অদ্ভুত বর – পর্ব 12

0
307

#অদ্ভুদ_বর
#দিয়া_মনি [ DîYã MôÑî ]
#পর্ব_১২
টিয়া তাবুতে এসে চেইন লাগিয়ে দিলো। মুখে ওরনা গুজে নিজের কান্না থামানোর চেষ্টা করছে ও।
—- কেন সবুজ..? কেন করলি এমন.? তুই কি একটুও বুঝিস না আমায়..? আমার অনুভুতির কি কোনো মূল্যই নেই তোর কাছে..?? আমরা কি শুধুই বন্ধু..? সেই ক্লাস টেন থেকে তোকে ভালোবাসি আমি। হয়তো বলিনি তবুও। যাক ভালোই হয়েছে তুইও এবার হ্যাপি থাকবি। তোর হ্যাপিনেসটা আমার জন্য সব।
বাংলোর পেছনে
ভয়ে দিয়ার হাতপা থরথর করে কাঁপছে। কারন ওর সামনে দুইটা রওশন দাড়িয়ে আছে। একজন সাদাকাপড় পড়ে আর একজন অফ হোয়াইট শার্ট + হোয়াইট প্যান্ট + ক্যাজুয়াল লুকে।
—- দুজনননন..?
রওশন সামনে এসে দিয়ার কাধে হাত রাখতেই দিয়া ভয়ে সরে গেলো।
—- দিয়াপাখি,,, আমি তোমার রওশন। আমাকেও ভয় পাচ্ছো..??
—- আসবেন না আমার কাছে। আপনারা দুজন কেন..?? কারা আপনারা..?
রওশন দিয়াকে শক্ত করে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়।
—- ও আমার জমজ ভাই রোশান দিয়া।। একজন জ্বীন। আর ওর জন্য আমি সব করতে পারি।
জ্বীন কথাটা শুনে দিয়ার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেলো,,, রওশনের ভাই জ্বীন..? তবে কি রওশনও জ্বীন..? রওশনের অদ্ভুদ আচরণগুলো জ্বীন হওয়ার প্রভাব..? রোশান সুরেলা কন্ঠে বললো,,
—- দিয়াকে আমার চাই রওশন। তুই ওকে আমায় দিয়ে দে।
কেঁপে উঠলো দিয়া। কি বলবে রওশন..? রওশন কি দিয়াকে রোশানের হাতে তুলে দিবে..?
—- সেটা কি করে সম্ভব রওশন তো আমাকে ভালোবাসে। ও আমাকে কারোর কাছে যেতে দিবে না।
রওশন অসহায় চোখে রোশানের দিকে তাকালো। রওশনের যে কিছু করার নেই। সেদিন রাতে যখন রশনি রোশান আর রওশকে একসাথে দেখেছিলো,, সেদিন রোশান পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে রোশানের কথা না মানলে ও সবাইকে শেষ করে দিবে ধ্বংস করে দিবে ইয়ারাভ পরিবারকে। কিন্তু কেন..?? কারনটা আজও অজানা রওশন আর রশনির কাছে। ওদিকে ভয়ে দিয়ার মাথা ঘুরছে,, দিয়া লুটিয়ে পড়লো রওশনের বুকে। রওশন দিয়াকে কোলে তুলে নিলো,,
—- তোর সাথে পরে কথা বলছি,,, আগে দিয়াপাখিকে ঠিক করতে হবে।
—- আমি থাকতে তুই কেন..?? তোর দিয়াপাখি তো আজ থেকে আমার হবে। তাই ওর সব দায়িত্বও আমার। ওকে আমার কোলে দে।।
নিরুপায় হয়ে রওশন দিয়াকে রোশানের কোলে দিলো। রোশান দিয়াকে নিয়ে তাবুর দিকে যাচ্ছে। ও যতো এগোচ্ছে ওর জামাকাপড় রওশনের মতো হয়ে যাচ্ছে। রওশন একদৃষ্টে দিয়ার ক্লান্ত মুখটার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখের কোনে পানি জমে আছে।
—- কেন দিয়াপাখি..? কেন তোমাকেই সবাই চায়..?? তোমাকে না চেয়ে যদি আমার জীবনটাই চাইতো তবুও দিয়ে দিতাম আমি। কিন্তু তোমাকে ওর সাথে কিভাবে সহ্য করবো..? আম্মু আব্বু রশনি নিঝুম ওদের বাঁচাবো কিভাবে..?? তুমি জানতে চাইতে না আমি তোমার মনের কথা জানি কিভাবে..?? আজকের পর থেকে কি ভাববে আমি জ্বীন বলে সব পারি..? না দিয়াপাখি আমি জ্বীন না তবে আমার দাদাজান হুজুর থাকায় তার কিছুটা শক্তি আমি পেয়েছি। কিন্তু রোশানকে কিভাবে আটকাবো..?? ও যে ইফরীত্ব। তোমার ওপর যে ওর কুনজর আছে,,, নিজের মনের কথা শুনলে যে তোমাকে হারাতে হবে আমার।
ওদিকে রোশানের মনে চলছে হিংসার আগুণ।
—- কি দোষ্ ছিলো আমার..?? ছোট থেকে আজ অবধি সবকিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছি আমি। আমার জ্বীন হওয়ার কারনটা কি তুই নস..?? আমার জীবন এলোমেলো করার উৎস কি তুই নস্..? আমার জীবনটা নিয়ে কেন খেললো সবাই..?? প্রতিশোধের তাড়নায় ফিরে এসেছি। ওয়াদা রক্ষা না করে ফিরে যাবো না আমি। তুই খুব ভালোবাসিস দিয়াকে তাইনা..?? আজ দিয়াকে নিজের করবো আমি। তারপর পরিবারের সবার থেকে দূরে করে দিবো তোকে।
সবুজ গুড়িটার ওপর বসে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে ফোনের দিকে,,, একটা মেয়ের হাস্যজ্বল চেহারা, স্কিনে টাচ করতেই আবার আসলো মেয়েটার গোমরা মুখ।
—- পাগলিই থেকে গেলি। এখনো চালাক হলিনা। তুই ভাবলি কি করে তুই অন্য একজনের বউ হবি আর আমি বসে বসে সেটা দেখবো। ভালোবাসি তোকে স্বেচ্ছায় কাছে না আসলে জোর করার অধিকারটা ছিনিয়ে নিবো,,, তোর চুপ করে থাকাটা যে বড্ড কাঁদায় আমায়। সেটা কি বুঝিস না তুই।।
পেছন ধেকে তিথি বলে উঠলো,,,
—- কিরে দেবদাস,, টিয়া তাবুতে একা কেন..??
—- ওই যে বললি দেবদাস। ওই একটা কথার জন্যই।
—- ওহ হো সেন্টি মুডে চলে গেলি..?? কয়েকদিন পর বিয়ে চির কর কুত্তা চির আপ কর। সিঙ্গেল লাইফটা হারাতে বসেছিস… এর মানে জানিস..? সেদিনের নটাংকিবাজ মেয়ে আজকের বধু। তুই হবি লেডিস থেকে টিয়ার মধু।
—- বিয়ে করছিস তাও সভ্য হস্ নি। এই তোরে শশুড়বাড়ি থেকে লাথি দিয়ে বের করে দেয় না কেন..? টুকটাক করছিস নাকি ওদের যে এখনো তোকে সহ্য করছে,,
—- হারামি,, আমি কি তোর মতো..?? তুহিন আমারে কত্ত ভালোবাসে, বোঝে। ওদের বাড়ির সবাই ও ঠিক ওর মতো। আর লেডিস তুই টিয়াকে তোর মনের কথা বলিস নি কেন এখনো.? আমার টিয়াটা কতো কষ্ট পাচ্ছে। তোরে তো আমি কাঁচা চিবায় খাবো
—- তোর বর জানে..?
—- কি.?
—- তুই ডাইনি। মানুষ চিবায় খাস্।
—- এজন্যই বউ জোটেনি তোর। আর জুটবেও না। টিয়ারে আমার দেবরের সাথে বিয়ে দিবো। তখন বসে বসে আঙ্গুল চুষিস।
তিথির কথায় হাসলো সবুজ। তুহিন নিঝুম আর রশনি আড্ডা দিচ্ছে। এমন সময় রোশান দিয়াকে নিয়ে তাবুতে ঢুকে গেলো। নিঝুম খোচা মেরে বললো,,
—- হঠাৎ তাবু..?? রোম্যান্স রাতে করলেও তো হতো। রওশন ভাইয়া যে এতো রোম্যান্টিক আগে জানা ছিলো না।
—- বউ এর সামনে সব পুরুষই নিজেকে রোম্যন্টিক দেখায়। নয়তো বউ টিকবে কেম্নে..?( তুহিন।)
—- রশনি তুমি তো বলেছিলে তোমার দুইটা ভাই। এতোবছর হয়ে গেলো,,, আরেকজনকে তো দেখলাম না ইভেন চিনিও না।
—- সে নেই। আচ্ছা তোমরা আড্ডা দাও আমি টিয়ার কাছে যাই। তাবুর ভেতর একা একা কি করছে ও..??
রশনি গিয়ে টিয়ার তাবুর সামনে দাড়ায়।
—- টিয়া..?? বাইরে আসো। ভেতরে কি করছো..??দেখো বাইরে আমরা আড্ডা দিচ্ছি।
টিয়ার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে রশনি তাবুর ভেতর যায়। টিয়া ঘুমিয়ে আছে। চোখমুখ ফুলে গেছে মেয়েটার। হয়তো কাঁদার কারনে।
—- টিয়া কি কেঁদেছে..? কিন্তু কেন কাঁদবে.? টিয়া ওঠো। ( থাক ঘুমাক। হয়তো টায়ার্ড কিন্তু চোখমুখ এমন কেন..?)
বেরিয়ে আসলো রশনি,, হাটতে হাটতে বাগানের বড় আমগাছটার নিচে যেতেই পুকুরপাড়ে রওশনকে বসে থাকতে দেখে ও। রওশনকে ডাক দিবে ঠিক এমন সময় দিয়ার তাবু থেকে রোশান বের হলো।
—- ইমপসিবল।পিচ্চি ভাবির সাথে এমন হতে পারে না। কেন করলে এমন ভাইয়া..?? তুমি নিরুপায় হলেও আমার কাছে হাজারো উপায় আছে পিচ্চি ভাবিকে রক্ষা করার। তোমাদের দুজনের জন্য আমি পিচ্চিটার জীবন নিয়ে খেলতে দিতে পারবো না।
রশনি ওখান থেকে কাউকে কিছু না বলেই বেরিয়ে গেলো। দিয়ার তখনো ঘুমোচ্ছে। সন্ধ্যার পর জ্ঞান ফেরে দিয়ার। চোখ খুলতেই পাশে রশনিকে দেখে কেঁদে দিলো ও। রশনি ওর চোখ মুছে ওর গলায় একটা লকেট পড়িয়ে দিলো। তারপর কপালে চুঁমু খেয়ে বললো,,
—- কেঁদো না পিচ্চি ভাবি। বড় ভাইয়ার ওপর বিশ্বাস রাখো। ভাইয়া সব ঠিক করে দিবে। রোশান ভাইয়ার তোমার কিচ্ছু করতে পারবে না।
—- তোমার ভাইয়ারা অনেক খারাপ,,, কেন করছে এমন..? আমি কি ক্ষতি করেছি ওদের..??
—- তুমি কিছু করোনি। ভাইয়ার অদ্ভুদ আচরণের জন্যই আজ এমন হলো। সব দোষ্ ওর। সামনের পূর্নিমা আসলে সব জানতে পারবে তুমি…
—- শেষে জ্বীনের সাথে বিয়ে হলো..?? এটা মানতে পারবো না আমি। থাকবো না ওর সাথে।
—- রওশন ভাইয়া জ্বীন না মানুষ। জ্বীন তো ছোট ভাইয়া রোশান। আসলে সবটা হয়েছে দাদাজানের জন্য। দাদাজানননন
রোশান চলে আসলো ওদের কথার মাঝে।
—- কি বলছিলি রশনি..?( রাগমিশ্রিত কন্ঠ )
—- আসলে পিচ্চি ভাবি জিজ্ঞাসা করছিলো তোমরা দুজন এক দেখতে,,, কার মতো দেখতে হয়েছে… তাই। ( ভয়ে ভয়ে উত্তর দিলো )
—- আচ্ছা তুই যা। আর শোন রোশানকে দেখে রাখিস। ও যেন আজ রাতে এই তাবুর কাছে না আসে।
—- ঠঠঠিক আছে।
রশনি চলে যেতেই রোশান দিয়ার গা ঘেসে বসে পড়ে। চোখেমুখে রাগ স্পষ্ট।
—- ( দিয়ার গলায় লকেট এলো কিভাবে..? যে করেই হোক ওটা খুলতে হবে। না হলে দিয়াকে স্পর্শ করতে পারবো না আমি। কিন্তু কি করবো..? ও যদি সন্দেহ করে..? কে পড়িয়েছে ওকে এটা..? রওশন..? না সেটা কিভাবে সম্ভব.. রওশনতো বাইরে ছিলো। তাহলে কি রশনি..? কিন্তু এই লকেট যে আনার চেষ্টা করে তার জীবনের একটা বড় অংশ তো ত্যাগ করতে হয়। রশনি কিভাবে আনবে.? ) শাড়ি পড়বে আজ..??
—- কেন..?( কে এটা রওশন নাকি রোশান..?)
দিয়া ওর দিকে তাকাতেই দেখলো ওর নাকের নিচে তিল নেই। কিন্তু রওশনের তো তিল আছে। তাহলে এটা কি রোশান..??
—- কি চাচ্ছে ও..?? হঠাৎ শাড়ির কথা তুললো কেন..??
দিয়ার চোখে ভাবনা দেখে রোশান প্রশ্ন করলো,,
—- কি ভাবছো..??
—- নাইট ড্রেসটা আনার কথা ছিলো না আপনার..?? আপনি কে..? রোশান..??
—- ( রওশন কি ওকে নাইট ড্রেস পড়তে দেয়..? কই আমিতো জানি না। ও তো শাড়ি পড়েই ঘুমায়) এনেছি তো। দাড়াও আনছি বাইরে আছে।
রোশান বাইরে যেতেই দিয়া বেরিয়ে আসে। এদিক ওদিক তাকিয়ে রওশনকে খুজছে ও। হঠাৎ ওর চোখ বাংলোর ছাদে যায়। রওশন অপজিটে ফিরে চোখ বুজে বসে আছে। চোখের কোণা বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে,, আবছা আলোয় ওর ফর্সা মুখটা জ্বলজ্বল করছে।
—- কেন করলেন এমন..?? নিজের বউকে ভাইয়ের কাছে,,, ছি!!
হঠাৎ কাধে কারোর ছোঁয়া পেয়ে পেছনে তাকালো দিয়া। রশনি দাড়িয়ে আছে।
—- ভাইয়াকে ভুল বুঝো না।ও আমাদের জন্য এসব করছে। আর তুমি মনে রাখবে যে কোনো মূল্যেই রোশান ভাইকে নিজের কাছে আসতে দেওয়া যাবে না। আজ যদি ও তোমার কাছে আসে তাহলে ওর সন্তান হবে আমাদের কাল। প্রতিশোধের নেশায় ফিরে এসেছে ছোট ভাইয়া,, আজ রাতটা তুমি কোনো মতে কাটিয়ে দাও কাল বড় ভাইয়া তোমাকে সবটা বলবে।
রোশান চলে আসায় রশনি চলে গেলো ওখান থেকে। রোশান ব্যাগটা দিয়ার হাতে দিয়ে চেন্জ করে নিতে বললো,,
—- ( রাতে তাবুতে অনেক কিছুই হতে পারে। এই জ্বীনটা ওর মনের সাধ মেটানোর জন্য কতদূর যেতে পারে জানিনা আমি। বাংলোটা ফাঁকা আছে। আজ সারা বাংলোয় চক্কর খাওয়াবো এটাকে। দিয়ার বর সেজে নাটক করার ফল যে তেতো হবে এটা বুঝিয়ে দিবো।) বলছি সবাই তো তাবুতে থাকবে,,, আমরা যদি বাংলোর ভেতরে থাকি..??
—- ( কি চাচ্ছে মেয়েটা..?? হঠাৎ উদ্ভট সব বায়না,,, ও কি বুঝে গেছে আমি রওশন না। তাহলে যে সর্বনাশ হয়ে যাবে। ) আচ্ছা চলো।
—- ( জ্বীনের সাথে পাঙ্গা নিয়ে ভুল করলাম নাতো..?যা সহ্য করতে পারি না সেটাই কপালে জোটে,,, একে তো উদ্ভট বর জুটছে এখন আবার জ্বীন দেবর। কোন পাপের শাস্তি পাচ্ছি আল্লাহই জানে। তবে আজ যাই হোক নিজেকে ওর নিকৃষ্ট ইচ্ছার কাছে সপে দেবো না। যে দিয়াকে রওশন ছুঁয়েছে তাকে আর কেউ ছুঁতে পারবে না।) মনে মনে
—- কি ভাবছো দিয়াপাখি..?
—- ( এই জ্ববীন দেখি অকর্মার ঢেকি। মনের কথাও পড়তে পারে না। আব আয়েগা মাজা।)ভাবতেই খিলখিল করে হেসে উঠলো দিয়া।
—- (হাসছে কেন ও..? ওর যে শয়তানি বুদ্ধি না জানি কি করে। রওশন কিভাবে সামলায় এই বেকুবটাকে..?) হাসছো কেন..?
—- (আমাকে বেকুব বললো মনে হলো..?? কিন্তু ওর ঠোট তো নড়েনি শুনলাম কিভাবে..? যাই হোক শুনেছি তো বলুক বা না বলুক। তোকে আজ ম্যারাথনের দৌড় শেখাবো।) না মানে রোম্যান্টিক মুডে চলে গেছিলাম। সেদিনের কথা মনে পড়ছিলো।
—- ওরে দুষ্টু। যাও রেডি হয়ে নাও আমি আসছি।
দিয়া বাংলোর ভেতর চলে গেলো। রোশান দাড়িয়ে দাড়িয়ে বোঝার চেষ্টা করছে দিয়া কি চাচ্ছে সেটা। ওদিকে রওশন আকাশের দিকে তাকিয়ে হাসছে। রোশান আর দিয়াকে নিচে কথা বলতে দেখে রওশন ওদেরকে বোঝার চেষ্টা করে।আর দিয়ার ভাষ্যমতে অদ্ভুদ গুনের অসিলতে, ওদের মনের সব কথা জেনে নেয়।
—- তুমি পারোও বটে দিয়াপাখি। চিন্তা করোনা লকেটটা তোমাকে নিরাপদ রাখবে। আমার দিয়াপাখির কেউ কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। তুমি শুধু তোমার মনোবল ঠিক রেখো। আর রোশান তুই তোর ধ্বংসের দিকে এক কদম এগিয়ে যাচ্ছিস আমার শুভকামনা তোর সাথে রইলো ভাই। বেস্ট অফ লাক সরি ব্যাড লাক।
চলবে,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here