মন পাথরে হঠাৎ ঝড় – পর্ব 04

0
312

#মন_পাথরে_হঠাৎ_ঝড়
#পর্ব_৪
#বোনাস
Tahrim Muntahana
রাত ১ টা! ব‍্যস্ত এই শহরের লোকজন এখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। প্রকৃতি নিজেও শান্ত হয়ে যেন তাদের ঘুমটা আরো আরামদায়ক করে তুলছে। কিন্তু আরামদায়ক কোনো কিছুই যে হৃদান চৌধুরীর সাথে যায় না! সে পছন্দ করে কষ্টদায়ক মুহূর্ত। তাই তো সবাই যখন ক্লান্ত শরীরটাকে বিছানায় এলিয়ে দিয়ে গভীর ঘুমে তলিয়ে আছে সেখানে সে ক্লান্ত শরীর নিয়ে বেলকনিতে বসে আছে। চোখে ঘুম নেই! আজ সে শারীরিক ভাবে ক্লান্ত না, মানসিক ভাবে ক্লান্ত। একটা মেয়ে যেন মাথায় একদম জেকে বসেছে। দুপুরে ঘটে যাওয়া ঘটানাটা কিছুতেই মাথা থেকে সরছে না। আদর! মেয়েটির নাম আদর! ঠিক যেন মুখের সাথে নামটাও মিলে যায়। দুপুরে অফিসে না গিয়ে নিজের বাংলোতে চলে আসে হৃদান। এসেই পিয়াসের থেকে আদরের ডিটেইলস নিয়ে চেক করে। কিন্তু এতকিছু কেন করছে সে তার মাথায় ই আসছে না। মেয়েটির ডিটেইলস হাতে পেয়ে মনের মধ‍্যে একটা ভালোলাগা ফিল হচ্ছিলো। যেটা একটু হলেও হৃদান বুঝতে পেরেছে। বুঝতে পারার পর থেকেই মেয়েটিকে তার ইন্টারেস্টিং লাগছে। ভাবতে ভালো লাগছে মেয়েটিকে নিয়ে। কিন্তু কেন এই ভালোলাগা? এমন ভালোলাগার সাথে সে আগে কখনোই পরিচিত ছিলো না।
বেলকনিতে বসে এসবকিছুই ভাবছিলো হৃদান। বড্ড এলোমেলো লাগছে তাকে। হঠাৎ ই তার মনে পড়লো মেয়েটি যদি আদর হয় তাহলে সেদিন তাকেই আটকে রাখা হয়েছিলো! দুপুরের একটু খানি দেখাতেই মেয়েটি বিরাট কান্ড ঘটাতে পারলে সারাদিন কি করতে পারে সেখানে? এটা ভেবেই হৃদান উঠে রুমে চলে গেলো। ল‍্যাপটপ টা নিয়ে আবার বেলকনিতে বসলো। সি সি ক‍্যামেরা লাগানো কোডেটে। কাউকে বিশ্বাস করে না সে শুধু একজন ছাড়া। যে কেউ বেইমানি করতে পারে। তাই এই পন্থা। আদর কে যে ঘরে রেখেছিলো তার ফুটেজ বের করলো। পরক্ষণেই ঠাস করে ল‍্যাপটপ টা বন্ধ করে দু হাত ধরে মাথার চুল খামচে ধরলো। কি করছে সে? তার সাথে এসব যায়? কেন আজ তাকে দিশেহারা লাগছে। মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতেই আবার মনে পড়ে গেলো আদর নামক মেয়েটি তার চুলে হাত দিয়েছিলো। লম্বা থাকাই সেভাবে নাগাল পায়নি নাহলে চুল তো ছিড়েই দিতো। নিজ হাত দিয়ে আদরের হাত দিয়ে ধরা জায়গায় ছুঁয়ে দিলো।‍ যেন সে আদরকেই ছুঁয়ে দিচ্ছে!
এবার আর কৌতুহল আটকাতে পারলো না সে। আবার ল‍্যাপটপ অন করে ফুটেজে চোখ দিলো। আদরের বাচ্চা বাচ্চা কথা, খাবার খেতে না পেরে ঠোঁট উল্টানো, পিয়াসের খাইয়ে দেওয়া, মুক্ত হয়ে খুশিতে নাচানাচি করা; নিবিড় ভাবে লক্ষ‍্য করছিলো সে। ফুটেজ রিটার্ন করে করে তিন বার দেখে নিয়েছে হৃদান। সে যেন এক ঘোরের মধ‍্যে আছে। এতবার দেখেও বিরক্তি আসছে না কেন? মেয়েটির মধ‍্যে কি আছে? তাকে দেখতে হবে? যে মেয়ে হৃদান চৌধুরীকে এলোমেলো করে দিতে পারে সে তো সাধারণ কোনো মেয়ে না। হৃদান চৌধুরী ভালো না থাকলে মেয়েটি কি করে ভালো থাকে? হৃদান চৌধুরীর জীবনে শুধু তারই প্রভাব থাকবে। সেখানে কোথাকার কোন মেয়ে দুদিন এসেই নিরব ভাবে প্রভাব খাটিয়ে যাচ্ছে! এ তো হতে পারে না! এর শাস্তি তো মেয়েটিকে পেতে হবে। এমন শাস্তি দিবে মেয়েটি দ্বিতীয় বার তার সামনে আসার সাহস পাবে না! হৃদান চৌধুরী নিষ্ঠুর এটি সবাইকেই মানতে হবে!
___________________
অন‍্যদিকে গভীর রাতে আরো দুজন মানুষ জেগে আছে। আতইয়াব বেলকনিতে বসে সিগেরেট ফুকে যাচ্ছে, তারিম বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছে। কিছুতেই ঘুম আসছে না তার। কালকে থেকে আতইয়াব তার সাথে কথা বলে না। মুখটা কেমন গম্ভীর করে রেখেছে। সাহস ও হয়নি জিজ্ঞেস করার। সিগেরেটের ক্ষতিকর স্মেল নাকে আসতেই তারিম দুহাত দিয়ে নাক ঢেকে নিলো। বেশী সমস‍্যা না হলেও গন্ধটা বাজে! তারিম উঠে বসলো। আতইয়াবের সাথে কথা বলা দরকার। বিয়ে তো ছেলেখেলা না। তার জীবনটা সে নিজেই কোনো না কোনো ভাবে চালিয়ে নিতে পারতো। হয়তো কষ্ট হতো অসম্ভব কিছু না। দয়া দেখিয়ে বিয়ে করে গা ছাড়া ভাব নিয়ে থাকার হলে বিয়ে করার কি দরকার ছিলো? সে যথেষ্ট ম‍্যাচিউর! বুঝার ক্ষমতা তার আছে। হ‍্যাঁ সে মানছে আতইয়াবের জীবনে অন‍্য কেউ আছে। যদি আতইয়াব মিস অর্ণাবির সাথেই থাকতে চায় সে বাঁধা দিবে না! ওদের জীবন থেকে সরে যাবে! জোর করে সংসারে মন বসানো যায় না; ভালোবাসা তো অনেক দূর। কথাগুলো ভেবে আতইয়াবের পাশে দাড়ালো। আতইয়াব সেভাবেই সিগেরেট ফুকে যাচ্ছে। হুট করেই তারিম আতইয়াবের হাত থেকে সিগেরেট নিয়ে পায়ের নিচে পিষে নিচে ফেলে দেয়। ধপ করে রাগ উঠে পড়ে আতইয়াবের। মেয়েটা কি তার উপর অধিকার ফলাতে এসেছে? তারিম যেন আতইয়াবের চোখের ভাষা বুঝতে পারলো। ঠোঁটের কোণে তাচ্ছিল্য হাসি ফুটে উঠলো। হাসিটা দেখেই আপনাআপনি আতইয়াবের ভ্রু কুচকে এলো। তারিম বললো,
জি না আপনার উপর অধিকার ফলাতে আসিনি। কারণ আমি জানি আপনার উপর আমার কোনো অধিকার নেই। আমি আপনার সম্পূর্ণ মতামতটা জানতে এসেছি। আপনি মিস অর্ণাবি কে ভালোবাসেন, আপনার উচিত তার সাথেই থাকা। কারণ উনিও আপনাকে ভালোবাসে নিশ্চয়। মাঝখান থেকে আমি নামক উটকো ঝামেলার জন‍্য আপনাদের কষ্ট পেতো হলো। আমাদের বিয়ে ক’জন ছাড়া কেউ জানেনা। তাই তেমন সমস‍্যা পোহাতে হবে না। ডিবোর্স লেটার সময় মতো পাঠিয়ে দিবেন, সই করে দিবো। আপনি তার আগেই মিস অর্ণাবি কে বিয়ে করতে পারেন এতে জায়েজ আছে। নিজের জীবন সম্পূর্ণ নিজের মতামত। এখন যদি আদরের কথা বলেন আমি ওকে মানিয়ে নিবো। তিনটা জীবন এইভাবে কষ্ট পেতে পারেনা। আমি কাল হোস্টেলে উঠবো। আগেই এপ্লিকেশন করা ছিলো সমস‍্যা হবে নাহ। একটা দিন কষ্ট করেন একটু।
বলেই রুমের দিকে হাটা ধরলো। চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে। যে মানুষটা অন‍্যের ভালোবাসায় ডুবে আছে তার মনে ভালোবাসা সৃষ্টি করার ইচ্ছে পোষণ করা চরম বোকামো। আর এভাবে তো চলতে পারেনা। সে দূরে থাকলে একা কষ্ট পাবে কিন্তু কাছে থাকলে তিনজন কষ্ট পাবে। নিজের জামাকাপড় গুলো গুছাতে লাগলো। কালকে ভোর হতেই এ বাড়ি ছাড়বে সে। আদরের সামনে পড়লে সে কিছুতেই যেতে দিবে না। ইমোশনাল ব্লেকমেইল করে আটকে দিবে! কিন্তু সে চায় না থাকতে!
আতইয়াব বসে বসে তারিমের কথা গুলোয় ভাবছিলো। সে তারিমের চোখ দেখেছে। নাহ, তার একটা কথাও মিথ‍্যে বা অভিনয় ছিলো না। স্পষ্টতা ছিলো। তারিম নিজে থেকে তাকে ছেড়ে দিচ্ছে; সে তার ভালোবাসার মানুষকে পাবে তারপরেও ভালো লাগছে না কেন? মনে হচ্ছে সে মেয়েটিকে ঠকাচ্ছে। কিন্তু তার মন বলে তো কিছু আছে। আতইয়াব ভাবলো সম্পর্ক নাই বা রাখলো হোস্টেলে কেন থাকতে হবে? এ বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করুক না। তারিম কে এটি বলতেই ভেতরে এলো সে। এসে দেখলো তারিম ঘুমিয়ে গেছে। তাই আর ডাকলো না। সকালে বলবে ভেবে আবার বেলকনিতে চলে গেলো। আজ আর ঘুম হবে বলে মনে হয়। আতইয়াব বেলকনিতে যেতেই তারিম চোখ খুললো। চোখের কার্নিশ বেয়ে দুফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো। আতইয়াবের মুখোমুখি হতে পারবে না। দেখা যাবে চোখের পানি দেখে আবার দয়া দেখাবে! সে দয়া নিয়ে বেঁচে থাকতে চায়না!
____________________
দুপুর ২ টা ! রেস্টুরেন্ট বসে আছে আদর। একা না সাথে রয়েছে একজন ছেলে। ছেলেটি হলো পরশ। সম্পর্কে তার মামাতো ভাই হয়। জরুরি ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে আসাই পরশ খুব বিরক্ত। আজ তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিলো। তার জন‍্যই রেডি হচ্ছিলো সে মাঝখানে আদর নামক বাদর বোনটা সব প্ল‍্যান ফ্লপ করে দিলো। পরশের গার্লফ্রেন্ডের নাম রাইসা। অর্নাস ফাইনাল ইয়ারে পড়ে তার বোন রোহানির সাথে। মেয়েটাকে প্রচন্ড ভালোবাসে সে। হঠাৎ না করায় মন খারাপ করেছে হয়তো। এসব ভাবনার মাঝেই আদর বলে উঠলো,
ইমপরটেন্ট কথা বলবো তাই ভাবিপুর কথা ভাবা বাদ দাও।
আদরের কন্ঠস্বর শুনেই পরশ বুঝতে পারলো সত‍্যি আদর সিরিয়াস কিছুই বলবে। সিরিয়াস সময়টাতে আদর কে আর বাচ্চা লাগে না, মনে হয় হঠাৎ করেই বাচ্চাটা বড় হয়ে যায়। পরশ মনোযোগ দিয়ে আদরের কথা শুনতে লাগলো। যত শুনছে তত অবাক হচ্ছে সে। এটা কি তার বাচ্চা বোন আদর নাকি অন‍্যকেউ ভাবতেই পারছে না। এর মধ‍্যেই আদর পরশের হাতে টোকা দিলো। মুচকি হেসে বলল,
ইটস আদর নট আদরের ভুত! ভুত থাকলে আমার ভাবুক ভাইটার ঘাড় আগেই মটকে দিতাম!
পরশ হাসার চেষ্টা করলো। আদর আবার বলতে শুরু করলো। মনে হচ্ছে সে টিচার পরশ তার ছাত্র। মাঝে মাঝে হেসেও উঠছে। আশে পাশে কোনো খেয়াল নেই তাদের।
কালকের মিটিং ফিনিশিং দিতে পারেনি বলে আজ আবার মিটিং ফিক্সড করেছে হৃদান। ক্লায়েন্টের আবদার রেস্টুরেন্টে আসতে হয়েছে হৃদানকে। যদিও সে এসব আবদারের ধার ধারে না। পিয়াসের অনুরোধে এসেছে। বিজনেস এমন একটা পদ্ধতি ক্ষমতা থাকলেই ভালো কাজ আদায় হয়না। এক্ষেত্রে সবার সাথেই একটু মন জুগিয়ে চলতে হয়। দরজা দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়লো তার সাদা গ্রাউন পড়া এক মেয়েকে। মাথায় আজ হিজাব পড়ে এসেছে। কি স্নিগ্ধ মুখশ্রী। কথা বলায় ফোলা গাল দুটো নড়ছে কেমন। সাথে একজন ছেলেকে দেখে হৃদানের ভ্রু কুচকে এলো। কৌতুহল জমছে মনে! ছেলেটি আদরের কি হয় জানার জন‍্য মনটা কেমন করছে। বয়ফ্রেন্ড না তো? ধূর বয়ফ্রেন্ড থাকলে তার কি? বেশী ভাবছে সে। গিয়ে নিজেদের বুক করা টেবিলে বসে পড়লো।
অনেক জন কে ছুটোছুটি করে বের হয়ে যেতে দেখে আদর অবাক হলো। সব তো ঠিকই ছিলো। এমন কি হলো যার জন‍্য সবাই তাড়াহুড়ো করে চলে যাচ্ছে। একটু ভালো করে নজর দিতেই চোখে পড়লো হৃদান চৌধুরী নামক সুদর্শন পুরুষটিকে। আদরের মুখে চওড়া হাসি ফুটে উঠলো। ছেলেটিকে দেখেই তার মুখে হাসি ফুটে। কিন্তু এর মানে সেও জানে না। হৃদানের পাশের টেবিলে পান্চু সহ দুজন গার্ড বসে আছে। আদর নিজের অবস্থান থেকে উঠে পান্চুর কাছে চলে গেলো। পান্চুর সাথে কথা বলতে তার দারুণ লাগে। আদর কে দেখেই পান্চু হাত দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে নিলো। আজ আবার এই মেয়ে! এই মেয়ে দেখছি তার প্রাণটা নিয়েই ছাড়বে। পান্চুর ভয় পাওয়া দেখে আদর হালকা শব্দ করে হেসে দিলো। পান্চুর পাশে রাখা খালি চেয়ারটাই ধপ করে বসে পড়লো। পান্চু চোখ গরম করে কিছু বলবে তার আগেই আদর বলে উঠলো?
আধা টাকু পান্চু কাকু তুমি আমাকে চিনতে পারছো না? আমি ওই যে কালকের মেয়েটা। খালি মুখে বসে আছো কেন? তোমাদের বস পৃদান চৌধুরী কিপ্টে তাইনা? লোকটাকে দেখেই বুঝা যায়। খবিশ একটা!
পান্চু ভয় পেয়ে কানে হাত দিলো। কানে রাখা ব্লুটুথ টা হৃদান চৌধুরী সাথে কানেক্ট করা। এই মেয়ে আজ বাঁচতে পারবে না নিশ্চিত। আহারে পান্চুর মায়াও হচ্ছে। কি সুন্দর ফুলের মতো মেয়েটা অকালেই মরতে হবে ভেবে পান্চু কিছুক্ষণ নিরাবতা পালন করলো। পরক্ষণেই যখন মনে হলো মেয়েটা তার সাথে বকবক করছে এর জন‍্য তাকেও হয়তো অকালে প্রাণ হারাতে হবে, লাফ দিয়ে উঠে দাড়ালো সে। আদর কে ধমক দিতে নিবে তার আগেই হৃদান বলে উঠলো,
স্টপ পান্চু! কিচ্ছু বলো না। কথা বলতে থাকো!
পান্চু অবাক হয়ে ঘাড় ঘুরাতে নিলেই হৃদান আবার বলে উঠলো,
ঘাড় ঘুরালেই ঘাড় টা শরীর থেকে আলাদা করে নিবো!
পান্চুর আর সাহস হলো না। হৃদান চৌধুরী কে দিয়ে বিশ্বাস নেই। পান্চু ভয় ভয় মুখ নিয়ে বসে পড়লো। আদর যেন আরো সুযোগ পেলো। কিন্তু ওদের টেবিলে বসে রাগি চোখে পরশ যে ওকে দেখছে সেদিকে খেয়াল ই নেই তার। ভুলেই গেছে তার সাথে আরেকজন ছিলো। আদর এবার বলে উঠলো,
আধা টাকু পান্চু কাকু শুনো তোমার বস খুব নিষ্ঠুর জানো, আমার মতো বাচ্চাকে না খাইয়ে রেখেছিলো। কোনদিন যদি সুযোগ হয় এর শোধ ও তুলবো। আমিও আদর! কাউকে পরোয়া করিনা। ওই পৃদান চৌধুরীকেও না!
হৃদানের কেন জানি হাসি পাচ্ছে! এখন গেলে নিশ্চিত মেয়েটা ভয়ে কেঁদে দিবে অথচ তার ই গার্ডের সামনে অবলিলায় তার নামে কি সব বলছে। ভয় করছে না? তার নামের রফাদফা করেই মেয়েটি হেসে হেসে কথা বলছে অন‍্যকেউ হলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকতো! হৃদানের মনে হচ্ছে তার মধ‍্যে অনুভূতি কাজ করছে। ভালো লাগার সাথে কিসের একটা মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। যেটি শুধু এই মেয়েটি সামনে থাকলেই হয়। বুকের ভেতর টিপটিপ করে। তাহলে কি নিষ্ঠুর মনে কেউ ঝড় সৃষ্টি করতে পারলো? পিয়াসের কথা মতো! সে কি মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না? বাঁধা দিতেও ইচ্ছে করছে না। কিছু কিছু অনুভূতি সত‍্যিই বলার মতো না। শুধুই অনুভব করতে হয়! চলতে থাকুক না, জীবনের মোড় যদি ঘুরে যায়!
চলবে….?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here