ত্যাগের সংসার – পর্ব ১৫+১৬

0
258

#ত্যাগের_সংসার
লেখিকা সুরিয়া মিম
part : 15+16
!
থ্যাংকস ফর ইউওর কাইন্ডনেস মিস্টার খান,
!
তুমি আমাকে বিশ্বাস করো আমি তোমার গায়য়ে হাত তুলতে চাইনি,
!
ইশা আমার বন্ধবি এছাড়া আমাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই,
!
আমি কারো সাথে কোনো অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে নেই,
!
আপনি শুনতে পাননি?
আমার রাস্তা ছাড়ুন,
!
আর আপনি আমার হাত ধরেছেন কেন ছাড়ুন,
!
আরে আপনার ঘৃণা করে না?
আপনার ফ্রেন্ড জাস্ট ফ্রেন্ড হোয়াটএভার সে তো মাখামাখি হয়ে গেছে,
!
তাকে নিজের হাতে গোসল করিয়ে কাপড়চোপড় পরিয়ে দিন জান
শুধু শুধু আমার পেছনে টাইম ওয়েস্ট করবেননা কেমন?
!
বাবা আমি আজকেই তোর নানুবাড়ি যাবো,
!
তোর বাবা হয়তো ভুলে গেছেন গরিব ঘরের মেয়ে হলে ও বড় লোক ভাইয়ের একমাত্র বোন আমি,
!
বেগম তুমি বাড়ির বাহিরে পা রাখলে আমাদের সম্পর্ক এখানেই শেষ বলে দিলাম আমি,
!
তারপর আমি অফিসে চলে আসি,
আমার বিশ্বাস ও আমার বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাবেনা,
!
যাবেই বা কি করে?
আমার যক্ষের ধন আগলে রাখতে হবে না?
!
আমি জানি বড়াবড়ি ওর লোভ আছে আমার সম্পত্তির ওপরে ও যাবে না কিছুতেই না,
!
সে যাই হোক এই পঁচিশ বছরের সংসারে আমি কখনো ওর গায়ে হাত তুলিনি ব্যথা পাবে বলে,
!
আমি ওকে কখনো আমার ওপরে রাগতে দেখিনি বেগম ও আমাকে আমার ছেলেদের মতো চরিত্রহীন মনে করে?
!
এতো বছরের সংসারে আপনি এখনো আমাকে বুঝে উঠতে পারেননি,
!
আপনার কাছে আমি লোভী আমার ছেলেরা আপনার বংশধর বলে আপনি মনে করেন যে আমি আপনার যক্ষের আগলে রাখতে এখানে পরে থাকবো?
!
না কখনওই না ঘৃণা জন্মে গেছে আমার মনে আপনার জন্যে,
!
আমি আর এখানে থাকতে পারবোনা কখনো না,
!
আমি আপনার সাথে সংসার করতে করতে হাপিয়ে উঠেছি,
!
আর না নাও জাস্ট এনাফ ইজ ইনাফ,
!
বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার সময়,
এক নজর নিজের সাজানো সংসার টায় চোখ বুলিয়ে নেই আমি,
!
তারপর আমার ছেলের হাত ধরে ভাইয়ের বাড়ি তে গিয়ে উঠি,
!
ভাই আমাকে দেখা মাএ ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে,
!
আমি তো জানতাম একদিন তুই আমার কাছে আসবি,
!
দেখ বোন তোর কোনো কষ্ট হবেনা,
কিন্তু মামনি কে নিয়ে আসিস নি কেন?
!
আসলে ওতো ওর বাবার মেয়ে তাই ওর ও মনে হয় যে ওর মা শুধু ন্যাকামি করে
!
তাই ওকে নিয়ে এসে ওর স্বাধিনতায় হস্তক্ষেপ করিনি ও থাক ওর বাবার কাছে ওর আমাকে প্রয়োজন নেই,
!
মিয়াদ,
!
তুমি জানো মামু ইয়ানার মতে বাড়ি থেকে আপদ বিদায় হয়েছে
!
ও থাক না ওর মতে,
ওর কথা জিজ্ঞেস করোনা ওর মতে মা ন্যাকামি করে,
!
ও বোঝেনি মা মাই হয় মায়ের জায়গা কেউ কখনো নিতে পারেনা,
তুমি ওর কথা বাদ দেও,
!
সারাদিন কাজ শেষে বাড়ি তে পা রাখতেই খান সাহেবের মনে হয় যেন কিছু একটা নেই?
!
তাই সাথেসাথে মিয়াদের কক্ষে ছুটে গিয়ে দেখে সেখানে কিছু নেই তার বেগমের ব্যবহৃত কিছু গহনা ছাড়া,

#ত্যাগের_সংসার
লেখিকা সুরিয়া মিম
part : 16
!
তার বেগমের ব্যবহৃত কিছু গহনা ছাড়া,
!
খান সাহেব কখনো ভাবতে পারেননি,
যে তার অবাধ্য হয়ে বেগম সাহেবা বাড়ি ছেড়ে চলে যাবেন,
!
তবু ও মনমেজাজ ঠিক করে ভাবলেন,
!
বেগম কখনওই রাগে না,
হয় তো রেগে আছে বলে চলে গেছে সে তার রাগ পরে গেলেই ফিরে আসবে সে,
!
তাই আর এ বিষয় নিয়ে তিনি কোনো মাথা ঘামাননি,
!
কিন্তু নিজের ঠাট বজায় রাখতে বেগমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা ও করনেননি,
!
তাই এভাবেই কাটে ছয়মাস,
!
তারপর খান সাহেবের টনক নড়ে,
যে বেগম এখনো বাসায় ফিরে আসেনি,
!
তাই তার খবর নিতে ছেলেকে ফোন করেন কিন্তু ছেলে,শালা কাওকে ফোনে না পেয়ে শালা বৌ কে ফোন করে,
!
মিসেস মাহাবুবের ফোন বেজে উঠতেই সে খান সাহেবের কাল রিসিভ করে ননদিনী কে জিজ্ঞাস করেন,
!
দুলাভাই ও মেয়ের কথা মনে পড়েনা তোমার?
!
কেন পরবে ভাবি?
ওদের মনে রাখার মতো কিছু করেছে ওরা?
!
তবু ও তোমার স্বামীর তোমাকে প্রয়োজন?
!
তার প্রয়োজন মেটানোর লোকের অভাব নেই ভাবি,
!
সে তার ব্যবস্থা আগেই করে নিয়েছে,
ভাবি সে অনেক আগে থেকেই অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে আছে,
!
তাই সেই তার সমস্ত শারীরিক মানুষিক চাহিদা মেটায়,
!
আগে ভাবতাম ওনাদের সম্পর্কে বন্ধুক্ত ছাড়া আর কিছু নেই,
!
কিন্তু এখন প্রমাণিত অবশ্যই কিছু আছে নাহলে সে কেন আমার গায়ে হাত তুলবে?
!
যেয়ে দেখো এ কয় মাসে তাড়া তাদের সংসার গুছিয়ে ফেলেছে,
!
বেগম সাহেবর কথা গুলো খান সাহেবের মনে আঘাত করে,
!
কারন তিনি কখনো ভাবেননি যে তার বেগম সাহেবা তাকে এভাবে ভুল বুঝবে,
!
এখন সে ভালো করে বুঝতে পারছেন যে কেন তার বেগম সাহেবা এই ছয়মাসে কেন তার সাথে কোনো যোগের চেষ্টা করেননি,
!
এই “ক” মাসে খান সাহেব ও ইশার সাথে কোনো যোগাযোগের চেষ্টা করেননি,
তিনি শুধু বাড়ি থেকে অফিস আর অফিস থেকে বাড়ি করেছেন,
!
কাজের লোকের রান্নাকরা খাবার খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে গেছেন তিনি,
!
কিন্তু সোনা মুখ করে খেয়ে নেন তিনি,
তবুও পুরোনো অভ্যাস,
যেমন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র খুজে না পেলে বেগম বলে হাক পারতে ভুলেন না তিনি,
!
এই তো সেদিন তার অফিসের ফাইল টা খুজে না পেয়ে চিল্লানী দিয়ে বললেন,
!
বেগম ফাইল টা খুজে পাচ্ছিনা জলাদি এসে খুজে দিয়ে যাও তো,
!
সাথেসাথে মেয়ে এসে ওনাকে ফাইল টা দিয়ে বলে,
!
মা তো এখানে নেই বাবাই,
!
খান সাহেবের মন টা তখত বড্ড খারাপ হয়ে যায়,
আর সে কিছুনা খেয়েই অফিসে চলে যায়,
!
ইয়ানার দিন গুলো বেশ ভালোই কাটছিল কারন ওর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার মতো কেউ ছিলো না,
!
আগে তো কিছু হলেই বেগম সাহেবা তাকে সামলে রাখত,
ভালো মন্দের পার্থক্য বোঝাতো বাধা হয়ে দাঁড়াত,
!
কিন্তু উঠতি বয়সের মেয়ে কি সব মেনে নিতো?
নাহহ তা নয়,
মা কে যা নয় তাই বলে অপমান করতো,
!
তবে মাঝেমধ্যে মায়ের কথা মনে পরতেই তাকে দেখার জন্যে অস্থির হয়ে পরে ও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here