#তুমি_বললে_আজ
লেখনীতেঃ #রিধিমা_জান্নাত_রূপা
পর্বঃ ৩৮.
.
পড়ন্ত বিকেলের সূর্যটা হেলে পড়ে সন্ধ্যা নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মৃদু মৃদু বাতাসে বারান্দার ছোট ছোট গাছের পাতাগুলো ঢেউ খেলে যাচ্ছে। একবিন্দু পানির ফোঁটা পেয়ে গাছ গুলো যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। গাছগুলো তে পানি দেওয়া শেষ করে সেখানেই বসে পড়ে টপগুলো থেকে বারতি ঘাস পরিষ্কার করতে লাগলাম। হঠাৎ পিছন থেকে ছোট ছোট দু’টো হাত এসে আঁকড়ে ধরলো আমার গলা। অসংখ্য চুমুতে ভরিয়ে দিতে লাগলো গালে। আমি হেঁসে উঠে ছোট ছোট হাত দু’টো টেনে সামনে নিয়ে আসলাম। জড়িয়ে ধরে বেশ কয়েটা চুমি দিয়ে বললাম,
“কি মামুনী, আজকে এত আদর করা হচ্ছে কেন, হুম?”
আমার কথায় খিলখিল করে হেঁসে উঠলো মেয়েটা। দু’হাতে আমার গলা ঝাপটে আধো বুলিতে বলে উঠলো,
“ঘুলতে যাবো, প্লিস প্লিস তলো না মাম্মাম।”
“তো আমার মাম্মামটা আজকে তার বাবাই-য়ের কাছে আবদার না করে আমাকে বলছে কেন?”
আমার কথায় আরও জোরে হেঁসে উঠলো মেয়েটা। কানের কাছে মুখ এগিয়ে ফিসফিস করে বলতে লাগলো,
“বাবাই তো বলেচে তোমাকে বলতে, বাবাই কে বলে না কিন্তু, আমি বলে দিয়েচি।”
“ওও আচ্ছা… দুজনে প্ল্যান করে আমাকে বলা হচ্ছে? তাইলে আমি আর কি বলবো, পারমিশন গ্রান্টেড।”
“ইয়েয়… আমার বেস্ট মাম্মাম।”
খুশি হয়ে রুমে ছুটে গেল মেয়েটা, আমিও হেঁসে উঠলাম।
.
চারদিকে আঁধার নেমে এসেছে কিছু সময় আগেই। তবুও পার্কে মানুষের আনাগোনা কম নয়। এক হাতে আইসক্রিম নিয়ে, অন্য হাতে আমার হাতটা শক্ত করে ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে হেঁটে চলেছে মেয়েটা। আমার অপর হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছে তাসফি। যেন মেয়েকে সামলে রাখার দ্বায়িত্ব আমার এবং আমাকে সামলে রাখার দ্বায়িত্ব তাসফির। হাঁটতে হাঁটতে বিলের কাছে এসে দাঁড়িয়ে পরলাম। পার্কে থাকা লাইটের আলো এসে বিলের পানিতেও প্রতিফলিত হচ্ছে।
দাঁড়িয়ে পরতেই তাসফি পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলেন। চুলের মাঝে মুখ দিয়ে নাক ঘসতে লাগলেন। হঠাৎ ওনার এহেন কান্ডে ভালো লাগা কাজ করলেও বিরক্ত হলাম। বললাম,
“ইস্ কি করছেন? মেয়েটা দেখছে তো, কি মনে করবে?”
“উম্ নড়ে না রুপুসোনা। কিছু মনে করবে না, দেখছে না ও।”
“দেখছে মানে? আপনার মেয়ে একদম আপনার মতো, দেখেন ও এদিকেই তাকিয়ে বাবা মায়ের রোমাঞ্চ করা দেখছে হয়তো… মাম্মাম….”
পাশে তাকিয়েই আস্তে করে ডেকে উঠলাম। তার আবারও উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলাম, ‘মেয়েটা কই?’ এবার তাসফি আমায় ছেড়ে দিলেন। পাশে তাকিয়ে উনিও একই কথা বলে উঠলেন। এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখতে লাগলাম মেয়েটা কই গেল? জোরে জোরে ডাকতে লাগলাম ‘আম্মু কই তুমি’ বলে, কিন্তু কোন সারা পেলাম না মেয়েটার। মেয়েটাকে না পেয়ে পাগলের ন্যায় হয়ে গেলাম মুহুর্তেই, তাসফি কে বারবার বলতে লাগলাম মেয়েটাকে খোঁজার জন্য। হঠাৎ বিলের মাঝে থেকে পানির শব্দ হতেই তাকালাম সেদিকে। সাথে সাথে ভেসে আসলো,
“মাম্মাম বাতাও, মাম্মাম…”
চিৎকার করে উঠলাম আমি। ছুটে যেতে লাগলাম বিলের দিকে। চিৎকার করে বলতে লাগলাম, ‘তাসফি বাঁচাও আমার মেয়েকে, বাঁচাও ওকে। ডুবে গেল ও’। ছোট মেয়েটা পানিতে ছটফট করতে লাগলো শুরু। বারবার করে বলতে লাগলো ‘মাম্মাম বাঁচাও আমাকে’। আমি পাগলের মতো চিৎকার করে ছুটে যেতে লাগলাম পানির দিকে। তাসফি কে বারবার বলতে লাগলাম, ‘আমার মেয়েটাকে বাঁচাও তাসফি, আমার মেয়েটাকে বাঁচাও। ডুবে যাচ্ছে ও, ম/রে যাবে আমার মেয়েটা, বাঁচাও ওকে’।
“রূপা…. কি হয়েছে তোর? কান্না করছিস কেন? শান্ত হ, এই দেখ আমি এখানে। চুপ… চুপ কর।”
তাসফির কথায় হঠাৎ কান্না থামিয়ে চুপ করে গেলেন আমি। চারদিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম কোথায় আছি। আমি তো নিজের রুমেই আছি। তাসফি কে জড়িয়ে ধরে বিছানায় বসে আছি। কিন্তু একটু আগেই তো পার্কের বিলে ছিলাম, আর মেয়েটা? একটা বাচ্চা মেয়ে তো ডুবে যাচ্ছিলো পানিতে। আমাকে মাম্মাম মাম্মাম বলে বাঁচাতে বলছিলো। তাহলে কি এতক্ষণ স্বপ্ন দেখছিলাম? কিন্তু হঠাৎ এমন স্বপ্ন কেনই বা দেখলাম? অজান্তেই এক হাত পেটে চলে গেল। অন্য হাতে তাসফিকে জড়িয়ে আবারও কেঁদে উঠলাম। অস্পষ্ট সুরে বলে উঠলাম,
“বা..বাচ্চাটাকে বাঁচিয়ে নেও তাসফি, ম/রে যেতে দিও না ওকে। ওর অনেক কষ্ট হচ্ছিলো, মাম্মাম বলে বাঁচাতে বলছিলো ওকে। তুমি ওর কোন ক্ষতি হতে দিও না, বাঁচিয়ে নাও ওকে, বাঁচিয়ে নাও। নিজের অস্তিত্বকে নিঃশেষ হতে দিও না তাসফি, বাঁচিয়ে নাও ওকে।”
শক্ত হাত দু’টো দিয়ে বুকের সাথে মিশে নিলেন উনি। আমিও শুধু ফুপিয়ে কাঁদতে লাগলাম। ভাবতে লাগলাম স্বপ্নের কথা, মনে করতে লাগলাম বাচ্চা মেয়েটার চেহারা। কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারলাম না।
.
নিস্তব্ধ রাতে পিনপতন নীরবতায় ছেয়ে গেছে রুম জুড়ে। জোরে জোরে ফুপিয়ে ওঠার শব্দটাও থেমে গেছে কিছু সময় আগে। ধীর গতিতে দুজনের নিশ্বাসের শব্দটায় শুধু থেমে থেমে ভেসে আসছে। রাতের ঠিক কতটা বাজে জানা নেই। কিন্তু গভীর রাত সেটা বুঝতে পারছি। সন্ধ্যা রাতে তাসফির সাথে চেচামেচি করে কান্না করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বুঝতেই পারি নি। শরীর দূর্বলের কারণে হয়তো তাড়াতাড়িই ঘুমিয়ে গেছিলাম। রাতের খাবারটাও খাওয়া হয়নি। খুদাটা এখন ঠিকই উপলব্ধি করতে পারছি। তবুও কিছু না বলে তাসফিকে জড়িয়ে সেভাবেই বসে রইলাম।
“শরীর এমনিতেই ভীষণ দূর্বল, রাতে কিছু খাস নি। ডাক্তার নরমালি ব্যাথার কিছু মেডিসিন দিয়েছে, সেগুলো খেতে হবে। তার আগে একটু খেয়ে নে।”
আমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে দু’হাতে মুখটা মুছে দিয়ে বলে উঠলেন উনি। কিছু না বলে চুপ করে থাকলাম আমি। তাসফি বিছানা ছেড়ে উঠে বড় লাইটটা জ্বালিয়ে দিলেন। টেবিল থেকে খাবারের প্লেটটা নিয়ে এসে আমার সামনে বসলেন। ঘুমিয়ে গেছিলাম জন্য বড়মা অথবা আম্মু হয়তো রেখে গেছে। খাবার তুলে মুখের সামনে ধরতেই আস্তে করে জানতে চাইলাম উনি খেয়েছেন কি না? কোন জবাব দিলেন না, তাতে বুঝতে পারলাম উনিও খান নি। এক কোলমা মুখে নিয়ে তাসফিকেও খেতে বললাম। বারণ না করে নিজেও খেয়ে নিলেন।
খাবার শেষ করে প্লেটটা টেবিলে রেখে দিয়ে ওষুধগুলো খাইয়ে দিলেন। লাইটটা অফ করে বিছানায় এসে আমায় জড়িয়ে ধরে গলার ভাঁজে নিজের মুখটা গুঁজে দিলেন। কয়েক মিনিট অতিক্রম হবার পর আমি ওনার এক হাত টেনে নিয়ে নিজের পেটে রাখলাম। কয়েক সেকেন্ডের মুহূর্তেই গলায় অনুভব করলাম তরল কিছুর। গলা থেকে ঘাড় বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে। আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না, যে উনি কান্না করছেন। অবাক হলাম না আমি। কিন্তু ভাবতে লাগলাম ঠিক কতটা আঘাত বা কষ্ট পেলে পুরুষ মানুষের চোখে পানির দেখা মিলে। তাসফিও তো বাবা হবেন, ওনারও হয়তো কষ্ট হচ্ছে।
“নিঃশেষ হয়ে যাবো আমি, তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকেও ম/রে যাবো। তোমার কিছু হলে আমার কি হবে? কিভাবে থাকবো আমি?”
“আমাদের সন্তানকে নিয়ে থাকবেন। নতুনভাবে বাঁচবেন ওকে নিয়ে।”
চট করে মাথা তুলে তাকালেন আমার দিকে। সেকেন্ডের মতো সময় নিয়ে পুরো মুখে নিজের ঠোঁটের স্পর্শ দিতে লাগলেন। তারপর গালে গাল ঘেঁষে বলে উঠলেন,
“তোমার অপারেশন হলেই আমরা আবার বেবি নিবো। মাম্মাম বলে ডাকবে তোমায়, আর আমাকে বাবা বলে। ছোট ছোট হাত পা নিয়ে পুরো রুম জুড়ে ঘুরে বেড়াবে সে। আগে তুমি সুস্থ হও রুপু। তুমি সুস্থ থাকলে আবারও আমাদের বাবু আসবে। কিন্তু তোমার কিছু হলে আমি ঠিক থাকতে পারবো না।”
আবারও চোখ দিয়ে পানি পারতে লাগলো আমার। এই মানুষটাকে আমি কিভাবে সামলাবো? আমাকে নিজের থেকেও যে বেশি ভালোবাসেন। কিন্তু ওনার ভালোবাসাটা হয়তো বেশিদিন আমার ভাগ্যে নেই। নিজের জন্য ছোট প্রাণটাকে কিছুতেই বলি দিতে পারবো না আমি। তাসফি গালে আলতো করে হাত ছুয়ে বললাম,
“নিজের জন্য কিভাবে ছোট্ট প্রাণটাকে শেষ করে দিবো তাসফি? আর ডাক্তার তো বলেন নি কয়েক মাস দেরিতে অপারেশন করলে আমার কিছু হবে, একটু রিক্স হবে এতটুকুই তো? একটু কষ্ট না হয় মা ডাকটা শোনার জন্য করে নিলাম। দেখেন, কিছু হবে না আমার। এতদিনে যেহেতু কিছু হয় নি, এই কয়ে মাসেও কিছু হবে না। আপনি প্লিজ নিজের অস্তিত্বটাকে শেষ হতে দিবেন না। পৃথিবীর আলো দেখার আগেই ওকে মে/রে ফেলবেন না। ওকে মে/রে আমরা কিছুতে ভালো থাকতে পারবো না। অন্যকেউ ওর জায়গাটা কিছুতেই পূরণ করতে পারবে না। যতদিন বেঁচে থাকবো বারবার ‘মাম্মাম বাঁচাও’ শব্দটা তাড়া করে বেড়াবে আমায়। কিছুতেই ভালো থাকতে পারবো না, কিছুতেই না।”
কোন কথা বললেন না তাসফি। আমাকে ছেড়ে দিয়ে উঠে বসলেন। আমিও উঠে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম ওনাকে। এবার উনি আস্তে করে ঘুমাতে বললেন আমাকে। নড়লাম না আমি ওনার কথায়। উনি আর কিছু না বলে পিছন ফিরে আমাকে নিয়ে আবারও শুয়ে পরলেন।
.
সকালে বেশ বেলা করেই ঘুমটা ভাঙলো। শোয়া থেকেই পাশে হাত দিয়ে তাসফি কে পেলাম না। হয়তো অনেক আগেই ঘুম ভেঙে গেছে। মিটমিট করে চোখ খুলে ফুপিকে দেখতে পেলাম। আড়মোড়া ভেঙে বিছানা ছেড়ে উঠতেই জড়িয়ে ধরলো ফুপি। আমার কথা শুনে হয়তো সকালেই এসে পরেছে। কিছুক্ষণ পর আমাকে ছেড়ে দিয়ে ফ্রেশ হয়ে বাইরে আসতে বললো। আমি কিছুটা আন্দাজ করে নিলাম কেন তাড়া দিচ্ছে। তবুও কিছু না বলে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম।
বেশ সময় নিয়ে ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং রুমে আসতেই খাবার বাড়িয়ে দিলো আম্মু আমার দিকে, কিন্তু কোন কথা বললো না। আমিও বিনা বাক্যে খেতে শুরু করলাম। খাওয়া শেষ হতেই ড্রয়িং রুমে যাবার জন্য ডাক পরলো। ড্রয়িং রুমে যেতেই চোখে পড়লো আব্বু, বড় চাচা, ফুপা, তাসফি মিলে কিছু একটা আলোচনা করছেন। আমি যেতেই চুপ হয়ে গেল সবাই। বুঝতে পারলাম এতক্ষণ আমাকে নিয়ে আলোচনা চলছিলো।
বড় চাচা আমাকে কাছে ডেকে নিজের কাছে বসালেন। আব্বু চুপ করে মাথা নিচু করে থাকলেও বড় চাচা এবং ফুপা মিলে নানান ভাবে বোঝাতে শুরু করলেন যেন বাচ্চাটা নষ্ট করে ফেলি। আমি সুস্থ থাকলে আবারও বাচ্চা নিতে পারবো। চুপ করে তাদের কথা শুনলেও এক সময় হু হু করে কেঁদে উঠলাম। কানে বাজতে লাগলো ‘মাম্মাম বাঁচাও, মাম্মাম বাঁচাও’ শব্দটা। আস্তে আস্তে কান্নার মাত্রাটা বারতেই অস্পষ্ট সুরে বলে উঠলাম স্বপ্নে দেখা সেই বাচ্চা মেয়েটার কথা। এটাও বললাম, নিজের জীবনের জন্য ওই নিষ্পাপ বাচ্চাটার কোন ক্ষতি করতে পারবো না। তা না হলে ওই দুটো শব্দ লাগাতার আমাকে তাড়া করে বেড়াবে।
আমার কথা শুনে সবাই চুপ হয়ে গেল। কেউ কোন কথা বললো না। মিনিট পাঁচেক পর হুট করে তাসফি দাঁড়িয়ে গেলেন। আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন,
“বাচ্চাটাকে নষ্ট করতে চাস না, আরও নয় মাস পর অপারেশন করাতে চাস। এটাই তোর শেষ কথা, তাই তো?”
উত্তরে কিছু বললাম না আমি। মাথা নিচু করে ফোপাঁতে লাগলাম শুধু। আমার উত্তর না পেয়ে জোরে চিৎকার করে বলে উঠলেন।
“কথা বলছিস না কেন, বেয়াদব! কিছু বলছি না আমি, চুপ করে আছিস কেন?”
প্রচন্ড গতিতে কেঁপে উঠলাম আমি। সাথে সাথে মাথা ঝাঁকিয়ে ‘হ্যা চাই’ বলে উঠলাম। উনি সেকেন্ডের মতো সময় নিয়ে বললেন,
“ওকে ফাইন, তাইলে তাই হবে। তোমরা কেউ ওকে আর কিছু বলবে না। ওর যেটা ইচ্ছে সেটাই হবে।”
বলেই আর এক মুহুর্তও দাঁড়ালেন না উনি। হনহন করে বেড়িয়ে গেলেন বাসা থেকে। ওনার যাবার দিকে তাকিয়ে আবারও কেঁদে উঠলাম আমি। সবার দিকে একবার তাকিয়ে দৌড়ে রুমে এসে বারান্দায় ছুটে আসলাম। নিচের দিকে তাকাতেই দেখলাম বাসা থেকে বেরিয়ে এলেন। কোন দিকে না তাকিয়ে সোজা রাস্তার দিকে হাঁটতে লাগলেন। যতক্ষণ পর্যন্ত ওনাকে দেখা গেল ততক্ষণ তাকিয়ে রইলাম ওনার দিকে। চোখের আড়াল হতেই চিনচিনে মাথা ব্যাথার অনুভব করলাম। মাথার চুলগুলো দু’হাতে খামচে ধরে সেখানেই বসে পরলাম।
.
.
চলবে…..
রি-চেক করা হয় নি। ভুল গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং ধরিয়ে দেবার চেষ্টা করবেন।🖤