আমার একলা আকাশ -Part 7

0
177

#আমার_একলা_আকাশ
#পর্ব_৭
#মুন্নি_আক্তার_প্রিয়া
_______
সারারাত কান্নাকাটি করে করে চোখ-মুখ ফুলে গেছে। মাথাও প্রচণ্ড ব্যথা করছে। ঘুম হয়নি তাই চোখেও অসহ্য রকম যন্ত্রণা হচ্ছে। রাতে বেশ কয়েকবার আননোন নাম্বার থেকে ফোন এসেছিল। নাম্বারটি অপরিচিত হলেও প্রাপ্তি বুঝতে পেরেছিল সেই ছেলেটাই ফোন করেছে যার সাথে তার বিয়ের কথাবার্তা চলছে। ভোর ছ’টা নাগাদ ক্লান্ত হয়ে চোখে ঘুম ঘুম ভাব চলে এসেছিল। নয়টায় এসে সুমনা বেগম ঘুম থেকে জাগিয়ে রেডি হতে বলে দিয়েছেন। আর একটা নাম্বারও দিয়ে গেছেন। প্রাপ্তি জানতে চেয়েছিল,
‘এটা কার নাম্বার?’
সুমনা বেগম চলে যাওয়ার আগে মুচকি হেসে বলেছেন,’শান্তর। তোকে ফোন করে কোথায় দেখা করবি জায়গা ঠিক করে নিতে বলেছে। আর তোর চোখ-মুখের কেন এই অবস্থা হয়েছে? সারা রাত কি ঘুমাসনি?’
প্রাপ্তির কান্না উপচে আসতে চাইছে। সে কোনো রকম নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,’ঠাণ্ডা লেগেছে হুট করে। তুমি নাস্তা রেডি করো।’
তিনি চলে যাওয়ার পর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শব্দ করে কেঁদে ওঠে প্রাপ্তি। পরক্ষণেই মুখের ওপর হাত চেপে ধরে। কী অসহ্য যন্ত্রণা বুকের ভেতর প্রলয়ঙ্করী ঝড় তুলছে প্রাপ্তি কাউকে সেটা বোঝাতে পারবে না। নিজেকে সামলে নেয়। এভাবে ভেঙে পড়লে তো চলবে না। ওয়াশরুমে গিয়ে চোখে-মুখে পানি দিয়ে আবার ফিরে আসে। লং সাদা টপস্ এর সাথে হালকা নীল রঙের একটা জিন্স পরেছে সে। গলায় প্রিন্টের কালারিং স্কার্ফ। চুলগুলো উঁচু করে ঝুটি করে নিয়েছে। হাত ঘড়ি পরতে পরতে ড্রেসিংটেবিলের ওপর থেকে কাগজটি তুলে নেয়। শান্তর সাথে কথা বলে জেনে নেয় কোন কফিশপে যাবে।
সময়ের একটু আগেই সে বাড়ি থেকে বের হয়। বিধ্বস্ত, ভাঙা মন নিয়ে সে পথ চলতে শুরু করে। কফিশপে গিয়ে দেখতে পায় শান্ত আগে থেকেই অপেক্ষা করছে। প্রাপ্তি কফিশপে ঢোকা মাত্রই শান্ত হাত উঁচু করে ইশারা করে। প্রাপ্তি দীর্ঘশ্বাস নিয়ে সেদিকে এগিয়ে যায়।
দুজনে চুপচাপ মুখোমুখি বসে আছে। কেউই কোনো কথা বলছে না। নিরবতা কাটাতে শান্ত নিজে থেকেই বলল,
‘আসতে কোনো সমস্যা হয়নি তো?’
প্রাপ্তি মুখ তুলে তাকাল। স্মিত হেসে বলল,’না।’
‘কিছু অর্ডার করুন।’ মেন্যু কার্ড এগিয়ে দিয়ে বলল শান্ত।
‘এখানে চা আর কফি ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না।’
শান্ত একটু যেন আপসেট হলো। সেভাবেই বলল,’ওহ! তাহলে অন্য কোথাও দেখা করলেন না কেন? প্রথমবার মিট করছি আমরা। শুধু চা, কফি খাওয়াব?’
‘এটাই এনাফ।’ বলে প্রাপ্তি ওয়েটারকে ডেকে দু’কাপ কফি অর্ডার করে।
শান্ত কিছুক্ষণ ইতস্তত করে তাকিয়ে থাকে। প্রাপ্তি নিজেও স্বস্তি পাচ্ছিল না। গতকাল এতগুলো ফোন করার পরও কেন সে ফোন রিসিভ করেনি জানতে চাইলে কী বলবে?
‘স্যরি।’
ভাবনায় পানি ঢেলে প্রাপ্তি অবাক হয়ে তাকায় শান্তর দিকে। এক হিসেবে স্যরি তো তার বলার কথা। তাহলে শান্ত কেন বলছে? প্রাপ্তির প্রশ্ন করতে হলো না। শান্ত নিজে থেকেই বলল,
‘গতকাল আমার ফোন করার কথা ছিল। কিন্তু আপনার নাম্বারটা আমি ভুল তুলেছিলাম। মানে সব ঠিকঠাক ছিল। শুধু একটা ডিজিট কম তুলেছিলাম। বিষয়টা খেয়াল করেছি রাতে আপনাকে কল করতে গিয়ে। আব্বুর কাছে যে চাইব তাও পারিনি। লজ্জা লাগছিল আরকি!’
প্রাপ্তি এখনো বিস্ময় নিয়েই তাকিয়ে রয়েছে। শান্ত যদি কল না করে তাহলে এতগুলো কল আর কে করবে? তাও আবার আননোন নাম্বার থেকে। রায়হান না তো? আবারও কি বিরক্ত করা শুরু করেছে? নাকি অন্য কেউ! প্রশ্নে প্রশ্নে তার মাথাই খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। শান্তর সামনেও স্বাভাবিক থাকতে পারছিল না। এর মাঝেই কফি এসে পড়ে। শান্ত নিজেও চুপচাপ আর শান্ত স্বভাবের। প্রাপ্তির মতোই চুপচাপ থাকার ভূমিকা পালন করছে। কথা একদমই আগাচ্ছিল না। অস্বস্তিতে গাঁট হয়ে বসে থাকা প্রাপ্তি বলল,
‘তারপর?’
‘আমার সম্পর্কে কিছু জানার আছে?’
‘আমি আসলে তেমন কিছুই জানি না। তো, আপনি চাইলে বলতে পারেন।’
‘নাম তো নিশ্চয়ই জানেন। শান্ত। বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। ছোটো একটা বোন আছে। গত বছর বিয়ে হয়েছে ওর। বর্তমানে আমি কানাডায় জব করি। পড়াশোনা শেষ করে সেখানেই জব করে সেটেলড্ হয়ে গেছি। ছুটিতে এসেছিলাম বাংলাদেশে। বাবা-মা চেপে ধরেছে এবার বিয়ে করতেই হবে। আমিও ভাবলাম, বয়স তো আর কম হয়নি। এবার বিয়েটা করাই উচিত।’
এতগুলো কথার পিঠেও প্রাপ্তি কিছুই বলতে পারল না। শান্ত একটু ইতস্তত করেই বলল,’একটা রিলেশনও ছিল আমার। কিন্তু মেয়েটার অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যায়। তখন আমি অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়তাম।’
‘আপনাকে কেন বিয়ে করেনি?’
শান্ত হাসার চেষ্টা করে বলল,’জানিনা! অনেকবার কারণ জানতে চেয়েছিলাম। বলেনি।’
‘ওহ।’
‘কিছু মনে না করলে একটা প্রশ্ন করতাম।’
‘জি।’
‘আপনার অন্য কোথাও সম্পর্ক আছে? পরিবারের চাপে বিয়ে করছেন না তো?’
‘ছিল। এখন আর নেই।’
‘ফাইন।’
শান্তর বলার মতো কিছু ছিল না। এদিকে প্রাপ্তি অস্থির হয়ে আছে কতক্ষণে বাড়িতে যাবে। ঐ নাম্বারটা সে যার ভাবছে তার নয়তো? এটাই জানতে হবে আগে।
কফি শেষ দুজনের। শান্ত টেবিলের ওপর দু’হাত রেখে বলল,’দেখুন, একটা কথা আমি আপনাকেই সরাসরি বলতে চাই। ছবি দেখেই আপনাকে আমার ভালো লেগেছে। সামনা-সামনি দেখে ভালোলাগা আরো বেড়েছে। সো, আমার কোনো সমস্যা নেই বিয়েতে। ভয় নেই, আপনাকেও এখনই কিছু বলতে হবে না। আমাকে দেখে পছন্দ হয়েছে কিনা, অথবা আমায় নিয়ে কোনো সমস্যা আছে কিনা এসব বাড়িতে গিয়ে বললেই হবে।’
প্রত্যুত্তরে প্রাপ্তি মৃদু হাসল শুধু। শান্ত বাইকে করে বাড়ি অব্দি এগিয়ে দিতে চেয়েছিল। প্রাপ্তি রাজি হয়নি আর শান্তও জোর করেনি। প্রাপ্তির ইচ্ছেকেই সম্মান জানিয়েছে। প্রাপ্তির যাওয়ার জন্য একটা রিকশা ঠিক করে দিয়েছে শুধু।
_____________
হন্তদন্ত হয়ে বাড়িতে ফিরে বিছানায় বসে ফোনের নাম্বারটি ভালো করে দেখে প্রাপ্তি। গতকাল রাতে ফোন আসা নাম্বারটির সাথে কাগজের নাম্বারটির মিল নেই। তাহলে রাতে কে ফোন করেছিল? আদনান নয়তো? সে কৌতুলহল-বশত রাতের নাম্বারটিতে কল করে। তিনবার রিং হওয়ার পর ফোন রিসিভ করে ওপাশ থেকে বলে,
‘হ্যালো।’
প্রাপ্তির বুক কেঁপে ওঠে আদনানের কণ্ঠ শুনে। সে ঠিক শুনছে তো? নাকি কোনো ঘোরের মধ্যে আছে। ওপাশ থেকে একই কণ্ঠ ভেসে এলো,
‘হ্যালো? প্রাপ্তি?’
প্রাপ্তি কান থেকে ফোনটি সরিয়ে নাম্বারটি আবার দেখে। ওপাশ থেকে আবারও ভেসে আসে,
‘কথা বলছিস না কেন? শুনতে পাচ্ছিস?’
প্রাপ্তি ফাঁকা ঢোক গিলে বলে,’হু।’ অজান্তেই মনে আশার আলো দেখতে পায়। আদনান ফোন করেছিল গতকাল! কিন্তু কেন? কেন সে অন্য নাম্বার থেকে এতবার তাকে ফোন করেছিল? তবে কি আদনানও? উত্তেজনায় হাত-পা কাঁপা শুরু হয়ে গেছে প্রাপ্তির।
আদনান বলল,’রাতে এতবার ফোন দিলাম ধরিসনি কেন?’
‘এই নাম্বার কার?’
‘আমারই। ঐ সিমে টাকা নাই। তাই এই নাম্বার থেকে কল করেছিলাম।’
প্রাপ্তি নিশ্চুপ। কাঙ্ক্ষিত কথাগুলো শোনার জন্য অপেক্ষা করছে সে।
আদনান বলল,’কেন রিসিভ করিসনি?’
প্রাপ্তি সত্যি কথাটাই বলে দিল,’আমি ভেবেছিলাম ঐ ছেলে ফোন করেছিল।’
‘কার কথা বলছিস? শান্ত ভাইয়া?’
‘হুম।’
‘তার ফোন করার কথা ছিল নাকি? আচ্ছা যদি সে-ই ফোন করত? কেন ধরিসনি?’
‘কথা বলতে ইচ্ছে করেনি। তুমি কেন এতবার ফোন করেছিলে?’
‘তুই ওভাবে ফোন রেখে দিলি তাই! এসব বাদ দে। যার সাথে বিয়ের কথা প্রায় ঠিক, তার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে না?’
প্রাপ্তি হতাশ হয়ে বলে,’তুমি এমনিই ফোন করেছিলে?’
‘তোকে ফোন করতে এখন কারণও লাগবে? ওহহো! তোর তো বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। ক’দিন পর তুই অন্য কারও বউ হয়ে যাবি। তোকে তো আর এমনি এমনি কারণ ছাড়া ফোন করা যাবে না।’
‘আদনান!’ ফুঁপিয়ে ডাকে প্রাপ্তি।
আদনান কয়েক সেকেণ্ড চুপ করে থেকে সিরিয়াস হয়ে বলে,’প্রাপ্তি! কী হয়েছে? কাঁদছিস তুই?’
প্রাপ্তির কান্নার গতি বাড়ে। হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে সে। ওপাশ থেকে আদনান বলে,
‘কেন কাঁদছিস তুই? একটা সত্যি কথা বলবি?’
প্রাপ্তি তখনও কাঁদছিল। আদনান বলে,’তুই কি এখনো রায়হানকে ভালোবাসিস?’
কান্না থেমে যায় প্রাপ্তির। স্তব্ধ হয়ে যায় সে আদনানের কথা শুনে। প্রাপ্তির কান্না করার কারণ সে এটা ধরে নিল? অন্য কিছু আর তার মাথায় এলো না?
সে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলল,’না।’
এরপর ফোন রেখে চোখের পানি মুছে নিল। প্রচণ্ড অভিমান এসে বুকে ভর করেছে। এতদিন আদনানের হাভভাব, কথা বলার ভঙ্গিতে মনে হতো সে আসলে যেই হূরপরীর কথা বলে, সেটা প্রাপ্তি নিজেই। বুঝতে অনেকটা দেরি হলেও যে পরে সে সত্যিটা ধরতে পেরেছিল এটা ভেবেই সে আনন্দিত ছিল। কিন্তু না! সে তো ভুল। সে আদনানের হূর নয়। তার হূর অন্য কেউ। সে কেউ নয় আদনানের। কেউ না! অভিমানি প্রাপ্তি তৎক্ষণাৎ বাবা-মায়ের রুমে গিয়ে বলে,
‘উনাকে আমার পছন্দ হয়েছে। এই বিয়েতে আমি রাজি।’
.
প্রাপ্তির সম্মতি মুহূর্তেই যেন পুরো বাড়িতে বিয়ের আমেজ নিয়ে এসেছে। ফিরোজ ইসলাম, সুমনা বেগম সবাইকে ফোন দিয়ে এখনই এই সুখবরটি জানিয়ে দিচ্ছে। শান্তর পরিবার রাতে আসবে বিয়ের পাকা কথা বলতে। এই ব্যাপারে প্রাপ্তির কোনো মতামত আছে কিনা জানতে চাইলে প্রাপ্তি জানায়, দু’মাস পর তার অনার্স প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা। তাই পরীক্ষা শেষেই সে বিয়েটা করতে চায়। দুই পরিবারের কেউই কোনো আপত্তি করেনি। কথা হয়, বিয়ে দু’মাস পরে হলেও এঙ্গেজমেন্ট এখনই হবে। এঙ্গেজমেন্ট শেষে শান্ত ফের কানাডা চলে যাবে। প্রাপ্তির পরীক্ষা শেষ হলে ওখান থেকেই বিয়ের শপিং করে নিয়ে আসবে।
এঙ্গেজমেন্টের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে একদম ঘরোয়াভাবে। মেহমান বলতে কাছের আত্মীয়-স্বজনরা এসেছে শুধু। আদনান কাজের প্রেশারে আছে তাই আসতে পারেনি। প্রাপ্তি মনে মনে এটাই চেয়েছিল। কে জানে, আদনান এলে সে নিজেকে ঠিক রাখতে পারত কিনা! বেশ সুষ্ঠুভাবেই এঙ্গেজমেন্ট সম্পন্ন হয়। মেহমান সব চলে যাওয়ার পর প্রাপ্তি ঘরে গিয়ে দরজা লক করে দেয়। এতক্ষণ ধরে আটকে রাখা কান্নাগুলো আর আটকে রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। সে কোনোভাবেই আদনানকে মন থেকে সরাতে পারছে না। কীভাবেই বা সরাবে? হুট করে মানুষ ভালোবাসতে পারলেও, হুট করে যে ভুলে যাওয়া যায় না। আর এই অনুভূতি, নিয়মটা বড্ড বাজে। বড্ড! কেন মানুষ তার নিজের মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না? এই অবাধ্য মনটা বারবার তার মালকিনের অবাধ্য হয়ে অন্যের জন্য কাঁদবে কেন? এত এত কেন-র কোনো উত্তর প্রাপ্তির কাছে নেই। সে যে বড্ড অসহায়, নিঃসঙ্গ।
এঙ্গেজমেন্টের পর থেকে প্রতিদিন নিয়ম করে শান্ত ফোন দিত প্রাপ্তিকে। কথা খুব বেশি এগোতো না। কারণ বেশিরভাগ সময়ই কথা বলার অভাবে প্রাপ্তি চুপ করে থাকত। কী বলবে খুঁজেই পেত না। শান্ত অবশ্য বিরক্ত হতো না। সেও নরমাল কথাবার্তা বলে ফোন রেখে দিত। পাশাপাশি প্রাপ্তি এবার পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেবে বলে মন স্থির করল। সারাক্ষণ আদনানের বিরহে পুড়লে পরীক্ষা তো আর ভালো হবে না। রেজাল্ট ভালো না হলে দেখা যাবে, ঐ মানুষটাই সবচেয়ে বেশি কথা শোনাবে। পড়তে বসেও প্রাপ্তি খেয়াল করে তার মন পড়ার মধ্যে নেই। কিছুক্ষণ পরপর সে ভারী নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করে। পরক্ষণেই আবার সে নিজেকে মানিয়ে নেয়। এতটা অস্থির হয়ে পড়লে তো সমস্যা। বই বুকে জড়িয়েই সে শুয়ে পড়ে। সুমনা বেগম তখন রুমে প্রবেশ করে বলেন,
‘কীরে শুয়ে আছিস যে? শরীর খারাপ?’
প্রাপ্তি নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,’না, ঠিক আছি। বলো।’
‘চোখ-মুখের কী অবস্থা! যা মুখটা ধুয়ে নে। একটু ভালো করে থাকতে পারিস না এখন? শান্ত এসেছে। তাড়াতাড়ি আয়।’
প্রাপ্তি নিষ্পলক তাকিয়ে রইল। সুমনা বেগম যাওয়ার জন্য উদ্যত হয়েছিলেন। ফের পিছু তাকিয়ে বললেন,
‘ওহ আদনানও এসেছে। শান্তর সাথে গল্প করছে বসে। তুই আয় তাড়াতাড়ি।’
আদনান এসেছে শুনে বুক কেঁপে ওঠে প্রাপ্তির।
চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here