বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ৫১

0
605

#বিষাক্তময়_আসক্তি(The Villain 😈)
#Sumaiya_Akter_Mim
#পর্ব_৫১…………🌼

“বাড়ির মেইন ফটকের কাছে পৌঁছাতে হাসির আওয়াজে থেমে যায় ইরফান ভ্রু জোড়া আপনাআপনি কুঁচকে আসে তাঁর।বাড়ির ভেতর থেকে হাসাহাসি আর কথার আওয়াজ আসছে আর হাসির আওয়াজ আর কারোর না আয়ানার ,বেশ কিছুক্ষণ চারিদিকে পরোক্ষ করে হলরুমে প্রবেশ করে থেমে যায় সে।। চোখ মুখের ভাব শান্ত করে তাকিয়ে আছে সামনে বসা থাকা আয়ানার দিকে।।

“হলরুমের মাঝ বরাবার ক্যারাম বোর্ড রেখে এর চারপাশে গোল হয়ে বসে আছে আয়ানা তাঁর সামনে ইমরান খান আর দুই পাশে আসফিয়া খান আর সাফিয়া।
সবাই হাঁসি হাঁসি মুখে ক্যারাম খেলছে। শুধু বেচারি সাফিয়ার মুখ কালো করে রেখেছে, কারন সে গেইমে হারতে চলেছে। সবচেয়ে খুশি দেখাচ্ছে ইমরান খান আর আয়ানাকে দুজনের খুশি জেনো উপচে পড়ছে। দুজনের সমান সমান স্কোর।আয়ানা হাঁসি হাঁসি মুখে সাফিয়ার উদ্দেশ্য করে বলল,,

—-সাফিয়া দি তুমি তো এখন হেরে কানা হয়ে যাবে কী হবে তোমার হেসে দিয়ে ।।
আয়ানার কথা শুনে সবাই হেসে দিল। সাফিয়া মুখ ছোট করে বললো,,

—-আমি ক্যারাম খেলতে পাড়ি না।তাই এমন হয়েছে। কখন খেলি পর্যন্ত।মন খারাপ করে।
ইরফান পকেটে হাত দিয়ে শান্ত ভাবে তাকিয়ে আছে । কারোর খেয়াল নেই সেদিকে র্সাভেন্ট আর গার্ডরা ভিতু চোখে তাকিয়ে আছে তাঁর দিকে।
লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম। হঠাৎ ইমরান খানের নজরে পরলো ইরফানকে আর সাথে খেলা বন্ধ করে ছেলের দিকে তাকিয়ে রইল তাঁর দৃষ্টি অনুসরণ করে একে একে সবাই ইরফানের দিকে তাকালো আর নিজেদের খেলা বন্ধ করে ঢোক গিলে ভিতু চোখে ইরফানের দিকে তাকিয়ে রইল , আয়ানার সেদিকে হুঁশ নেই সে আপন মনে নিজের গুটি গণনা করতে ব্যস্ত আজকে এই গেইমে তাঁর জিত পাক্কা। ইরফান শান্ত ভাবে এখনো আয়ানার দিকে তাকিয়ে আছে এমন তাকানো দেখে সবার ভয় আরো বেড়ে গিয়েছে।সবাই নিজেদের খেলা বাদ দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পরলো। ইরফান বাড়িতে কোনো রকম আওয়াজ, হৈচৈ পছন্দ করে না আর এখানে তাঁর নিজের বউ হৈচৈ, বাচ্চাদের মতো লাফালাফি করছে তা ভেবে সবার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে গিয়েছে।।। কাশ্মীরের ছোট ছোট বাচ্চারা পর্যন্ত ইরফান সামনে থাকলে হৈচৈ করে না ভয়ে।। সকলকে স্টেচু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আয়ানা সামনের দিকে তাকিয়ে ইরফানকে দেখতে পেয়ে কিছুটা ভয় পেয়ে যায় ভয়ে স্তব্ধা খেয়ে গুটিসুটি মেরে বসে আছে। ইরফান কোনো কিছু না বলে বড় বড় পা ফেলে আয়ানার কাছে এসে তাকে কোলে তুলে নিয়ে উপরে চলে গেল,সবাই ওদের যাওয়ার দিকে ভিতু চোখে তাকিয়ে রইল।।

“ইরফান আয়ানাকে নিয়ে নিজেদের রুমে এসে নামিয়ে দিল।আয়ানা কিছু বলতে যাবে তাঁর আগে ইরফান থমথমে গলায় বলে উঠলো,,

—এতো চেঁচামেচি হৈচৈ করছিলে কেনো? আমি নিষেধ করেছিলাম তোমাকে হৈচৈ না করতে তোমার পুনরায় গলায় সমস্যা হতে পারে। বলেছিলাম কিনা। শান্ত গলায়।।
আয়ানা মাথা নিচু করে মাথা নাড়িয়ে হ্যা বললো।তা দেখে ইরফান আবার বললো,,,

—-Then why were you shouting!
(তাহলে কেনো চিৎকার চেঁচামেচি
করছিলে)।

—আমার ভালো লাগছিল না এইভাবে বসে থাকতে তাই সবার সাথে গেইমস খেলছিলাম।হাত কচলে।।
ইরফান কিছু বলতে গিয়েও বললো না।আয়ানার কোমর জড়িয়ে ধরে কপালের চুল কানে গুজে দিয়ে বললো,,,

—-তুমি মাত্র সুস্থ হয়েছো তাই এখন এতো জোরে আওয়াজ করা ঠিক নয় মেরি জান।।

—-আমি তো চিৎকার চেঁচামেচি করিনি জাস্ট খেলছিলাম সাফিয়া দি আর আব্বি আম্মির সাথে ।গাল ফুলিয়ে।

—-ওকে ফাইন। মুচকি হেসে গাল টেনে দিয়ে।
আয়ানা মুখ গোমড়া করে বললো,,

—-আপনি আমাদের সাজানো গেইমটা নষ্ট করে দিয়েছেন।জানেন আরেকটু হলেই আমি জিতে যেতাম।‌। দুঃখি দঃখি মুখ করে।
ইরফান হেসে দিয়ে বললো,

—-কিছু হবে না!আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি। কপালে চুমু খেয়ে।

“ইরফান ফ্রেশ হয়ে আয়ানাকে নিয়ে নিচে নেমে আসে। ইমরান খান, আসফিয়া খান সোফায় বসে চা খাচ্ছে অন্য সোফায় তুতুল ইসহাককে খাইয়ে দিচ্ছে আর ইসহাক একটা কাগজে রং পেন্সিল দিয়ে ছবি আঁকছে আর সাফিয়া কে তা দেখাছে। নিজেদের ছোট পরিবারের ছবি অঙ্কন করছে যেখানে তাঁর আর সাফিয়ার মাঝে ছোট একটি বাচ্চাও আছে তা দেখে সাফিয়া হেসে দিল ।‌‌।
ইরফান আয়ানা নিচে নামতে একজন র্সাভেন্ট তাদের সামনে নাস্তা এগিয়ে দিলো।।

“ধোঁয়া উঠানো ব্ল্যাক কফির মগে চুমুক দিলো ইরফান তাঁর পাশে বসে আয়ানা হট চকলেট খাচ্ছে।।সবাই প্রতিদিন মাগরিবের নামাজ পড়ে হলরুমে বসে একসাথে সন্ধ্যার নাস্তা করেন । দুপুরে তুতুল কল দিয়েছিল তাঁর সাথে কথা বলে জানতে পেরেছে কিছুদিন বাদে সেখানে পহেলা বৈশাখ আর যেহেতু তুতুল নতুন তাই তাঁর শশুর বাড়ীর পহেলা বৈশাখ উদযাপন নিয়ে খুব এক্সাইটেড সে ।ইরফানদের এখানে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়না এখানে সবাই নিজেদের ধর্ম খুব সুন্দর সুশৃঙ্খল ভাবে পালন করে তাই এখানে এসব উৎসব হয়না। কিন্তু বাংলাদেশে খুব বড় করে বৈশাখ উদযাপন হয় আয়ানারাও প্রত্যেকবার অনেক আনন্দ করে বৈশাখে যেমন সকালে নতুন কাপড় পরে বেশ সেজে গুজে সকাল সকাল পান্তা, ইলিশ মাছ, বেগুন ভাজা, পায়েস,নানা আইটেমের খাবার খাওয়া আর সবাই মিলে বাড়িতে ছোট খাটো ফেমিলি টুগেদার করা মাঝে মাঝে বাবাকে রিকোয়েস্ট করে মেলায় ঘুরতে যাওয়া।। যেহেতু আয়ানার ফেমিলিও বেশ ধার্মিক নিজেদের ধর্ম যথানিয়মে পালন করে তাই এসব বৈশাখ অনুষ্ঠান তেমন পালন করে না তবুও বাচ্চাদের খুশির জন্য একটু আকটু করা।। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।আয়ানাকে অন্যমনস্ক দেখে ইরফান কফির মগ ছোট টেবিলে উপর রেখে আয়ানার দিকে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞাসা করল,,

—-কী হয়েছে মেরি জান।কী ভাবছো।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা ভাবনা জগত থেকে ফিরে আসে। মিনমিনে গলায় বললো,,,

—-আচ্ছা আপনাদের এখানে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয় না তাই না।না মানে বাংলাদেশে অনেক বড় করে উৎসব করা হয় তাই বলছি।তুতুল দি’দের বাড়িতেও উদযাপন হবে। মন খারাপ করে।
ইরফান আয়ানাকে শক্ত করে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয় বললো,,,

—-তোমার কী পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে ইচ্ছে করছে আয়ু জান।।

—-হুম। কিন্তু আপাদের এখানে তো এসব করা হয় না।

—-আমার জানের ইচ্ছে হয়েছে সবসময় না হলেও এবার হবে আমি ব্যবস্থা করতে বলে দিবো।আমরা এসব বৈশাখ উদযাপন করি না কিন্তু এখানে বসবাসরত অনেক বাঙালি এই সংস্কৃতি অনুষ্ঠান নিজেদের মতো উদযাপন করে। তোমার যখন ইচ্ছে করছে তাহলে বৈশাখ উদযাপন করা হবে খুশি।।
আয়ানা খুশি হয়ে মুখে হাঁসি রেখা ফুটিয়ে বললো,, অনেক।
ইরফান আয়ানার গাল টেনে দিলো।আয়ানা মৃদু হেসে হট চকলেটের মগে পুনরায় চুমুক দিলো।।‌

🌸🌸
“ভালোবাসা একটি পাখি।যখন খাঁচায়
থাকে তখন মানুষ তাকে মুক্ত করে
দিতে চায়‌।আর যখন খোলা আকাশে
ডানা ঝাপটাতে দেখে তখন খাঁচায়
বন্দী করতে চায়।”
(হুমায়ূন আহমেদ)

“ইরফানের বুকের উপর নিজের সম্পূর্ণ শরীর এলিয়ে দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের বইয়ে মুখ গুজে আছে আয়ানা। তাঁর পছন্দের একজন মানুষ হুমায়ূন আহমেদ স্যার। তাঁর লেখা প্রত্যেকটি উক্তি তাঁর খুব পছন্দের, ভালোবাসা নিয়ে এমন কিছু লিখা যা মন ছুঁয়ে যায়। ইরফান আয়ানার মাথার চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আর এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তাঁর পরীর দিকে।দিন দিন আরোও দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভালোবাসার পাগলামো গুলোও দিনকে দিন বেড়েই চলেছে কোনো থামাথামি নেই। কিন্তু রাগটা দমে যায় তাঁর ছোট পরী পাশে থাকলে।এখন বুকের উপর এমন করে শুয়ে আছে একটা আদুরে বিড়াল ছানার মতো লাগছে একদম আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে বই পড়ছে।বই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে নিজের পা দিয়ে ইরফানের পা পর্যন্ত মেপে দেখছে ইরফানের পায়ের পাতা পর্যন্ত ছুঁতে পারছে না আয়ানার পা।আয়ানার পা ইরফানের হাঁটুর বেশ কিছুটা নিচ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।। আয়ানা বই থেকে মুখ তুলে ইরফানের দিকে তাকালো ইরফান এখনো ঘোর লাগানো দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তাঁর দিকে।আয়ানা বই বন্ধ করে পাশে রেখে দিয়ে দুই হাত ইরফানের বুকে বাজ করে এর উপর থুতনি রেখে ইরফানের চোখের দিকে তাকিয়ে বলল,,

—-আপনি সবসময় এতো কী দেখন আমার মাঝে, মনে হয় খুব ইম্প্রটেনট কিছু আমার মুখে লেখা আছে। মজা করে। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম। ইরফান নিজের মাথার নিচে এক হাত রেখে অন্য হাত দিয়ে বারবার আয়ানার চোখে মুখে পরা অবাধ্য চুল গুলো কানের পেছনে গুজে দিচ্ছে। মৃদু হেসে বললো,,,

—-তোমার মুখে আমার বেঁচে থাকার মানে খুঁজে পাই তাই তাকিয়ে থাকি। চোখের তৃষ্ণা মেটাই যেই তৃষ্ণা কখনো মেটার নয় তাই বারবার তাকিয়ে থাকি। তোমার মুখের হাসিতে নিজের সুখ খুঁজে পাই তাই ওই মুখটা দেখতে থাকি সবসময়।এই মুখ দেখে সারা জীবন হাঁসি মুখে অতিবাহিত করতে পারবো আমি । গালে স্লাইট করে।
ইরফানের কথাগুলো মুগ্ধ হয়ে শুনছে আয়ানা কথার মাঝে অদ্ভুত নেশা জড়ানো । ইরফান আয়ানার গালে হাত রেখে বললো,ভালোবাসি পিচ্চি পরী।আয়ানা ইরফানের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল,,,

—-আমিও ভালোবাসি মি.এরোগেন্ট ম্যান। বুকে মাথা গুঁজে।আয়ানার কথা শুনে ইরফান হেসে দিলো।আয়ানা মাথা তুলে জিজ্ঞাসা করলো,,,

—-আচ্ছা আপনি আমাকে সবসময় পিচ্চি পরী কেনো বলেন সেই প্রথম থেকে মনে হয় আমি সত্যি আপনার পিচ্চি কালের হারিয়ে যাওয়া পিচ্চি পরী।। ‌হেসে দিয়ে।
আয়ানার কথা শুনে ইরফান চুপ করে গেলো, শান্ত ভাবে আয়ানার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললো,,,

—-তুমি আমার পিচ্চি পরীজান।যাকে আমি অনেক ভালবাসি নিজের জীবনের চেয়েও বেশি। কোনো বাধা আর আমাদের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারবেনা। আমি কোনো বাধা আসতে দিবো না আমাদের মাঝে। আয়ানাকে দুই হাত দিয়ে বুকের সাথে মিশিয়ে গম্ভীর গলায় বললো।।।‌আয়ানা ইরফানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কিছু না বুঝে বলে উঠলো,,,

—আমিও আর আপনাকে কখনো ছেড়ে যাবো না। আমিও আপনাকে খুব বেশি ভালোবাসি।।।
ইরফান মনে মনে বলতে লাগে,,,

—- ভবিষ্যতের চিন্তা করে অতীত ধোঁয়াশা থাকাই ভালো ‌।।
আয়ানা বেশ কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর বলে উঠল,,,

—-আপনি না খুব লম্বা একদম বট গাছের মতো। আমি শুধু আপনার বুক বরাবর তাই আপনি আমাকে পিচ্চি বলে ডাকেন তাই না!
আয়ানার কথায় হুঁশ ফিরে আসে ইরফানের।সে বাঁকা হেসে বললো,,,,

—–তুমিতো বিড়াল ছানা তাই ছোট।আর আমি মানুষের ছানা তাই এতো বড়।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা রেগে গিয়ে ইরফানের বুকে ঘুসি মেরে বললো,,,,

—-কী আমি বিড়াল ছানা! আপনি আমাকে বিড়াল ছানা বললেন। মুখ ফুলিয়ে।
ইরফান আয়ানাকে রাগতে দেখে হেসে দিয়ে বললো,,,

—-তো নয়তো কী। তুমি হচ্ছ চল্লিশ কেজির বড়সড় বিড়াল ছানা যে খেতে নিলে দশবার নাক ছিটকায়, অল্প খেলে বলে পেট ভরে গিয়েছে আর খেতে পাড়ছি না এখনি ফেটে যাবে।ভেঙ্গ করে।
ইরফানের কথায় আয়ানা আরো রেগে গিয়ে ইরফানের বুকের উপর চেপে বসে কোমরে হাত রেখে রাগি গলায় বলে,,,,

—আমি মোটেও এমন করি না আর বিড়াল ছানাও না।আমি হচ্ছি দ্যা কিউট সুইট আয়ানা খান মি.ইরফান খানের বউ। বুঝেছেন।নাক ফুলিয়ে।।
আয়ানার কথা শুনে ইরফান হেসে দিয়ে বললো,,,,

—-তাই!

—-জ্বী।ভাব নিয়ে।
আয়ানার রিয়েকশন দেখে ইরফান হেসে দিয়ে নাক টেনে দিল আয়ানাও হেসে দিলো। ইরফানের বুকে পুনরায় মাথা রেখে শুয়ে পড়লো। ইরফান মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আয়ানা বুকে মাথা রেখে নানা কথা বলছে আর ইরফান তা হাঁসি মুখে শুনছে।।।
(গল্পটা কেমন হয়েছে সবাই গঠন মূলক মন্তব্য করবেন ধন্যবাদ সবাইকে 💞)

#To_be_continue
#Happy_Reading……..🦋

লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম✵

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here