বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ৫৭

0
1050

#বিষাক্তময়_আসক্তি(The Villain 😈)
#Sumaiya_Akter_Mim
#পর্ব_৫৭………🌼

“রাতের আঁধার কাটিয়ে নতুন সোনালী সকালের শুরু। অন্ধকারের পর আসে নতুন বার্তা নিয়ে নতুন সকাল। অন্ধকার যেমন গা থমথমে পরিবেশ তৈরি করতে পারে। নতুন সতেজ সকাল পারে সবকিছু প্রানবন্তর করতে।।।

“ভোর ৪:৩০মিনিট। আজানের মিহি ধ্বনি ভেসে আসছে চারিদিক থেকে।। ইরফান আয়ানার কেবিনে ঢুকে সোজা আয়ানার পাশে গিয়ে বসে পরলো।। এলোমেলো চেহেরাতে এতোক্ষণে প্রান ফিরে এসেছে।।লাল লাল চোখে তাকিয়ে আছে ঘুমন্ত আয়ানার মুখের দিকে।কেমন কিছুক্ষণের মাঝে মুখটা শুকিয়ে গেছে মেয়েটার।আয়ানার কপালে গভীর চুম্বন করে তাকিয়ে রইল তাঁর দিকে।।এই চোখের তৃষ্ণা কখনো মেটার নয়। কিছু সময় এই মুখটা না দেখে বুকের ভেতরটা কেমন অসহ্য যন্ত্রনা ভুগছিল সে।আর যদি একটু সময় এই মুখটা না দেখতে পেতো তাহলে মরেই যেতো।।‌আয়ানার সারা মুখে হাতের স্পর্শ দিয়ে ছুয়ে দিচ্ছে ইরফান।। এতোক্ষণে নিজেকে হালকা মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে জীবন ফিরে পেয়েছে।‌।আয়ানার গুলি লাগা জায়গাটার দিকে গভীর পর্যবেক্ষণ করে এতে আলতো হাত ছুঁইয়ে দিলো। থেমে থেমে অসংখ্য চুমুতে ভরিয়ে দিল সারা জায়গা জুড়ে।।।।।।
কিছুক্ষণ আগে আয়ানার জ্ঞান ফিরেছে।।তা দেখে সবার মুখে হাসি ফুটে উঠলো।সবাই আল্লাহর কাছে খুশি মনে শুকরিয়া আদায় করে।।আয়ানাকে কেবিনে দেওয়ার পর, বেশকিছু সময় পর আয়ানা পিটপিট করে চোখ খুলে। কয়েক সেকেন্ড তাকানোর পর আপনাআপনি চোখ বন্ধ করে ঘুমের দেশে তলিয়ে যায়।।ডাক্তার বলেছে ঘুমের ইনজেকশন পুশ করার ফলে সকাল দশটার আগে আর ঘুম থেকে উঠবে না।।।।আয়ানার জ্ঞান ফিরার কথা শুনে ইরফান খুশি মনে ততক্ষণে ছুটে আসে তাঁর আয়ু জানের কাছে।।।
বর্তমান, ইরফান একমনে তাকিয়ে আছে আয়ানার দিকে মুখের মাঝে মলিন হাঁসি তাঁর।।।প্রিয় জিনিসটা হারাতে হারাতে পেয়েছে সে।।গার্ডকে কল করে ড্রেস নিয়ে আসতে বলে তাঁর জন্য।।।গার্ড ড্রেস নিয়ে আসলে রক্তমাখা ড্রেস চেঞ্জ করে ফ্রেস হয়ে আসে।।।।।। ঘড়িতে পাঁচটা বেজে গিয়েছে, কোনো রকমে কেবিনে ফজর নামায আদায় করে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে।। নামাজ শেষে পুনরায় আয়ানার হাত শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তাকিয়ে থাকে আয়ানার নিষ্পাপ মুখের দিকে।।অন্য হাতে স্যালাইন চলছে ইরফান একবার স্যালাইন চেক করে নিলো।। একজন নার্স দরজার বাহিরে থেকে দরজা টোকা দিলে ইরফান শান্ত গলায় তাকে আসতে বলে।নার্স ভয়ে ভয়ে রুমে এসে টেবিলের উপর আলতো করে হাতের ট্রে রেখে মাথা নিচু করে বললো,,,,

—-স্যার ম্যামকে ঔষুধ দিতে হবে।।‌
ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে শান্ত গলায় বললো,,,

—হুম।।।
নার্স ট্রে থেকে কটন ভার আর ঔষুধ নিয়ে আয়ানার ক্ষতস্থানে লাগাতে যাবে তাঁর পূর্বে ইরফান হাত থেকে টান মেরে নিয়ে নিজে আয়ানার ক্ষতস্থান ধীরে ধীরে ক্লিন করতে লাগলো।।কী সফ্ট ভাবে ধীরে ধীরে ফু দিয়ে ঔষুধ লাগাচ্ছে যাতে আয়ানার ব্যথা না অনুভব হয়।। ঔষুধ লাগানোর সময় আয়ানা একটু নড়েচড়ে উঠলে আলতো ঠোঁট ছুঁইয়ে দেয় ক্ষতস্থানে।।।
নার্সটি ভয়ে মাথা নিচু করে রেখেছে মাঝে মাঝে আড়চোখে আয়ানার দিকে তাকাচ্ছে।। ইরফান দাঁতে দাঁত চেপে ধমক দিয়ে বলল,,,,

—–একদম আমার আয়ু জানের দিকে তাকাবে না।।এদিক থেকে সরে দাঁড়াও।ইডিয়েট গার্ল।।।
ইরফানের কথা শুনে মেয়েটি ভয় পেয়ে ছুট লাগালো।দরজার সামনে দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে বললো ইনজেকশন পুশ করতে হবে স্যার।।‌
ইরফান বিরক্ত নিয়ে পুনরায় ধমক দিয়ে বললো,,,,,

—-গেট আউট হেয়ার।আই উইল ডু ইট।।
মেয়েটি আর একমিনিটও না দাঁড়িয়ে দৌড়ে পালালো।।বড় বাঁচা বেঁচে গিয়েছে। এখন নির্ঘাত মাথা কাঁটা যেতো।।।।।

ইরফান আয়ানার ক্ষতস্থানে ঔষুধ লাগিয়ে পুনরায় সুন্দর করে ব্যান্ডেজ করে দিলো।।। ইনজেকশন নিয়ে আসতে করে পুশ করে দিলো।সব কাজ এতো ধিরে ধিরে করলো যাতে সামান্য পরিমানের ব্যাথা না লাগে।।। ঔষধ দেওয়া শেষ হলে ইরফান সোজা হয়ে আয়ানার দিকে ঝুঁকে কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল।আয়ানার গালে দুই আঙ্গুল দিয়ে স্লাইট করতে করতে নেশা ভরা কন্ঠে ধিরে ধিরে বলতে লাগলো,,,,

—-এতো নেশাক্ত কেনো তুমি আয়ু জান? তোমার নেশায় আমাকে পাগল করে দেয় প্রতি নিয়ত।একটুর জন্য আজকে মনে হয়েছিল আমি আমার নেশাকে হারিয়ে ফেলবো।তখন তুমি ভেবেছো আমার কী হবে।আমি তো শেষ হয়ে যেতাম একদম।তুমি না খুব নিষ্ঠুর দেখো কেমন করে আমাকে কষ্ট দিয়ে ঘুমিয়ে আছো।একটু সুস্থ হও আমাকে কষ্ট দেওয়ার সাজা দেবো তোমাকে। আনমনে মৃদু হেসে।।।
আয়ানার গালে আলতো চুমু খেয়ে আবার বলতে লাগলো,,,
জানো মেরি জান যখন তুমি রেসপন্স করছিলে না বুকের ঠিক এই জায়গাটা (হাত দিয়ে ইশারা করে) খুব কষ্ট হচ্ছিল একদম ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাচ্ছিল। নিঃশ্বাস ফেলতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল কিন্তু আমি জানি তুমি আমাকে বেশিক্ষণ কষ্ট দিয়ে কখনো থাকতে পারবে না তাই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করেছি।।‌অতিরিক্ত ভালোবাসা আমাকে পাগল করে দিয়েছে মেরি জান তোমার প্রতি।।‌আজকে আমি আবার মাডার করেছি এবং খুব নিকৃষ্ট ভাবে।।।যতোটা কষ্ট তোমার হয়েছে এর থেকে হাজার গুণ কষ্ট দিয়ে মেরেছি। আমাদের দুজনের মাঝে আর কোনো ডাস্টবিন নেই, সব আমি নিজ হাতে পরিষ্কার করেছি।।‌ ভবিষ্যতেও এমন করে তোমার অজান্তে তোমার দিকে বাড়ন্ত সব হাত আমি উপড়ে ফেলবো।। ঠোঁটে পৈশাচিক হাঁসি ফুটে উঠে।।আয়ানার কপালে গভীর চুমু দিতে থাকে একের পর এক।।।

১১:০০মিনিট,
“পিটপিট চোখে তাকিয়ে আবার পুনরায় চোখ বন্ধ করে নিলো আয়ানা। কয়েকবার এমন করে এইবার ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ ভাবে তাকিয়েছে।।। আশেপাশে ভালো করে তাকিয়ে বুঝতে পারলো তাঁর অবস্থান।হাত আর বুকের মাঝামাঝি স্থানটা ব্যথা করতে আপনাআপনি হাত চলে যায় সেখানে।।আস্তে আস্তে রাতের সম্পূর্ণ ঘটনা ক্লিয়ার হলো। আশেপাশে তাকিয়ে ইরফানকে খুঁজতে লাগল কিন্তু রুমে কেউ নেই। তখন ওয়াশরুমের দরজা খুলতে সেদিকে তাকিয়ে দেখলো ইরফান ।।আয়ানার চোখ খুলতে দেখে ইরফানের মুখে হাসি ফুটে আসে,বড় বড় পা ফেলে আয়ানার সামনে আসতে আয়ানা শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তাকে।হাতে কিছুটা ব্যথা পেলেও ভালোবাসার মানুষকে পেয়ে তা লাগব হয়ে গিয়েছে।।। ইরফান আয়ানাকে আধশোয়া করে আলতো ভাবে জড়িয়ে ধরলো যাতে ব্যথা না পায়।আয়ানা ইরফানকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো। তাঁর মনে হয়েছিল কালকেই তাঁর শেষ দিন পৃথিবীতে। আর কখনো সে তাঁর প্রিয় মানুষদের দেখতে পারবে না। মনে হয়েছিল সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটা রেখে চলে যেতে হবে অনেক দূরে।। ইরফান আয়ানার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। গালে হাত দিয়ে মুখের সামনে এনে অসংখ্য চুমুতে ভরিয়ে দিল সারা মুখ জুড়ে।আয়ানার চোখের পানি মুছে দিয়ে আগের মতো জরিয়ে ধরলো।।।

—-রিলেক্স মেরি জান সব ঠিক আছে আর ভয় পেতে হবে না।দেখো এই তো আমি তোমার কাছে আছি।একদম ভয় পাবে না।।ডাক্তার বলেছে এক সপ্তাহের মাঝে একদম আগের মতো সুস্থ হয়ে যাবে।।।
লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।।আয়ানা ইরফানের বুকে মাথা রেখে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে।কান্না ভেজা কন্ঠে অস্পষ্ট সুরে বললো,,,

—-জানেন আমি কতোটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।জানে খুব কষ্ট হচ্ছিল আমার। আমার নিজের কষ্টের চেয়েও বেশি আপনাকে নিয়ে তখন কষ্ট হচ্ছিল।যদি আমি না থাকি তাহলে আপনার কী হবে।। আপনার ঝটপটানো দেখে আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল।।আমি আরো অনেক বছর বাঁচতে চাই আপনার সাথে।আরো অনেক বছর।‌খুব ভালোবাসি আমি আপনাকে খুব বেশি ভালোবাসি।। তখন মনে হয়েছিল আর আপনাকে দেখতে পারবো না।আর আপনার মুখে আয়ু জান ডাক শুনতে পারবো না। ফুঁপিয়ে কেঁদে দিয়ে।।।‌
ইরফান আরেকটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,,,

—-হুশ মেরি জান।এটা একটা খারাপ স্বপ্ন ভেবে মন থেকে মুছে ফেলো। কিছু হয়নি। তোমাকে আমার কাছ
থেকে কেউ আলাদা করতে পারবে না আল্লাহর উপর বিশ্বাস আছে আমার।। আমাদের মাঝে আসা সব সমস্যা আমি দূর করে দিয়েছি আর কোনো সমস্যা হবে না। তুমি প্লিজ শান্ত হও না হলে তোমার সমস্যা হবে।।।খুব শীঘ্রই সুস্থ হতে হবে তো তাই না।।।
আয়ানা বুকে মাথা রেখে চোখ বুজে মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললো। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে উঠলো,,,

—-আচ্ছা ঔই লোকটা মানে যে আমাদের উপর এ্যটাক করেছিল তাকে কী প্রানে মেরে ফেলেছেন। ভীতু কন্ঠে।।

—-যে আমার জানের ক্ষতি করতে চেয়েছিল তাকে জীবিত কী করে ছেড়ে দেই আয়ু জান। বাঁকা হেসে।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো তাঁকে।।আয়ানা ভীতু কন্ঠে বললো,,,

—–একদম আর এসব করবেন না আপনি।যদি কখনো আপনার কিছু হয়ে যায় তখন আমার কী হবে। ঠোঁট ফুলিয়ে আবার কেঁদে দিলো।।‌
আয়ানার কথা শুনে ইরফান মৃদু হেসে আয়ানার মাথাটা বুকের সঙ্গে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,,,,

—-আমার কিছু হবে না আয়ু জান।।।আর এমন কিছু করবো না যাতে তোমর কষ্ট হয় কিন্তু তোমার দিকে কেউ তাকালে কিংবা তোমার ক্ষতি করার চেষ্টা করলে আমি তাকে প্রানে বাঁচিয়ে রাখব না।।‌
আয়ানা আর কিছু বললো না চুপটি করে ইরফানের বুকে মাথা রেখে হার্টবিট শুনতে লাগল।। ইরফান মাথায় চুমু খেয়ে বললো,,,,

—-এখানে শুয়ে পরো আয়ু আমি তোমার সাথে আছি ভয় পেতে হবে না।‌‌এইভাবে থাকলে হাতে চুট পাবে।।‌

—-উহুম। এইভাবে ভালো লাগছে আমার।।আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।।‌
ইরফান মুচকি হেসে বালিশটা বেডের সাথে হেলান দিয়ে পেতে তাঁতে হেলান দিয়ে বসে পরলো আর আয়ানাকে সুন্দর ভাবে বুকে শুইয়ে দিলো যাতে ক্ষত স্থানে নড়াচড়া করার সময় ব্যথা না লাগে।।।‌আয়ানার মাথায় বিলি কেটে দিচ্ছে তখন আয়ানা বলে উঠলো,,,,

—-আমরা বাড়ি কখন যাবো। এখানে আমার একটুও ভালো লাগছে না।।। ইরফান চুলের মুখ ডুবিয়ে বললো,,,

—-ডাক্তার বলেছে দুদিন হাসপাতালে রাখতে কিন্তু আমি বাড়িতে সিফট করে দিতে বলেছি।বাকি যা চিকিৎসা প্রয়োজন সব বাড়িতে হবে এখানে নয়।।। আজকে সন্ধ্যায় চলে যাবো।। দুপুরের খাবারের পর একটা স্যালাইন আছে ওইটা শেষ হলে চলে যাবো ঠিক আছে। আরেকটু সময় অপেক্ষা করো মেরি জান।।।

—ওকে। কিন্তু আমাকে একদম অসুস্থতার বাহানা করে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াতে আসবেন না তাহলে খুব খারাপ হয়ে যাবে।‌নাক ফুলিয়ে।‌
ইরফান হেসে নাক টেনে দিয়ে বললো,,,,

—-স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো হেরফের নয়।‌জলদি সুস্থ হতে হবে আর তার জন্য ডাক্তার বলেছে নিয়মিত ঔষধ আর খাবার।‌আমি তো আমার আয়ু জানকে নিয়ে রিস্ক নিতে পারিনা তাই একটু স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।। একদম ঝামেলা করবে না খাবার নিয়ে। তাহলে পানিশমেন্ট পেতে হবে।।।

—-আপনি আমার অসুস্থতার সময়ও পানিশমেন্ট দিবেন ‌আপনি খুব খারাপ এরোগেন্ট ম্যান।।।গাল ফুলিয়ে।‌‌।।

—কী করবো এমন পিচ্চি বউ থাকলে তাকে অতিরিক্ত শাসন করতে হয় তাঁর অনেক খেয়াল রাখতে হয়।কতো টেনশনে থাকতে হয় পিচ্চি বউ নিয়ে।। তখন একটু আকটু খারাপ হতে মন্দ কী।আর পানিশমেন্ট কী তা খুব ভালো করে জানা আছে তাই না মেরি জান। বাঁকা হেসে।।‌
আয়ানা নাক ফুলিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে বললো,,,,,

—-খুব ভালো করে জানা আছে।।‌
ইরফান বাঁকা হেসে মুখটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে নাকে আলতো কামড় দিয়ে বললো,,,

—-এইভাবে নাক গাল ফুলিয়েও না মেরি জান তাহলে কামড়িয়ে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে।।

—-নির্লজ্জ এরোগেন্ট ম্যান।।বিরবির করে।।।

—-তোমার জন্য।।।
আয়ানা আর কিছু বললো না গাল ফুলিয়ে শুয়ে রইল। ইরফান মুচকি হেসে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।।।
ভেতর থেকে এক তৃপ্তিময় নিঃশ্বাস বের হয়ে এসেছে।। তাঁর জীবনের সবচেয়ে দামি জিনিস তাঁর জান ।। ইরফান মৃদু হেসে বিরবির করে বলে উঠলো,,,,

—-আমার পূর্ণতা।আমার আয়ু জান🖤।।।
(গল্পটা কেমন হয়েছে সবাই গঠন মূলক মন্তব্য করবেন ধন্যবাদ সবাইকে 💞।আর যারা এতো কান্নাকাটি করেছেন গত দুইদিন তাদের বলছি। আমি আগে বলে দিয়েছি গল্প হ্যাপি এন্ডিং হবে তাহলে এতো কান্নাকাটি কেনো।।। কমেন্টে কান্নাকাটির জন্য অন্য কিছু চোখেই পরে না 😒😒।।)
#Happy_Reading.

#To_be_continued…………🌸

//লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম✵//

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here