জীবনসঙ্গী – পর্ব ২৬

0
275

জীবনসঙ্গী
পর্ব ২৬
writer Tanishq Tani
অনিকেত সহ সবাই শশীর গান মুগ্ধ হয়ে শুনতে থাকে,,হঠাৎ অনিকেতের মোবাইল টা বেজে ওঠে,, অনিকেত কাওকে কিছু না বলেই রাতুল আর শোভন কে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়,,,
শশী কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারে না,,কারন ততক্ষণে অনিকেত রুমের বাইরে,,মেজাজটা খারাপ হয় প্রচুর,,এমন কেন? সবসময় এমন করে,,ধুর,,মুখ কালো করে বসে থাকে,,,
রমনা পুলিশ স্টেশনে এসে গাড়ি থামে অনিকেতের,,৩ জন গাড়ি থেকে নামতেই হাবিলদার এসে সামনে দাড়ায়,,,
স্যার লোকটা কে ধরে নিয়ে এসেছে,,,
কোথায় এখন? কঠিন স্বরে বলে অনিকেত,,,,
লকাপে,,চলেন স্যার,,,
থানার ভেতর প্রবেশ করা মাত্রই ওসি ছুটে এসে হ্যান্ডশেক করে,,,আমার মিসেস আপনার খুব বড় রকমের ফ্যান অনিকেত সাহেব,,অনিকেত যেনো কিছুই শোনে না,,অনির নজর সেলের দিকে,,
ওসি সাহেব কালপিট টা কই,,রাতুল এগিয়ে এসে প্রশ্ন করে,,,
ও হ্যাঁ! আসুন! আসুন আপনারা বসুন আমি এখনি নিয়ে আসছি আপনাদের সামনে,,,বড্ড ধূর্ত আর চতুর লোকটা,, ১০ শয়তান মরার পর মনে হয় হারামিটার জন্ম হয়েছে,,অসম্ভব রকমের ছ্যাঁচড়া,,,
ওসি হাবিলদার কে ডেকে অনিকেত দের জন্য চা নাস্তার দিতে বলে ও আসামি কে আনতে বলে,,,
এই যে চলে এসেছে হারামিটা,,
অনি রা বসে পেছন ফিরতেই ৩ জনেরই মুখের অবয়ব পরিবর্তন হয়,,৩ জনই যে যথেষ্ট রাগে জ্বলছে তা তাদের মুখ দেখে আন্দাজ করা যাচ্ছে,,,
শোভন দ্রুত গতিতে উঠে গিয়ে বেধড়ক পিটাতে থাকে,,,,
তোর সাহস কি করে কুত্তার বা* তুই আমার বোনের দিকে নজর দিস,,তোর কলিজা ছিঁড়ে শিয়াল কুকুরকে খাওয়াবো রিশাদ,,
হাবিলদাররা গিয়ে ঠেকায়,,, রিশাদ ঠোঁটের রক্ত মুছে শয়তানি হাসি হেসে উঠে দাড়ায়,,
তারপর অনিকেত সাহেব! সেকেন্ড হ্যান্ডে কি খুব মজা,,আসলে আমিও জানতে চাই,,আর শশী এতোটা আবেদনময়ী আমার কাছে। উফ্
মাঝে মাঝে আমাকেও একটু শেয়ার করতে পারেন তো নাকি,,
অনিকেত আর কন্ট্রোল করতে পারে না নিজেকে। সোজা গিয়ে ওসির পিস্তল নিয়ে রিশাদের মাথায় তাক করে,,, রাগে চোখ মুখ লাল হয়ে যাচ্ছে,,,
ওসি অনিকেতের এমন আচরনে যথেষ্ট ঘাবড়ে যায়,,,
শোভন তো ইচ্ছা মতো চিল্লাচ্ছে,,হাবিলদার আর রাতুল ধরে রেখেছে নয়তো রিশাদ এতোক্ষনে মরেই যেত শোভনের হাতে,,,
হুহুহু,, অনিকেত আমি তো ভয় পেয়ে গেছি,,এখন কি হবে? আমাকে মারিস না প্লিজ আমাকে মারিস না,,কোন দোষে মারবি বল! ও হ্যাঁ দোষ তো আছে,,গুরুতর দোষ,, অনিকেতের বেস্ট ফ্রেন্ড অনির ভালোবাসাকে বিয়ে করে,, এই দোষে? কিন্তু আমি তো জানতাম না অনি! শশী তোর প্রেয়সী ছিলো,,,মুখটা করুন করে বলে,,
মিথ্যে বলিস না রিশাদ! তুই সব জানতি,,তুই জেনে শুনেই বিয়েটা করেছিস,,অনিকেতের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য,,,
তুই জেনে গেছিস রাতুল?শালা তুই সারাজীবন আমার পথের কাটা হয়ে রইলি,,আমি যতবার ভেবেছি অনির ক্ষতি করবো তোর জন্যই পারি নাই,,তুই এসে বাম হাত ঢুকাবিই,,,রেগে নাক কুচকে বলে,,
কেন করেছিস এমন? আমি তো তোকে বন্ধু ভেবেছিলাম তাই না? সেই স্কুল জীবন থেকে তুই আমার দোস্ত,, সবচেয়ে ভালো বন্ধু ভাবতাম তোকে আমি,,তবে কেন করলি এমন বল রিশু বল,,,চিৎকার করে রিশাদের কলার চেপে ধরে,,
হাহাহাহা! বন্ধু? কে বন্ধু? তুই?তোকে কোনোদিন আমি বন্ধু ভাবিনি,,তুই সবসময় আমার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলি,,মনে আছে তোর তুই যখন আমাদের স্কুলে এসে ক্লাস নাইনে ভর্তি হলি পরের বছর তোর রোল নম্বর ১ হয়েছিলো,,নতুন স্টুডেন্ট এসেই রোল এক করে ফেলেছে পুরো স্কুল ও এলাকায় লোকে তোকে সম্মান আদর দুটোয় করতে লাগলো,,স্কুলের মেয়েদের কাছে তুই হয়ে গেলি ক্রাশ,,কিন্তু এসব তো সব আমার ছিলো,,তুই এসে দখল করে নিয়েছিলি,,রাস্তা ঘাটে আমাকে কথা শুনতে হতো তুই আমাকে হারিয়ে দিয়েছিস,,বাবা উঠতে বসতে কথা শুনাতো তুই এমন ওমন,, তোর সাথে মিশে যেন আমিও ভালো হই,,তবে
আমি কি খারাপ ছিলাম?
এসব শুনতে শুনতে মাথা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল আমার,,ডিপ্রেশনে পড়ে গেছিলাম,,বাধ্য হয়ে তোর সাথে বন্ধুত্ব করতে হলো আমাকে,,তোর কাছে ওটা বন্ধুত্ব ছিলো কিন্তু আমার কাছে ওটা ছিলো প্রতিশোধের উপায়,,কিন্তু পারি নাই তোর থেকে ভালো রেজাল্ট করতে বোর্ডে,, পারিনি প্রতিশোধ নিতে,,,কারন কি শুনবি?
কারন হলো বিশাখা,,,হ্যাঁ বিশাখা,,নাইনে পড়তো? ধনীর দুলালী,,পুরো এলাকার ছেলেদের ক্রাশ,,যার ক্রাশ ভালোবাসা ছিলাম আমি,,কিন্তু পরিক্ষার আগে জানতে পারলাম ও আমাকে নয় এখন তোর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে,,,তুই আমার থেকে বিশাখার ভালোবাসাটাও কেড়ে নিলি অনি,,,আমি পড়তে বসতে পারতাম না,,ঘুমাতে, খেতে কিছুই করতে পারতাম না,,,নেশা করা শুরু করলাম সব ভোলার জন্য,,,শেষ হয়ে গেলো আমার বড় সাইন্টিস্ট হওয়ার স্বপ্ন,, তোর জন্য শেষ হয়ে গেলো,,কিছুই পেলাম না আমি,,
বিশাখাকে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করে বিয়ে করলাম,,সব ছেড়ে আবার বাচতে চাইলাম।কিন্তু ওর মনে তো তুই ছিলি তুই,,আমি তো শুধু করুনা আর ওর দয়ায় ছিলাম,,
আমাকে ছুঁতে দিত না,, দূরে দূরে রাখতো,,
আবার শুরু হলো আমার নেশা করা,,এবার নতুন ভাবে যুক্ত হলো পর নারীতে আসক্ত,, বিশাখার উপর রাগ করে প্রতিদিন অন্য মেয়ের সাথে রাত কাটাতে লাগলাম,,,
বিশাখার এসব জানা ছিলো,, কোনো ভ্রুক্ষেপই ছিলো না আমার এসব কাজে,,ও ওর মতো চলতো,,আমি ওকে জ্বালাতে চেয়েছিলাম,, ভেবেছিলাম হয়তো অন্য মেয়ের কাছে যাই শুনে হিংসা করে হলেও আমাকে আপন করে নেবে? কিন্তু না ফল উল্টো টাই হলো,,তালাক দিতে চাইলো আমাকে,,ছেড়ে চলে যেতে চাইলো,,,
একদিন রাস্তায় তোর হাতে হাত রেখে কাঁদতে দেখি,,তুই ওর চোখ মুছিয়ে দিচ্ছিস,,পরম ভালোবাসায় কথা বলছিস,,আমার বুঝতে বাকি থাকলো না বিশাখা আমাকে কেন ছেড়ে যেতে চাইলো,,,মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো দেবে থাকা তোর প্রতি ঘৃণা,,প্রতিশোধ চরম প্রতিশোধ নিতে চাইলো মনটা আমার,,
আমার পর্যায়ে আমি তোকে নামাবো,, যেকোনো মূল্যেই হোক তোকে আমি আমার কষ্টের দিনগুলো তোকে উপহার দিবো,,
দুই দিন পর বিশাখার সাথে তালাকের কাজ সম্পন্ন করলাম,,৪ মাস অতিবাহিত হলো,,সবকিছুই স্বাভাবিক ছিলো সবার কাছে,,আমার বাবা মাও অবাক হয় আমার চুপচাপ শান্ত থাকা দেখে,,,তোদের সাথে আবার আগের মতো মেশা শুরু করলাম,,,জানতে পারলাম তুই প্রেমে পরেছিস,,কঠিন প্রেম,,পুরোপুরি বদলে যেতে দেখি তোকে প্রেমে,,ঠিক আমার মতো,,আমি যেমন বিশাখাকে ভালোবেসে বদলে গিয়েছিলাম সেই রকম,,,
মাথায় চরম পর্যায়ের প্লান কাজ করলো,,এর চেয়ে মোক্ষম সময় আমি পাবো না আর তোর উপর বদলা নেওয়ার,,
তোর প্রেমটাকে গভীর হওয়ার সময় দিলাম,,
জানতে পারলাম তোর প্রেমিকা শশী তোকে মোটেও ভাও দেয় না,,মনে মনে প্রচন্ড আফসোস হতে লাগলো,,আমার বিশাখা কেন এমন হলো না,,
বাবা মাকে বললাম বিয়ে করবো আবার,,তবে ২ দিনের মধ্যে বিয়েটা করাতে হবে,,,মেয়েটা গরিব জেনেও বাবা মা রাজি হলো,,কারন বাবা মা চাইছিলো বিশাখার থেকে আমাকে আজীবনের জন্য দূর করতে,, তাদের ধারনা ছিলো ওর কারনেই ভদ্র ছেলেটা রসাতলে গেছে,,তাদের মনে ভয় ছিলো আমি হয়তো আবার বিশাখাকে ফিরিয়ে আনতে পারি,,,
কিন্তু আমি যে আজীবন বিশাখাতেই ডুবে আছি তা তারা বোঝে নাই,,,
বিয়ে হলো ইচ্ছা করলে ঐদিন বাসর করে আসতে পারতাম,,কিন্তু শশীর প্রতি আমার কোনোরকমের আকর্ষণ ছিলো না,,আমার সব আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু তো বিশাখা ছিলো,,
তাই মা অসুস্থ বলে চলে আসলাম বিয়েটা পড়ে,,,
এদিকে বিশাখাকে তোর সাথে নিয়মিত ঘুরতে দেখতাম,,এদানিং তোদের বাড়িতেও যেতে দেখতাম,,,হয়তো তোরা এক হচ্ছিস,,আমাকে ছুঁতে দিলো না অথচ তোকে নিজে থেকেই,, ছি!
মনে প্রচন্ড রাগ জন্মালো,,এখন তো তোর উপর প্রতিশোধ নেওয়ার মোক্ষম জিনিসটাও হাতের নাগালে,,অনেকটা কালো জাদুর মতো,,আমি জানতাম শশী নামক পুতুলটাকে ব্যথা দিলে তোর বুকে সেই ব্যথা লাগবে,,তুই আমার বিশাখাকে ছুয়েছিস,,আমিও যদি না ছুই তাহলে কি করে হয়,,,
হুট করে চলে গেলাম ঐ দিন শশীদের বাড়ি,,শশীকে কলেজ ড্রেসে দেখে লোভ সামলাতে পারি নাই,,যথেষ্ট সুন্দরী,, স্বামীর অধিকার খাটালাম,,যখনি রাগ উঠতো তোর উপর। এসে শশীর শরীরের উপর সেই রাগ মেটাতাম,,পৈশাচিক আনন্দ হতো তাতে।ওর প্রতি আমার মনের টান কোনোদিনই ছিলো না,,ওকে বশে রাখতে তোর থেকে দূরে রাখতে ভালোবাসার নাটক করতাম,,ভেবেছিলাম এভাবে কিছুদিন করে তালাক দিয়ে দিবো,,,,কিন্তু কি হলো শালী প্রেগন্যান্ট হয়ে গেলো,,,জানাজানি হয়ে গেলে তো সমস্যা তাই জোর করে এবোশন করালাম,,,
মার চাপে পড়ে না চাইতেও উঠিয়ে নিতে হলো,,দাদাীকে উসকে দিয়ে ওদের কাছ থেকে যৌতুক দাবী করলাম,,কিন্তু ফকিন্নি জাত কিছুই দিতে পারলো না সামান্য টাকা ছাড়া,,,
আমার বাড়িতে এনে আরো স্বাদ মিটিয়ে শাস্তি দিতাম শশীকে,,ওর চোখের পানি আর তোর নেশায় ডুবে থাকার দুটো দেখতেই মনটা খুশিতে নেচে উঠতো,,,
এর মধ্যে শশী দুবার কন্সিভ করে,, ইচ্ছে করে দুটো বাচ্চায় নষ্ট করি আমি,,ভেবেছিলাম হয়তো এতো কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আপনা আপনি আত্নহত্যা করবে কিন্তু শালীর কৈ মাছের প্রান,,সহজে মরে না,,
একদিন বিশাখার বাড়ি গেলাম,,কেউ নেই বাড়িতে বিশাখা ছাড়া জেনেই গিয়েছিলাম আমি,,জোর করে পেতে ইচ্ছে করছিল সেদিন,,,
দরজায় টুকা দিতেই খুলে দিলো বিশাখা,,চোখে মুখে কেন জানি ওর আনন্দ দেখতে পেলাম,,পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিলাম,,ভুল ভাবছি,,,আনন্দ হবে কেন? ও তো আমাকে ভালেবাসেই না,,
ভেতরে আসতে বলবে না বিশাখা?
এসো!
তা হঠাৎ এদিকে,,তোমার স্ত্রী যদি শোনে ঝামেলা হবে না?
শুনবে না,,আর শুনলেই কি,,তুমি তো আমাকে ভালোবাসো না,,ভালোবাসো অনি কে,,,
একদম বাজে কথা বলবে না রিশাদ,,
বাজে কথা? তুই অস্বীকার করতে পারবি তুই অনিকেত কে ভালোবাসিস না,,তুই অস্বীকার করতে পারবি অনির সাথে তুই রাত কাটাস নাই,,কি এমন আমার নাই যা অনির আছে,,বল
নেশা করেছ তাই না? তোমার মন টা এতো নোংরা,, ছি! এখানেই পার্থক্য তোমার আর অনির মধ্যে,, ওর মনটা পাক,,তোমার মতো পশু আর খারাপ না ও,,,তুমি বেড়িয়ে যাও এখান থেকে,,
আমি পশু,, আমি খারাপ,,আর অনি ভালো,,অনিকে বিয়ে করে সংসার করবি তাই তো?
দরকার হলে তাই করবো? তোমার মতো লোকের মুখ দেখাও পাপ,,তুমি কোনোদিনও ভালো হবে না,,
ও আমার মুখ দেখা পাপ? আর অনির মুখ দেখা সওয়াব,,এতো কিসের অহংকার তোর? আজ সব অহংকার ভেঙে দেবো,,,
বিশাখাকে টেনে বিছানায় নিয়ে যায়,,পড়নে থাকা কামিজ সালোয়ার টেনে ছিড়ে ফেলি,,,বিশাখা চিৎকার করে কাঁদতে থাকে,,মুখ চেপে ধরি,, প্রতিশোধের নেশায় এতোটায় অন্ধ হয়ে গিয়েছিলাম যে এইটুকু খেয়াল করি নাই ওর হাত মুখ সহ বিশাখার নিঃশ্বাস ও চেপে ধরেছি আমি,,,বিশাখার শরীরের উপর তখন নিজের পশুত্বের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত আমি,,,
রাগটা যখন মাথা থেকে নামে,,আমি বুঝতে পারি কতোবড় সর্বনাশ করে ফেলেছি ,, বিশাখার নিথর প্রানহীন দেহ পড়ে আছে,,, উন্মাদ হয়ে যায় আমি,,উদভ্রান্ত হয়ে বারে চলে যায়,,যতক্ষণ মাথা থেকে ঐ দৃশ্য না যাচ্ছিলো অনবরত মদ পান করতে থাকি,,একসময় ভুলে যায়,, বাড়িতে এসে শশীর মুখে বিশাখার নাম শুনে আবার মনে পড়ে,,,আক্রোশ পুরোটা শশীর উপর চালিয়ে দেয়,,ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় শশী,,
আর আমি ৬ মাস রিহাব সেন্টারো কাটিয়েছি,, বিশাখার নিথর দেহের ছবি বুকে নিয়ে,,তোর কারনে এই হাতে শেষ করেছি আমি আমার বিশাখাকে,,তোর কারনে আজ এতোগুলো জীবন নষ্ট হয়েছে,,শশীর কষ্টের কারন তুই অনি তুই,,,
উপস্থিত সবাই রিশাদের কথা শুনে থ হয়ে দাড়িয়ে থাকে,,ওসি জীবনে বহু আসামিদের অপরাধের কাহিনি শুনেছে কিন্তু এর মতো এতো পৈশাচিক কাহিনি হয়তো শোনা হয়নি,,,
অনিকেতের রূহ আৎকে ওঠে,, এ কাকে দেখছে অনিকেত,,, কি শুনছে,,,নিজের কানকে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না,,
নিঃশব্দে দেয়ালের সাথে মিশে দাড়ায়,,শরীরে একরত্তি শক্তি অনুভব করছে না,,দুচোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে,,,
চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here