তুমি বললে আজ – পর্ব ১০

0
655

#তুমি_বললে_আজ
লেখনীতেঃ #রিধিমা_জান্নাত_রূপা
পর্বঃ ১০

.
সময় জিনিসটা বড্ড অদ্ভুত। সুখ-দুঃখের পরিস্থিতিতে সময় তার স্থান দখল করে থাকে। সুখের সময়গুলো খুব তারাতাড়ি চলে যায়, আর দুঃখের সময়গুলো নিয়ে আসে একরাশ বেদনা, হতাশাময় সময়। কিন্তু রিমি আপুর বিয়ের পর আমার সময়গুলো কেটেছে অনুভূতিহীন। এই দুটো মাসের প্রতিটা দিন শুধু মনে হয়েছে দিনগুলো কাটছে না কেন? কিন্তু এক সপ্তাহ বা পনেরো দিন পর পর মনে হতো সময়টা কত তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছে। এই দুই মাসে সবাই নিজেদের কাজে ব্যাস্ত হয়ে পরেছে। রিমি আপু শ্বশুর বাড়ি আছে। রিফাপু চলে গেছে রাজশাহীতে। ফুপিও কয়েকদিন পর চলে গেছে বাসায়, এর মাঝে দু’বার এসেছে অবশ্য। কিন্তু আমার সময়গুলো কেটেছে নিরাশ ভাবেই। পরীক্ষার পর পড়াশোনার কোন চাপ নেই, কলেজে বা টিউশন যাবার তাড়া নেই। মোবাইলটা নিয়ে সারাদিন শুয়ে বসে থাকাটাই একমাত্র মুখ্যম কাজ আমার।

কিন্তু আজ মনে হচ্ছে সময়টা খুব তারাতাড়িই চলে গেল যেন। আজকের দিনটা না আসলেও পারতো। ভয়ে হাত-পা হালকা হালকা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে আমার। এটা নতুন কিছু নয়, আজ আমার এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দেবার কথা। বরাবরই রেজাল্টের দিন এমন অবস্থা হয়ে থাকে আমার। কিন্তু এবার একটু বেশিই ভয়ে ভয়ে আছি। তার কারণটা অবশ্যই আমার পরিবারের একমাত্র আদরের বজ্জাত ছেলে রওনাফ তাসফির জন্য।
আমার এসএসসি পরীক্ষার সময় তাসফি ভাইয়া পড়াশোনা নিয়ে চাপে থাকলেও এবার ছিলেন প্রচুর ফ্রি। আর সেই সুযোগে আমাকে পড়ানোর দায়িত্বে লাগিয়ে দেয় সবাই। সারাটাদিন আমাকে ভয়ে ভয়ে রেখে পড়াশোনার প্রতি অলসতা কাটিয়ে দেড় মাসে পুরো সিলেবাস কমপ্লিট করে দিয়েছিলেন। আর খুব সুন্দর করে থ্রেট দিয়ে বলেছিলেন রেজাল্ট খারাপ হলে আমার পিন্ডি চটকাবেন। উনার ভয়ে অতিরিক্ত নার্ভাসসেন্সের ফলে প্রথম দুই তিনটা পরীক্ষা খারাপ হয়। এতদিন খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও আজকে এতদিনের আফসোসের মাত্রাটা দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
তাসফি ভাইয়া এই দু’ মাসে কয়েকবার বাসায় আসলেও উনার সামনে যাই নি আমি। রুমের দরজা আটকে বসে থাকতাম। আম্মু বা বড়মা ডাকাডাকি করলে ঘুমের বাহানা দিতাম। কিন্তু আজকে তো আর কোন বাহানা চলবে না আমার। উফ্ আল্লাহ! যেগুলো পরীক্ষা খারাপ হয়েছে সেগুলো তো টেনেটুনে পাশ করে দাও।

১১ টা ৫৫ বাজে। আর মাত্র ৫ মিনিট পর রেজাল্ট পাবলিস্ট করা হবে। তাসফি ভাইয়া ঠিক ১৫ মিনিট আগে বাসায় উপস্থিত হয়েছেন। আসার পরেই ডাক পরেছিল আমার। আমার রোল নম্বর জানা সত্ত্বেও এডমিট রেজিষ্ট্রেশন কার্ড নেবার জন্য। সেগুলো দিয়েই আবারও রুমে এসে দরজা আটকে রুম জুড়ে পায়চারি করে চলেছি। টেনশনে হাত-পা কাঁপা শুরু হয়েছে। বারবার মনে হচ্ছে পাশ করতে পারবো তো? কিছুক্ষণ পর আম্মুর ডাকে চমকে উঠলাম। আমার সাড়া না পেয়ে সমানে ডেকে চলছে। একসময় আরও জোরে চিৎকার করে ডেকে উঠলো, আমার শরীর আরও কেঁপে উঠলো। যা-ই হোক না কেন, সবার মুখোমুখি তো হতেই হবে। আস্তে আস্তে কাঁপা কাঁপা হাতে দরজা খুলে বেড়িয়ে আসলাম। ড্রয়িং রুমে যেতেই সবার কেন্দ্রবিন্দু হলাম আমি। সামনেই তাসফি ভাইয়া ল্যাপটপের সামনে বসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি যেতেই আম্মুকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন,

“মামী, ওকে আগে পানি খাইয়ে শান্ত করো। যে অবস্থা দেখছি, তাতে এখুনি হয়তো জ্ঞান হারাবে। সকাল থেকে মনে হয় কিছুই খায় নি।”

আম্মু সাথে সাথেই এক গ্লাস পানি এনে আমার হাতে ধরিয়ে দিলো। আমিও এক নিশ্বাসে শেষ করলাম গ্লাসের পানিটুকু। এই মুহুর্তে পানিটা খুব দরকার ছিলো। তাসফি ভাইয়া আমাকে বসতে বলে উনার ল্যাপটপটা এগিয়ে দিলেন আমার দিকে। উনার পাশে বসে ভয়ে ভয়ে ল্যাপটপের দিকে তাকালাম। কোন দিকে না তাকিয়ে সোজা নিচের দিকে গ্রেট পয়েন্টের দিকে তাকালাম। জিপিএ ৫! চমকে উঠলাম আমি। আদোও কি ঠিক দেখলাম নাকি ভুল, বুঝতে পারলাম না। চোখ দুটো একবার বন্ধ করে আবার তাকালাম। না, ঠিকই তো আছে। তাহলে কি এটা আমার রেজাল্ট নয়? উপরে তাকাতেই দেখতে পেলাম আমার নাম ও রোল নম্বর। তার মানে আমি সত্যিই জিপিএ ৫ পেয়েছি। খুশির চোটে হালকা চিৎকার করে উঠলাম। এসএসসিতে একটুর জন্য এ+ মিস হয়ে যায়। বাসা থেকে কম কথা শুনতে হয় নি তখন, বিশেষ করে তাসফি ভাইয়ের থেকে। উফ্ এখন অনেক খুশি লাগছে আমার, চাইলেও উনি আর আমাকে কিছু বলতে পারবে না। আমার কান্ড দেখে বড়মা ও আম্মু হেসে উঠলো। তাসফি ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি উনি চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছেন। আমার খুশিটাকে নিভিয়ে দিতে বলে উঠলেন,

“এতো খুশি হয়ে লাভ নাই, দুই সাবজেক্টটে যে ‘এ’ গ্রেট পাইছিস সেটা দেখছিস? টেনেটুনে এ+ পাইছিস তাতেই এতো লাফাচ্ছিস কেন?”

হাসি হাসি মুখটা বন্ধ হয়ে গেল আমার। সেই তো খুঁজে খুঁজে একটা কিছু বের করলোই শেষমেশ বজ্জাত লোকটা। এতক্ষণ যে টেনশনে ম*রে যাচ্ছিলাম পাশ করতে পারবো কি না, কিন্তু রেজাল্ট দেখে একটু খুশি হবো হবে, তা না। হু! সবসময় শুধু আমার পিছনে পরে থাকা। আম্মুকে উদ্দেশ্য করে আবার বলে উঠলো,

“মামী তোমার এই গাধা মেয়েটাকে নিয়ে কিচ্ছু হবে না। শর্ট সিলেবাসে পরীক্ষা, ম্যাথ বারবার করে রিভিশন করিয়েছি তাও দেখো টেনেটুনে এ+ পায়। এর দ্বারা আর কি বা হবে বলো?”

“আমি আর কি বলবো, পড়াশোনার নাম তো মুখেই নেয় না। তুই না হলে তো পাশের মুখটাও দেখতে পেত না।”

“সারাদিন ফোনের মধ্যে ঢুকে থাকলে পড়াশোনাটা করবে কখন বলো? এখন খেতে দাও আমাকে, এই গাধীটার রেজাল্টের চিন্তায় সকাল থেকে আমার খাওয়া হয় নি।”

“সে কি, আগে বলবি তো। ইস্! কতক্ষণ আগে এসেছিস? আমিও চুপচাপ দাড়িয়ে আছি। তাড়াতাড়ি আয় টেবিলে আ…..”

ব্যাস্ত হয়ে চলে গেল আম্মু। আমি চুপচাপ শুধু শুনে গেলাম তাদের করা। আম্মু এমন ভাবে চলে গেল যেন কতদিন না খেয়ে আছে তার ছেলে। আর আমি? আমিও যে সকাল থেকে কিছু খাই নি সেটা একবারও মনে হলো না তাদের। এমনকি ভালো রেজাল্ট শুনেও কিছু বললো না বরং এই বজ্জাত লোকটার সাথেই তালে তাল মিলিয়ে গেল। হু্!
বড়মা বড় বাবাই, আব্বু সহ সবাইকে ফোন করে জানাতে লাগলো আমার রেজাল্টের কথা। আম্মু তাসফি ভাইয়ার জন্য খাবার দিতে ব্যাস্ত হয়ে পরলো। আমি তাসফি ভাইয়ার পাশে সোফায় বসে ল্যাপটপে সাবজেক্ট প্রতি নম্বর দেখছি। তাসফি ভাইয়া মাঝে মাঝে আড় চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছেন। বুঝতে পারলেও চুপচাপ আমার কাজ করে যাচ্ছি। হঠাৎ উনি বলে উঠলেন,

“কোথায় ভর্তি হবার চিন্তা ভাবনা আছে এখন? কই ভর্তি হবি?”

“জানি না।”

নিরপেক্ষভাবে বলে উঠলাম। আসলেই এই বিষয় নিয়ে ভাবি নি এখনো। আর এই সব বিষয়ে আমার ভাবনা করে কোনই লাভ নেই। বাসায় বড় বাবা, আব্বু ও ওয়ান এন্ড ওনলি তাসফি ভাই থাকতে আমার আবার এসব নিয়ে চিন্তা করা লাগে? উহুঁ! একদমই না। উনার দিকে তাকিয়ে আবারও বললাম,

“আপনারা আছেন কি করতে? আমার তো এসব চিন্তা ভাবনা করে বুদ্ধি ক্ষয় করে তো লাভ নাই। সেই তো আপনাদের কথামতই ভর্তি করে দিবেন। যতই হোক অভিভাবক বলে কথা।”

আমার কথায় হেসে উঠলো তাসফি ভাই। হাসিটার মানে হলো ‘তোর কথা অক্ষরে অক্ষরে ঠিক রূপা’। উনার গা জ্বালানো হাসি দেখে রাগ হলো আমার। উনার কথাতেই যখন ভর্তি হতে হবে তাহলে আমাকে জিজ্ঞেস করার মানেটা কি? বজ্জাত একটা মানুষ। আমার দিকে একটু ঝুকে বলে উঠলেন,

“কথাটা কিন্তু ভুল বলিস নি। মামাদের আগে কিন্তু আমি-ই তোর অভিভাবক। আর এখন তো একেবারের জন্য লাইসেন্স প্রাপ্ত পারসোনাল অভিভাবক বলতে পারিস।”

বুকটা ধুকধুক করে উঠলো। পারসোনাল অভিভাবক মানে? কি বলেন কি উনি এগুলো? এক মুহুর্তের জন্য থমকে গেছি আমি। কেমন যেন ঘোর লাগা চোখে তাকিয়ে ঝুঁকে আছেন আমার দিকে। এই তাসফি ভাইয়ার সাথে আমি অপরিচিত।
হঠাৎ আম্মুর ডাকে সোজা হয়ে বসলেন উনি, আর আমি ফট করে দাঁড়িয়ে গেলাম। খাবার জন্য ডাকছে আম্মু, উনি আর বসে না থেকে ডাইনিং রুমের দিকে যেতে লাগলেন। যাবার আগে আমাকে বলে গেলেন।

“সঙ্গ–য়ের মতো দাঁড়িয়ে না থেকে খেতে আয়। মনে তো হয় না এই ফালতু রেজাল্টের জন্য সকাল থেকে কিছু খেয়েছিস।”

উফ্! অসহ্য একটা মানুষ। ভালো রেজাল্ট করেও এখন উনার খোঁচা শুনতে হবে আমার। হনহন করে চলে গেলেন ড্রয়িংরুমে। একটুপর আম্মুও ডাকতে শুরু করলো খাবার জন্য। সকাল থেকে কিছু না খাওয়ায় এখন খাবার কথা শুনে অনেক খিদে পেয়ে গেল। আলহামদুলিল্লাহ! রেজাল্টটাও ভালো, এখন আর এসব চিন্তা না করে চলে গেলাম খেতে।

.
রিমি আপুর বিয়ের পর আজকে অনেক দিন পর আবারও ফাঁকা বাসা ভর্তি হয়ে গেছে। আমার রেজাল্টের কথা শুনে ফুপি চলে এসেছে। এসেই জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ আদর করেছে আমায়। মনে হচ্ছিলো কতদিন ফুপির আদর পাই না। ভাইয়াকে নিয়ে রিমি আপুও চলে এসেছে শ্বশুর বাড়ি থেকে। বড় বাবাই আপুর শ্বশুর বাড়ির সবাইকে আসতে বললেও উনারা আসেন নি। রিফাপুও রাজশাহী থেকে চলে এসেছে। তাসফি ভাইয়া দুপুরের পর আর কোথাও যায় নি। সবার আগমনে আজকে বাড়িটা আবার গমগম করছে। বড়মা আম্মু ও ফুপি মিলে হরেক রকম রান্নার আয়োজনে ব্যাস্ত। সেটা অবশ্যই আমার রেজাল্টের জন্য নয়। তাদের বড় জামাই আর আদরের ছেলের জন্য।
আপুর রুমে বসে আমরা তিন বোন তাসফি ভাই ও ভাইয়া মিলে আড্ডা দিচ্ছি। আড্ডার টপিক যেটাই হোক না কেন আমি কিছু বলতে গেলেই তাসফি ভাই আমায় খোঁচা দিয়ে চুপ করে দিচ্ছেন। রাগ হলেও চুপ করে থাকা ছাড়া উপায় নাই। হঠাৎ ভাইয়া বলে উঠলেন,

“তো শালিকা, রেজাল্ট তো জব্বর করলে। খালি মুখেই তো রেজাল্ট শোনালে, এখন ট্রিট পাচ্ছি কবে? সেটা বলো।”

ভাইয়ার কথায় আমি চট করে বলে উঠলাম,

“এতো কষ্ট করে পড়াশোনা করলাম আমি, আর আপনি খেতে চাচ্ছেন ভাইয়া? এটা কিন্তু ঠিক না, ট্রিট তো আমাকে দেওয়া উচিত।”

“দুটো সাবজেক্টে এ গ্রেট পেয়ে ট্রিট চাচ্ছিস? লজ্জা থাকা উচিত তোর। অল ক্রেডিট তো আমার পাওনা ভাইয়া। এই দু-মাসে অনেক কষ্টে গাধীটাকে অর্ধ মানুষে পরিণত করেছি, তা না হলে দেখা যেত পরীক্ষার হলে প্রশ্ন দেখেই অজ্ঞান।”

উফ্ অসহ্য একটা লোক। দু’মাস আমাকে পড়িয়েছে এখন সেটা নিয়েই খোঁচা শুরু হয়েছে। কি শান্তি পান আমার সাথে এমন করে? মনে মনে খুব বাজে ভাবে একটা গালি দিলেও মুখে কিছু বলার সাহস হলো না আমার। তাসফি ভাইয়ের কথায় হো হো করে হেসে উঠলেন ভাইয়া। হাসতে হাসতেই বলে উঠলেন,

“তোমাকেই তো মানুষ করতে হবে শালাবাবু। শালিকা আমার ছোট মানুষ, এখন থেকেই কাজে লেগে পরো সাথে কেমিস্ট্রি ও শুরু করো।”

“কেমিস্ট্রির ‘ক’ বলতে যে কলকাতা বোঝে তাকে আর কি বোঝাবো ভাইয়া। সত্যিই আফসোস হয় মাঝে মাঝে, শেষমেশ এই গাধীটা কে-ই আমি ভা….”

কথাটা শেষ না করেই চুপ হয়ে গেলেন উনি ৷ ঠিক বুঝতে পারলাম না কি বলতে চাইছিলেন। উনার কথায় সবাই হেসে উঠলো একমাত্র আমি ছাড়া। কথাটার মানেই তো বুঝতে পারলাম না, শুধু বোকার মতো সবার দিকে তাকিয়ে আছি। ভাইয়া সান্ত্বনা দিয়ে অনেক কিছুই বলতে লাগলেন।
এভাবেই মধ্যে রাত পর্যন্ত চললো আমাদের আড্ডা। বড় বাবাই ফুপা ও আব্বু বাসায় আসতেই খাবার জন্য ডাক পরলো সবার। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আরও কিছুক্ষণ সবাই কথা বলে যে যার রুমে চলে গেল। ক্লান্ত শরীরে প্রচন্ড ঘুম পাওয়ায় আমিও চলে আসলাম। ঘুমানোর প্রস্তুতি দিতেই হঠাৎ টেবিলের উপর চোখ পরলো আমার। অনেক গুলো ডেইরি মিল্ক, মিলকিবার্, কিটক্যাট সহ কয়েক রকমের চকলেট রাখা। চোখ দুটো জ্বলজ্বল করে উঠলো আমার, আহ্! এতগুলো চকলেট? আর সেটাও আমার ফেবারিট। আমার খুশি আর দেখে কে। ছুটে গিয়ে চকলেটগুলো নিতেই একটা চিরকুট নজরে আসলো। তাতে ছোট ছোট অক্ষরে লেখা….

‘ভাবিস না তোর মতো গাধীর এমন ফালতু মার্কা খারাপ রেজাল্টের জন্য চকলেট গুলো দিয়েছি। ভেবেছিলাম আতিফাকে নিয়ে মামী আসবে, তাই ওর জন্যই কিনেছিলা। টাকা দিয়ে কিনে চকলেট গুলো তো নষ্ট করার মানে হয় না, তাই তোকেই দিলাম। আর হ্যাঁ, রিফাকে দেবার দরকার নেই। দরকার হলে ওকে পরে কিনে দিবো, ওগুলো এখন শুধু তোর।’

.
.
চলবে…..

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here