রোদেলা লেখা: #মাহাবুবা_মিতু ৭৮

0
444

#রোদেলা
লেখা: #মাহাবুবা_মিতু
৭৮.

সন্ধ্যা নামার আগেই বাসায় ফিরে রোদেলা। ও ঘরে ঢোকার সাথে সাথে সাথেই মাগরিবের আজান পরলো চারদিকের মসজিদ গুলোতে। রোদেলা বাসায় ঢুকেই দেখে একটা পার্সেল টাইপ কিছু বসার ঘরের এক কোণে রাখা। সেটার কাছে গিয়ে দেখে সেটা ওর নামে এসেছে । পার্সেলে কোথাও প্রেরকের নামধাম ফোন নম্বর কিচ্ছু লেখা নেই। বাসার খালা পার্সেল রিসিভ করেছে আজ দুপুরে। বেশ বড়সড়ই পার্সেলটা কার্টুনের বক্সটা পুরো ভরা, ওজনও বেশ।
কে পাঠিয়েছে, কি পাঠিয়েছে বুঝতে পারছে না ও। বক্সের গায়ে কেবল রোদেলার নাম আর ঠিকানা দেয়া। ফোন নম্বর ও দেয়া নেই সেখানে। ব্যাপারটা আজব লাগলো রোদেলা। কারন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি গুলো ফোন নম্বর ছড়া কোন ডেলিভারি ইস্যুই করে না। এটা কি তাহলে ব্যক্তিগত ভাবে পৌঁছে দিলো কেউ?

পার্সেল টাকে ড্রইং রুমে রেখেই ভেতরে চলে গেলো ও। মাগরিবের নামাজের সময় কম থাকে। অযু করে নামাজ শেষ করে এক মগ কফি হাতে তৈরী করে পার্সেলটা নিয়ে এলো ওর নিজের রুমে। বেশ বেগ পেতে হলো এটাকে আনতে, মনে হচ্ছে ইট ভরা ভিতরে এত ভারী। খালা বলেছিলেন- “তুমি যাও বৌ আমি নিয়া আসতাছি” তিনি বয়স্ক মানুষ তাই তাকে কষ্ট দিতে চায় নি ও। একটা লম্বা পাপশে কেনমতে বক্সটা তুলে সেটাকে টেনে রুম পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। ভারী জিনিস টানার সহজ উপায় এটি। ঐ দেশে একা-একা সব কাজ করতে করতে অনেক ট্রিকস শিখেছে রোদলা। এটা তার মধ্যে একটি।

কাটার দিয়ে বক্সের মুখ খুলতেই কেমন একটা গন্ধ এলো নাকে। রোদেলার ভ্রু কুঁচকে উঠলো, গন্ধটা পরিচিত হলেও, মস্তিষ্ক সময় নিচ্ছে তার জানান দিতে। পুরো বক্সটা খোলা হলে রোদেলা দেখলো স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো কতগুলো প্যাকেট। একটা একটা করে নামাতে লাগলো আর নাড়াচাড়া দিয়ে, গন্ধে শুঁকে আন্দাজ করতে লাগলো কোনটাতে কি। উপরের প্যাকেটগুলো সরাতেই নিচে রাখা বয়াম গুলো দেখলো রোদেলা। সেগুলোর মুখও স্কচটেপ দিয়ে মোড়া। এক এক করে আবিস্কৃত হলো –
শুটকি, নোনা মাছ, কুমড়োর বড়া, বোম্বাই মরিচ, তেঁতুল আর রসুনের আচাড়, একটা চৌকোনা
বক্সে রাখা নাড়ু আর নকশি পিঠা। ঠিক যেন কোন অজানা মহাদেশ আবিষ্কারের আনন্দের মতো আনন্দ হচ্ছিল ওর প্রতিটি বয়ামে রাখা বস্তুর হদিস পেয়ে, পেয়ে। শেষ কবে এমন অজানা ঠিকানা থেকে এমন সারপ্রাইজ পেয়েছে ও মনে করতে চেষ্টা করলো। জীবণে খুব কমই সারপ্রাইজ হয়েছে ও। তাও পরিচিত জনের কাছ থেকে। ওর ছোট্ট এ জীবণে পাওয়া সেই সারপ্রাইজ গুলোর অধিকাংশ
দিয়েছে ওর বাবা নিজে। অকুল সমুদ্রে ফেলে দিয়ে চেলে গছেন বহুবার। সেগুলো মনে করতে চায় না ও। তবে মনে করার মতো জীবণের প্রথম সারপ্রাইজ ছিলে আঁকিবের দেয়া রূপার নুপুর। আঁকিবের মতো সেসবও হারিয়েছে ওর জীবণ থেকে। এসব এখন কেবলি স্মৃতি। ঠিক আজ পর্যন্ত শেষ সারপ্রাইজটা দিয়েছিলে সুফি, প্রিসিলার বৌভাতের দিন। একটা দিন উপহার দিয়েছে ও। একজন বৌয়ের কাঙ্খিত অনুষ্ঠান এটি। জীবনের সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ ছিলো এটি।

এটা হয়তো অজানা থেকে আসা প্রথম সারপ্রাইজ।
ঠিক এ সময় একটা ভালো লাগা আর মন্দ লাগা ভর করলো মনে। পার্সেলটা পাঠিয়েছে ওর কোন শুভাকাঙ্ক্ষী, ভালো লাগাটা এজন্য। ভালোবাসা বাক্স বন্দী করে পাঠিয়েছে সে।

অপরদিকে এ বাক্সটা ওকে মনে করিয়ে দিলো ফিরবার তারিখটাকে, সময় ফুড়িয়ে আসছে, চলে যেতে হবে এই মাতৃভূমি ছেড়ে আপন সেই ঠিকানায়। যেখানে সবাই ব্যাস্ত, কাজ আর ক্যারিয়ার নিয়ে। কোন জায়গায় যেতে হলে, কিছু খেতে মন চাইলে, প্রিয় মুভি কিংবা সিরিজ রিলিজ হলে তা তোলা থাকে উইকেন্ডের জন্য। কারো একদণ্ড সময় নেই জিজ্ঞেস করার দিনকাল কেমন চলছে রোদেলা? পাশের বাড়ির কেউ জানতেও চায় না –
“আজ কি রান্না হলো?” কিংবা
“কিরে কি নিয়ে ঝগড়া হলো কাল রাতে? ”
এই নির্মম সত্যি গুলো মনে পরে গেলো এই বাক্স বন্দি ভালোবাসা দেখে। খারাপ লাগাটা এজন্য।

অনেক চেষ্টা করেও কোন নামধাম খুঁজে পেলো না রোদেলা। নাতাশা এমন করে মাঝে মাঝে কিন্তু এসব জিনিস ও পাঠায় না। ও পাঠায় শাড়ি, চুড়ি, অর্নামেন্টস, ব্যাগ।

কে পাঠাতে পারে ভাবতে লাগলো ও। এমন কারো নামই মনে পরলো না ওর। যে পাঠিয়েছে সে চায় নি ও জানতে পারুক তাকে। সেই ব্যাপারটা কঠিনভাবে রক্ষা করা হয়েছে প্যাকেজিং এ।

এসব রেখে বারান্দায় গেলো ও। সুফিয়ানদের এ বাড়িতে প্রচুর গাছপালা আর পাখি, বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় অরন্য ঘেরা কোন রিসোর্ট। এখনকার দিনে সবাই গা ঘেঁষা বাড়ি তৈরী করে। একটু জায়গা থাকলেই কয়েকদিন পর দেখা যায় সেখনে দালান দাঁড়িয়েছে। জায়গা ছেড়ে এমন সুন্দর বাড়ি আজকাল কেউ তৈরী করে না। সারাদিন কাজ শেষে ক্লান্ত কেও এখানটায় দাঁড়ালে তার মনের সব ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে নিমেষেই। কোণে রাখা আর্মচেয়ারে বসে রোদেলা ফোন করলো সুফিয়ানকে, বললো পার্সেলটার কথা। সুফিয়ান বললো এসে দেখবে। এরপর কথা হলো দুজনে বেশ কিছুক্ষণ।

সন্ধ্যা রাতে মিলিয়েছে বেশ কিছুক্ষণ আগেই, গোধূলির সময়টা রোদেলার খুব পছন্দের, শীতের দেশে থাকায় এ জিনিসটা উপভোগ করার সুযোগ কম হয়। দেশের গোধূলির সময়টা খুব মিস করবে রোদেলা, আর কি কি মিস করবে তা ভাবতে লাগলো রোদেলা। মনে মনে একটা তালিকা তৈরি করলো ও।

প্রতি সকালে পাখির কিচিরমিচির ডাকে ঘুম থেকে ওঠা, এই বাড়ির বিশাল খোলা বারান্দা, ছাদের প্রতিটি গাছ, বাড়ির সামনের লন, গেইটের উপরে আছরে পরা সাদা গোলাপী রঙের বাগানবিলাস গাছটা, গেট পেরিয়ে হাতের বা-দিকের ফুটপাত ধরে একটু সামনে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকা লাল রঙের পোস্ট বাক্স টাও মিস করবে ভীষণ। আরেকদিকে ‘কৃষ্ণচূড়া’ বাড়ির পুকুর, কাঁঠাল গাছের ফাঁকফোকর দিয়ে দেখা গাড়ি বারান্দা, বারান্দার টিনের চালে পরা বৃষ্টির শব্দ, প্রথম বৃষ্টিতে ভেজা মাটির গন্ধ, ফটকের সামনের কৃষ্ণচূড়া গাছ, আর বাড়িতে ঢুকবার সেই পথটা। এ তালিকায় আরো রয়েছে অনিমার শ্বশুরের টেলিস্কোপে চাঁদ দেখার আয়োজন, ওর শ্বাশুড়ির চুই ঝাল দিয়ে রান্না করা গোশত আর ছিট পিঠা। এ জিনিস গুলো ও ভীষণ রকমের মিস করবে।

বুড়িগঙ্গা ব্রীজ, টিএসসির মোড়, ধানমন্ডি লেক, নীলক্ষেতের ফুটপাত, রাজধানীর ফুচকা, লক্ষ্মীবাজারের ভীড়, হাজী মাখনের বিরিয়ানি, স্টারের মাটন কষা দিয়ে রুমালি রুটি, পুরান ঢাকার কাচ্চি এমন অনেক কিছু।

এত এত মিস করা জিনিসের মধ্যে কিন্তু একজন মানুষও নেই। অথচ কত আত্নীয় ওর। কিন্তু যাদেরকে মিস করে ও তারা চিরদিনের জন্য মিস হয়ে গেছে ওর জীবন থেকে। যেমন-নানু, বড় মামী, সুফিয়ানের মা যিনি এখন রোদেলার শ্বাশুড়ি। দিন তিনেকের দেখাশোনার মধ্যে দিয়ে বড় রকমের দাগ কেটেছিলেন তিনি রোদেলার জীবণে । তিনিই একমাত্র মানুষ যিনি একবারে জন্য ও জানতে চান নি ওর মা আর দু-বোন কেন থাকে মামাদের পরিবারে?, ওর বাবা কেন ওদের সাথে থাকে না? কি করেন তিনি?, থাকেন কোথায়? আরো অনেক কিছু। প্রতিবেশীদের তো কত কৌতুহল ওদের সম্পর্কে, তাছাড় মেয়ে দেখতে এসে ছেলে পক্ষের লোকেরা কত কি প্রশ্ন করে বিব্রত করে। অথচ তার ছেলের পছন্দ করা মেয়েকে তিনি দেখতে এসেছেন ৫১১ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে। ওকে কোন প্রশ্ন করে বিব্রত করেন নি, বরং আবিষ্কার করতে চেষ্টা করেছেন নিজের ছোটবেলার গল্প বলে। যাতে রোদেলা নিজের ব্যাপারে কিছু বলতে বিব্রত বোধ না করে। এত কে ভাবে কার জন্য? কার এত দায় এসবের? তাই আজও রোদেলা তাকে স্মরণ করে। সুফিয়ানের সাথে বিয়ে যদি নাও হতো তবুও রোদলা তাকে মনে রাখতো।

রাতে কিছু খেলো না রোদেলা, তৈরী ছিলো আরেকটা বিনিদ্র রজনীর অপেক্ষায়। বুকশেলফ থেকে “জহির রায়হানের – বরফ গলা নদী ” বইটা এনে রেখেছিলো। অনেক আগে পড়েছিলো, তবুও ইচ্ছে হলো আরেকবার পড়তে। বহুবার পড়েও মন ভরে না, এমন একটা বই এটা । জহির রায়হান ওর প্রিয় একজন লেখক। “হাজার বছর ধরে” উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে তার লেখার সঙ্গে পরিচয় রোদেলার। এরপর একে একে পড়ে ফেলেছে ও তার সব গল্প, উপন্যাস। খুব আফসোস হয় ওর ক্ষণজন্মা এই গুণী মানুষটার জন্য। মাত্র আটটা উপন্যাস লিখে গেছেন তিনি। ছিলেন স্বনামধন্য চলচিত্র নির্মাতাও। বেঁচে থাকলে কতো কালজয়ী কাজ পেতো বাঙালি।

বিছানায় শুয়ে বই হাতে নিয়ে এসব ভাবছিলো রোদেলা। এমন সময় ফোন করে সুফিয়ান-

: খাওয়া দাওয়া হয়েছে?
: না, খেতে ইচ্ছে হচ্ছে না।
: আরে রাতে না খেয়ে ঘুমানো উচিত না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রাতের আহার ত্যাগ কোরো না, যদিও তা এক মুঠো খেজুরও হয়। কারণ রাতের আহার ত্যাগ মানুষকে বৃদ্ধ করে দেয়।’ বুঝলে তো আমার কথা রাসূল (সাঃ) বলেছেন।
: সিমিদের বাসায় ভারি খাবার খেয়ে পেটের অবস্থা খারাপ, তাই রাতের খাওয়া স্কিপ করলাম। তাছাড়া
রাতে ঘুম আসবে না।
: ঘুম আসবে না মানে? চেষ্টা করেছো ঘুমুতে?
: আপনি পাশে না থাকলে আমার ঘুম আসে না,
: আমি কি ঘুমের ঔষুধ?
: হুম, তবে ঘুমের না আমার জন্য সর্ব রোগের ঔষধ হচ্ছে আবু-সুফিয়ান।
: হইছে, আর ঢং করতে হবে না।
: ভালোবাসার কথা বললাম, আপনার ঢং মনে হলো?
: কাছে থাকলে তো এভাবে বলো না, দূরে আসায় প্রেম বেড়ে গেলো দেখছি। বুঝেছি এখন থেকে নিয়মিত দূরে দূরে থাকা লাগবে,
: এটা বলতে পারলেন আপনি? ভালো কি আপনি একাই বাসেন নাকি? আমি বাসি না?
: ঘোড়ার ডিম বাসো,
: কষ্ট পেলাম খুব,
: আচ্ছা কাল সকালেই আসছি আমি, দেখবো তোমার ভালেবাসার বহর।
: কাল সকালে মানে? রাতের গাড়িতে আসতে না না বললাম,
: রহিম চাচা টিকিট কেটে এনেছে, কি করবো আর?
: না না, রাতে আসা চলবে না, দিনকাল খারাপ ভীষণ কুয়াশা পরে রাতে। আর ড্রাইভাররা রাতে গাড়ি যেন হাওয়ায় ওড়ায় রাতে। এত কিছু জানি না আমি আপনি সকালের গাড়িতে আসবেন।
: এখন বলে লাভ নেই, সব রেডি।
: লাভ নাই মনে? যদি রাতের গাড়িতে আসেন আপনাকে বাড়িতেই ঢুকতে দিবো না আমি।
: দিলে তো বিপদে ফেলে, আচ্ছা গিয়ে দেখি, কি করা যায়।
: টিকিট ক্যান্সেল করে দিন, টাকা রিফান্ড হলে হবে, না হলে নাই, আপনি কাল সকালে রওনা দিবেন।
: আচ্ছা, ঠিক আছে। রাখি তাহলে, দেখি তাকে পাঠিয়ে সাকলের টিকিটের জন্য আর তুমি অবশ্যই কিছু খেয়ে নাও।
: ঠিক আছে জনাব।

ফোন রেখে চিড়া দুধ দিয়ে ভিজিয়ে খেলো ও, বই পড়তে পড়তে কখন হঠাৎ ঘুমিয়ে পরেছে ও জানে না। একটানে শীতের দীর্ঘ রাতটা শেষ হলো। জানালার পর্দা আজও টানা হয়নি, তাই রোদ না ওঠা সত্ত্বেও সকালেই ঘুম ভেঙে গেলো ওর কাচের দেওয়াল গলে আসা আলোয়। আলসেমি না করে উঠে পরলো বিছানা ছেড়ে। ঘড়িতে সাড়ে ছয়টা বাজে। নামাজ পড়ে নিজ হাতে তৈরী করলো কফি। সেটা নিয়ে ফোন স্ক্রোল করতে করতে নিউজফিডে দেখলো ঘন কুয়াশায় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী এক বাসের বিপরিতগামী এক লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। বুকটা ছাঁৎ করে উঠলো রোদেলার, এজন্যই রোদেলা সুফিয়ানকে কাল রাতে রওনা দিতে নিষেধ করেছিলো। জন্ম মৃত্যু আল্লাহর বিধান, তবুও কেন জানি মন মানছিলে না। সাথে সাথে কল করে ও সুফিয়ানকে৷ ফেনটা বেজে কেটে গেলো। ভয়ে আবার কল করলো সুফিয়ানকে। শেষের রিং এ রিসিভ হলো কলটা
সুফিয়ানের ঘুম জড়ানো গলা শুনে রোদেলা যেন শান্তি পায়। এক্সিডেন্টের ঐ প্রসঙ্গ না তুলে বলে-
: ঘুম ভাঙে নি জনাবের?
: না, এখনি উঠবো।
: বাস কয়টায়?
: সাড়ে আটটার বাস, তাই উঠি নি
: আচ্ছা উঠেন, ফ্রেশ হন, বাস ছাড়লে আমাকে কল দিবেন।
: ওকে মাই লাভ।
: আর শুনুন,
: হুম
: আই এম ওয়েটিং ফর ইউ…
: মি-টু

কল কেটে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলো রোদেলা। নিউজের লিংক কপি করে পাঠালো ওকে। তারপর রান্নাঘরে হানা দিলো, আজ ও নিজে রান্না করবে। বহুদিন পর প্রিয়জন বাড়ি ফিরলে যেমন অনুভব হয় ওরও তেমনি মনে হতে লাগলো। মাছ, গোশত নামিয়ে ঘরে এলো ও, আলমারি খুলে একটা শাড়ি বের করলো ও রাতে পরবে তাই।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here