অদ্ভুত বর – পর্ব 08

0
347

#অদ্ভুদ_বর
#দিয়া_মনি [ DîYã MôÑî ]
#পর্ব_০৮
তিথির হাতে বোতল। টিয়া আর সবুজ সামনাসামনি বসা। তুহিন তিথি আড়াআড়ি আর দিয়া রওশন আড়াআড়ি ভাবে বসে আছে। তিথি বোতল ঘুরাতে নিলেই তুহিন বলে ওঠে,,,
—- রওশন তোরা খেল। আমার একটা ইম্পর্টেন্ট কাজ আছে। একজনকে কল দিতে হবে।
তিথি পিঞ্চ দিয়ে বললো,,
—- গার্লফ্রেন্ডকে কল দিতে হলে আমাদের সামনেই দেন। আমরা আমরাই তো। কিছু মনে করবো না।
তুহিন মুচকি হেসে একজনকে কল দিলো।
—- হ্যালো আম্মু বাড়িতে জানিয়ে দাও তোমার ছেলের মেয়ে পছন্দ হয়েছে।
—-……
—- বাচ্চা মেয়ে আম্মু দু এক বছর যাক তারপর বিয়ে করবো।
—-……
—- ছবি তো নেই দাড়াও তুলে দিচ্ছি।
তুহিন তিথির সামনে এসে ফটাফট কিছু ছবি তুলে নিলো। তারপর ওর মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিলো। তিথি হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। কি হচ্ছে এসব..?? দিয়াও একটু শক্ড ফার্স্ট দিনেই ট্রেনের মতো দৌড়াবে আশা করেনি ও। রওশন মুচকি মুচকি হাসছে। তিথি এক লাফে দাড়িয়ে গেলো।
—- এটা কি হলো..?? আমার ছবি কেন তুললেন..??
—- কি হবে…?? তোমাকে দেখতে চেয়েছে আম্মু তাই ছবি তুলে দিলাম।
—- আমি আপনাকে বিয়ে করবো না।
দিয়া তিথিকে জোরে চিমটি দেয়। তিথিও রাগে ফোসতে ফোসতে বলে,
—- এটা কোনো কথা..?? আমি প্রেম না করে বিয়ে করবো না। তুই আটকা দিয়া।
দিয়া হাসি চেপে রেখে বলে,,,
—- ভাইয়া। এন্গেইজমেন্ট করে রেখে কয়েকবছর প্রেম করুন। তাহলে আমার বেষ্টুর ৪বছরের আশা পূরণ হবে।
—- জ্বী ভাবি আপনি যা বলবেন তাই হবে।
তুহিনের কথা শুনে দিয়া চোখ ছোট ছোট করে ফেলে। তারপর বোতল ঘুরায়। ফার্স্টে তিথি আর সবুজের দিক বরাবর বোতল থামে। দিয়া চিল্লিয়ে বলে,
—- আমি টাস্ক দিবো।
—- ভালো কিছু দিস রে বোইন। ( তিথি )
—- সবুজরে ৫মিনিট লাথি দে।
—-মোক্ষম সুযোগ।
তিথি সবুজের দিকে এগিয়ে যেতেই সবুজ দৌড়ে পালিয়ে গেলো। তিথি এখনো ঠায় দাড়িয়ে আছে। আবার বোতল ঘুরানো হলো,,, দিয়া আর রওশনের দিকে মার্ক করে আছে বোতল। টিয়া বললো,,
—- দিয়ু বেবি ভাইয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যা। নাহলে একটা ডিপ লিপ কিস কর।
তুহিন আর রওশন এটা শুনে একে অন্যের মুখের দিকে তাকাচ্ছে। দিয়া রাগি লুক নিয়ে টিয়ার দিকে তাকাতেই টিয়া ব্যাগ নিয়ে গায়েব। রওশন চেয়ার থেকে উঠে দিয়ার সামনে আসে।
—- দিয়াপাখি চলো তোমার বাড়ি যাবো।
—- কেন নিজের বাড়ি নেই..?? যান নিজের বাড়ি যান। আমি আপনাকে আমার বাড়ি নিয়ে যাবো না।
—- দিয়াপাখি তুমি হয়তো ভুলে যাচ্ছো কাল তোমাদের বাড়ি গিয়েছিলাম আমি। তাই এড্রেস না বললে ও যেতে পারবো। আর আমি গিয়ে যদি এসব দেখাই,,,
ফোন বের করে কিছু ছবি দেখালো, গতকাল গাড়িতে বসে তোলা ছবি।যেখানে দিয়া রওশনের বুকে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে।
—- ব্লাকমেল করছেন..??
—- উহু হবু বউকে কেউ ব্লাকমেল করে..?? আমি তো
—- চলুনন। যত্তোসব।
রওশন দিয়ার বাড়ি গিয়ে ওর আব্বুকে দেখে চলে আসে। দিয়া দরজার সামনে দাড়িয়ে বিরবির করছে,,
—- যমের বাচ্চা যম। পৃথিবিতে আর কোনো মাইয়্যা পাইলি না ব্লাকমেল করার মতো। আমাকেই তোর টার্গেট করতে হলো..? তোর বউ এক নাম্বারের ডাইনি হবে। দিয়ার কথা মিলিয়ে নিস্ তুই।
তারপর প্রতিদিন দিয়া আর রওশনের দেখা হয়। রওশন নিজ থেকেই দিয়ার কাছে যেত। ওকে আগ বাড়িয়ে চ্যাপ্টার বুঝিয়ে দিতো। প্রিন্সিপালেরও ট্রান্সফার হয়ে যায়। ওদিকে তিথি আর তুহিন চুটিয়ে প্রেম করছে,,, তুহিন প্রতিদিন তিথিকে কলেজে দিয়ে যায়। আর কলেজ শেষে ঘুরতে নিয়ে যায়। এমনকি নিজের বাড়িতেও নিয়ে সবাইকে দেখিয়ে এনেছে। আর সবুজ টিয়া..? দিয়া & তিথি হয়তো অনুমানের বশেই ওদের এক করে ফেলেছে কারন ভালোবাসার “ভ” ও ওদের মধ্যে দেখা যায় না।
একদিন দিয়ার ক্লাস শেষে দিয়া বাড়ি আসার জন্য রেডি হচ্ছে,,, এমন সময় ক্লাসের দরজা লাগিয়ে দেয় কেউ। অন্ধকার দিয়ার বরাবরই ভালো লাগে তবে ঘুটঘুটে অন্ধকারে শ্বাস নিতেও সমস্যা হয়। দিয়া দুহাতে গলা আকড়ে চিল্লানোর চেষ্টা করে,,
—- কেউ আছেন..?? দদদরজা খখুলে দিন প্লিজজ।
রওশন ছুটির পর দিয়াকে দেখতে না পেয়ে সারা কলেজ রাউন্ড দিচ্ছিলো,, হঠাৎ দিয়াকে অনুভব করতে লাগলো,, ওর মনে হতে লাগলো দিয়া ওর আশেপাশেই আছে। কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব সব দরজা তো তালা দেওয়া। রওশন এবার শুনতে পায়।
—- মেরো না আমাকে। বাঁচাও
দিয়ার কণ্ঠ শোনার সাথে সাথে রওশন ওই ক্লাসরুমের সামনে যায়। দরজা খেয়াল করতেই দেখে তালাটা মারা হয়নি। তাড়াহুড়োয় হয়তো তালাটা মারতে পারেনি সে। রওশন দরজা খুলে ভেতরে যেতেই দেখে দিয়া মেঝেতে সেন্সলেস হয়ে পড়ে আছে। মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। ও দৌড়ে দিয়ার কাছে যায়।
—- দিয়াপাখি..? দিয়াপাখি কি হলো তোমার। তুমি এখানে কেন..?? তোমার কিচ্ছু হবে না। আমি তোমাকে এক্ষুনি হসপিটালে নিয়ে যাচ্ছি।
রওশন দিয়াকে নিয়ে হসপিটালে চলে আসে। I.C.U তে দিয়া। বাইরে দাড়িয়ে আছে রওশন তুহিন আর তিথি। ডক্টর বেরিয়ে আসলো,,
—- আমার দিয়ার কি হয়েছে ডক্টর..?? ও ঠিক আছে তো..?? জ্ঞান ফিরেছে..?? কথা বলছে..??
—- পেসেন্টের কি হন আপনি..??
—- হাসবেন্ড।
—- তাহলে আপনি এটা নিশ্চই জানেন যে পেসেন্টের অবস্থা কেমন..?? ব্রেইনের ইনজুরির কথা জেনেও অপারেশন কেন করান নি..??
তিথি আগ বাড়িয়ে বললো,,
—- আংকেল দিয়া এখন কেমন আছে..??
—- স্বৃতিশক্তি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা ৯৫% আর কোমায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা ৯৮%
—- কি বলছেন..??
—- হ্যা ঠিকই বলছি। আজ ওনার কন্ডিশন দেখে মনে হচ্ছে ব্রেইনে প্রচুর চাপ পড়েছে। আল্লাহ যদি চান তো পেসেন্ট সুস্থ হলেও হতে পারে। তবে সেটা কিছুদিনের জন্য। অপারেশন করা না হলে পেসেন্টের এমন অবস্থা অহরহ ঘটবে।
ডক্টর চলে যাওয়ার সাথে সাথে রওশন হাটু ভাজ করে মেঝেতে বসে পড়লো,,,
—- কেন এমন হলো দিয়াপাখি..? কেন..?? কি অপরাধ করেছিলাম আমি যে তুমি এমন করে শাস্তি দিচ্ছো আমায়।
তিথি চোখের পানি মুছে বললো,,
—- আপনি না। অপরাধ করেছে আবিদ।
—- মানে..??? ( রওশন )
—- দিয়া অন্য মেয়েদের মতোই,, নম্র ভদ্র মিষ্টি একটা মেয়ে ছিলো। লজ্জাই ছিলো ওর চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট। টিয়া,আমি আর সবুজ আমরা তিনজন ছিলাম ওর বেষ্ট ফ্রেন্ড। মাস দুয়েকের মধ্যেই ওর জীবনটা এলোমেলো হয়ে যায়। ওর জন্মদিন ছিলো সেদিন। আমাদের ইনভাইট করেছিলো ও। কিন্তু আমরা যখন যাই তখন দেখি ও ওদের বাড়ির মেঝেতে পড়ে আছে,,, ওর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নখের আচড় মাথার পেছন থেকে রক্ত ঝড়ছে,,,
এটুকু বলেই থেমে যায় তিথি। রওশন জিজ্ঞাসা করে “তারপর কি হয়েছে” এমন সময় সবুজ টিয়া আসে। সবুজ রওশনের কাধে হাত রেখে বললো,,
—- বাকিটা আমি বলছি ভাইয়া। সেদিন দিয়াকে নিয়ে আমরাই হসপিটালে আসি। দিয়ার আঘাতটা অনেক গাঢ় ছিলো বলে দুদিন সেন্সলেস অবস্থায় ছিলো। ওদিকে দিয়ার কথা শুনে আয়কেল হার্ট এট্যাক করে। তার একমাত্র আদরের মেয়ের এই অবস্থা তিনি সহ্য করতে পারেন না। দিয়ার জ্ঞান ফিরলে সবার আগে আমি যাই ওর কাছে। দিয়া আমাকে দেখে ভয় পাচ্ছিলো। তাই তিথিরাও আসে।


দুইমাস আগে


তিথি দিয়ার হাত ধরে বসে আসে। আর দিয়া চাদর দিকে বারবার মুখ ঢাকছে ভয়ে। টিয়া দিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞাসা করলো,,
—- কি হয়েছে দিয়ু। ভয় পাচ্ছিস কেন..? দেখ আমরা এসেছি..?
—- তোরা চলে যা। আমার কিচ্ছু ভালো লাগছে না।
—- আমাদেরও বলবি না কি হয়েছে..??
অনেক জোরাজুরির পর দিয়া রেগে যায়। চিল্লিয়ে বলে,
—- কি শুনতে চাস্ হ্যা..? কি..?? কিভাবে রেপ হওয়ার থেকে মুক্তি পেয়েছি তাই জানতে চাস্..?? তবে শোন আবিদ ভাই,, আবিদ ভাই আসছিলো আমার শরীর নিয়ে খেলতে,,, আমি তাকে মেরেছি। খুব করে মেরেছি ফুলদানি ছুড়ে দিয়েছি ওনার মাথায়।
টিয়া অবাক হয়ে গেলো ওর কথা শুনে কারন আবিদ দিয়ার ছোটচাচারই বড় ছেলে। দিয়াসহ ওরা সবাই আবিদকে অনেক শ্রদ্ধা করতো। আজ সেই আবিদই দিয়াকে একা পেয়ে,,,, সবুজ প্রশ্ন করলো,,
—- তুই ব্যাথা পেলি কিভাবে..??
—- আমার মতো চরিত্রহীনা মেয়ের তো মরে যাওয়াই উচিত। ওই পশু আমাকে ছুঁয়ে আমাকে অপবিত্র করে ফেলেছে,, এখন কে বিশ্বাস করবে যে আমি নির্দোষ,, আমার সম্মান আমি বাঁচাতে পেরেছি..?? কেউ না। কারন আমার মতো নরম মেয়ে এ এলাকায় আর নেই।
—- তাহলে তুই নিজেই নিজেকে আঘাত করেছিস..??
—- হ্যা। আবার করবো।
ঠাসসস। সবুজ খুব জোরেই দিয়াকে থাপ্পড় দিলো। দিয়া সবুজের দিকে তাকিয়ে আছে,,, চোখ বেয়ে নোনা জল পড়ছে সেদিকে ওর হুশ নেই। সবুজ বলতে লাগলো,,
—- মরবি তাইনা..?? তোকে বাঁচানোই আমাদের ভুল হয়েছে। আর তুই এতোটা যখন করতে পেরেছিস বাকিটা বাকিটা করার সাহস কি আমাদের অনুপ্রেরণায় পেতিস না..?? তোকে নিজের বোনের মতো দেখি আমরা। আমরা জানি তুই ঠিক নাকি ভুল। আর আবিদ আবিদের ব্যবস্থা তো করবোই। আগে বল তোর মরার কারন কি.? শুধুই ওই শয়তানের ছোঁয়া..?? তোর বাঁচার কারন কি আমরা না..?? তোর আব্বু..? সে তোর অবস্থা শুনে,,,
—- আব্বু..?? আব্বুর কি হয়েছে..?? আব্বু কোথায়..?? আমার আব্বু ঠিক আছে তো..??
—- তা জেনে তুই কি করবি..?? তুই তো মরবি। যা মর। বাকিদের কথা ভাবতে হবে না তোর।
—- আব্বুর কাছে নিয়ে চল আমাকে। আমি ছাড়া আব্বু ঠিক হবে । আব্বুর অনেক কষ্ট হচ্ছে হয়তো প্লিজ নিয়ে চল।
—- আংকেল এখন ঠিক আছে।।। কিন্তু তুই মিথ্যা বলছিস কেন..? তোকে আবিদ ভাই আঘাত করেছে তাইনা..?
—- হুম। তোরা আবিদ ভাইকে কিছু বলিস না তাহলে ছোট চাচা অনেক কষ্ট পাবে ।
—- পাক। যে যা করবে তার ফল পাবেই। অন্যের কথা ভেবে ভেবেই আজ তোর এই হাল। আমাদের বন্ধুর সাথে কোনো অন্যায় আমরা মানি নি আর মানবোও না।




রওশন চুপ করে সবটা শুনছিলো আর বারবার I.c.U রুমের দিকে তাকাচ্ছিলো। তুহিন বললো,,
—- আবিদ কোথায় এখন..???
—- জেলে। আমরা সেদিনই ওর নামে কেস করি। ৫বছরের জেল হয়েছে ওর.. আর দিয়াও নিজেকে তৈরি করে ফেলেছে। তবে আঘাতটা বেশি পাওয়ায় ওর এই অবস্থা। ডক্টর বলেছিলো অপারেশনের জন্য মেন্টালি প্রিপারেশন প্রয়োজন তাই এখনো অপারেশনটা করা হয়নি।
হঠাৎ একজন নার্স বেরিয়ে আসলো,,,
—- এখানে রওশন কে..??
—- আমি
—- তাড়াতাড়ি চলুন পেসেন্ট আপনাকে খুজছে।
রওশন একমুহূর্তও সময় নষ্ট না করে দিয়ার কাছে চলে যায়। দিয়া বেডে শুয়ে আছে,, হাতে,,নাকে,, ৩-৪টা ক্যানোলা ক্যানোলার ফাকে অক্সিজেন মাক্স। দিয়া হাত দিয়ে মাক্স খুলতে গেলেই রওশন এসে দিয়ার হাত চেপে ধরে,,
—- খুলো না।
দিয়া মুচকি হেসে মাক্স খুলে বলে,,
—- আমি যদি আপনাকে ভুলে যাই,,, আপনিও কি আমাকে ভুলে যাবেন..?? এমনটা হওয়ার আগে যেন আল্লাহ আমাকে তার কাছে নিয়ে যায়। আব্বুর খেয়াল রাখবেন। আর হ্যা… ভালোবাসি। ভালোবাসি আপনাকে। নিজের অবস্থা জেনেই আপনার থেকে দুরে থেকেছি। আপনাকে কষ্ট দিয়েছি। মাফ করে দিবেন আমায়। আর যদি মরে যাই একটা ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে করে নিবেন।
রওশন কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলছে,,, কি আবোলতাবল বলছে দিয়া..? দিয়া মরে গেলে রওশনও যে বাঁচবে না।মরে যাবে রওশন। দিয়া কি বোঝে না ওর এই কথাগুলো রওশনকে তিলে তিলে শেষ করছে। রওশনকে এক দৃষ্টিতে দিয়ার দিকে চেয়ে আছে দেখে দিয়া নিজের চোখ সরিয়ে নেয়।
—- যমরাজের মতো লাগছে আপনাকে। আমা যমরাজ যার কাছে আমি আমার রুহটা অনেক আগেই তুলে দিয়েছি। এখন শরীরের অবসান ঘটার বাকি।
রওশন আর এক মুহূর্তও দাড়িয়ে থাকতে পারলো না। দৌড়ে গিয়ে দিয়াকে জরিয়ে ধরলো। তারপর হাউমাউ করে কাঁদতে আরম্ভ করলো। সব ডক্টর,,নার্স রওশনের দিকে চেয়ে আছে।
—- কোথাও যেতে দিবো না তোকে,,, আমার বুক চিরে তোকে কলিজার ভেতর ঢুকিয়ে রাখবো। তুই ছাড়া কেউ আসবে না আমার জীবনে। আমার বুকে শুধুমাত্র তোর বাস।আর কারোর জায়গা নেই এখানে বুঝলি তুই..? তোর যমরাজ তোকে অনেক ভালোবাসে রে। নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। যেখানে তুই থাকবি না সেখানে আমিও থাকবো না।
বর্তমানে,,,
রওশনের ঘুম ভাঙে রশনির ডাকে। দিয়া আর রশনি কোমরে হাত দিয়ে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে রওশনকে। দিয়া দৌড়ে গিয়ে একটা নিম গাছের ডাল ভেঙে আনলো।
চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here