নিভৃত_কুহক (পর্ব ৮)

0
364

#নিভৃত_কুহক (পর্ব ৮)

মার্চ, ২০০২

১.
এখন বসন্তকাল, পাতা ঝরা গাছে কচি কচি সবুজ পাতা দেখা যাচ্ছে। আরিফ শহীদুল্লাহ হলের উত্তর পশ্চিম কোণে একটা বেঞ্চিতে বসে তাই দেখছিল। গাছগুলো ক’দিন আগেও রুক্ষ, ন্যাড়া ছিল। এখন কী সুন্দর ছোট ছোট কচি পাতা গজিয়েছে। ওর জীবনেও কি এমন করে নতুন বসন্ত আসবে? নিজেকে এখন পাতা ঝরা গাছের মতোই রিক্ত, শুন্য মনে হয়। কখনও ভাবেনি রেহনুমার মতো ও মন খারাপ হলে এই পুকুর পাড়ে বসে থাকবে। গত একমাসে প্রায় প্রতিদিন একবার হলেও এখানে এসে বসেছে। একটা জিনিস ও খেয়াল করেছে, পুকুরের গভীর জলের দিকে তাকিয়ে থাকলে ধীরে ধীরে একটা ঘোর সৃষ্টি হয়। একটা সময় কষ্টগুলো কেমন করে যেন মিলিয়ে যায়।

প্রতিদিনই ইচ্ছে করে রেহনুমাকে ফোন দিয়ে বলে, ‘পুকুর পাড়ে আসবে একটু?’

কিন্তু বলা হয় না। বার বার ভাবে, কিন্তু কোনো উত্তর খুঁজে পায় না। রেহনুমাকে যদি সব না বলে তাহলে যে ও শান্তি পাবে না। আবার বললে ও যদি আরও জড়িয়ে যায় ওর সাথে? ভাবতে ভাবতে আরিফ মোবাইল হাতে নেয়। তারপর সেই পুরনো নিয়মে দু’বার মিস কল দেয় রেহনুমার নাম্বারে।

রেহনুমা আনমনে একটা লেডিস শার্টে বোতাম লাগাচ্ছিল। হঠাৎ করেই ওর আরিফের সেই ছেঁড়া বোতামের কথা মনে পড়ে যায়। হাতটা একটু কেঁপে উঠে অসতর্কতায় আঙুলে সুঁই ফুটে যায়। ‘উহ’ করে একটা শব্দ করে আঙুল মুখে চেপে ধরে। জিভে রক্তের নোনতা স্বাদ পায়। ঠিক তখনই আরিফের মিস কল দু’টো আসে। রেহনুমা বিস্ফারিত চোখে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। দু’টো মিসকল! তার মানে আরিফ কী পুকুর পাড়ে!! ওর কি মন খারাপ?

রেহনুমা টের পায় ওর বুক কেমন খালি হয়ে আসছে। নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসতে থাকে। সেদিনের পর এই প্রথম আরিফের ফোন এলো। কাঁপা হাতে মোবাইলটা নেয়, তারপর ঝাপসা চোখে আরিফের নাম্বারে ডায়াল করে, ‘তুমি পুকুর পাড়ে?’

ওপাশ থেকে আরিফ আকুল গলায় বলে, ‘হ্যাঁ তো, তুমি একটু আসবে?’

রেহনুমার বুকটা যেন কেউ খামচে ধরে, কত দিন পর সেই মায়াময় শব্দ দু’টো শুনল। নিজেকে সামলে কোনোমতে বলে, ‘এখুনি আসছি।’

ঠিক ছাব্বিশ মিনিটের মাথায় রেহনুমা পুকুর পাড়ে এসে পৌঁছে। দূর থেকেই দেখতে পায় আরিফ আনমনে জলের দিকে তাকিয়ে আছে। ঠিক ওর মতো। বুকটা কেমন করে উঠে রেহনুমার। দ্রুত পা চালিয়ে কাছে আসতেই আরিফ মুখ তুলে তাকায়। রেহনুমা চমকে ওঠে, এ কোন আরিফকে দেখছে ও! মুখে ক’দিনের না কামানো দাড়ি, চুলগুলো উসকোখুসকো, মরে যাওয়া চোখ।

রেহনুমা কাঁপা গলায় বলে, ‘আরিফ, কী হয়েছে তোমার!’

আরিফ মায়া নিয়ে তাকায়, কতদিন পর আজ রেহনুমাকে দেখল। চোখেমুখে সেই উৎকন্ঠা, সেই মায়া। ও যে সেদিন যায়নি সেই অপরাধ বেমালুম ভুলে উল্টো ওর চোখমুখ দেখেই যেন সব টের পেয়ে গেছে মেয়েটা।

আরিফ বিষণ্ণ হেসে বলে, ‘একটু বসো আমার পাশে। সব বলব তোমাকে।’

রেহনুমার মনের ভেতর অজানা একটা শংকা দোলা দিয়ে যায়। কিছু একটা হয়েছে যেটা ভয়ংকর। উৎকন্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করে রেহনুমা।

আরিফ গলা খাকারি দিয়ে বলে, ‘সেদিন তোমার বাবা মা অনেক রাগ করেছে তাই না?’

রেহনুমা মাথা নাড়ে, ‘সে তো করবেই। কিন্তু আমি জানতাম নিশ্চয়ই এমন একটা কিছু হয়েছে যার জন্য তুমি এমন করেছ। আরিফ প্লিজ বলো, কী হয়েছে তোমার? মিতা আপাও বলতে পারল না, উনিও তো তোমাকে অনেক বার ফোন করেছে। তোমার মা বাবা শেষ মুহুর্তে রাজি হয়নি তাই তো? তুমি নিশ্চিন্তে বলো, আমি শুনতে প্রস্তুত।’

আরিফ মাথা নিচু করে রাখে, তারপর বলে, ‘না রেহনুমা। ওনারা তোমাকে পছন্দ করেই নিয়ে যেতে এসেছিল। কিন্তু শেষ মুহুর্তে একটা রিপোর্ট ঝামেলা বাঁধাল।’

রেহনুমা শংকিত গলায় বলে, ‘সেটা কী?’

আরিফ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, ‘অনেক দিন ধরেই আমার কোমরের নিচের দিকে ব্যথা করত। ভেবেছিলাম ব্যাক পেইন। যেদিন আসব তার আগের দিন হঠাৎ ব্যথাটা তীব্র হয়। হাসপাতালে গেলে ওরা আলট্রাসনোগ্রাম করে। আরও কিছু পরীক্ষা করে যেটা বেরোয় সেটা আমি কখনোই ভাবিনি।’

রেহনুমা একটা কাঁপুনি টের পায়। চোখমুখ শক্ত করে বলে, ‘সেটা কী?’

আরিফ উদাস গলায় বলে, ‘আমার কিডনি একটা। মানে একটা কিডনি নিয়েই আমার জন্ম হয়েছিল। কখনও তো শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হইনি তাই ব্যাপারটা ধরা পড়েনি।’

রেহনুমা বিস্ফারিত গলায় বলে, ‘এটাও সম্ভব!’

আরিফ এবার ওর দিকে তাকিয়ে বলে, ‘আমিও তাই ভেবেছিলাম। পরে শুনলাম প্রতি দু’হাজার জনে একজন নাকি এমন একটা কিডনি নিয়ে জন্মায় অথবা দু’টোর একটা কাজ করে।’

রেহনুমা চোখ কপালে তোলে, ‘তাই! কিন্তু তাতে কী? একটা কিডনি দিয়েই তো দিব্যি বেঁচে থাকে মানুষ। তাহলে?’

আরিফ করুণ গলায় বলে, ‘কিন্তু আমার একটামাত্র কিডনি সেটাও ফেইল করা শুরু করেছে। ডাক্তার বলল এটা এখন প্রাথমিক পর্যায় পার হয়ে গেছে। দ্রুতই ডায়ালাইসিসে যেতে হবে। আর একটা সময় নতুন কিডনি ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব হবে। রেহনুমা, আমি কী করে তোমাকে আমার এই অনিশ্চিত জীবনের সাথে জড়াই?’

শেষের কথাগুলো বলার সময় আকুল হয়ে ওর হাত চেপে ধরে আরিফ।

রেহনুমার বুকের ভেতর ভেঙেচুড়ে যাচ্ছিল। এতটা অসহায় লাগছে! কী করে এই ডুবে যাওয়া মানুষটাকে তুলে ধরে?

রেহনুমা ভাঙা গলায় বলে, ‘এখনও তো হাতে সময় আছে, আমরা কিডনি জোগাড় করে ফেলব আরিফ। তুমি একটুও ভেব না, আমি তোমার পাশেই থাকব।’

আরিফের চোখ ভিজে ওঠে, বলে, ‘আমি জানতাম তুমি পাশে থাকবে। কিন্তু কিডনির যে অনেক দাম। আর এটার প্রতিস্থাপনেও অনেক ব্যয়বহুল। আমাদের সাধ্যের বাইরে।’

রেহনুমা কী যেন একটা ভাবে, তারপর বলে, ‘তুমি তোমার সব রিপোর্টগুলো আমায় দেবে? মিতা আপার তো অনেক চেনা জানা আছে। ওনার সাহায্য নিয়ে দেখি কিছু একটা করা যায় কি না। তুমি ভেঙে পড়ো না, লড়াইটা আমরা একসাথেই লড়ব।’

আরিফ একটা লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে বলে, ‘খুব ইচ্ছে ছিল তোমাকে নিয়ে আমাদের পাতার সংসার পাতব। একটা টুনটুনি পাখি থাকবে আমাদের। কিন্তু সেসব যে আর কখনোই হবে না।’

রেহনুমা ওর হাত ধরে নরম গলায় বলে, ‘সব হবে, তুমি দেখে নিও।’

আরিফ মাথা নেড়ে দৃঢ় গলায় বলে, ‘না রেহনুমা, আমার এই অনিশ্চিত জীবনের সাথে কোনভাবেই তোমাকে জড়াতে পারি না।’

রেহনুমা হাসে, ‘আচ্ছা, দেখা যাক। তুমি কালই রিপোর্টগুলো নিয়ে আসবে।’

সেদিন প্রথমবারের মতো ওরা দু’জনে হাত ধরে হাঁটে। রেহনুমা আজ শক্ত করে ওর হাত ধরে থাকে যেন কখনোই ছাড়বে না এ হাত।

২.
ডাক্তার আজাহার কৌতুহলী চোখে ওর সামনে বসা মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছেন। এ যুগে এমনও হয়! ভালোবাসা বলে কিছু আছে কিনা ঘোর সন্দেহ ছিল। এখনকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে মনের ব্যাপারটা তো নেইই। কিন্তু এই মেয়েটা দেখছি সেসব ধারণা ভুল প্রমাণিত করে দেবে।

আজাহার চোখের চশমা খুলে এবার গম্ভীরমুখে বলেন, ‘আপনার কিডনি আরিফ সাহেবের সাথে যতটুকু ম্যাচ করেছে তা দিয়ে প্রতিস্থাপন সম্ভব। কিন্তু আইনগতভাবে আপনি সেটা করতে পারবেন না। আত্মীয় স্বজন তাও আবার কাছের হতে হবে, এরা ছাড়া কেউ কিডনি দান করতে পারে না। আপনি তো ওনার কেউ নন, মানে লিগ্যাল কোনো সম্পর্ক নেই। তাই আপনি বাদ।
আর একটা উপায় আছে, কেউ যদি মরণোত্তর কিডনি দান করে যায় সেক্ষেত্রে যে কারোরটা নেওয়া যেতে পারে। আপনি বরং খোঁজ রাখবেন কেউ এমন দান করে গেল কি না।’

রেহনুমা হতাশ চোখে তাকিয়ে থাকে। কিডনি ম্যাচ হয়েছে শুনে যতটা খুশি হয়েছিল, এবার ঠিক ততটাই হতাশ হলো।

সেদিন সারা রাত ও ভাবে। তারপর ভোরে একটা স্বপ্ন দেখে, ওর বিয়ে হচ্ছে লাল টুকটুকে একটা বিয়ের শাড়ি পরে। ও লাজুক মুখে বসে আছে, আর আরিফ বেহায়ার মতো ওর দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

সেদিন সকালে ঘুম ভাঙতেই রেহনুমার মন ভালো হয়ে যায়। কি করতে হবে এবার ওর জানা। একটা মেসেজ লিখে আরিফকে, ‘আজ বিকেলে পুকুর পাড়ে এসো।’

সেদিন বিকেলে রেহনুমা আরিফকে একটা অদ্ভুত কথা বলে, ‘আমার যে তোমাকে বিয়ে করতেই হবে, না হলে যে কিছু হবার নয়। আমার দু’টো কিডনি, দু’টোই সচল। কখনও যদি লাগে তাহলে আমার একটা দিয়ে দিব্যি তুমি বেঁচে যাবে। কিন্তু গোল বাঁধিয়েছে ঐ ডাক্তার। সে বলে কি না তোমার সাথে আমার কোনো লিগ্যাল সম্পর্ক নেই। আমি তোমার আত্মীয়ের মধ্যেও পড়ি না। শুধু ভালোবসলেই তো কিডনি দেওয়া যায় না। তাই বিয়ে করা ছাড়া কোনো উপায় দেখছি না। যদিও আমি বিয়ে করতে রাজি ছিলাম না। নেহায়েত আর কোনো উপায় নেই তাই এমন।’

শেষ কথাটা বলে ও ফিক করে হেসে ফেলে।

আরিফ শুধু চেয়ে থাকে, অসম্ভব কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করে। ভালবাসলেই বুঝি মানুষ এমন বলতে পারে! রেহনুমাকে আলতো করে জড়িয়ে ধরে বলে, ‘তুমি একটা আলোর মানুষ, আশেপাশের সবাইকে তুমি আলোকিত করে রাখো।’

রেহনুমা ওর বুকে মুখ রেখে বলে, ‘কিন্তু সবাই তো আমাকে অন্ধকার বলে, আমার গায়ের রঙ যে রাতের মতো কালো।’

আরিফ ওকে ছেড়ে দিয়ে মুখ টেনে তুলে বলে, ‘তুমি আমার আলো, তোমাতেই আলোকিত হই আমি। রেহনুমা, বাড়িতে কথা হয়েছে। আম্মা বলেছেন আমার তো বয়স হয়ে গেছে, জীবনের শেষ প্রান্তে। তাই একটা কিডনি উনিই দেবেন যদি সব ঠিক থাকে। তুমি ভেব না।’

রেহনুমা বাচ্চাদের মতো হাততালি দিয়ে বলে, ‘তাহলে তো হলোই। আমরা সবাই মিলে তোমাকে ঘিরে রাখব। কিন্তু তার আগে আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। তুমি খুব দুষ্ট, তোমাকে আর একা থাকতে দেব না কখনও।’

আরিফ হাসে, রেহনুমা এখন পুরো বাচ্চা একটা মেয়ে। জীবনে বেঁচে থাকা সত্যিই সুন্দর।

মে, ২০০২

৩.
আজাদ প্রোডাক্টসের বিয়ের কার্ড ডিজাইন করে যে মেয়েটা সে অবাক গলায় বলে, ‘কী বললেন, বিয়ের কার্ড কালো রঙের হবে? কিন্তু এমন তো কেউ দেয় না। অন্তত ভেতরে না।’

আরিফ একবার রেহনুমার দিকে তাকায়। ওর জোরাজুরিতেই এমন অদ্ভুত কার্ড ছাপানো। না হলে এই খরচটুকুও করত না ওরা। ওর ইচ্ছে ওর আত্মীয়স্বজন যারাই ওকে এতদিন কথা শুনিয়ে এসেছে তাদের এই দাওয়াতটা পৌঁছে দেবে। আরিফ ওর কষ্টটা সেদিন আরও বেশি করে অনুভব করেছিল।

আরিফ গলা খাকারি দিয়ে বলে, ‘হ্যাঁ, তাই হবে। আর কার্ডের ভেতরে এই কবিতাটা দেবেন –

“কৃষ্ণকলি কেউ বলে না তাকে
কালো তাকে বলে পাড়ার লোক
মেঘলা কোথা, সব ক’টা দিন খরা
কেউ দেখে না কালো হরিণ চোখ”

একজন দেখেছে, আর সেই মানুষটার সাথেই আমার বিয়ে। আপনাদের দাওয়াত রইল।
– রেহনুমা।

ডিজাইনার মেয়েটা অপলক তাকিয়ে থাকে, এবার যেন সব বুঝতে পারে। ও নিজেও কালো, তাই মনের এই যন্ত্রণাটা ও ঠিক বুঝতে পারে পরমাত্মীয়ের মতো।

নরম গলায় বলে, ‘আচ্ছা, তাহলে সিলভার কালারে লিখে দেব। আর এখন অনেকেই কার্ডের নিচে মোবাইল নম্বর দিয়ে দেয়, কোনো গেস্ট যদি আসতে না পারে সেটা জানিয়ে দেবার সুবিধার্থে।’

আরিফ রেহনুমার দিকে তাকিয়ে বলে, ‘তোমার নাম্বার দিয়ে দেই?’

রেহনুমা মাথা নাড়ে, তারপর বলে, ‘বিয়ের দিন তো আমি অনেক ব্যস্ত থাকব, ফোন হয়ত কাছেই থাকবে না। তোমার নাম্বারটা দিয়ে দাও।’

আরিফ মাথা নাড়ে, তারপর ডিজাইনার মেয়েটাকে বলে, ‘আমার মোবাইল নাম্বারটা দিয়ে দিন।’

কার্ডের অর্ডার দিয়ে ওরা রাস্তায় নামে। মে মাসের তীব্র গরম। রাস্তার মোড়ে কৃষ্ণচূড়া গাছে যেন আগুন লেগেছে। সেদিক মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকতে থাকতে রেহনুমা বাচ্চাদের মতো আবদার করে ‘আরিফ, ললি আইসক্রিম খাব, আর রোদ গায়ে মেখে রাস্তায় হাঁটব।’

আরিফ হাসে ওর পাগলামি কথা শুনে। তারপর কয়েকটা লাল, নীল সবুজ ললি আইসক্রিম কেনে।

ঢাকা শহরের মে মাসের এক উত্তপ্ত দুপুরে রাজপথে দু’টো শুদ্ধ মনের মানুষ হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছিল। আরেক হাতে বাচ্চাদের মতো রঙিন ললি আইসক্রিম খাচ্ছিল। আর একটু পর পর জিভ বের করে দেখাচ্ছিল যেটা লাল, নীল, সবুজ হয়ে রাঙিয়ে যাচ্ছিল।

(চলবে)

মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সুবাস
শিমুলতলী, গাজীপুর
২৩/০৪/২০২৩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here