো খাবার খেতে অনিহার কারনে।আমি আগেও বলেছি শরীর নিয়ে অসুস্থতা নিয়ে অনিহা একদম সহ্য করবো না। শরীর থেকে কতোখানি রক্ত বের হয়ে গিয়েছে এখন খাবার না খেলে দূর্বলতা কী করে যাবে।নাও খেয়ে নিবে ফাস্ট।ভ্রু কুঁচকে মুখের সামনে নিয়ে বললো।।
আয়ানা পুনরায় শক্ত করে ইরফানের বুকে মুখ গুজে নিলো।। বুকের বাম পাশে আলতো করে অনেক বার ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো।।।
ইরফান কিছুক্ষণ চুপ থেকে ফিক করে হেসে দিল।আয়ানার ঘারে হাত রেখে মুখটা নিজের দিকে মুখ করলো।।।

—–না খাওয়ার জন্য এতো আদর।বড্ড ধান্দাবাজ হয়ে গিয়েছো মেরি জান।

—-উহুম।। মৃদু হেসে মাথা নাড়িয়ে বললো।।‌

—–কিন্তু আদরের বদলী শুধু আদর পাবে। বলে ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো।।।।
আদরের বদলী আদর এখন জুস খেয়ে নিবে গো। মুখে জুস ধরে।।‌
আয়ানা নাক মুখ কুঁচকে বিরক্তি নিয়ে বললো,,,,,

—-নিষ্ঠুর এরোগেন্ট ম্যান।

—-শুধু তোমার জন্য।জুস খাওয়াতে খাওয়াতে বললো।।।‌
হাঁফ গ্লাস জুস খেয়ে আর খাবে না আয়ানা তাই আর জোর করেনি।।‌।।।

🌸🌸
“ইরফানের বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে আয়ানা আর বারবার তাকাচ্ছে চলন্ত স্যালাইনের দিকে। খুব বিরক্ত লাগছে এইভাবে নাড়াচাড়া না করে থাকতে। হাতে ব্যথা লাগবে বলে ইরফান স্যালাইন দেওয়া হাতটি খুব যত্ন সহকারে আগলিয়ে রেখেছে যাতে সামান্য পরিমাণ বিরক্ত বোধও না করতে পারে। কিন্তু আয়ানা তো আর শুয়ে বসে থাকার মেয়ে নয়। বারবার এদিক সেদিক করছে আর ব্যথা পাচ্ছে সাথে ইরফানের ঘর কাঁপানো ধমকের সম্মুখীন হচ্ছে।।।যখন ধমক দেয় তখন চুপচাপ থাকে পুনরায় পুঁটি মাছের মতো ছটফট করতে লাগে।।।।আড়চোখে একবার ইরফানের দিকে তাকিয়ে দেখলো সে মোবাইলে কিছু কাজ করছে।।।স্যালাইনের দিকে আবার তাকিয়ে বিরক্ত নিয়ে নড়তে নিবে তখন স্যালাইনে টান খেয়ে প্রচন্ড ব্যথায় আহ্ বলে মৃদু চিৎকার করে উঠল।। তাঁর চিৎকার শুনে ইরফান তাড়াতাড়ি করে আয়ানাকে তুলে বসিয়ে ব্যস্ত হয়ে হাত দেখতে লাগলো।।হাত থেকে রক্ত বের হচ্ছে।।আয়ানাতো রক্ত আর ব্যথায় কেঁদে উঠলো। ইরফান জোরে জোরে গার্ডকে ডেকে ডাক্তার নিয়ে আসতে বললো।গার্ড ডাক্তার নিয়ে আসলে ডাক্তার হাত ক্লিন করে পুনরায় আধ শেষ হওয়া স্যালাইনটা হাতে ফিট করে চলে যায়।ডাক্তার চলে যেতে ইরফান রেগে আয়ানার মুখ ধরে নিজের মুখের সামনে ধরে বললো,,

—-নড়াচড়া করতে নিষেধ করার পর কেনো নড়াচড়া করে কষ্ট পেলে।যখন যেটা নিষেধ করা হয় সেটা কেনো বারবার করা হয়।‌আন্সার মি আয়ু।।‌‌
আয়ানা কাচুমাচু করে চোখ ছোট ছোট করে বললো,,,,,

—–আমার এইভাবে থাকতে ভালো লাগছে না।কখন বাড়ি যাবো।
ইরফান নিজেকে শান্ত করে আয়ানাকে বুকে জড়িয়ে চুলে হাত বুলিয়ে বললো,,,,

—–আর বেশি সময় না আরেকটু সহ্য করো স্যালাইন শেষের দিকে তারপর বাড়ি যাবো।।।এখন দুষ্টুমি না করে ঘুমিয়ে পরো। ঘুম থেকে উঠে দেখবে স্যালাইন শেষ তারপর আমরা বাড়ি ফিরে যাবো।।‌‌
লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।।
আয়ানা তবুও ঠোঁট উল্টিয়ে কাঁদো কাঁদো মুখ করে রেখেছে।। ইরফান গার্ডদের কল দিয়ে চিপস আর চকলেট নিয়ে আসতে বলে।গার্ড চিপস চকলেট নিয়ে আসলে ইরফান তা আয়ানাকে দেয়।আয়ানা কিছু না বলে চকলেট খেতে লাগলো। এতোক্ষণে মন ভালো করার মতো কিছু পেলো।। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখলো বিকেল চারটা ত্রিশ মিনিট বাজে।।আয়ানা চকলেট খেয়ে একটু ঘুমিয়ে নিলো।।‌
ঘুম ভেঙ্গেছে সাতটার দিকে।ঘুম থেকে উঠে দেখলো সত্যি সত্যি স্যালাইন শেষ হয়ে গিয়েছে। কয়েকজন ডাক্তার দাঁড়িয়ে আছে তাঁরা আয়ানাকে দেখে খালি স্যালাইনটা খুলে বের হয়ে যায়।।।ফরমালিটি যা বাকি তা ইমরান খান আর গার্ড দেখে নিবে।।।আয়ানা হাত নাড়ানাড়ি করছে। এতোক্ষণে ভালো লাগছে। এতোক্ষণ প্রচন্ড বিরক্ত লাগছিল।। ইরফান আয়ানাকে ধরে বালিশে আধশোয়া করে বসিয়ে হাতে চুমু খেলো।।।হাতে হালকা মালিশ করে বললো,,,,,

—-বেটার ফিল করছো আয়ু জান।।।
আয়ানা মুচকি হেসে বলল,,, হুম।। ইরফান আয়ানার কপালে চুমু খেয়ে ছোট টেবিলের উপর থেকে একটা শপিং ব্যাগ থেকে একটা সাদা আর মেরুন রঙের মিশ্রণ জ্যাকেট নিলো।জ্যাকেটটি খুব সাবধানের সাথে আয়ানাকে পরিয়ে দিলো।।জ্যাকেট পরানো শেষ হলে আরেকটা শপিং থেকে কালো রঙের শাল শরীরের ভালো করে জরিয়ে দিলো।।।
আয়ানা এতো গুলো জিনিস পরে একটু খানি বিড়াল ছানার মতো মুখ বের করে বললো,,,,,

—-এমন শীতের রানী কেনো সাজাচ্ছেন আমাকে। খুলুন এসব আমার বিরক্ত লাগছে।নাক মুখ কুঁচকে।।‌
ইরফান ভালো করে তাকিয়ে বললো,,,,

—-হুম ঠিক আছে। এখন আর ঠান্ডা লাগবে না।।‌‌

—-কিসের ঠান্ডা খুলুন এসব। কেমন আমি কিছু দেখতে পারছি না এত ভারি জ্যাকেট পরায়।হাত নাড়িয়ে।।‌
হাত নাড়াতে দেখে ইরফান ধমক দিয়ে বললো,,,

—-ক্ষত এখনো শুকায় নি।এতো নাড়াচাড়া করলে রক্ত আসবে।।। কতোবার বলছি একদম দুষ্টুমি না করতে।।।

—-তাহলে এগুলো খুলুন।না হলে আরো বেশি করে করবো। বিরক্তি মুখ করে।।‌
ইরফান শান্ত গলায় বললো,,

—-বাহিরে ঠান্ডা আর ক্ষত স্থান এখানো শুকায়নি ঠান্ডা লাগলে ইনফেকশন হতে পারে।।তো কোন রকম ঝামেলা করবে না।কোলে তুলে হাঁটা ধরলো।।।
আয়ানাও কিছু না বলে চুপ করে গেলো।।।
ইরফানের সামনে কয়েকজন গার্ড পেছনে কয়েকজন গার্ড।। হাসপাতালের বাহিরে আসতে দেখতে পেলো বেশ অনেক জন মিডিয়ার লোক ভিড় জমিয়েছে ইরফানের সাথে কথা বলার জন্য।‌ইমরান খান তাদের সাথে কথা বলছে। ইরফান আয়ানাকে নিয়ে এগিয়ে আসতে দেখলে মিডিয়ার লোক তাঁর দিকে এগিয়ে এসে প্রশ্ন করতে লাগলো,,,
—স্যার ম্যামকে কারা আহাত করেছে।ম্যাম এখন আগের থেকে সুস্থ আছে তো। বেশি সমস্যা হয়েছে কী! অনেক কিছু।। ইরফান কিছু না বলে গার্ডদের ইশারা করতে তাঁরা মিডিয়ার লোকদের বের করে দিলো।। ইরফান আয়ানাকে নিয়ে নিজেদের গাড়িতে উঠে বসলো।।গাড়ি চলতে লাগলো বাড়ির উদ্দেশ্যে।।আয়ানা ইরফানের বুকে মাথা রেখে ধীরে গলায় বললো,,,,

—-আব্বি আম্মি কী জানে আমি অসুস্থ।।‌
ইরফান মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো,,,,

—-না!!
আয়ানা আর কিছু বললো না। ভালো হয়েছে কিছু বলে নি তাহলে জায়েদ আহাম্মেদ আর শীতল আহাম্মেদ পাগলের মতো ছুটে আসতো বাংলাদেশ থেকে।।। অনেক চিন্তা করেন তাঁরা তাকে নিয়ে এমন ঘটনা শুনলে নিশ্চয়ই অসুস্থ হয়ে পরতেন।।‌
গাড়ি গিয়ে থামলো বাড়ির সামনে। ইরফান আয়ানাকে নিয়ে বাড়িতে ঢুকতে দেখতে পেলো সবাই হলরুমে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে।।আয়ানাকে দেখে সবার মুখে হাঁসি ফুটে ওঠে।‌সাফিয়া তো কেঁদে কেটে চোখ ডাবল করে ফেলেছে।।।আসফিয়া খান একটা পাত্র থেকে সোনা রুপা ভেজানো পানি থেকে হাত দিয়ে কিছু ফোঁটা আয়ানার উপর ছিটিয়ে দিলো।এটা তাদের নিয়ম কোনো বিপদ থেকে উদ্ধার হলে বা কোনো সমস্যা হলে সোনা রুপার পানি ছিটিয়ে দেন এতে করে বিপদ,খারাপ নজর, সমস্যা কেটে যায়।।।আয়ানা আসফিয়া খানের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল,,,,

—-আম্মিজান আমি ঠিক আছি সামান্য চোট পেয়েছি। ইরফানের দিকে তাকিয়ে দেখলো কেমন করে তাকিয়ে আছে তাই আবার বলতে লাগলো,একটু বেশি ব্যথা পেয়েছি ঠিক হয়ে যাবে। সাফিয়া দি তুমি টেনশন করো না আমি,,,,,
বলতে পারলো না ইরফান বড় বড় পা ফেলে শিড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেল।‌তাদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে সবাই মুচকি হেসে যার যার কাজে চলে গেল।।। আয়ানা মুখ ফুলিয়ে বলে উঠলো,,,,,

—-আপনি এমন কেনো করলেন।বড্ড খারাপ আপনি। ‌আমি কথা বলছিলাম তো।।‌

—বড্ড বেশি কথা বলো তুমি।ডাক্তার নিষেধ করছে কথা বলতে বেশি আর দুষ্টুমি করতে।।।। রুমে প্রবেশ করে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে।।।।

—আমি খুব কম কথা বলি।।আর আপনার মতো চুপচাপ থাকতে আমার একদম ভালো লাগে না।।।
ইরফান শান্ত ভাবে তাকিয়ে রইল আয়ানার দিকে।এই মেয়েকে আজকে যেটা করতে নিষেধ করছে সেটা বেশি করে করছে ‌।।। ইরফান দরজা আটকিয়ে আয়ানার পাশে বসে আয়ানার জ্যাকেট শাল এক এক করে সব ধীরে ধীরে খুলে দিলো।।আয়ানা তো পটপট করেই যাচ্ছে। ইরফান আর বাধা দিল না।।। কাঁচের বলে পানি এনে হাত মুখ সব মুছে দিলো।।।ব্যান্ডেজ চেক করে কাপড় বদলিয়ে র্সাভেন্টকে বললো খাবার নিয়ে আসতে আয়ানা ইরফানের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে ইরফানের গলা জড়িয়ে আদুরে গলায় বললো,,,,,

—-আমরা চারটা বেবি নিবো কেমন দুটো ছেলে দুটো মেয়ে।।।
আয়ানার কথা শুনে ইরফান বড় বড় চোখ করে আয়ানার দিকে তাকালো। তারপর মৃদু হেসে বললো,,,

—তুমি বাচ্চা মেয়ে বাচ্চা কী করে সামাল দিবে। তোমাকে আমায় দেখতে হয়।নাক টেনে।।।
আয়ানা ইরফানের নাকের সাথে নাক ঘসে মৃদু হেসে বললো,,,,

—-কেনো আপনি সামলাবেন।। তখন নাহয় পাঁচজন কে সামলাবেন।।‌

—-না আমার শুধু আয়ু জান হলে চলবে।।।
আয়ানা ইরফানের খোঁচা দাড়ি গুলোতে হাত বুলিয়ে বললো,,,

—-উহু আমার বেবি চাই।তাও চারটা।।।

—-ফালতু কথা বলবে না। কোনো বেবি টেবি চাই না।। ‌আমার শুধু তোমাকে চাই।।।রাগি গলায়।।।

—-না না আমার বেবি চাই।।।

—-ওকে বেবি আমরা এডোপট করবো আরেকটু বড় হও তারপর।।‌
আয়ানা এবার রেগে ইরফানকে মৃদু ধাক্কা মেরে বললো,,,,

—-কিসের এডোপট আমার নিজের বেবি চাই।চাই মানে চাই। বাচ্চাদের মতো জিদ ধরে।।।‌
ইরফান এবার অনেক রেগে গিয়েছে।আয়ানার ঘার শক্ত করে ধরে ধমক দিয়ে বললো,,,,,

—-বলছি না আমার বেবি চাই না আমার শুধু তোমাকে চাই।।‌আমি তোমাকে নিয়ে একদম রিস্ক নিবো না।।বেবি নিতে অনেক রিস্ক।।। তুমি এমন বাচ্চাদের মতো জিদ ধরবে না।।। তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না। এইবার অনেক কষ্টে নিজেকে সামলিয়েছি দ্বিতীয় বার আর না।। বুঝতে পেরেছো।।।
আয়ানা ফুঁপিয়ে কেঁদে নাক ডলতে ডলতে বললো,,,,

—-না আমার বেবি চাই।।।
ইরফান আয়ানাকে কাঁদতে দেখে নিজেকে সামলে আয়ানাকে জরিয়ে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো।প্রচ্ড জিদ্দি হয়ে গিয়েছে এই মেয়ে।যেটা চাই তাকে দিতে হবে।‌ইরফান শান্ত গলায় বললো,,,,,

——রিলেক্স আয়ু জান।।। এখন এসব নিয়ে কথা হবে না।আগে সুস্থ হও তারপর এসব নিয়ে আমরা কথা বলছি।।এখন খাবার খাবে, ঔষুধ খেয়ে ঘুমাবে।।।‌
আয়ানা নাক টানতে টানতে মাথা নাড়ালো।।।র্সাভেন্ট খাবার দিয়ে গেলে ইরফান আয়ানাকে খাইয়ে ঔষুধ খাইয়ে দিলো ।।আয়ানাকে ঘুম পাড়িয়ে নিজে ওয়াশরুমে ফ্রেশ হতে চলে যায়।।‌ইরফান মনে মনে ভাবতে লাগলো,,,,

—-আমি কখনো তোমাকে নিয়ে আর রিস্ক নিতে চাই না। কোনো বেবি চাই না। আমার শুধু তোমাকে চাই আয়ু জান শুধু তোমাকে।।।আমি কখনো বেবি নিতে দিবো না তোমাকে।। তোমার মনোবল বদলাতে হবে।।।ফ্রেস হয়ে কিছু না খেয়ে আয়ানার পাশে এসে শুয়ে আয়ানাকে বুকে জড়িয়ে ধরে মনে মনে আয়ানাকে কী বুঝাবে তা ভাবতে লাগলো।।।
(আগামী পর্বে গল্প শেষ হয়ে যাবে। অসুস্থ তাই শেষ পর্ব দিতে দেরি হবে । সকলকে অপেক্ষা করার অনুরোধ রইল।। গঠন মূলক মন্তব্য আশা করছি ধন্যবাদ সবাইকে 💞)
#চলবে।
#হ্যাপি_রিডিং

//লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম✵//

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here