বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ২৫

0
1233

#বিষাক্তময়_আসক্তি(The Villain😈)
#Sumaiya_akter_mim
#পর্ব_২৫………….🌼

অন্ধকার রুমে রকিং চেয়ারে বসে আছে একজন ব্যাক্তি হাতে তার একটি ফটো ফ্রেম! হাতের ছবিটির দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি।। দরজার খট খট আওয়াজ হতে লোকটি গম্ভীর গলায় বললো,,

“কামিং________
বলতে একজন ব্যাক্তি রুমে প্রবেশ করলো। লোকটি প্রবেশ করে ভয়ে ভয়ে বলতে লাগল,,
__স্যার আবারো আমাদের লোকদের লাশ পরেছে।। একশো কোটি টাকার মালবাহী জাহাজ টা সমুদ্রের পার আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে!আর আলেমকে মেরে ফেলেছে বলে লোকটি হাঁপাতে লাগলো।
বসে থাকা লোকটি হাতের ছবিটি টেবলের উপর রেখে দিলো।। লোকটি শান্তসুরে জিজ্ঞাসা করলো।।

__আলেমের লাশ কোথায়?
__জানি না স্যার ! প্রত্যেকবারের মতো এবারও কোনো লাশ পাওয়া যায় নি ! আর লাশ আনাটাও নিত্যান্ত বোকামি ছাড়া আর কিছু নয় এটা আপনি নিজে জানিয়েছেন ‌আর,,,,,,,,,,,,,,,,
আহ্হ্হ্হ্হ্হ্ চিৎকার করে নিচে বসে পরে লোকটি।মাথা থেকে গলগল করে রক্ত পড়ছে।। অপর পাশের লোকটি হুংকার দিয়ে বললো,,,

__আবারো হেরে গেছিস , আবারো সেই এককথা শুনতে শুনতে আমার কান পচে গেলো।। তোদের টাকা দিয়ে কি আমি পোষেছি ইরফানের জয় গান করার জন্য! ইরফান ইরফান ইরফান এই আমার সব শেষ করে দিয়েছে! আমাকে ধ্বংস করে দিয়েছে! ছাড়বো না আমি কাউকে ছাড়বো না। হাতের কাঁচের ফ্লাওয়ার ভাস দিয়ে লোকটিকে আঘাত করতে লাগলো।।‌বেশ কিছুক্ষণ আঘাত করার পর থেমে গেলেন নিজাম উদ্দিন। রক্তে পরনের শার্ট ভিজে গেছে।। পকেট থেকে মোবাইল বের করে একজনকে কল করলো।

__হ্যালো ইকবাল ইমেডিয়েটলি হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করো! আমি একক্ষুনি গোয়া যাবো।সব ব্যবস্থা চাই। ইরফান আমার সন্ধান পাওয়ার আগে আমাকে এখান থেকে পালাতে হবে।বলে ওই পাশের উত্তরের অপেক্ষা না করেই মোবাইলটা গট করে কেটে দেয় কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে।।যতোই ইরফানকে শেষ করতে চায়ক ইরফান কে যমের মতো ভয় পায় তিনি।। ইরফানের নাম শুনলে কোথায় নিজেকে লুকাবে সেই ভয়ে সর্বদা থাকে।।‌নিজের কালো বিজনেসের সব টাকা ব্যয় করছে ইরফানকে মারার জন্য কিন্তু সে জানে ইরফানকে কখনো মারতে পারবে না তাই এবার সে অন্য গেইম খেলছে! এবার সে ইরফানের উপর নয় আয়ানাকে কুপ বানাতে চাইছে কারন সে ভালো করে জানে আয়ানা নেই তো এই পৃথিবীতে ইরফানের ও কোনো অস্তিত্ব নেই।। নিজের মনে প্লেনের হিসাব চুকে শয়তানি হাসি দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়।।‌এখন দেখা যাক তার প্লেন কতটা কাজে দেয় লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।নিজাম উদ্দিন নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে হেলিকপ্টার আসলে উঠে পরে।।।।

_______________________________________________

__খান পরিবারের সকলের মুখে চিন্তার ছাপ।ড্রয়িং রুমে বসে আছে সবাই। কিছুক্ষণ আগে বাড়ি থেকে কল আসতে ইমরান খান ও সেখানে উপস্থিত হন।। শীতল আহাম্মেদ বার বার উপরে তাকাছেন আজকে রাতের ফ্লাইটে বাংলাদেশ ব্যাক করতে হবে তাদের কিন্তু তার মধ্যে আয়ানা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরায় চিন্তার শেষ নেই।। কাপড়ের আঁচলে বার বার চোখ মুছছে তিনি তার পাশে তুতুল বসে আছে।। জায়েদ আহাম্মেদ শান্ত ভাবে বসে আছে মেয়ের জন্য মন আকু পাকু করলে ও সকলকে ইরফান নিষেধ করেছে উপরে যেতে। কিছুক্ষণ আগে উপরে যাওয়াতে ইরফানের রাগের সম্মুখীন হতে হয় সবাইকে।।।

__”কিছুক্ষণ আগে”
আয়ানাকে ইরফান আইসপ্যাক লাগিয়ে দিচ্ছিল এমন সময় হঠাৎ ইরফান মুখে রাগের ছাপ ভেসে উঠলো মুহুর্তেই ইরফানের চোখ মুখ লাল হয়ে গেলো ।।রেগে গিয়ে দরজা খুলে খুব জোরে জোরে চিৎকার করতে লাগলো হঠাৎ ইরফানের আবার হঠাৎ রেগে যাওয়ার কারণ আয়ানা বুঝতে পারছে না।। ইরফান চিৎকার করে সাড়া বাড়ির লোক এক জোট করে ফেলে।।। সবাই ইরফানের রুমে এসে আয়ানাকে দেখে ঘাবড়ে যায় আয়ানার সমর্পণ শরীর লাল হয়ে আছে।। বাড়ির মানুষ এবং বাড়ির কাজের লোকের র্সাভেন্ট গার্ড সবাই মাথা নিচু করে আছে ভয়ে থরথর করে কাঁপছে সবাই।।।। ইরফান সবার উদ্দেশ্যে হুংকার দিয়ে বললো,,

__আয়ুর এই অবস্থা হয়েছে তোমরা সবাই কোথায় ছিলে।। বলেছিলাম না সবাইকে খেয়াল রাখতে তবে কেন এমন ভুল হয়েছে এন্সার মি বলে হাতের সামনের একুরিয়ামটা হাত দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ভেঙ্গে ফেললো।।।

__ভয়ে সবার অবস্থা নাজেহাল।আয়ানা তো চোখ বন্ধ করে বিছানার চাদর খামচে ধরে বসে আছে।।‌
সার্ভেন্টরা ভয়ে কিছু বলতে পারছে না অনেক বার এসে বাড়ির সবাই এবং কি র্সাভেন্টরা কয়েক বার করে আয়ানাকে দেখে যায় কিছু লাগবে কিনা কিন্তু আয়ানা কিছু জানায়নি এখন এই অবস্থা যদি সব কটার গর্দান নেয় সেই ভয় সারা রুম জুড়ে।।‌‌
অনেক সাহস জুগিয়ে আসফিয়া আয়ানার কাছে গিয়ে আয়ানার মাথায় হাত রেখে কিছু বলতে যাবে তার আগে ইরফান শক্ত হাতে তার হাত ধরে ফেলে কঠিন দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তার দিকে! ইরফানের চোখ লাল হয়ে আছে খুবই হিংস্র দেখা যাচ্ছে তাকে যেকোনো সময় জ্বোয়ালামূখীর মতো ফেটে যাবে।। ইরফানকে দেখে বুঝা যাচ্ছে সে নিজের রাগ ধমাতে গিয়ে অসক্ষম হচ্ছে।।। ইরফান আসফিয়া খানের হাত ছেড়ে দিতে তিনি মুখে ভয় মিশ্রিত হাঁসি ফুটিয়ে বলতে লাগলো,,

__তু-তুমি ভুল বোঝসো ইরফান আমরা সবাই আয়ানার সঠিক খেয়াল রাখার চেষ্টা কর__
__হোয়াট ডু ইউ মিন চেষ্টা করছি! আমি আমার জানকে নিয়ে হেলফেল চেষ্টা নয় সঠিক কাজ দেখতে চাই।‌‌এতো গুলো মানুষ থাকতে ওর এমন কী করে হলো।।আসফিয়া খানের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে চিৎকার করে বললো।।
ছেলের রাগ নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাচ্ছে দেখে ভয়ে কপালের ঘাম মুছে ঘোমটা টেনে আবার তোতলিয়ে বলতে লাগলো।।
__এখন থেকে আর কারোর ভুল হবে না তুমি একটু শান্ত হও আমি মেডিসিন নিয়ে আসছি একদম ঠিক হয়ে যাবে।।।
__নোপ কিছু করতে হবে না কাউকে আমি ডাক্তার কে কল করেছি । একজন গার্ড কে ইশারা করে ডাক্তারকে এগিয়ে নিয়ে আসতে বলে।। গার্ড মাথা নাড়িয়ে চলে যায়।।।এর শাস্তি পাওয়ার জন্য প্রস্তুত হও সবাই সকলের উদ্দেশ্যে করে বলল।।
সবাই ইরফানের কথা শুনে ভয়ে চুপসে যায়। সকলকে রুম থেকে বের করে দেয়! শুধু মাত্র জায়েদ আহাম্মেদ আর শীতল আহাম্মেদ বাদে।।। ইরফান তাদের সামনে গিয়ে শান্ত গলায় বলল,,,

__আয়ানা রাতে শাড়ি পরে ঘুমাতে পারে না একটানা অনেক সময় শাড়ি পরার অভ্যেস নেই এই কথা আমাকে জানানো কেন হলো না।।‌
__আসলে এতো ঝামেলার মধ্যে খেয়াল করিনি তোতলিয়ে জবাব দিলেন শীতল।।শীতলের কথা শেষ হতে আবারো ঘর কাঁপিয়ে চিৎকার দিলো ইরফান।।
__খেয়াল ছিলো না মানে কী? আপনারা আয়ুর প্রতি এতো কেয়ারলেস কি করে হতে পারেন?
আপনারা জেনে ও ভুলে গেছেন আমাকে বলার প্রয়োজন মনে করেন নি।ওর যদি কিছু হয় আই সয়্যার আমি কাউকে ছারবো না।।।।

ইরফানের কথায় শীতল ও জায়েদ আহাম্মেদ কষ্ট নয় অনেক অনুতপ্ত হন ।তারা এতো দায়িত্ব জ্ঞানহীন কি করে হতে পারে। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম তাঁরা ভুলে কি করে যেতে পারে আয়ানা শাড়ি পরতে পারেন না। তার উপর মেয়েটা দুই দিন মুখ বুজে কষ্ট সহ্য করছে যেখানে সুঁইয়ের গুঁতো ও সহ্য করতে পারে না। খুবই অনুতপ্ত তারা মেয়ে ও জামাতার কাছে!
__এই বিষয়ে আমরা খুবই দায়িত্ব জ্ঞানহীনের প্রমান দিয়েছি তার জন্য দুঃখিত! এতো কাজের ফাঁকে খেয়াল ছিল না। পরবর্তী সময় থেকে আরো যত্নশীল হবো নিজের মেয়ের উপর।।(জায়েদ)
নিজেদের কাজের উপর গিলটি ফিল করছেন তারা। আজকে যদি মেয়ের বেশি কিছু হয়ে যেতো তখন কি করতো তাঁরা। মেয়ের সামান্য কষ্ট সহ্য করতে পারে না সেখানে বেশি কিছু ভাবা ও কষ্টকর।।।
__আয়ানার খেয়াল রাখার জন্য এখন আমি আছি এসব নিয়ে আপনাদের ভাবতে হবে না।দোয়া করুন যাতে ইনফেকশন না হয় তবে তার পরিমাণ ভালো হবে না।।কাঠ কাঠ গলায় জবাব দিল ইরফান।।।
ইরফানকে কথায় খারাপ লাগছে না তাদের বরং ভালো লাগছে ইরফানের কথা শুনে এবং দায়িত্ব দেখে।। ইরফান আয়ানার স্বামী তার রাইট আছে এসব বলার।। ইরফান বাহিরে যতোটা খারাপের ভেতরে ও তার থেকে ভালো যদি কেউ তার মনের মতো হতে পারে তো।ইরফান মনে কেমন তা তার ভেতরে আয়ানার অতিরিক্ত ভালোবাসায় বলে দেয়।।। ইরফান যেমনি হোক তার মতো আয়ানাকে কেউ ভালোবাসতে পারবে না।।আয়ানার জন্য এমন একজন ভালোবাসার মানুষ চেয়েছিলেন তারা কিন্তু ইরফানের গুন্ডামি গুলো মানতে নারাজ।।। কিন্তু মেয়ে তার এখানে নিজের সুখ খুঁজে পাবে এমন কেয়ারিং মেয়ে জামাতা পেলে সব বাবা মা-ই খুশি।।।‌‌এসব ভেবে ইরফানের রুম থেকে বের হয়ে আসেন তারা।।।।

__”বর্তমান”_____বিছানায় আধশোয়া অবস্থায় সুয়ে আছে আয়ানা,আর তার হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে ইরফান।।একজন মহিলা ডাক্তার আয়ানাকে চেকাপ করছে।।।বেশ কিছুক্ষণ দেখার পর ইরফানকে উদ্দেশ্য করে বলেন,,,

__ওনার হালকা সমস্যা হয়েছে স্যার! কিন্তু এমন সমস্যা বেশিক্ষণ থাকলে ইনফেকশন হতে পারতো।।নেট জাতীয় ড্রেস ব্যবহার করায় শরীরের চামড়া ছিলে গেছে রেশ হয়েছে যার কারণে চুলকানি ও জ্বালা করেছে। ওনাকে সবসময় আলার্জি জাতি খাবার জিনিস থেকে দূরে রাখবেন। আমি ওনার বর্জনকৃত খাবারের লিস্ট লিখে দিয়েছি আর যা ওনার সমস্যা হয় সেগুলো মেন্টেইন করলে সামনে থেকে এমন সমস্যা হবে না।। এখন কিছু মেডিসিন দিয়ে দিচ্ছি আর ইনজেকশন পুশ করলে রাতের মধ্যে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।।।বলে মাথা নিচু করে ফেলল ডাক্তার। অনেক ভয়ের সহিত কথা গুলো বললেন তিনি।।।
ইরফান আয়ানার দিকে তাকিয়ে সব কথা শুনলো।।

__ওকে ইনজেকশন পুশ করুন শান্ত গলায় বলল! (ইরফান)
ইরফানের কথা শুনে ভয়ে ঢুক গিললো আয়ানা। ইনজেকশন পুশ করবে মানে কি? এতোটুকুর জন্য ইনজেকশন নিতে হয় নাকি। আগে ও তো হালকা এমন হতো এবার একটু বেশি তাই ইনজেকশন।।। (মনে মনে)
আয়ানার মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে আয়ানাকে টেনে জড়িয়ে ধরলো ইরফান।।আয়ানা মুখে কিছু না বললেও ইরফান জানে আয়ানা ইনজেকশন কে কতোটা ভয় পায়।।আয়ানার মুখোভঙ্গি তা স্পষ্ট।।।

__ভয় পাচ্ছো কেন মেরি জান আমি আছি তো! একদম লাগবে না কেমন ! বলে মাথায় চুমু খায়।।
হঠাৎ ইরফানের এমন কাজে আয়ানা অনেক লজ্জা পায়।।বাহিরের একজনের সামনে এমন করে জড়িয়ে ধরে চুমু খেলো।।।
ভদ্রমহিলা একবার তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নিলো! ইরফান স্যার ম্যাম কে অনেক ভালোবাসে মনে মনে ভাবতে লাগলেন তিনি।।।
__ধিরে ইনজেকশন পুশ করবেন!যদি সামান্য ব্যথা পায় তো বলে ইরফান ডাক্তারের উপর থেকে চোখ সরিয়ে আয়ানাকে আরেকটু জড়িয়ে ধরে আয়ানার হাত হালকাভাবে চেপে ধরে যাতে পুশ করার সময় হাত না নাড়ায়।।‌
ইরফানের কথায় ভদ্রমহিলা ভয়ে খুব যত্নসহকারে ইনজেকশন পুশ করে।।‌আয়ানা বুঝতেই পারেনি কিন্তু ভয়ের চোটে ইরফান কে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ইরফানের টিশার্টের বাহিরে আসা উন্মুক্ত বুকে মুখ গুজে রাখে।।‌
ডাক্তারের কাজ শেষ হলে ইরফান একজন গার্ডকে দিয়ে পাঠিয়ে দেন আর অন্য আরেকজন কে মেডিসিন রি-চেক করে আনতে পাঠায়।।।‌‌

“ইরফান আয়ানার কপালে চুমু খেয়ে আয়ানাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে একজন সার্ভেন্ট কে দিয়ে মেডিসিন মিশ্রিত গরম পানি আনায়।। তারপর আয়ানার পাশে বসে আয়ানার লাল হয়ে যাওয়া অংশ গুলো ক্লিন করে দেয়।।।আস্তে আস্তে ফু দিয়ে মলম লাগিয়ে দেয়।।তারপর সেখানে চুমু খায়!আয়ানার পেট থেকে গেঞ্জি সরাতে গেলে আয়ানা কিছু টা পিছিয়ে যায়।।।

__কী হয়েছে পিছিয়ে যাচ্ছো কেন?(ভ্রু কুঁচকে)
__এটা আ-আমি করে নি হাত বাড়িয়ে মাথা নিচু করে বললো।।।
__কেনো আমি করলে সমস্যা কি? জোরে হাত টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।আয়ানা নড়াচড়া করতে লাগলো।।‌
__একদম নাড়াচাড়া করবে না আয়ু স্ট্রেট বসে থাকো! শক্ত গলায় বলল ইরফান।।।
ইরফানের কথা শুনে আয়ানা নড়াচড়া বন্ধ করে মাথা নিচু করে বসে রইলো।।।‌
ইরফান মুচকি হেসে আয়ানার কমোড়ের কাছ থেকে গেঞ্জি সরিয়ে সেখানে ক্লিন করে মলম লাগিয়ে দিলো। ইরফানের স্পর্শে কিছুটা কেঁপে উঠলো আয়ানা ! ইরফান ক্লিন করে সেখানে ডিপলি কিস করে।‌চোখ দুটো খিচে বন্ধ করে ফেলে আয়ানা।।‌ইরফান আয়ানার পেটের কাছে ও ঠিক একই ভাবে ক্লিন করে ডিপলি কিস করে কয়েক বার ছেড়ে দেয়।।আয়ানা এখনো ঠিক একইভাবে চোখ বন্ধ করে রেখেছে।।। ইরফান সোজা হয়ে আয়ানার বন্ধ চোখের পাতায় চুমু খেলো।।আয়ানার কাঁপা কাঁপা ঠোঁটের ভাজে নিজের রুক্ষ ঠোঁট দুটো ছুয়ে দিলো।।আয়ানাকে সুইয়ে দিয়ে আয়ানার জন্য ভেজিটেবল স্যুপ আনতে র্সাভেন্টকে কল করলো।।

__একজন র্সাভেন্ট এসে স্যুপ আর মেডিসিন দিয়ে গেলো। ইরফান আয়ানাকে স্যুপ খাওয়াতে গেলে আয়ানা মুখ কুঁচকে নিলো।।তা দেখে ইরফান স্যুপ চামচ দিয়ে মিক্সড করতে করতে বলল,,

__এই ভাবে মুখ বাঁকা করে লাভ নেই মেরি জান! তোমাকে এখন এগুলো খেতে হবে!আয়ানার মুখে স্যুপ দিয়ে ।।

আয়ানা চোখ মুখ খিচে এই অস্বাস্থ্যকর খাবার গিলতে লাগলো।।।আর মনে মনে বলতে লাগলো,,,

__শয়তান এরোগেন্ট ম্যান আমাকে সবসময় জোর করো ! নিজের মতো আমাকে ও এই অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াচ্ছে । #The_Villain নিজের ভিলেন গিরি সবসময় আমার উপর ফলায়।।

#To_be_continued………..🌼

(গল্পটা খুব কম সময়ের মধ্যে লিখেছি তাই চেক করার সময় পাইনি।।আর বড় করে দিতে আমার ও ইচ্ছে করে কিন্তু পারছি না।।সবার গঠন মূলক মন্তব্য আশা করছি ধন্যবাদ 😌)

#Happy_Reading.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here