বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ১৬

0
809

বিষাক্তময় আসক্তি (The Villain😈)
Sumaiya Akter Mim
পর্ব ১৬………..🌼

“বিছানার সাথে লেপ্টে শুয়ে আছে আয়ানা আর হাত ধরে তার দিকে তাকিয়ে আছে ইরফান।। ইরফানের চোখে স্পষ্ট পানি চিকচিক করছে।।।”

___কিছুক্ষন আগে আয়ানা অজ্ঞান হয়ে গেলে ইরফান পাগলের মতো চিৎকার করতে লাগে। তার চিৎকারে ভয়ে জড়সড় হয়ে যায় গার্ডরা।।। ইরফান আয়ানাকে কোলে তুলে বেডরুমে নিয়ে যায়।।।। তারপর আয়ানার শরীরের ভালো করে কম্বল জড়িয়ে দেয়। রুমের হিটারটা অন করে দেয়।।।আয়ানার সারা শরীর বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে গেছে।।। ইরফান একজন গার্ড কে ডেকে মেডিসিন বক্স আনতে বলে।। একজন গার্ড মেডিসিন বক্স আনতে ইরফান তারাতাড়ি আয়ানার পাশে বসে আয়ানার হাত থেকে কম্বল সরিয়ে হাতের মধ্যে ইনজেকশন পুশ করে খুব আস্তে ধীরে।। ইনজেকশন পুশ করে আয়ানার হাতে চুমু খেয়ে, হাত শক্ত করে ধরে রাখে।।_______

___আয়ানার শরীর আস্তে আস্তে গরম হচ্ছে। মেডিসিন তার কাজ করা শুরু করে দিয়েছে।।।আয়ানার কাঁপুনি থেমে যায়।।আস্তে আস্তে নরমাল হতে থাকে।আয়ানাকে নরমাল হতে দেখে ইরফান মুখে হাসি ফুটে উঠে।আয়ানার কপালে গভীর চুম্বন করে। ইরফানের চোখ থেকে এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পরে আয়ানার চোখের পাতায়। জীবনে এক বার ইরফানের চোখে পানি এসেছিল যখন তাঁর ছোট্ট পরীটার চোখে পানি দেখেছিল সেইদিন।।আর এখন তাঁর জানকে হাড়ানোর ভয় মনের ভেতর গ্ৰাস করছে তাকে।।তার মনে প্রতিনিয়ত আয়ানাকে হাড়ানোর ভয় থাকে! মনে হয় কেউ তার থেকে তার জানকে আলাদা করে ফেলেছে।।তাই ইরফান চায় তার হৃদয়ের সিন্দুকে আয়ানাকে বন্দি করে রাখতে।। সেখানে আয়ানার মত না থাকলে ও চলবে।।তার আয়ানাকে সবসময় নিজের সামনে চাই! একটু আড়াল, একটু দূরত্ব ইরফান সহ্য করতে পারবে না।।

“কথায় আছে আমরা যেই জিনিসটা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি কাছে চাই সেই জিনিসটা তাড়াতাড়ি হারিয়ে যায় অথবা নষ্ট হয়ে যায়! ইরফানের ক্ষেত্রে ও তাই হয়েছে।।আয়ানার প্রতি তার অতিরিক্ত ভালোবাসা নেশা পাগলামোতে পরিনত হয়েছে।। তাঁর মনে আয়ানা নামক ঝড় ওঠে প্রতিক্ষনে আর এই ঝড় এই অশান্ত মন একমাত্র আয়ানাই শান্ত করতে পারবে।। তাকে ভালো করে বাঁচতে হলে ভালো ভাবে শ্বাস নিতে হলে জিবনটাকে আরেকটু রঙ্গীন করতে হলে তাঁর আয়ানাকে চাই!চাই মানে চাই।।।

____ইরফান আয়ানার হাত ছেড়ে এক হাত বিছানার উপর আয়ানার বাম সাইটে বর দিয়ে অন্য হাত আয়ানার গালে বুলিয়ে নিজের শরীরের হালকা বর ছেড়ে দেয়।।আয়ানার ঘারে মুখ রেখে আয়ানার দিকে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে থাকে।।আয়ানার বাম হাতের উপর ইরফানের ডান হাতটা স্লাইট করে মুঠোতে নিয়ে নেয়।।আয়ানার দিকে তাকিয়ে বিরবিরিয়ে বলতে লাগলো________

_______আমি আর তোমাকে কষ্ট দিবো না আয়ু জান! তুমি আমাকে কেনো রাগিয়ে দেও? তুমি যদি আমার কাছ থেকে দূরে না যেতে তাহলে কখনো আমি তোমাকে শাস্তি দিতাম না।। আমার কাছে অন্যায় মানে শাস্তি! কিন্তু তুমি কেনো এমন করলে বলো তো।। তাইতো আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছিল।। আমি বাদে তোমাকে কেউ ছুঁয়ে দিতে পারবে না।।। আমি বাদে কেউ তোমার দিকে তাকাতে ও পারবে না।।।বলে আয়ানার মুখে চুমু খেয়ে আয়ানার উপর থেকে উঠে বিছানায় শুয়ে আয়ানাকে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে শরীরের কম্বলটা ভালো করে গায়ে জড়িয়ে দেয়______

“সাফিয়ার হলুদের দিন ইরফান আয়ানাকে নিজের রুমে শুয়ে দিয়ে আসার সময় গেইটের কাছে জিসান একটি মেয়ের সাথে তর্ক করতে দেখে।।। মেয়েটি বার বার জিসানের কাছে আসতে চাওয়া জিসান মেয়েটির গালে থাপ্পর মেরে দেয়।।। মেয়েটি থাপ্পর খেয়ে জিসানের হাত ধরে বলতে লাগে__________

____জিসান তুমি আমার গায়ে হাত তোললে। তুমি না আমাকে ভালোবাসো।এই তোমার ভালোবাসার নমুনা! মেয়েটি কান্না করতে করতে বলল_____

___শুনো লিসা আমি তোমাকে ভালোবাসি না। আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি সেই টা তুমি খুব ভালো করে জানো! এখন এসব নাটক করার মানে হয় না কিছু টা রেগে লিসার হাত ছাড়িয়ে কথাটা বলল জিসান_______

কী বলছো এইসব? ভালোবাসো না মানে কী?আমরা একসাথে পাঁচমাস রিলেশনশিপে ছিলাম!এর মাঝে কত রাত আমরা একসাথে ছিলাম। কতো গভীর সম্পর্ক ছিল আমাদের মাঝে আর তুমি কিনা কোথাকার একটা_______________

ঠাসসসসসসসস করে আবার একটা থাপ্পর মারলো লিসার গালে। লিসার হাত মুচোর দিয়ে বললো।।

__কোথাকার নয় ও আমার হবু বউ। আমি ছোট বেলা থেকে অকে ভালোবাসি আমার লিটেল প্রিন্সেসকে আর তুই কিনা অকে কোথাকার বলিস।____

___তুমি আমাকে মারলে। কী এমন আছে ওই মেয়ের মাঝে যা আমার মাঝে নেই।বলো কি নেই জোরে চিৎকার করে বলল লিসা______

____একদম আস্তে কথা বল! লিসার মুখ চেপে চারিদিকে তাকাতে লাগলো কেউ দেখেছে কিনা।। ইরফান গাড়ির কাচের ভেতর থেকে সব দেখছিল কিন্তু জিসান ইরফানের গাড়ির দিকে খেয়াল করেনি।। ইরফানের গাড়ির একটি কাচ খোলা থাকায় ইরফান স্পষ্ট সব শুনতে পাচ্ছে।।________

_____আস্তে কথা বলো লিসা কেউ শুনতে পেলে আমি তোমাকে মেরে মাটি চাপা দিয়ে দিবো।।আর কী বলছিলে কী আছে আমার লিটেল প্রিন্সেসের মধ্যে আছে।। তাহলে শুনোও আমার প্রিন্সেস পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী। সবচেয়ে ভালো যাকে একনজর দেখলে তাকে পাওয়ার আশা মনে পুষে রাখা যায় না।। তাকে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তাকে ছোঁয়ার আকাঙ্ক্ষা আমাকে মাতোয়ারা করে দেয়।। এমন সুন্দর ফুল কে না চায় বলো।।ও আমার জিদ ওকে তো আমার চাই সম্পূর্ণ নিজের করে চাই।। কতো বছরের তপস্যা।বলে বিশ্রীভাবে হাসতে থাকে জিসান।।তার চোখে ভালোবাসা না আয়ানাকে পাওয়ার স্বাদ জেগেছে।____

_____তুমি ওই অবুঝ মেয়েটার সাথে খারাপ কিছু করবে না জিসান। তোমার এই ভালো মানুষী রুপের পেছনে এমন একটি খারাপ চরিত্র লুকিয়ে আছে ছি ভাবতে ও আমার ঘৃনা লাগছে বলে মুখ ঘুরিয়ে নেয় লিসা______________

____ও লিসা বেবি তোমার ঘৃণা দিয়ে আমি কি ধুয়ে পানি খাবো।। তোমার থেকে যা পাওয়ার আমি পেয়ে গেছি ! এখন আর তোমায় প্রয়োজন নেই।।বলে লিসাকে ছোরে মারে।।।______

____ইরফান কিছুক্ষণ ওইদিকে তাকিয়ে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে চলে যায়।। জিসান লিটেল প্রিন্সেস বলায় বুঝতে পারে নি আয়ানার কথা বলছে।।_____

________ইরফান আর আয়ানার বিয়ের খবর পরের দিন শুনে প্রায় পাগলের মতো ব্যবহার করে সবার সাথে ।তারপর রেগে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় জিসান।। ইরফান আর আয়ানার এনগেজমেন্ট এর পর রাত এগারোটার পর মদ খেয়ে মাতাল হয়ে ইরফান এর বাড়ির সামনে মাতলামো করে জিসান। তখন তার কোনো জ্ঞান ছিল না।সে কোথায় আছে কার বাড়ির সামনে আছে কিছুই জ্ঞানের মধ্যে ছিল না।।।_________

_____জিসানকে মাতলামো করতে দেখে ইরফানের গার্ড ইরফানকে কল করে বিষয়টি জানায়।। ইরফান তখন খুব রেগে যায়।।রাগের মাথায় জিসানকে মারতে এসেও না মেরে ফিরে যায়।। জিসান তখন চিৎকার করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যায়।। ইরফানের বুঝতে বাকি নেই ওই দিন জিসান খারাপ কথা গুলো আয়ানাকে মিন করে বলেছে!এতে ইরফানের রাগ মাথায় চরে যায়।।তার আয়ানাকে কেউ বাজে নজরে দেখবে সে কিছুতেই মেনে নিবে না।।। ইরফান নিজের রুমে এসে রাগে সব ভাঙ্গচুর করে লন্ডবন্ড করে ফেলে।।। কিছুতে নিজের রাগ সামলাতে পারছে না।।তাই আয়ানার কাছে ছুটে যায় নিজের রাগ কমানোর জন্য।।কারন ইরফানের রাগ শুধু আয়ানা পর্যন্ত সীমাবদ্ধতা,আয়ানা একমাত্র যে তার কঠোর হ্নদয়ে এক পলাশ বৃষ্টি।আয়ানা পারে তার অশান্ত মনকে শান্ত করতে নিজের উষ্ণ স্পর্শ দিয়ে।।‌ইরফান চায় না জিসানকে মারতে কারন ইরফান খুব ভালো করে জানে আয়ানা সুযোগ পেলে তার থেকে পালাতে চাইবে।।আর আয়ানাকে বিনা গার্ডে জিসান ও খুব সুন্দর ভাবে কিডনাপ করতে পারবে।।আর ইরফান চায় জিসানের মৃত্যু আয়ানার সামনে হোক।।।কারন আপন কাউকে মরতে দেখলে আয়ানা দ্বিতীয় বার এমন ভুল করবে না।।তাই প্লান মাফিক সম্পূর্ণ কাজ করে ইরফান।________________________________________

“আয়ানার দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে ইরফান।।আয়ানা খুব সুন্দর করে বাচ্চাদের মত ঠোঁট দুটো উল্টিয়ে ইরফানের বুকে জড়োসড়ো হয়ে ঘুমিয়ে আছে। ইরফান মুচকি হেসে আয়ানাকে সোজা করে আয়ানার গলার নিচের কাঁটা স্থানে বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে স্লাইট করতে লাগলো! এতে করে ঘুমের মধ্যে হালকা কেঁপে উঠলো আয়ানা। ইরফান কাঁটা স্থান চেক করে তাতে গভীর চুম্বন করে।।তারপর আয়ানার কপালে কিস করে আয়ানাকে আবার বুকে জড়িয়ে চোখ বন্ধ করে নেয়।।।।”

_____আজকে ইরফান ঘুমাবে খুব শান্তি লাগছে নিজের প্রিয়তমাকে জড়িয়ে রাখতে।।আয়ানাকে দেখার পর থেকে তার ঘুম হারাম হয়ে যায়।। সারা রাত আয়ানাকে কাছে পাওয়ার প্রহর গুনতে গুনতে শেষ হয়ে যেতো।। ইচ্ছে করতো এখনি গিয়ে নিয়ে আসতে তাঁর জানকে।বড্ড ফাঁকা ফাঁকা লাগতো বুকটা! আজকে সে খুব ঘুমাবে তার জানকে বুকে নিয়ে।।______

“এই #বিষাক্তময়_আসক্তি কি বুঝাতে পারবে আয়ানা।। ইরফানের এই পাগলামো দেয়ানাপানা। অতিরিক্ত চাওয়া বুঝতে পারবে আয়ানা।। পারবে কি আয়ানা ইরফানের রং হীন জীবনের রংধনু হতে।। নিজের ভালোবাসার স্পর্শ ভরিয়ে দিতে ইরফানের মন।। পারবে কী আয়ানা ইরফানের ভালোবাসা ঠিক ইরফান যেমনটা চায় সেই ভাবে মেনে নিতে।।।।।

______কে বলেছে ভালোবাসার রং শুধু লাল নীল আর রঙ্গিন হয়? ভালোবাসার রং কালো আর অন্ধকার ও হয়।যদি ভালোবাসার বিপরীত পাশের ব্যাক্তি আলোকিত হয় এবং নিজের আলোয় অন্ধকার কে ও আলোকিত করতে পারে তো।।ভালোবাসায়ই পারে অন্ধকার কে আলোকিত করতে আবার অন্ধকার কে নিজে মানিয়ে নিতে ও পারে।।।আয়ানা ও কী পারবে ইরফানের অন্ধকার কে আপন করে নিতে।। আবার তার আলোয় ইরফানকে আলোকিত করতে_________

🌞🌞🌞🌞

সকাল বেলা আয়ানা পিট পিট করে চোখ তুলে তাকিয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলে।কারন তার ঠিক উপরে এক হাত আয়ানার কাঁধের কাছে রেখে ঝুঁকে একপলকে তাকিয়ে আছে ইরফান আয়ানার দিকে।। মুখে তার ঘায়েল করা মিষ্টি হাসি।।।

_________আয়ানা নিজের চোখের পাতায় নরম কিছুর স্পর্শ পায় দুই চোখে।। বুঝতে পারে ইরফান চুমু খাচ্ছে তার চোখের পাতায়।।আয়ানার চোখে চুমু খেয়ে আয়ানার গালে হাত রেখে গালে আঙ্গুল দিয়ে আঁকি বাকি করছে ইরফান।। আস্তে আস্তে আয়ানার কানের কাছে মুখ নিয়ে স্লো ভয়েসে বলে__________

______গুড মর্নিং মেরি জান।।
ইরফানের কথায় কেঁপে উঠে আয়ানা।। এমন ভয়েস খুবই ভয়ংকর ভাবে ফিলিংস টাইপ শুনাছে।।আয়ানাকে কাঁপতে দেখে ইরফান মুচকি হেসে আয়ানাকে ছেড়ে দেয় ইরফান।।।‌সোজা হয়ে বসে আয়ানার শরীর থেকে কম্বল সরিয়ে আয়ানাকে টেনে বসিয়ে দেয়।।আয়ানা মাথা নিচু করে বসে আছে।।

________যাও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসো! আমি তোমার জন্য ড্রেস এনেছি।।এই শপিংয়ের মধ্যে ! আয়ানার হাতে শপিং ধরিয়ে বলল।।দশ মিনিট এর মধ্যে রেডি হয়ে আসবে আমি লেইট পছন্দ করি না______

_____আয়ানা মাথা নাড়িয়ে হ্যা বোধক জানায়! ইরফান আয়ানার কপালে চুমু খেয়ে আয়ানাকে ফ্রেশ হতে যেতে বলে।। আয়ানা ফ্রেশ হতে চলে যায়_______

____আয়ানা ওয়াশরুমে ঢুকে হা করে তাকিয়ে আছে এতো সুন্দর ওয়ালরুম।।সব খুব সুন্দর ভাবে সাজানো। এতো বড় ওয়াশরুম এখানে মানুষ থাকা যাবে এতো সুন্দর।।।।আয়ানা হঠাৎ কালকের কথা মনে পরে যায় তবে ক্লিয়ার করে কিছু মনে পরছে না।। শুধু জিসানের তার সাথে খারাপ ব্যবহার আর জিসানকে পানিতে ফেলে দেওয়া এসব একটু একটু মনে পরছে।। মূলত মেডিসিনের পাওয়ারের কারনে আয়ানার মাথায় ভালো ভাবে কিছু মনে পরছে না।।।এই মেডিসিন টা দুই ডোজের এক হচ্ছে এর টেবলেট যা আয়ানা ছোটবেলা থেকেই ভয় পেলে খেয়ে আসছে।।আর দ্বিতীয় হচ্ছে ইনজেকশন পুশ তা আয়ানাকে ছোট বেলায় একবার কোমায় যাওয়ায় দেওয়া হয়েছে।।।আয়ানা যখন বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তাকে এই ইনজেকশন টা নিতে হয়।।।না হলে আয়ানার পার্লস খুব কম হয়ে যায় ভয়ে হার্ট স্লো হয়ে পরে।। এতে করে আয়ানার আবারো কোমায় যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।।।এসব কথা ইরফান শীতল থেকে জেনেছে।।।কারন যেইদিন প্রথম আয়ানাকে কিস করেছিল আবছা আলোয় আয়ানা খুব ভয় পেয়ে প্রায় অসুস্থ হয়ে গেছিল।।।।।______

“আয়ানা কান্না করে দেয়।।আর বিরবিরিয়ে বলতে লাগে,,,,,,,

_____শয়তান এরোগেন্ট ম্যান। তুমি আমার ভাইয়াকে মেরেছো! আমি তোমাকে ঘৃণা করি।বলে কান্না করে দেয় আয়ানা।।তারপর তাড়াতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে ইরফানের দেওয়া মেরুন কালারের জর্জেটের থ্রিপিস পরে বের হয়ে যায়।।আর একমিনিট দেরি করলে ইরফান তাকে আছাড় মারবে।।______

______ইরফান রুমে একসেট সোফা আনিয়েছে গার্ড দিয়ে তার সাথে কাচের ট্রি টেবিল।।সার্ভেন্ট খাবার সাজিয়ে চলে যায়। ইরফান ওয়াশরুমে দরজা খুলার আওয়াজে সেদিকে তাকিয়ে থমকে যায়।।_____

“মেরুন কালারের জর্জেটের থ্রিপিসে আয়ানার সাদা ধবধবে শরীরের দারুন লাগছে।।। চোখ ফেরানো দায় হচ্ছে তার।। ইরফান নেশা ভরা চোখে তাকিয়ে আছে তার দিকে।।এক পা এক পা করে এগিয়ে যেতে থাকে আয়ানার দিকে।তা দেখে ওয়াশরুমের দরজার সাথে লেপ্টে যায় আয়ানা।।।

_____ইরফান আয়ানার ডান কাঁধে নিজের বাম হাত টা রেখে ডান হাত দিয়ে আয়ানার কমড় জরিয়ে ধরে আয়ানাকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।আয়ানার কানের লতিতে ছোট একটি চুমু খেয়ে বলতে লাগে______

__তোমাতে মাতোয়ারা আমি।তোমাতে পূর্ণতা!তোমাতে বিলিন আমি।তোমাতে সর্গ আমার।।চাই এই অদ্ভুত সুন্দর প্রেম প্রদীপটা আমার চাই।।‌আমার নেশা তুমি, তোমাকে আমার চাই। কপালে চুমু দিয়ে আয়ানার দিকে তাকিয়ে বলে___

_________”আমার নেশা”__________________________

#To_be_continued………..🌼

(জিসান বক্তরা যারা গত পর্বে জিসানকে নির্মম হত্যায় আমাকে বকেছো তাদের কাছে আজকের পর্বটা ক্লিয়ার করে দিলাম 🙄 জিসান আয়ানাকে নয় আয়ানার সৌন্দর্য উপভোগ করতে চেয়েছিলো !তা নাহলে কেউ মৃত্যু থেকে বাঁচতে তার ভালোবাসার অপব্যবহার করে।।আর যারা বলছেন আয়ানাকে ভিতু থেকে সাহসী করে দিতে তাদের জন্য আজকের মেসেজ:আয়ানা যেমন আছে তেমনি থাকবে কোনো পরিবর্তন হবে না আয়ানার এই ভয় নিয়েই ইরফানকে ভালোবাসবে এমনটাই আমার থিম সাজানো তাই আপনারা যেমন চাচ্ছেন তেমন দিলে আমরা গল্প উল্টিয়ে জগাখিচুড়ী হয়ে যাবে এতে আমার আপনার কারোর ভালো লাগবে না। গল্পের ১৫ পর্বে গল্পের কেমেস্ট্রি বুঝা যায় না তার জন্য গল্পের গভীরে যেতে হয়!আর আমি চাইবো আপনারা ধৈর্য্য ধরে আমার সাথে শেষ পর্যন্ত থাকবেন ধন্যবাদ 😌🙂)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here