জীবনসঙ্গী
পর্ব ১৩
writer Tanishq Tani
মায়ের সাথে কথা বলে বিছানার উপর রেখে দেওয়া ব্যথার ওষুধ টা খেয়ে শুয়ে পড়ে শশী,,শরীরটা মোটেও ভালো লাগছে না,,মন খারাপ লাগলে শরীরটাও কেমন যেন দুর্বল লাগে,,
বিছানায় শুয়ে মায়ের কথা আবার কানে বাজছে,,,
না ভালো লাগছে না আর এসব ভাবতে শশীর,,মন না চাইলে শশী জোর করে মিথ্যা ভালো অনিকেত কে বাসবে না,,প্রিয় মানুষের ছলনায় কি যে কষ্ট লাগে শশীর চেয়ে সে উপলব্ধি আর কার বেশি,,
শ্বশুরবাড়ির নিয়ম কানুন নিয়ে নতুন বউয়ের মাঝে একধরনের ভীতি কাজ করে সেটা এখন আর শশীর মধ্যে নেই,, কেন নেই কে জানে? হয়তো দ্বিতীয় শ্বশুরবাড়ি তাই,,
প্রথম প্রথম সব কিছুতেই একটা ভয় চিন্তা বিরাজ করে,,কিন্তু দ্বিতীয়বারে তা আর লাগে না,,
কপালে হাত রেখে ঘুমিয়ে যায় শশী,,
বিকালে শশীর ঘুম ভাঙে,,,ঘুম ঘুম চোখে আরো কিছুক্ষণ শুয়ে থাকে,,হাত ও ঘাড় ব্যথার কারনে অলসতা বেশি কাজ করছে,,
শুয়ে থাকতেই ইচ্ছা করছে সারাক্ষণ,,,
না আর শুয়ে থাকা যাবে না,,কি ভাবছে এ বাড়ির মানুষ,, ছেলের সুখের জন্য বাবা মা কতো কি করে আজ অনিকেতের বাবা মা কে দেখে বুঝেছে শশী,,,
এভাবে যে আমি শুয়ে আছি,, অনির মা একবারটি এসে রিশাদের মার মতো বললো না কিরে নবাবের বেটি এতো ঘুমাচ্ছিস কেন? তোর বাপ কি বিয়ের সময় এক ট্রাক জিনিস দিয়েছে নাকি? এতো ভালো মানুষ হয় নাকি শ্বাশুড়ি? হয়তো ছেলের জন্য সব মুখ বুজে সহ্য করছে,,
শশী বিছানা ছেড়ে উঠে শাড়ির আঁচল টা বুকে তুলে নিলো,,এই একটা বদ অভ্যাস আছে শশীর ঘুমালে কাপড় ঠিক থাকে না,,
গত কাল রাতে শীত শীত লাগায় ভাগ্যেস চাদরটা শরীরে টেনে নিয়েছিল,,,
ফ্রেশ হয়ে নিচে নেমে এলো শশী,,ড্রইংরুমে অনিকেত নাসিফের সাথে বসে কার্টুন দেখছে,,নাসিফ যদিও ইনজয় করছে কার্টুন দেখা। অনিকেত মোটেও তা করছে না,,এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে অন্যমনস্ক হয়ে টিভির দিকে,,
,,ভালোবাসার মানুষগুলোকে নিয়ে মানুষ প্রবল ইনসিকিওর হয়,,সেখানে ভুলেও যদি দ্বিতীয় কারো সাথে তুলনা করে তার ভালোবাসার মানুষটি তাহলে কুরুক্ষেত্র বেধে যায় তার অন্তরে,,
অনিকেতের ভেতরটাতেও কিছুটা এমনি হচ্ছে,,,
শশীকে যত আপন করতে চাচ্ছে শশী যেন ততই দূরে সরিয়ে দিচ্ছে,,
ভাবি মনি,,,নাসিফ দৌড়ে শশীকে জরিয়ে ধরে,,,
অনিকেত শশীকে দেখে পাশ কেটে উপরে চলে যায়,,
শশী চুপচাপ দাড়িয়ে থাকে,,,
ভাবি ঘুম ভাঙলো তোমার,বাব্বারে বাব্বা নতুন বউ বাপের বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে কতো কিছু নিয়ে আসে আর তুমি তো নিয়ে আসলা চোখে একরাজ্যের ঘুম,,
এতো ঘুমাইলে আমি ফুপি হইতে পারতাম কও? ঘুমকুমারী ভাবি আমার,,
ফারিহা তুমি না,,,বিব্রত হয়ে কিছুটা,,
ভাবি মনি চলো আমরা ছাঁদে যায়,,
না বাবুসোনা,,আমি একটু রান্নাঘর থেকে আসছি,,,তুমি বরং বসে কার্টুন দেখো
শশী রান্নাঘরে উকি দিতেই দেখে শ্বাশুড়ি মা রান্না করছে পাশে মিনু,,,
মা আসবো,,
হ্যাঁ আয়,,,নিজের বাড়িতে কেউ কি অনুমতি চায়,,,,
সরি মা,,রান্নাঘররের দরজায় মুখ মলিন করে দাড়িয়ে,,
থাপ্পড় কি আরেকটা খাবি মেয়ে তুই? মায়ের সাথে সরি কি রে ,,তরকারি নাড়তে নাড়তে,,,
না মানে আমি সারাদিন শুয়ে বসে থাকি,,,আর আপনারা কাজ করছেন,,
হ্যাঁ তাইতো শুয়ে বসে থাকিস কেন? বাড়ির বউ না তুই,, ভুলেই গেছিলাম,,সব কাজ করবি আজ থেকে,,ঘর মোছা থেকে রান্না বান্না সব,,,
জ্বী,,,মুখ কালো করে,,,
জ্বী কি রে,,,তুই সত্যি ভাবলি আমি তোকে দিয়ে এসব করাবো,,এতো খারাপ ভাবিস,,শশীর মুখটা উচু করে,,,
না না মা,,,
না না না কি? তাইতো বুঝালি,,তুই অসুস্থ আমরা বুঝেও তোকে দিয়ে কাজ করাবো,,এতো খারাপ না রে আমরা,,
যতদিন সুস্থ না হবি কোনো কিছু করবি না তুই,, আমি চাই না আমার মেয়েটার কষ্ট হোক,,,হেসে বলে,,
শশীর চোখদুটো ছলছল করে,,শ্বাশুড়ি কি কোনোদিন মা হতে পারে? হয়তো পারে?অনির মাকে না দেখলে শশী এই কথা কোনোদিন বিশ্বাস করতো না,,
এখন বল আমাকে, কি খাবি তুই ,,পাঁচ টা না দশটা টা না একটামাত্র ছেলের বউ আমার,,তাকে আমি রান্নাঘরে খাটিয়ে মারবো ,,অরুনা চৌধুরী এতো খারাপ না,,
আরে তুই তো আমার ঘরের চাঁদ
তোকে আমি মাথায় করে রাখবো,,
শশীর কপালে চুমু খেয়ে,,,
শশী শ্বাশুড়িকে জরিয়ে ধরে শক্ত করে,,কেন জানি না শশীর খুব ভালো লাগছে অরুনা চৌধুরী কে জরিয়ে ধরে,,শান্তি লাগছে বুকের মধ্যে,,, খুব আপন লাগছে,,,
আচ্ছা ছাড়,,চল আমাকে সাহায্য করবি রান্নায়,,,না সাহায্য করা লাগবে না,,তুই বরং বস এখানে,,,আজ অনেকদিন পর অনির পছন্দের খেচুরি আর গরুর মাংসের কালা ভুনা করছি,,, তুই একটু চেখে দেখ তো কেমন হয়েছে?
বস এই চেয়ারটায়,,
জানিস আগে মন ভালো লাগলেই আমার অনি এসে আমাকে বলতো মম আজ খিচুড়ি আর গরুর মাংসের কালা ভুনা করো খাবো,,,
আমি সব ফেলে আমার প্রিন্সের জন্য এটা করে দিতাম,,
রান্নার সময় অনি আমার সাথেই থাকতো রান্নাঘরে,,রান্না শেষ হওয়ার আগেই খাওয়া শুরু হয়ে যেত ওর এখানে বসে বসে,,,
নে খেয়ে দেখ মাংস টা কেমন হয়েছে,, অনেকদিন রান্নাটা করা হয় না আগের মতো,,,আঁচলে হাত মুছতে মুছতে,,
শশী শ্বাশুড়ির খুশি দেখে একটুকরো মাংস মুখে দিয়ে চাবাতে থাকে,,,
অরুনা চৌধুরী অধীর আগ্রহে শশীর দিকে চেয়ে রয়,,যেভাবে বোর্ড পরীক্ষার্থীরা রেজাল্টে অপেক্ষায় থাকে,,,
ভালো হয় নি তাই না বউ মা,,মুখটা কালো করে বলে,,,
না মা,,খুব ভালো হয়েছে,, খুব টেস্টি,,, আমি এমন রান্না আগে খাই নি,,অনেক ইয়ামম
সত্যি,, তোর ভালো লেগেছে,,,
হুমমম খুব ভালো লেগেছে,,, আমি নিজেও তো আপনার রান্নার ফ্যান হয়ে গেলাম মা,,
আমাকে শিখাবেন মা এই রান্নাটা,,
হ্যাঁ অবশ্যই শিখাবো,,,
এখন খিচুড়ী টা রান্না করি,, তুই ফারিহাদের সাথে গিয়ে ড্রইং রুমে বস গিয়ে,, এখানে গরমে কষ্ট হবে তোর,,
না মা,,একদম কষ্ট হবে না আমার,,,আমি বরং আপনার খিচুড়ি রান্না দেখি,,,
আচ্ছা ঠিক আছে,,শশী শ্বাশুড়িকে রান্নাঘরে এটা ওটা দিয়ে সাহায্য করে রান্নায়,,বউ শ্বাশুড়ি একসাথে রান্নাঘরের কাজ করে,,,
সন্ধ্যার দিকে শশী নামাজ টা পড়ে নেয়,,এখন ঘার ও হাতের ব্যথাটা কমেছে কিছুটা,,
সন্ধ্যার পর থেকে অনিকেত কে দেখে নি শশী,,কেমন যেন লাগে শশীর,,,
জানালার গ্রিল ধরে আধারে নেমে যাওয়া আকাশকে দেখে শশী,,হঠাৎ করে দীপ্তউজ্জ্বল আকাশটায় নিকষ কালো আধার ঘিরে ফেলে,,ঠিক যেভাবে হাসি খুশি একটা মানুষের জীবনে দুঃখ নেমে আসে,,
আচ্ছা কি হতো যদি একটু সাহস করে অনিকেতকে ভালোবাসতে পারতাম?
কিন্তু এতো সাহস যে গরিবের মেয়েকে মানায় না,,,কেন আজ নিজেকে ঘৃনা লাগে,,কেন
মনে হয় পঁচে গেছে এই দেহ,,পঁচে গেছি এই আমি নামক মানুষটা,,,দীর্ঘশ্বাস ফেলে শশী,,
রাতে সবাই মিলে ড্রইং রুমে বসে জি সিনেমায় হাম সাথ সাথ হে মুভিটা দেখে,,
শশীরও এমন একটা শ্বশুরবাড়ি পাবার ইচ্ছা ছিলো,,আর সালমান খানের মতো একটা বর,,শান্ত শিষ্ট মার্জিত স্বভাবের,, যে পরিস্থিতি বুঝে আবার কঠিন ও হয়,,
ফারিহাপি! এই সাল্লু আংকেল আমার দাদা ভাইয়ের মতো তাই না?
ঐ তুই ওরে আংকেল বললি কেন? ইভারগ্রিন হিরো সালমান বুঝলি,,আংকেল ও কোনোদিন হবে না,,,আর কোনোদিন যদি আংকেল বলছিস থাপ্পড় দিয়ে দাঁত ফেলে দেবো বেয়াদব,,,
নাসিফ চোখ বড় করে মুখ গোমড়া করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে শশীর পেছনে গিয়ে কেঁদে দেয়,,
আহা! ফারিহা,,ও কি বোঝে,,তাছাড়া ওর বয়সী তো সালমান কে আংকেল ই বলবে,,সালমান নিজেই তো অনুমতি দিয়েছে বজরঙ্গী ভাইজানের মধ্যে,,, মুন্নি কে মামা বলতে বলেছিলো না বলো? নাসিফ তো মুন্নির কাছাকাছি বয়সের হবে,,,সেদিক থেকে সমস্যা হওয়ার কথা না তোমার,,
তুমি বললে ভাবি? তুমি? তুমি নিজেও তো সালনানের খানের ফ্যান,,
তো? আমি ওমন পাগলও না যে এসব নিয়ে আধিকখ্যেতা করবো,,ভালো লাগতেই পারে,,সেটা নিয়ে মারামারিতে যাওয়া আদৌ কি ঠিক?আমার মনে হয় না,,
হুমম,,নাসিফের দিকে কটমট করে তাকিয়ে,,
এই ফারিহা,,,, চিন্তিত হয়ে
হ্যাঁ মা বলো,,,
অনিকেত তো এখনো নিচে নামলো না,,গিয়ে একটু ডেকে নিয়ে আয় না মা,,
তুমি কেন যাও না ভাইয়ার গানের স্টুডিওর রুমে,,দেখছ না মুভি দেখছি,,আমি যাবো না,,
তুই গেলি,,রেগে গিয়ে বলে
মা! ফারিহা থাক,,আমিই যাচ্ছি,,,
হ্যাঁ তাই ভালো হবে ,,বউ মা তুমিই যাও
ড্রইং রুম থেকে বেরুলেই পেছন থেকে অরুনা চৌধুরী ডাক দেয় শশীকে,,,
আমার ছেলেটাকে আগের মতো করে দে না মা,,আমার প্রিন্স টা আবার আমাকে মা মা বলে জরিয়ে ধরবে,,আঁচলে চোখ মোছে অরুনা চৌধুরী,,,
বউ মা! আমি আমার প্রিন্স টাকে আবার ফিরে চাই,,তুই ফিরিয়ে দিবি,,কথা দে আমাকে,এই মায়ের অনুরোধ রাখবি তুই শশীর হাত ধরে ছলছল চোখে,,,
আপনি চিন্তা করবেন না,,আমি চেষ্টা করবো,,,শশী নিজেও অরুনা চৌধুরীর এমন অনুরোধে কিছুটা অসস্তি অনুভব করে,,,
তারপরও অরুনা চৌধুরীর খুশির জন্য হ্যাঁ বলে,,,
স্টুডিওর রুমের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে পড়ে,,দরজা খুলতে কিছুটা সংকোচ লাগে,,এই ঘরেই ঐ দিন রাতে অনিকেত কে স্বামী রূপে এতোবছর পরে দেখে,,অনিকেতের ভালোবাসার চিহ্ন পুরোটা দেয়ালে দেখে বিস্মিত হয়,,
সংকোচ কাটিয়ে দরজা খুলতেই অনিকেত কে পিয়ানো বাজাতে দেখে,,,
kho Na doon main paake tumko
Aaye yakeen na khud pe hamko
Jaise nadi ko kinara mila
Maine jo chaha mujhko wohi mila
Kiya dil main tere meri jagah hain
Ya phir yeh jo hain woh bewajah hain
Jaana na dil se door
Jaana na dil se door
Jaana na dil se door
শশী অনিকেতের গান শুনে থমকে যায়,,এই মানুষটা এতো ভালো কি করে গাইতে পারে,,, হৃদয় ছুঁয়ে যায়,,,
কেন এসেছ এই ঘরে,, অনিকেত তোমাকে ভালোবেসে কিভাবে ধুঁকে ধুকে মরছে তাই দেখতে তাই না? দেখো শশী দেখো,,,আমাকে দেখে একটু করুনা কর,, আমি যে আর পারছি না,,আমাকে দয়া কর তুমি,,,আমি বাঁচতে চায় তোমাকে ভালোবেসে বাঁচতে চায়,,তোমাকে আমার করে বাঁচতে চাই,,,
পিয়ানোর উপরে মাথা ঠেকিয়ে,,,
শশী পাথর হয়ে দাড়িয়ে রয়,, এই মুহুর্তে এমন কথার জবাব কি হবে শশী বুঝতে পারে না,,আর এই লোকটা বুঝলো কি করে আমি এখানে এসেছি,,,ধ্যাৎ কি জানি,,,
মা,,চিন্তা করছে,, নিচে চলুন,,,নিচুস্বরে কথাটা বলে শশী,,
হুমম,,যাও তুমি আমি আসছি,,পিয়ানো থেকে মাথা উঠিয়ে ভারি স্বরে বলে,,,
নিজের উপর রাগ হয় অনিকেতের,,ও কি কোনো জীবন্ত নারীর প্রেমে পড়েছে নাকি কোনো হৃদয়হীনা পাথরের মূর্তির,,এতো নির্দয় কেন শশী ওর প্রতি,,,
শশী কিছুদূর গিয়ে আবার ফিরে আসে,,
আমি আপনাকে কিছু বলতে চায়,,
হ্যাঁ শুনছি,,,রেগে উত্তর দেয়
কেন এভাবে নিজের জীবন নষ্ট করে দিচ্ছেন? আমার মতো পঁচে যাওয়া মেয়ে মানুষের জন্য,,, আপনি আমার চেয়ে আরো ভালো কাওকে ডিজার্ভ করেন,,,
এই তোর লেকচার শুনতে চেয়েছি আমি,,তুই ভালোবাসত পারবি না ভালো কথা,,তাই বলে আমাকেও কি এখন তোকেও ভালোবাসতে দিবি না,,আমার ইচ্ছা আমি যাকে খুশি যেভাবে খুশি ভালোবাসবো,,
আমি ভালো কাওকে ডিজার্ভ করি তাই না?
আমার জন্য তোর চেয়ে ভালো আর কিছু নেই,,, কেউ নেই,,, শশীর মুখের কাছে গিয়ে শশীকে ধরতে গিয়েও হাত মুঠ করে রেগে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,,,
হঠাৎ অনিকেতের এমন ভয়ংকর রুপ দেখে শশীর তো কলিজা শুকিয়ে যায়,,অনিকেতের মুখটা একদম শশীর মুখের উপর,,
দেখুন এতো পাগলামী ভালো না,,এই বয়সে এসব মানায় না,,শশী কাঁপা কাঁপা গলায় বলে,,,
তাই নাকি? কি মানায় তাহলে,,,বল আমাকে বলনা,,,তোকে জোর করে নিজের করে নেওয়া এটা মানাবে তাই না ?
আমার মেজাজ প্রচন্ড বিগড়ে গেছে চলে যাও তুমি এখান থেকে,,,
Out! I just say leave me alone,,, চিৎকার করে,,,
শশীর অন্তর আত্মা কেঁপে ওঠে ভয়ে
না যাবো না আমি,,শাড়ির আঁচল শক্ত করে মুঠ করে হাতে,,,চোখ খিচে বন্ধ করে,,
আমি জানি আমি আপনাকে অনেক কষ্ট দিচ্ছি,,, কিন্তু কি করবো বলেন,,আমার অতীত আমার পিছু ছাড়ে না,,আমি চেয়েও বর্তমান কে নিজের মতো সাজাতে পারি না,,
আমাকে একটু সময় দিন সব ভোলার,,আমি কথা দিচ্ছি আজ, এখন থেকে আমি আপনাকে এবং আপনাকেই নিজের জীবনসঙ্গী মানছি,,,তবে মন থেকে আপনাকে আপন করতে আমার সময় লাগবে,,সেই সময়টুকু আমাকে দয়া করে দিন অনিকেত,,,,একনাগারে বলে যায় শশী,,,
চলবে,,