তুমি বললে আজ – পর্ব ৯

0
1008

#তুমি_বললে_আজ
লেখনীতেঃ #রিধিমা_জান্নাত_রূপা
পর্বঃ ০৯

.
“যখন জ্ঞান হারালি, তখন তাসফি ভাইয়াই আগে খেয়াল করেছে। তারপর তো আমার ছুটে আসলাম, তোকে রুমে নিয়ে আসলো তাসফি ভাই। ওর ডাক্তার বন্ধুকে কল করে জানালো সবটা, তারপর উনি একটা মেডিসিনের নাম বললেন। ভাইয়া মেডিসিনটা পানিতে গুলিয়ে খাওয়াতে বললো তোকে। সবাই চলে যাওয়ার পর আমিই তো ছিলাম তোর সাথে, কিন্তু তুই ঘুমাচ্ছিলি বলে ফ্রেশ হবার জন্য রুমে যাই। কিছুক্ষণ পর তাসফি ভাই আমায় ফোন দিয়ে বললো তোকে দেখতে তোর রুমে গেছে কিন্তু রুমের দরজা নাকি বাইরে থেকে লক করা। আমি আসছি বলে জামাটা চেঞ্জ করতে সামান্য দেরি হয়ে যায়। আমি দরজার কাছে আসতেই ছোট দাদী রুমের দরজা খুলে চিৎকার চেচামেচি শুরু করে দিয়েছে ততক্ষণে। তখনই সবাই ভীড় জমায় রুমে এসে। হঠাৎ যে এমন কিছু হবে ভাবতেই পারি নি আমি। কিন্তু সবচেয়ে ভালো যেটা সেটা তাসফি ভাইয়ের সাথে তোর বিয়েটা হয়ে। উফ্ ওদের মুখটা দেখার মতো ছিলো, বিশেষ করে রিয়া। বেচারী, তাসফি ভাইয়ের আগে পিছে যে ভাবে ঘুরঘুর করতে।”

এতক্ষণ মনোযোগ সহকারে রিফাপুর কথা শুলেও শেষের কথাগুলো শুনে হতাশায় ছেয়ে গেল আমার মন। ওই রগচটা বজ্জাত লোকটার সাথে বিয়ে হয়ে নাকি ভালো হয়েছে? ওই লোকটার সাথে বাকি জীবন কাটাতে হবে ভেবেই আমার হাত-পা অসার হয়ে যাচ্ছে, রাতের ঘুম হারাম যাচ্ছে। না… না, কিছুতেই এই বিয়ে আমি মেনে নিতে পারবো না। শুধু আমি কেন? তাসফি ভাইয়াও তো আমাকে মেনে নিবে না। ও ইয়েস! উনিও তো আমাকে কখনোই মেনে নিবেন না। উনার মতো হাই পার্সোনালিটি একজন মানুষ আমার মতো মেয়েকে কেনই বা মেনে নিতে যাবেন? আমাকে তো সহ্যই করতে পারেন না, সবসময় ধমকের উপরই রাখেন। এটা তো আমার আগেই বোঝা উচিত ছিলো। নিজেকে কিছুটা হলেও এখন হালকা লাগছে।

কিন্তু রিফাপুর কথা বিশ্বাস করলেও পুরোপুরি ভাবে কেন জানি বিশ্বাস করতে পারলাম না। আপুর কথাগুলো শোনার পর কেন জানি বারবার মনে হচ্ছে আমার থেকে কিছু তো একটা লুকাচ্ছে। তাসফি ভাইয়া আমাকে দেখতে এসে রুমে আটকে গেছে, ঠিক হজম করতে পারলাম না কথাটা।

“উনি আমাকে দেখতে এসেছিলেন? আর রুমে বাইরে থেকে লক করা থাকলে তোমাকে ফোন দিয়েছিলেন কেন? ফুপি বড়মা বা আম্মুকে বললেই তো খুলো দিতো।”

প্রশ্নবিদ্ধ চাহনিতে রিফাপুকে জিজ্ঞেস করলাম। চুপ হয়ে গেল রিফাপু। একটু পর বলে উঠলো,

“হঠাৎ এমন কিছু হয়ে যাবে কেউই বুঝতে পারে নি রে বনু। ভাইয়াও হয়তো ধরণা করতে পারে নি যে এমন কিছু হবে।”

“তুমি আমার পাশে থাকলে এমন কিছুই হতো না আপু। কেন গেছিলে আমায় রেখে।”

অভিমান ভরা কণ্ঠে বললাম। রিফাপু আমায় আগের চেয়েও শক্ত করে জড়িয়ে নিলো। মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে আদুরে গলায় বললো,

“মেয়ের তো দেখি খুব অভিমান জমা পরে গেছে। যা হবার তো হয়েই গেছে, এসব নিয়ে এত চিন্তা করে কি লাভ বল তো? তোর তো আরও ডাবল খুশি হওয়ার কথা।”

আপুর কথায় মাথা তুলে তাকালাম তার দিকে। কিশোর খুশি হওয়ার কথা বলছে বুঝতে পারলাম না। রিফাপু বললো,

“দেখ, বিয়ে তো এক সময় করতেই হতো। অন্য কারোর সাথে হলে নতুন একটা পরিবারে তোকে যেতে হতো, তাদের সাথে মানিয়ে নিতে তোর অনেক কষ্ট হতো। কিন্তু এখন তো তুই আমাদের পরিবারেই আছিস। তারপর, তাসফি ভাই। সব দিক থেকেই পারফের্ক্ট। কত কত মেয়েরা যে ঘুরঘুর করে তা তো জানিসই, কিন্তু শেষে তোর কাছে সমার্পণ করলো। সবচেয়ে বড় কথা তাসফি ভাই তোকে কত ভা……”

হঠাৎ কথাটা শেষ না করেই চুপ হয়ে গেল রিফাপু। ভ্রু কুঁচকে তাকালাম আপুর দিকে। ছোট থেকেই উনার গুণগান শুনতে শুনতে বড় হয়েছি এ আর নতুন কি। কথাগুলো যে মজার ছলে বলছে সেটা ঠিকই বুঝতে পারলাম।

“আমি মরছি আমার জ্বালায় আর তুমি কি আমার সাথে মজা নিচ্ছে? শুনবো না আমি আর উনার কথা।”

“আমিও আর কিছু বলবো না তোকে। দুইটা পার হয়ে গেছে এখন ঘুমিয়ে পর। ও আল্লাহ, মুখ ফসকে গলা ফটিয়ে সব তো বলেই দিচ্ছিলাম। কথাটা পেটে রাখার হেদায়েত দান করো আল্লাহ।”

শেষর কথাগুলো বিরবির করে বললেও ঠিকই শুনতে পেলাম আমি। কি এমন বলছিলো সেটাই তো বুঝতে পারলাম না। এমনিতেই তো আমায় সব কথায় বলে।

“কি বললা? জোরে বলো।”

“কই কি বললাম? কিছু না, ঘুমা এখন সকালে আবার তাড়াতাড়ি উঠতে হবে।”

আমিও ‘হুম’ বলে চোখ দুটো বন্ধ করলাম। চোখ বন্ধ করতেই ভেসে উঠলো রাতের সেই ঘটনাগুলো। হতাশ হলাম আবারও। পরিস্থিতি মানুষকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যায় সেটাই ভাবার বিষয়। হঠাৎ করেই ঘটে যায় অপরিকল্পিত, অপ্রীতিকর কিছু ঘটনা। চাইলেও দূরে সরানো যায় না, মাঝখান থেকে এলোমেলো হয়ে যায় কিছু কিছু মন, জীবন।

.
গায়ে নরম কিছুর ছোঁয়া পেয়ে ঘুমটা হালকা হয়ে গেল। পিঠের কাছে আলতো করে ছুঁয়ে আছে। বুঝতে পারলাম না জিনিসটা কি। হাত দিয়ে স্পর্শ করতেই চমকে উঠলাম আবারও। ঘুমটাও ছুটে গেল পুরোপুরি ভাবে। বিড়াল ভেবে লাফিয়ে উঠলাম এক প্রকার। বিড়াল দেখতে ভালো লাগলেও কোলে নেওয়া বা স্পর্শ করা একদম ভালো লাগে না। সবসময় বিড়াল থেকে দশ হাত দূরে থাকারই চেষ্টা করি। লাফিয়ে উঠে পিছনে ফিরে ফ্যালফ্যাল করে তাকালাম। হাসি ফুটে উঠলো ঠোঁটের কোনায়। আতিফাকে জড়িয়ে ও চিৎকার করে বলে উঠলো,

“লুপা আপু…..”

আমার হাসিটা আরও বেড়ে গেল। ওর গলায় আধো বুলিতে এই ডাকটা আমার ভীষণ প্রিয়, ভীষণ পছন্দের। মন খারাপগুলো এক নিমিষেই গায়েব হয়ে যায় যেন। ওর গালে গভীর করে একটা চুমু দিয়ে বললাম,

“কি বুড়ি, কখন আসছো? একদম ভয় পাইয়ে দিছো।”

আমার কথায় খিলখিল করে হেসে উঠলো। তারপর ওর আধো বুলিতে বললো

“এখনি তো। তুমি ঘুমাচো তখন আসছি।”

“ও আচ্ছা! আজকে তো খুব ভদ্র হয়ে গেছে আমার সোনা পাখিটা। আজকে লাঠি এনে তোমার লুপা আপুকে ঘুম থেকে তুলো নি কেন? হুম!”

ছোট হলেও এই বয়সেই অনেক বাধ্য একটা মেয়ে আতিফা। কেউ কোন কথা বললেই সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করে। আম্মুও সেই সুযোগে আমার ঘুমের বারোটা বাজাতে পাঠিয়ে দেয় ওকে। গ্রামে গিয়ে অনেক বার এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে আমাকে। মাঝে মাঝে সকালে ঘুম থেকে উঠলেও আটটার আগে কিছুতেই ঘুম ছাড়ে না। গ্রাম গেলে আবহাওয়ার জন্য ঘুমটা আরও গভীর হয়। গ্রামে গিয়ে একদিন ঘুম ভাঙ্গলেও চোখ বন্ধ করে শুয়ে ছিলাম বিছানায়। হঠাৎ বাহিরে শুনতে পেলাম আতিফা আম্মুকে বলছে ‘লুপা আপু কোথায়’? আম্মু বলে ‘তোর লুপা আপুর এখনো সকাল হয় নি মা, গিয়ে কান ধরে টেনে তুল তো’। ব্যাস! আর কি লাগে। তার কান্ডগুলো দেখতে চুপচাপ চোখ বন্ধ করে বিছানায় শুয়ে থাকলাম আর সে এসে আমার কান ধরে টানতে লাগলো। কোন কোন দিন আম্মুর কথায় লাঠিও নিয়ে আসতো।

“তুমি নাকি বউ হছো, তাই তো বলোআম্মু বলে নি ডাকতে। তোমাকে ঘুম আসতে বলেচে ভাইয়া।”

“কোন ভাইয়া ব্….”

“ঘুম ভাঙলো তাহলে তোর। এখন তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নে, অনেক বেলা হয়ে গেছে। আবার তো রেডি হতে হবে আপুকে আনতে যাওয়ার জন্য।”

রিফাপুর কথায় তাকালাম তার দিকে। পাশ থেকে মোবাইলটা নিয়ে সময় দেখলাম, ১০ টা ১৫ বাজে। বাপরে, এতক্ষণ কিভাবে ঘুমালাম আমি? কাল রাতে ক্লান্ত শরীর ও বিক্ষিপ্ত মন নিয়ে দেরিতে ঘুমানোর জন্যই হয়তো জাগা পাই নি।

“আমি যাবো না আপু।”

কাল রাতের ঘটনার পর আর কোথাও যাওয়ার মন মানসিকতা নেই আমার। কোথাও গিয়ে আর অপমানের স্বীকার হতে চাই না। রিফাপু বললো,

“কেন যাবি না? কত আগে থেকে প্ল্যান করে রাখছি আপুর বিয়ে নিয়ে, আর তুই বলছিস যাবি না। এটা কিন্তু ঠিক না রূপা।”

“কোথাও যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না আপু। তোমরা যাও না। আমার ভালো লাগছে না।”

রিফাপু আরও অনেক কথা বললেও কানে নিলাম না কিছুই। আতিফাকে পাঠিয়ে দিয়ে রিফাপুকে উপেক্ষা করে ফ্রেশ হতে গেলাম।

.
বাহিরে না বেড়িয়ে চুপচাপ রুমে বসে থাকলেও শান্তি মিললো না আমার। একের পর এক সবাই এসে এটা ওটা বলতেই লাগলো শুধু। কিন্তু সবচেয়ে বেশি যেটা শুনতে হলো সেটা হলো, কোন রিমি আপুকে আনতে সবার সাথে যাবো না আমি। বাসায় কিছু বয়ষ্ক মানুষ ছাড়া সবাই যাবে রিমি আপুকে আনতে। আমার এইচএসসি পরীক্ষার জন্যই আপুর বিয়ে একমাস পেছানো হয়েছিলো। পড়ার চাপে আনন্দ করতে পারবো না, আবার পরীক্ষাও খারাপ হবে। আমার কথা ভেবে পরীক্ষায় একসপ্তাহ পর থেকেই শুরু হয় বিয়ের যাবতীয় কার্যক্রম। সেখানে আমি যেতে চাচ্ছি না জন্য অনেক কথাই শুনতে হলো। তবুও নিজের মতেই টিকে থাকলাম। আমি নিশ্চিত আমাকে দেখলেই সবাই কাল রাতের ঘটনাটা নিয়ে আবারও নানান ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ করবে। সেগুলো আমি কোন ক্রমেই নিতে পারবো না আর না পারবো তাসফি ভাইয়ের সামনে দাঁড়াতে।

একে একে সবাই রেডি হয়ে গেল। অনেকে গাড়িতে গিয়ে বসতেই গাড়ি ছেড়ে দিলো। আমার একেকটা কাজিনরা নিজেকে কেমন দেখাচ্ছে সেগুলো নিয়ে ব্যস্ত। আমি শুধু চুপচাপ দেখে যেতে লাগলাম। আমি না যাওয়ায় আম্মুও যেতে রাজি ছিলো না। তার সাথে ফুপি এবং বড়মাও। আমিই তাদের অনেক বুঝিয়ে রাজি করিয়েছি যেতে। রিমি আপুর শ্বাশুড়ি বারবার করে বলে গেছেন। তাদের ওখানকার নাকি নিয়ম ছেলে বা মেয়ের সবগুলো শ্বশুর শ্বাশুড়ির যাওয়ার। যাবার সময় অনেক কিছু বুঝিয়ে গেলেন বড়মা, আম্মু ও ফুপি মিলে। মনে হচ্ছিলো জীবনের প্রথমবার হয়তো বাসায় একা থাকছি।

সবাই যাবার পর বিছানার বসে ফোন নিয়ে ঘাটাঘাটি করছিলাম। আপাতত এটা ছাড়া তেমন আর কাজ নেই। অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমানোর ফলে আর ঘুমও আসবে না। হঠাৎ জোরে করে দরজা খোলার আওয়াজে চমকে উঠলাম। দরজার দিকে তাকিয়ে মানুষটাকে দেখে আরও চমকে গেলাম। এই সময় তাসফি ভাইকে একদমই আশা করি নি। হঠাৎ কোথা থেকে এলেন উনি?
সোজা রুমে ঢুকে আলমারি খুলে কিছু একটা খুজতে লাগলেন। কিছু বলার সাহস হলো না আমার। কালকের ঘটনার পর তো একদমই না। হঠাৎ রুমে এসে আমার আলমারিতে কি খুঁজে চলেছেন বুঝতে পারছি না। মিনিট দুয়েক পর আলমারি থেকে আমার একটা জামা বের করে আমার দিকে তাকিয়ে জামাটার দিকে ইশারা করলেন। বললেন,

“আজকে পরার জন্য এই জামাটাই নিয়েছিলি?”

মুখ ফুটে কিছুই বের হলো না আমার। চুপচাপ বসে আছি বিছানায়। আমার চুপ করে থাকায় উনি হালকা চেচিয়ে বলে উঠলেন,

“কথা কি কানে যাচ্ছে না, চুপ করে আছিস কেন? বেয়াদব! এটাই নিয়েছিলি কি না? বলতে পারছিস না?”

কেঁপে উঠলাম কিছুটা। এই জন্যই এই বজ্জাত লোকটাকে আমার সহ্য হয় না। সবসময় ধমকের উপর রাখে আমায়।
ভয়ে ভয়ে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললাম। আমার পজিটিভ উত্তর পেয়ে আলমারিটা বেশ শব্দ করে বন্ধ করলেন। এগিয়ে এসে জামাটা আমার দিকে বাড়িয়ে দিলেন। বললেন,

“আমি এখানে বসছি, পাঁচ মিনিটে রেডি হয়ে বাথরুম থেকে বের হবি, একটুও যেন দেরি না হয়। অলরেডি সবাই চলে গেছে।”

বুঝতে পারলাম রিমি আপুর শ্বশুর বাড়ি যাবার কথাই বলছেন উনি। আমি তো আগেই বলে দিয়েছি যাবো না। তাহলে উনার আসার মানেটা কি আবার? কিছুটা সাহস সঞ্চয় করে বললাম,

“যাবো না আমি।”

“সেটা সবাইকে বলেছিস, তোর কথা মেনে নিয়ে সবাই চলেও গেছে। এখন আমাকে এসব কথা বলতে আসিস না, আমি যে শুনবো না সেটা খুব ভালো করেই জানিস। এখন চুপচাপ গিয়ে জামাটা পরে আয়।”

ওনার শান্ত সুরে কথাটা বললেও প্রচন্ড রাগ হলো এবার আমার। সবসময় আমাকেই কেন শুধু জোর খাটিয়ে যান উনি? জোর করে নিজের কাজটা ঠিকই উসুল করে নেন। আর কাউকে কি চোখে পড়ে না বজ্জাত লোকটার? রাগের বসেই বলে উঠলাম,

“বললাম তো যাবো না আমি, আর কতবার বলতে হবে? পরবো না আমি জামা।”

“এখনো ভালোভাবে বলছি রেডি হয়ে নে। আমাকে জোর কারতে বাধ্য করিস না, চাইলেই কিন্তু তোর উপর জোর খাটাতে পারি। ইউ নো না, এখন কিন্তু সেই অধিকারটাও আমি পেয়েও গেছি।”

চমকে উঠলাম আমি। কি বলেন উনি এগুলো? কালকের ব্যাপারটা নিয়ে যে উনি এভাবে বলবেন ভাবতেই পারি নি। এতদিন আমার সমস্ত কিছুতেই জোর খাটিয়ে গেছেন উনি, কালকের পর তো আরও পেয়ে বসেছেন। কিন্তু এখন এভাবে কথাগুলো বলবেন তা ভাবনার বাহিরে ছিলো। খপ করে উনার হাত থেকে জামাটা নিয়ে নিলাম। এই বজ্জাত লোককে কিছুতেই বিশ্বাস নেই। মুখের কথাটা ফলাতে একটুকুও সময় নিবেন না। এগুলোর সাথে অনেক আগে থেকেই পরিচিত আমি, এখন তো আরও পেয়ে বসেছেন উনি। এত রিক্স না নিয়ে দূত পায়ে ছুটে গেলাম রেডি হতে।

.
.
চলবে…..

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।🖤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here