#তুমি_হৃদয়ে_লুকানো_প্রেম
#তাহিরাহ্_ইরাজ
#পর্ব_২৯
তমস্র রজনী। তূর্ণ’র বক্ষপটে লেপ্টে মেয়েটি। কেশের অন্তরালে লুকায়িত মুখশ্রী। কোমল দু’টো হাত আঁকড়ে ধরে পৃষ্ঠদেশ। নীরবে ক্রন্দনে লিপ্ত মেয়েটি। সে ধ্বনিতে দিশেহারা পৌরুষ চিত্ত। তা’ণ্ডব বয়ে যাচ্ছে অন্তঃস্থলে। শক্ত করে আঁকড়ে ধরলো মাইরা’কে। প্রশস্ত বক্ষপটে মিশিয়ে নিলো প্রগাঢ় রূপে। ক্ষণে ক্ষণে কম্পিত কায়া আগলে নিলো সযত্নে। অতিবাহিত হলো কিছু মুহূর্ত। তূর্ণ পৃষ্ঠদেশ হতে হাত দু’টো সরিয়ে নিলো। দু হাতের আঁজলায় ভরে নিলো ক্রন্দনে র’ক্তিম মুখখানি। নয়নে মিলিত হলো নয়ন। লালাভ চোখে তাকাতেই ধক করে উঠলো তূর্ণ’র অন্তঃস্থল। আলতো করে কপোলে লেপ্টে থাকা বিন্দু বিন্দু অশ্রু মুছে দিলো। ললাটের মধ্যিখানে ছুঁয়ে দিলো অধর। দুয়া আঁখি পল্লব বন্ধ করে সে পবিত্র ছোঁয়াটুকু অনুভব করলো। তূর্ণ একে একে অধরের ছোঁয়া অঙ্কন করে দিলো নেত্রপাতায়। অতঃপর কপালে ঠেকালো কপাল। মিহি স্বরে মানুষটি বললো,
” হুঁশ আর কাঁদে না। ফুপি ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ্।
দুয়া ভেজা কণ্ঠে বলতে লাগলো,
” দু’দিন পর দাদার মৃ*ত্যুবার্ষিকী। ফুপি বড্ড পা”গলামি করছে। দিনদিন তার অবস্থা করুণ হয়ে যাচ্ছে। ফুপি ঠিক হয়ে যাবে তো? বলো না। ”
” আল্লাহ্ আছেন দুয়া। উনি নিশ্চয়ই সব ঠিক করে দেবেন। ওনার ওপর একটু ভরসা রাখো। ফুপির ট্রিটমেন্ট চলছে। দেখো সব ঠিক হয়ে যাবে। সুস্থ হয়ে যাবেন উনি। ”
কিঞ্চিৎ আশ্বস্ত হলো মেয়েটি। কপাল হতে কপাল সরিয়ে নিলো। আলতো করে মাথা এলিয়ে দিলো একান্ত মানুষটির বক্ষপটে। বাঁ হাতে আঁকড়ে ধরলো বুকের দিকের টিশার্ট। ডান হাতটি পৃষ্ঠ আঁকড়ে ধরে। তূর্ণ ওর পিঠে বাম হাতটি স্থাপন করলো। ডান হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো কেশের ভাঁজে ভাঁজে। আবেশে সিক্ত হয়ে মেয়েটি আরেকটু মিশে গেল। আদুরে পাখির ন্যায় লেপ্টে রইলো। কেশের ভাঁজে ঠোঁটের উষ্ণ ছোঁয়া এঁকে দিলো মানুষটি। অতিবাহিত হতে লাগলো প্রহর।
•
দিবা পেরিয়ে রাতের আগমন। অতঃপর নতুন এক দিনের সূচনা। স্রষ্টার নিয়মানুসারে অতিবাহিত হতে লাগলো দিনের পর দিন। জীবন হতে হারিয়ে গেল অনেকগুলো দিন।
দিবাবসুর দীপ্তিতে আলোকিত ধরনী। ব্যস্ত রমণী কাবার্ড হতে শার্ট বাছাই করে একটি নীলাভ রঙা শার্ট নির্বাচন করলো। শার্টটি বিছানায় রেখে কাবার্ড হতে একটি প্যান্ট হাতে নিলো। সেটিও বিছানায় শার্টের পাশে রেখে দিলো। অতঃপর ড্রেসিং টেবিলের ওপর রিস্ট ওয়াচ, ওয়ালেট, চিকন ফ্রেমের চশমা গুছিয়ে এক জায়গায় রেখে দিলো। ঠিক তখনই খট করে শব্দ হলো। ওয়াশরুমের দ্বার উন্মুক্ত করে বেরিয়ে এলো তূর্ণ। দুয়া পিছু ঘুরে তাকানোর পূর্বেই ওর ওপর ছিটকে পড়লো তোয়ালে। যথাসময়ে মেয়েটি তোয়ালে ক্যাচ ধরতে সক্ষম হলো। রাগী রাগী দৃষ্টিতে পিছু ঘুরে তাকালো। উদোম দেহে দাঁড়িয়ে তূর্ণ। প্রশস্ত বক্ষপটে বিন্দু বিন্দু জলের অস্তিত্ব। সিক্ত চুল গড়িয়ে পড়ছে পানি। ভিজিয়ে দিচ্ছে গলদেশ, বক্ষস্থল। শুকনো ঢোক গিললো মেয়েটি। অনুভব করতে পারলো হাতের মৃদু কম্পন। দৃষ্টি সংযত করে মেয়েটি মিহি স্বরে বললো,
” তোমার স্বভাব কি কখনো বদলাবে না? এসব কি? ”
” বউয়ের সেবাযত্ন নেয়ার নিনজা টেকনিক। ”
বিছানায় বসে তূর্ণ আদেশের স্বরে বললো,
” হাতে সময় কম। তাড়াতাড়ি চুল মুছে দে। রেডি হতে হবে। ”
দুয়া তোয়ালে হাতে সম্মুখে এসে দাঁড়ালো। ভেজা চুলে তোয়ালে চালনা করতে করতে বললো,
” চুলগুলো নিজের হাতে মুছলেই তো পারো। সময় বেঁচে যায়। ”
” বউ থাকতে আমি কেন অযথা শ্রম করবো? বউ কি শোকেসে সাজিয়ে রাখার জন্য এনেছি? ”
” উফ্। খালি ত্যা ড়া কথা। ”
তূর্ণ মৃদু হেসে পেশিবহুল দু হাতে আলিঙ্গন করলো মেয়েটির কটিদেশ। শিউরে উঠলো গাত্র। থমকে গেল তোয়ালে চালনাকৃত হাতটি। কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বললো,
” ক্ কি করছো? ছাড়ো। ”
ছাড়লো না মানুষটি। বরং গাঢ় করলো আলিঙ্গন। নিভৃতে মুখ গুঁজে দিলো উদরে। উদরের কোমল আবরণে সদ্য স্নাত মানুষটির চুলের স্পর্শ। শিহরণে আবিষ্ট মেয়েটি আঁকড়ে ধরলো অর্ধাঙ্গের ডান কাঁধ। উদরে মুখ গুঁজে থাকা অবস্থায় তূর্ণ জবাব দিলো,
” বউকে সোহাগ করছি। বউ আমার স্বামী সোহাগের অভাবে শুকিয়ে শুঁটকি মাছ হয়ে যাচ্ছে। রাতদুপুরে স্বপ্নে এসে ভ্যাঁ ভ্যাঁ কাঁদে। পত্নীভক্ত পুরুষ আমি। এসব সইবো কি করে? হুঁ? ”
প্রতিটি শব্দ উচ্চারণের সময় অধর এবং নাকের স্পর্শ অনবরত ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছিল উদর। আবেশে মুদিত হয়ে এলো নেত্রপল্লব। ডান হাতে আস্তে আস্তে করে ভেজা চুলে তোয়ালে চালাতে লাগলো। কতটা সময় অতিবাহিত হলো জানা নেই। হঠাৎ সম্বিৎ ফিরল তূর্ণ’র। দেরি হয়ে যাচ্ছে। পুতুল বউটার সান্নিধ্যে এলে সময়জ্ঞান বড্ড লোপ পায়। উদরে অধরের আলতো ছোঁয়া এঁকে দিয়ে সরে গেল তূর্ণ। ছাড়া পেতেই তৎক্ষণাৎ কয়েক কদম পিছু হটে গেল মেয়েটা। ঘন শ্বাস পড়ছে বারংবার। তূর্ণ তা লক্ষ্য করে বক্র হাসলো। বিছানা হতে শার্ট হাতে নিয়ে তা পড়তে পড়তে বললো,
” সামান্য ছোঁয়াতেই এই হাল? আমি তো চোখের সামনে সাড়ে স র্ব না শ দেখতে পাচ্ছি ব উ। ”
টেনে টেনে কথাটি সমাপ্ত করলো তূর্ণ। লাজে রাঙা দুয়া’র মুখখানি আরো র’ক্তিম হয়ে উঠলো। ম`রমে
ম রে যাওয়ার মতো দশা তার! ইশ্! বেলাজ পুরুষটির কথা ও কাজ কোনোটিতেই লাজের অস্তিত্ব নেই। বেশরম পুরুষ। ধ্যাত! লাজুক মেয়েটি দুরন্ত পায়ে কক্ষ ত্যাগ করলো। নিম্ন অধর কা’মড়ে হাসলো তূর্ণ। তার আদুরে পুতুলটি এত লাজুক! জানাই ছিল না। সামান্য ছোঁয়াতেই গলে যায় মোমের ন্যায়।
•
কফিশপে বসে রয়েছে তৃষা। বিপরীত দিকে বসে ছেলে বন্ধু। দু’জনে নোটস নিয়ে আলাপচারিতায় লিপ্ত। মেয়েটির ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বারবার জানান দিচ্ছে কেউ রয়েছে এখানে। ওকে অবিরাম দেখছে। মেয়েটা মাথা তুলে তাকালো। চোখ ঘুরিয়ে দেখলো আশেপাশে। সব স্বাভাবিক। সন্দেহজনক তেমন কিছুই নেই। শুধুমাত্র ওর থেকে দু টেবিল সামনে একজন বসে রয়েছে। মেনু কার্ডের আড়ালে লুকায়িত চেহারা। তবে সে অতটাও সন্দেহজনক নয়। তাই দৃষ্টি সরিয়ে নিলো তৃষা। মনোনিবেশ করলো আলাপচারিতায়। বন্ধুর সঙ্গে নোট নিয়ে আলাপ করাকালীন ওর চুলগুলো বারবার দুষ্টুমি করছিল। চোখেমুখে পড়ে ওকে আড়াল করে দিচ্ছিল। তৃষা কয়েকবার চুল কানের পেছনে গুঁজে দিলো। তবুও দুষ্টুমি করে চলেছে চুলগুলো। একসময় ছেলে বন্ধুটি ওকে কিছু একটা বললো। তা শুনে হেসে উঠলো তৃষা। হাসিমুখে কানের পেছনে চুল গুঁজে নিলো। তা লক্ষ্য করে চোখমুখ কাঠিন্যতায় ছেয়ে গেল মেনু কার্ডের আড়ালে লুকায়িত নিশাদের। বন্ধুর সঙ্গে এত কিসের হাহা হিহি? হুঁ? এখানে পড়তে এসেছে না দাঁত কেলাতে? কই তার সঙ্গে তো কখনো একটু মিষ্টি করে কথা বলে না? তবে এই পরপুরুষ ছেলে বন্ধুর সঙ্গে এত কিসের সখ্যতা? তাদের আলাপণ দেখে যে কেউ প্রেমিক প্রেমিকা ভাবলেও ভুল ভাববে না। এতটাই স্বচ্ছতা, কোমলতা তাদের মধ্যে!
নিশাদ মেনু কার্ড মুখের সামনে হতে সরিয়ে ফেললো। ডান হাতটি মুষ্ঠিমেয় করে দেখতে লাগলো দু’জনের পি’রিতি আলাপ। আর তার মনের মধ্যে দামামা বাজতে থাকলো। ইচ্ছে করছে ছুটে গিয়ে মেয়েটার গালে পাঁচ আঙুলের ছাপ বসিয়ে দিতে। তার সঙ্গে সমস্ত পরপুরুষের আলাপণে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে। কেন সে নিশাদ বিহীন অন্য কারোর সঙ্গে মিষ্টি স্বরে কথা বলবে? কেন ঘন্টা ব্যয় করবে অন্য কারোর সঙ্গে? কেন? এত কেন’র উত্তর জানা আছে কি নিশাদের? বোধহয় না। তাই তো রাগে গজগজ করছে অন্তঃস্থল। কালো মেঘে ছেয়ে যাচ্ছে হৃদ দিগন্ত।
•
কিচেনে ব্যস্ত শাশুড়ি-বৌমা যুগল। তাসলিমা নির্দেশনা দিচ্ছেন। সে-ই মোতাবেক কার্য সম্পাদন করছে মেয়েটি। কোনো ভুলত্রুটি হলে শুধরে দিচ্ছেন তাসলিমা। কিচেনের দ্বারে দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য মুগ্ধ নয়নে অবলোকন করলেন তাহমিদা। হঠাৎ কাউকে না বলে হাজির হয়ে উনি কোনো ভুল করেননি বটে। বরং মুগ্ধ হলেন শাশুড়ি বৌমার সখ্যতা দেখে। দুয়া তার মামণির নির্দেশনা অনুযায়ী রান্না করছিলো। হঠাৎ তাসলিমা বোনকে দেখতে পেলেন।
” আরে তাহমিদা তুই? ”
মুচকি হেসে তাহমিদা সালাম দিলেন।
” আসসালামু আলাইকুম আপা। কেমন আছো? ”
” ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। তুই কেমন আছিস বল? ”
সালামের জবাব শুনে পিছু ঘুরে তাকালো দুয়া। মা’কে দেখে বেশ উৎফুল্ল হলো। ছুটে গিয়ে এঁটো হাত সামলিয়ে আলিঙ্গন করলো মা’কে।
” আম্মু তুমি এসেছো? ”
তাহমিদা মুচকি হেসে মেয়েকে আগলে নিলেন। চুমু এঁকে দিলেন ললাটে।
” আমার মা কি করছে? রান্না করছে? ”
দুয়া খুশিমনে জবাব দিলো,
” হাঁ আম্মু। পাবদা মাছ রান্না করছি। মামণি শিখিয়ে দিচ্ছে। খুব ভালো সুগন্ধ বেরিয়েছে তাই না? ”
বলেই মায়ের হাত পেঁচিয়ে চুলার কাছে নিয়ে গেল। দেখাতে লাগলো চুলায় থাকা পাবদা মাছের রান্না।
” মাশাআল্লাহ্! বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে। খেতেও নিশ্চয়ই ভালো লাগবে। ”
তাসলিমা বললেন,
” সে আর বলতে? আমার মেয়ে কিন্তু কুইক লার্নার। সহজেই সব শিখে যায়। ও এখন কতকিছু রাঁধতে শিখে গেছে! ”
তাহমিদা মেয়ের এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে দিলেন।
” তাই? ”
দুয়া খুশি খুশি মাথা নাড়ালো। তাহমিদা বললেন,
” তাহলে তো আজ লাঞ্চ এখানেই করতে হয়। কি বলো আপা? ”
তাসলিমা দুষ্টুমি করে বললেন,
” সে করতেই পারিস। তবে মাছ কিন্তু অর্ধেক পাবি। অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি কিনা! ”
তাহমিদা হেসে উঠলেন। দুয়া মা’কে আলিঙ্গন করে বললো,
” মোটেও না। আমি প্রথমবারের মতো পাবদা মাছ রান্না করেছি। আম্মু বড় পিস খাবে। আব্বু, ভাইয়্যু ওদের জন্যও নিয়ে যাবে। ”
তাসলিমা মাছ নেড়ে বললেন,
” তাহলে আমরা কি খাবো? মাছ তো ভাগবাটোয়ারা করতে করতেই শেষ। এ তো ভারী অন্যায়। গুরুকে শেষমেষ বঞ্চিত করা হচ্ছে? ”
দুয়া মুচকি হেসে শাশুড়ি মা’কে ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে দিলো। মুশফিকুর রহিমের বিজ্ঞাপনের মতো কণ্ঠ অনুকরণ করে নাটুকে ভঙ্গিতে বললো,
” কেউ খাবে কেউ খাবে না। তা হবে না। তা হবে না। সব্বাই খাবে। হুম। ”
দুই বোন একসাথে হেসে উঠলো। সঙ্গী হলো দুয়া নিজেও।
•
রাত্রি বেলা। তাসলিমা বিছানায় বসে। তার কোলে মাথা রেখে শুয়ে রয়েছে দুয়া। ওর চুলে হাত বুলিয়ে চলেছেন তাসলিমা। শাশুড়ি মায়ের আদর উপভোগ করতে করতে মেয়েটির আঁখি পল্লব মুদিত হলো। আস্তে করে ডেকে উঠলো,
” মামণি? ”
” হুঁ বল। ”
চোখ মেলে তাকালো দুয়া। বললো,
” তোমাকে একটা প্রশ্ন করার ছিল। করবো? ”
” বাব্বাহ! তুই আবার প্রশ্ন করতে কবে থেকে অনুমতি নিচ্ছিস? ”
” উফ্ মামণি। প্রশ্ন করবো কিনা বলো। ”
তাসলিমা মুচকি হেসে বললেন,
” আচ্ছা কর। আমি শুনছি। ”
দুয়া মায়ের মুখপানে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে মিহি স্বরে শুধালো,
” তুমি কি আমাকে অনেক আগে থেকেই পুত্রবধূ করতে চেয়েছিলে? আব্বুর কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলে? ”
চমকালেন তাসলিমা! এসময়ে এমন প্রশ্ন উনি আশা করেননি। হঠাৎ মেয়েটা এমন প্রশ্ন করছে কেন?
” হঠাৎ এই প্রশ্ন? ”
” তোমার সাথে আম্মুর কথাবার্তা কিছুটা আমি শুনতে পেয়েছি। পুরোটা নয়। তাই জিজ্ঞেস করলাম। বলো না মামণি এটা কি সত্যি? তুমি আমাকে আগে থেকেই পুত্রবধূ করতে চেয়েছিলে? অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে আমাদের বিয়েটা না হলে পারিবারিক ভাবেই একসময় বিয়ে হতো? ”
তাসলিমা কিছুক্ষণ চুপ রইলেন। অতঃপর মৌনতা ভেঙে বললেন,
” হাঁ। এটা সত্যি যে তোকে আমি অনেক আগে থেকেই পুত্রবধূ হিসেবে ভেবে রেখেছিলাম। তাই সাজ্জাদ ভাইয়ের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আর উনি? রাজি হয়েছিলেন। ”
বেশ অবাক হলো দুয়া! ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল শাশুড়ি মায়ের দিকে। আনমনে প্রশ্ন করে বসলো,
” হঠাৎ আমাকে পুত্রবধূ হিসেবে চাইলে কেন? ”
চলবে.
[ আসসালামু আলাইকুম পাঠকবৃন্দ। কেমন লাগলো পর্বটি? অভাবনীয় চমক রয়েছে আগামী পর্বে। বি রেডি এভ্রিওয়ান। ]