#বিষাক্তময়_আসক্তি(The Villain 😈)
#Sumaiya_Akter_Mim
#পর্ব_৩৮…………🌼
“সিটের সাথে হেলান দিয়ে বসে আছে আয়ানা,হাতে তাঁর চিপসের প্যাকেট।একটার পর একটা চিপস মুখে ঢুকাছে আর চিবিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছে। মুখে তাঁর মন কাড়ানো হাসি।। তাঁর চেহারা বলে দিচ্ছে সে কতো খুশি।। শুধু বাংলাদেশে যাচ্ছে বলে সে খুশি তা নয়। আজকাল কারনে অকারণে তাঁর সব কিছু ভালোলাগে। কারণ কিছু আছে যা ভেবে ভেবে আনমনে হাসছে সে।।। ইরফান কিছুক্ষণ আগে গার্ডদের সাথে কথা বলার জন্য উঠে পাশের কেবিনে গিয়েছে।।। সম্পূর্ণ প্লেনে ইরফান আয়ানা আর তাঁদের গার্ডদের দিয়ে ভর্তি এটা তাদের নিজিস্ব প্লেন।।তাই এটায় তাঁরা ব্যতীত অন্য কেউ নেই।।এই বিষয় গুলো আয়ানার অসহ্য, খারাপ,ভয়, বিরক্তের কারন হলেও এখন এইসব কিছু তাঁর কাছে মজার,হাস্যকর,এবং ভালো লাগার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।। কিছু একটা পরিবেশে থাকতে থাকতে একসময় সেই পরিবেশকে মানিয়ে নেওয়া আপন করে নেওয়া সহজ হয়ে পরে তখন অন্য কিছু আর ভালো লাগে না সবসময় এটাই ভালো লাগে।।আয়ানারও এখন খারাপ লাগা জিনিস গুলো ভালো লাগার জিনিসে পরিনত হয়েছে।।।বেশ কিছুক্ষণ পর ইরফান এসে আয়ানার পাশে বসে পরে। ইরফানের দিকে একবার তাকিয়ে আয়ানা বাহিরের দিকে তাকায়, অন্ধকার আকাশ বাহিরের কিছু দেখা যাচ্ছে না।।। ইরফান আয়ানার মাথাটা নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো,,,
—-অনেক রাত হয়েছে এখন ঘুমিয়ে পরো।।
—-ওহু আমার একটুও ঘুম পাচ্ছে না প্যাকেট থেকে চিপস মুখে ঢুকিয়ে।।
—-‘রাত’ 3:48 বাজে আয়ু ।। জলদি ঘুমিয়ে পরো নাহলে শরীর খারাপ করবে তুমি আসার সময়ও ঘুমাওনি।।জিদ ধরেছো বলে দশটার ফ্লাইট একটায় দিয়েছি,এখন মাঝরাত হয়ে গিয়েছে জলদি ঘুমিয়ে পরো।। আরেকটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।।
—-আমার তো একটুও ঘুম পাচ্ছে না।।।। ঠোঁট ফুলিয়ে’
—-চোখ বন্ধ করো ঘুম চলে আসবে।আর যদি না ঘুমাও তাহলেয়য়য় কিছুটা টেনে দুষ্ট হাসি দিয়ে বললো।।
ইরফানের কথা বলার ধরন দেখে আয়ানা ভয়ে চিপসের প্যাকেট তাড়াতাড়ি রেখে চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিয়ে ফেলে। ইরফান তা দেখে বাঁকা হেসে ওয়াটার পটের কেপ খুলে আয়ানার মাথা নিজের দিকে টেনে গাল চেপে আয়ানাকে হা করিয়ে পানি খাইয়ে দিল।আয়ানা মুচকি হেসে পানি টুকু চোখ বন্ধ করে খেয়ে নিলো তা দেখে ইরফানও হেসে দিল।।
পুনরায় ইরফান আয়ানাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে মাথায় হাত বুলাতে লাগল,আয়ানাও আবেশে বন্ধ চোখ দুটো আরেকটু চেপে বন্ধ করে নিলো।।।। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।
“শুনছো জিসানের কোনো খবর পেলে আর কতোদিন ছেলেটার থেকে দূরে থাকতে হবে । চোখের পানি আঁচল দিয়ে মুছে সামিয়া আহম্মেদ স্বামীর উদ্দেশ্য করে বলল।।।
—-না কোনো খুঁজ পাইনি।যে নিজের থেকে হারিয়ে যায় তাকে খুঁজে লাভ নেই তবুও পুলিশ ফোর্স তাদের কাজ করছে।।নিরাশ হয়ে জবাব দিলেন জায়েফ আহাম্মেদ।।। জায়েফ আহাম্মেদের কথা শুনে সামিয়া আহম্মেদ হুহুহু করে কেঁদে দিলো। আজকে কতোদিন হলো ছেলেটাকে দেখে না, কেমন আছে কি করছে কিছুই জানেন না। শুধু মাত্র একটা মেসেজ এসেছে তাও অনেক দিন হয়েছে আর কোনো প্রকার খবর তাঁরা পাননি।
(মেসেজে: আমি লন্ডন চলে যাচ্ছি।কেউ আমাকে খুঁজার চেষ্টা করবে না।)
এরপর থেকে কোনো খবর নেই। কয়েকবার কল দেওয়া হয়েছে কিন্তু ফোন বন্ধ বলছে।কোনো ভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না তাই বাধ্য হয়ে পুলিশের সাহায্য নিচ্ছেন তাঁরা।।। পুলিশও এখনো কিছু জানাতে সক্ষম হয়নি।।।
সামিয়া আহম্মেদ আর কোনো কথা না বলে চোখ মুছতে মুছতে রুম থেকে বের হয়ে যান।। তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে উঠেছিলেন তিনি। উঠে দেখেন স্বামী এখনো ঘুমায়নি হুইলচেয়ারে বসে দুল খাচ্ছেন। জিসানকে নিয়ে টেনশন করে অনেকটা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।।। সামিয়া আহম্মেদ নামাজ পড়ে ছেলের জন্য আল্লাহর দরবারে কান্না-কাটি করেন তারপর স্বামীর কাছে এই বিষয়ে কথা বলেন।।। দুই দিন হয়েছে তাঁরা তুতুলের বিয়ে উপলক্ষে বাংলাদেশে এসেছেন। আজকে জিসানেরও এখানে তাদের সাথে থাকার কথা, সবচেয়ে বেশি তুতুলের বিয়েতে সেই আনন্দ করতো কিন্তু এখন,, ভেতর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিচে গিয়ে স্বামীর জন্য কড়া করে ব্লাক কফি বানাতে লাগলেন সারা রাত ঘুমাননি তিনি,সাথে নিজের জন্য চা করলেন, আর ঘুমাবেন না তিনি আয়ানা আর ইরফান আসবে সব গুছানো আছে কিনা আরো কিছু ব্যবস্থা করতে হবে এসব দেখে নিতে হবে।। কিছু উনিশ বিশ ইরফানের পছন্দ না।। দুই দিন যাবত বিয়ের কাজ রেখে ইরফান আসবে তাঁর জন্য সব কিছু গুছিয়ে, সাজিয়ে যেমন পছন্দ তেমন করে রাখছেন।। গতকাল সব কাজ শেষ করে অনেক রাত করে সবাই ঘুমিয়েছেন।।এই পর্যন্ত সব ঠিক আছে কিনা তা অনেক বার দেখেছেন সবাই। সবাই টেনশনে আছে ইরফানের পছন্দের বাহিরে কিছু হলে তাঁর রাগের সম্মুখীন হতে হবে, অবশ্যই ইরফানের প্রয়োজনীয় জিনিস দেখার জন্য তাঁর সাথে তাঁর পার্সোনাল গার্ড আছে তবুও নতুন জামাই বলে কথা কোনো দিক থেকে ক্রুটি রাখা যাবে না।। বাড়ির পরিবেশ ইরফানের পছন্দ হবে তবুও সে যেমন যেমন পছন্দ করে তেমন করে সম্পূর্ণ বাড়ি সাজানো হয়েছে।।আয়ানাদের বাড়ি টা ও বিশাল কিন্তু ইরফানের বাড়ির কাছে কিছুই না তবুও দেখতে শুনতে বাংলাদেশের বেস্ট হাউস বলা হয়।।। ইরফান বাংলাদেশে তেমন আসেনি কাজের সূত্রে দুইবার এসেছিল আর যখন এসেছে তখন কক্সবাজার নিজেদের বিশাল বড় হোটেলে উঠেছেন। সকালে এসে রাতের মধ্যে কাশ্মীর পৌঁছে যেতো। বাংলাদেশ তাঁর তেমন একটা পছন্দ নয় তাই সবার চিন্তা বেশি।। তারপরে ইরফান বিয়ে এবং মানুষের ভিড় দুটোই একদম পছন্দ করে না এখানে শুধু তুতুলের বিয়ে উপলক্ষে আসছে আয়ানার জন্য।।।
“ইরফানের বুকে লেপ্টে ঘুমিয়ে আছে আয়ানা। মাঝে মাঝে নড়েচড়ে ওঠছে।ঘুমের ঘোরে বারবার আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরছে ইরফান কে।।। আয়ানার স্পর্শ গুলো ইরফানের মনে ঝড় তুলে দিচ্ছে। ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে আয়ানার কপালে চুমু খেলো।চোখ দুটো না ঘুমানোর ফলে লাল হয়ে আছে,সেই লাল লাল চোখে নেশা ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আয়ানার ঘুমন্ত মুখের দিকে।।।।এই মুখের দিকে তাকিয়ে শত কষ্ট যন্ত্রনায ভুলে থাকা যায় নিজের তৃষ্ণা মেটাতে এই মুখটা যথেষ্ট।।এই মেয়েটাকে সে পাগলের মতো ভালোবাসে এর মধ্যে নিজের সুখ শান্তি সব খুঁজে পায়।এক মিনিটও চোখের আড়াল সহ্য হয় না। নিজের এই অসহ্য যন্ত্রনায় দেখলে তাঁর নিজেরই খুব হাসি পায়।। ইরফান আয়ানার মুখের দিকে তাকিয়ে ডেস্কের উপর থেকে কফির মগ নিয়ে খেতে লাগলো আর কিছুক্ষণ পর প্লেন বাংলাদেশের ফ্লাইটে ল্যান্ড করবে।।। কাশ্মীর থেকে বাংলাদেশে প্লেনে করে আসতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে।। ইরফান হাতের ঘড়িতে সময় দেখে নিলো সকাল ছয়টা বাজতে বিশ মিনিট বাকি।। ইরফান পাঁচটার দিকে একবার আয়ানাকে নাস্তা করিয়েছে ঘুমের মাঝে।। প্লেন ল্যান্ড করলে আয়ানাকে আর জাগাবে না।সারা রাত ঘুমায়নি তাই ঘুমের প্রয়োজন।।।।
দুজন গার্ড এসে ইরফানদের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিচ্ছে,বিনা শব্দে।।প্লেন ল্যান্ড করতে কয়েকজন গার্ড আগে বের হয়ে যায়। ইরফান নিজের লং কালো কোট পরে নিলো তারপর আয়ানাকে সাবধানে কোলে নিয়ে প্লেন থেকে নেমে কালো চকচকে গাড়িটায় ওঠে বসলো। তাদের গাড়ির পেছনে দুইটা গাড়ি সামনে এটটা।।।। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।
____”আহাম্মেদ ভিলা”🌸
দুপর 2:10 বাজে সকলে বসে দুপুরের লাঞ্চ করছে।। খাবার টেবিলে সব ইরফানের পছন্দের খাবার ।।প্রত্যেকটি জিনিস যেমনটা ইরফানের বাড়ীতে করা হয় এখানেও করা হয়েছে।। ইরফান আয়ানাকে খাইয়ে দিচ্ছে আর আয়ানা চোখ ঘুরিয়ে নিজের আব্বি-আম্মি দি,বড় বাবা বড় মা পরিবারের সকল সদস্যের দেখছে।। সবার মুখে আনন্দের ছাপ তাকে কাছে পেয়ে।। জায়েদ আহাম্মেদ আর শীতল আহাম্মেদ এর মুখ থেকে হাসি সরছেই না।। শুধু মেয়েকে কাছে পেয়ে খুশি নয় ইরফানের প্রতিও বেশ খুশি তাঁরা।।। সকাল আটটার দিকে ইরফান আয়ানাকে নিয়ে আহাম্মেদ ভিলায় পৌঁছেছেন কুলে তখন আয়ানা ঘুমাচ্ছে।তাদের জন্য সকলে ড্রয়িং রুমে বসে অপেক্ষা করছিলো।। তাদের দেখে সবাই খুশী হয়ে এগিয়ে এসে কথা বলেন। ইরফান সকলের সাথে টুকটাক কথা বলে আয়ানাকে নিয়ে আয়ানার রুমে চলে আসে।।আর তাঁর সাথে আসা তেরো জন গার্ড এক এক করে নিজেদের হাতে থাকা অনেকগুলো গিফট , বিভিন্ন জিনিস টেবিলের উপর রেখে বাহিরে চলে যান ।।এতো গিফট দেখে সবাই অভাক হয় পরে,, সবাই হেসে সব গিফট গুছিয়ে রেখে দেন তাদের কাছে এটা জানা নতুন নয়।।।সকল গার্ড বাড়ির বাহিরে পাহাড়া, নিজেদের কাজে লেগে পরেন । ইরফান যেখানে যায় এদের নিয়ে যায় এবং প্রত্যেকের নির্দিষ্ট কাজ দেওয়া যেখানে থাকুক না কেনো একই কাজ করতে হয় তাদের।।এখানে একেক জনের একেক কাজ দেওয়া আর এদের কাজ বুঝানোর লিডার একজন।। ইরফান রুমে ঢুকে রুম দেখে স্মিত হাসলো।আয়ানার সারা রুম বেবি পিংক দিয়ে সাজানো। দেওয়ালর রং বেবি পিংক কালারের। ঘরের প্রত্যেক জিনিস যেমন বেড শিট,পর্দা, টেবিল ল্যাম্প, পুতুল সব বেবি পিংক।আয়ানার রুমটা বেশ বড় এবং গুছানো খুবই সুন্দর। ইরফানের বুঝতে সমস্যা হলো না এগুলো তাঁর জানের কাজ।রুমে একটা জিনিস বেশি তা হলো পুতুল।সারা রুমে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক গুলো পুতুল। বিছানার মাঝ বরাবর ঠিক আয়ানার সমান একটা বেবি পিংক কালারের পুতুল।। ইরফান জানে আয়ানা পুতুল পছন্দ করে তাই রুমের একটা সাইটে সব ধরনের নতুন পুতুল রেখেছে, ছোট খাটো একটা পুতুলের স্টল করে রেখেছে সে আয়ানার জন্য।বেশ বড় বড় পুতুল কিন্তু কখনো তা জড়িয়ে ধরতে দেয় না আয়ানাকে। ইরফানের একটাই কথা,, পুতুল পছন্দ আনিয়েছি তা দেখবে কিন্তু জড়িয়ে ধরবে না তুমি শুধু আমাকে জড়িয়ে ধরবে ঠিক আছে।।আয়ানা কিছু বলেনি শুধু মনে মনে ভেংগিয়ে বললো , পুতুল পছন্দ আনিয়েছি তা দেখবে কিন্তু জড়িয়ে ধরবে না তুমি শুধু আমাকে জড়িয়ে ধরবে ঠিক আছে হু,যদি ধরতেই না দেয় তো আনিয়েছে কেনো।।।
“ইরফান বিছানা থেকে পুতুল সরিয়ে আয়ানাকে শুইয়ে দেয়।।আয়ানাকে শুইয়ে দিয়ে পুতুলটা হাতে নিয়ে বিরক্তির সাথে এটি অন্য পুতুলের মাঝে রেখে দিল। না জানি আয়ানা কতোবার এটাকে জড়িয়ে ধরেছে, আবার চুমুও খেয়েছে ভাবতে ইরফানের রাগ হচ্ছে ভিষন।।।ইরফান পুতুল রেখে আয়ানার কপালে চুমু খেয়ে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আসে তারপর আয়ানাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে যায়।। এগারোটার দিকে দুজনের ঘুম ভাঙ্গে ,ফ্রেশ হয়ে বাড়ির সবার সাথে আয়ানা আড্ডা দেয়।।আয়ানা পরিবারের সবাইকে পেয়ে ভিষন খুশি। সকলের সাথে কিছু সময় আড্ডা দেয়।। নিজের রুমের প্রত্যেক জিনিস খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে কতো স্মৃতি জড়িয়ে আছে প্রত্যেক জিনিসে।পিনো টিনো তাকে দেখে ভিষন খুশি হয়েছে তাদের সাথে কথা বলেছে।।আয়ানার আনন্দ আয়ানার প্রত্যেক কাজ ইরফান মনোযোগ সহকারে দেখছে তাঁর মুখেও হাসি তাঁর জানের মুখে হাসি দেখে।।।
“ইরফান সকলের সাথে টুকটাক কথা বলেছে।হাসি মজায় কেটে যায় সারাদিন।।ইরফানের কাজে কথায় সবাই সন্তুষ্ট। সবচেয়ে বেশি খুশি জায়েদ আহাম্মেদ আর শীতল আহাম্মেদ মেয়ের মুখের হাসি বলে দিচ্ছে সে কতো খুশি।।আয়ানা সব মানিয়ে নিচ্ছে সবকিছু বোঝার চেষ্টা করছে এতেই অনেক।।আয়ানাকে ইরফান খাইয়ে দেওয়ার সময় ইরফান ধীরে ধীরে কিছু বলেছিলো যা শুনে আয়ানা ঠোঁট ফুলিয়ে রেখেছে তাদের বুঝতে বাকি নেই খাবারের জন্য তাদের গুনধর মেয়েকে জামাতা কিছু বলেছে তা দেখে হেসে দেন দু’জনে।। তাদের আয়ানার প্রতি ইরফানের শাসন অনেক ভালো লাগে।এমন জামাতা কে না চায় যে তাদের পর মেয়েকে সুখি রাখবে, ভিষন ভালোবাসবে, শাসন করবে, আগলিয়ে রাখবে যেমন তাঁরা এতো বছর রেখেছেন।।। জায়েদ আহাম্মেদ মুচকি হেসে শীতল আহাম্মেদের উদ্দেশ্যে বলেন,,,
—-দেখলে তো আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাচ্ছে।। আমি বলেছিলাম না সব ঠিক হয়ে যাবে। দেখো আমাদের প্রিন্সেসও মানিয়ে নিতে শুরু করেছে।। আল্লাহ সবার জন্যই বেষ্ট কিছুই রাখে শুধু ধৈর্য্য ধারণ করলে হবে সময় মতো সব পাবে।।।
—-হুম আমাদের মেয়ে সুখি হোক এই দোয়া করি,এর থেকে বেশী আমি কিছু চাই না।।আয়ানা আর ইরফানের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বললেন।।।।
“রাত সাড়ে দশটা বাজে।রাতের ডিনার করে ইরফান আয়ানা রুমে চলে এসেছে।। সারাদিন ইরফান তাঁর হাত ধরে রেখেছে বাড়ির মাঝে। মনে হচ্ছে ছাড়লেই সে হারিয়ে যাবে।। ওইখানে যেমন হাত ধরে রুম থেকে বের হতো আর কাজ শেষ করে উপরে চলে আসতো এখানেও তেমন শুধু ভদ্রতার খাতিরে টুকটাক কথা বলেন।। আবার জায়েদ আহাম্মেদ আর শীতলের সাথেও দুএকটা কথা বলে ওনাদের মনে বিশেষ জায়গা করে ফেলেছেন।।আয়ানা রেলিংয়ে হাত রেখে দাঁড়িয়ে চোখ বন্ধ করে প্রকৃতি উপভোগ করছে কতো দিন পর নিজ বারান্দায় দাঁড়ালো আগে এখানে না আসলে তাঁর ঘুমই হতো না।। খুব প্রিয় জায়গা তাঁর এটা,এখান থেকে আলোকিত ঝলমলে ঢাকার পরিবেশ দেখা যায়।।ঢাকার আসল সৌন্দর্যতো রাতের বেলায় ফুটে ওঠে।।যখন বিভিন্ন আলোয় আলোকিত হয় চারিপাশ।।।
🌸” ইরফান আয়ানাকে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হাতের তাওয়ালটা বিছানার উপর রেখে সেদিকে এগিয়ে যায়।।আয়ানাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ঘারের চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে মুখ ডুবিয়ে দিয়ে নেশা ভরা কন্ঠে বললো,,,,,
—–ভালোবাসি আয়ু জান। খুব ভালোবাসি আমার পিচ্চি পরীকে।।।
ইরফানের স্পর্শে কিছুটা কেঁপে উঠলো আয়ানা। বন্ধ চোখ জোড়া আরেকটু চেপে বন্ধ করে নিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগল।।।
( মহরমের জন্য রোজা রাখায় অনেক অসুস্থ হয়ে পরেছি তাঁর উপর মেহমান এসেছে বাড়িতে তাই ঠিক ভাবে গল্প দিতে পারছি না। আজকের পর্ব ঠিক ভাবে সাজাতে পারিনি কেমন জেনো খাপছাড়া হয়ে গেছে।ভেবেছি আজকে দিবো না কিন্তু সবার কথা ভেবে দিলাম। দেরি করে দেওয়ার জন্য দুঃখিত।। কালকে চেষ্টা করবো বোনাস পর্ব দেওয়ার জন্য সবাই গঠন মূলক মন্তব্য করবেন ধন্যবাদ ❤️)
#To_be_continued …….🌼
#হ্যাপি_রিডিং 🌸