বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ৩৫

0
634

#বিষাক্তময়_আসক্তি (The Villain 😈)
#Sumaiya_Akter_Mim
#পর্ব_৩৫………….🌼

“বাড়ির সবাই একসাথে বসে সকালের নাস্তা করছে।আয়ানা ইরফানের পাশে বসে আছে আর ইরফান মনোযোগ সহকারে তাকে খাইয়ে দিচ্ছে।।।আয়ানা খাবার মুখে নিয়ে বিরক্তির সাথে চিবোচ্ছে আর আশেপাশে সবাইকে দেখছে।এটা তাঁর রোজকার কাজ,সবাই মনযোগ দিয়ে খাবে আর সে খাবার খাওয়ার পাশাপাশি সবাইকে দেখবে কারন সবার মতো সে নিজ হতে খায় না ইরফান তাকে খাইয়ে দেয় তাই তাঁর চিবানো ছাড়া আর দেখা ছাড়া কোনো কাজ নেই।।। আজকে ইরফান তাকে নতুন ধরনের খাবারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে যা আয়ানা আগে কখনো খায় ও নি এবং নাম ও জানা নেই তাঁর।। কিছু দিন পরপর আয়ানার খাবার মেন্যু বদলাচ্ছে ইরফান।। তাঁর নাকি সব ধরনের পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন।তাই প্রতি দিন যতোসব উদ্ভট খাদ্য তাকে গিলানো হয় তাকে। ভেবেই আয়ানার মুখটা ফাটা বেলুনের মতো চুপসে যায়।।।আয়ানা বারবার ইরফানকে মাথা নাড়িয়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে প্রকাশ করছে সে আর খাবে না কিন্তু ইরফান সেদিকে পাত্তা না দিয়ে তাকে খাইয়ে যাচ্ছে।।

“আয়ানা যতোটুকু খাবার প্রয়োজন ততটুকুই কখনো খায় না সবসময় খাবারে প্রতি তাঁর অনিহা সেই ছোটবেলা থেকে তাঁর খাবার দেখলেই পেট ভরে যায় সে আর কী খাবে বড্ড খাবারের প্রতি তাঁর অনিহা যার ফলে তাঁর শরীর ও প্রচন্ড দুর্বল ।।।।।তাই ইরফান আয়ানাকে রোজ রোজ জোর করে পরিমাণ মতো খাবার খাওয়া যা আয়ানার কাছে মনে হয় অনেক বেশি কিন্তু ইরফানের ভয়ে কিছু বলতে ও পারে না।।। ইরফান আয়ানার ইশারা পাত্তা না দিয়ে নিজের মতো করে খাইয়ে যাচ্ছে।।।।।আয়ানা ইরফান থেকে পাত্তা না পেয়ে হাত গুটিয়ে টেবিলের সবাইকে দেখতে লাগলো।।। সবাই ইরফানের মতো ঘাস লতাপাতা খায়।। সাফিয়া শুধু অন্য খাবার খাচ্ছে সে এসব ইংলিশ খাবার খেতে পারে না মাঝে মাঝে ইরফানের ভয়ে তাকে ও খেতে হয় এসব।।।

“এক বাটি মশলা ছাড়া আধ সিদ্ধ নুডলস্,ডিমের মিল্কশেক, হাল্কা লবন ছিটানো আধ বাজা সবজি আর ও কি কি যা আয়ানা নাম যানে না কিন্তু সব আধ সিদ্ধ খাবার।।এসব খাবার খেয়ে আয়ানা পেটে হাত রেখে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর একটু পরপর নিচে পেট দেখছে বড় হয়েছে কিনা!না ঠিক আছে, সে ভেবেছিল আজকে খাবার খেয়ে পেট ফুলে সে মারা যাবে না অনেক কষ্টে সে বেঁচে আছে কিন্তু এসব খাবার খেয়ে একটুও নড়ার শক্তি পাচ্ছে না সে, তাকে এতো খাইয়েছে।।‌আয়ানা মনে মনে ইচ্ছে মতো ইরফান কে বকে দিলো।।। ইরফান খাবার খাচ্ছে আর বলছে,,

—-মনে মনে বকা শেষ হলে পেট থেকে হাত নামিয়ে ফেলো! তোমার পেট ফাটবে না ।।।বলে ইরফান আবার খাওয়ায় মনোযোগ দেয়। ইরফানের কথা শুনে সবাই আড় চোখে আয়ানার দিকে তাকালো,তা দেখে আয়ানা ঠোঁট উল্টিয়ে সবার দিকে তাকিয়ে আবার ইরফানের দিকে তাকালো তাঁর ইচ্ছে করছে এই এরোগেন্ট ভিলেনটার মাথা ফাটিয়ে দিতে কিন্তু সে নিরুপায় তাই গোলগোল চোখে চারিপাশ দেখতে লাগলো।।।এই বাড়িতে এক সে আর ইসহাক যে নিজের হাতে খাবার খায় না।।‌ইসহাক ধীরে ধীরে ভবিষ্যতে ভালভাবে চলতে শিখলে ও কখনো নিজ হাতে কিছু করতে পারবে না খেতে চেষ্টা করলে ও খেতে সময় লাগবে।।।আয়ানার ইসহাকের জন্য খুব মায়া হয় এমন অসুস্থতার জন্য কিন্তু সে তো সুস্থ তাকে কেনো এমন অসুস্থদের মতো খাইয়ে দেয় আবার এতো এতো অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ায় তাকে এটা কি ঠিক আয়ানা মনে মনে ভাবলো।।।।

ইরফান আয়ানাকে ইসহাক এর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে রুমাল দিয়ে ঠোঁট মুছে আয়ানার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো।।‌ইরফান আয়ানার মুখে হাত দিয়ে নিজের দিকে ঘুরালো হঠাৎ এমন হওয়া আয়ানা চমকে তাঁর দিকে তাকিয়ে আছে।। ইরফান আয়ার দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞাসা করলো,,,

—-ওই দিকে কী দেখছো ইসহাক এর দিকে ইশারা করে।। তুমি আমি ব্যাতিত অন্য কাউকে দেখবে না সেটা যেই হোক দাঁত কিরমির করে।।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা শুকনো ঢোক গিলে বললো,,,
—-আমি তো ভাবছি কিছুটা তোতলিয়ে।।‌
—–কী ভাবছিলে ভ্রু কুচকিয়ে আয়ানার দিকে কিছুটা ঝুঁকে।।‌
—-না মানে ভাবছিলাম যে–ভাবছিলাম যে ইসহাক ভাইয়া তো অসুস্থ।।।
—-হুম ‘ত’ ?আয়ানার দিকে গভীর ভাবে তাকিয়ে।।। ইরফানের ‘ত’ কথা শুনে আয়ানা মিনমিন করে বললো।
—-আমি কী ভাইয়ার মতো অসুস্থ যে আপনি আমাকে খাইয়ে দেন রোজ।।এক নিঃশ্বাসে বলে ফেললো।।‌
ইরফান আয়ানার কপালে ফু দিয়ে বাম হাত দিয়ে আয়ানার চুল গুলো কানের পেছনে গুজে দিয়ে বললো,
—-ভাই অসুস্থ তাই অকে খাইয়ে দিতে হয় তাই তাকে খাইয়ে দেয় ! আর তুমি তোমার পিচ্চি হাত দিয়ে খেতে পরবে না আর পারলে ও আমি তোমাকে খেতে দিবো না তাই এমন অজুহাত কখনো দিবে না আর নিজ হাতে খাবে বলে কখনো জিদ ও করবে না গট ইট! শান্ত গলায়।।।
—-জ্বি !গাল ফুলিয়ে।।
—-গুড মুচকি হেসে আয়ানাকে ছেড়ে দিলো।।।

______________________________

“কালো আর লাল রঙের শাড়ি পরে সোফায় বসে আছে তুতুল তাঁর সাথে বসে আছে আকাশ সামনের সোফায় জায়েদ আহাম্মেদ মিসেস শীতল আর আকাশের বাবা মা বসে কথা বলছে।। গতকাল রাতে আকাশ ক্যাম্প থেকে ফিরে এসেছে।তাই আজ দুপুরে চলে এসেছে বাবা মাকে নিয়ে তুতুল কে সম্পূর্ণ ভাবে নিজের করে নেওয়া জন্য কথা বলতে সে আর নিজের বউ থেকে দূরে থাকবে না তাই যতো তাড়াতাড়ি পারে তুতুলকে সব নিয়মকানুন মেনে ধুমধাম করে আবার বিয়ে করে নিয়ে যাবে।।। দুই পরিবার বিয়ের ডেইট ঠিক করেছে আগামী শুক্রবার। অনেক আত্মীয় স্বজন বলতে হবে বিয়ের আয়োজন সব মিলিয়ে এই দিন টা ঠিক করেছে।

—-এক সপ্তাহ পর তুমি সম্পূর্ণ ভাবে আমার হয়ে যাবে মাই লাভ।তুতুলের কানে কানে আস্তে করে বললো।।
আকাশের কথা শুনে তুতুল লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলে তা দেখে আকাশ বাঁকা হেসে বলতে লাগলো।

—-লজ্জা পেয়ে লাভ নেই সুন্দরী।সব লজ্জা বাসর রাতে জন্য তুলে রাখো বলে চোখ টিপ মারলো।।
আকাশের লাগামহীন কথা শুনে তুতুলের ইচ্ছে করছে মাটি ভেতরে ঢুকে যেতে।।তুতুল আকাশের হাতে জোরে চিমটি দেয়।।

—- আহ্হ্হ্হ্ । আকাশ হাত ধরে চিৎকার দেয় তা শুনে সবাই উত্তেজিত হয়ে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে।। আকাশ হাত ঢলতে ঢলতে বললো,,

— জংলি বিড়াল আঁচড় কেটেছে তুতুলের দিকে তাকিয়ে।‌‌। আকাশের কথা শুনে সকলে হেসে দিলো।তুতুল কটমট করে আকাশের দিকে তাকাতে সে বত্রিশ পাটি দাঁত বের করে হাসতে লাগলো তা দেখে তুতুল ক্ষেপে চোখ সরিয়ে নিলো।।

“ইরফানের পায়ে ধরে বসে আছে একটি লোক মাথা থেকে ঘাম ঝরে পরছে তাঁর সারা শরীরে।। এতোটাই ভয় পেয়েছে সে ভয়ের কারনে কথা বলতে পারছে না। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে আর নিজের প্রানের ভিক্ষা চাচ্ছে ইরফানের কাছ থেকে।। রুমের মাটিতে পরে আছে তাঁর সাথে আসা তিন জন লোক রক্তাত অব্যস্থায়, কিছুক্ষণ আগে তাদের জীবন পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছে এখন তাঁর পালা। সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে আজকে নিজের জীবন দিতে হবে তাকে।। আজকে তাঁর মনে হচ্ছে পাপ বাপকেও ছাড়ে না এই উক্তিটি।। কেনো যে সে জেনে শুনে বাঘের খাঁচায় পা দিলো ওই বিচ্ নিজাম উদ্দিনের ভাতিজা নিশান উদ্দিনের কথায়।।”

“সোফায় সাফিয়ার পাশে বসে আছে আয়ানা তাঁর থেকে একটু দূরত্ব বজায় রেখে বসেছে সে।।সাফিয়া কে গোলগোল চোখে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করছে আয়ানা।।। সাফিয়ার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম,শাড়ির আঁচলে বারবার আঙ্গুল পেচছে সে তাদের থেকে এক হাত দূরে বসে আছে ইসহাক বোউয়ের অবস্থা দেখে মিট মিট করে হাসছে সে হাতের খেলনা গাড়িটার চাকা খুলছে আর লাগাচ্ছে ।‌।।‌‌

–কিছুক্ষন আগে, ইরফানের একটি জরুরি মিটিং থাকায় সে আয়ানাকে সাফিয়ার সাথে থাকতে বলেছে।‌।। এখন থেকে ইরফান যখন তাঁর কাছে থাকবে না কাজে থাকবে তখন আয়ানা রুমে কিংবা বাড়ির সদস্যদের সাথে থাকতে পারে এটা জানিয়েছে সে।‌ইরফান এর সাথে মিটিং করার জন্য বাড়িতে চার জন ক্লাইন্ট এসেছে। তাদের সাথে সে বাড়িতে নিজের মিটিং রুমে মিটিং করবে তাই আয়ানাকে সাফিয়ার সাথে থাকতে বলেছে।। সাফিয়া কে আয়ানার খেয়াল রাখার কথা বলতে সাফিয়া বললো,,,

—-চল আয়ু।ব্যস এতোটুকুই! ইরফান আয়ানার কপালে চুমু খেয়ে যেতে নিয়ে সাফিয়ার মুখে আয়ু ডাক শুনে হুংকার দিয়ে পাশের ফ্লাওয়ার ভাস টা ভেঙ্গে ফেলে আর সাফিয়া কে উদ্দেশ্য করে বলে,,
—-এই নামে আর একবার উচ্চারণ করলে তোমাকে আমি কী করবো তুমি ভাবতে ও পারবে না।এই ভুল যেনো না হয় বুঝতে পেরেছোওও জোরে চিৎকার করে।।‌
ইরফানের চিৎকার শুনে আর ইরফানের রাগি রূপ দেখে ভয়ে থরথর করে কাঁপছে সাফিয়া।। ইরফানের সামনে আসতে পর্যন্ত সে ভয় পায় এই বাড়িতে সবচেয়ে যাকে সে ভয় পায় সে হলো ইরফান।। ইরফান ভালোর ভালো কিন্তু রেগে গেলে কাউকে খুন করতেও সে পিছু পা হবে না।। বাড়িতে এবং বাহিরের এমন কেউ নেই যে তাকে ভয় পায় না।।। সাফিয়া ভেবে পায় না আয়না কী ভাবে এতো ভিতু হয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ অবস্থায় একই রুমে ইরফানের সাথে সে থাকে।।‌সাফিয়া ইরফানের কথা শুনে জোরে জোরে মাথা নাড়িয়ে বলে ঠিক আছে।।।অন্য দিকে আয়ানা ইরফানের গগন কাঁপানো চিৎকার শুনার আগেই চোখ কান চেপে বন্ধ করে ফেলেছে কারন সে জানতো এমন কিছু হবে তাই।।আয়ানা যখন ইরফানের স্পর্শ দ্বিতীয় বার তার কপালে পেলো ধীরে ধীরে নিজের চোখ এবং কান থেকে হাত নামিয়ে নিলো।‌‌ইরফান আয়ানার গালে হাত রেখে বললো,,,

—-এখানে চুপটি করে বসে থাকবে কেমন।একদম নড়বে না।।আর ছুটোছুটি করবে না আমি উপরে মিটিং রুমে আছি প্রয়োজন হলে কল করবে আমি এক ঘন্টা ত্রিশ মিনিট পর ব্যাক করছি।।।
আয়ানা ও ইরফানের কথা শুনে মুচকি হেসে মাথা নাড়ায়।‌ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে চলে যায় উপরে যাওয়ার আগে সাফিয়ার দিকে তাকিয়ে রাগি লুক নিক্ষেপ করে তা দেখে সাফিয়ার যায় যায় অবস্থা।।‌সাফিয়ার অবস্থা দেখে বড্ড হাসি পাচ্ছে আয়ানার সে সময় মতো চোখ কান বন্ধ করে ফেলেছিল।।। ভালো বুদ্ধি ছিল এটা।।। এমন সময় ইসহাক এসেছিল আয়ানার সাথে গাড়ি গড়ি খেলার জন্য কিন্তু বৌ কে এমন ভাইয়ের হাতে ধমক খেতে দেখে আয়ানার কাছে না গিয়ে নিজে নিজে খেলতে লাগল।।‌‌

“আয়ানা সাফিয়া কে স্বাভাবিক করার জন্য সাফিয়ার সাথে কথা বলতে লাগলো।।সাফিয়া ও আয়ানার সাথে আস্তে আস্তে আড্ডায় মেতে ওঠলো।।।

“অন্যদিকে ইরফান নিজের পা দিয়ে লাথি মেরে তাঁর পায়ে ধরে বসে থাকা লোকটিকে মারলো এতে করে লোকটি দূরে ছিটকে পরলো।‌ইরফান একটা চেয়ারে উপর পায়ের উপর পা রেখে বসে বাঁকা হেসে লোকটিকে উদ্দেশ্য করে বললো,,,

—-বড্ড সাহস তদের কিন্তু তাঁর সাথে বড্ড বোকা ও বটে।।তা নাহলে আমার হাতে মরার জন্য এতো দূর আমার বাড়ি পর্যন্ত চলে এলি।।।কী ভেবেছিস আমার বাড়ি থেকে আমার জানের ক্ষতি করতে আসবি আর আমি বুঝতে পারবো না এই এতো টুকু ক্ষমতাবান ভাবেছিস আমাকে। ইরফান জোরে হাসতে লাগলো তা দেখে লোকটি আরো গুটিয়ে গেলো।। ইরফান নিজের হাসি থামিয়ে কটমট করতে করতে বললো,,,তোরা আমার বাড়িতে ছদ্মবেশে আসবি আর আমি তোদের চিনত পারবো না ভেবেছিলি।।তোরা কি ভেবেছিস ইরফান খানের বাড়িতে এতো সহজে ঢুকতে পারা আবার তাঁর সাথে মিটিং করার এসব প্ল্যান করে আসা আমার জানের ক্ষতি করা সব কিছু আমি জানতে পারবো না।নোপ বেবস্ নোপ আমি সব জানি তাইতো তোদের কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় নি আমার কাছে আসতে বিকজ আমি তোদের এখানে আনতে চেয়েছি।। এখন শেষ বারের মতো দোয়া পরে নেয় তোকে ও যে তোর বাকি তিনজন সাথির সাথে উপরে যেতে হবে নিচে পরে থাকা লাশ গুলো দেখিয়ে।।‌‌বলে রহস্যময় হাসি ফুটে উঠে তাঁর মুখে।।

লোকটা ভয়ে চারিদিকে একবার তাকিয়ে দেখলো চারপাশে গার্ডে পরিপূর্ণ সকলের হাতে বন্দুক।‌নিচে ও আছে এখান থেকে তাঁর মৃত দেহ ছাড়া আর কিছু বের হবে না।।তাই সে কিছু না ভেবে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে গার্ডদের ধাক্কা দিয়ে বের হয়ে শিড়ি বেয়ে নিচে নেমে পরে তাঁর পেছন পেছন গার্ডরা নিচে ছুট লাগালো।। একজন গার্ড কন্ট্রোল রুমে কল করে সব গার্ডদের বলে এলার্ট হতে।। সবাই তাঁর কথায় বাড়ির ভেতরে চলে আসে।। ইরফান রাগে থরথর করে কাঁপছে।‌সে দাঁড়িয়ে বড় বড় পা ফেলে নিচে নেমে আসে।।
নিচে নেমে যা দেখে এতে করে ইরফান ওইখানেই দাঁড়িয়ে যায়।।।‌ তাঁর কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে।। হার্ট বিট খুব দ্রুত চলছে মনে হচ্ছে এই বুঝি প্রানটা দুনিয়ার মায়া ছেড়ে দিবে।।।



#To_be_continued…….🌼

(সকলের গঠন মূলক মন্তব্য আশা করছি ধন্যবাদ ❤️)
#হ্যাপি_রিডিং।।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here