বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ৫৩

0
538

#বিষাক্তময়_আসক্তি(The Villain 😈)
#Sumaiya_Akter_Mim
#পর্ব_৫৩………🌼

“সাদা রঙের পাঞ্জাবিতে ছিটে ছিটে রক্তের দাগ হাতের গ্লাভস দুটো মেখে গেছে রক্তে, দাঁড়ালো ছুড়ি থেকে টুইটুম্বর রক্তে লাল হয়ে গিয়েছে সবুজ ঘাস গুলো। সামনে লোকটা এতোক্ষণে ছটফট করে নিজের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে সেদিকে তাকিয়ে পৈশাচিক হাঁসি ফুটে উঠলো ইরফানের মুখে। বাঁকা হেসে গার্ডদের ইশারা করতে দুই দিকের দুজন গার্ড সরে যায় আর লোকটা ঠাস করে আওয়াজ করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ইরফান ছুড়িটার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে হাঁটু গেড়ে বসে স্যামের লাশের সামনে ঠোঁট বাঁকিয়ে অদ্ভুত হেসে বলে উঠলো,,,,

—-এখানে আসা প্রত্যেকটা জিনিস আমার নিয়মে চলে, আমার অনুমতি ছাড়া কিছুই হয় না এখানে। আমার দৃষ্টিকোণের বাহিরে কিছু হওয়া অসম্ভব আর সেখানে দুদিনের গুন্ডা হয়ে দ্যা ইরফান খানের সাথে লাগতে এসেছিস তাঁর উপরে তাঁরই শহরে তাঁরই প্রাসাদে কী ভয়ংকর মজার বিষয় তাই না একদম বাঁধিয়ে রাখার মতো। ভেঙ্গ করে। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।
জীবনে অনেক বোকা দেখেছি কিন্তু নিশান উদ্দিন আর তাঁর পোষা কুকুরদের মতো বোকা পৃথিবীতে দুটো হয় না তাই ধীরেসুস্থে মজা না নিয়ে মারতে একদমই ইচ্ছে করে না । উচ্চস্বরে হেসে দিয়ে।।
হঠাৎ হাসি থামিয়ে চোখ মুখ শক্ত করে হিংস্র হায়েনার মতো লোকটার মৃত বুকে আরো কয়েকবার ছুড়ি আঘাত করে চিৎকার করে বলে উঠলো,,,তোর সাহস কী করে হয় আমার থেকে আমার কলিজা আলাদা করার পরিকল্পনা করার, আমার জানকে আলাদা করার চেষ্টার মতো জঘন্য অপরাধ করার।।।আমি দেখতে চাই তোর ভেতরে বসবাস করা দুঃসাহসের যা দিয়ে আমার কাছ থেকে আমার মেরি জানকে দূরে সরানোর মনোবল এসেছে দেখতে চাই আমি ।সাহস কী করে হলো আমার জানের ক্ষতি করার চেষ্টা করার। সোজা হয়ে উঠে জোরে লাথি মেরে।। ইরফানের হিংস্রতা দেখে উপস্থিত সকল গার্ড ভয়ে কাঁপছে ইরফানের রাগ কন্ট্রোলের বাহিরে চলে গিয়েছে।।। ইরফান ছুরি দিয়ে আবার আঘাত করতে যাবে তখন পেছন থেকে কিছু পরার আওয়াজে হুঁশ ফিরে আসে রাগে ঘার ঘুরিয়ে পেছনে তাকিয়ে ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায় তাঁর।।। চোখ মুখের হিংস্রতা বদলে গিয়ে এক রাশ ভয় আর কিছু হারানোর ভয় ফুটে উঠে।ঢোক গিলে ধিরে পায়ে এক পা এক পা করে সামনে এগিয়ে যায় সে।

“সোজা রোবটের মতো দাঁড়িয়ে আছে আয়ানা চোখের পলক পরছে না জেনো।বড় বড় চোখ দুটো থেকে জলের ধারা বের হয়ে আসছে, ভিতু চোখমুখ সাথে শীতল হয়ে পরছে শরীরটা বারবার অবশ হয়ে আসচ্ছে দুই হাতে খামচে রেখেছে শাড়িটা। থরথর করে কাঁপছে দৃষ্টি তাঁর সামনে উপস্থিত হওয়া তাঁর ভালোবাসার হিংস্র রুপের উপর একবার নিচে পরা মৃত্যু ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে ভিতু চোখে ইরফানের দিকে তাকালো বারবার দৃষ্টি যাচ্ছে হাতের দাঁড়ালো রক্তে লাল ছুরিটার উপর। ইরফান চটজলদি দূরে ছুরিটাকে ছুড়ে মারে আর কাঁপা কাঁপা গলায় কিছু বলতে যাবে তাঁর পূর্বেই আয়ানা কিছু পা পিছিয়ে যায় তা দেখে ইরফানের ভয় আরো গাঢ় হয়ে গিয়েছে সে আরোও কিছু কদম এগিয়ে আসতে নিলে আয়ানা টলটলে শরীর নিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,,,

—-ম-মাডার আবার মাডার করেছেন আপনি। ভালো না আপনি আ-আপনি খুব খারাপ।আই হেইট ইউ। ভয়ে জোরে জোরে কান্না করে দিলো সে। কী হচ্ছে কোনো দিশে নেই তাঁর সে শুধু এদিক সেদিক তাকাচ্ছে আর পাগলের মতো ব্যবহার করছে ,বিরবির করে বলছে মাডার করেছেন খুনি আপনি ।চোখের পানিতে ল্যাপ্টে গিয়েছে চোখের কাজল গুলো ।আয়ানার কথা গুলো ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে ইরফানের বুক স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সে।আয়ানার প্রতিটা কথা তাঁর প্রতি ঘৃনা,ভয় শেষ করে দিচ্ছে তাকে। ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে এমন কথা কতোটা ক্ষতবিক্ষত করে শুধু ইরফান বুঝতে পারছে সে যতোবার এগিয়ে যায় ততোবার আয়ানা পিছিয়ে যাচ্ছে তা দেখে নিজেকে নিজের কাছে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করছে ইচ্ছে করছে সব তছনছ করে দিতে। কিছুক্ষণ আগেও সব ঠিক ছিলো তাদের মাঝে, কিছুক্ষণ আগেও আয়ানা তাকে নিজের ভালোবাসার কথা বলছিল। তাহলে কি আবার আগের মতো হয়ে যাবে তাদের সম্পর্ক আয়ানা কী আবার তাকে ভয় পেয়ে আগের মতো দূরে সরিয়ে দিবে তাহলে তো সে শেষ হয়ে যাবে।।। সে তো ভালোবাসা রক্ষার্থে এমন করেছে, ভালোবাসা রক্ষার্থে হিংস্র হয়েছে।আয়ানা কী বুঝবে তাকে নাকি আগের মতো দূরে সরিয়ে দিবে। আয়ানাকে জাপটে ধরে বুকে বয়ে যাওয়া রাগ,ভয় দূর করতে ইচ্ছে করছে কিন্তু সে কিছু করতে পারছে না। ইরফান নিজেকে শান্ত করে আয়ানাকে কিছু বলতে যাবে তাঁর পূর্বেই আয়ানা ভয় পেয়ে দৌড়ে সেখান থেকে চলে যায় ইরফানও কোনো দিকে না তাকিয়ে ছুট লাগালো আয়ানার পেছন পেছন।আয়ানা দূরে এসে নিজেদের রুমে প্রবেশ করে, রুমের সোফার পেছনে বসে হাঁটুর মাঝে মুখ ঢেকে ডুকরে কেঁদে উঠলো অসম্ভব ভাবে কাপছে তাঁর শরীর।।।
/লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম/

“কিছুক্ষণ পূর্বে🌸
—-সাফিয়া দি আমার ভালো লাগছে না বসে থাকতে চলো না একটু ঘুরে দেখি সব কিছু।ওনি তো আসছে না আর কতোক্ষণ এই ভাবে বসে থাকব। ঠোঁট উল্টিয়ে।।
আয়ানার কথা শুনে সাফিয়া হেসে বললো,,,

—-ভাইয়া এখনি চলে আসবে আর এখান থেকে একদম নড়াচড়া করতে নিষেধ করেছে না হলে আমার অবস্থা নাজেহাল করবে তুই প্লিজ নড়াচড়া করিস না।
সাফিয়ার কথা শুনে আয়ানা ঠোঁট ফুলিয়ে অন্য দিকে তাকালো তা দেখে সাফিয়া হেসে ইসহাককে খাইয়ে দিতে লাগলো হঠাৎ করে ইসহাক বমি করতে শুরু করলো তা দেখে সাফিয়া আয়ানা ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছে বাড়ির সব সদস্যেরা চলে এসেছে সাফিয়া তো রিতিমত কেঁদে দিয়েছে। অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার ফলে বমি হয়ে যায় ইসহাকের তাই সবাই মিলে তাকে বাড়ি নিয়ে যায় গার্ড ইসহাকের বরাদ্দকৃত ডাক্তারকে কল করে আসতে বলেছে।ডাক্তার আসার পর ইসহাকে চেকআপ করে ঔষুধ খাইয়ে চলে গেল সাফিয়া ইসহাকে ঘুম পাড়িয়ে দিলো।।।আয়ানা আসফিয়ার সাথে করে বাগানের দিকে পুনরায় চলে আসে ইসহাক অসুস্থ বলে মেহমানদের বৈশাখ উপলক্ষে আনা গিফট গুলো দেওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ করে দিলো।।।

বেশ অনেকক্ষণ হওয়ার পরও যখন ইরফান আসছে না তা দেখে আয়ানা যেদিকে ইরফানকে যেতে দেখেছিল সেদিকে পা বাড়ায় কিন্তু তাকে তিনজন গার্ড আটকিয়ে দিলো তিনজনের মাঝে একজন মাথা নত করে বলে উঠলো,,,,

—ম্যাম ঔ সাইটে স্যারের মিটিং চলছে আপনার কিছু প্রয়োজন হলে আদেশ করুন আমরা করে দিচ্ছি।।।
আয়ানা বেশ বিরক্ত হয় এমন বন্দি জীবন কাটাতে। যেখানে যাবে এদের থেকে কৈফিয়ত দিতে হবে , আটকাবে কোনো স্বাধীনতা নেই বিরক্তিকর।আয়ানা চোখ ছোট করে গাল ফুলিয়ে বললো,,,,

—-আমার কিছু লাগবে না শুধু আপনাদের স্যারের কাছে যেতে দিলে হবে বলে এগোতে নিলে অন্যজন ভিতু গলায় তারাতাড়ি করে বললো,,,

—প্লিজ ম্যাম এমন করবেন না তাহলে স্যার আমাদের গর্দান নিবে। মাথা নিচু করে।‌

—-কিছু হবে না আমি আপনাদের স্যারকে বলে দিবো যাতে কিছু না করে। এইবার তো যেতে দিন। অসহায় ভাবে।‌
গার্ডগুলো ঢোক গিলে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে।আয়ানার কথা মাথা নিচু করে শুনছে। হঠাৎ জোরে চিৎকার শুনতে পেয়ে আয়ানা ঘাবড়ে গিয়ে বলল,,,

—-কী হয়েছে?কে চিৎকার করলো বলে গার্ডদের আর কিছু করার সুযোগ না দিয়ে দৌড়ে চিৎকারে উৎস করে ছুটে যায়।আয়ানাকে ছুটে যেতে দেখে গার্ডরা ভয়ে একে অপরের দিকে তাকিয়ে আয়ানার পেছন পেছন ছুটলো কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি তাঁর পূর্বেই আয়ানা পৌঁছে গিয়েছে।।‌

“ইরফান একটা লোককে বারবার ছুড়ি আঘাত করছে কি নির্মম ভাবে আহাত করছে তা দেখে আয়ানা শিহরে উঠে। আবার খুন আবার ইরফানের হিংস্রতা যা আয়ানার ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।আয়ানা বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে সামনে ঘটে যাওয়া নির্মম ঘটনার দিকে। আশেপাশে কিছু তাঁর হুঁশ নেই মনে হচ্ছে পৃথীবিতে থেকেও নেই সে শরীর কেমন অবশ হয়ে আসছে চোখ টেনে রাখতেও কষ্ট হচ্ছে তবুও সোজা হয়ে ঢুলুমুলু চোখে তাকিয়ে আছে।রক্তে ফোবিয়া থাকায় রক্ত দেখার সাথে সাথে হাত পা ঝমে গিয়েছে ঠান্ডায় অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তাঁর ভালোবাসার দিকে কী করে করছে ইরফান এমনটা। কারোর কথা কিছুই শুনতে পারছে না শুধু রোবটের মত স্থির হয়ে তাকিয়ে আছে শরীর নেতিয়ে পড়ে যেতে নিলে পাশের বড় মাটির টপে হাত রেখে সাপোর্ট নিলো।। ইরফান এতোটাই ব্যস্ত ছিলো মাডার করতে পেছনে আয়ানার উপস্থিত বুঝতে পারেনি লাস্ট আঘাত করার সময় যখন আয়ানা ভয়ের চোটে পরে যেতে নিলে টপ আঁকড়ে ধরবে তাঁর আগেই হাতের ধাক্কায় টপটি মাটিতে পরে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যায়। হঠাৎ পেছনে এতো জোরে আওয়াজ হওয়াতে ইরফানের হুঁশ ফিরে আসে পেছনে আয়ানাকে দেখতে পেয়ে ঘাবড়ে যায় সে।।। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।।
“বর্তমান,,, ইরফান রুমে প্রবেশ করে শান্ত ভাবে এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখলো রুমের বড় সোফাটার পেছন থেকে কান্নার আওয়াজ আসছে সেদিকে তাকিয়ে আস্তে করে রুমের দরজাটা আটকিয়ে ধীরে পায়ে কাবার্ডের কাছে গিয়ে আস্তে করে একটা কালো গেঞ্জি আর টাওজার নিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রক্ত মাখা ড্রেস চেঞ্জ করে বের হয়ে সোজা আয়ানার সামনে চলে আসে। হাঁটুর উপর মুখ গুজে ফুঁপিয়ে কাঁদছে আয়ানা তাঁর সামনের খালি অংশে হাঁটু গেড়ে বসে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল ইরফান তাঁর আয়ু জানের দিকে কেমন অগোছালো লাগছে মেয়েটাকে, কিছুক্ষণ আগেও হাসি মজায় লাফিয়ে বেরিয়েছে সারা বাড়ি জুড়ে। আয়ানার এমন অবস্থা দেখে বুকে চিনচিন ব্যথা অনুভব করছে ইরফান আলতো হাত আয়ানার মাথায় রাখলো।।‌

“নিজের মাথায় কারোর হাতের স্পর্শ পেতে মাথা তুলে ভিতু চোখে সামনে তাকালো।আয়ানার লাল লাল ফোলা চোখে আর কেঁদে লাল হওয়া মুখ দেখে ইরফান শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল তাঁর দিকে আলতো হাতে গালে স্পর্শ করতে যাবে তাঁর আগে আয়ানা ভয়ে ছিটকে সরে গিয়ে সোফার সাথে চেপে লেগে যায় ভয়ে হাত দিয়ে মুখ চেপে আরো জোরে জোরে চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো হাত পা অসম্ভব ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে তা দেখে ইরফান ঘাবড়ে গিয়ে তারাতাড়ি করে ড্রয়ার থেকে ঔষুধ এনে জোর করে খাইয়ে দিল। ইরফান কাছে আসলে আয়ানা ছটফট শুরু করে দেয় এলোমেলো ভাবে ইরফানের বুকে থাপ্পর মারতে থাকে আর চিৎকার করে বলতে লাগলো,,, আপনি খুনি আপনি মাডার করেছেন, আপনি আমাকেও মেরে ফেলতে চাইছেন আমি থাকবো না আরো নানা কথা বলে ইরফানকে আঘাত করতে লাগলো। ইরফান স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল আয়ানার দিকে।‌ আয়ানার দুই হাত শক্ত করে ধরে জড়িয়ে ধরলো আয়ানাকে নিজের বুকের সাথে,আয়ানা ছটফট করছে তাই আরো শক্ত করে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরল যাতে নড়াচড়া না করতে পারে। ইরফান ধীরে গলায় বলতে লাগলো,,,

—–হুশ মেরি জান!প্লিজ কান্না করো না।। তুমি কান্না করলে আমার অনেক কষ্ট হয় তুমি জানো তো তাই না।আমি তোমাকে প্রমিস করেছি কখনো তোমাকে কষ্ট দিবো না তুমি যা বলবে তা শুনবো কখনো মাডার করবো না কিন্তু আমি এটাও প্রমিস করেছি যখন আঘাত আসে তোমার দিকে সেটা আমি সহ্য করবো না একদম শেষ করে দিবো সব কিছু।। তুমি ছাড়া আমার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে তোমার মাঝে আমার প্রান ভোমরা বসবাস করে, তুমি ছাড়া আমি বেঁচে থাকতে পারবো না তাই তোমাকে আঘাত করে আমাকে ক্ষতবিক্ষত করতে চাইছে ওই ডাস্টবিন গুলো! কিন্তু আমি তোমাকে নিয়ে কোনো রিস্ক নিবো না তাই যারা তোমার ক্ষতি করার চেষ্টা করবে তাদের আমি শেষ করে দিবো আমি তোমার জন্য হিংস্র হতে পারি কিন্তু তুমি প্লিজ আগের মতো আমাকে ঘৃনা করে আমার থেকে দূরে চলে যাবে না তুমি আমাকে প্রমিস করেছো আয়ু ।। অসহায় গলায় ।।।
আয়ানা চোখ বন্ধ করে চুপ করে বুকে মিশে আছে আগের মতো ছুটোছুটি করছে না।আয়ানাকে স্থির হতে দেখে হাত ছেড়ে দিয়ে আয়ানার মুখে দুই হাত রেখে কপালের সাথে কপাল ঠেকালো আয়ানা এখনো মৃদু কাঁপছে। ইরফান আয়ানাকে ইশারা করে বললো,,,,
আয়ু চোখ খুলে দেখো কিছু নেই কোনো রক্ত নেই দেখো চোখ খুলে।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা ধিরে ধিরে চোখ খুলে তাকালো ডিপডিপ চোখে চারিদিকে তাকিয়ে ইরফানের দিকে তাকালো, না কোথাও কোনো রক্ত নেই সে রুমে আছে নিজেদের। এতোক্ষণে হুঁশ ফিরে আসলো তাঁর এতোক্ষণ ভয়ে একটা ট্রমায় ছিলো সে ইরফানের দিকে তাকিয়ে দেখলো অসহায় ভাবে তাঁর দিকে তাকিয়ে আছে আয়ানা ইরফানকে ঝাপটে ধরে জোরে কান্না করতে লাগলো খুব বেশি ভয় পেয়েছে সে ইরফান আয়ানাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে মাথায় চুমু খেয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে আসতে করে বললো,,,

—–কান্না ওফ করো আয়ু দেখো সব ঠিক আছে।।আমি তোমার কিছু হতে দিবো না কেউ তোমাকে আমার থেকে দূরে সরিয়ে নিতে পারবে না আর যারা এমন দুঃসাহস দেখাবে তাদের আমি এইভাবে শেষ করে দিবো। তোমার উচিত হয়নি আমার কথা অমান্য করে ওইখানে যাওয়ার। আমি তোমার সব কথা শুনতে রাজি কিন্তু তোমায় কেউ ক্ষতি করতে চাইলে তাকে তোমার কাছে পৌঁছানোর আগে আমি উপরে পাঠিয়ে দিবো এটা তুমি খুব ভালো করে জানো।ওই ডাস্টবিন গুলো তোমাকে আমার কাছ থেকে দূরে নিয়ে আমাকে শেষ করতে চাইছে এটা কখনো হতে দিতে পারি না আমি সেইটা খুব ভালো করে তুমি জানো।তাই একটা ডাস্টবিনের জন্য নিজের মূল্যবান চোখের পানি ফেলবে না।। চোখের পানি আলতো হাতে মুছে দিয়ে আবার জড়িয়ে ধরলো।।।

“বেশ অনেকক্ষণ কাঁটার পর আয়ানার কান্নার গতি কমে এসেছে আগের মতো ইরফানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রেখেছে মনে হচ্ছে একটু আলগা হলে হারিয়ে যাবে।। আবার এই মাডার , রক্ত এসবের সম্মুখীন হতে হবে তা ভাবতে পারেনি সে।।। তখন ইরফানকে এই ভাবে হিংস্র ভাবে মারতে দেখে পুরাতন সব কিছু মনে পরে যায় ভয়ে সে দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ইরফানের দিক থেকে সে ঠিক, ইরফান তাকে বলেছিলো যখন ব্যাপার আয়ানাকে নিয়ে তাহলে কোনো ছাড় নেই।আয়ানার দিকে আসার আগে এই পৃথীবি থেকে সরিয়ে দিবে ইরফান আর সেটা খুব জঘন্য ভাবে।। আজকে পরিবেশ অন্যরকম হতো যদি ইরফান বুঝতে না পারতো তাহলে এতোক্ষণে সে ইরফান থেকে অনেক দূরে চলে যেতো হয়তো কখনো আর দেখা হতো না হারিয়ে যেতো অনেক দূরে ইরফান তো বাঁচতেই পারবেনা তাকে ছাড়া।।‌কথাগুলো নিজের মনে মনে ভেবে আরোও শক্ত করে জরিয়ে ধরলো ইরফানকে ইচ্ছে করছে একদম বুকের ভেতরে ঢুকে যেতে ইরফানও আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তাঁর প্রেয়সীকে।। নিরবতা বিরাজ করছে দু’জনের মাঝে শুধু নিঃশ্বাসের শব্দ ছাড়া বিন্দুমাত্র শব্দ নেই। এখনো আলগা হয়নি আয়ানার হাত ইরফান মৃদু হেসে ওইভাবে কুলে তুলে বিছানার উপর বসে নিজের কুলে রাখা অবস্থায় বললো।।

—-মেরি জান তুমি এখানে বসো আমি তোমার মেডিসিন নিয়ে আসছি।
বিছানায় বসাতে নিলে আয়ানা আরো শক্ত করে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে তাকে তাই বাধ্য হয়ে আয়ানাকে নিয়ে টেবিলের উপর থেকে ঔষুধ আর পানি নিয়ে এসে বিছানায় বসে পরে।আয়ানা ইরফানের গলা জড়িয়ে বুকে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে রেখেছে।।‌ইরফান আয়ানার মুখের সামনে ঔষুধ ধরে বললো এটা খেয়ে নিতে কিন্তু আয়ানা কিছুতে মুখ খুলছে না তা দেখে ইরফান শান্ত গলায় বললো,,,

—-এই মেডিসিনটা খেলে কিছুক্ষণ আগে কি হয়েছিল সেটা মনে করার চেষ্টা না করলে সেটা মনে পরবেনা আর। হালকা ঝাপসা হয়ে যাবে ঘটনা টা কিন্তু যদি মনে করার চেষ্টা করো কিংবা সাথে সাথে মাথায় প্রেশার খাটালে মনে পরে যাবে।। আমার ধারনা তুমি মেডিসিনটা খাবে এবং কিছুক্ষণ আগের ঘটনা মনে করার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করবে না। মূলতঃ এটা সামান্য পরিমানের কিছু সময়ের মাইন্ড ভুলে যাওয়ার ঔষুধ। তুমি মাথায় প্রেশার না দিলে কিংবা কিছুক্ষণ আগের ঘটনা মনে করার চেষ্টা না করলে কিছুক্ষণ আগের ঘটনা আর কখনো মনে পরবে না।।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা ইরফানের হাত থেকে ঔষুধ টা খেয়ে নিলো সেও চায় না এই ভয়ানক স্মৃতি মনে রাখতে তাই চট করে ঔষুধ খেয়ে নিলো এরপর আগের মতো বুকে মাথা রেখে চোখ বুজে নিল।।
( আজকের পর্বটা কেমন হয়েছে সবাই গঠন মূলক মন্তব্য করবেন ধন্যবাদ সবাইকে। গল্পের রিচেক করা হয় নি তাই ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন।।)

#To_be_continued
#Happy_Reading🦋

//লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম✵//

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here