অবুঝ প্রেম – পর্ব 18

0
485

#অবুঝ_প্রেম
পর্ব ১৮
লেখিকা #Fabiha_Busra_Borno
তুর্জ এবার একটা চকলেট বের করে লোভনীয় ভাবে চেটেপুটে খেতে শুরু করে। রাগে দুঃখে হাতে থাকা বই ছুড়ে মারে তুর্জের দিকে।
আয়াউউচ্চ,,, নাক টা মনে হয় গেছে রে,, এই প্রথম মনে হয় কেউ বউয়ের হাতে নিহত হলো,, ওহ সরি আহত হলো।
তুর্জ নাক চেপে ধরে না-কি-কান্না কাদতে শুরু করে। এখন যদি মামুনি তুর্জের কান্না শুনতে পায় তাহলে সারাকে আর আস্তো রাখবে না। তাই সারা তুর্জের হাত সরিয়ে জিজ্ঞেস করে,,,
দেখি কই লেগেছে,,, খুব জোরে লেগেছে?? প্লিজ এতো জোরে কান্না করেন না,, মামুনি যদি জানে আমি আপনাকে মেরেছি তাহলে নির্ঘাত আমাকে রাফসান হকের রেসিপির উপকরণ বানিয়ে দিবে।
তুর্জ মনে মনে ভাবে,, এই পিচ্চিকে জব্দ করার সুযোগ পেয়েছে আজ,, তাই একটু নাকানিচুবানি খাওয়াতে হবে। তুর্জ কোকিয়ে কোকিয়ে বলে,,
ওওহ মা,, কি ব্যাথা,, নাকে কিছু শুনতে পাচ্ছি না কেন??
সারা সাথে সাথে দাঁড়িয়ে কোমড়ে হাত দিয়ে বড় বড় চোখ বের করে তাকিয়ে আছে তুর্জের দিকে। মনে হচ্ছে চোখ দিয়ে গিলে খেয়ে ফেলবে এখন। হঠাৎ ঢং করতে গিয়ে সাথে সাথে ধরা খেয়ে যাবে তা কখনো ভাবে নি তুর্জ। সে বুঝতেও পারে নি, নাকে শোনা যায় না, বলা যেতো না। আর বুঝবেই বা কি করে?? এইসব ঢং কি ছেলেদের মানায়?? তারা হবে স্ট্রিং পার্সোনালিটির মানুষ।
তুর্জ চোখ মুখ কাচুমাচু করে বলে,, আচ্ছা তোমার না এক্সাম চলছে, তাহলে এভাবে আমাকে দেখছো কেন?আমার কি নতুন করে রুপ গজিয়েছে?? আমি আগে থেকেই সুন্দর তাই তোমার মতো পিচ্চি মেয়ের নতুন করে আবারও নজর দিতে হবে না। যাও চুপচাপ পড়তে বসো।
কি লোক মাইরি!!উল্টো কথা আমাকেই শোনাচ্ছে,, আপনার পিছনে একটু হাত দিয়ে দেখুন তো??
ইয়া বড় চোখ বের করে তুর্জ বলে,, কি যা-তা বলছো??
আরে দিননা একটু,, আচ্ছা পুরো হাত দিতে হবে না,, একটা আঙুল দিয়ে দেখুন শুধু,,,
এইই মাইর খাবা,, যাও চুপচাপ পড়তে বসো।
আরে শুধু হাত দিয়ে দেখুন,, আপনি আগের জন্মে মানুষ ছিলেন নাকি বানর ছিলেন,,,,
তুর্জের চোখ এবার আর কপালে নাই,, মনে হয় তা বের হয়ে চলে আসছে,, পিছনে আঙুল দিয়ে বুঝা যায় যে মানুষ আগের জন্মে কি ছিল??
হ্যাঁ অনেক আগে দাদির কাছে থেকে গল্প শুনেছিলাম,, কিন্তু কিন্তু মানুষ নাকি বানর ছিলেন, তারা অনেক দুষ্টুমি করতেন বলে উনাদের লেজ কেটে দিয়েছিলেন। যারা যারা দুষ্টু পাজি তাদের তাদের নাকি পিছনে মেরুদন্ডের হাড়ের শেষে হাত দিলে বুঝা যায় সেখানে লেজ ছিলো। আর তা কেটে ফেলার জন্য এখন হাড় গুলো এমন আছে।
সারার এমন বায়োলজি লজিক দেখে তুর্জ অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম কিন্তু কেন যেন অজ্ঞান হচ্ছে না।
সারা বলে, আমি জানি আপনি আগের জন্মে সত্যিই বানর ছিলেন,, তাই ভয়ে আঙুল দিচ্ছেন না,,আচ্ছা আমি দেখছি দাড়ান।
আরে আরে এই বিচ্চু মেয়ে টা করে কি,, অবশেষে ইজ্জত নিয়ে টানাটানি। হয়েছে আর দেখতে হবে না তোমার। তোমার ধারণায় ঠিক আমি আগের জন্মে বানর ছিলাম। আর আমার মনে হচ্ছে তুমিও আগের জন্মে বান্দনী ছিলে।
সারা একদম চুপ। মনে হচ্ছে তুর্জ ঠিক কথা বলেছে। হয়তো সারা আগেও নিজে নিজে দেখেছিলো সে আগের জন্মে মানুষ না হয়ে বানর ছিলো!! কতটা অবুঝ হলে কেউ এমন রুপকথার গল্পকে সত্যি বলে ধরে নিতে পারে। সারা আগে বানর ছিল এটা শোনার পরে চুপচাপ পড়তে বসে যায়। তুর্জ মনে মনে হেসেই খুন হয়ে যাচ্ছে,, কতটা অবুঝ তার বউটা।
সারা বারবার হাই তুলছে আর পড়ছে,, তুর্জ বুঝতে পারে সারার খুব ঘুম পেয়েছে। তাই সারাকে বলে,,
অনেক পড়েছো!! নাও এবার সুয়ে পড়ো, মাঝখানে পুরো দুটো দিন আছে,, বাকি গুলো কাল দেখে নিও।
সারা হয়তো এমন কথার জন্য অপেক্ষা করছিলো। তুর্জের বলতে দেরি হয়েছে কিন্তু সারার বিছানায় যেতে দেরি হয় নি। কতদিন পরে আবারও আজ ঘুমন্ত সারা কে দেখার লোভ সামলাতে পারছে না তুর্জ। অধির আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতে শুরু করে সারার ঘুমানোর জন্য। কিন্তু তেমন অপেক্ষা করতে হলো না। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছে সারা।
ঘুমন্ত সারার চুল গুলো বালিশের উপর বিছিয়ে দিয়ে তাতে আলতো করে চুমু দেওয়ার পরে নাকের সামনে নিয়ে চুলের স্মেইল নিতে থাকে তুর্জ। তুর্জের খুব ইচ্ছে করছে চুলে নাক ডুবিয়ে প্রাণ ভরে সুবাস নিতে। যদি তাতে সারার ঘুম ভেঙে যায় সেই ভয়ে তুর্জ শুধু আলতো করে ছুয়ে দিচ্ছে। তারপর বিরবির করে বলতে থাকে,, জানিনা কবে তোমার এই অবুঝ প্রেম আমাকে মায়ায় বেধে ফেলেছে। তোমার এইসব অবুঝ পাগলামির প্রেমে পড়েছি অনেক আগেই। কিন্তু মুখ ফুটে বলতে পারিনি। জানি না আরো কত অপেক্ষা করতে হবে আমাকে। বুদ্ধি সুদ্ধি তো সব তোমার মাথায় না থেকে হাটুতে আছে। ভয় লাগে তোমাকে আবেগের বশে কিছু বললে সেটা যদি তুমি সবাইকে বলে দাও। ঘুমন্ত অবস্থায় তোমার ঠোঁট দুটো বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। কতবার যে ইচ্ছে জেগেছে ওই ঠোঁটে ভালোবাসার স্পর্শ একেঁ দিতে, কিন্তু পারিনি শুধু তুমি ছোট বলে। এইসব সম্পর্কে তুমি এখনো অনেক অবুঝ,,, একটু বড় হও শুধু,,,,,,
আর কত বড় হবো হ্যাঁ?? বারবার আমাকে ছোট ছোট বলে বলে আমাকে ছোট বানিয়ে রাখছেন। আমি সব বুঝি হ্যাঁ,, যেই ভেবেছেন আমি ঘুমিয়ে গেছি অমনি মহব্বতের ঝুড়ি খুলে ধরেছেন।
তার মানে সারা এতক্ষণ ঘুমের অভিনয় করে গেছে,,, কি ধুর্তুবাজ মেয়েরে বাবা,, আমি তো ঘুমিয়ে গেছে ভেবে,,,,,,,
এই এতো কি ভাবছেন হ্যাঁ,, আমার বুদ্ধি হাটুতে আপনি কিভাবে জানলেন?? আর আমি এইসব ঘরের কথা কখনো পর কে বলি না হুহ্,,,
কতটা বোকামি করে কথা গুলো বলছে সারা তা সে এখনো বুঝতে পারছে না। আর তুর্জ নিজেও ভিষণ লজ্জায় পড়ে গেছে। সে চাইনি সারা তার কথা গুলো শুনুক। কিন্তু সারার বারবার, আমি বড় আমু বড় শুনতে শুনতে তুর্জ মনে জিদ কাজ করতে শুরু করে,, সারা কত বড় তা আজ তাকে বুঝিয়ে দিবে। সারা তো বকবক করেই যাচ্ছে । তুর্জ মুহুর্তে তার বকবকানি থামিয়ে দেওয়ার জন্য, যে ঠোঁট নাড়িয়ে বকবক করছে সেগুলো দখল করে নিলো।
সারার কথা হয়তো এখনো শেষ হয় নি, সে হয়তো এখনো কথা বলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে শুধু উমউম শব্দ হচ্ছে। হাত পা দিয়ে শক্তি প্রয়োগ করে ঠোঁট ছাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে যেতে অবশেষে বাধ্য হয়ে চুপশে গেছে সারা। তুর্জ এভাবে প্রায় দুই মিনিট রাখার পরে ছেড়ে দিলো। ছাড়া পাওয়ার সাথে সাথে সারা হাপাতে শুরু করে। ঠোঁট দুটো বেশ লাল হয়ে গেছে।
ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে তুর্জ বলে,, খুব বড় হয়ে গেছো তাইনা??
সারার এতোক্ষণে বুঝতে পারলো তার সাথে কিছুক্ষণ আগে কি ঘটেছে। তাই লজ্জায় চুপসে গিয়ে চুপচাপ সুয়ে পড়ে। তারপর মনে মনে ভাবতে থাকে, তাহলে কি সত্যিই উনি আমাকে ভালোবাসেন? যদি আমাকে ভালোবাসেন তাহলে বাইরের মেয়েদের সাথে ওইসব করে কেন?? প্রশ্ন গুলো সারার ছোট্ট পেটের ভিতর হরতাল শুরু করেছে। একটু আগেও ভেবেছিলো আপাতত আর কোন কথা বলবে না তুর্জের সাথে। কিন্তু এখন এই প্রশ্ন গুলো চেপে রাখলে সারারাত একটুও ঘুম হবে না সারার। তাই সে বলেই ফেললো??
আপনি কি সত্যিই আমাকে ভালোবাসেন??কথায় কথায় উঠতে বসতে জড়াজড়ি করেন।যদি ভালোই বাসেন তাহারা বাইরের মেয়েদের সাথে কেন প্রেম করে বেড়ান??
রাত অনেক হয়েছে ঘুমাও,, সময় হলে বুঝতে পারবা কোনটা প্রেম আর কোনটা বন্ধুত্ব।
কিন্তু সারা তো নাছোড়বান্দা,, সে আজই সব কিছু জানতে চায়। বারবার জিজ্ঞেস করেই চলেছে,,,
কতগুলো প্রেম করেছেন এ পর্যন্ত? আর বর্তমানে রানিং কয়টা?তাদের বাসা কোথায়? কে কি করে? নাম কি ইত্যাদি।
অবশেষে তুর্জ বাধ্য হয়ে বলতে শুরু করে,,, জীবনের প্রথম যাকে ভালোবেসেছিলাম, সে হলো তনিমা। তনিমা সেই প্রথম থেকে আমার সাথে প্রতারণা করেছে তা আমি বুঝতে পারি নি। একদিন আমার আর তনিমার দেখা করার কথা ছিলো কিন্তু কোন এক কারণ বশত তনিমা আসেনি। রাতে ফোন দিয়ে বলে, সেদিন নাকি তার জন্মদিন ছিলো তাই সারাদিন মা বাবা সাথে কাটিয়ে।আর সে জন্য আমার সাথে দেখা করে নি। ওইদিন থেকে আমি আমার স্পেশাল দিন গুলোর মধ্যে এই দিনটিও সিলেক্ট করে রাখি। প্রতি বছর আলাদা আলাদা ভাবে তনিমাকে উইশ করে অবাক করে দিতাম। কিছু দিন আগে জন্মদিন উপলক্ষে সারপ্রাইজ দিতে তার বাড়িতে যায়। কিন্তু ওইদিন তনিমার জন্মদিন ছিলো না। সে এতো বছর আমার সাথে এটাও মিথ্যা বলে এসেছিলো।
আমি তনিমার বাসায় গিয়ে দেখলাম অপ্রিতীকর অবস্থায় তনিমা আর রাকিব কে। তনিমা আমাকে এতো দিন বলে এসেছিলো রাকিব তার ফ্রেন্ড,,আমার সামনে তারা সব সময় ফ্রেন্ডলি কথা এবং চলাফেরা করতো। কতটা বোকা আমি তাইনা?? কখনো আমি তনিমাকে সন্দেহ করতাম না। সে যা বলতো তাই বিশ্বাস করতাম। অন্ধের মতো ভালোবাসতাম।
তারপর কি??
তারপর তনিমা হঠাৎ আমাকে দেখে আমার হাতে পায়ে ধরে,, ভুল হয়ে গেছে ক্ষমা করার জন্য আকুতি মিনতি করতে থাকে। কিন্তু আমি তারপর থেকে আর তনিমার সাথে কোন যোগাযোগ রাখি না। তাই ওরা একটা নোংরা প্ল্যান করে। আর আমাকে সুযোগ বুঝে সেই প্ল্যান অনুযায়ী ফাঁদে ফেলে। অফিসের একটা বিষয়ে ইভেন্টে সুযোগ বুঝে আমাকে প্রচুর ড্রিংক করিয়ে Nude ভিডিও তৈরি করে। বিশ্বাস করো সারা আমি কখনো চাইনি অবৈধ ভাবে কারো সাথে এইসব করতে। তনিমা বারবার আমাকে বলতো,, কিন্তু আমি কখনো রাজি ছিলাম না। ভাবতাম আবেগে বশিভূত হয়ে তনিমা এমন অফার করতো। কিন্তু এখন বুঝি শুধু মাত্র আমাকে ফাঁদে ফেলতে এইসব বলতো। তারপর শুরু হলো সেই ভিডিও দেখিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করা।
বাকি কথা গুলো তোমার জানা।
যদি তনিমার সাথে ওইসব না করেন তাহলে সেইদিন ছাদে ফোনে এগুলো বলছিলেন কার সাথে??
উউফফ তুমিও না,,হাহাহায়ায়া!! শোন ওইদিন তোমাকে রাগাতে ওইসব বলছিলাম। আমি ছাদ থেকে নামতেই দেখি তুমি পা টিপে টিপে ছাদে আসছো। তখনই ধরে নিয়েছি, ছাদে আমি কি করছি তা দেখার জন্য তুমি আড়িপাততে আসছো। তাই তোমাকে দেখেও না দেখার ভান করে ওইসব কথা বলেছি,, আর তুমিও আমার কথা গুলো শুনে বেলুনের মতো ফুলে নিচে নামতেই পা মচকে দিলে।
কতটা পাজি,, আর আমি এদিকে নয়া ক্র‍্যাশের বিরহে দিন পার করছিলাম। আপনি সত্যিই একটা হনুমান বান্দর কাঠবিড়ালি সাথে আরো অনেক কিছু।
হ্যাঁ দুনিয়ার সব প্রাণী হলাম আমি,খুশি এখন?? এবার অন্তত ঘুমাও!!
ঘুমাবো, তার আগে বলুন, আজ আবারও যাকে চুম্বুকের মতো ধরে ছিলেন এটা আবারও কোন বটের গাছের পেত্নী??
তার আগে বলো,, তোমার এই কথা গুলো কোথায় থেকে বের হয়??
এই যে,, পেট থেকে,,,,,,
শোন,, এখন থেকে মামুনিকে বলে যাবো তোমাকে যেন দিনে তিনবার করে হরলিক্স দেন,, তোমার বুদ্ধির খুব দরকার!
কি বললেন! আমার বুদ্ধি নাই?
হ্যাঁ!!
তারমানে আমি নির্বুদ্ধি?? (রাগে ফসফস করতে করতে)
হ্যাঁ!! আরে কি হলো, রাক্ষসীদের মতো এমন ফসফস করছো কেন?
এবার রাগে সারা কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। ছাদে ওইভাবে কথা বলে সারাকে বোকা বানিয়েছে শোনার পরে থেকে সারার দাঁত গুলো ইশবিষ করছিল এখন আবারও নির্বুদ্ধি আর রাক্ষসী শোনার পরে নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারে নি। অনেক গুলো হরর মুভিতে সে দেখেছে রাক্ষসীরা গলায় কামড় বসিয়ে রক্ত খেয়ে নেয়। ওই মুভিগুলোতে যেভাবে য়্যায়্যাহহ শব্দ করে কামড় বসিয়ে দেয় ঠিক তেমন ভাবে সারাও তুর্জের কানের একটু নিচে কামড় বসিয়ে দেয়। তুর্জও সাথে সাথে মাথা সরিয়ে নেয়। কিন্তু ততক্ষণে সারার উপরের এবং নিচের ১২ টা দাঁতের চিহ্ন স্পষ্ট ভাবে ভেসে উঠছে তুর্জের ফর্সা গলায়।
এটা কি হলো??
রাক্ষসী যা করে তাই হলো।
গলাটা কেমন জ্বলছে,, তুর্জ সাথে সাথে আয়নায় গিয়ে দেখে, দাঁত বসে রক্ত বের হওয়ার উপক্রম। ওয়াশরুমে গিয়ে বারবার পানি দিয়ে ধুঁয়ে দিচ্ছে কিন্তু আরো লাল রঙের হয়ে গেছে। এই দাগ মনে হয় না মুছা যাবে। কাল সে অফিস বা বাইরে যাবে কিভাবে?? সবাই কি ভাব্বে,,, উউফফ এই অবুঝ বউয়ের অবুঝ প্রেম আমাকে ছানাবড়া করে ছাড়লো,,,
চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here