#অদ্ভুদ_বর
#দিয়া_মনি [ DîYã MôÑî ]
#শেষ_পর্ব
দেখতে দেখতে সাতমাস কেটে গেলো। আজ সকাল থেকে দিয়ার লেবার পেইন শুরু হয়েছে। রোশান একা বাড়ি ছিলো তাই ও নিজেই দিয়াকে নিয়ে হসপিটালে গেছে। আর রওশনকে ইনফর্ম করেছে। দিয়াকে ওটিতে নিয়ে গেছে ১৫মিনিট হলো তার মধ্যেই রওশন চলে এসেছে। রওশনের সারা শরীর ভয়ে ঘেমে গেছে।
— রোশান দিয়া.? দিয়া কোথায়.?
— ওটিতে।
৫মিনিট পর বাচ্চাদের কান্নার আওয়াজ শোনা গেলো। এদিকে রওশন দিয়ার অবস্থা জানার জন্য অস্থির হয়ে আছে। একজন নার্স দুইটা সাদা ধবধবে বেবি নিয়ে বাইরে বেড়িয়ে আসলো,,
— কনগ্রাচুলেশন মিস্টার ইয়ারাভ আপনি জময সন্তানের পিতা হলে। একটা মেয়ে একটা ছেলে।
— দিয়া? দিয়া কেমন আছে.?
— আম্মু ভালো আছে আব্বু। আমরা একটুও কষ্ট দেইনি আম্মুকে।
ছেলে বেবিটা বলে উঠলো। নার্স ভয়ে একটা চিৎকার দিলো। পেট থেকে বাইরে এসেই বাচ্চা কথা বলে কিভাবে.? রোশান আর রওশন বেবিদের কোলে নিলো। রওশন ছেলেমেয়েদের কপালে চুঁমু দিয়ে চেয়ারে বসে রইলো।
আজ কোনো ভয়, কোনো জ্বীন, কোনো অশুভ শক্তি ওদের জীবনে নেই। সব বাঁধা শেষ। সব আশঙ্কা শেষ। তবে এই জয়টা অর্জনের পেছনেও রয়েছে এক কালিমায় ঘেরা রাত।
৩মাস আগে। দিয়া তখন ৫মাসের প্রেগনেন্ট। দিয়া তখনও মানসিক ভারসাম্যহীন। কথায় কথায় রওশনকে কামড় দেয়,,রওশনের চুল টেনে ছেড়ে,, বাড়ির সবার প্লেট বাদ দিয়ে রওশনের প্লেটে মশলার পরিমান বেশি দেয়। এক কথায় রওশনকে উত্তক্ত্য করাটাই দিয়ার প্রধান উদ্দেশ্য। ৫বছরের বাচ্চাদের মতো বিহেভ করতে থাকে ও। আর রওশন হাসিমুখে সবটা মেনে নিতে থাকে।
এক পূর্নিমার রাতে,, রওশন তখন কুরআন শরিফ পড়ছিলো ঠিক তখনই ও টের পায় ওর পেছন দিয়ে হেটে কেউ বাইরে চলে যাচ্ছে। রওশন কুরআন পড়া শেষ করে জায়নামায উঠিয়ে বিছানার দিকে তাকালো,, দিয়া নেই। রওশন অবাক হলো না কারন প্রতি পূর্নিমায় দিয়া ছাদে বসে ওর বেবিদের সাথে গল্প করে। রওশন ও ছাদে চলে আসে। কিন্তু ছাদে পা রাখতেই ভয়ে শিউরে ওঠে ও। দিয়া ছাদের কর্নারে দাড়িয়ে আছে ওর ডানপাশে একটা শেয়াল বামপাশে কুকুর আর সামনে একটা কাক উড়ছে। দিয়া বারবার ওদিকে যেতে চাচ্ছে কিন্তু পারছে না। কোনো এক অদৃশ্য শক্তি বাঁধা দিচ্ছে ওকে।
রওশন দিয়ার কাছে যেতেই শেয়ালটা ঝাপিয়ে পড়ে রওশনের ওপর।রওশনের গলায় মুখে আঁচড় দেয়। ঠিক তখনই রওশন শুনতে পায়।
— চিন্তা করবেন না আমি চলে এসেছি রওশন। আজ এই ইফরীত্বদের শেষ হবে। মুক্ত হবেন আপনারা। আর আমি।
রওশনের নখগুলো আকারে বড় হতে লাগলো। রওশন চোখ পুরো বাদামী হয়ে গেছে,, রওশন শেয়ালটাকে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে পাশে ছুড়ে মারলো আর নিজে উঠে দাড়ালো।
— জানি না কি জন্য তোরা দিয়াখির পেছনে পড়ে আছিস তবে যে উদ্দেশ্যেই হোক আজ তোদের শেষ চিহ্নটুকুই তোদের জাতি খুজে পাবে না।
চোখের পলকে এক নিমিষে কুকুর, শেয়াল, কাক এক হয়ে একটা বড় সাপ হয়ে গেলো,, আর দিয়াকে আষ্ঠেপিষ্টে জরিয়ে ধরলো,,, দিয়া ব্যাথায় কুকড়ে উঠলো। ওর চোখের সামনে ভেসে উঠলো রোশানের সেই মায়াবি চোখের হাসিমাখা মুখ। পেটে ব্যাথায় শেষ হয়ে যাচ্ছে দিয়া।
— বেবি তোমরা কিছু করো নাহলে এই সাপটা আমাদের মেরে ফেলবে। তোমরা না স্ট্রং বেবি.? ভবিষ্যৎ এর জ্বীন
হঠাৎ একটা কর্কশ গলা শোনা গেলো,, কথার সাথে ভেসে আসছে ফোসফোস আওয়াজ।
— তোদের দাদা আমাকে দুইটা শরীর দেয়নি। কিন্তু সে অনেক বুদ্ধিমান তাই আজ তোদের চারটা শরীর পেতে চলেছি। সেদিন দুইটা শরীর নিলে শক্তি হয়তো পেতাম কিন্তু আজকের চেয়ে কম।আজ তোদের শরীর নিবো আমি।
রওশন দেখলো দিয়া শ্বাস নিতে পারছে না। তাই কাতর কন্ঠে বললো,,
— শুধু আমাকে মারো। ওদের ছেড়ে দাও। আমার দাদাজান ভুল করেছেন তার শাস্তি আমি পাবো ওরা না।
— তবে তাই হোক যাদুছুড়ি আনো আর নিজেকে শেষ করো।
কথাটা শোনামাত্র দিয়া চিল্লিয়ে উঠলো,,
— নাহহহ। রওশন প্লিজ নিজের কিছু করবেন না। আল্লাহর দোহাই লাগে নিজের ক্ষতি করবেন না।
চোখ বুজতেই রওশনের হাতে ছুড়ি এসে যায়। আর রওশন ছুড়িটা তুলে দিয়ার দিকে তাকায়।
— আমাদের পথ চলা এখানেই শেষ দিয়াপাখি। আমি এটা জেনে গেলাম যে তুমি আমাকে চিনতে পেরেছো। পরকালে যা হবার তাই হবে কিন্তু মৃত্যুর আগে যে শান্তিটা পেলাম সেটাই অনেক। বেবিদের খেয়াল রেখো,, ওরা কিন্তু আমারও বেবি। সেদিন রাগের মাথা কি না কি বলেছি তার জন্য ক্ষমা করে দিয়ো। আর একটা কথা।।। ভালোবাসি তোমাকে এটা সবসময় অনুভব করো।
রওশন ছুড়িটা নিজের পেটে ঢুকিয়ে দিলো,, রওশনের পেট বেয়ে রক্ত পড়ছে। দিয়ার সারা পৃথিবি যেন থমকে গেলো। ও একমনে রওশনের দিকে তাকিয়ে আছে,, মেঝেতে লুটিয়ে পড়লো রওশন। দিয়ার গলা দিয়ে অস্পষ্ট শব্দ বের হলো,,
— ররওওশশনন।
দিয়াকে পেচিয়ে রাখা সাপটা দিয়ার থেকে সরে গিয়ে বিদঘুটে আওয়াজ করে হাসতে লাগলো। ঠিক তখনই রওশনের শরীর থেকে এক উজ্জ্বল আলোকরশ্মি বের হলো,,এবং জুব্বাধারী মানবে রূপ নিলো। অবয়বটি সাপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে,,
— এবার তোকে শেষ হতেই হবে ইফরীত্ব আমার ছেলেকে মারা প্রতিশোধ নিবো আজ,, আমার পরিবারের দিকে হাত বাড়ানোর শাস্তি পাবি তুই।
দিয়া অবাক হয়ে অবয়বটার দিকে তাকিয়ে আছে। অবয়বটি আস্তে আস্তে সাপটার সামনে গেলো,, তারপর সাপটার গলা চেপে ধরলো,,, সাপটা তখনই রূপ বদলে কাক হয়ে যায়। দিয়া সেটা দেখেই সেন্সলেস হয়ে যায়।
ভোর চারটা। দূর থেকে আযানের ধ্বনি কানে ভেসে আসছে। আড়মোরা ভেঙ্গে উঠে বসলো দিয়া,, শরীরটা আজ অনেক হালকা আর ফুরফুরে লাগছে। কিন্তু উঠে বসতেই ওর কলিজা কেঁপে উঠলো,, সামনে সেই অবঢবটি দাড়িয়ে আছে আর তার সামনে শেয়াল কুকুর আর কাকের মৃতদেহ। দিয়া ভয়ে ঘেমে যাচ্ছে।
— ভয় পেয়ো না দিয়া। আমি তোমাদের দাদাজান। আমি তোমাদের কোনো ক্ষতি করবো না। দয়া করে আমার কথা শোনো।
— জি..
— রওশনের পেটের জখমটা অনেক গভীর। ওটা গরমপানি দিয়ে পরিষ্কার করে মলম লাগিয়ে বেঁধে দাও। দাদাভাই জেনেবুঝে কেন যে এমন করলো.? তোমাকে অনেক ভালোবাসে বুঝেছো.?
— হুম।
— তোমাদের দাদিজানকেও আমি খুব ভালোবাসতাম। কিন্তু সে কখনো আমাকে টাক বানায়নি। কিন্তু তুমি তো আমার দাদাভাই এর সব চুল টেরই ছিড়ে ফেলেছো.?
— আমি.? কখন?
— আচ্ছা তুমি ওর জখম পরিষ্কার করো আগে আমি নামায পড়ে নেই। তাড়াতাড়ি করো নাহলে দাদাভাই আরো কষ্ট পাবে।
দিয়া নিচে গিয়ে ফার্স্ট এইড বক্স এনে রওশনের শার্ট খুলে ড্রেসিং করাতে গেলো,, কিন্তু রওশনের সারা গায়ে কামড়ের দাগ দেখে থমকে গেলো,, তবুও ড্রেসিং করিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিলো। ততক্ষনে রাদিনের নামায শেষ।
— নাও রওশনকে ডেকে নামায পড়ো দুজন।
— উনি উঠবে?
— তো আমার দাদাভাইকে কি তোমার দূর্বল মনে হয়.? এতোটুকুতে ওর কিছু হবেনা। ডাক দাও।
— আচ্ছা।
দিয়া রওশনকে তিনবার ডাকতেই রওশন উঠে যায়। ওরা দুজন অযু করে দাদাজানের ঘরেই নামায পড়লো তারপর চৌকিটার সামনে দাড়ালো।
— বসো তোমরা। আর দিয়া তুমি চৌকিটার ওপর বসো তোমার নিচে বসতে কষ্ট হবে।
— হুম আমার চেয়ে বউ বেশি হয়ে গেছে তোমার কাছে দাদাজান.? ( রওশন )
— হয়েছে তো। সে যে আর একা নেই তার সাথে আরো দুজন আছে। আমার দাদাভাই এর সন্তান।
— আপনি ভুত হলেন কিভাবে.? ( দিয়া )
— ভুত.? আমি এখন জ্বীন রূপে আছি। আর জ্বীন হতে পেরেছি কারন আমি বেঁচে থাকতেই ইফরীত্বদের সংস্পর্শে গিয়েছিলাম হুজুর নিজামউদ্দিন এর সাহায্যে। তবে আজই আমি মুক্তি পাবো।
— মানে.? তুমি আবার চলে যাবে.?থেকে যাও (রওশন)
— আমি চাইলেই তো সব হবে না। সবকিছুর একটা নিয়ম আছে সময় আছে। এতোদিন আল্লাহর রহমতে জ্বীন হয়ে থাকতে পেরেছি কিন্তু আজ আমার প্রতিশোধ পূর্ণ। তাই আমার কাজ শেষ।
— আচ্ছা আমার পেট এতোবড় কেন.? বাবু তো ১০-১২দিনের। (দিয়া )
— জি না ম্যাডাম আপনার প্রেগনেন্সির ৫মাস চলছে। আর কিছুদিন পরেই আমাদের বাবুরা আসবে। ( রওশন।)
— কিহ.? এতোদিন সরি এতোমাস হলো কিভাবে.? আর আমার মনে নেই কেন.?(দিয়া)
— তোমাকে ইরফিত্বরা বশ করে রেখেছিলো দিয়া। যেদিন রশনিকে বাঁচানোর জন্য ওর সামনে গেছিলে সেদিনই ইফরীত্বের নজর তোমার ওপর পড়ে। আর এটা পূর্বনির্ধারিত ছিলো তাই খাতায় লেখা ছিলো তোমার মৃত্যুর কারন তোমার ছেলেমেয়ে হবে।
— এতোদিন কি আমি আপনাকে কষ্ট দিসি.? ( রওশন।)
— নাহ আমার তো আরো বউ আছে তারা দিসে। তুমি তো কখনো কিছুই করোনা। আমাকে নিয়ে তো তোমার কোনো চিন্তা নেই সব বেবিদের নিয়ে ভাবো।(রওশন)
— অদ্ভুদ মানুষ তো আপনি নিজের বেবিদের হিংসা করছেন.? দেখেছেন দাদাজান আপনার দাদাভাই কেমন.? (দিয়া)
— দাদাজান কি বলবে.? আব্বুর কাছে শুনেছি দাদাজান নাকি দাদিজানকে চোখে হারাতো। (রওশন)
— আমার ডুবলিকেট হয়েছে এই ছেলেটা। কথায় কথায় ফাসিয়ে দেয়। কিন্তু এখন আমার যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। তোমাদের ছেলেমেয়েরা কিন্তু বিশেষ এবং অদ্ভুদ রকমের বাচ্চা হবে।
— মানে.? ( দিয়া )
— ওরা ৮মাসে জন্ম নেবে। জন্ম নিয়েই কথা বলতে পারবে আর ৬মাসে হাটতে শিখবে।
— এ কেমন বাচ্চা.? (দিয়া)
— তোমার অদ্ভুদ বরের অদ্ভুদ বাচ্চা। বুঝলে তো দিয়া রওশন নিজেও ছোটবেলায় অনেক দুষ্টু ছিলো তবে তোমার চেয়ে কম।
— আমি কি দুষ্টু.?
— সন্দেহ আছে.? ( রওশন)
— আপনাকে জিজ্ঞাসা করি নি। দাদাজানকে জিজ্ঞাসা করেছি।
— উহু আমার দিয়া একটুও দুষ্টু না বরং অনেক বেশি দুষ্টু। দেখো সকাল হয়ে আসছে। আমাকে যেতে হবে। ভালো থেকো তোমরা।
আস্তে আস্তে ভোরের আলোয় বিলিন হয়ে গেলো রাদিন। দিয়া আর রওশন শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলো।
বর্তমানে,,
কেবিনের বেডে শুয়ে আছে দিয়া আর পাশের দোলনায় দুলছে দ্বীন আর রুহানী। রওশন বাচ্চাদের পাশে বসে ওদের ইংরেজি শেখাচ্ছে। ওদের হাসাহাসিতে দিয়ার ঘুম ভেঙে যায়। দিয়া পাশে তাকাতেই রুহানী বলে উঠলো
— মাম্মা গুড নাইট।
ভরদুপুরে গুড নাইট ? ঠিক তখনই দ্বীন বলে উঠলো
— হোয়ার আর ইউ মাম্মা.?
ওদের ভুলভাল ইংলিশ শুনে রওশন চোখ বড় বড় করে তাকায়। দিয়া বোঝার চেষ্টা করছে যে ওরা কি বলছে? ঠিক তখন রওশন বলে উঠলো,,
— মানসম্মান সব ডুবিয়ে দিলো,,, গুড নুন কে নাইট। হাউ আর ইউ কে হোয়ার আর ইউ বলছে।
দিয়া কিটকিটিয়ে হেসে উঠলো,,, নিঝুম, রশনি,তুহিন,তিথি আর সবুজটিয়া আসলো। তিথি ৬মাসের প্রেগনেন্ট আর টিয়া ২মাসের। রশনিদের বিয়ের ৩মাস পূর্ন হয়েছে। তিথি আসতেই দ্বীন বলে উঠলো,,
— তিতি ইউর মাদার ইজ মাই।
তিথি বাচ্চিদের গলা শুনে ভয়ে তুহিনের হাত চেপে ধরলো,,,, তুহিন রওশনের দিকে তাকালো,, রওশন চোখ বুজে বললো,,
— তিথি দ্বীন তোমার মেয়েকে চাচ্ছে। আর আমার বেবিরা এখন থেকেই কথা বলতে পারে। সো ডোন্ট বি প্যানিক।
রোশান আসলো নুহাকে নিয়ে। হ্যা এটা সেই নুহা যে খুলনাতে দিয়াদের ক্লাসে পড়তো। টিয়ার বিয়ের পর টিয়া নুহাকে নিয়ে একদিন দিয়াদের বাড়ি আসে তখন নুহাকে দেখেই রোশান নুহার প্রেমে পড়ে যায়। প্রেমেন ট্রেন এখনো চলছে খুব শীগ্রহই গন্তব্যে পৌছে যাবে।
টিয়া বেবিদের কাছে গেলো ফর্সা গোলুমলু নীল চোখের বাচ্চা।
— টোটালি বিদেশী বাচ্চা। শ্যামলা মেয়েদের এমন বাচ্চা হয় কি করে.? দিয়া এটা মনে হয় এক্সচেন্জ হয়ে গেছে। অন্যের বাচ্চা চলে এসেছে।
রুহানী বললো,,
— কালামনি হট আর ইউ চেং.?
টিয়া দেখলো রুহানী মুখের ভেতর আঙ্গুল দিয়ে চোখ পিটপিট করে কথা বলছে। আর এরা ইংলিশ বলার চেষ্টা করছে।
— এদের এই বয়সে ভুলভাল ইংলিশ শিখিয়েছে কোন গাধা.? বুদ্ধিসুদ্ধি মাথায় নেই নাকি। তোমাদের এসব কে শিখিয়েছে.?বেবি
— রওশন পাপা।
রওশন অসহায় চোখে বাচ্চাদের দিকে তাকালো।এটা ঠিকঠাক বলতে পেরেছে হায়রে বাচ্চা।কেবিনের সবাই জোরে জোরে হেসে দিলো।
সবুজ হেসে বললো,,
— কিরে দিয়া তোর মতো প্যাচালো ডাইনির মতো শর্টলি সাধাসিধে মেয়ের বাচ্চা এমন অদ্ভুদ টাইপের হলো,, ভাবা যায়? এমাজিং।
দিয়া রওশনের দিকে তাকিয়ে মুখ ভেঙচি দিয়ে বললো
— বরটাই তো অদ্ভুদ বেবিরা স্বাভাবিক হবে কিভাবে.?
সবাই হেসে বললো,,
— আসলেই #অদ্ভুদ_বর_তোর
এভাবেই চলতে থাকুক ওদের হাসি, কান্না, মজা, খুনসুটিতে চলমান জীবন,,, সারাজীবন এভাবেই অটুট থাকুক ওদের বন্ধুত্ব আর ওদের ভালোবাসা।
সমাপ্ত