বইছে আবার চৈতী হাওয়া তৃতীয় পর্ব ৫.

0
556

বইছে আবার চৈতী হাওয়া
তৃতীয় পর্ব
৫.

আজ মীরার মনটা অসম্ভব খারাপ I ল্যাব না থাকায় ক্লাস শেষ করে আজ শুভর সঙ্গে বেরিয়েছিল I দুজনে মিলে একটা রেস্টুরেন্টে বসেছিল I গত এক বছর ধরে ওদের সম্পর্ক হলেও ডিপার্টমেন্টে খুব একটা একসঙ্গে দেখা যায় না দুজনকে I যে যার বন্ধুবান্ধব নিয়েই ক্যান্টিনে ,সেমিনারে যায় I মাঝে মাঝে কথা হয় টেক্সটে I টেক্সটের মাধ্যমে শুভ জানিয়ে দেয় কোথায় যাবে ,কখন ,কোথা থেকে রিকশা নেবে I

টিএসসি, কার্জন হল কিংবা কলাভবনে বসতে চায় না শুভ I সাধারণত কোন রেস্টুরেন্ট কিংবা কফি শপে বসে I এই ব্যাপারটা ও ভালো লাগেনা মীরার I শুভ একগাদা খাবার অর্ডার করে I কখনোই মীরাকে বিল দিতে দেয় না I বেশ কয়েকবার মীরা চেয়েছে কিন্তু শুভ রাজি হয়নি I মীরা একটা টিউশনি করে Iএকটা কোচিং এ সপ্তাহে দু’দিন ক্লাস নেয় I এর বাইরে ও কিছু বাড়তি ইনকাম আছে ওর I মীরা ভালো মেহেদি পড়াতে পারে ,হ্যান্ড মেড গয়না বানায় I হলের মধ্যে টুকটাক বিক্রি হয় I খরচ খুব একটা বেশি পড়ে না বলে ভালই লাভ থাকে I তবুও শুভ কখনো ওকে খরচ করতে দেয় না I মীরার মনটা খচখচ করে I তাই ও প্রায়ই শুভর জন্য উপহার কিনে নিয়ে যায় I এটা অবশ্য এমন কিছু না হলেও করত I শুভর জন্য কিছু কিনতে খুব ভালো লাগে ওর I কবিতার বই , ভালো কলম, ডাইরি এসবকিছুই মীরা কেনে যেদিন টিউশনির টাকা পায় I দামি কিছু কিনতে পারে না I এই টাকা দিয়েই চলতে হয় ওকে I মীরা চেষ্টা করে বাড়ি থেকে টাকা না নিতে I যদিও প্রতিমাসেই বড় চাচা বিকাশ করে দেন I যত্ন করে সেই টাকাটা জমিয়ে রাখে ও I ওর খুব শখ একদিন নিজের একটা হ্যান্ড মেড গয়নার দোকান দেবে I
মীরার শৈশব কৈশোর কেটেছে ময়মনসিংহে I ওদের নিজেদের বাড়ি ওখানে I স্কুল-কলেজ ওখান থেকেই শেষ করেছে Iকলেজ শেষ করার পর , ঢাকায় পড়তে আসার ব্যাপারে মায়ের সম্মতি ছিল না I

মীরার বাবা নেই I ছোট দুই বোন স্কুলে পড়ে I বড় চাচা আর মীরার বাবা পৈতৃক বাড়িতে এক সঙ্গেই থাকতেন I দুজনে মিলে একসঙ্গে ব্যবসা শুরু করেছিলেন I তিনটা কাপড়ের দোকান ওদের I হঠাৎ করেই এক্সিডেন্টে মীরার বাবা মারা যাবার পর সব কেমন এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল I মিরা তখনও স্কুলের গন্ডি পেরোয়নি Iওর মা ,হালিমা বেগম তিন মেয়েকে নিয়ে অকূল পাথারে পড়েছিলেন I সেই সময় বড় চাচা হাল ধরেছেন I তার একমাত্র ছেলে সৌরভেরকে দোকানের দায়িত্ব নিতে বলেছিলেন I সৌরভের তখন মাত্র গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছে ময়মনসিংহ সরকারি কলেজ থেকে I এমনিতেও ওর পড়াশোনায় মন নেই I পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে আড্ডা মেরে বেড়ায় I এই সুযোগে বড় চাচা ওকে দোকানে বসিয়ে দিলেন I উনি ভেবেছিলেন হালিমা হয়তো রাজি হবেন না I ব্যবসা বুঝে নিতে চাইবেন I কিন্তু সেরকম কিছু হল না I বড় চাচা সৎ মানুষ I উনি সব দলিলপত্র হালিমা বেগম কে বুঝিয়ে দিলেন I এটাও বললেন যে ওরা চাইলে আলাদা থাকতে পারে I হালিমা বেগম রাজি হননি I এখানে মাথার উপর বটবৃক্ষ আছে I একা একা তিনি কীভাবে চলবেন তিন মেয়েকে নিয়ে I এছাড়াও তার মনের সুপ্ত ইচ্ছা সৌরভের সঙ্গে মীরার বিয়ে দেবার I এতে বাড়ি এবং সম্পত্তি দুটোই নিজেদের কাছে থাকবে I সৌরভের ও যে মীরর ব্যাপারে আগ্রহ, এটা উনি ভালই বোঝেন I

মিরা অবশ্য এসবের কিছুই জানতো না I এইচএসসিতে ভালো রেজাল্টের পর অনেক চেষ্টা করেও মাকে রাজি করাতে পারেনি ,ঢাকায় পরীক্ষা দেবার ব্যাপারে I অগত্যা বাধ্য হয়েই মীরা বড় চাচার শরণাপন্ন হয়েছিল I বড় চাচা মীরাকে অসম্ভব স্নেহ করেন I আদরের ভাতিজির কথা ফেলতে পারলেন না উনি I নিজেই হালিমা বেগম কে রাজি করালেন I তারপর সৌরভেকে সঙ্গে দিয়ে মীরাকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন I মীরার ছোট খালা রেহানা থাকে ঢাকার শ্যামলীতে I এমনিতেও ঢাকা-ময়মনসিংহ ঘন্টা তিনেকের পথ I ছুটিছাটায় একাই চলে আসতে পারবে I খালার বাসায় থেকেই ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে পর দিন ফিরে গিয়েছিল মীরাI এক মাস পর আবার ফিরে এসেছিল ভর্তির জন্য I ভর্তির কাজকর্ম শেষ হবার পর বিদায় নেবার সময় সৌরভ বলেছিল
– কিরে মীরা , এখানে এসে আবার আমাদের ভুলে যাবিনা তো ?
মিরা অবাক হয়ে বলেছিল
– কি যে বল ভাইয়া I আমি তো ছুটি পেলেই বাড়ি চলে যাব I
– আবার প্রেম-টেম শুরু করে দিস না
মিরা ভীষণ লজ্জা পেয়েছিল এই কথা শুনে I সেদিনও ভাবতে পারেনি যে সত্যিই ওর জীবনে প্রেম আসবে I এবং সেটাও এত দ্রুত I

আজও মনে আছে ওদের প্রথম দেখা হবার দিনটা Iমীরা তখনো হলে সিট পায়নি I শ্যামলীতে উঠেছিল খালার বাসায় I ঢাকার রাস্তাঘাট ভাল চেনে না I প্রথম দিনের ক্লাসের উত্তেজনায় সারা রাত ঘুমাতে পারেনি I সকাল সকাল রওনা দেবার পরও দেরি হয়ে গিয়েছিল I আটটায় ক্লাস I মিরা ডিপার্টমেন্টের ঢুকলো সাড়ে আটটায় I ক্লাস রুম কোথায় ও জানে না I সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে স্যান্ডেল ছিড়ে গেল I হঠাৎ করেই কান্না পেয়ে গেল মীরার I কি করবে কিছুই বুঝতে পারছিল না I ঠিক তখনই সামনে থেকে একজন বলল
– ফাস্ট ইয়ার ?
মিরা টলটলে চোখ নিয়ে তাকালো
– জি
– তোমাদের ক্লাস রুম তো অন্যদিকে I তুমি এখানে কি করছ ?
মিরা জবাব দিল না i হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখ মুছলো I ছেলেটা হাসতে হাসতে বলল
– স্যান্ডেল ছিড়ে ফেলেছ ?
আরো হয়তো কিছু বলত , কিন্তু মীরার অবস্থা দেখে আর সাহস করলো না I বরং বলল
– জাহাঙ্গীর আলম স্যারের ক্লাস I দেরি হয়ে গেলে আর ঢুকো না I স্যার ভীষণ রাগ করেন I তারচেয়ে বরং রাস্তার উল্টোদিকে একজন জুতো সারাই করার লোক আছে , তার কাছে গিয়ে স্যান্ডেলটা ঠিক করে নাও I
– উল্টোদিকে কোথায় ?
– আচ্ছা চলো, আমি নিয়ে যাচ্ছি I
-আপনি নিয়ে যাবেন ?
-আমি শুভ I তোমাদের দুই ব্যাচ সিনিয়র I তোমার নাম ?
– মিরানা ইসলাম I

খুব সাধারণভাবে ওদের পরিচয়টা হলেও তখন মিরার প্রথম কৈশোর I চোখ ভরা রঙিন স্বপ্ন I শুভকে ভীষণ ভাল লেগেছিল ওর I তবে ঠিক প্রেমে পড়েনি I এর কিছুদিন পর থেকেই থার্ড ইয়ারের রেশমা আপা প্রায়ই ওদের ক্লাসে আসতেন গল্প করতে I একদিন মীরাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন
– শুভকে তোর কেমন লাগে রে ?
– আমার ?
– হ্যাঁ
– শুভ ভাইয়াকে ? ভালো I কেন আপু ?
-ও তোকে পছন্দ করে I তোর অ্যান্সারটা যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে আমাকে জানিয়ে দিস I
ভীষন নার্ভাস হয়ে গিয়েছিল মীরা সেদিন I ওর এই অবস্থা দেখে রেশমা আপা হাসতে হাসতে বলেছিলেন
– ঠিক আছে এখন কিছু বলতে হবেনা I কাল জানালেই হবে I
যদিও শুভ পর দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করেনি I বিকাল নাগাদ ফোন করেছিলো Iমিরা এড়িয়ে যেতে পারেনি I শুভকে ভালো না লাগার কোন কারণ ছিলনা I শুভ দেখতে সুন্দর I সচ্ছল পরিবারের ছেলে I রেজাল্ট ও সেরকম ভাল I এরপর থেকে প্রতিদিন ফোনে কথা হতো I আস্তে আস্তে সম্পর্কের গভীরতা বাড়লো I কিন্তু ওদের সম্পর্কটা বরাবরই টলটলে দীঘির জলের মতন I সেখানে সমুদ্রের উত্তালতা নেই I নেই কোন উথালপাথাল জোয়ার ভাঙ্গা প্রেম I তবুও মীরা শুভকে ভালোবেসেছে I কখনও কোনও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রাখেনি নিজের ভেতরে I তবে আজ মনে হল শুভ হয়তো ওকে সেইভাবে ভালোবাসেনি I তা নাহলেও কিভাবে শুধু নিজের কথা ভেবে ফিউচার প্লান করছে Iশুভর আগামী পাঁচ বছরের পরিকল্পনা দেখে মীরা গম্ভীর হয়ে গিয়েছিল I শুভ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিল
– কি হল ? তোমার ভাল লাগেনি ?
– তোমার মত আমারও কিন্তু আগামী পাঁচ বছরের কিছু প্ল্যান আছে I জরুরী না যে তোমার সাথে সেটা মিলবেই I
মীরা ভেবেছিলো একথা শুনে হয়তো শুভ পাল্টা জিজ্ঞেস করবে , তোমার প্ল্যান গুলো কি I কিন্তু শুভ বিশেষ একটা পাত্তা দেয়নি I এতে আরো মন খারাপ হয়েছিল মীরার I

রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে শুভ রিক্সা করে দিল I মীরা ইচ্ছা করেই হলের গেটে না নেমে উল্টোদিকে নামল I ততক্ষণে বিকেলের আলো মিলিয়ে গেছে I গাঢ় অন্ধকারে নেমেছে চারিদিকে I মীরা অনেকক্ষন দাড়িয়ে রইল I ও জানে আজ শুভ আসবেনা I একটু আগেই ওর সঙ্গে দেখা হয়েছে I তবু দাঁড়িয়ে থাকতে ভালো লাগছে I খুব হাহাকার করছে বুকের ভেতরটা I মনে হচ্ছে কেউ একজন আসুক, যার জন্য আজন্ম অপেক্ষা করা যায় I

৬.
– আরে মামু , শয়তানের হজ পালন নাকি ?
আশিককে লাইব্রেরী থেকে বের হতে দেখে রাসেল এগিয়ে এসে প্রশ্নটা করল I আশিক একটু লজ্জা পেল I তারপর বলল
– আরে ধুর I কালকে সকাল আটটার মধ্যে অ্যাসাইনমেন্ট জমা না দিলে, ম্যাডাম আমার খবর করে ফেলবে I
পঞ্চাশোর্ধ নুরুন্নাহার ম্যাডামকে দেখলে অন্তরাত্মা খাঁচাছাড়া হয়ে যায় সবার I মাঝারি উচ্চতা, বব কাট চুল ,মোটা ফ্রেমের চশমা আর শাড়ির সঙ্গে রানিং সু I তার ওপর তাঁর গমগমে কণ্ঠস্বর I ছাত্ররা তো কোন ছার শিক্ষকেরা অবধি সমঝে চলেন তাকে I এইরকম একজনের নাম হয়ে গেল শিশির ভেজা ভোরের ফুল I ম্যাডাম জানতে পারলে আশিকের আর অনার্স পাশ করা লাগবে না I রাসেল মজা করে বলল
– ম্যাডাম তো পইটা গেছে মনে হয় I
আশিক হাসতে হাসতে বলল
– এটাও তো কম ভয়ের কথা না I
দুই বন্ধু কিছুক্ষণ প্রাণ খুলে হাসল I রাসেল বলল
– প্রিন্ট আউট নিছস ?
– এখনো না I কিছু কারেকশন আছে I বাসায় গিয়ে নিব I
– যাবি নাকি একটু চিপায় ?
– আজকে না I মাথা ব্যথা করতেছে I
– চলনা I দুইটা টান মারলে মাথা ব্যথা চইলা যাইব I
– আচ্ছা চল I
শীতের সন্ধ্যা গুলো দ্রুত নামে I আজ আবার একটু মেঘ ও করেছে Iতাই ঝুঁপ করেই অন্ধকার নেমে গেল I সেই সঙ্গে যুক্ত হলো উত্তরে হাওয়া I আজ আশিক উঠে পড়েছে রাত বাড়ার আগেই I গায়ের গেরুয়া চাদরটা আরও একটু ভালো করে জড়িয়ে নিয়ে হাঁটতে লাগলো অন্ধকারে I রাতের ক্যাম্পাস হাঁটতে ভালো লাগে ওর I আশিক অন্যমনস্ক হয়ে হাঁটতে লাগলো I বেশ কিছুদিন ধরে কয়েকটা কবিতার অনুবাদ নিয়ে কাজ করছিল I কিছুতেই পছন্দসই হচ্ছিল না I ক্রসিংটা পার হয়ে এক মুহূর্তের জন্য থমকে দাঁড়ালো I রাস্তার উল্টোদিকে মেয়েটা দাড়িয়ে আছে I আজও মুখ দেখা যাচ্ছেনা I আশিক ঘোর লাগা চোখে তাকিয়ে রইল I আর ঠিক তখনই হঠাৎ করে জট খুলে গেল , আর কবিতার লাইনটা চলে এল মাথায় I

‘ চুম্বনে প্রমান প্রেমের
নাইবা দিলে হে প্রিয়
অধরের কম্পনে তব
সম্মতি টুকু শুধু দিও ‘

আশিক নিজেই আশ্চর্য হয়ে গেল Iমির্জা গালিবের এই কবিতাটা অনেক দিন ধরে অনুবাদ করার চেষ্টা করছিল I কিছুতেই মনমত হচ্ছিল না I আজ হঠাৎ কি হল ? কোথাও লিখে ফেলতে হবে I তা না হলে পরে ভুলে যাবে I আশিক ফোন বের করে মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করে রাখল I চকিতে একবার তাকিয়ে দেখল I মেয়েটা এখনো দাঁড়িয়ে আছে I মনে হলো ,একবার রাস্তা পার হয়ে গিয়ে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত I আশিক ধীর পায়ে রাস্তা ধরে এগোতে লাগলো Iআর ঠিক তখনই লক্ষ্য করলো মেয়েটা ও রাস্তা পার হয়ে উল্টো দিকে আসছে I ঠিক মাঝামাঝি জায়গায় এসে এক মুহূর্তের জন্য পাশ ফিরে তাকাল আশিক I না , মেয়েটা অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে আছে I আজও মুখটা দেখা হলো না I রাস্তা পার হয়ে একবার মুখ ফিরিয়ে দেখল আশিক I কোথাও খুঁজে পেলা না I এত তাড়াতাড়ি কোথায় হারিয়ে গেল Iআশিক আনমনে হাসল একটু I তারপর আপন মনেই বললো

কোথাও রয়েছ , জানি,- তোমারে তবুও আমি ফেলেছি হারায়ে;
পথ চলি- ঢেউ ভেজে পায়ে ;
তুমি এই রাতের বাতাস,
বাতাসের সিন্ধু- ঢেউ,
তোমার মতন কেউ
নাই আর !
অন্ধকার- নিঃসাড়তার
মাঝখানে
তুমি আনো প্রাণে
সমুদ্রের ভাষা ,
রুধিরে পিপাসা
যেতেছ জাগায়ে ,
ছেঁড়া দেহে – ব্যথিত মনের ঘায়ে
ঝরিতেছ জলের মতন ,-
রাতের বাতাসে তুমি ,- বাতাসের সিন্ধু- ঢেউ,
তোমার মতন কেউ
নাই আর ।

চলবে ………

আজকের কবিতাটা- জীবনানন্দ দাশ এর ধূসর পান্ডুলিপি থেকে নেয়া I আর মির্জা গালিবের অনুবাদটা আমার নিজের করা I আনাড়ি হাতের অনুবাদ I ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন পাঠকেরা, এই আশাই রাখছি I

প্রথম দিককার পর্বগুলো লেখা বেশ বিরক্তিকর I চরিত্রগুলোর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে হয় I না চাইতেও একেকটা পর্ব অনেক বড় করতে হয় I এর মধ্যে যদি দেখা যায় পাঠক সংখ্যা কমে যাচ্ছে , তখন আর টাইপ করতে ইচ্ছা করে না I এই গল্পটা বেশ বড় হবে মোটামুটি ত্রিশের উপরে পর্ব থাকবে I যারা একসঙ্গে জমিয়ে পড়তে চান তাদের বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে I কারণ সপ্তাহে দুটো পর্বের বেশি সম্ভবত দিতে পারব না I যারা আগ্রহ নিয়ে ধৈর্য ধরে সঙ্গে আছে তাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ I

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here