#কলঙ্কের_ফুল
#পর্ব_২৮
#Saji_Afroz
.
.
.
দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ পেয়ে দরজা খুলে চমকে যান মেহেরীকাকে দেখে কুনসুম হক।
-এ কি তুমি!
-রাজীব কোথায়?
-তুমি এখানে কেনো! নতুন প্রেমিক ছেড়ে দিয়েছে বুঝি?
-কি বলছেন আপনি এসব!
-আমার ছেলেটাকে কষ্ট দিয়ে চলে যেতে বিবেকে বাঁধেনি তোমার?
-আমি রাজীবকে কষ্ট দিইনি। আমার কথাটাতো একবার শুনবেন?
-তুমি আমার কথা শোনো মেয়ে। আজকের পর থেকে তোমাকে আমার বাড়ির আশেপাশেও যেনো না দেখি আমি। যেখানে যার কাছে গিয়েছিলে তার কাছেই চলে যাও।
.
আর কোনো কথা না বলে কুনসুম হক মেহেরীকার মুখের সামনে দরজাটা বন্ধ করে দেন।
.
কুনসুম হক কি বলেছে এতোক্ষণ! এর কোনো মানে মেহেরীকা খুঁজে পাচ্ছেনা।
এখন কিভাবে সে রাজীবের সাথে যোগাযোগ করবে!
.
ভাবতে ভাবতে চোখ যায় তার পাশের দোকানের দিকে।
ওখানে গিয়ে ফোন নিয়ে ডায়েল করে রাজীবের ফোন নাম্বারে। কিন্তু সুইচড অফ বলায় হতাশ হয়ে যায় মেহেরীকা।
হঠাৎ তার মনে পড়ে আনিকার কথা। আনিকার বফ রায়হান হলো রাজীবের বন্ধু। সে নিশ্চয় রাজীবের খবর তাকে দিতে পারবে। এই ভেবে মেহেরীকা ছুটে যায় আনিকার বাসার দিকে।
.
.
.
– মেহেরীকা কোথায়?
.
কাসেম আহম্মেদ এর কথায় মুনিয়া বললো-
আপুতো রাজীব ভাইয়াদের বাসার দিকে গেলো।
-কেনো!
-সেটাতো আমি জানিনা।
-সে রাজীবের হাত থেকে বাঁচবার জন্যই নাকি বাড়ি ছেড়েছে আবার সেখানে কেনো গিয়েছে!
-আপু আসলেই বলতে পারবো বাবা।
.
.
.
আনিকার মুখে সবটা শুনে মেহেরীকা বললো-
মেসেজগুলো আমি পাঠাইনি আনিকা।
-তাহলে কে পাঠিয়েছে? আর তুই বা কোথায় গিয়েছিস?
-সেসব পরে বলবো। তুই আমাকে রাজীবের সাথে কথা বলার ব্যবস্থা করে দে আনিকা। রায়হান ভাইয়া নিশ্চয় ওর খবর জানবে।
.
মেহেরীকার অনুরোধে আনিকা ফোন করে রায়হানকে।
.
.
.
রায়হানও কোনো খবর দিতে পারেনি রাজীবের।
হতাশ মনে সে ফিরে আসে নিজ বাড়ি।
.
বাসার ভেতর তাকে প্রবেশ করতে দেখে রেশমা আহম্মেদ চেঁচিয়ে বলে উঠলেন-
ওরে মুখপুড়ি! এক ব্যাটার কাছ থেকে এসে একদিন যায় নাই, আরেক ব্যাটার কাছে ছুটে গেছিস! লজ্জা সরমের মাথা খাইছস তুই? ছেড়ে গেছিলে রাজীবরে খারাপ বলে তবে আজ কেনো আবার ওর কাছে ছুটে গেলি তুই!
.
চুপচাপ নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে মেহেরীকা।
ভেতর রুম থেকে কাসেম আহম্মেদ এসে বললেন-
রেশমা তুমি ভেতরে যাও।
-কিন্তু…
-যাও বলছি।
.
কাসেম আহম্মেদ এর কথায় চুপচাপ ভেতরে চলে যায় রেশমা।
.
-২৩টা দিন অন্য এক জনের সাথে কাটিয়ে আজ কেনো ফিরে এলি? রাজীবের সাথে তোর কি এমন হয়েছিলো যে তুই আর কারো সাথে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিস? আর যাকে বিয়ে করেছিস সে কোথায়?
-আমি কোথাও যাইনি বাবা। নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো আমাকে।
রাজীবের কোনো দোষ নেই এতে। আমি কাউকে বিয়ে করিনি। আর কিছু জানতে চেওনা এখন।
..
আর কোনো কথা না বলে মেহেরীকা এগিয়ে যায় নিজের রুমের দিকে।
.
.
.
প্রায় ২০দিন পর…..
এই ২০দিন মেহেরীকা নানাভাবে চেষ্টা করেছে রাজীবের সাথে যোগাযোগ করার জন্য।
অনেকবার রাজীবের বাসায়ও গিয়েছে সে। কিন্তু যতবার সে তার বাসায় গিয়েছে ততবারই কুমসুম হক তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছে।
আর নিজের বাসায় রেশমা আহম্মেদ উঠতে বসতে কথা শুনিয়েছে তাকে।
কাসেম আহম্মেদ কিছু না বললেও তার মুখোমুখি হতে পারতো না মেহেরীকা।
..
এখন প্রায় নিজেকে ঘর বন্দি করে রেখেছে সে। বদ্ধ ঘরেই থাকতে ভালো লাগে তার।
..
মেহেরীকা বসে আছে নিজের রুমে।
আপনমনে ভেবে চলেছে সে রাজীবের কথা।
হঠাৎ তার ফোন বেজে উঠলো।
আনিকা ছাড়া কেউ তাকে ফোন দেয়না ইদানিং।
তাই না দেখেই রিসিভ করে বললো-
আনিকা বল?
-মেহের?
.
রাজীবের গলা শুনে চমকে যায় মেহেরীকা। এমন অপ্রত্যাশিত কল আসবে ভাবেনি সে। এই বুঝি আশার আলো পেয়েছে সে!
.
কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে মেহেরীকা বললো-
তুমি!
-রায়হানের কাছে তোমার কথা শুনেছি। তাই সিমটা চালু করলাম।
-তুমি কোথায় এখন?
-তোমার বাড়ির সামনে।
-সত্যি?
-হুম সত্যি। ভেতরে আসছি আমি।
.
কাসেম আহম্মেদ এর অনুমতি নিয়ে রাজীব রুমের ভেতরে আসতেই তার কাছে দ্রুতবেগে ছুটে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে মেহেরীকা বললো-
আমি জানতাম তুমি ঠিক আসবে।
-কিছু প্রশ্নের উত্তর আমার যে জানার আছে মেহের। তাই আমাকে আসতেই হতো।
.
রাজীবের কথা শুনে তাকে ছেড়ে মেহেরীকা বললো-
কি প্রশ্ন?
-আমি তোমার সাথে কি এমন করেছি যার কারণে তুমি অন্য কারো সাথে চলে গেলে? আমার ভালোবাসায় কি কমতি ছিলো মেহের?
.
অবাক চোখে তার দিকে তাকিয়ে মেহেরীকা প্রশ্ন করলো-
তুমিও এসব বিশ্বাস করেছো?
-না করারতো কিছু নেই। জবাব চাইতে এসেছি আজ আমি।
.
মেহেরীকাকে চুপ থাকতে দেখে রাজীব বললো-
আচ্ছা সব বাদ দাও। একটা কথা বলো? পবিত্র আছো তুমি? নাকি ওসব ভালো সাজার নাটক শুধু আমার সাথেই করেছো?
.
ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে মেহেরীকা বললো-
তুমি আসতে পারো এখন।
-কোনো জবাব আমি পেলাম না?
-পবিত্র নেই আমি।
.
মেহেরীকার কথা শুনে রাজীব রুম থেকে বেরুনোর উদ্দেশ্যে এক পা বাড়ালে তার ডাকে থেমে যায় সে।
-তবে আমি কোথাও যাইনি। আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। আর ওসব মেসেজ আমি পাঠাইনি।
.
পেছনে ফিরে রাজীব বললো-
নাটক শেষ? তবে শুনো রাখো, আমি খুব তাড়াতাড়ি সুপ্তিকে বিয়ে করছি।
-ওহ। তুমি আসতে পারো এখন। যত যাই হোক, আমার পরিবার আমার সাথে আছে। তারাই আমার পাশে থাকবে। আর এটায় অনেক বেশি আমার কাছে।
.
.
.
নিজের বাসায় এসে ড্রয়িংরুমে পায়চারি করছে রাজীব।
এমন সময় কুনসুম হক এসে বললেন-
কি বলেছে ওই মেয়ে? রায়হানের কথা শুনে ওর সাথে দেখা করতে চাকরী বাদ দিয়ে বেশতো চলে এলি।
-বলেছে সে নিদোর্ষ।
-আর তুই বিশ্বাস করে নিয়েছিস!
যত যাই হোক রাজীব। ২৩দিন সে বাড়িতে ছিলোনা। কিছুনা কিছুতো হয়েছে। সমাজের সবাই জানলে কি বলবে ভেবেছিস! এমন একটা মেয়েকে বাড়ির করা কি ঠিক হবে তুই বল?
.
ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে রাজীব বললো-
না।
-সুপ্তিকেই বিয়েটা করে নে তুই। সুখী হবি।
-আমি একটু একা থাকতে চাই আম্মা।
-আমার কথা গুলো ভেবে দেখিস।
.
কুনসুম হক নিজের রুমের দিকে এগিয়ে যান।
এদিকে রাজীবের মাথায় শুধু একটা বিষয় ঘুরপাক খাচ্ছে। তার মেহের আর তার রইলোনা, অপবিত্র সে!
.
.
.
৫দিন পর…..
হঠাৎ রেশমা আহম্মেদ, মেহেরীকার রুমে এসে বললেন-
রাজীবের মা জানিয়ে দিয়েছেন তোর মতো মেয়েকে তিনি বাড়ির বউ করবেন না। বেশি বাড়াবাড়ি করলে তুই যে ২৩দিন বাড়িতে ছিলিনা, অন্য একটা ছেলের সাথে পালায়ছিস তা ফাঁশ করে দিবেন তিনি। আর রাজীবের নাকি বিয়ে সামনে। এসব ঝামেলা হওয়ার আগেই তোর বিয়ে দিতে চাই আমি। সব ঠিক হয়ে গেছে তোর বিয়ের। ২দিন পরেই তোর বিয়ে।
.
তার দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে মেহেরীকা বললো-
আমার সম্মতি ছাড়াই আমার বিয়ে?
-এই মেয়ে! কোন বাল হইছোস তুই? নষ্টা মেয়ে একটা।
.
চোখ জোড়া বন্ধ করে ছোট একটা নিঃশ্বাস ফেলে মেহেরীকা বললো-
বাবা জানে?
.
পেছন থেকে কাসেম আহম্মেদ এসে বললেন-
আমি সবটা জানি। আর আমারও মত আছে এতে।
-বাবা!
-তুই প্রথমে রাজীবকে বিয়ে করতে চেয়েছিস, মেনে নিয়েছি আমি। পরে একটা মেসেজ দিয়ে জানিয়েছিস তুই আরেকজনের সাথে চলে যাচ্ছিস কারণ রাজীব ভালোনা। এটাও আমি মেনে নিয়েছি। এখন শুনছি তুই যাসনি। নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো তোকে। আর এসব শুনে রাজীবও তোকে বিয়ে করতে চাইনা।
আমার বাসায় আরেকটা মেয়ে আছে। তার কথাও আমার ভাবতে হবে। আর তাই এই বিয়েটা তুই করবি। এটায় আমার শেষ কথা।
.
.
.
রাত ১টা….
জানালার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে মেহেরীকা।
মুনিয়া তার পাশে এসে বললো-
পাত্রটার নাকি একটা বউ আছে। যে বাচ্চা জন্মদানে অক্ষম। আর তাই এই বিয়েটা করতে চায় সে।
-এতো ভাবিস না মুনু। শুয়ে পড়।
.
.
.
আরো ২দিন পর…..
খয়েরী রঙ্গের লেহেঙ্গা পরে কনের সাজে সেজেছে মেহেরীকা।
রাজীব শেষমেশ তার কাছে এলোনা ভেবে কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে তার।
তবে কেনো যেনো মনে হচ্ছে সে আসবে!
.
হঠাৎ দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ পেয়ে মেহেরীকা তাড়াহুড়ো করে দরজা খুলেই দেখতে পায় রেশমা আহম্মেদকে।
-তৈরী তুমি?
-হুম।
-বর চলে আসছে। মুনিয়া একটু পর এসে নিয়ে যাবে তোমাকে আসরে।
.
কথাটি বলেই রেশমা আহম্মেদ ছাদের দিকে এগিয়ে যান।
ছাদে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। তাই বাসায় কাউকে দেখতে পাচ্ছেনা মেহেরীকা।
.
বরও চলে এসেছে! একটু পরেই সে অন্য কারো হয়ে যাবে!
এটা কিছুতেই সে হতে দিতে পারেনা। এখুনি তার এখান থেকে পালানো শ্রেয়।
এসব ভেবে মেহেরীকা এগিয়ে যায় বাড়ির পেছনের দরজার দিকে।
.
.
.
.
-মেহের? আমাকে না বললে বুঝবো কি করে কি হয়েছে?
.
আদির ডাকে মেহেরীকা ভাবনার জগৎ থেকে বের হয়।
.
বসা থেকে দাঁড়িয়ে বারান্দার দরজা খুলে দিতেই আদি তাকে টেনে নিজের বাহুডোরে আবদ্ধ করে বললো-
আমি দুঃখিত মেহের। তোমার সাথে ওভাবে কথা বলা আমার উচিত হয়নি।
.
মৃদু হেসে মেহেরীকা মনে মনে বললো-
সবার মতো সবটা জানলে তুমিও আমায় ঘৃণা করবে আদিয়াত।
.
আদির কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে মেহেরীকা বললো-
আমি তোমাকে সবটা বলতে চাই আদিয়াত। তবে একা নয়। দিবাকেও সাথে নিয়ে। তুমি ওকে নিয়ে আসবে প্লিজ?
-হুম।
.
.
.
মেহেরীকার স্মৃতিচারণ করতে করতে কখন যে রাজীবের দুচোখ বেয়ে পানি চলে এসেছিলো নিজেই বুঝতে পারেনি।
রাজীবের উচিত ছিলো সেদিন মেহেরীকার পাশে থেকে তার অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া। কিন্তু কি করেছে সে! মেহেরীকা আর পবিত্র নেই শুনেই রাজীব তার থেকে মুখ সরিয়ে নিয়েছে। অপরাধী কে এটাও জানতে চায়নি। আনিকার কাছে তার এমন একটা পাত্রের সাথে বিয়ে হবে জেনেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আর আজ? আজ কি করেছে সে! ভুল করবেনা বলে একই ভুল আবারো করেছে। মেহেরীকার অনাগত সন্তানকে মেরে ফেলতে বলেছে। কেনো সে পারতোনা? সব ভুলে বাচ্চাটিকে নিজের পরিচয়ে বড় করতে!
মেহেরীকাকে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ দিতে সে কি পারতোনা!
অবশ্যই পারতো।
কিন্তু সে এমন করলো কেনো! তাহলে তার নিজের ভালোবাসায় কি কমতি ছিলো?
.
আপনমনে এসব ভেবে চোখের পানি ফেলে চলেছে রাজীব।
এমন সময় সুপ্তি এসে হাঁপিয়ে বলতে থাকে-
রাজীব ভাই?
.
চোখ জোড়া মুছে তার দিকে তাকিয়ে রাজীব বললো-
কি হয়েছে? হাপাচ্ছিস কেনো এভাবে?
-ফুফু…
-কি হয়েছে আম্মার?
-তুমি চলো আমার সাথে।
.
.
.
মেহেরীকার মুখে রানার বিষয়ে সবটা শুনে স্তব্ধ হয়ে যায় আদি ও দিবা।
.
তাদের দিকে তাকিয়ে মেহেরীকা বললো-
আজকাল কিন্তু নানাভাবে বের করা যায়, বাচ্চার আসল বাবা কে সেটা।
.
সে বিষয়ে কথা না বলে দিবা বললো-
তোমরা তাহলে আসল স্বামী স্ত্রী নও! আর তুমি ভাইয়াকে না রাজীব নামক ছেলেকে ভালোবাসো। রানার কারণে তোমাদের সম্পর্কের ফাটল ধরে।
আর তোমার সন্তানের বাবা রানা!
-হুম। দিবা তুমি এই বিয়েটা করোনা প্লিজ।
-তুমি কি বলছো! সব কিছু আমার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে!
.
মেহেরীকা নিজের ফোন দিবার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো-
এখানে রানার ফোন নাম্বারটা তুলে দাও আমায়।
-কেনো?
-দাওনা তুমি!
.
দিবা নাম্বার ডায়াল করে মেহেরীকার হাতে দেয়।
মেহেরীকা কল লাউডস্পিকার করে ফোন কানে দিলো।
ওপাশ থেকে ফোন রিসিভ করতেই রানা বলে উঠলো-
হ্যালো, কে?
-মেহেরীকা।
.
কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর রানা বললো-
সেদিন হঠাৎ আমার বাবার শরীরটা খারাপ হয়ে যায়। আর তাই তোকে ওভাবে ফেলে চলে যেতে হয়। তৌফিক যে দোকানে গিয়েছিলো আমার জানা ছিলোনা। নাহলে তোকে বেঁধেয় যেতাম আমি। পালিয়েছিস ভালো কথা। আবার ফোন দিয়েছিস কেনো!
-তোমার সন্তানের মা হতে চলেছি আমি।
-কি!
-হুম।
-দেখ মেহেরীকা। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তোকে ভোগ করেছিলাম আমি। তোকে সুন্দর লেগেছিলো তাই বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তুই কি করেছিস? পালিয়েছিস। এখন বাচ্চার দায়িত্ব চাঁপাতে চাইছিস! আমি ওসব দায়িত্ব ফায়িত্ব নিতে পারবোনা। সামনে আমার বিয়ে। ঝামেলা করিস না তুই।
-দিবার সাথে বিয়ে?
.
(চলবে)