#কাজের_মেয়ে
#Jannat_Jahan
#পর্বঃ৩৪
মীম মুখে কিছু বললো না। শুনে চলে গেল। নাদিম মীম এ-র দিক থেকে মন সরিয়ে ছেলেটার সাথে কথা বলতে লাগলো
একটু পর মীম চা আর কিছু নাস্তা নিয়ে এসে রেখে চলে গেল। মুখে কোন কথা নাই।নাদিম অবাক হয়ে মীম এ-র যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো। কি করতে চাইছে তা বোঝার জন্য।
কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে ছেলেটা চলে গেল।
আর নাদিম যায় মীম এ-র রুমে।মীম জালনা ধরে দাড়িয়ে ছিল।পিছন ঘুরতেই আয়া বলে শব্দ করে উঠলো। আচমকা নাদিমকে দেখে ভয় পেয়ে ঘেছে।
কি ব্যাপার চো*রের মতো এভাবে দাড়িয়ে আছেন কেন?কথা বলে ঢুকতে পারেন না?
কি বললে আমি চো*র (রেগে গিয়ে)
চো*র কই বললাম?আমি তো চোরের মতো বলছি।
তোমাকে আমি,,
পরে কইরেন যা করার আগে বলেন ছেলেটা গেছে?
কেন(সন্দেহের চোখে)
না এমনি।(ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে)
কি লুকাচ্ছো বলো?
কি লুকাবো আবার।(চোখ নিচের দিকে নামিয়ে)
কিছু তো লুকাসচ্ছোই।তখন মুখ ঢেকে ছিলে এখন বলছো গেছে নাকি।কাহিনি কি?
আপনি তো জানেনি আমার ছেলেদের দেখলে লজ্জা করে।😌
হা হা হা।সিরিয়াসলি?কাল এতো মানুষ এ-র সামনে নাচানাচি করলে আর আজ বলছো ছেলে দেখলে তোমার লজ্জা করে।
আমি কি সজ্ঞানে নেচেছি নাকি?তখন তো আমার হুস ছিল না।
আমার ফ্রেন্ডরা যখন আসে তখন ওতো পাও না।তাছাড়া সাজিদ এ-র সাথে তো ভালই ভাব।
ওরা তো আপনার ফ্রেন্ড।
আমার ফ্রেন্ড তো তোমার কি?😕তাছাড়া আজ যে আসছিল সেও আমার ফ্রেন্ড।
দেখুন আমি এতো কথা বলতে পারবো না আপনার সাথে আমার মাথা ব্যাথা করছে আপনি যান।
সত্যি কথা বলো বলছি।
উফফ কি ব্যাথা, আয়া
বলে মীম চাদর মুরি দিয়ে মাথা ঢেকে শুয়ে পরলো।[কিছুতো চলছেই তোমার মাথায়।আমি তা বের করবই চিন্তা করো না।এভাবে আমাকে বোকা বানাতে পারবে তুমি?কখনো না ]নাদিম রুম থেকে চলে যায়।
নাদিয়ারা চলে গেছে ছাদ এ-র এক্সাম আছে বলে।বিকেল এখন।নাদিম ও গিয়ে বিছানায় শুয়ে পরলো হাতে ফোন নিয়ে।
এভাবেই ১৫ দিন কেটে গেল।নাদিম সামান্য বিষয়েও মীমকে ডাকাডাকি করে।বাড়ির কাজ আর কি করবে নাদিম এ-র কাজ করেই সারতে পারে না।মীমও বিরক্ত হয়ে ঝ*জড়া করে।এভাবে ঝ*জড়ার মাঝেই দিন চলে তাদের।
একদিন রাতে আবার নাদিম এ-র ফ্রেন্ড পার্টি চলে আসে।আজ তারা পার্টি করবে।মীম নাস্তা বানিয়ে রেখে দিছে।নাদিম মীম কে বলে,,
তোমার আর কাজ নেই এখানে রুমে যাও।
ওকে☺
আরে কোই,
চলবে,,
