প্রনয়-পর্ব 16 ( বাকী অংশ)

0
848

#প্রনয়
#নুসরাত সুলতানা সেজুথী
পর্ব-১৬( বাকী অংশ)
কিছুদিন পার হলো।নেহালের হত্যাকারীকে খুঁজে পেতে পুলিশের তৎপরতা তেমন একটা দেখা যায়নি।এত বড় ব্যাবসায়ী হলেও কেস চালানোর মতো কেউ ছিলোনা।অন্যদিকে পুলিশও তদন্ত করে কোনো ক্লু পায়নি।তাই আপাতত ফাইল বন্ধ না করলেও মুখে মুখে ওঠা গুঞ্জন থেমেছে।ধামাচাপা পরেছে এক কথায়।
সেঁজুতিও কাজের চাপে নেহালের বিষয় টা ভাবেনা।ভাবার ফুরসত কই? সক্কাল সক্কাল ঘুম থেকে উঠে পুরো বাসার কাজ একা হাতে সামলায়।আবার অফিস গিয়ে এক গাঁদা কাজ রুদ্রর।মেয়েটাকে ছুটিয়ে প্রান নেবে হয়তো।অনেক সময় বাড়ি সামলে অফিস পৌঁছোতে দেরীও হয় সেঁজুতির।বৃষ্টি হলেতো কথাই নেই।একটা রিক্সা যদি পায় তখন।দেরী করা নিয়ে রুদ্র অনেকবার ওয়ার্নিং দিয়েছে। তবে হালকা পাতলা।রুদ্র অফিসে আসার পর মহারানী আসেন। এটাই তার অপরাধ।রুদ্রর প্রবল ইচ্ছে,যখন সে অফিসে ঢুকবে বাকীদের সঙ্গে সঙ্গে সেঁজুতিও দাঁড়াবে।মিষ্টি করে মিহি কন্ঠে বলবে ‘ গুড মর্নিং স্যার! কিন্তু সেই ইচ্ছে ইচ্ছেই রয়ে যাচ্ছে।সেঁজুতির দেখা মেলে সাড়ে দশটার দিকে।কিন্তু এতে ওরতো দোষ নেই।এত ধকল সামলে কেই বা পারবে টাইম মেইনটেইন করতে? কিন্তু এ কথা রুদ্রকে বোঝাবে কে? সে ফুলে অাছে রীতিমতো। সেঁজুতি কে কঁড়া কিছু শোনানোর জন্যে ওকে কেবিনে ডেকে পাঠিয়েছে অাজ।সেঁজুতি মাত্রই এসেছে।চেয়ারে বসবে তার আগেই পিওন এসে হাক পারলো।দীর্ঘশ্বাস ফেলল সেঁজুতি। বিড়বিড় করলো ‘ জীবন বড় বেদনার।
সেঁজুতি মাথা নিঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। মুখে অন্ধকার।এই মুহুর্তে সে রুদ্রর সামনে দাঁড়িয়ে। রুদ্রর কেবিনে।অন্যদিকে পকেটে হাত গুজে সেঁজুতির দিকে চেয়ে আছে রুদ্র।চোখে মুখে সহস্র বিরক্তি।কার ওপর সেটা অনিশ্চিত রুদ্র।সেঁজুতি কে কঠিন কিছু শোনাতে গেলে তার জ্বিভ আজকাল স্বায় দেয়না।কেমন বেঈমানি করে।রুদ্র তিতিবিরক্ত এতে।তাও, যৎসম্ভব গম্ভীর স্বরে বলল,
“মিস সেজুতি অফিস টাইম কখন শুরু হয়?
সেঁজুতি জানে তাকে এসব প্রশ্ন কেন করছে রুদ্র।আজও দেরি করেছে সে।আস্তে করে বলল ‘ দশটায় স্যার।
‘ আপনি এসেছেন কখন?
সেঁজুতি চোরের মত মুখ করে বলল ‘ ইয়ে..সাড়ে দশটায় মেইবি।
রুদ্র দাঁত চেপে মৃদূ স্বরে বলল ‘ নট মেইবি।সাড়ে দশটায়ই এসেছেন আপনি। গত চারদিন যাবত ঠিক আধঘন্টা দেরী করছেন।হুয়াই?
সেঁজুতি উত্তর না দিয়ে চুপ করে থাকলো।তার যে বাড়িতে এক গাঁদা কাজ সেড়ে আসতে হয় এসব কী আর বলা যায় কাউকে?রুদ্র নিজেই বলল,
‘ আচ্ছা বলুন,বস আগে এসে পি- এর জন্যে অপেক্ষা করে নাকি পি- এ বসের জন্যে অপেক্ষা করে?
সেঁজুতি একইরকম নিঁচু স্বরে বলল,
— পি-এ বসের জন্যে অপেক্ষা করে।
‘ তাহলে কার আগে আসা উচিত?পি -এর নাকী বসের??
সেঁজুতি মুখ ফস্কে বলল
— বসের।ইয়ে না পি-এর,,
রুদ্র ভ্রু নাঁচালো,
— কিন্তু দেরী কে করছে?
সেঁজুতি কাঁদোকাঁদো কন্ঠে বলল
‘পি-এ…
“এই পি-এ টা কে??
” আমি..
” তাহলে দেরী কার হচ্ছে?
এ পর্যায়ে নিঁচের ঠোঁট ওপরের ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরলো সেঁজুতি। তার যে দেরী হয়েছে এটা তাকে দিয়েই স্বীকার করাচ্ছে লোকটা! কি ধুরন্ধর!আগের থেকেও আস্তে করে বলল,
‘ আমার,,
রুদ্র তুষ্ট হওয়ার ভান করে বলল ‘ বাহ! একদম ঠিক বললেন।
সেঁজুতি চোখ ওঠালো।অল্প হেসে বলল ‘ ধন্যবাদ”
রুদ্র তাকাতেই হাসি থামিয়ে চট করে মাথা নিচু করে রইলো আবার।রুদ্রর বিরক্তি বোধ হয় বাড়লো।শক্ত কন্ঠে বলল,
” রোজ রোজ আপনি যদি এভাবে দেরী করে আসতে থাকেন তবে আপনাকে আমি ছাটাই করতে বাধ্য হব।আর তখন তিন বছর আগে চাকরী ছাড়ার জন্যে জরিমানার টাকা জমা করতে হবে আপনাকে।সব টাই জানেন তো?
সেঁজুতি মাথা নাঁড়লো।সে জানে।
‘ কাল থেকে দেরী করবেন আর?
সেঁজুতি এবারেও মাথা নাঁড়লো।সে দেরী করবেনা।
রুদ্র টেবিল থেকে কফির মগ নিতে নিতে বলল ‘ নাও লিভ!কফির মগে চুমুক দিয়েই থু দিয়ে সেটা ফেলে দিলো রুদ্র।মুখ কুঁচকে বিস্বাদ নিয়ে বলল,
” ইয়াক! কি বানিয়েছে এটা?ডিজগাস্টিং,
হাজার বার বলেছি এতো টা মিষ্টি না দিতে!এক্ষুনি এই পিওনটাকে বার করে দেব অফিস থেকে।
সেঁজুতি চলেই যাচ্ছিলো।রুদ্রর কথায় দাঁড়িয়ে পরলো।পিওনের প্রতি তার নরম মনে মায়া হলো বেশ।মনে মনে ভাবলো,
“বশীরভাই কফি ভালো বানাতে পারেননা,নিশ্চয়ই।একটু পরেই হয়তো ওনাকে ডেকে আচ্ছা মতো ঝাড়বেন এই লোক।কাজ থেকে ছাড়িয়েও দেবেন।বেচারার কি হবে তখন?অবশ্য সারাদিনই তো লোকটা কে এই কফিটুকুই খেতে দেখি।বেশ কয়েকবার খান। সেটাও যদি ভালো না হয় তবে মাথা গরম তো হবেই।ওনারও দোষ নেই।সেঁজুতি কে ঠাঁয় দাঁড়ানো দেখে রুদ্র ভ্রু কোঁচকালো,
” কি ব্যাপার?? আপনি এখনও যান নি যে?কাজ করার ইচ্ছে নেই?
সেঁজুতি রুদ্রর দিকে দু-কদম এগিয়ে এলো।হাঁত কঁচলাতে কঁচলাতে বলল,
‘বলছিলাম কি…..
রুদ্রর ভ্রু কুঞ্চন আরো গাঢ় হয়।সেঁজুতি অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগে বলল ‘
” স..স্যার! আপনার কফি বানানোর ভার টা যদি আমি নেই?মমানে আমি অনেক ভালো কফি বানাতে পারি তো, তাই।
সেঁজুতি হাসার চেষ্টা করলো একটু।কিন্তু হাসিটা ভালো করে ফোঁটার আগেই মিলিয়ে গেলো রুদ্রর কথায়।
রুদ্র সন্দেহী কন্ঠে বলল ‘ আপনি বানাবেন? স্ট্রেঞ্জ!কাজের কথা শুনলেই তো আপনার মুখ আমাবস্যার মতো কালো হয়ে যায়।
সেঁজুতি চোখ ছোট করে ফেলল।মনে মনে বলল,
‘ব্যাস শুরু হয়ে গেলো এই লোকের খোঁচা মেরে কথা বলা।মেকি হেসে বলল,
“আমি পারবো…
রুদ্র চেয়ারে গিয়ে বসলো,শ্বাস ফেলে বলল,
‘ বেশ!যেচে কাজ নিতে চাইছেন নিন।তবে কাল থেকে নয়।এক্ষুনি এক মগ কফি বানিয়ে দিন আমাকে।
সেঁজুতি অনুরোধ করে বলল,
‘ বশীর ভাইকে কাজ থেকে বরখাস্ত করবেন না। প্লিজ স্যার!
রুদ্রর সোজাসাপ্টা জবাব,
‘ দ্যাটস ডিপেন্ড টু ইওর পার্ফমেন্স।আপনি যদি কফিটা ভালো বানাতে পারেন তবে আর করবনা।
সেঁজুতির মুখে বিস্তর হাসি ফুঁটলো ‘ আমি এক্ষুনি আসছি স্যার।পাঁচ মিনিট সময় দিন।
সেঁজুতি কেবিন থেকে বের হয়।সেদিক তাকিয়ে হাসলো রুদ্র।কফির খালি মগটা টেবিলের ওপর রাখলো।
‘ বারবার আপনাকে বোঁকা বানাতে এত কেন মজা লাগছে বলুনতো সেজুতি?শুধু কফি বানানো কেনো আস্তে আস্তে রুদ্র রওশনের প্রত্যেক টা কাজই আপনাকে করতে হবে।আপনি চান বা না চান।ও হ্যা টাইমলি আপনাকে অফিসে কিভাবে টেনে আনতে হয় সেটা এই রুদ্র রওশন খুব ভালোভাবে বুঝে ফেলেছে।
____
সেঁজুতি বাসায় ফিরেছে দশ মিনিটের মতো।এই কম সময়ে একশর বেশি ঝটকা খেলো সে।
ঘরের সব কাজ শেষ,নতুন করে রান্নাও করে রাখা।সেঁজুতি কাপড় ভিজিয়ে রেখে গেছিলো,ভেবেছিলো এসে ধুঁয়ে দেবে।অথচ সেগুলোও সব কিছু ধুয়ে মুছে সাফ। সেঁজুতি তখন অবাক কন্ঠে প্রশ্ন ছুড়লো,
‘ এসব কে করলো বাবা?
আমির টিভি দেখতে দেখতে জবাব দিলেন ‘ শেফালী।
সেঁজুতি কপাল কুঁচকে বলল
‘ শেফালী?শেফালী টা আবার কে
‘ আমি আফা…
আওয়াজ শুনে ঘাঁড় ঘোরালো সেঁজুতি। ২৪-২৫ বয়সী একটি মেয়ে।পড়নে সুতির পুরোনো শাড়ি।মুখে পান।পায়ের কাছেই রাখা এক বালতি ময়লা পানি আর ন্যাকড়া।সে মাত্রই আমিরের ঘরের বারান্দা মুছে এলো।সেঁজুতি এতক্ষন দেখতে পায়নি এজন্যে।মেয়েটির দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলো সেজুথি।
আপনি কে?মেয়েটির উত্তর,
‘ ওইতো শেফালী।
‘ হ্যা বুঝেছি।কিন্তু আপনি কে?
মেয়েটি বিরক্ত হলো যেন,
‘কি কন আফা?কইলামত আমি শেফালী!
সেঁজুতিও পালটা বিরক্ত,
— উফফ!
আচ্ছা বুঝেছি, এখানে কেনো এসেছেন?
শেফালীর উদ্বেগহীন জবাব,
“কাম করতে আইছি।আর কিল্লাই আইতে যামু?
“কিন্তু আমিতো আপনাকে কাজে রাখিনি। আপনাকে কখনও দেখেছি বলেও মনে পড়ছেনা।
শেফালী পান খাওয়া দাঁত বের করে হাসলো,
‘রাহেন নাই তো কি অইছে।না রাখলে কি কাম করোন যায়না?এহন থেইক্কা আমনেগো সব কাম আমি কইরা দিমু।আফনারে আর কষ্ট কইরা ঘর বাইর সামলান লাগতো না।তয় মাসে মাসে কিন্তু আমারে দেড়ডা হাজার ট্যাকা দেওন লাগবো।একদাম আফা।
সেঁজুতি হতবুদ্ধি ভাবে শেফালীর সব কথা শুনলো।মাথায় এখনও কিছুই ঢুকছেনা।বলল
‘কিন্তু আপনি কি করে আমাদের বাড়ির খোঁজ পেলেন?
শেফালী এবারেও হাসলো।
‘কি যে কন আফা!আমরা হইলাম গরীব মানুষ, সারাদিন কাম খুইজতে থাহি।ওই এক ভাবেই পাইছি আপনাগো বাসা।তারপর খালুজানের কাছে আইসা জিগাইতেই হেয় কইলো সত্যিই আমনেগো কামের লোক দরকার একজন।
সেঁজুতি দ্বিধায় পরলো।এমন অচেনা একজন মানুষকে কাজে রাখা ঠিক হবে? তাও এমন হুটহাট! বাবার যা অবস্থা!যদি খারাপ হয়?সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে বলল,
‘কিন্তু…..
আমির এতক্ষন টিভিতে ডুবে থাকলেও সব কথা শুনেছেন।সেঁজুতির কিন্তু শুনতেই কপট ধমকে বললেন,
‘ এত কী ভাবিস তুই?কোনো কিন্তু নয়।ওকে কাজে রাখবি তুই।সারাদিন এতো খাঁটুনি খাটছিস,এগুলো আমি দেখতে পারছিনা,তাই আজ থেকে ওই তোর সব কাজ এগিয়ে দিয়ে যাবে।
‘ কিন্তু বাবা তুমিতো বুয়ার হাতের রান্না খেতে পারোনা।
আমির দৃঢ় কন্ঠে বললেন ‘পারিনা,কিন্তু পারবো।আমার মেয়ের জন্যে এইটুকু অভ্যেস করতে পারবোনা আমি?
সেঁজুতি অসহায় চোখে তাকালো,
‘তবুও…
পাশ থেকে শেফালী কথা কেঁড়ে নিয়ে বলল,
‘ আর ভাইবা লাভ নাই আফা।খালুজান যহন কইছে তহন আমার চাকরী পাক্কা।এই আমি এইহানে বইলাম।
শেফালী হাত পা গুছিয়ে ফ্লোরে বসে পরলো।সেঁজুতি হেসে ফেলল তাতে। ‘ আচ্ছা ঠিক আছে রাখলাম।উঠুন এখন।
” হাছা কইলেন?? ঠিক আছে,তয় উটতাছি।
‘ কোথায় বাসা আপনার ?
‘বলখেলার মাঠ টার পিছন দিক দিয়া যে বস্তিখান, ওইহানে।
‘ ওহ! কাল থেকে প্রতিদিন সকাল ৮ টায় চলে আসবেন।
শেফালী ঘাঁড় কাত করলো ‘আইচ্ছা।
অনেক রাইত হইছে ওহন আমি যাই। কাইল সক্কাল বেলা আমুনে।দেড়ি করলে জামাই টা আবার মন খারাপ করবো! হেতি আমারে অনেক ভালোবাসে তো।বাবার সামনে শেফালীর বেঁফাস কথায় লজ্জ্বা পেলো সেজুতি।
” মাথার তার তো দেখি ছেড়া।তবুও ভালো,
অন্তত কাউকে তো পাওয়া গেলো।অন্য কেউ কাজ গুলো সেড়ে রাখলে আর অফিস যেতে দেরী হবেনা আমার। ওই বদমাশ লোকের ঝাড়ি ও খেতে হবেনা।এবার আপনিও দেখবেন মিঃ বস,আমি কতটা পাংকচুয়াল!হুহ!
_____
ওটি সেড়ে মাত্রই চেম্বারে বসেছে হোসাইন।গরমে অবস্থা যাচ্ছেতাই।অসময়ের বৃষ্টিতে আদৌ কোনো লাভ হচ্ছেনা। একটু যদি ঠান্ডা লাগে! হোসাইন এসির পাওয়ার বাড়ালো।সাদা এপ্রোন চেয়ারের হাতলে রেখে বোতল খুলে পানি খেল।তখনি একজন এসে জানালেন ‘ স্যার রুদ্র রওশন চৌধুরী আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাচ্ছেন।
হোসাইন অবাক হলেন।রুদ্র এই সময়ে তার চেম্বারে ঠিক কী কারনে আসবে বুঝে উঠলেন না।সেদিনের পর লোকটাকে আর দেখেন ও নি।খবর দিতে আসা লোকটিকে বললেন ‘ পাঠিয়ে দাও।
দু মিনিটের মাথায় রুদ্র নক করলো দরজায়।দরজা খোলাই ছিলো।রুদ্র শুধু টোকা দিয়ে হোসাইনের মনোযোগ নিলো। রুদ্রকে দেখতেই হোসাইন বিরাট হাসি ঝোলালেন মুখে।লোকটা ভীষণ হাসিখুশি হিসেবেই পরিচিত।’ মিস্টার চৌধুরী যে! আসুন আসুন।,প্লিজ বসুন…
রুদ্র বসলো।
‘থ্যাংক ইউ!
‘ কি খাবেন বলুন? চা? কফি? নাকি ঠান্ডা।
‘ নাথিং!
রুদ্র সোজাসুজি মূল বিষয় তুলল ‘ আমি এখানে আপনার থেকে কিছু জানতে এসেছি।বলতে পারেন ইনফরমেশন চাইতে এসছি।
হোসাইন বুঝলেন না,
‘ আমার কাছে ইনফরমেশন ? কি ব্যাপারে?
রুদ্রর অকপট জবাব, ‘ সেঁজুতির ব্যাপারে।
হোসাইন যেন হোচট খেলেন, ‘ সেঁজুতির ব্যাপারে?
‘ হু।
হোসাইন নড়েচড়ে বসলেন।শান্ত অথচ কঠিন স্বরে বললেন ‘ স্যরি! এভাবে আমি সেজুতির অপরিচিত কাউকে ওর ব্যাপারে তথ্য দিতে পারবনা।
রুদ্র ভ্রু বাঁকালো,
অপরিচিত?? আমি যে সেজুতির অপরিচিত সেটা আপনাকে কে বললো?আপনি হয়তো জানেন না আমি ওর কে?
হোসাইনের হাসি পেলো।সেঁজুতির ব্যাপারে এমন কোনো কথা আছে নাকী সে জানেনা? দুই ভ্রু উঁচিয়ে বলল
“তাই? তা কে আপনি ??
রুদ্র স্পষ্ট কন্ঠে বলল,
‘আমি ওর বয়ফ্রেন্ড।বাংলায় যাকে বলে প্রেমিক। আর কিছুদিন বাদেই যেটা দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে হাজবেন্ড হয়ে যাবে।
চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here