#কাজের_মেয়ে
#Jannat_Mim
#পর্বঃ৫৫
আমি এখনি খাবার দিচ্ছি ফ্রেশ হয়ে আসো আর একবার যদি বলতে হয় তো আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না।
রুবিনা বেগম রাগ করে চলে গেলেন।নাদিম ও আছতে আছতে রুমের দিকে গেল।[এতো খারাপ লাগছে কেন আমার?কেন এতো খালি খালি লাগছে?মনে হচ্ছে এই পুরো পৃথিবীতে আমি একা আর কেউ নেই।কেন এই বাড়িতে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে? মীম!!! কিন্তু ও কে আমার?ও তো শুধু নিজের জন্য এ-ই বাড়িতে এসেছিল।ওর কাজ শেষ তাই চলে গেছে।আমার খুব বেশি দরকার হলে অন্য কাজের মেয়ে নিয়ে নিব।হ্যা তাই করবো।ও আর কেও না শুধু #কাজের_মেয়ে।তাছাড়া আর কেও না, কেও না।]
আপন মনে বিরবিড় করতে করতে নাদিম যখন রুমের ঢুকবে তখন বিছানার দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেল।
মীম!!!
মীম বিছানার বসে পা দুলাচ্ছে আর নাদিম এ-র দিকে তাকিয়ে হাসছে।পাসে প্রিজ এ-র ওপর কাপে চা।তা থেকে ধৌয়া বেড় হচ্ছে।তার সাথে প্লেটে ঢেকে রাখা খাবার।না চাইতেই নাদিম মুখে হাসি ফুটে উঠলো।তা দেখে মীম বলে,
কি??খুব তো বলেছিলেন অন্য কাজের মেয়ে রেখে নিবেন।আপনার কোনো প্রব্লেমই হবে না।১ টা দিনোতো থাকতে পারলেন না আমাকে ছাড়া।কি অবস্থা হইছে চেহারার দেখছেন? ১ দিনেই সুখিয়ে গেছেন।সারাদিন তো খাওয়ার কথাও মনে ছিল না।
নিন তারাতাড়ি খেয়ে নিন।আপনার এভাবে দেখতে আমার একটুও ভাল লাগছে না।এদিকে আসুন আমি খাইয়ে দিচ্ছি।
কথাটা বলে মীম মুখে হাসি টেনে নাদিম এ-র দিকে হাত বাড়িয়ে দিল।নাদিম ও মহাখুশি হয়ে এগুতে লাগলো।মীম আবারও বললো,
তারাতাড়ি আসুন আমাকে আবার ফিরতে হবে।
কথাটা শোনা মাত্রই নাদিম এ-র রাগ হলো।সে এগিয়ে গিয়ে মীমকে ধরতে গেল আর বললো,
কোথায় যাবে তুমি? কোথাও যেতে দিব না তোমাকে।আর একবার যদি এই কথা বলো তো তোমাকে আমি..
কথাটা শেষ করতে পারলো না।তার আগেই মীম উধাও হয়ে গেল।নাদিম অবাক হয়ে গেল আর পাগল এ-র মতো ডাকতে লাগলো,
মীম! মীম কোথায় গেলে।আমার কিন্তু রাগ হচ্ছে সামনে আসো।মীম।অনেক সাহস বেড়ে গেছে তোমার তাই না।সামনে আসো একবার দেখাচ্ছি মজা।মীম, মীম
হঠাৎ কাধে কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে ঘুরে দাঁড়ায় নাদিম।রুবিনা বেগম ছলছল চোখে তাকিয়ে আছে।
মীম এখানে নেই বাবা।
মা আমি ওকে মাত্র দেখলাম।ও এখানেই আছে।দেখ চা আর খাবার নিয়ে বসে ছিল আমার জন্য।এই দেখ।
নাদিম ওর মাকে দেখাতে গিয়ে দেখলো কিছুই নেই ওখানে।তা দেখেও অবাক হলো এবং এতোক্ষণে বুঝতে পারলো ও মীমকে হ্যালোসিনেট করেছে।সবি ওর কল্পনা ছিল।
রুবিনা বেগম..
চলবে,,
