তুমি বললে আজ – পর্ব ১৬

0
1041

#তুমি_বললে_আজ
লেখনীতেঃ #রিধিমা_জান্নাত_রূপা
পর্বঃ ১৬

.
স্বচ্ছ নীল আকাশে শুভ্র মেঘের ঢেউ তুলোর মতো ভেসে যাচ্ছে। বাতাসের বেগে উড়ে যাচ্ছে আকাশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রাপ্তে। গাছের সবুজ রঙের পাতার সাথে ডালপালাও বাতাসের বেগে প্রায় আধা ঝড় তুলে চলছে। সেই সাথে উড়ে চলেছে আমার গায়ের জামাটা, টেনে নিয়ে যেতে চাচ্ছে দূর অজানায়। স্নিগ্ধ বাতাসে হাতদুটো মেলে পাখির ন্যায় উড়ে যেতে ইচ্ছে জাগছে মনে। মাথার হিজাবটা একটানে খুলে ফেলে চুলগুলোকে মুক্ত করতে ইচ্ছে হচ্ছে। ভেসে যেতে বাসনা জাগছে শুভ্র মেঘের মতো ওই দূর আকাশে।

রেস্টুরেন্টে তাসফি ভাই যখন হঠাৎ করেই বলে উঠেছিলে
‘তুমি বললে আজ হারিয়ে যেতে চাই দূর অজানায়। ভালোবাসতে বাধ্য করতে চাই, আঁটকে রাখতে চাই কারোর প্রেমের বাঁধনে’।

কোন কথা বলতে পারি নি আমি। পারি নি বললে ভুল হবে বের হয় নি কোন শব্দ আমার গলা ভেদ করে। কেন জানি হুট করেই মাথাটা ঝাঁকিয়ে ছিলাম। সায় দিয়েছিলাম ওনার কথায়। না করতে পারি নি আমি। খাওয়া শেষ করে আমার হাত ধরে বেরিয়ে আসেন রেস্টুরেন্টে ছেড়ে। বাইকে উঠে শক্ত করে ধরে বসতে বলেন আমাকে। তারপরেই পাড়ি জমায় নাম না জানা এই এই গন্তব্যে।

চারদিকে তাকিয়ে দেখতেই তাসফি ভাইয়ার দিকে নজর পরলো। আমি যেমন মুগ্ধ নজরে চারপাশটা দেখে চলেছি, ঠিক সেভাবেই মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছেন উনি আমার দিকে। বাইকের সাথে হেলান দিয়ে দেখে চলছেন। আমাকে ঠোঁটের কোনে ঝুলে আছে শত-শত মেয়ের মন কেঁড়ে নেওয়া সেই হাসিটা। দ্বিতীয় বারের মতো থমকে গেলাম ওনার অবাধ্য হাসিতে, অনুভূতি শুন্য হয়ে গেলাম মুহুর্তেই। কি আছে এই হাসিতে? যেটা কি না কিছু মুহূর্তেই হরণ করে নিলো আমার হৃদয়টা।
এগিয়ে এসে আমার হাতটা শক্ত করে ধরলেন তাসফি ভাই। কেঁপে উঠলাম আমি। চোখ রাখলাম ওনার চোখে। খুব জোরে হার্ট বিট কেঁপে উঠলো আমার, সাথে সাথে নামিয়ে নিলাম চোখ দুটো। কিছু একটা আছে ওনার এই গভীর চোখে। যেকোন মেয়েকেই প্রেমের সাগরে ডুব দিতে বাধ্য করবে। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেই যেন গভীর প্রেমে পড়ে যাবে এই চোখ দুটোর। আমি পারলাম না… পারলাম না এই শীতল চোখে তাকিয়ে থাকতে।

তাসফি ভাইয়া কিছু একটা বলে চলেছেন, ঠিক শুনতে পেলাম না ওনার কথা। ওনাকে নিয়ে ভাবনাগুলো বুঝতে দিলো না ওনার কথা। হঠাৎ হাতে টান পড়ায় ভাবনাগুলো ছুটে গেল আমার। তাসফি ভাইয়া হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে। আমাকে নিয়ে বিশাল একটা গাছের নিচে এসে দাড়ালেন উনি। গাছটার নাম জানা নেই আমার। আমাকে গাছের গোড়ায় বসতে বললেন। আমিও বসে পড়লাম ওনার কথামতো। এই বিশাল ফাঁকা জায়গায় শুধুমাত্র বড়বড় গাছ ব্যাতিত আর কারোরই দেখা পেলাম। জনমানব শুন্য নিতান্তই এই ফাঁকা জায়গাটা মুহুর্তেই মন কেঁড়ে নিয়েছে আমার। ঢাকা শহরেও যে এমন জায়গা থাকতে পারে জানা ছিলো না আমার।
তাসফি ভাই আমার অনেকটা কাছে প্রায় গা ঘেঁষেই বসে পড়লেন। আমার খারাপ লাগলো না, বরং মুগ্ধতায় ছেয়ে গেল আমার উৎফুল্ল মন। একরাশ ভালোলাগা এসে ভীর জমালো সাথে কিছুটা লজ্জার আভাস।

পিনপিনে নীরবতায় ঠিক কতক্ষণ কেটে গেছে বুঝতে পারলাম না ঠিক। দুজনের নীরবতাকে ভঙ্গ করে তাসফি ভাই বলে উঠলেন,

“কেমন লাগলো জায়গাটা?”

ওনার কথায় চোখ বন্ধ করে আবারও অনুভব করলাম এই মুহুর্তটা। দমকা হাওয়া এসে ছুয়ে দিলো আমার চোখ মুখ সহ পুরো শরীরে। অবাধ্য শিহরণ বয়ে গেল আবারও। চোখ খুলে ওনার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি উপহার দিলাম। উনি হয়তো বুঝে গেলেন আমার মনের কথাগুলো। হাসি ফুটে উঠলো ওনার চোখ মুখে। বললেন,

“জানতাম তোর ভালো লাগবে। আমার ভালোলাগা ভালোবাসার জিনিসগুলোকে আপন করে নিবি। ভালোবেসে ফেলবি নিজের থেকেও বেশি।”

আমি গভীর চোখে শুধু তাকিয়ে আছি ওনার দিকে। বোঝার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি কথাগুলো। উনি একই ভাবে ঝুলিয়ে রেখেছেন ঠোঁটের কোনের হাসিটা। আমার থেকে চোখ সরিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলেন,

“জানিস রুপু, এই জায়গাটা আমার ভীষণ আপন। একাকী মন খারাপের সঙ্গী, দুঃখকে দূর করে সুখ গুলোকে আপন করার সঙ্গী, ভালোবাসাকে কাছে না পাওয়ার সঙ্গী, তৃষ্ণার্ত প্রেমিকের ন্যায় তার প্রিয়তমাকে এক পলক দেখতে না পাওয়ার ছটফটানির চিরসঙ্গী হয়ে আছে এরা। কলেজে ভর্তি হবার পর কয়েক মাস ভালো কাটলেও হঠাৎ এলোমেলো জীবন চলতে শুরু হয়। মানিয়ে নিতে ভুলে যাই সবার সাথে। একটা নামের মাঝেই আঁটকে গেছি বার-বার। হাজার চেষ্টা করেও মাথা থেকে বের করতে পারি নি সেই নামকে, আরও জড়িয়ে গেছি ওতপ্রতভাবে। সেদিন এলোমেলো পায়ে নামহীন গন্তব্যে ছুটে চলেছিলাম। হঠাৎ নিজেকে আবিষ্কার করি এই নিস্তব্ধ জায়গায়। বিষন্ন মনটা ভালোলাগায় ছেয়ে যায় মুহুর্তেই, পেয়ে যাই ভালোবাসার মানুষটিকে। মনের কোণে আলোড়ন করে নেই সেই ছোট্ট নামটিকে। তখন থেকেই এই জায়গা, গাছপালা সবাই আমার ভীষণ আপন।”

জোরে একটা শ্বাস ফেললেন উনি। তাকালেন না আমার দিকে। স্থির হয়ে তাকিয়ে আছেন সামনের দিকে। সুক্ষ একটা যন্ত্রণা হলো আমার, সোজা গিয়ে বুকে আঘাত আনলে। হালকা চিনচিন করে উঠলো বুকের বা পাশে। কেন হলো? কি কারণে হলো বুঝতে পারলাম না আমি। কিন্তু বুকটা ভারী হয়ে উঠেছে সেটা খুব বুঝতে পারছি। তাসফি ভাই ঠিক সেভাবেই বলা শুরু করলেন,

“এখানে লাগাতার আসতে লাগলাম সেদিনের পর থেকে। সঙ্গীবিহীন একাকী মনের কথা বলতে, দূরে থাকা প্রিয়তমাকে অনুভব করতে। কখনো বন্ধুদের সাথেও আসা হয় নি, আমিই নিয়ে আসি নি। তারা কেন আসবে? কেন ভাগ নিবে আমার সুখ দুঃখ প্রাপ্তির মুহূর্তের? সেটা তো শুধু একজনেরই অধিকার। একজনেরই অধিকার এই মুহুর্তগুলো উপভোগ করার।”

বুকটা যেমন হঠাৎ করে ভারী হয়ে উঠেছিলো ঠিক সেভাবেই হালকা হয়ে গেল মুহুর্তেই। বিষন্নতায় ছেয়ে যাওয়া মনটা হঠাৎ করেই ভালোলাগায় ভরে গেল। কেন গেল? কেন এমন উৎফুল্লতায় ছেয়ে গেল মনটা? কেন? এই কেন-র উত্তর খুঁজে পেলাম না আমি। শুধু মাথা ঘুরতে লাগলো একটি কথা। তাসফি ভাই যদি কাউকে ভালোই বেসে থাকে, আর তাকেই যদি শুধু এখানে আনতে চায় তাহলে আমাকে কেন নিয়ে আসলেন উনি। কেন নিয়ে ওনার অনুভূতির সাথে আমাকে পরিচয় করাতে? বুঝেও কিছু বুঝে পারছি না। মেলাতে পারছি না ওনার প্রেমের সমীকরণ। বারংবার মনে ভেসে উঠেছে একটাই প্রশ্ন, কি করে সম্ভব এটা? তাসফি ভাইয়া কি করে আমাকে…..
আবেগী চোখে তাকালাম ওনার দিকে। আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন, কখন তাকিয়েছে বুঝতে পারি নি আমি। প্রেমময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে। এই মুহুর্তে একটা প্রশ্নের উত্তর জানা ভীষণ প্রয়োজন আমার। ভীষণভাবে প্রয়োজন। ওনার দিকে তাকিয়েই বললাম,

“আ..আমাকে আপনি ক্..কে…..”

হুট করে আমার গালে দু’হাত রাখলেন উনি। চমকে উঠলাম আমি, কথা বন্ধ হয়ে গেল আমার। চোখ দুটো বন্ধ করে নিলাম সাথে সাথেই। আলতো করে ধরে বললেন,

“কোন কথা নয়, শুধু অনুভব করো। ফিল করো এই মুহুর্তকে।”

কথা বলতে পারলাম না আমি, না পারলাম চোখ দুটো খুলতে। বসে রইলাম ওনার দু’হাতের মাঝে মুখটা রেখে। সেভাবেই কেটে গেল কিছু মুহুর্ত, কিন্তু-ক্ষণ। আরও নতুন একটা নাম না জানা অনুভূতির সাথে পরিচিত হতে লাগলাম লাগাতার। অবাধ্য ইচ্ছে গুলো বারংবার উঁকি দিচ্ছিলো মনে কোণে। ছন্ন ছাড়া হয়ে পড়েছিলাম কিছুক্ষণের জন্য। নাম কি এই অনুভূতি গুলো? আবেগ, মায়া নাকি ভালোবাসা?

.
“ঘুমাবি কখন? রাত কটা বাজে চোখে পড়ছে না তোর?”

বেরিয়ে এলাম বিকেলের সেই নাম না জানা অপরিচিত অনুভূতি থেকে। কেন জানি না অদ্ভুত সুন্দর ছিলো সেই মুহুর্তটা। অবুঝ মনটা বারবার জানান দিচ্ছিলো এখানেই থেমে যাক এই সময়টা। সূচনা হোক নতুন কিছুর। হঠাৎ ফোনের রিংটোনের শব্দে ভাবনাগুলো ছুটেছিলো আমার। চোখ মেলে তাকিয়ে ছিলাম সাথে সাথেই। কিন্তু থেমে ছিলেন না তাসফি ভাই। হাত দুটো বিচরণ করে যাচ্ছিলো আমার সারা মুখ জুড়ে। লজ্জায় আকৃষ্ট হয়ে ডেকে উঠেছিলাম ওনাকে। হকচকিয়ে উঠেছিলেন উনি, এলোমেলো ভাবে আমাকে ছেড়ে দিয়ে ফোনটা বের করেছিলেন পকেট থেকে। বিকেলের সেই মুহুর্তে তাসফি ভাই নামক সেই মানুষটা ছিলো না ওখানো। ছিলো তাশরিফ রওনাফ তাসফির এক অন্য রুপ।

“হুম, যাচ্ছি।”

নিস্তব্ধ রাতের আকাশের অর্ধ চাঁদের থেকে চোখ সরিয়ে পিছন ফিরে ছোট জবাব দিলার তাসফি ভাইকে। আধার রাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আকাশের এই অর্ধ চাঁদ দেখায় মত্ত হয়ে ছিলাম। আর ভাবনার মাঝে ছিলো বিকেলের দেখা এক অন্য তাসফি। তাসফি ভাই আমার অনেকটা কাছেই দাঁড়িয়ে আছেন। ছাই রঙা শার্ট যেন ফুটে উঠেছে ওনার গায়ে। আমাকে তাকিয়ে থাকতে দেখে ভ্রু নাড়িয়ে উঠলো। মাথা ঝাকালাম আমি। বললাম,

“আপনার পড়া শেষ এত তাড়াতাড়ি?”

“পড়াশোনার কি কখনো শেষ আছে? ভীবনটাই তো পেরাময় পড়া দিয়ে তৈরি।”

হেসে উঠলাম আমি। আসলেই পেরা, পৃথিবীর সবচেয়ে পেরাময় জিনিসটাই হলো পড়াশোনা করা। দিনের পর দিন পড়াশোনা করা, মাসে মাসে পরীক্ষা দেওয়া, রেজাল্টের টেনশনে অতিষ্ঠ হওয়া, ভালো প্রতিষ্ঠানে নিজের জায়গা গড়ে নেওয়া। এগুলোর একটু হেরফের হলেই মা বাবা, আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী, বন্ধু বান্ধবের থেকে হাজারো কথা শোনা, অবশেষে লাঞ্চিত হওয়া। এগুলো পেরা ছাড়া আর কিছুই নয়।

“দাঁত বের করে আর হাসতে হবে না। রুমে এসে ঘুমিয়ে পর তাড়াতাড়ি। রাত জেগে অসুস্থ হলে সেই আমাকেই ছুটতে হবে হসপিটালে তোকে নিয়ে।”

বলেই রুমে পা বাড়ালেন উনি। আমিও চলে আসলাম ওনার পিছু পিছু। আমাকে আবারও ঘুমিয়ে পড়তে বলে উনি টেবিলে গিয়ে বসে পরলেন। ওনাকে টেবিলে বসতে দেখে বলে উঠলাম,

“আপনি ঘুমাবেন না?”

“বাব্বা্ একদিনেই তো দেখি বরের প্রতি ভালোবাসায় পরে গেছিস তুই। বরকে ছাড়া ঘুমাতেও পারছিস না? এত ঘুরিয়ে না বলে সোজাসুজি বলতেই তো পারিস ‘আপনাকে ছাড়া ঘুম আসছে না আমার। তাড়াতাড়ি আসুন, আমায় একটু আদর করেন, ঘুমাতে পারছি না তো আপনাকে ছাড়া’।”

চমকে উঠলাম আমি। ছি, কি অসভ্য কথাবার্তা বলছেন? মুখে কি কিছুই আঁটকায় না নাকি? আমি তো ভাবতেই পারছি না, আর উনি কি না লাগাম বিহীন বলেই ফেললেন? অসভ্য-অভদ্র লোক একটা।

“পাগল হয়ে গেছেন আপনি? আমি কেন এসব কথা বলতে যাবো? ভাবনাতেই তো আনতে পারি না কথাগুলো, আর আপনি কি না….”

“অত কিছু ভাবনাতে আনতে হবে না তোর, শুধু আমাকে আনলেই হবে। এখন চুপচাপ ঘুমিয়ে পর আর বেশি বেশি আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখ।”

“আ..আপনি….”

“বললাম না ঘুমিয়ে পরতে। এখনো অনেক পড়া বাকি আছে আমার। বিসিএস পরীক্ষায় তোর আর তোর মুখ দেখে পাশ করবো না?”

বজ্জাত লোক একটা। আমাকে কিছুই বলতে দিলেন না আর। এমন ভং ধরলেন যেন উনি ব্যাতীত রুমে আর দ্বিতীয় করো অস্তিত্ব নেই। মুখ ডুবিয়ে দিলেন বইয়ের মাঝে। আমিও মনের সুখে বজ্জাত লোকটাকে বকতে বকতে বিছানার এক পাশে শুয়ে পরলাম। কালকে মনের মধ্যে একটা ভয় বিরাজমান হলেও আজকে আর সেটার আভাস পেলাম না। কালকের ভয়টা ঘেঁষতে না পারলেও লজ্জাটাকে দমাতে পারলাম না কোন মতোই।

.
.
(চলবে….)

ডিপ্রেশন বড্ড খারাপ একটা জিনিস। কখন, কোথায়, কিভাবে একটা মানুষকে এটার্ক করে, খারাপ একটা পরিস্থিতিতে নিয়ে যায় সেটা কেউ জানে না। জীবনযুদ্ধে খুব খারাপ ভাবে হেরে গিয়েছি, মুখ থুবড়ে পড়ে গিয়েছি হঠাৎ করেই। জানি না এখান থেকে কিভাবে বের করে নিয়ে আসবো নিজেকে।😓 চাইলেই পারবো কি না সেটাও ঠিক জানা নেই আমার। উপরে যিনি আছেন তিঁনি হয়তো খুব ভালো কিছুর জন্যই এমন একটা বাজে পরিস্থিতিতে ফেলেছেন আমাকে। জানি না কবে মুক্তি পাবো এই ডিপ্রেশন থেকে, তবে সেটা যেন খুব তারাতাড়িই হয়। সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য।😔
আজকের পর্বটা কিভাবে লিখেছি নিজেই জানি না। হয়তে আপনাদের মাঝে কিছু মানুষের ভালোবাসার জন্যই সম্ভব হয়েছে। অনেক ভালোবাসা তাদেরকে।🖤 ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।🙂

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here