#কলঙ্কের_ফুল
#পর্ব_২১
#Saji_Afroz
.
.
.
-তুমি তাহলে যাবেনা?
.
আদির কথায় মেহেরীকা মাথা নেড়ে বললো-
নাহ।
-আমি যে বলেছিলাম আনিকাকে, তোমায় নিয়ে যাবো।
-আমার ভালো লাগছেনা।
-ঠিক আছে যেওনা। ডাক্তারের কাছেতো যেতে সমস্যা নেই? কাল আনিকা এসেছিলো বলে যাওনি। আজ চলো।
.
গম্ভীরমুখে মেহেরীকা বললো-
আমি কোথাও যাবোনা। এই বিষয়ে আর একটা কথা বললে বাড়ি ছেড়েই চলে যাবো।
.
ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে আদি বললো-
ঠিক আছে যেওনা কোথাও। তবে আমি তোমার জন্য শাড়ি এনেছি, এগুলাতো দেখবে?
-পরে দেখবো। আমি এখন একটু একা থাকতে চাই।
.
মেহেরীকার পাশ থেকে উঠে এক পা বাড়িয়ে আবার থেমে যায় আদি।
শান্তগলায় বললো-
প্যাকেটের ভেতর একটা নীল শাড়ি আছে। কোনো সময় ইচ্ছে হলে ওটা আমায় পরে দেখাবে প্লিজ?
.
ইচ্ছে না থাকা স্বত্ত্বেও সে জবাব দিলো-
হু।
.
.
.
-ভাইয়া এতোবার ফোন দিয়ে কষ্ট করার প্রয়োজন নেই। মেহেরীকা আপু এলেই আমি আপনাকে জানাবো।
-হুম অনিল।
.
এই পর্যন্ত কতোবার ফোন দিয়েছে অনিলকে হিসেব নেই রাজীবের। মেহেরীকার খোঁজ পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে সে। রাত পেরিয়ে যাচ্ছে মেহেরীকার খবর নেই। তবে কি সে আসবেনা? কিন্তু মন যে বলছে খুব তাড়াতাড়ি দেখা হবে তাদের।
মেহের যদি জানে রাজীব তাকে ফিরিয়ে নিতে চায়, আগের দিনগুলো ফিরে পেতে চায় তাহলে নিশ্চয় সে ছুটে আসবে তার কাছে। হুম, আসবে। কেননা অন্তত মেহেরের ভালোবাসা ঠুনকো ছিলোনা। মনে প্রাণে ভালোবেসেছিলো সে রাজীবকে।
একবার শুধু তার সাথে দেখাটা হোক, অভিমান চলে যাবে সব।
.
এসব ভেবে নিজের মনকে শান্তনা দিয়ে চলেছে রাজীব।
.
.
.
সকাল ৮টা….
ড্রয়িংরুমে বসে আছে আদি, মেহেরীকা, আরিফ, মিলি ও দিবা।
.
আড্ডার ফাঁকে হঠাৎ আদি বলে উঠলো…
-ভাবী, দিবা তোমরা আজ তৈরি হয়ে থেকো। আজ দুপুরে আনিকার বিয়েতে যাবো আমরা।
.
আদির কথায় মেহেরীকা চমকে যায়। সেতো বিয়েতে যাবেনা তাহলে আদি কি তাকে ছাড়াই বিয়েতে যেতে চাইছে?
মুখটা মলিন করে মেহেরীকা বললো-
তোমার না অফিস আছে আজ?
-না নেই। আজ শুক্রবার। তুমি কি চাইছো আজকের দিনেও কাজ করি?
-তা চাইবো কেনো!
-হুম।
-আমি বলছিলাম যে কি দরকার, শুধু শুধু আনিকার বিয়েতে যাওয়ার।
-তোমাকে যেতে বলছিনা! আমরা যাবো। তুমি বাসায় থাকো।
.
আদির কথা শুনে মেহেরীকা সোফা ছেড়ে উঠে এগুতে থাকে নিজের রুমের দিকে।
.
মেহেরীকাকে এভাবে চলে যেতে দেখে মিলি বলে উঠলো-
এইরে! দিলেতো মেয়েটাকে রাগিয়ে? যাও দেবর জি, বউ এর রাগ ভাঙ্গাও এখন।
.
.
.
পা টিপে টিপে নিজের রুমে প্রবেশ করে আদি দেখতে পায় মেহেরীকা ফোনে কথা বলছে।
.
-হ্যালো আনিকা?
-কথা বলবিনা একদম আমার সাথে। কাল কতোটা ফোন দিয়েছি তোকে? চৌধুরী বাড়ির বউ হয়ে দেমাগ বেড়েছে তোর।
-আনিকা শুন…
-শুনবোনা। কিছু বলার থাকলে বিয়েতে এসে বলবি।
-আমি যেতে পারবো না। কেনো তুই জানিস।
-রাজীব ভাইয়ার জন্য? আজ না হলেও অন্যদিন কি তার মুখোমুখি পড়তে হবেনা তোকে? সেই অন্যদিনটা আজ হলে কি সমস্যা?
-কিন্তু….
-তোর যা ইচ্ছে কর। আমায় ফোন দিবিনা আর। রাখছি আমি।
.
আনিকা ফোনের লাইন কেটে দিতেই মেহেরীকার চোখ বেয়ে পড়তে থাকে বিন্দু বিন্দু পানি।
.
-কেনো যেতে চাইছোনা, কেনইবা কষ্ট পাচ্ছো?
.
আদির গলা শুনে উড়না দিয়ে চোখের পানি মুছে পেছনে ফিরে মেহেরীকা জবাব দিলো-
তোমরা যাও।
-আরে কেউ যাবেনা। আমিতো মজা করছিলাম তোমার সাথে।
-হু।
-রাগ করেছো?
-না।
-তোমার যা খুশি করো। আমি তোমার সাথে মজাও করবোনা আর এই বিষয়ে। খুশি?
.
আদির কথায় মৃদু হেসে মেহেরীকা বললো-
হুম।
.
.
.
বেলা ১২টা….
.
আদি গোসল সেরে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে চমকে যায়।
লাল পাড়ের সোনালি কাজ করা সাদা রঙের শাড়ি পরে চুলে খোপা করছে মেহেরীকা।
দেখার মতো একটি দৃশ্য এটি। এই শাড়িটাই এতো ভালো মানাবে ভাবতে পারেনি আদি।
.
-২মিনিট সময় দিচ্ছি। তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে নাও। বিয়েতে যাবো।
.
মেহেরীকার কথা শুনে আদি বললো-
তুমি বললে এভাবেই চলে যাবো।
.
আদির দিকে ভালোভাবে তাকিয়ে মেহেরীকা বললো-
এভাবে! লুঙ্গি পরে, গামছা গায়ে পেচিয়ে?
-হু।
.
ভ্রু জোড়া কুচকে মেহেরীকা বললো-
সময় নষ্ট না করে রেডি হয়ে আসো।
.
.
.
গাড়িতে বসে আছে মেহেরীকা।
নানারকম ভাবনায় অস্থির হয়ে আছে তার মন। রাজীবকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারবেতো সে? সাহস করে চলেতো যাচ্ছে কিন্তু পরিণতি কি হবে জানা নেই। তবে এমন কোনো কাজ করা যাবেনা যাতে করে সুপ্তিও কষ্ট পায়।
.
-হঠাৎ কি মনে করে যাচ্ছো?
.
আদির কথায় ঘোর কাটে মেহেরীকার।
শান্ত গলায় জবাব দেয় সে-
আনিকা মন ছোট করছে তাই।
-করার কথাই। বেস্ট ফ্রেন্ড বলে কথা।
-হুম। আমাদের সাথে দিবা অন্তত আসতে পারতো।
-হুম তা পারতো। তবে ওর নাকি ইচ্ছে করছেনা।
.
.
.
আনিকার পাশে বসে আছে মেহেরীকা।
অনেক কষ্টে তার রাগ ভাঙ্গিয়েছে সে। আনিকার পাশে বসে থাকলেও চোখ দুটো খুজে চলেছে তার রাজীবকে।
-আপু একটু হাসেনতো?
.
ক্যামেরাম্যান এর গলার শব্দ শুনে আনিকার উদ্দেশ্যে মেহেরীকা বললো-
তুই ছবি তুল, আমি আসি।
-কোথায় যাচ্ছিস?
-আরে বাসায় যাচ্ছিনা। এখানেই আছি। আশেপাশেই থাকবো।
-তুইও তুল না ছবি?
-অনেক তুলেছি। তুই তুল, বউ বলে কথা।
.
স্টেজ থেকে নিচে নেমে কয়েক কদম হেটে যেতেই কাধে কারো হাতের স্পর্শে থেমে যায় মেহেরীকা।
পেছনে ফিরে সুপ্তিকে দেখে বললো-
সুপ্তি আপু?
-তুমি আমায় চিনো?
-হুম। ছবি দেখেছিলাম তোমার। তুমি আমাকে চিনো?
-আমিও তোমার ছবি দেখেছিলাম।
-ওহ।
-এতোদিন কোথায় ছিলে?
-শ্বশুরবাড়ি।
.
মেহেরীকার কথা শুনে সুপ্তি মৃদু হেসে বললো-
মিথ্যে বলোনা।
-কেনো মনে হচ্ছে মিথ্যে বলছি?
-রাজীব থেকে দূরে থাকার জন্য। কিন্তু তুমি জানোনা রাজীব কতোটা কষ্টে আছে তোমাকে ছাড়া।
-সেতো তোমায় বিয়ে করবে বলেছিলো।
-তোমাকে বলেছিলো?
-হুম।
-হয়তো অভিমানে। কিন্তু এই কয়েকমাসে আমি তার মনে জায়গা করে নেওয়ার জন্যে কি-না করেছি! কোনো লাভ হয়নি। সে তোমাকেই ভালোবাসে শুধু।
.
-আপু একটু আমার সাথে চলেন?
.
অনিলের ডাকে সুপ্তির উদ্দেশ্যে মেহেরীকা বললো-
আমি একটু আসছি।
.
.
.
-ক্লাবের পেছনে কেনো আমাকে নিয়ে আসলি অনিল?
-কাজ আছে। তুমি ২মিনিট দাঁড়াও, আমি আসছি।
.
কথাটি বলে অনিল চলে যায়।
.
হঠাৎ মেহেরীকা উপলব্ধি করে কেউ তার পেছন থেকে কোমর চেপে ধরে জড়িয়ে ধরেছে তাকে।
.
নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে দাঁতে দাঁত চেপে মেহেরীকা বললো-
কে? ছাড় বলছি আমাকে।
-আমার স্পর্শ তুমি চিনতে পারছোনা মেহের?
.
এই গলার শব্দ মেহেরীকার বড্ড চেনা। হুম আর কেউ নয়, রাজীব এটা।
কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে মেহেরীকা বললো-
রাজীব!
.
মেহেরীকাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে এনে রাজীব বললো-
যাক, গলার স্বরতো চিনেছো।
.
এতোদিন পর এভাবে রাজীবের সাথে দেখা হয়ে নিজেকে সামলাতে পারছেনা মেহেরীকা।
চোখ বেয়ে ঝরছে অনবরত পানি।
.
রাজীব আচমকা মেহেরীকাকে নিজের খুব কাছে টেনে চোখ বেয়ে পড়তে থাকা পানি জ্বীভ দিয়ে শুষে নিতে শুরু করে।
.
রাজীবের এমন কাণ্ডে মেহেরীকা নিজেকে তার কাছ থেকে এক ঝাটকায় ছাড়িয়ে নিয়ে বললো-
ছাড়ো রাজীব আমাকে।
.
রাজীব তার উদ্দেশ্যে শান্ত গলায় বললো-
ধরার মানুষতো পেয়ে গিয়েছো তাইনা? কি যেনো নাম? আদিয়াত চৌধুরী। ক্লাবে পা দেওয়ার পর থেকেই অনেক জনের মুখেই শুনছি তার কথা। তা সে কি আমার কথা ভুলিয়ে দিতে পেরেছে?
.
মেহেরীকাকে চুপ থাকতে দেখে রাজীব আবারো তার কাছে এসে হাত ধরে বললো-
আমি জানি আমি ভুল করেছি মেহের। যার জন্য তুমি রাগের বশে অন্য একজনকে বিয়ে করে নিয়েছো। আমি এটাও জানি তুমি তাকে ভালোবাসোনা। আমাকেই ভালোবাসো তুমি। দুইটা ভালোবাসার মানুষ যখন দুজনকেই চায় তাহলে আর কিসের আপত্তি থাকে বলো? সব কিছু ভুলে গিয়ে আমরা কি আবার নতুন করে সব শুরু করতে পারিনা মেহের?
.
মেহেরীকা খেয়াল করলো কথাগুলো বলার সময় রাজীবের গলা আটকে যাচ্ছে, নিঃশ্বাস বড় হয়ে যাচ্ছে। রাজীবকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেকটা কষ্ট পেয়েছে সে।
মেহেরীকার কি উচিত নয়? ভালোবাসার মানুষকে আরেকটা সুযোগ দেওয়ার?
আপনমনে ভাবতে থাকে সে।
-প্লিজ মেহের কিছু বলো? দরকার হলে আমি আদিয়াত চৌধুরীর পায়ে ধরে বলবো, যা হয়েছে তা ভুলে যাওয়ার জন্য। আমার মেহেরকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এভাবে মুখ ঘুরিয়ে নিওনা মেহের আমার থেকে। এবার কিন্তু সত্যি সত্যি মরে যাবো আমি, মরে যাবো।
.
রাজীবের এমন অবস্থা দেখে নিজেকে সামলাতে পারলোনা মেহেরীকা। আর কিছু না ভেবেই বলে উঠে সে-
আদিয়াত আমার নকল স্বামী।
.
.
.
সেই কখন ক্লাবের পাশের মসজিদ থেকে নামাজ সেরে এসেছে আদি। কিন্তু সারা ক্লাবে খুজেও মেহেরীকার দেখা পেলোনা সে। ফোনটাও রিসিভ করছেনা। এভাবে অপরিচিতদের মাঝে তাকে একা ফেলে টইটই করার কোনো মানে হয়?
-খেয়েছো?
.
মেহেরীকার ডাকে ভাবনার জগৎ থেকে বের হয়ে আসে আদি।
অভিমানী সুরে বলে-
না খাইনি।
-কেনো?
-তুমি কোথায় ছিলে?
-আরে আমিতো আর তোমার সাথে খাবোনা। মেয়েদের সাথে খাবো। ছেলেমেয়ে আলাদা খায় জানোনা তুমি?
-হু জানি।
-যাও খেয়ে আসো।
-আগে তুমি যাও।
-হুম আদি, যাচ্ছি!
.
মেহেরীকার এক পা এগুতেই আদির ডাকে পেছনে ফিরে বললো-
কি হলো আবার?
-তোমার মুখে আদিয়াত শুনতেই ভালো লাগে, যদিও বড় নাম। তবুও কষ্ট করে ওটাই ডেকো প্লিজ?
-হু।
.
-মেহের? খেয়েছো তুমি?
.
রাজীবের মুখে মেহের ডাক শুনে চমকে যায় আদি। এই নামে সে ছাড়াও আর কেউ ডাকে জানা ছিলোনা আদির।
.
মেহেরীকা হেসে বললো-
যাচ্ছিলাম খেতে। তুমি প্লিজ আদিয়াতের সাথে যাবা? আসলে ও কাউকে চিনেনা।
.
রাজীব কিছু বলার আগেই আদি বললো-
তুমি খেয়ে আসো মেহের। আমার চিন্তা করোনা।
-রাজীব গেলে….
-উনাকে কষ্ট করতে হবেনা।
তুমি যাও।
.
মৃদু হেসে মেহেরীকা খাওয়ার টেবিলের দিকে এগিয়ে গেলে রাজীবের উদ্দেশ্যে আদি বললো-
আপনাকে চিনলাম না?
-আপনি এখানে আনিকা ছাড়া কাউকে চিনবেন বলেতো মনে হয়না।
-তা অবশ্য ঠিক।
-যাক, আমি রাজীব। মেহেরের কাছের কেউ।
-কাছের কেউ মানে?
-সময় হলেই জানবেন।
.
মুচকি হেসে আদি বলে উঠলো-
সেই যেই হোন, মেহেরকে মেহেরীকা বলবেন আজ থেকে।
-কেনো?
-ওর স্বামী চায় তাই।
.
আদির কথা শুনে উচ্চশব্দে রাজীব হেসে বললো-
ঠিক আছে। কেবলমাত্র ওর স্বামীই ওকে মেহের ডাকবে।
.
.
.
মেহেরীকা আর আদি বাসার প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। কিন্তু এদিকে মেহেরীকার চোখের পানি বন্ধই হচ্ছেনা। তা দেখে আদি বললো-
আর কতো কাঁদবা তুমি?
–
-ওহো মেহের! এবারতো থামো।
-আমার আনিকার জন্য খারাপ লাগছে খুব।
.
আদি বুঝতে পারে মেহেরীকার কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে।
তাই তাকে জিজ্ঞাসা করে-
গলা ধরেছে তোমার?
-হু।
.
আদি ড্রাইভার এর উদ্দেশ্যে বললো-
গাড়ি থামাও, সামনের রেস্টুরেন্ট-টার সামনে।
.
ড্রাইভার গাড়ি থামাতেই আদি মেহেরীকার উদ্দেশ্যে বললো-
চলো।
-কোথায়?
-রেস্টুরেন্টে।
-কেনো!
-তোমার গলা ধরেছে, পানি খাওয়ার জন্য।
-পানি খেতে রেস্টুরেন্ট!
-শুধু পানি কেনো! আর কিছু….
-অসম্ভব। বিয়ের ভাত হজম হয়নি এখনো।
-আমার হয়ে গিয়েছে। আমি খাবো। চলোনা! অন্তত আমার জন্য?
-হু।
.
আদির সাথে মেহেরীকা রেস্টুরেন্ট এ প্রবেশ করলো। এই রেস্টুরেন্টে মেহেরীকা নতুন এসেছে বিধায় চারপাশটা চোখ বুলিয়ে দেখতে থাকলো সে। কিন্তু তার চোখ গিয়ে আটকায় আরো একটু দূরে কোণার একটা টেবিলের দিকে। কিন্তু একি! কাকে দেখছে সে!
.
(চলবে)