বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ৩৯

0
615

#বিষাক্তময়_আসক্তি (The Villain 😈)
#Sumaiya_Akter_Mim
#পর্ব_৩৯………🌼

“বৃষ্টি এলো কাশবনে
জাগলো সাড়া ঘাসবনে
বকের সারি কোথায় যে
লুকিয়ে গেলো বাঁশবনে?
(”লেখক ফররুক আহমদ”)
“বাতাসের সাথে দুল খাচ্ছে কাশবনের কাশ ফুল গুলো।। মৃদু বাতাস গায়ে লাগতে চোখ দুটো বন্ধ করে নেয় আয়ানা,নাক দিয়ে জোরে নিঃশ্বাস টেনে নিয়ে প্রকৃতির গন্ধ উপভোগ করছে।।এই কাশবন তাঁর সবচেয়ে বেশি প্রিয়, এখানে আসলে সকল ক্লান্তি মন খারাপ সব এক নিমিষেই ভালো হয়ে যায়। বাংলাদেশে এসেছে আর তাঁর প্রিয় জায়গায় আসবে না হতেই পারে না।।আসার পর থেকেই মনটা আকু পাকু করছে এখানে আসার জন্য।। চারিদিকে লাইটিং করায় আশেপাশের জায়গা গুলো খুব সুন্দর ভাবে দেখা যাচ্ছে।। লাইটিং গুলো ইরফান গার্ডদের দিয়ে করিয়েছে।সব শুটিংয়ে দেখা যায় এমন লাইট জ্বালানো হয়েছে।। আয়ানা ইরফানের বুকে মাথা রেখে আকাশের ওই আধ সেঁটে চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে। অন্ধকার আকাশে হাজার তাঁরা মাঝে সে ভিনদেশী তবু কতো সুন্দর সবার মাঝে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে।।সেই চাঁদ যদি সব কিছুর সাথে মানিয়ে নিতে সক্ষম হয় তাহলে সে কেনো পারবে না সব মানিয়ে নিতে।।”

“গাড়ির ডিভাইনের উপর এক হাত মাথার পেছনে রেখে শুয়ে আছে ইরফান।।আর তাঁর বুকে মাথা রেখে দূরের আকাশের দিকে তাকিয়ে চন্দ্রবিলাস করছে তাঁর প্রিয়তমা।। বাতাসের ঝাপটানোতে বার বার এলোমেলো করে দিচ্ছে তাঁর প্রিয়তমার লম্বা চুল গুলো আলতো হাতে বারবার ঠিক করছে কোনো বিরক্তি নেই তাঁর মুখে। চুলের ঝাপটানিতে বরাবরই আবেশে চোখ বুজে নিচ্ছে সে।।। তাঁর প্রিয়তমার মুখের সৌন্দর্যের কাছে ওই দূরের আকাশের চাঁদ কিছুই না।। তাদের দেখে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে আছে গার্ডরা এদিক সেদিক হেঁটে বন্দুক নিয়ে পাহারা দিচ্ছে।।। ইরফান আয়ানাকে আরেকটু গভীরভাবে জড়িয়ে ধরল,আয়ানার চুলে মুখ গুজে চুলের ঘ্রাণ নিতে লাগলো।আয়ানা ইরফানের বুকে হাত চেপে ধরে চোখ বন্ধ করে নেয়।।‌
তখন ইরফান যখন আয়ানাকে জড়িয়ে নিজের আবেগময় কথা বলছিল তখন আয়ানা হঠাৎ করে বলে উঠলো,,,

—-আমি কাশবন যেতে চাই।।
আয়ানার কথা শুনে ইরফান আয়ানার ঘার থেকে মুখ তুলে অবাক চোখে আয়ানার দিকে তাকিয়ে বলল,

—-এতো রাতে তুমি কাশবন যেতে চাও।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে।।

—-হুম।। এতো রাত কোথায় মাত্র এগারোটা বাজতে চললো।।আর এখান থেকে কাশবন বেশি দূর নয় ঠোঁট উল্টিয়ে।।‌
ইরফান আয়ানার ঠোঁট উল্টানো দেখে হেসে দিলো।।আয়ানার কোমরে হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে রেলিংয়ের ওপর বসিয়ে শক্ত করে কোমর জড়িয়ে ধরল।।আয়ানা সাপোর্ট হিসাবে ইরফানের গলা জড়িয়ে একবার নিচের দিকে তাকালো বেশি ওপর নয় ডুপলেক্স বাড়ি আয়ানাদের।।। ইরফান আয়ানার গাল ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে আয়ানার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল,,

—-এতো রাতে কাশবন কেনো যেতে চাইছো মেরি জান?

—-চন্দ্রবিলাস করতে মৃদু হেসে।।।
আয়ানার কথা ইরফান মুচকি হেসে পকেট থেকে মোবাইল বের করে গার্ডদের বলে দেয় সব ব্যবস্থা করতে।।। ইরফানের কথা মতো কিছু গার্ড আগে গিয়ে সব ব্যবস্থা করে আসে।

“গার্ড কল করতে ইরফান আয়ানার হাত ধরে বাড়ি থেকে বের হতে একজন গার্ড গাড়ির দরজা খুলে দেয় ইরফান আয়ানাকে বসিয়ে দিয়ে নিজে ও পাশে বসে পরে।।গাড়ি ছুটে কাশবনের দিকে,রাতের বেলায় এখন রাস্তায় তেমন গাড়ি নেই কয়েকটি গাড়ি ব্যতিত।।আয়ানার চোখ দুটো খুশিতে চকচক করছে।‌একমনে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে, তাঁর ঘুরতে অসাধারণ লাগে এখন কিছুদিন যাবত যতোটা ঘুরেছে এর আগে কখনো এতো ঘুরার সুযোগ হয়ে উঠেনি তাই তাঁর মুখ থেকে মৃদু হাসির রেখাটা জেনো সরছেই না।।রাতের ঢাকা খুবই সুন্দর।ঢাকা ঘুরতে চাও রাতের বেলায় বের হবে কারন দিনের বেলায় এই ব্যস্ত শহর মানুষের ভিড়ে নিরিবিলি পরিবেশে খুঁজে পাবে না সাথে তা উপভোগ ও করতে পারবেনা উল্টো পাবে গিজগিজ মানুষের পরিবেশ,শব্দ দূষণ বিরক্তিকর ট্রাফিক জ্যাম কথাগুলো ভেবে আনমনে হেসে দেয় আয়ানা।”
লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।।।।

“হঠাৎ গার্ডের আওয়াজে আয়ানা চোখ খুলে তাকালো।।।গার্ড মাথা নিচু করে একটা বড় বাক্স নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।আয়ানা উঁকি মেরে দেখল এক বাক্স হাওয়াই মিঠাইয়ে পরিপূর্ণ।।হাওয়াই মিঠাই দেখে আয়ানা চিৎকার করে বললো,,,,

—-হাওয়াই মিঠাইইই!এতো রাতে, কীভাবে?অভাক হয়ে।।
ইরফান আয়ানার কথায় বাঁকা হেসে বলল,,,,
—আমার জানের পছন্দ সেটা যতো যাই হোক না কেনো ইচ্ছে করার আগে পেয়ে যাবে।। ইরফানের কথা শুনে আয়ানা সোজা হয়ে বসে মৃদু হাসলো। বাক্সে নানা রঙের হাওয়াই মিঠাইয়। ইরফান গার্ডকে ইশারা করতে আয়ানার সামনে মিঠাইয়ের বাক্স এগিয়ে দিলো।।‌

—-যতোগুলো ইচ্ছে নিয়ে নেও আয়ানার অবাধ্য চুল গুলো কানের পেছনে গুজে দিয়ে।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা খুশি মনে বাক্স থেকে দুই হাত দিয়ে বেশ কিছু মিঠাই নিতে চাইলে ইরফান বাঁধা দিয়ে বলে।
একদিনে এতো মিঠাই খেলে পেট ব্যথা করবে আয়ু। সাথে তুমি মোটাও হয়ে যাবে বাঁকা হেসে।।‌ইরফানের কথা শুনে আয়ানা মুখ ফুলিয়ে বললো,,

—-একদমি না আমি এর আগেও অনেক হাওয়াই মিঠাই খেয়েছি আমার খুব প্রিয় এটা খেলে পেট ব্যথা আর মোটা কোনোটাই হবে না আপনি মিথ্যা কথা বলছেন হাত দিয়ে সাতটা হাওয়াই মিঠাই নিয়ে।।‌

—-আয়ু এতো রাতে তুমি সাতটা হাওয়াই মিঠাই খাবে। তোমার পেট ব্যথা করবে তুমি পরে খাবে।। সব তো তোমরি জন্য এখন দুটোর বেশি একটাও নয়।হাত ধরতে গেলে আয়ানা ঠোঁট উল্টিয়ে বললো,,,

—-আ-আপনি আমাকে খাবারের খোঁটা দিচ্ছেন কাঁদো কাঁদো গলায়।।।
আয়ানার কথা শুনে ইরফান হা করে তাঁর দিকে তাকিয়ে আছে। এই মেয়ে বলে কি সে নাকি তাকে খাবার খোঁটা দিচ্ছে। ইরফান গলা ঝাড়া দিয়ে আয়ানার মাথাটা নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে হেসে বলে,,

—তোমার যতোগুলো খেতে ইচ্ছে করে তুমি ততো গুলো খাবে ঠিক আছে জান।আয়ানার হাতে কয়েকটা হাওয়াই মিঠাই আরোও দিয়ে বললো।।

—–সব হাওয়াই মিঠাই তোমার মেরি জান তোমার যতোগুলো ইচ্ছে ততোগুলো খাবে প্রয়োজনে আরো নিয়ে আসা হবে।গার্ডের হাতের বাক্সটা ডিডাইনের উপর রেখে বললো।।‌
আয়ানাও আর কথা বাড়ালো না।। ইরফান হাওয়াই মিঠাইয়ের কাগজ খুলে দিতে খুশি মনে গোলাপী রঙের হাওয়াই মিঠাই খেতে লাগলো।।একটার পর একটা হাওয়াই মিঠাই খাচ্ছে আর ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে আছে আয়ানা ইরফান কে খেতে বললে ইরফান খাবে না বলে দেয় আয়ানা জানে ইরফান বাহিরের খাবার খায় না তাঁর কাছে এসব প্রচন্ড অপছন্দের খাবার।।আয়ানাকেও এসব খাবার খেতে দেয় না শুধুমাত্র আয়ানার মন ভালো করার জন্য এসব করা।।‌ পাঁচটা হাওয়াই মিঠাই খাওয়ার পর আরেকটা নিতে যাবে তখন ইরফান বলে উঠে,,

—-ব্যস আয়ু আর নয় এখন চটপট এটা খেয়ে নাও গার্ডের হাত থেকে ঔষুধ নিয়ে।।।আয়ানা ঔষুধ দেখে মুখ কুঁচকে নিলো ধিরে গলায় বলল,

—-এটা কিসের ঔষুধ আমি খাবো না। আমি আরেকটা হাওয়াই মিঠাই খাবো বলে আরেকটা হাওয়াই মিঠাই নিতে যাবে ইরফানা হাত ধরে টান মেরে নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে। হঠাৎ এমন হওয়াই আয়ানা চোখ খিচে বন্ধ করে ফেলে।। ইরফান আয়ানার মাথা চেপে ধরে বলল,

—-একদম নড়াচড়া করবে না পিচ্চি তাহলে কিন্তু খারাপ হবে বলে আয়ানার গাল চেপে ঔষুধ খাইয়ে মুখ চেপে ধরে যাতে ফেলতে না পারে।আয়ানা চোখ মুখ খিচে ঔষুধ খেয়ে নিলো। ইরফান পানির বোতল থেকে আয়ানাকে পানি খাইয়ে দিয়ে টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে দেয়।।। ইরফান গার্ডকে ইশারা করতে গার্ড চলে যায়। ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে দেখে আয়ানার চকলেট কালার ঠোঁট দুটো হাওয়াই মিঠাই খাওয়ার ফলে কিছুটা গোলাপি কালার রং ধারণ করেছে, ইরফান নেশাগ্ৰস্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আয়ানার ঠোঁটের দিকে।।।
আয়ানা ইরফানের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ইরফানের দিকে তাকাতে চমকে কিছুটা পিছিয়ে যায়। ইরফান একদম আয়ানার মুখের কাছে চলে এসেছে।আয়ানা ভয় পেয়ে কিছুটা পিছিয়ে যেতে নিলে ইরফান খপ করে আয়ানার কোমর জড়িয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।।আয়ানা মাথা নিচু করে শক্ত করে চোখ বুজে নেয়, ইরফানের ঘন ঘন নিঃশ্বাস আঁচড়ে পরছে আয়ানার মুখে।।ইরফান অন্য হাত দিয়ে আয়ানার ঘারে শক্ত করে ধরে মুখটা আরেকটু কাছে নিয়ে আসে।আয়ানার কাঁপা কাঁপা ঠোঁট দুটোর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে কোনো ভনিয়াতা না করে আয়ানার ঠোঁটের বাজে নিজের ঠোঁট মিলিয়ে দিলো।।
লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।।

————————————————————

“সকাল বেলা থেকে সারা আহাম্মেদ ভিলায় বিয়ের কাজকর্ম শুরু হয়ে গেছে।।সবাই নানা কাজে ব্যস্ত,বিয়ে বলে কথা।। শীতল বেগম আর সামিয়া বেগম মহিলাদের কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছে আপজাত বাড়ির লোকদের বেশি একটা কাজ নেই।সব ব্যবস্থা ইরফান করে দিয়েছে।। ইরফানের গার্ডরা সব কাজ দেখে নিচ্ছে,ফটাফট সব কাজ করে দিচ্ছে। ইরফান বিয়ের কাজের জন্য বাহিরে থেকে অনেক লোক আনিয়েছে ।বিয়ে হবে ঢাকার সবচেয়ে বড় কমিউনিটি সেন্টারে সেখানের লোকেরাই সব কাজ করে দিচ্ছে তাই কাজ নিয়ে কারোর কোনো মাথাব্যথা নেই সবাই টুকটাক কাজ করছে।।। বাড়িতে তেমন আত্মীয় স্বজন নেই আশেপাশের প্রতিবেশী কিছু রিলেটিভি আর আকাশের কিছু আত্মীয় স্বজন।।আয়ানাদের বাড়ির কিছু সংখ্যক মেহমান যারা এসেছে সবাইকে বাড়ির পাশের গেস্ট হাউসে রাখা হয়েছে।।

“আজকে তুতুলের মেহেন্দী, কালকে হলুদ,তারপর দিন বিয়ে, এরপর দিন রিসিপশন। আজকে মেহেন্দী উপলক্ষে বাড়িতে বড় করে আয়োজন করা হয়েছে।সারা বাড়ি ফুল লাইটিং দিয়ে সাজানো হচ্ছে।।আয়ানা সকাল আটটা দিকে ঘুম থেকে উঠে সকলের সাথে নাস্তা করে আবার ঘুমিয়ে পরেছে, ঘুমিয়ে পড়েছে বললে ভুল হবে তাকে জোর করে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে।।। বাড়িতে তুতুলের বিয়ে উপলক্ষে বাহিরের লোক জন এসেছে তাই ইরফান আয়ানাকে রুম থেকে বের হতে দেয়নি। বাহিরে কারোর সাহস নেই আয়ানার দিকে চোখ তুলে তাকানোর কিংবা ক্ষতি করার তবুও ইরফান আয়ানাকে রুম থেকে বের হতে নিষেধ করেছে।তারওপরে গতকাল খুব দেরি করে ঘুমানো হয়েছে তাই আয়ানাকে জোর করে আবার ঘুমাতে বাধ্য করেছে ইরফান।।

🌸”সবার কাজ প্রায় ঘনিয়ে এসেছে।ডেকরেশনের লোকেরা কাজ শেষ করে আজকের জন্য বিদায় নিয়ে নিজেদের পারিশ্রমিক নিয়ে চলে গিয়েছে।। সন্ধ্যায় হওয়ার আগেই সব কাজ শেষ।মেহেন্দী অনুষ্ঠানের উপলক্ষে সব কাঁচা হলুদ আর সবুজ রঙ দিয়ে সাজানো হয়েছে।।।সাড়া বাড়ি হলুদ সবুজ রঙের ফুল জর্জেটের কাপড় দিয়ে সাজানো হয়েছে। লাইটিং গুলো পর্যন্ত হলুদ সবুজ রঙের করা হয়েছে।। অসম্ভব সুন্দর লাগছে চারিদিক।দূর থেকে আজকে যেই আহাম্মেদ ভিলা দেখছে সেই বলছে অসাধারণ সুন্দর লাগছে বাড়িটা।।।
সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় লাগছে স্টেইজটা । হলুদ রঙের জর্জেটের লেইস দিয়ে সম্পূর্ণ স্টেইজ সাজানো এতে লাগানো আছে সবুজ আর সাদা রঙের ফুল আর ছোট ছোট লাইট।।।বেশ কিছুক্ষণ আগে পার্লারের মেয়েরা এসে তুতুলকে সাজাতে লাগলো।।তুতুলের খুব ইচ্ছে ছিল আয়ানা তাঁর পাশে থাকবে দুই বোন একই রকম সাজবে আর অনেক অনেক ছবি তুলবে কিন্তু না আয়ানা শুধু ইরফানের অনুমতি নিয়ে একবার এসেছিল ইরফান তাঁর পাশেই ছিল।। ইরফানকে দেখে ওই দিনের কথা মনে পরে যায় যখন সে আয়ানাকে পালাতে সাহায্য করেছিল। এখন ইরফান যদি জানতে পারে কিংবা তাকে কিছু করে তাহলে কি হবে।।এই ভয়ে এসি রুমে তরতর করে ঘামছে তুতুল।। ইরফান তুতুলের অবস্থা দেখে বাঁকা হেসে বলল,,,,

—-আয়ু তোমার দি কে গিফট গুলো দিবে না।।নাও দাও বলে আয়ানার হাতে কয়েকটা গহনার বাক্স ধরিয়ে দিয়ে।।।আয়ানা ইরফানের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে গহনা গুলো নিয়ে তুতুলের দিকে বারিয়ে দিয়ে বললো,,,

—-দি এগুলো তোমার জন্য।তুতুল আয়ানার চমৎকার হাসির দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে একবার ভিতু চোখে ইরফানের দিকে তাকিয়ে গহনার বাক্স গুলো নিলো।‌‌
ইরফান গার্ডের হাত থেকে কয়েকটা শপিং ব্যাগ নিয়ে আয়ানার হাতে দিতে আয়ানা সেইগুলো তুতুলকে দিলো।।।আয়ানা গহনা গুলো দেওয়া শেষ হলে ইরফান আয়ানার গালে হাত রেখে বলল,,,,

—-আয়ু তুমি বাহিরে দাঁড়াও আমি তোমার দি-য়ের সাথে জরুরি কিছু কথা বলে আসছি। ইরফানের কথা শুনে তুতুল চমকে গেলো। মনে মনে ভাবতে লাগলো কি কথা বলবে ইরফান তাঁর সাথে।।।আয়ানা ইরফানের উদ্দেশ্য করে বলল। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।।

—আমি আরেকটু থাকি দি-য়ের পাশে ।দি তৈরি হলে চলে আসবো।।‌

—-না।।। একটু পরে আবার নিয়ে আসবো এখন তুমি তৈরি হবে। তৈরি হয়ে তারপর আসবে ঠিক আছে।।।

—-হুম। মাথা নাড়িয়ে তুতুলের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে রুমের বাহিরে চলে যায় আয়ানা।।‌
আয়ানা চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে তুতুল ঢোক গিলে কপালের ঘাম মুছে নিলো। কাঁপা কাঁপা গলায় ইরফানকে কিছু বলবে তাঁর আগে ইরফান গম্ভীর গলায় তাকে বসতে বললো।। ইরফানের কথা শুনে ভয়ে চট করে বসে পরলো সে।। ইরফান তুতুলের সামনে পায়ের উপর পা তুলে বসে পরলো।।।
তুতুল ভয়ে এবার কাঁপুনি শুরু হয়ে গিয়েছে।।সে ধীরে গলায় বললো,,,

—-দুঃখিত ভাইয়া আমি বুঝতে পারিনি আমার অনেক বড় অন্যায় হয়ে গিয়েছে দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন।।আমি সত্যি বুঝতে পারিনি। আমি আয়া,,,,,,,,তুতুলকে থামিয়ে দিয়ে ইরফান গম্ভীর গলায় বলে উঠলো,

—-তুমি কী ভেবেছো তুমি আমার জানকে আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দিবে আর আমি বুঝতে পারবো না ওওওও তুতুল তুমি আর আয়ু দুজনেই খুব বোকা।। আমার কথা ছাড়া যেখানে একটা পোকা স্থান বদলাতে ভয় পায় সেখানে তুমি আমার জান থেকে আমাকে দূরে সরিয়ে দিবে হা কি বোকা তুমি। ।। তোমার সাহসের তারিফ করতে হয় কি বলো?দাঁতে দাঁত চেপে বললো ইরফান।।‌

ইরফানের কথা শুনে তুতুল ভয়ে থরথর করে কাঁপতে লাগলো।। আজকে তাঁর কি অবস্থা করবে ইরফান ভাবতেই তাঁর গা কাঁটা দিয়ে উঠছে ।। ইরফান থেকে কিছু লুকানো সম্ভব নয় আর জানতে পারলে কি হবে সেই ভয় এতো দিন ধরে মনে পুষে রাখছিলো তুতুল! এখন তাঁর কি হবে?জম তো তাঁর সামনে বসে আছে।।।‌
(বোনাস পর্ব দেওয়ার ইচ্ছে ছিল কিন্তু কলেজে সার্টিফিকেট আনার জন্য যেতে হয়েছে সেখানেই সারা দিন শেষ হয়ে গিয়েছে কিন্তু সার্টিফিকেট আনতে পারিনি।।।। আগামীকাল আবার সার্টিফিকেট জন্য কলেজ যেতে হবে।।।পরে কোন একদিন সময় করে বোনাস পর্ব দিবো।‌।।।।যাদের গল্প ভালো লাগবে না ইগনোর করবেন অহেতুক বাজে মন্তব্য করবেন না। আমি সকলের দিক বিবেচনা করে গল্প দেই কারোর ভালো লাগবে কারোর লাগবে না তাই বলে বাজে মন্তব্য করবেন তা ঠিক না। ভালো না লাগলে গল্প ইগনোর করুন আপানাদের একটা কমেন্ট যেমন লেখার মনোবল বাড়িয়ে দেয় আবার একটা কমেন্ট গল্প লেখার মনমানসিকতাই নষ্ট করে দেয় তাই বলছি পছন্দ না হলে গল্প পরবেন না ধন্যবাদ।। সবার গঠন মূলক মন্তব্য আশা করছি কেউ next লিখবেন না গল্প লিখা হলে গল্প পেয়ে যাবেন।।।)
#to_be_cotinued……….🌼
#হ্যাপি_রিডিং🌸

লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম✵

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here