#কাজের মেয়ে
# Jannat Mim
#পর্বঃ১৫
সকাল ৭ টা বাজে।সবাই উঠে গেছে।না উঠে উপায় আছে দিয়ার (ছাদ এ-র ছোট বোন) কান্নাকাটি তে বাসা মাথায় উঠছে। সবার ঘুমের ১২ টা বাজায় দিছে। তাই নাদিম,নাদিয়া,রুবিনা সবাই এখন ডাইনিং রুমে কিন্তু মীম এ-র পাত্তা নাই।তাই রুবিনা ডাকতে গেলো কিন্তু কে শোনে কার কথা। মীম তো উটছেই না।
।
এদিকে মীম আওয়াজ পাচ্ছে যে তাকে কেও ডাকছে কিন্তু তার তো উঠতে মন চাচ্ছে না।মীম ঘুমের মধ্যে থাকলে ওর আর কোনো দিকে মন থাকে না।সে ভুলে যায় কোথায় আছে কি করছে।তাই আওয়াজ পেলেও ওঠার শক্তি বা ইচ্ছা কোনো টাই হচ্ছে না।
।
মা আমি কি ডেকে দিবো।(নাদিম)
।
কেন তোর ডাকতে হবে কেন।আমি দেখছি।(নাদিয়া)
।
।
নাদিয়া বেশ জোরেই ডাকতে শুরু করলো।মীম এবার বুজতে পারলো ওকে কেও ডাকছে।তাই চোখ ডলতে ডলতে উঠে এসে দরজা খুললো,,
।
।
এই মেয়ে বাসার সবাই উঠে পরেছে আর তুমি পোরে পোরে ঘুমাচ্ছো।এতো বার ডাকার পরেও তোমার কোনো হুস নাই।কেমন ঘুম এটা??(নাদিয়া)
।
সরি আমি বুজতে পারি নাই।
।
তা বুজতে পারবা কিভাবে। তোমার কি কোনো দাইত্ব জ্ঞান নাই।একটা বাসায় থাকো সে বাসার প্রতি তো একটু কেয়ার নিয়ে হয়।
।
ঘুমের মধ্যে আমার কোনো খেয়াল থাকে না।আমি বুজতে পারি নাই আপু সরি।
।
কেয়ার লেছ মানুষ এমনি।কোনো দিকে তাদের কোনো খেয়াল থাকে না।
।
আহ কি শুরু করলি নাদিয়া হইছে এবার আয়।(রুবিনা)
।
।
নাদিয়া রেগে চলে গেলো আর মীম অনেক অপমানিত বোদ করলো।[সত্যি তো আমার এমন বেখালিপনা একদম ঠিক না।কিন্তু আমি কি করবো যদি ঘুম না ভাঙে। ইচ্ছা করে কি আর ঘুম ভাঙা যায়?]
মীম গিয়ে সব কাজ করে নিলো।নাস্তা করার রুবিনা বেগম সাহায্য করছিল। সব কিছু ঠিক করে সবাইকে খেতে দিল।কিন্তু নিজে খেতে পারলো না। কেনো জানি খেতে একদম ইচ্ছা করছে না।রুবিনা বেগম বলছিলও কিন্তু পরে খাব বলে রুমে চলে আসলো।
।
মন্ টা ভিশন খারাপ লাগছে।আজ বারির সবার কথা ভিশন মনে পুরছে।কেমন জানি কান্না কান্না পাচ্ছে।কিছু করার নাই তাকে যে এখানেই থাকতে হবে।
।
এদিক এ নাদিম খেয়াল করলো মীম কোনো কথা বলছে না শুধু কাজ করে যাচ্ছে।মন টা অনেক খারাপ করে আছে।কিন্তু কেনো?আপু সকালে বকছে বলে?কিন্তু আমিও তো কতো কিছু বলি তখন তো এমন করে না।অনেক বেশি খারাপ লাগছে কি ওর।
।
মীম তখন জালনায় দারিয়ে বাইরের দিকে মন খারাপ নিয়ে তাকিয়ে আছে।হঠাৎ কোনো আওয়াজে চমকে গেলো সে। ঠক ঠক ২ টা আওয়াজ হলো।মনে হয় কেও নখ দিয়ে দরজায় টোকা দিয়েছে।
।
২ মিনিট এ-র,,
চলবে,