তুমি_আমি_দুজনে #লেখিকা_হুমাইরা_হাসান পর্ব- ৩১

0
1099

#তুমি_আমি_দুজনে
#লেখিকা_হুমাইরা_হাসান
পর্ব- ৩১

-হাসছ কেনো তুমি?

ভ্রুকুটি করে জিজ্ঞাসা করল প্রেমা। তুরা হাসি আটকে, মুখ খানা স্বাভাবিক করে বলল

-কই না তো

-আমি স্পষ্ট দেখেছি তুমি হেসেছ

-কি জানি, আর হাসলেও বা কি। হাসতে মানা এমন কোনো নিয়ম ধার্য করা আছে বলে তো আমি জানতাম নাহ

বলেই পানির বোতলের মুখ খুলে ঢকঢক করে পানি গলাধঃকরণ করল। প্রেমার ভীষণ রাগ হলো তুরার উপর। কিন্তু আপাতত কিছু না বলেই মুখ ফুলিয়ে বসে রইল। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ি এসে বাড়ির সামনে থামলে তুরা দরজা খুলেই দৌড়ে ভেতরে চলে গেলো। আহান দরজা খুলে বেরতে নিলেই দেখলো পারাপারি করে তুরা দুটো বই সিটেই ফেলে গেছে। বই দুটো হাতে নিয়ে এগোতে নিলে প্রেমা পেছন পেছন এসে বলল

-পাগল নাকি মেয়েটা,নিজের বই না নিয়েই ছুটল, আর তুই সেটা নিয়ে যাচ্ছিস

-সো হোয়াট, মাই ওয়াইফ সি ইজ!

বলেই দায়সারা ভাবে দ্রুতপায়ে হেঁটে ভেতরে চলে গেলো। আহানের কথায় প্রেমার শরীর জ্বলে গেলো হিংসে, মেয়েটাকে নিয়ে বাড়ির সবার আদিক্ষেতা একেবারেই সহ্য হচ্ছে না ওর।
‘ডিসগাস্টিং’ বলেই হনহন করে ভেতরে ঢুকল।

_________________

সময় তার নিজ গতিতে বহমান,দেখতে দেখতে মাঝে তিনদিন পেরিয়ে গেছে, এর মাঝে রাইমার বিয়ের সকল ঝামেলা সহ সব মেহমান অতিথিরাও চলে গেছে। রুহি,তনু,বিহান, আরমান, জায়মা সকলে চলে যাওয়াতে তুরার ভীষণ মন খারাপ। একে তো রাইমা আপুর অনুপস্থিতি সাথে ওদের সাথে অল্প কয়দিনেই যতটা ভাব হয়েছিলো তাতে খুব কষ্ট পেয়েছে তুরা। তবুও নিজেকে সামলে দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত রেখেছে নিজেকে।
আজ ক্লাস শেষ করে তুরা দাঁড়িয়ে ছিলো ভার্সিটির গেইটে। হুট করে সামনে পলি ম্যাডাম চলে আসতেই ভদ্রতাসূচক সালাম দিলো তুরা।
সালামের উত্তর দিয়ে পলি গাল প্রসারিত করে উত্তর দিলো

-আরে তুরা যে!

বিনিময়ে তুরাও হেসে ম্যাডামের সাথে দুয়েক কথা বার্তা বলার মাঝেই পেছন থেকে খুব পরিচিত কণ্ঠের ডাক শুনতেই ঘুরে তাকাল। মানুষ টা আর কেও নয়, আহান।
বরাবরের মতোই চুলগুলো জেল দিয়ে পরিপাটি করা,হাতে সিলভার ওয়াচ, গায়ে জড়ানো ধুসর বর্ণের শার্ট, তুরা হা করে চেয়ে রইল কিছুক্ষণ। কারণ আহান সচরাচর ভার্সিটির গেইটের সামনে আসেনা তুরাকে নিতে। তুরা কিছু বলতে নিবে তার আগেই পলি পাশ থেকে বলল

-আসসালামু আলাইকুম স্যার।কেমন আছেন?

সালামের উত্তর গম্ভীর্যতা সহিত দিলেও পরক্ষণে স্বাভাবিক কণ্ঠে বলল

-পলি ম্যাডাম যে, ছুটিতে ছিলেন তো।

-এই একটু অসুস্থ ছিলাম আরকি।আজ থেকে আবারও জইন করলাম

উনাদের কথোপকথন শুনেই তুরা আন্দাজ করে নিলো তারা সহকর্মী একে অপরের৷ আহানের ডিপার্ট্মেন্টেরই জুনিয়র লেকচারার পলি ম্যাডাম। তুরা চুপচাপ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকলেও পলি ম্যাডাম বলে উঠলো

-তুরাকে কি আপনি চিনেন স্যার?

আহান তুরার দিকে একবার চেয়ে জড়তা সুলভ হাসি দিলো, কি বলবে হয়তো গুছিয়ে উঠতে পারেনি, অতঃপর অপ্রস্তুত গলায় বলল

-হ্যাঁ আমার পরিচিত

এতে যেনো তুরার নরম মনের গহীনে অবস্থিত অভিমান ক্ষোভ বিক্ষোভে পরিণত হলো।ওকে কি এতটাই ঘৃণা করে যে লোকসম্মুখে বউ বলে পরিচয় দিতেও অনিচ্ছা?এতটা কার্পণ্য বোধ করে! আহানকে বাকিটা বলতে না দিয়ে তাদের কথাবার্তার মাঝেই তুরা কোনো বাক্য ব্যয় ছাড়াই হনহনিয়ে প্রস্থান করলো। হঠাৎ তুরাকে এমন গাল ফুলিয়ে হাঁটা ধরতে দেখে আহান ও পিছু নিলো। পলি ম্যাডাম কিছু না বুঝেই হা করে তাকিয়ে রইল।
হনহনিয়ে হেঁটে মেইন রোডের দিকে গেলো তুরা। আহান পেছন থেকে কয়েক বার ডাকলেও তা কর্ণকুহরে নিলো না, শুনবে না কারো কথা সে! কাধের ব্যাগটাতে হাত রেখে ভালো করে চেপে ধরে হাঁটার গতি আরও বাড়িয়ে দিলো তুরা। আহান এক পর্যায়ে দ্রুত পা ফেলে এগিয়ে এসে তুরার হাত ধরে থামালেই এক ঝটকায় হাত ছাড়িয়ে নিলো তুরা।
ভরা রাস্তায় এমন ঘটনায় অনেকেই হা করে চেয়ে আছে, তবুও সেসবে গা করলো না তুরা, আপাতত তার মেজাজ সপ্ত আসমানে চড়ে গেছে। এতটাই অপছন্দ তার, যে পরিচয় টুকু দিতেও দ্বিধাবোধ হয়,তবে লাগবে না আলগা দরদ, এত টুকু রাস্তা তুরা একাই যেতে পারে। আহান তুরার বাহু সজোরে ধরে গাড়ির দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেই তুরা আবারও ঝটকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিলো নিজের হাত, চেঁচিয়ে উঠে বলল

-খবরদার! একদম আমাকে স্পর্শ করবেন নাহ। যে মানুষের আমাকে অন্যের সামনে পরিচয় দিতে এত অনিচ্ছা তার সাথে যাবো নাহ আমি। যে নিজের স্ত্রী কে পরিচয় দিতে এতটা কার্পণ্য তার কোনো অধিকার নেই আমাকে স্পর্শ করার

আহান যেনো হতভম্ভের শীর্ষে তুরার এহেন চিৎকারে। তবুও তা দমিয়ে শান্ত কণ্ঠে বলল

-তুমি ভুল বুঝছো তুরা, আমার পুরো কথাটাই তো শেষ হয়নি তার..

-আমি আর কিচ্ছু শুনতে চাই নাহ। দোষটা আমারই,আপনি কবে মানলেন আমাকে বউ।সেই তো দয়া দেখিয়েই রেখেছেন। লাগবে না এত দয়া আমি একাই যেতে পারব

পরপর এতগুলো কথা বলে তুরার গলা ধরে এসেছে, তবুও আবারও ধরা গলায় বলে উঠলো

-আপনি আর কখনও আমাকে নিতে আসবেন নাহ। আমি একাই যেতে পারব। লাগবে না আমার জন্য আপনার এতটা দয়া দেখানো। আমিই ভুলে গেছিলাম যে আপনি আসলে বিয়েটাকে বিয়েই মানেন নাহ। নামমাত্র বউ হয়ে থাকার ইচ্ছে আমার একটুও নেই

-আমিকি এমন কিছু বলেছি তোমাকে, তুমি আগেই এতটা রিয়েক্ট কেনো করছ তুরা। আমার কথাটা শোনো। গাড়িতে ওঠো

হাত তুলে থামিয়ে দিলো তুরা, পানিতে টইটম্বুর ভরা চোখটার ছলছল দৃষ্টিপাত আহানের দিকে করে বলল

-না বলেননি। তবে আপনার আচরণেই প্রকাশ পেয়েছে। শুধু দ্বায়িত্বের খাতিরেই এত ঝামেলা করতে হয় তো, থাক মুক্তি দিলাম আপনাকে এই বাড়াবাড়ির দ্বায়িত্ব থেকে। লাগবে নাহ আমাকে নিয়ে এত ভাবার

বলেই আর আহানের প্রতিক্রিয়া বা জবাবের অপেক্ষা না করেই তুরা একটা রিকশা নিয়ে উঠে পরলো। একবার ও তাকাল না আহানের পানে। তাকাবেও নাহ। অনেক কষ্ট পেয়েছে আহানের আচারণে সে। আর কিচ্ছু শুনতে বা জানতে চাইনা।তবে এত টুকু অবশ্যই জানে আহান এখন বাড়ি ফিরবে নাহ। না ফিরুক, তাতে তুরার কি।

•••

বাড়িতে এসেই গোসল সেরে বেরিয়েই ঘরে আহানকে দেখে থমকে গেলো তুরা, এমনিতে তো রেগে গেলে বাড়িতে দেরিতে আসে,তাইলে আজ আগেই? তবুও নিজের কৌতুহল দমিয়ে নিলো তুরা ভেতরের ক্ষোভে, আসুক আর না আসুক তার কি। আহানকে দেখেই অগ্রাহ্য করে ঘর থেকে বেরতে নিলেই পেছন থেকে আহান ডেকে বলল

-তুরা, দাঁড়াও

তুরা শুনলেও না শোনার ভান করে বেরিয়ে গেলো। শুনবে না কোনো কথা। থাকুক সে এমন। দরকার নেই শুনবার,আর নাই বা বিরক্ত করবে সে আর তাকে। চুপচাপ ঘর থেকে বেরিয়ে রাইমার ঘরে ঢুকেই বারান্দায় গেলো। আজ অনেকদিন পর টুনিকে পেয়েছে। বাড়ি ভর্তি মেহমান,আর আহানের এ্যালার্জির জন্য তুরা বিড়াল টাকে কিছুদিন দারোয়ান সালামের কাছে রেখেছিলো। গেটের সাথেই সালামের বসার জন্য ছোট একটা ঘর করা,টুনি সেখানেই ছিলো।রোজ তিনবেলা করে তুরা ওকে খাইয়ে আর দেখে আসতো। তবে এখন টুনি বাড়িতেই থাকে। ক্যাট ফুড গুলো বাটিতে ঢেলে টুনির সামনে রাখতেই ও খাওয়া শুরু করলো,আর তুরা নিঃশব্দে বসে রইলো টুনির পাশে

~

বিকেল গড়িয়ে রাত হয়েছে, তাও প্রায় মধ্যরাতের কাছাকাছি। রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে চুমকির সাথে টেবিল গোছাচ্ছে তুরা। রুবি রান্নাঘরের কাজ করছে, দিদুন তার ঘরেই। ড্রয়িং তুমের সোফাতে প্রেমা বসা।
প্রেমার বাবার হঠাৎ কাজ পরাই তাকে আর্জেন্ট বিদেশ পারি দিতে হয়েছে, এ তার নিত্যকারই কাজ,তবে এবার প্রেমা বাংলাদেশে আরও কিছুদিন থাকতে চেয়েছে বলে রায়হান তার আদরের মেয়েকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইনসাফের বাড়িতেই রেখে গেছেন। বাংলাদেশে পরিচিত বলতে ইনসাফ ই তার বিশ্বস্ত। তাই এ বাড়ির লোকেরাও আর অমত করেনি। যতই হোক বাড়ির মেহমান তো!
প্রেমা অনেক্ষণ ধরেই লক্ষ্য করছে তুরার ভার হওয়া মুখ, দুপুরে এসে থেকেই এমন করে আছে। আহানও এসে থেকে ঘর থেকে বেরইনি। প্রেমা বেশ কয়েকবার গিয়েছিলো ওর সাথে কথা বলতে কিন্তু আহানের ওমন রাগান্বিত গম্ভীর চেহারা দেখে আর ঘাটার সাহস করেনি।

-তোমার কোনো সমস্যা হয়েছে?

প্রেমার কথায় তুরা মুখ তুলে তাকাল, মেয়েটা ভীষণ কৌতুহল নিয়ে চেয়ে আছে। তুরা মৃদু হেসে বলল

-নাহ, কিছুই না আপু

বলে আবারও খাবার গুছিয়ে রাখতে লাগলেই রান্নাঘর থেকে রুবি বেরিয়ে এসে বলল

-রাত তো অনেক হয়েছে, তুমি বরং ঘরে যাও তুরা। এটুকু আমি আর চুমকি করে নেবো

-আমি করে নিচ্ছি মা, হয়েই গেছে প্রায়

তুরা রুবির দিকে না তাকিয়েই উত্তর দিয়ে, প্লেট গুলো হাতে নিয়ে রান্নাঘরের দিকে যেতে নিলে পেছন থেকে ভরাট কণ্ঠস্বরে পা দুটোর গতি নিবৃত্ত হলো

-তোমাকে আমি দুই মিনিটের মধ্যে ঘরে দেখতে চাই তুরা। এ্যান্ড আই ওন্ট রিপিট দিস

ঘুরে তাকাতেই দেখলো আহান প্রচন্ড রেষপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, তুরার চোখে চোখ পরতেই গটগট করে সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেলো, রুবি খাতুন তুরা এবং আহান দুজনের ই ভার হওয়া চেহারা লক্ষ্য করেছে,তবুও ওদের ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে মাথা দেওয়ার প্রচেষ্টা করেনি। আহানের যাওয়ার পানে চেয়ে তুরার কাছে এসে বললেন

-তুমি ঘরে যাও তুরা

তুরা বিনিময়ে কিছু বলতে নিলেও রুবির শান্ত দৃষ্টিতে চেয়ে আর কিছু বলল নাহ, প্লেট গুলো রেখে ঘরের দিকে হাঁটা দিলো। প্রেমা ওদের দিকে চেয়ে উঠে দাঁড়িয়ে নিজের ঘরের দিকে গেলো, এসব আদিক্ষেতা একেবারেই সহ্য হচ্ছে নাহ। আহান দিনদিন তুরাকে নিয়ে একটু বেশিই ভাবছে। খুব শীঘ্রই কিছু একটা করতে হবে!

তুরা উঠে ঘরে গেলেও নিজের রুমে গেলো নাহ। যাবে না সে লোকটার কাছে। আহান আর তার অস্তিত্ব গ্রাস করে ফেলছে তুরাকে,আর কিছুতেই সে আর নিজেকে প্রভাবিত কর‍তে দিবে নাহ। রাইমার রুমে ঢুকে বিছানায় শুয়ে পরলো। রাইমা তো নেই এখন থেকে এই ঘরেই ঘুমাবে তুরা। যাবে না ওই ঘরে। যে মানুষ তাকে বউ মানে না তার সাথে এক ঘরে থাকার মতো আত্মসম্মানহীন কাজটা মোটেও করবে না তুরা।শুয়ে থেকে খানিক সময় পার হলেই চোখ বুজে আসলো তুরার,ধীরে ধীরে ঘুমের ঘোরে তলিয়ে যেতেই অকস্মাৎ শীতল স্পর্শে কেঁপে উঠলো। তবুও ঘুম যেনো চোখে এটে বসেছে, শূন্যে ভাসার অনুভূতি হলেও চোখ টান করে তাকাতে বেশ সময় লাগলো।
খানিকটা পরেই নিজেকে ধাতস্ত করে চোখ খুলে তাকাতেই নিজের খুব কাছেই আবিষ্কার করলো পুরুষালি গম্ভীর চেহারা টা, শুরুতে ভড়কে গেলেও ব্যাপার টা উপলব্ধি করতে পেরে উঠে বসতে গেলেই আহান দু কাধ চেপে বিছানার সাথে চেপে ধরলো তুরাকে। গুরুগম্ভীর চেহারা টা ঝুকিয়ে আরও কাছে আনলো। তুরা বিভ্রান্ত হলেও তা প্রকাশ না করে কণ্ঠে বিরক্তি এনে বলল

-আমি এখানে কি করে এলাম, ছাড়ুন আমাকে। উঠব আমি

-আমি এনেছি, কোলে তুলে

কপালে অসংখ্য ক্রুর ভাঁজ ফেলে বলল আহান। কপালে অসংখ্য ভাঁজ থাকলেও কণ্ঠ জুড়ে শীতলতা, হীম কণ্ঠের বাক্য তুরা খানিকটা ভড়কে বলল

-মানে?

-মানে কোলে তুলে এনেছি। এই দু হাত দিতে তুলে জড়িয়ে ধরে এনেছি। আবারও তুলে দেখাব?

বলেই আবারও কোলে নেওয়ার উপক্রম করতেই তুরা হুড়মুড়িয়ে নড়েচড়ে বলল

-এই একদম নাহ, কেনো এনেছেন আপনি,কোন সাহসে? সরুন আপনি আমাকে যেতে দিন

বলে বুকে হাত দিয়ে আহানকে সরাতে নিলে আহান আরও চেপে এসে বলল

-আমি বাড়ি এসে থেকে ঘরে তো আসোই নি বরং আমি চারবার ডেকেছি,তবুও আসোনি। আবার তখন ড্রয়িং রুমে সবার সামনে ডেকে আসলাম আর তুমি কি না গিয়ে অন্য ঘরে ঘুমালে, কোন সাহসে আমাকে অগ্রাহ্য করে অন্যঘরে শোবার সাহস হলো, কি করে?

-সাহসের কি আছে, যে আমায় বউ মানে না আমি কেনো তার ঘরে আসব, কোনো পরপুরুষের সাথে আমি এক ঘরে ঘুমাতে পারব না

বলেই আবারও ধাক্কা দিলো আহানকে,এবারের ধাক্কাটা তুলনামূলক বেশ জোরে দিয়েছে তুরা, আহান ওর কথা শুনতে গিয়ে বেখেয়ালি হয়ে গেলে সজোরে দেওয়া ধাক্কায় তাল সামলাতে না পেরে ধপ করে পরে গেলো। আহানের পরে যাওয়ায় তুরা হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইল,এমনটা সে মোটেও আশা করেনি, গোল গোল চোখ বড় করে মুখে হাত দিয়ে চেয়ে আছে তুরা, যেনো অক্ষিকোটর থেকে চোখ দু’টো বেরিয়ে আসবার জো। আহান আকস্মিক ভাবে পরে যাওয়ায় ধাতস্থ হয়ে পুরোটা বুঝতে বেশ সময় লাগলো। নিজের অবস্থান টা বুঝেই ধপ করে উঠে দাঁড়ালো। তুরা ভয়ে পা গুটিয়ে পিছিয়ে গেলো
.
.
.
চলবে ইনশাআল্লাহ

Humu_♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here