বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ২৪

0
734

#বিষাক্তময়_আসক্তি(The Villain😈)
#Sumaiya_Akter_Mim
#পর্ব_২৪…………..🌼

রুমের কাবার্ডের পাশে চেঞ্জিং রুমের ভেতরে মিররের সামনে দাঁড়িয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে আয়ানা। কাঁধের কাছ থেকে শাড়ির আঁচলটা সরিয়ে ভালো করে দেখতে লাগলো। সারা শরীর লাল লাল হয়ে গেছে।গারে গলায় লাল হয়ে আছে সাথে নখের দাগ ও।।ফর্সা শরীরে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।হাতে কমোড়ে পেটে অসম্ভব জ্বালা করছে।।।আয়ানা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে চোখ মুখ ফুলে লাল হয়ে গেছে।।।আয়ানা শড়ির আঁচলটা ভালো করে দিয়ে রুমের ভেতরে এসে ড্রয়ারে ফার্স্ট এইড বক্স খুঁজতে লাগল যদি কোনো মেডিসিন পায় কিন্তু না ফার্স্ট এইড বক্স পাচ্ছে না । কাজের সময় কিছুই পাওয়া যায় না।।। অতিরিক্ত চুলকানির ফলে শরীরে দারুন প্রভাব ফেলেছে।আয়ানা রুমের বাহিরে ও যেতে পারছে না কারন ইরফান যাওয়ার আগে তাকে বাহিরে যেতে নিষেধ করে দিয়েছে।।। প্রয়োজন পরলে তাকে কল করতে বলেছে।। ইরফান সকাল বেলায় আয়ানাকে নাস্তা করিয়ে একটা কাজে গিয়েছে! যাওয়ার আগে আয়ানাকে না করে গেছে যতক্ষন সে বাড়িতে না আসে সে যেনো রুম থেকে বাহিরে না যায়।।।

__গত কাল রাত থেকে আয়ানার সাড়া শরীর হালকা চুলকানি ছিল।।গত দুই দিনে-রাতে স্লিক র্জজেটের শাড়ি পরার ফলে সাড়া শরীরের চুলকানি রেশ শুরু হয়।।।গত রাতে কম থাকলে ও সকাল বেলা তার পরিমাণ বাড়তে শুরু করে।। ইরফান যাওয়ার আগে অনেক বার জিজ্ঞেস করেছে আয়ানার ঠিক আছে কিনা কিন্তু ইরফানের ভয়ে আয়ানা কিছু বলেনি যদি ইরফান তাকে বকে কিংবা মারে তো! তার প্রথমে ইরফান কে জানানো উচিত ছিল যে শাড়ি পরে তার ঘুমানোর অভ্যাস নেই! রাতে স্লিক র্জজেটের শাড়ি পরার ফলে শাড়ির আচে বেশ কিছু অংশ ছিলে গেছে, তার উপরে চুলকানির কারনে নখের দাগ আচর লেগে অনেক জায়গা কেটে গেছে।আয়ানা ইরফানকে কল দিতে গিয়ে ও কল দেয় নি যদি ইরফান রেগে যায়।।। আয়ানা অনেক খুঁজে ফাস্ট এইড বক্স খুঁজে পায় সেখান থেকে পেইন কিলার খেয়ে নেয়।।ওয়াসরুমে গিয়ে একটা লং শাওয়ার নেয়!শাওয়ার নেওয়ার সময় ছিলে যাওয়া অংশে পানি লাগায় ভিষন জ্বলে আয়ানা ঠোঁট চেপে অনেক কষ্টে কান্না আটকায়।।। শাওয়ার নিয়ে হাল্কা স্লিক আর সুতির লাল কালারের পাতলা শাড়ি পরে নেয়।। সাথে কনুই পর্যন্ত ব্লাউজ পরে নেয় যাতে হাতের লাল অংশ গুলো না দেখা যায়! পেইন কিলার খাওয়ার পর শরীরের ব্যথা কিছুটা কমে কিন্তু এখানো চুলকানি আছে।।।

________________________________________

মোটা মরা গাছের ডালের সাথে উল্টো লটকিয়ে আছে একটি লোক পা দুটো একসাথে করে গাছের ডালের সাথে বেঁধে রেখেছে।লোকটার মাথায় প্রচন্ড আঘাত করা হয়েছে যার কারণে রক্তে নিচের ঘাস গুলো লাল হয়ে গেছে পাশের লেকের কাছে বসে আছে ইরফান আর তার পাশে তার গার্ডরা দাঁড়িয়ে আছে! ইরফান মনোযোগ দিয়ে হাতের কিউবটা মিলাতে থাকে! তার সম্পূর্ণ নজর কিউবটায় আর মুখের হাবভাব বুঝায় মুশকিল।।। ইরফান লাস্ট কালরটা মিলিয়ে উপরে লটকানো লোকটার দিকে তাকালো হাতের কিউবটা পাশের গার্ডের হাতে দিয়ে লোকটার দিকে এগিয়ে গেল। লোকটার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে লোকটার মাথার রক্ত টা এক আঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করে টোকা দিয়ে ফেলে দেয়।।। ইরফান লোকটার সামনের চুল গুলো টান দিতে লোকটি,,,

আহ্হ্হ্হ্হ্ করে চিৎকার করে উঠল!
ইরফান লোকটার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলো,,

__নিজাম উদ্দিন কোথায়?
__(নিশ্চুপ)!
ইরফান লোকটার ব্যথার জায়গায় খুব শক্ত করে চুল টেনে ধরলো এতে করে লোকটা জোরে চিৎকার করতে লাগলো।। লোকটার চিৎকারে আশপাশে প্রতিদ্বন্দ্বী হতে লাগলো।।‌পাশ থেকে একজন গার্ড এসে ইরফানের হাতে একটা বন্দুক দিয়ে যায়।। ইরফান বন্দুকটা নিয়ে ভেতরের বুলেট গুলো চেক করছে।লোকটা ভয়ে ঘেমে একাকার হয়ে গেছে ভালো করে তাকাতে পর্যন্ত পারছে না।।।লোকটা ধিরে ধিরে বললো,,,,

__আ_আমাকে ছেড়ে দিন স্যা_স্যার আমি জানি না নিজাম উদ্দিন কো,,,, সম্পূর্ণ কথা শেষ করার আগে লোকটার মাথায় খুব জোরে আঘাত করে হাতের বন্দুকটি দিয়ে।।ব্যথার স্থানে ব্যথা পেয়ে লোকটি কুকিয়ে ওঠে।।। ইরফান রাগে গজগজ করতে করতে বলল,,,,,,

__আমি মিথ্যা কথা একদম পছন্দ করি না!তোর এতো সাহস আমার সামনে এমন অবস্থা থেকে ও মিথ্যা বলিস তোর কলিজা আমি ছিঁড়ে নিবো বলে বন্দুকটি লোকটার কপালে ধরে।।।

__আআ_আমাকে মারবেন না দয়া করুন!আ_আমি বলছি।।
লোকটার কথা শুনে বাঁকা হেসে লোকটার মাথা থেকে বন্দুক সরিয়ে নেয় ইরফান।তারপর কিছু দূর সরে গেলে লোকটা বলতে শুরু করে,,,

__নিজাম উদ্দিন আমাকে শ্রীমঙ্গল থেকে হায়ার করেছে উনার প্লেন অনেক বড় এক একটা জায়গা থেকে অসংখ্য লোক হায়ার করছে সবার কথা আমি জানি না আমাকে ইনফর্মেশন দেওয়ার জন্য তেরো লক্ষ টাকা দিয়েছে। বলে লোকটা জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো! ইরফান গার্ডের হাত থেকে আবার কিউব নিয়ে মেলাতে লাগলো।।লোকটি আবার বলতে লাগলো__আমি জানি না নিজাম উদ্দিন কোথায় আছে, কখনো সামনে আসে নি সব সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কাজের লেনদেন করে।।

__নিজাম উদ্দিনের মেইন প্লেন কী?শান্ত গলায় প্রশ্ন করে ইরফান।।‌

__আ-আমি জানি স্যারররররররর!
ইরফান হাতের কিউবটা দিয়ে লোকটার কপাল বরাবর আঘাত করে।।বড় বড় পা ফেলে লোকটার কাছে এসে লোকটার কলার চেপে বলে,,,

__কী জানিস না তুই? আবার মিথ্যে বলা হচ্ছে! তুই কি ভেবেছিস তুই বানিয়ে বানিয়ে বলবি আমি সব বিশ্বাস করবো! বাঁকা হেসে,নোও! কখনো না। আমি জানি তুই নিজাম উদ্দিনের গুপ্ত চোর বলে লোকটার কপালে হাতের বন্দুক দিয়ে কপালে স্লাইট করতে লাগলো লোকটা ইরফানের দিকে না তাকিয়ে থরথর করে কাঁপছে!সে ধরা পড়ে গেছে এখন তার মৃত্যু নিশ্চিত। ইরফানের চোখে ধূলো দেওয়া সম্ভব নয়।।। ইরফান হাতের বন্দুকে ট্রিগারে চাপ দিতে ঠাস করে লোকটা দরি ছিঁড়ে উল্টিয়ে নিচে পরে যায়! ইরফান পা দিয়ে লাথি মেরে লোকটা কে সোজা করে লোকটির বুক বরাবর বন্দুক তাক করে!লোকটি চোখ বন্ধ করে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হয়।। ইরফান বাঁকা হেসে পরপর তিনটা গুলি ছুড়ে মারে লোকটার বুকে।। বুকের একপাশ ঝাঁঝরা করে অপর পাশ দিয়ে বুলেট গুলো বের হয়ে আসে!অল্প সময়ের মধ্যে লোকটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।।।

__ইরফান হাতের বন্দুকটি গার্ডের কাছে দিয়ে চোখের সানগ্লাস টা পরে সামনে এগুতে লাগে।। গাড়ির সামনে আসতে একজন গার্ড দরজা খুলে দেয় ইরফান গাড়িতে উঠে বসে আর যাওয়ার আগে লাশটাকে হাঙ্গরের পেটে দিয়ে আসতে বলে আর নিজাম উদ্দিনের খবর নিতে।। ইরফানের কাছে কিছু গোপন থাকবে না সে ঠিক নিজাম উদ্দিনের প্লেন কি?আর কোথায় ঠিক খোঁজে বের করবে।।।যতোই সিন্দুকে লুকিয়ে থাকোক না কেনো ইরফান তাকে ঠিক বের করবে যতোই লোক হায়ার করুক তার মৃত্যু নিশ্চিত।।।।

__________________________

ইরফান বাড়িতে প্রবেশ করতে ইমরান খান ইরফান কে ডাক দেয়।‌ইরফান ইমরান খানকে সালাম জানিয়ে রাতে কথা বলবে জানিয়ে উপরে চলে যায়।।ইফরানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে তিনি গাড়ি নিয়ে গ্ৰামে চলে যান।। গ্ৰামের লোকেরা ইলেকশনের উদ্দেশ্য অপেক্ষা করছে।।

__ইরফান কে রুমে আসতে দেখে আয়ানা সোফা থেকে উঠে দৌড়ে ইরফানের কাছে এসে ইরফনকে জড়িয়ে ধরে। ইরফান মুচকি হেসে আয়ানাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।এটা ইরফানের তৈরি করা বিশাল রুলসের মধ্যে একটা রুলস। ইরফান আয়ানার কপালে চুমু খায়।আয়ানাকে বসতে বলে ফ্রেশ হতে চলে যায়।। ইরফান ওয়াশরুমে যেতে আয়ানা চুপচাপ গিয়ে সোফার বালিশ গুলো ঠিক করে ম্যাগাজিনটা জায়গা রেখে দেয়।।। ইরফান শাওয়ার নিয়ে এসে আয়ানাকে সামনের দিক থেকে জরিয়ে ধরে।। ইরফানের চুলের পানিতে আয়ানার কাঁধের কাছ অনেকটা ভিজে যায়।।।

__এতোক্ষন কী করছিলে আয়ু জান? আমাকে মিস করছিলে।আয়ানার গারে নাক দিয়ে স্লাইট করতে করতে বলে।।
আয়ানা চোখ বন্ধ করে ইরফানের কথা শুনছে।। ইরফান আবার বলে উঠলো!
__কী হয়েছে? কিছু বলছো না কেনো?জানো আমি তোমাকে এই দুই ঘণ্টা আঠারো মিনিট চল্লিশ সেকেন্ড না দেখে কতো মিস করেছি।। বলে আয়ানার গারে ঠিপলি কিস করে।। ইরফানের ছোঁয়া আয়ানা কেঁপে উঠছে।। ইরফানের ছোঁয়া গুলো ধিরে ধিরে গভীর হতে লাগলো ! উন্মাদের মতো আয়ানাকে চুমু খেতে লাগলো আর আয়ানা ইরফানের বুকের কাছে টিশার্ট শক্ত করে আকড়ে ধরে চোখ চেপে বন্ধ করে রেখেছে।।। ইরফান আয়ানার গাড়ে চুমুর সাথে সাথে বাইট ও করছে।গারের তিলটায় চুমু খেয়ে সেখানে কামড় মারে আয়ানা চোখ বন্ধ করে মৃদু আওয়াজ করে উঠল।। ইরফান আয়ানার কামড়ের জায়গায় লিক করে আবার চুমু খায়।। ইরফান গার থেকে মুখ সরিয়ে গলায় মুখ গুজে সেখানে চুমু খেতে লাগল এক হাত দিয়ে আয়ানার শাড়ির আঁচল সরিয়ে চুমু খেতে গিয়ে ইরফান থেমে যায়।।।আয়ানা অনেকক্ষণ ইরফানের কোনো ছুঁয়া না পেয়ে ধীরে ধীরে চোখ খুলে।।। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম

__ইরফান স্থির দৃষ্টিতে আয়ানার গলার দিকে তাকিয়ে আছে।। তার চোখ মুখ শান্ত হয়ে আছে বুঝা যাচ্ছে না কি ভাবছে।।‌আয়ানা ইরফানের দৃষ্টি অনুসরণ করে সেদিকে তাকায়।। ইরফান আয়ানার গলার লাল অংশে তাকিয়ে আছে। শাড়ি সরানোতে সাদা ফর্সা শরীরে লাল হয়ে লম্বা দাগটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।। ইরফান কাপা কাঁপা হাতে আয়ানার লাল হয়ে যাওয়ায় জায়গায় হাত দিয়ে স্পর্শ করছে ।। আস্তে আস্তে হাত দিয়ে আয়ানাকে স্পর্শ করছে আর কাঁপা কাঁপা গলায় বলতে লাগলো,,

__এটা কেমন করে হয়েছে আয়ু?
ইরফানের কথায় আয়ানা ভয়ে মাথা নিচু করে কাঁপতে লাগলো।। ইরফান এখন তার কী অবস্থা করবে বুঝতে পারছে না!
__আমি কি বলছি তোমার কানে ডুকছে না কী করে হলো এটা জোরে চিৎকার করে বললো।।
ইরফানের ধমকে আয়ানা ভয়ে কান্না করে দেয়। ইরফান আয়ানার শাড়ির আঁচলটা টান দিয়ে নিচে ফেলে দেয়।। ইরফানের রাগে মাথা পুরাই খারাপ হয়ে গেছে কি করছে মাথা কাজ করছে না।।আয়ানার সামান্য আঘাত তার বুকে রক্তক্ষরণ করছে।। ইরফান উন্মাদের মত আয়ানার সারা গলায় দেখতে লাগে।

__আর কোথায় কোথায় এমন হয়েছে বলো আয়ু জান। আয়ানার গালে হাত রেখে উত্তেজিত কন্ঠে বলল।।আয়ানা ভয়ে ভয়ে মাথা নিচু করে কান্না করতে করতে বলে।। ইরফান আয়ানার সারা হাতে কমোড়ে সব জায়গায় ভালো ভাবে দেখে আরো রেগে যায়। সারা শরীরে লাল দাগ হয়ে আছে।। নখের আঁচড়ে অনেক জায়গায় ছিলে গেছে। ইরফান রেগে বললো,,

__এইগুলো কেমন করে হয়েছে আয়ু আমাকে উত্তর দেও! আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে তারাতাড়ি উত্তর দেও। আমি কিন্তু সব ধংস্ব করে ফেলবো বলে সামনের ট্রি টেবিলটা জোরে লাথি মেরে ডেসিন টেবিলের আয়ানা ভেঙ্গে খনড্ড খনড্ড করে ফেলে।।
ইরফানের রাগ দেখে আয়ানা ভয়ে থরথর করে কাঁপছে কান্নার পরিমাণ টা আরো বেড়ে গেছে।।আয়ানা কান্না করতে করতে সব বলে।। ইরফান আয়ানার কথা শুনে রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে। আয়ানাকে কিছু বলতে যাবে পরক্ষনে মাথার চুল গুলোকে পেছনের দিকে টেনে নিজেকে শান্ত করে।।সে চায় না আয়ানা তাকে ভয় পাওক। শুধু মাত্র ভয়ের কারণে আয়ানা ইরফানকে কিছু জানায় নি।। এবার থেকে এমন ভুল করবে না যাতে করে তার জান তাকে ভয়ে কিছু না জানায়।।তার জান তাকে সব জানাবে সব।। কেনো জানাবে না?

__ইরফান আয়ানার গালে হাত রেখে বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে চোখের পানি গুলো মুছে দিলো। ধিরে ধিরে আয়ানার কপালে নিজের ঠোঁট ছুঁয়ালো।আয়ানার চোখের পাতায় চুমু খেয়ে আয়ানাকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়।।‌আয়ানাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে মাথায় চুমু খেয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো,,

__কিছু হবে না আয়ু জান আমি একক্ষুনি ডাক্তারকে ডাকবো।। একটু ধৈর্য ধরো আমি সব ঠিক করে দিবো।। তোমার একদম কষ্ট হবে না! মেডিসিন নিলে ঠিক হয়ে যাবে।। তোমার সব কষ্ট আমি দুমরে মুচড়ে শেষ করে দিবো।।এক বিন্দু কষ্ট তোমাকে ছুয়ে দিতে পারবেনা বলে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে!
আয়ানা চুপচাপ ইরফানের বুকে মাথা রেখে ইরফানের হৃদস্পন্দন শুনছে ইরফানের কথা আর তার এই হৃদস্পন্দন বলে দিচ্ছে,,

“তুমি শুধু আমার আয়ু জান! শুধু আমার! খুব ভালোবাসি আমি তোমাকে! আমার নেশা আমার ভালোবাসা! আমার #বিষাক্তময়_আসক্তি তুমি।।।”

__ইরফান আয়ানার শাড়িটা খুলে একটা তাওয়ালে আয়ানার গায়ে জড়িয়ে দেয়।।আয়ানাকে জড়িয়ে ধরে একজন ডাক্তারকে কল করে আসতে বলে।‌‌আয়ানাকে ওয়াশরুমে পাঠিয়ে দেয় আয়ানা ফুল হাতার ঠিলা গেঞ্জি আর প্লাজো পরে আসে।আয়ানা ওয়াসরুম থেকে বের হতে ইরফান আয়ানাকে কুলে করে বেডে বসিয়ে আয়ানার সামনে বসে পরে।আয়ানার গারে আইস প্যাক দিয়ে দিচ্ছে আর সাথে তো ছোট ছোট চুমুর বর্ষণ তো আছেই। আয়ানা মাঝে মাঝে ইরফানের কান্ডকলাপ আড়চোখে দেখছে।।।‌

#To_be_continued……..🌼

( গল্প পোস্ট করার সময় কারেন্ট চলে গেছে তাই দেরি হয়ে গেছে।কালকে থেকে বড় করে দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ 😊। কেমন হয়েছে তার গঠন মূলক মন্তব্য আশা করছি ধন্যবাদ।।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here