#নিভৃত_কুহক (পর্ব ৯)
মে, ২০০৩
১.
মে মাসের শেষে সূর্য যেন আগুন ঢেলে দেয়। সারাদিন দাপিয়েও শান্তি নেই, রাতের বেলাতেও এতটুকু কমেনি। রেহনুমা হতাশ চোখে মাথার উপর ফুল স্পীডে চলা ফ্যানের দিকে তাকায়। ছাদের সব গরম বাতাস যেন টেনে নামাচ্ছে। রেহনুমা ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে সামনে খোলা হিসেবের খাতায় আবার মনোযোগ দেয়। আরিফের দিক থেকে ২৫-৩০ জন আসবে বিয়েতে। ওদের দিক থেকে ৪০ থেকে ৪৫ জনের বেশি হবে না। যদিও লোকজন বেশি না কিন্তু এটুকু আয়োজন করতে যেয়েই ওদের দু’জনের হিমশিম অবস্থা। তাও মিতা আপার জন্য অনেক কম টাকাতেই ঢাকা ইউনিভার্সিটির ক্লাবটা পাওয়া গেছে। এখন খাওয়া খরচটুকু যোগাড় হলেই হয়ে যায়। ক’দিন আগেই সুমির বিয়েতে ওর প্রায় সব সঞ্চয়ই ফুরিয়ে গেছে। এদিকে আরিফের উপর চাপ বাড়াতেও চায় না। একটা সময় চেয়েছিল সব বাদ দিয়ে কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করে ফেলতে।
আরিফ ভীষণ আপত্তি করেছিল, বলেছিল, ‘ছোট্ট করে হলেও সব কিছুই হোক। তোমার আমার মায়ার সংসার সুন্দর করেই শুরু হোক।’
রেহনুমা মনে মনে খুশিই হয়েছিল। কিন্তু এখন খরচের হিসেব করতে যেয়ে কিছুতেই কুলিয়ে উঠতে পারছে না। ও যখন হিসেব নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ঠিক তখন মনোয়ারা বেগম ওর কাছে এসে বসেন।
রেহনুমা মুখ তুলে তাকাতেই মনোয়ারা গম্ভীরমুখে বলে, ‘ক’দিন আগেই সুমির বিয়ে হলো। জানিসই তো সবার হাত খালি। তোকে যে একটা গয়না দেব, তাও তো নেই। এমন খালি হাতে কী করে তোকে বিদায় দেই? তুই আর ক’টা মাস পরে বিয়ের তারিখটা করতে পারলি না? এত বছর যখন দেরি হলোই তখন আর ক’টা মাস পরে করলে কি হতো?’
কথাটা সত্যি। সুমির বিয়ের জন্য আসলেই ওদের হাত খালি। আর ক’টা মাস ও অপেক্ষা করতেই পারত। তাতে করে সব ঠিকঠাক করে হয়ে যেত। অন্তত এত টানাটানি থাকত না। কিন্তু ওর মনের ভেতর যে একটা অজানা ভয় কুড়ে কুড়ে খায়। আরিফের শরীর সত্যিই ভালো না। মাকে ওর কিডনির ব্যাপারটা বলেনি। তাতে বাবা মা কিছুতেই রাজি হতো না, অশান্তি বাড়ত। রেহনুমা আর একটা দিনও দেরি করতে চায়নি। আরিফকে ও হারাতে পারবে না কিছুতেই। ওকে সুস্থ করে তুলবেই ও। ওর মা যদিও কিডনি দেবেন বলেছেন, কিন্তু দরকার পড়লে ও নিজের কিডনি দিয়ে হলেও ওকে বাঁচিয়ে রাখবে। আর সেজন্যই যে এত তাড়াহুড়ো। মাকে যে সব খুলে বলা যাচ্ছে না এই মুহুর্তে।
রেহনুমা আলতো করে বলে, ‘মা, আমি কিছু ইমিটেশনের গয়না কিনে ফেলব। আর এটা নিয়ে আরিফের সাথে কথাও হয়েছে। ওদের দিক থেকে কেউই এটা নিয়ে কথা তুলবে না। তুমি একটুও ভেব না মা, আমি সব সামলে নেব।’
মনোয়ার দুঃখিত চোখে মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকেন। এতদিন পর মেয়েটার একটা বিয়ে ঠিক হলো আর ওরা মেয়ের জন্য কিছুই করতে পারছেন না। একটা সোনার হারও না। এই কষ্ট কই রাখেন মনোয়ারা! ধরা গলায় বলেন, ‘তুই মনে কষ্ট রাখিস না। গরীব বাবা মায়ের অনেক কষ্ট। অনেক ছোটলোকি কাজ করতে হয়। তোর জন্য রাখা হারটা সুমিকে দিয়ে দিত হলো। ভেবেছিলাম তুই তো রোজগার করিসই, তোরটা তুই করে নিবি। আমি একটা স্বার্থপর মা, পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিস।’
বহুদিন পর রেহনুমার বুকের ভেতরে গোপনে জমিয়ে রাখা অভিমানের বরফ আজ গলে। চোখ ভিজে ওঠে, ঠোঁট চেপে কান্না সামলে বলে, ‘মাগো, আমি বুঝি সব। তুমি একটুও কষ্ট পেও না। সুমির বিয়েতে তুমি যা করেছ একদম ঠিক করেছ।’
মনোয়ারা রেহনুমাকে জড়িয়ে ধরতেই ও আর কান্না সামলাতে পারে না। মনোয়ারারও দু’চোখ বেয়ে কষ্টের নোনা জল ঝরে।
সেদিন রাতে মনোয়ারা কিছুতেই ঘুমোতে পারেন না। রেহনুমা যতই বলুক কিন্তু কেন জানি শান্তি হচ্ছে না। সেদিনের সেই হারটা দিয়ে দেবার ঘটনা কিছুতেই মাথা থেকে সরাতে পারছেন না। হঠাৎ করেই একটা কথা মনে হতেই একটু আশার আলো দেখতে পান। সুমিই পারে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করতে।
পরদিন রাতে রেহনুমা যখন বাসায় ফেরে দেখে সুমি এসেছে। মুখটা উজ্জ্বল হয়ে যায়, উচ্ছ্বসিত গলায় বলে, ‘সুমি এসেছিস, খুব ভালো হয়েছে। আমি একা কুলিয়ে উঠতে পারছি না। দাঁড়া আমি হাত মুখ ধুয়ে আসি, অনেক গল্প করব।’
সুমি মাথা নেড়ে বলে, ‘না রে আপু। একটু পরেই সোহেল আসবে নিয়ে যেতে। তোর সাথে একটা জরুরি কথা আছে।’
রেহনুমা চিন্তিত গলায় বলে, ‘কী হয়েছে, বল তো।’
সুমি ওকে টেনে পাশের রুমে নিয়ে যায়। ব্যাগ থেকে একটা ছোট্ট গয়নার বাক্স বের করে ওর হাতে দেয়। তারপর নিচু গলায় বলে, ‘আপু, মা বলল তোর বিয়েতে দেবার মতো সোনার একটা হারও নেই। তাই এগুলো নিয়ে এলাম।’
রেহনুমা বুকের ভেতর একটা মায়া টের পায়। ওর সেই ছোট্ট বোনটা কবে কবে এমন বড় মানুষ হয়ে গেল? বাক্সটা খুলতেই মায়ের সেই গলার হারটা দেখতে পায় যেটা একসময় মা ওর জন্যই তুলে রেখেছিল। পাশে একটা বড় ঝুমকো কানের দুল। হাতের এক জোড়া বালাও। সুমি এগুলো ওর শ্বশুর বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছে! ওর হাসব্যান্ড এত ভালো! এগুলো ওকে দিচ্ছে! কেমন একটা অবিশ্বাস নিয়ে ও তাকিয়ে থাকে।
সুমি বড় আপুর বিস্ময়টা উপভোগ করে। তারপর একটু দ্বিধান্বিত গলায় বলে, ‘আপু, এগুলো আমি না বলে নিয়ে এসেছি। তুই বিয়ের দিন পরে আমাকে ফেরত দিয়ে দিস। আর একটু সাবধানে রাখিস, হারিয়ে না যাই। বুঝিসই তো, এত এত দামি সব গয়না।’
রেহনুমা একটা ধাক্কা খায়। এবার ওর কাছে ব্যাপারটা পরিস্কার হয়ে যায়। সেইসাথে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাসও ফেলে। এতক্ষণ ওর দমবন্ধ লাগছিল, এতগুলো গহনা ওকে দেবে কেউ! ছোট বোনটার জন্য খুব মায়া হয়। আহারে, ও কত ঝুঁকি নিয়ে গয়নাগুলো নিয়ে এসেছে বড় বোনের জন্য।
রেহনুমা অনেক মায়া নিয়ে সুমিকে জড়িয়ে ধরে বলে, ‘সুমি, এগুলো নিয়ে যা। বুঝিসই তো বিয়ে বাড়িতে কত ঝামেলা। হঠাৎ এগুলো হারিয়ে গেলে আমরা তো বিপদে পড়বই, মাঝখান দিয়ে তোর সংসারে অনেক অশান্তি হবে। মাকে কাল বুঝিয়ে বলেছি, তাও মা তোকে বলেছে। আমি চালিয়ে নেব, তুই একটুও ভাবিস না। তুই যে এটুকু ভেবেছিস তাতেই আমার অনেক আনন্দ হচ্ছে। আমার লক্ষ্মী বোন।’
সুমি ছোট বোনের বুকে মুখ রেখে বলতে থাকে, ‘আমরা কিছুই করতে পারলাম না আপু তোর জন্য। অথচ তুই সেই কবে থেকেই আমাদের জন্য করে যাচ্ছিস। আমরা এত অসহায় কেন আপু!’
রেহনুমার চোখ ভিজে আসে। না, অসহায়ত্বের জন্য না, বরং সংসারের এই ছোট ছোট মায়ার জন্যই বুঝি চোখ ভিজে আসে। ছোট বোনকে আরও শক্ত করে চেপে ধরে আবেগটা সামলায়।
২.
নিউমার্কেটে ইমিটেশনের গয়নার দোকানে বেশ ভীড়। তার মধ্যেই রেহনুমা বার বার উল্টেপাল্টে গলার একটা হার দেখছে। ইমিটেশনের জিনিস তাও দু’হাজার চাচ্ছে। প্রথমে তো সাড়ে তিন হাজার চেয়েছিল। রেহনুমা দরাদরি করে দু’হাজারে নামিয়েছে। আরিফ মন খারাপ করে রেহনুমার দিকে চেয়ে আছে। একটা সোনার হারও গড়ে দিতে পারল না ওকে! এই কষ্ট ও কোথায় রাখে? জীবনে ভালো সময় আসবে, গহনা গড়ার টাকাও হয়ত হবে। কিন্তু আজকের এই মায়াময় দিন যে আর কখনই ফিরে আসবে না। ভীষণ অসহায় লাগে। ইচ্ছে করছে ওর সবটুকু দিয়ে একটা সোনার হার গড়ে দেয়। কিন্তু বাস্তবতা যে আসলেই রুঢ়।
সেদিন ওরা দু’জনে ঘুরে ঘুরে বিয়ের টুকিটাকি সব জিনিস কিনে ফেলে। জোর করে ওর জন্য একটা দামি বিয়ের পাঞ্জাবি কিনে দেয় রেহনুমা। আরিফ বার বার বলছিল, ‘একটা দিন তো মোটে, তার জন্য এত দাম দিয়ে পাঞ্জাবি না কিনলেই না?’
রেহনুমা চোখ পাকিয়ে বলেছিল, ‘তাহলে বুঝি সেই পুরনো পাঞ্জাবিটাই পরে আসবে, তাই না? একদিনের জন্য হলেও এটা আমাদের সারাজীবনের স্মৃতি।’
আরিফ মন খারাপ গলায় বলে, ‘কিন্তু তোমাকে যে একটা সোনার হার কিনে দিতে পারলাম না। এটাও যে সারাজীবনের জন্য কষ্টের স্মৃতি হয়ে থাকবে।’
রেহনুমা সুন্দর একটা হাসি দেয়, তারপর নিঃসংকোচে ওর হাত ধরে নরম গলায় বলে, ‘তোমার মায়াটুকুই আমার গলার হার, সবকিছু। খবরদার, এগুলো নিয়ে একটুও মন খারাপ করে থাকবে না।’
আরিফ খেয়াল করে রেহনুমার চোখেমুখে অদ্ভুত একটা সুখের আলো খেলা করছে। যে সুখটা ওকেও সমান ভাবে ছুঁয়ে যায়।
বিকেলের দিকে ওরা যখন বিয়ের শাড়ি দেখতে শুরু করে তখন রেহনুমা ফিসফিস করে বলে, ‘আরিফ, জানি তোমার খুব টানাটানি। কিন্তু আমাকে একটা সুন্দর শাড়ি কিনে দেবে? সোনার গহনা না হলেও হবে। কিন্তু বিয়ের শাড়িটা আমি স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রেখে দেব। আমার ছেলে হলে ওর বউকে দিয়ে দেব আর মেয়ে হলে ওর বিয়েতে দেব, ও পরবে।’
কথাটা বলেই রেহনুমা ঝপ করে লজ্জা পেয়ে যায়। মুখ নিচু করে কোথায় লুকোবে তাই ভেবে পায় না। আর আরিফ বুকের ভেতর একটা কুলকুল করে সুখের নদী বয়ে যাবার শব্দ পায়। ওদের সত্যিই একটা ছোট বাবু হবে! এত সুখ ছিল ওর এই এত না পাওয়া জীবনে! কী দারুণ একটা চাওয়া যা এইমাত্র রেহনুমা বলল।
রেহনুমা আগ্রহের সাথে শাড়ি দেখতে থাকে। আর আরিফ ওর চোখেমুখে মায়ার সংসার দেখতে থাকে।
৩.
কাল রেহনুমার বিয়ে। সুমি আজ বিকেলেই চলে এসেছে। আজ সারারাত দু’বোন গল্প করবে। বিয়ের সব আয়োজন মোটামুটি সম্পন্ন। বাবা কেমন মুখ কাঁচুমাচু করে রাখেন সারাক্ষণ। রেহনুমা বুঝতে পারে বাবার অস্বস্তির কারণ। আজ সকালে অনেকক্ষণ বাবাকে বুঝিয়েছে ও। কিন্তু বাবা বার বার নিজের অক্ষমতাকেই দোষ দিচ্ছেন। বড় সন্তানের বিয়েতে একটা কিছু দিতে না পারার কষ্ট কিছুতেই দূর হয় না।
রাতে খেয়ে ওরা যখন বিছানায় যায় ঠিক তখন আরিফের মেসেজ আসে। রেহনুমার বুক চলকে ওঠে, আবার কোনো খারাপ খবর না তো?
রেহনুমা কাঁপা হাতে বাটন চেপে মেসেজ খোলে, চেয়ে দেখে আরিফ লিখেছে, ‘একটু নিচে নামবে?’
রেহনুমা চকিতে একবার জানালা দিয়ে তাকায়, আরিফ নিচে দাঁড়িয়ে। হঠাৎ করেই লজ্জা লাগে কেমন। অথচ এতদিন একসাথে ঘুরেছে কত, তখন এমন হয়নি। আজ কেন যেন ওর সামনে যেতে লজ্জা লাগছে। সুমিকে বলতেই খিলখিল করে হেসে বলে, ‘রাতটুকুও সহ্য হচ্ছে না দুলাভাইয়ের।’
এবার যেন রেহনুমা লজ্জায় নীল হয়ে যায়, চাপা গলায় ধমক দিয়ে বলে, ‘যা তা বলিস। দাঁড়া, আমি দেখে আসি ও কী বলতে এসেছে।’
রেহনুমা দ্রুত নিচে নামে। পেছন থেকে সুমি হাসতে হাসতে বলে, ‘কী আর বলবে, আই লাভ ইউ বলতে এসেছে।’
রেহনুমা নিচে নেমে একটু হাঁপায়। তারপর ধীর পায়ে আরিফের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকায়। আরিফ হেসে বলে, ‘সরি, এত রাতে তোমাকে কষ্ট দিলাম।’
রেহনুমা নরম গলায় বলে, ‘নাহ, সমস্যা নেই। জরুরি কিছু ছিল?’
আরিফ পকেট থেকে একটা কাপড়ের পুঁটলি বের করে ওর হাতে দেয়, তারপর বলে, ‘এটা রাখো। আজ বাড়ি থেকে মা, বাবা সহ সবাই এসেছে। মা এটা তোমাকে দিতে বললেন।’
রেহনুমা প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে, ‘কী এটা?’
আরিফ অনেক মায়া নিয়ে বলে, ‘মায়ের বিয়ের হার। ভারী কিছু না। কিন্তু তুমি পরো এটা। আমার পক্ষ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু দেবার সামর্থ্য নেই।’
রেহনুমা চেয়ে থাকে, আরিফের কাঁচুমাচু মুখটা দেখে ইচ্ছে করছে এখুনি বুকে টেনে নেয়। ইচ্ছেটা সামলায়, তারপর নরম গলায় বলে, ‘তোমার সামর্থ্য এই পৃথিবীর মানুষ জানে না এখনও। আমার জন্য তোমার মায়াটুকুই আমার গলার হার, কানের দুল, হাতের বালা। সবাই হয়ত সব পায়, কিন্তু মায়াটুকু খুব কম মানুষ পায়। আরিফ, তুমি কখনোই এমন ভাববে না। তুমি থাকলেই নিজেকে আমি পরিপূর্ণ মনে করি, ঋদ্ধ মনে করি। তোমার মায়াটুকুই যে আমার সম্পদ।’
আরিফের চোখ জ্বালা করে ওঠে। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটার এক সমুদ্র মায়ার কাছে ও অনেক আগেই হেরে বসে আছে। আজ যেন নতুন করে এই মানুষটার ভেতর এক নিভৃত কুহকের দেখা পায়। নিজেকে সত্যিই এখন ঋদ্ধ মনে হয়।
রাত পোহালেই আরিফ রেহনুমার বিয়ে। এই পৃথিবীর দু’জন মায়াময় মানুষের কাছে আসার দিন, মায়ার বসতবাড়ি গড়ে তোলার দিন।
(চলবে)
মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সুবাস
শিমুলতলী, গাজীপুর
২৪/০৪/২০২৩