আজও বৃষ্টি নামুক – Part 10

0
363

#আজও_বৃষ্টি_নামুক❤️
তানজিল_মীম❤️
— পর্বঃ১০
_________________
ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি ড্রাইভ করছে আকিব। আর তাঁর পাশেই বসে আছে অপূর্ব। চোখে মুখে স্পষ্ট রাগের ছাপ। আকিব গাড়ি ড্রাইভ করতে করতেই জোরে জোরে নিশ্বাস ফেলে বলে উঠলো অপূর্বকে,
‘ ভাই আপনায় একটা কথা জিজ্ঞেস করবো?’
অপূর্ব নিজেকে সামলালো নিজের রাগটাকে দূরে সরিয়ে রেখে শান্ত গলায় বলে উঠল,
‘ হুম বলো,
আকিব একপলক অপূর্বের দিকে তাকালো তারপর বললো,
‘ আপনার কাল সত্যি ভয় লাগে নি ভাই ওইভাবে বম সমেত গাড়ি নিয়ে ছুট লাগালেন?’
অপূর্ব গাড়ির সিটে গা এলিয়ে দিল তারপর শান্ত গলাতেই বলতে লাগলো আবার,
‘ তাহলে কি করতাম আকিব ওইসময় ওখানে বাচ্চারা স্কুল থেকে বাড়ি ফিরতো তাছাড়া আশেপাশেও লোকজন ছিল আমি কি করে তাদের সামনে বিপদ রেখে পালিয়ে আসতাম। যতই হোক যা হচ্ছিল তাতে তাদের তো কোনো দোষ ছিল না।’
‘ সত্যি ভাই আমার মধ্যে যদি আপনার মতো একটুখানি না হোক আধা ইঞ্চি সাহস থাকতো আমার জীবনটা ধন্য হয়ে যেত।’
হাসলো অপূর্ব। অপূর্বের হাসি দেখে বললো আকিব,
‘ আপনি হাসছেন ভাই সত্যি বলছি আমি যদি আপনার জায়গায় থাকতাম না জানি কি করতাম?’
‘ বাদ দেও কিছু তো হয়নি আর।’
‘ ভাই এখন কি সোজা বাড়ি যাবেন?’
প্রতি উওরে আকিব শান্ত দৃষ্টি রেখে শীতল কন্ঠে বললো,
‘ হুম মাকে কথা দিয়েছি রাতে বাসায় ফিরবো।’
‘ আচ্ছা ভাই।’
বলেই গাড়িতে ছুট লাগালো আকিব। আর অপূর্বও বেশি না ভেবে চোখ দুটো বুঝে শুয়ে রইলো গাড়ির সিটে। যতক্ষণ পর্যন্ত আসল কালপিটকে ধরতে না পারছে ততক্ষণ যেন শান্তি মিলছে না অপূর্বের।’
____
ঘড়িতে তখন রাত ৯ঃ০০টার কাটায় ছুঁই ছুঁই বিছানায় শুয়ে আছে প্রিয়তা। শরীরটা আগের চেয়ে বেশ ভালো লাগছে তাঁর। প্রিয়তা শোয়া থেকে উঠে বসলো এরই মাঝে হাতে গরম গরম আদা দিয়ে রং চা বানিয়ে রুমের ভিতর আসলো আরোহী। চায়ের কাঁপ হাতে মুচকি হেঁসে প্রিয়তার দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বলতে লাগলো সে,
‘ এখন কেমন লাগছে শরীর?’
উওরে প্রিয়তাও মুচকি হেঁসে বললো,
‘ হুম ভালো আপু?’
হাসলো আরোহী তারপর প্রিয়তার দিকে চায়ের কাঁপটা এগিয়ে দিয়ে বললো,
‘ এটা খেয়ে নেও ভালো লাগবে।’
প্রিয়তা চায়ের কাঁপটার দিকে এক পলক তাকিয়ে বললো,
‘ এখন চা খাবো,
‘ হুম খাও তুমি তো রুমে ঢুকেই শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লে এখন এটা খাও তারপর কতক্ষণ পর ডিনার করবো আমরা।’
প্রিয়তা চায়ের কাঁপটা নিলো সারাদিন ঘুমাতে ঘুমাতে মাথাটা প্রচুর ধরেছে তাঁর। প্রিয়তা চায়ের কাঁপে চুমুক দিতেই আরোহী প্রশ্ন করলো,
‘ এবার বলো তোমার নাম কি?’
প্রিয়তা চায়ের কাঁপটা থেকে তাঁর ঠোঁট সরিয়ে নীরব স্বরে আরোহীর দিকে তাকিয়ে বলে উঠল,
‘ হুম প্রিয়তা।’
‘ প্রিয়তা সুন্দর নাম। আমার নাম আরোহী অর্নাস তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী আর তুমি?’
‘ আমি ভর্তি হবো ফাস্ট ইয়ারে।’
‘ ওহ,
‘ হুম।’
নীরব হলো দুজন। আর কিছু বললো না আরোহী। এই মেয়েটার সাথে অপূর্ব ভাইয়ের ঠিক কি সম্পর্ক সেটা জানতে মন চাইছে তাঁর কিন্তু আকিব পই পই করে বলে দিয়েছে অপূর্ব রিলেটেড কোনো প্রশ্ন এই মেয়েটাকে না করতে। সাথে মেয়েটার ব্যক্তিগত কোনো বিষয় নিয়ও প্রশ্ন না তুলতে।আরোহী দীর্ঘ শ্বাস ফেললো। বললো,
‘ তুমি চা খাও আমি একটু আসছি।’
‘ আচ্ছা।’
বলেই চলে গেলো আরোহী। আর প্রিয়তা চুপচাপ বসে রইলো। আরোহী মেয়েটা যথেষ্ট ভালো। কিন্তু যতই ভালো হোক প্রিয়তা এইভাবে কারো বাড়িতে থাকতে পারে না। প্রিয়তা ভেবে নিয়েছে দু’দিনের বেশি এখানে থাকবে না। শরীরটা হাল্কা একটু সুস্থ হলেই চলে যাবে সে। তারপর মুক্ত পাখির মতো নিজের জীবন নিজের মতো চালাবে, নিজেকে নিজের মতো করে গুছিয়ে নেবে সে। প্রিয়তা জানালার দিকে তাকালো, আকাশটা মেঘলাময়, চাঁদ দেখা যাচ্ছে না এখান থেকে, তাঁরাও নেই কোনো চিহ্ন। প্রিয়তা কি ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেললো আনমনেই বলে উঠল,
‘ আপনি কি সত্যি আবার আসবেন অপূর্ব আমার সাথে দেখা করতে। আপনি যে বড্ড ঋণী করলেন আমায়। আপনায় ছোট্ট ধন্যবাদ দেওয়াও তো হলো না। সুযোগ কি হবে আপনায় সরাসরি ধন্যবাদ দেওয়ার।’
উওর মিললো না কোনো। প্রিয়তা রাতের আকাশটার দিকে তাকিয়ে রইল। অভিযোগের শেষ নেই তাঁর। মাঝে মাঝে তো প্রিয়তা ভেবে পায় না এই অভিযোগের অবসান ঘটবে কোথায়?’
____
ডিনার সেরে ছাঁদের উদ্দেশ্যে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছেন অপূর্বের বাবা। আজ খাবার টেবিলে অপূর্বের সাথে তেমন কোনো ঠোঁট কাটাকাটি কথা বার্তা হয় নি তাঁর। অপূর্বের বাবা তো ভেবেই নিয়ে তাঁর ছেলে হয়তো ভালো হয়ে গেছে আর যাইহোক নির্লজ্জের মতো কথা আর বলবে না তাঁর সাথে। এই রকম নানা কিছু ভাবতে ভাবতে সিঁড়ি বেয়ে ছাঁদের উপর উঠলো অপূর্বের বাবা। প্রায় রাতেই রাতের জোৎসা ভরা আকাশটা দেখতে ছাঁদে ওঠেন উনি। অপূর্বদের বাড়ির ছাঁদে রেলিং নেই কোনো। ছাঁদের কতদূর এগোতেই হঠাৎ ছাঁদের কর্নারের দিকটায় পা ঝুলিয়ে অপূর্বকে বসে থাকতে দেখে চরম অবাক হলো অপূর্বের বাবা। একবার ভাবলো আর সামনে এগোবে না যদি ডিনারের বক বকানি এখন দিয়ে বসে তখন যদিও এখানে তেমন কেউ নেই তারপরও। যদিও মনে মনে ভাবুক তাঁর ছেলে ভালো হয়ে গেছে অপূর্বের বাবা তো জানে তাঁর ছেলে আসলে ভালো হওয়ার নয়। অপূর্বের বাবা ফিরে যাওয়ার জন্য পা রাখতেই কোকের বোতলে এক চুমুক দিয়ে উল্টো দিকে তাকিয়ে থেকেই বলে উঠল অপূর্ব,
‘ ভাবাভাবি শেষ হলে পাশে এসে বসা হোক কথা আছে কিছু।’
অপূর্বের বাবা থেমে গেলেন। অপূর্বের দিকে বিস্ময়ের চোখে তাকিয়ে রইলেন তিনি। তাঁর সাথে অপূর্বের কথা বাবা কি এমন কথা বলবে অপূর্ব কে জানে।’
অপূর্বের বাবা এগিয়ে গেলেন। তারপর পায়ের জুতো খুলে ছাইডে রেখে পা ঝুলিয়ে বসে পড়লো অপূর্বের পাশে। তারপর বললো,
‘ আমার সাথে কথা কি এমন কথা বলবে তুমি?’
‘ কেন তোমার সাথে আমার কথা থাকতে পারে না নাকি।’
‘ না তেমন ব্যাপার নয় যাইহোক বলো কি বলবে?’
অপূর্ব কোকের বোতলে আরেক চুমুক দিলো। বললো,
‘ খাবে?’
‘ না মাত্র ডিনার সারলাম,
‘ তাতে কি হয়েছে?’
বলেই পাশ থেকে আরেকটা কোকের বোতল বাপের দিকে এগিয়ে দিলো অপূর্ব। অপূর্বের বাবাও নিলো। আজ ছেলের হাবভাব কেমন যেন উল্টোপাল্টা লাগছে তাঁর কাছে। নিশ্চয়ই কোনো ঘাপলা আছে।’
অপূর্বের বাবা কোকের বোতলটা তাঁর পাশে রেখে বললো,
‘ এখন বলো কি বলবে আমায়?’
অপূর্ব তাকালো বাবার মুখের দিকে তারপর বললো,
‘ বুঝলে বাবা আমি অনেক ভেবে দেখলাম আসলে তোমার সাথে আমি যেভাবে কথা বলি সেটা আসলে আমার সেভাবে বলা ঠিক হচ্ছে না যতই হোক আমি তোমার ছেলে। তাই আমি ভেবেছি আজ থেকে আমি ভালো হয়ে যাবো তোমার সাথে আর উল্টো পাল্টা কথা বলবো না।’
অপূর্বের কথা শুনে চরম অবাকের স্বরে বললো অপূর্বের বাবা,
‘ তুমি সত্যি বলছো?’
‘ হুম।’
‘ আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে। এই না হলে আমার ছেলের মতো কথা।’
চোখ মুখ কুঁচকে ফেললো অপূর্ব। বললো,
‘ তোমার ছেলের মতো কথা মানে এতদিন আমি তোমার ছেলে ছিলাম না।’
‘ না তেমন নয় বিষয়টা।’
‘ তেমন নয় তো কেমন ছাব ছাব বলো বাবা আমি তোমার ছেলে না হলে কার ছেলে।’
‘ আরে আমি তা কখন বললাম,
‘ কি বলো নি তুমি আমি কিন্তু সব জানি বাবা।’
অপূর্বের কথা শুনে ভ্রু-জোড়া কুঁচকে বিস্মিত কন্ঠে বলে উঠল অপূর্বের বাবা,
‘ কি জানো তুমি?’
‘ এই যে আমার মা তোমার জীবনে আসার আগেও তোমার জীবনে আরো তিন তিনটে মেয়ে ছিল অবশ্য তিনটে বললে কম হবে আরো বেশি ছিল,
ছেলের কথা শুনে চোখ বড় বড় করে বললেন অপূর্বের বাবা,
‘ কি তোমার মাথা গেছে অপূর্ব আমার জীবন তোমার মা ব্যতীত আর কোনো নারী ছিল না। তোমার মাকেই এ জীবন ভালোবেসেছি আমি আর তাঁকেই বিয়ে করেছি।’
‘ সে তো আগের মেয়েগুলো তোমায় পাত্তা দিচ্ছিল না বলে আমার মাকে ধরে বেঁধে বিয়ে করেছো কি ভেবেছো আমি জানি না কিছু।’
এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে অপূর্বের কথা শুনে অপূর্বের বাবা রাগ করবে নাকি করবে না তাই বুঝচ্ছে না। এই তাঁর ছেলে ভালো হওয়ার নমুনা। অপূর্বের বাবা অপূর্বের দিকে তাকিয়ে বললো,
‘ নাম বলো তুমি শুধু একজনের নাম বলে দেখাও। মিথ্যে বলার জায়গা পাও না আর কে বলেছে তোমার মাকে ধরে বেঁধে বিয়ে করেছি আমি। এসব ফাও কথা পাচ্ছো কোথায় তুমি?’
‘ ফাও কথা বলছি আমি। সত্যি করে বলো বাবা তুমি সাবানা আন্টির সেলাই মেশিনের কাজ দেখে তাঁর প্রেমে পড়ো নি, মৌসুমি আন্টির খাইরুল্লো ছবিতে তার লম্বা লম্বা চুল দেখে বলো নি তাঁকে তোমার চাই, তারপর ববিতা, পূর্নিমা, সাবনূর কার প্রেমে পড়ো নি বলো আমায়। যখন যাকে দেখেছো তখন তাঁর প্রেমে পড়েছো।’
ছেলের কথা শুনে মুখে লাগাম লাগার মতো অবস্থা অপূর্বের বাবার। এসব কি বলছে তাঁর ছেলে। অপূর্বের বাবা নিজেকে সামলে নিয়ে বললো,
‘ আব্বে হতছ্যারা এরা সবাই তো নাইকা।’
‘ তো নাইকা হইছে তো কি হইছে নাইকা হলেই তাদের প্রেমে পড়তে হবে কেন তোমায়।’
‘ এই আজেবাজে কথা তোমায় কে বলেছে শুনি।’
‘ কে আবার বলবে স্টোর রুম থেকে তোমার একটা পুরনো ডাইরি পেয়েছিলাম তাঁর মধ্যেই এদের ছবি লাগানো দেখেছি আমি ছিঃ বাবা ছিঃ এত এত মেয়েদের প্রেমে পড়েছো তুমি। তুমি আমার বাবা হয়ে কি না। আমি আজ বুঝলাম তুমি আমার মাকে ভালোবাসো না কেন?’
অপূর্বের বাবার মাথা ধরে গেছে চোখে মুখে কি পরিমাণ রাগের ছাপ ভেসে উঠেছে তা বলে প্রকাশ করা যাবে না অপূর্বের বাবা তক্ষৎনাত বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো তারপর বললো,
‘ তোমার মতো ছেলের পাশে আধ ঘন্টা তো দূরে থাক পাঁচ মিনিটও বসা যায় না। আর কে বলেছে আমি তোমার মাকে ভালোবাসি না আরে তুমি কি বুঝবেে ভালোবাসার মানে তুমি আজ পর্যন্ত কোনো মেয়েকে আই লাভ ইউ বলেছো কোনো মেয়েকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখেছো আবার আসছো আমায় জ্ঞান দিতে আমি না হয় তোমার মায়ের আগে সাবানা, শাবনূর, মৌসুমি, ববিতা এদের প্রেমে পড়েছিলাম তুমি কার প্রেমে পড়েছো। আজ পর্যন্ত কোনো মেয়েকে সামনে এনে বলতে পেরেছো বাবা আমি এই মেয়েকে ভালোবাসি এই মেয়েকে বিয়ে করতে চাই। অভদ্র, ইডিয়েট,গর্দভ ছেলে কোথাকার। থাকো তুমি আমি গেলাম।’
বলেই জুতো রেখেই চলে যেতে লাগলো অপূর্বের বাবা। যা দেখে অপূর্ব বললো,
‘ আরে জুতা রেখে কোথায় যাচ্ছো জুতাটা তো নিয়ে যাও, খালি পায়ে গেলে রুমে ময়লা পড়বে তো।’
অপূর্বের বাবা ফিরে এসে জুতাটা পায়ে পড়ে চোখ রাঙিয়ে বললো আবার,
‘ অভদ্র ছেলে একটা।’
উওরে অপূর্বও দাঁত কেলানি হাসি দিয়ে বললো,
‘ আই নো।’
অপূর্বের বাবা চলে গেল। না তাঁর ছেলে শোধরানোর নয়। ছিঃ ছিঃ কোন যুগে কাকে পছন্দ করতো তা নিয়ে আজ কথা শোনাচ্ছে তাও কি না তাঁর নিজের ছেলে।’
এদিকে অপূর্ব,
বাবা যেতেই কোকের বোতলটার দিকে তাকিয়ে বললো,
‘ আজ তুই সিঙ্গেল বলে বাবা তোকে কথা শোনালো অপূর্ব। আই প্রাউড অফ ইউ।’
বলেই হেঁসে ফেললো অপূর্ব এই বাবাকে জ্বালাতে না তাঁর বেশ লাগে। সত্যি অবুঝ বাবা তাঁর।’
হঠাৎই সকালের সেই লাল বেনারিস শাড়ি পরিধিত প্রিয়তা পরে আবার গোলাপি চুড়িদার পড়া প্রিয়তার মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠলো অপূর্বের। মেয়েটার সাথে বাস থেকে ঘটে যাওয়া পর পর ঘটনাগুলো মনে করলো তাঁর। আচমকাই কি হলো অপূর্ব আক্ষেপের সঙ্গে বলে উঠল,
‘ ইস! মেয়েটার নামটাই তো জানা হলো না কি নাম ছিল মেয়েটার? বাস, গুপ্তচর, আরোহীর বাড়ি পুরো একটা দিন একটা রাত সঙ্গে ছিল হেল্প করলো অথচ মেয়েটার নামটাই জানা হলো না।’
অপূর্ব আকাশ পথে তাকালো তারপর আনমনেই বলে উঠল,
‘ তোমার নামটা কি ছিল মেয়ে?’
এই প্রথম কোনো কাজের জন্য বড্ড আফসোস হচ্ছে অপূর্বের। এত কথা বললো অথচ মেয়েটার নামটা জিজ্ঞেস করতেই ভুলে গেল অপূর্ব। ইস! এই আফসোস নিয়ে রাতে যেন ঘুমানো হবে না অপূর্বের।’
#চলবে……

Running story

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here