#কাজের_মেয়ে
#Jannat_Mim
#পর্বঃ৫৯
নাদিম চুপ করে নিচ দিকে তাকিয়ে কিছু ভাবছে।ওর মা বুঝতে পারলো এখনো ওর সন্দেহ আছে। তাই বললো,
মীম এ-র বাবা ফোন করেছিল।ওর নাকি আগামী সপ্তাহে বিয়ে।আমাদের যেতে বলেছে।
নাদিম চমকে ওর মার দিকে তাকালো।ওর মা ও ওর দিকে তাকিয়ে আছে।ছেলের রিএকশন দেখতে চায়।নাদিম চমক এ-র সাথে বলে ওঠে,,
বিয়ে মানে??বললেই হলো?দেয়াচ্ছি বিয়ে। এখুনি যদি ওই বাড়ি ধ্বংস না করে দিছি তো আমার নাম ও নাদিম না।
বলে বিছানা ছেড়ে উঠে গেল।রুম থেকে বেরুতে যাবে তখন রুবিনা বেগম বলে উটলো,
মীম এ-র বিয়ে হলে তোর কী ? তুই তো ওকে ভালোই বাসিস না।
থেমে গেল নাদিম।বলে উঠে,,
তাই বলে মীমের বিয়ে যাবে?? না আমি থাকতে তা হবে না।
কেন হবে না।ওতো মেয়ে ওর বিয়ের বয়স ও হয়েছে।বিয়ে হয়াটাই সাভাবিক।
না হবে না অন্য কারো সাথে।
তাহলে কার সাথে হবে?
মা আমি কিছু জানি না।তুমি ওকে আমার কাছে এনে দাও।ও অন্য কারো হবে এটা আমি কিছুতেই মানতে পারবো না।দরকার হলে সব ধ্বং*স করে দিব।(মায়ের কাছে এসে হাটু গেরে কোমর জোরিয়ে ধরে)
বিয়ে তো আগামী সপ্তাহেই হবে।
মা!!(ছলছল চোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে)
হ্যা যা বলছি ঠিকি বলছি।আর মীম ও রাজি।তুমি জোদি কোনো ঝামেলা করেছো তো আমি খারাপ কিছু করে বসবো।
বলে রুবিনা বেগম চলে গেল। নাদিম মায়ের এমন কথায় প্রচন্ড আঘাত পেল।মাকে তার অচেনা লাগছে।মা কি জানে না তার মনের অবস্থা? তারপরও এমন কথা কি করে বলতে পারলো?কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে।এখন কি হবে ওর?কি করে সহ্য করবে ও মীমকে অন্য কারো সাথে।নাহ আর ভাবতে পারছে না নাদিম।বালিশ মাথায় চাপা দিয়ে বিছানায় পরে রইলো।
—-
পরের দিন,
কলিং বেল বাজতেই নাদিম গেল দরজার দিকে।কাছেই ছিলো তাই ও-ই গেলো।দরজা খুলতেই নাদিম অবাক হয়ে গেল।
নীল সুতির গ্রাউন পরা একটা নীল পরি দাঁড়িয়ে আছে।গ্রাউনে সুতা ও পুতির কাজ করা।কানে ছোট দুল ও দুলের মতো একটা লকেটসহ চেইন।চুল কিছুটা একপাসে সামনের দিকে দেয়া আর বাকিগুলো পেছনে।
নাদিম চোখ বুজে লম্বা একটা দম নিল তারপর আবার খুললো।না একি জিনিস দেখছে।দরজাটা ঠাস করে বন্ধ করে দিল।চলে যেতে নিবে আবারও বেজে উঠলো। আবার ফিরে এসে খুলে দিল।আবারও একি মেয়েকে দেখতে পাচ্ছে সে।মেয়েটা বলে উটলো,
দরজা লাগিয়ে দিলেন কেন?আমাকে আসতে দিবেন না?২ দিনেই অচেনা হয়ে গেলাম?
সে আপনার কাছে আমি যাই হোই তাতে কিছু যায় আসে না আমি আন্টির সাথে দেখা করবো সরুন।
বলে নাদিমকে পেরিয়ে..
চলবে,,