#তুমি_আমি_দুজনে
#লেখিকা_হুমাইরা_হাসান
পর্ব- ৭
প্রচন্ড বিহ্বলিত হয়ে তুরা তাকিয়ে আছে আহানের দিকে,,এখন কি হবে! লোকটা এমন ডেঞ্জারাস লুক দিয়ে আছে যে তাকে চিবিয়ে ফেলতেও দুবার ভাববে নাহ, তুরা শুকনো ঢক গিলে একবার আহানের দিকে চাইলো আরেকবার নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফুলগুলোর দিকে।
কম হলেও চার পাঁচটা ফুল ছিড়ে ফেলেছে সে, ডিসকোভারি চ্যানেলে একবার দেখেছিলো তো কিভাবে তেল বের করতে হয় সূর্যমুখীর ফুল থেকে তাও তো পারলো নাহ। উল্টো ফেসে গেলো লোকটার সামনে। এখন যদি তাকে মে’রে ঠ্যাং ভে’ঙে দেয়?
একবার এদিক ওদিক তাকালো তুরা আশেপাশে সূর্যমুখীর গাছ গুলোতে ঢাকা,আর বের হওয়ার রাস্তাটাই আহান দাঁড়িয়ে, পালাবে কি করে সে?
-এত রাতে এখানে কি? আর এসব কি করেছো তুমি? ফুল ছিড়েছো কোন সাহসে!
নিস্তব্ধ রাতে আহানের চাপা স্বরের ধমকে কেঁপে উঠলো তুরা, সে তো ভালো কিছুই করতে চেয়েছিলো। এমন ধরা পরার কথা একবার ও ভাবেনি
-কি হলো উত্তর দিচ্ছো না কেনো?
কণ্ঠের খাদ আরেকটু উচিয়ে শাসাতেই তুরার আতংক আরও বেড়ে গেলো, সামনে ঢলে পরা লতানো গাছের ডাল সরিয়ে আহানকে এগিয়ে আসতে দেখেই তুরা উপায়ন্তর না পেয়ে পাশের গাছ গুলোর মাঝ দিয়েই দৌড় দিলো। কিন্তু ভাগ্য হয়তো আজ তাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র আটঘাট বেঁধে করেছে। ছিটকে পরে যাওয়া টর্চটাতে পা পরে পিছলে পরে গেলো গাছগুলোর ভেতরে। কোমড়ে বেধে রাখা ওড়না টাও পেচিয়ে গেছে গায়ে,, বেকায়দায় পরায় নড়াচড়া করার সামর্থ টুকু হচ্ছে নাহ।
-কি হলো, দম শেষ? ওঠো আবারও রেস লাগাও?
তাচ্ছিল্যের সুরে বললো আহান। তুরা কোনো ভাবে নড়েচড়ে হাটু ভেঙে বসলেও উঠতে পারছে নাহ, পায়ের বৃদ্ধা আঙুলটা পরার সময় মুচড়ে গেছে। আহান এগিয়ে এসে হাটুতে ভর করে বসলো তুরার সামনে,
-তোমার সাহস দেখে আমি অবাক হচ্ছি রীতিমতো, সেদিন বারণ করে দেওয়া সত্ত্বেও তুমি চোরের মতো লুকিয়ে এই রাতের বেলায় এসেছো আমার বাগানের ফুল চুড়ি করতে, তোমাকে…
পুরো টা শেষ করার আগেই তুরা ভ্যাঁ করে কেদে দিলো। তুরার এমন আকস্মিক কান্নায় হকচকিয়ে উঠলো আহান। সে তো কাঁদার মতো কিছুই বলেনি এখনো
-আরে আরে কাঁদছো কেনো, চুপ করো!
আহানের কথা শুনে তুরা কান্নার বেগ আরও বাড়িয়ে দিলো। আহান এদিক ওদিক তাকিয়ে চাপা ধমকে বললো
-কাঁদছো কেনো, চুপ করতে বলেছি
-আপনি আমায় শুধু শুধু বকছেন কেনো?
ফুঁপিয়ে কেঁদে বললো তুরা, আহান এহেন কথায় হতভম্ব হয়ে বলে
-আমি শুধু শুধু বকছি তোমায়?
-হ্যাঁ আমিতো খারাপ কাজ করিনি,তেল বানাচ্ছিলাম
আহান ভ্রু কুচকে বিব্রতভাবে বলে
-হোয়াট? তেল বানাচ্ছিলে মানে?
-আমি টিভিতে দেখেছিলাম সূর্যমুখী ফুল দিয়ে তেল বানানো যায়, তাইতো চেষ্টা করছিলাম
এরূপ কথা একেবারেই প্রত্যাশা করেনি আহান। শেষে কি না এই মাঝরাতে এই মেয়ে বাগানে এসেছে ফুল দিয়ে তেল বানাতে!
-তুমি এই মাঝরাতে এসেছো তেল বানাতে তাও এভাবে?
-হু
কাঁদতে কাঁদতে বললো তুরা, আহান চোখ ঘুরিয়ে আশেপাশে দেখে নিলো। তার সাধের বাগানের ফুলগুলো ছিড়ে তো অষ্টরম্ভা করেছেই তার উপর নিজের সারা গায়ে ময়লা লাগিয়ে যা তা করেছে, আহান একটা ব্যপার কিছুতেই বুঝতে পারছে নাহ ফুলগুলো হাতের তালুতে নিয়ে ইচ্ছেমতো কিলিয়ে কে তেল বানায়! জোরে একটা প্রশ্বাস ফেলে জিজ্ঞাসা করলো
-তা কই তোমার তেল,আমাকেও দেখাও?
এবার তুরা আবারও কান্না আরম্ভ করলো। আহানের এবার নিজেকেই পাগল মনে হচ্ছে, এ কোন মেয়ের পাল্লায় পরলো সে! খালি কেঁদেই যাচ্ছে।
-চুপ করতে বলেছি আমি!
এবার তুরা কান্না থামিয়ে গোল গোল চোখে তাকিয়ে রইলো আহানের দিকে। আহান বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে নরম কণ্ঠে বললো
-ওঠো, অনেক রাত হয়েছে, এভাবে দেখলে বাড়ির লোকে হুলস্থুল করবে
তুরা তাও ঠাঁই বসে রইলো গোল হয়ে, আহান বিরক্তিতে মুখ দিয়ে চ জাতীয় শব্দ করে বললো
-কি হচ্ছে কথা কানে যায় না নাকি লাগাবো একটা
-আ’আম আমার পা!
ভয়ে মুখ কাচুমাচু করে বললো তুরা,
-পায়ে কি হয়েছে?
-ব্যথা, নাড়াতে পারছি নাহ
আহান আবারও হাটু গেড়ে বসে বললো
-দেখি?
-নাহ নাহ থাক
চোখ গরম করে তাকাতেই তুরা চুপচাপ পা বাড়িয়ে দিলো, এহান পায়ের গোড়ালি ধরে এপাশ ওপাশে ঘুরাতে নিলেই তুরা ব্যথায় আর্তনাদ করে উঠে,
-খুব লাগছে?
-হ্যাঁ
আহানের কথায় কাঁদো কাঁদো গলায় তুরা উত্তর দিলো, আহান কিছুকাল অত্যাধিক বিরক্তি নিয়ে চেয়ে থেকে উঠে এক টানে তুরার হাটুর নিচে আর পিঠের পেছনে হাত দিয়ে কোলে তুলে নিলো।
-আরে কি করছেন, নামান আমাকে
-সাট আপ! নো মোর ওয়ার্ডস,,একটা কথা বলবা তো আছাড় দিয়ে হাডগোড় ভে’ঙে দেবো, তেল বানাতে এসে পায়ের তেল বের করে ফেলেছে।
বলেই তুরার দিকে না চেয়েই গটগট করে হাঁটা ধরলো বাড়ির ভেতরে, তুরা ভয়ে চোখ ছোট করে চেয়ে আছে খোঁচা খোঁচা দাড়িতে আবৃত গম্ভির শুভ্র চোয়ালে, দ্রুত হাটার তালে তুরা নড়ে উঠলেই ভয়ে খা’মচে ধরে আহানের টি-শার্ট এর বুকের কাছের অংশ। আহান এক পলক বাকা চোখে তাকিয়েই আবারও সামনে তাকিয়ে হাঁটতে থাকে।
সোজা ঘরের ভেতর এসে বসিয়ে দিলো খাটের এক কোণায়। মৃদু ডিম লাইটের আলোয় রাইমা ঘুমিয়ে আছে খাটের ওপর পাশে, তুরাকে নামিয়েই আবছা আলোতে আহান ড্রেসিং টেবিলের কাছে গিয়ে কিছু একটা খুঁজতে শুরু করলো
-আপনি কি খুঁজছেন?
-যাস্ট কিপ ইউর মাউথ সাট
আহানের চাপা স্বরের ধমকে চুপ করে যায় তুরা, আজব লোক তো, সে তো ভালোর জন্যেই বলেছিলো। এমন অন্ধকারে কিভাবে খুজবে লোকটা, আসলেই ব:জ্জাত, মনে মনে দুটো ভেংচি দিতেই আহান তার সামনে এসে হাতে কিছু একটা ধরিয়ে দিয়ে হিসহিসিয়ে বললো
-আ’ম ওয়ার্নিং ইউ ফর দ্যা লাস্ট টাইম,ফারদার কোনো প্রকার উদ্ভট পাকনামি করলে ঠ্যাং খোরা করে রেখে দেবো
বলেই আর এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে গটগট করে বেরিয়ে গেলো নিঃশব্দে। তুরা হাতের জিনিসটা নিয়ে দেখলো। অয়েন্টমেন্ট এটা, ফোস করে একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে এক হাতে ভর দিয়ে উঠে দাড়ালো, গায়ের জামা কাপড়ে ময়লা এগুলো ছাড়তে হবে,, এক পায়ে ভর দিয়ে কোনো রকমে খোড়াতে খোড়াতে ওয়াসরুমে গিয় চেঞ্জ করে এসে পায়ে অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে শুয়ে পরলো। বড় বাচা বেঁচেছে আজ নাইলে রাক্ষস টা যে এত সহজে ছেড়ে দেবে ভাবতেও পারেনি।
♣
-কিরে আজ কি ভার্সিটি যাওয়ার ইচ্ছে নাই নাকি, আর কত ঘুমাবি, ওঠ?
মেয়েলি কণ্ঠস্বর শুনে ঘুম ছুটে গেলো তুরার, তাকিয়েই দেখে রাইমা তার উপুড় হয়ে তার দিকেই চেয়ে আছে, ভার্সিটির কথা মনে পরতে হুড়মুড়িয়ে উঠে বললো
-কয়টা বাজে আপু, অনেক দেরি হয়ে গেছে?
-আটটা বেজে গেছে, তোর ক্লাস তো নয়টাই তাই নাহ?
রাইমার কথায় তুরা উঠেই পাশ থেকে তোয়ালে নিয়ে ছুট দেয় ওয়াসরুমের দিকে। বাইরে থেকে রাইমা গলা উচিয়ে বললো
-তুই ফ্রেশ হয় আই, নিচে অপেক্ষা করছে সবাই
তুরা কোনো উত্তর করলো নাহ ভেতর থেকে, রাইমা উত্তর না পেয়ে বেরিয়ে গেলো। ওয়াসরুমের ভেতরে তুরা পায়ে হাত দিয়ে বসে আছে, সে তো ভুলেই গেছিলো পায়ের ব্যথার কথা, জোরে দৌড়াতে গিয়ে আবারও সেখানেই লেগেছে, বেশ কিছুক্ষণ পা ধরে বসে থেকে পরে নিজেকে সামলে উঠে গোসল সেরে বেরিয়ে এলো। হালকা গোলাপি রঙের একটা সালোয়ার কামিজ পরে চুল আচড়ে বেরিয়ে এলো একবারে ব্যাগটা হাতে নিয়েই।
সিড়ি বেয়ে নেমে দেখে সকলেই উপস্থিত ড্রয়িং রুমে, অন্যদিনের মতো হলেও আজ কেমন একটা অন্যরকম লাগছে, সবার মেজাজ বেশ থমথমে লাগছে, আর গোমড়ামুখো লোকটা বরাবরের মতোই প্রতিক্রিয়াহীন ভাবে পাউরুটিতে কামড় বসিয়ে খাচ্ছে। তুরা সেদিকে এক পলক চেয়েই এগিয়ে গিয়ে দাড়ালো ইনসাফ মাহবুব এর পাশে। তুরাকে দেখেই আমেনা খাতুন বললো
-কি নাতবউ, ঘুম ভাঙলো
প্রতুত্তরে তুরা স্মিত হাসলো শুধু, রুবি খাতুন টেবিলে খাবার বেড়ে দিচ্ছে, আজকে সবাই একত্রে বসেছে নাস্তার টেবিলে, তুরা গিয়ে রাইমার পাশের চেয়ারটাই বসলেই ইনসাফ মাহবুব গলা খাকারি দিয়ে বললো
-আহান, তোমার সাথে কিছু কথা আছে
আহান খাওয়া থামিয়ে প্রশ্নবোধক চাহনি দিয়ে তাকালো বাবার দিকে। ইনসাফ মাহবুব আবারও বলা শুরু করলো
-আজকে তোমার মিনু ফুফু আসবে
-হ্যাঁ তো আসুক
বেশ দায়সারা ভাবে উত্তর করে আবারও খাওয়ায় মনোযোগ দিলো আহান।
-আজ থেকে তুরা তোমার সাথে থাকবে আহান
রুবি খাতুনের কথায় আহান খাওয়া থামিয়ে কপালে ভাজ ফেলে বললো
-মানে?
আহানের কথার উত্তর দিয়ে বললো তার মা
-মানে আজ থেকে ও তোমার ঘরেই থাকবে
-কি যা তা বলছো মা, ও কেনো আমার ঘরে থাকতে যাবে
-কারণ ও তোমার বউ, আর তোমার মামিরা তাই জানে। তারা মূলত তোমার বউ দেখতেই আসবে।
ইনসাফ মাহবুব এর কথায় আহান আরও উত্তেজিত হয়ে বললো
-এসব কি বলছো বাবা, এই বিয়েটা যে আমি মানি না তা তোমরা বেশ ভালো করেই জানো, এসব ইউসলেস কথার কোনো মানে হয়!
-তুমি মানো কি নাহ সেটা তোমার ব্যপার, কিন্তু ও তোমার বিয়ে করা বউ, আর তারা এটাই জেনেছে, তাই শুধু তারা যে কয়দিন থাকবে শুধু সেই দিনগুলোতে হলেও তুরা তোমার সাথেই থাকবে। আমি চাইনা বাইরের কারোর সামনে তুরা বা আমার বাড়ির নিয়মের অসম্মান হোক।
-কিন্ত বাবা..
-দাদুভাই, এতদিন ধরে আমি এ ব্যপারে কিছুই বলিনি তোমায়, তবে ইনসাফ যা বলেছে এবার তোমার সেটা মানা উচিত, বিয়ে কোনো ছেলে খেলা নয়। তবুও আমরা তোমার মতামত কে গুরুত্ব দিয়ে কোনো রূপ জোর করিনি। তবে আমি চাইনা বাড়িতে মেহমান এসেও এ ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখুক
বাবাকে কিছু বলতে নিলেও দিদুনের কথা শুনে থেমে গেলো আহান। রাগী স্বভাবের হলেও পিতা মাতার অবাধ্য সে কখনও ছিলো নাহ, শুধু বিয়ের ব্যপার টা নিয়েই বাবার সাথে তার মতের এতটা অমিল হচ্ছে, এ কারণে সে নিজেও বেশ আশাহত, কিন্তু দিদুনের মুখের উপর কথা বলার মতো কাজ সে কখনও করতে পারবে নাহ৷
চুপচাপ খাওয়া ছেড়ে ব্যাগটা হাতে নিয়েই গটগট করে চলে গেলো।
আহানের যাওয়ার পানে চেয়ে তুরা ঢকঢক করে এক গ্লাস পানি গিললো। বড়দের কথার মাঝে কোনো রকম কথা বা প্রশ্ন করতে নেই,এ বিষয় টাকে মাথায় রেখেই তুরা এতক্ষণ চুপ ছিলো। কিন্তু ওই জ’ল্লাদ লোকটার সাথে এক ঘরে থাকার কথা সে কল্পনাও করতে পারবে নাহ! শেষে কি না এমন দিন ও আসতে হলো, তুরার কেনো জানি নিজের করুন পরিস্থিতির কথা ভেবে আগেই হাত পা ছড়িয়ে কাদঁতে ইচ্ছে করছে
-তুরা, চল তোকে আজ আমি রেখে আসবো ভার্সিটিতে
বলেই উঠে দাড়ালো ইনসাফ মাহবুব, তুরাও বাধ্য মেয়ের মতো তার পিছু পিছু বেরিয়ে এলো, ভাগ্যিস আজ তাকে ওই ব’জ্জাত লোকটার সাথে যেতে হয়নি, এক তো রাতে ওইরকম একটা অকাজ করেছে, তার উপর সকাল বেলা করে এসব শুনে লোকটা নিশ্চয় আবারও তাকে বলতো ‘সব তোমার দোষ তোমার জন্য এমন হচ্ছে’
ইনসাফ মাহবুব অফিসে যাওয়ার পথে তুরাকে ভার্সিটির গেইটে নামিয়ে দিয়ে গেলো, যাওয়ার সময় যদিও বলেছে সে গাড়ি পাঠাবে তুরার জন্য কিন্তু তুরাই নিষেধ করেছে, সে একাই ফিরতে পারবে৷ রাস্তা ঘাট চিনতে তার খুব অসুবিধা হয়না।
ভার্সিটির গেইট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকে এদিক ওদিক দেখলো, ফারিহা কিংবা সাদমান কেও ই নেই, হয়তো ক্লাসে,, ভেবেই সিড়ির দিকে পা বাড়ালো। দ্রুত পায়ে কোনো দিক না চেয়েই হাটতে নিলেই কিছু একটার সাথে ধাক্কা লেগে পরতে নিলেই তুরাকে ঝাপটে ধরলো এক জোরা হাত
-আর ইউ ওকে?
পুরুষালি ভরাট গলা শুনে তুরা নিজেকে সামলে সরে দাঁড়ালো।
-ঠিক আছো?
আগন্তুকের দিকে এক পলক তাকালো তুরা, লম্বা চওড়া বেশ সুগঠিত শরীর, ধুসর বর্ণের একটা শার্ট ইন করে পরা কালো প্যান্টের সাথে, বেশ ছিমছাম গড়নের চেহারার লোকটা হাস্যজ্বল মুখে তার দিকে চেয়ে আছে, তুরা সামান্য সরে দাঁড়ালো
-আমি ঠিক আছি, আমার সাবধানে হাঁটা উচিত ছিলো দুঃখিত।
-ইটস ওকে, নো প্রবলেম,
তুরা আবারও এক পলক চেয়ে নিলো। বেশ অসস্থি লাগছে এবার তার,,এখান থেকে যাওয়া উচিত
-এই তুরা
আরও একটি পরিচিত কণ্ঠস্বরের ডাকে ফিরে তাকালো তুরা, সামনের লোকটিকে অদেখা করে ক্লাসের দিকে তাকিয়েই এক ফালি হেসে এগিয়ে গেলো।
.
.
.
চলবে ইনশাআল্লাহ
Humu_♥