লুকানো_অনুরক্তি (০৩) রূপন্তি রাহমান (ছদ্মনাম)

0
303

#লুকানো_অনুরক্তি (০৩)
রূপন্তি রাহমান (ছদ্মনাম)

পা থেমে যায় অবনির। কান্নারা দলা পাকিয়ে ঠেলে বেরিয়ে আসতে চাইছে। অন্তঃস্থলে উত্তাল ঝড়। লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে সব। এই মানুষটা বু্ঝে না কেন? সব সময় সবকিছু পাওয়া হয় না। কেবল দূর থেকেই ভালোবাসা যায়। দূর থেকেই ভালবাসা নামক বস্তুটাকে অনুভব করতে হয়। কোথাও তার হাত পা দৃঢ় প্রতিজ্ঞার শেকলে বাঁধা। এক কঠিন ওয়াদার বেড়াজালে আবদ্ধ সে।

‘এটা কখনো হওয়ার নয়। যতটুকু অনুভূতি পুঞ্জীভূত হয়েছে আপনার মনে মাটি চা*পা দিয়ে দিন। সব অনুভূতি পূর্ণতা পায় না। আবারও নতুন করে শুরু করুন অন্যকারো সাথে।’

অনুভূতি মাটি চা*পা দেওয়ার কথা শুনে চোখমুখ কঠিন হয়ে এলো মাহফুজের। নিরেট গলায় জানতে চাইলো,

‘কেন?’

‘কেন’ শব্দটা আর কর্ণগোচর হলো না অবনির। এর আগেই প্রস্থান করল সে।’

______________________

হালকা জ্বর আসার অজুহাতে ভার্সিটি যাবে না নাদিয়া। বিছানায় কাঁদো কাঁদো মুখ করে শুয়ে আছি সে।

‘তুই আমায় ফেলে ভার্সিটি যাচ্ছিস। খুব কষ্ট হচ্ছে আমার। ইশ! কতগুলো ক্লাস মিস যাবে। অনেক পড়া পিছিয়ে যাবো আমি।’

বড় বড় চোখ করে নাদিয়ার দিকে তাকায় অবনি। নিজের কানকে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না। এ যেন ভূতের মুখে রামনাম।

‘আপনি আপনার এই অভিনয় ফুফুর জন্য তোলা রাখেন। আমার সামনে এমন পড়ুয়া অভিনয় না করলেও চলবে।’

দাঁত বের করে হাসে নাদিয়া।

‘তুই সবকিছু এতো তাড়াতাড়ি বুঝে যাস কি করে?’

‘ কারন আপনার পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত সম্পূর্ণটাই আমার চেনা।’

নাস্তায় ধোঁয়া ওঠা গরম গরম খিচুড়ি দেখে চোখেমুখে ঝলক দেখা দেয় অবনির। বিলম্ব না করে চেয়ার টেনে বসে সে।

‘মায়ের মতো তুমিও মনের কথা বুঝে যাও কি করে ফুফু? আমার গতকাল থেকেই খিচুড়ি খেতে ইচ্ছে করছিলো।’

অবনির মাথায় হাত রাখেন আফসানা খানম।

‘কারন তোর মায়ের মতো আমিও একজন মা।’

‘দাঁড়াও আচারের বয়াম টা নিয়ে আসি। আচার দিয়ে বেশ জমবে খিচুড়ি।’

শার্টের হাতা ফোল্ড করতে করতে ডাইনিংএ মাহফুজ এলো। খিচুড়ি দেখে কপাল কুঁচকায় সে।

‘তোমাকে না নিষেধ করেছি সকালে এমন ভারী খাবার রান্না করতে। পেটে গ্যাস হয়।’

প্লেটে একটু খিচুড়ি বেড়ে আফসানা খানম বলেন,

‘হালকা খাবার তো রোজই খাস। আজ একটু খিচুড়ি খেয়ে দেখ। ভালো লাগবে। একটুতে গ্যাস হবে না।’

‘না খাবো না। রেডিমেড পরোটা থাকলে ভেজে দাও।’

তপ্ত শ্বাস ফেলেন তিনি। আফসোস করে বলেন,

‘তোর এই খুঁত খুঁতে ভাবটা যে কবে যায় আল্লাহ ভালো জানে।’

ডাইনিং এ মাহফুজ কে দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে অবনি। রাতের কথা মনে পড়তেই অস্বস্তি বাড়ল। শুরু হয় ধুকধুকানি।

‘অবনি ডিম আনতে ভুলে গিয়েছি। ফ্রিজ থেকে একটু দিয়ে যা তো।’

অবনির নাম শুনে রান্নাঘরের দিকে তাকায় মাহফুজ। জড়োসড়ো অবনিকে দেখে আবারও দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়। মেয়েটার যে অস্বস্তি হচ্ছে বুঝে গেল সে।

ডিম দিয়ে এসে চেয়ার টেনে বসে অবনি। খিচুড়ির সাথে আচার মিশিয়ে একটু একটু করে খেতে লাগলো। রাতের কথা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা চালালো।

অবনিকে আড়চোখে বার বার অবলোকন করছে মাহফুজ। মেয়েটার ভয়ার্ত চাহনিতেও কেমন একটা মায়া কাজ করে। ভেবেই শব্দহীন হাসে।

‘নে তোর পরোটা আর অমলেট।’

দৈবাৎ আফসানা খানম এর ঝাঁঝি গলায় চমকায় মাহফুজ। অবনির উপর থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে সামলে নিলো নিজেকে। একটু হলেই মায়ের কাছে ধরা পড়ে যেত। এক টুকরো পরোটা মুখে দিলো।

অবনি একটু একটু আচার মিশিয়ে ফু দিয়ে গরম গরম খিচুড়ি খাচ্ছে। অবনির খাওয়া দেখে লোভ হলো মাহফুজের। পরোটার প্লেট টা দূরে সরিয়ে খিচুড়ির প্লেট কাছে টেনে নিলো।

‘তুই না খিচুড়ি খাবি না? সকালে ভারি খাবারে না তোর পেটে গ্যাস হয়?’

‘তোমরা যেভাবে খাচ্ছো না খেয়ে উপায় আছে?’

অবনি খাওয়া শেষ করে দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকাতেই চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল তার। মাথায় হাত দিয়ে বলে,

‘নয়টা বিশ বেজে গেল? নয়টা পয়তাল্লিশে ক্লাস শুরু হবে আমি এখনো বাসাতেই।’

তড়িঘড়ি করে রুমে গেল ব্যাগ আনার জন্য।

‘তোর সময় আছে?’

প্রশ্ন করলেন আফসানা খানম।

‘কেন বলো তো?’

‘মেয়েটাকে কষ্ট করে একটু দিয়ে আয়। তাড়াহুড়ায় না হয় একটা অঘটন ঘটিয়ে বসবে।’

‘আমারও তো অফিসে লেইট হবে।’

‘বাইক দিয়ে একটানে দিয়ে আসবি। দেরি হবে না। ভুলে যাস না ও কিন্তু আমাদের দায়িত্ব। একজন বাবার আমানত।’

‘আচ্ছা ওকে নিচে যেতে বলো। আমি বাইকের চাবিটা নিয়ে আসছি।’

অবনি তাড়াহুড়ো করে বের হতে নিলেই বাঁধ সাধেন আফসানা খানম।

‘এতো অস্থির হওয়ার দরকার নেই। তোকে মাহফুজ নিয়ে দিয়ে আসবে।’

চমৎকৃত হলো সে। যেই মানুষটার থেকে দূরে দূরে থাকতে চায় কোনো না কোনো কারনে সেই মানুষটারই সান্নিধ্য পায় সে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও সেই মানুষটাই তার কাছে চলে আসে। ব্যতিব্যস্ত গলায় তৎক্ষনাৎ বলে,

‘না না ফুফু তার দরকার নেই। আমি চলে যেতে পারবো।’

‘বেশি কথা বলবি না। আমি যা বলেছি তাই হবে।’

ফুস করে নিঃশ্বাস ছাড়লো অবনি।অনুনয় করে বলল,

‘লাগবে না ফুফু। আমি কোনো তাড়াহুড়ো করবো না। ধীরে সুস্থেই যাব।’

আফসানা খানম শুনলেন না অবনির কথা। ধমকে উঠে বলেন,

‘চুপ, নিচে যা। মাহফুজ আসছে।’

অবনি মুখটা কালো করে বাধ্য মেয়ের মতো নিচে চলে গেলো।

______________________

অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাইকের ব্যাক সীটে বসে অবনি। মাহফুজ বাইক স্টার্ট দিয়ে বলে,

‘ধরে বস না হয় পড়ে যাবি।’

‘লাগবে না। আমি এমনিই ঠিক আছি।’

তপ্ত শ্বাস ফেলে ছুটলো ভার্সিটির পথে।

ওরা যতক্ষণে ভার্সিটি পৌঁছায় ততক্ষণে ঘড়ির কাঁটা পয়তাল্লিশের ঘর ছাড়িয়ে গেছে। অবনি বাইক থেকে নেমে দ্রুত পায়ে গেইটের কাছে যেতেই পিছু ডাকে মাহফুজ। দাঁড়িয়ে পড়ে অবনি।

‘আমি আমার অনুভূতিকে মাটি চা*পা দিবো নাকি গলা চে*পে ধরবো সেই সাজেশন আমি আপনার কাছে চাইনি। আপনার ওই অতি চঞ্চল ঠোঁট দিয়ে পারলে হ্যা বলবেন। নয়তো কোনো কথাই বলবেন না। আমার টা আমি বুঝে নিবো পরবর্তীতে কি করতে হবে।’

আর দাঁড়ায় না মাহফুজ। বাইক নিয়ে চোখের পলকে উধাও হয়ে গেলো।

অবনির বুক গলিয়ে নিঃসৃত হয় দীর্ঘশ্বাস। নিজের কথায় অবিচল থাকা মানুষটাকে যে সহজেই দূরে সরাতে পারবে না সেটা খুব ভালো করেই জানে সে।

____________________

হাতের উল্টো পিঠে থুতনি ঠেকিয়ে বসে আছে মাহফুজ। কপালে চিন্তার ভাঁজ।

চায়ে চিনি কম হওয়ায় চামচের অগ্রভাগ দিয়ে চায়ে আরো একটু চিনি মিশিয়ে নিলো সাইফুল। চামচ দিয়ে চা নাড়তে নাড়তে বলে,

‘তুই কি ভেবেছিস? তুই তোর মনের কথা বলতেই মেয়েটা তোর বুকে ঝাঁপিয়ে পড়বে? তোকেও ভালোবাসি ভালোবাসি বলে পাগল করে ফেলেবে? কাতর গলায় বলবে, আমিও তোমাকে ভালোবাসি। তাড়াতাড়ি বিয়ে করে নাও আমাকে।’

সাইফুলের দিকে তিগ্ম চোখে তাকায় মাহফুজ।

‘আমি এমনটা বলেছি?’

‘অন্যকিছুও তো বলিস নি। প্রথমবারে মেয়েটা তোকে রিজেক্ট করবে এটা স্বাভাবিক নয় কি?’

জবাব দেয় না মাহফুজ। আপন চিন্তায় ব্যস্ত সে। চায়ের কাপে চুমুক দেয় সাইফুল। পুনরায় বলল,

‘তুই যথাসম্ভব ওর কাছাকাছি থাকার চেষ্টা কর। হুটহাট একটু সারপ্রাইজ দিবি। আচমকাই বলবি, আজ তোমাকে একটু বেশি সুন্দর লাগছে। এমন এমন কিছু কাজ কর যেন মন মস্তিষ্কে শুধু তোর কথাই ঘুরঘুর করে। ভাবনাচিন্তায় যেন শুধু তোরই বিচরন থাকে। মেয়েদের মনে জায়গা করে নেওয়া কঠিন হলেও মস্তিষ্কে কিন্তু সহজেই জায়গা করে নেওয়া যায়। তারপর মস্তিষ্ক থেকেই মন অব্দি পৌঁছানো।’

চোখ ছোট ছোট করে হাসে মাহফুজ।

‘মন্দ বলিসনি। মনের আগে না হয় মস্তিষ্কে জায়গা করে নিলাম।’

____________________

পশ্চিমাকাশে সূর্য অস্তমিত হয়েছে অনেক্ক্ষণ আগে। চারিদিকে আবছায়া আলো। অফিস শেষ হওয়ার দু-ঘন্টা আগেই জরুরি বলে ছুটি নিয়ে বাসায় চলে এসেছে মাহফুজ। ফুল স্পিডে পাখা ছেড়ে সোফায় গা এলিয়ে দিল সে। ঘামে সারা শরীর ভেজা। পারফিউম এর বোটকা গন্ধ নাকে আসছে। ক্লান্ত গলায় ডাকল নাদিয়াকে।

মিনিট পাঁচেক পরে সেখানে উপস্থিত হয় সে। মাথা নুইয়ে বলে,

‘কিছু বলবে ভাইয়া?’

অবসাদ মাখা গলায় মাহফুজ বলে,

‘রেডি হয়ে নে। তোদের নিয়ে বাইরে যাবো। তোদের ট্যুরে যেতে দেয়নি সেজন্য আমার তরফ থেকে এটা ট্রিট। আর মাকেও বল রেডি হতে।’

খুশিতে চোখ জ্বলজ্বল করে উঠে নাদিয়ার। একছুটে রুমে গেল। উৎফুল্ল স্বরে বলে,

‘অবনি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে। বাইরে যাবো আমরা।’

অবনি বইয়ে দৃষ্টি স্থির রেখে বলে,

‘কি উপলক্ষে যাবো?’

‘ভাইয়া নিয়ে যাবে। ট্যুরের বদলে ট্রিট।’

অবনি চট করে জবাব দেয়,

‘তাহলে বরং তোরাই যা। এই মুহুর্তে এটেনশন ব্রেক হলে এই টপিক আমার মাথায় ঢুকবে না।’

‘ওরে আমার বিদ্যাসাগরের নাতনিরে। কোথা থেকে উঠে এলেন তিনি।’

মুখ ভেঙিয়ে পুনরায় বলে,

‘এই টপিক আর মাথায় ঢুকবে না। যেন ওই মোটা বইয়ে আর কোনো চ্যাপ্টার আর কোনো টপিক নেই। এটা না পড়লে ফেল করবে।’

‘বিরক্ত করিস না তো। আমি কোথাও যাবো না।’

এতক্ষণ দরজায় দাঁড়িয়ে সব শুনেছে মাহফুজ।

‘আমি যদি সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত শরীরটা নিয়ে বাইরে যেতে পারি, তাহলে বাকিদেরও না করার কোনো কারন দেখছি না। এমন না আজকের পর এই টপিক পড়লে গুনাহ্ হবে। আধঘন্টা সময় দিলাম। এর মাঝে সবাই রেডি না হলে আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে। আমি যেন ফ্রেশ হয়ে সবাইকে পরিপাটি দেখি।’

নিজের রুমে যেতে পুনরায় চিৎকার করে ডাকল আফসানা খানমকে।

‘তাড়াতাড়ি হয়ে নাও মা। আমি গোসল সেরে একটু চাঙা হয়ে আসি।’

মাহফুজ চলে যেতেই নাদিয়া বলে,

‘তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে। নাইলে ভাইয়া কুরুক্ষেত্র বাঁধাবে।’

রাগে গজগজ করতে করতে শব্দ করে বইটা বন্ধ করে ফেলে অবনি।

__________________

‘তোমরা নিজেদের পছন্দে অর্ডার করো। আমি আগে একটা হট কফি খেয়ে নেই। নাহলে শরীরের ক্লান্তি যাবে না ।’

বলেই ওয়েটার কে ডাকে মাহফুজ

অবনি অন্যদিকে তাকিয়ে আছে। এখানে আসার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে ছিল না তার। শুধু রাগারাগি আর অশান্তি চায় না বলেই এখানেই আসা।

‘অবনি তুই কি খাবি?’

‘দে তোর যা মন চায়।’

‘আরে অবনি না?’

অপরিচিত কন্ঠে নিজের নাম শুনে চমকায় অবনি। ঘাড় বাঁকিয়ে তাকায় সে। পরিচিত মুখ দেখে ঠোঁট প্রসারিত হলো তার।

‘আরে সোহেল যে। কতদিন পর। কেমন আছো?’

এতোক্ষণ ছেলেটার দিকে তীক্ষ্ণ নজরে তাকিয়ে ছিলো মাহফুজ। অবনির মুখে নাম টা শুনে বিড়বিড় করে আওড়াল, ‘সোহেল।’

অবনির ঠোঁটের কোণে হাসি দেখে গা জ্বলনি শুরু হলো তার। একটু একটু করে পুঞ্জীভূত হচ্ছে রাগ।

টুকটাক কথা বলার পর সোহেল নামক ছেলেটা সবাই কে দেখিয়ে জানতে চাইল, ‘এরা কারা?’

অবনি মিষ্টি হেসে জবাব দেয়, ‘ আমার আরেকটা পরিবার।’

‘অনেকদিন পর দেখা আসো একটু আড্ডা দেই।’

অবনির ছেলেটার সাথে যাওয়ার ইচ্ছে না থাকলেও মাহফুজের সামনে থেকে যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে গেল।

‘ফুফু আমি পাশের টেবিলে যাই?’

‘যা, অনেকদিন পর দুই বন্ধুর দেখা হয়েছে যেহেতু।’

ছেলেটা কিছু একটা বলছে আর অবনি হেসে লুটোপুটি খাচ্ছে। দূর থেকে দৃশ্যটা সহ্য হলো না মাহফুজের। রাগের পারদ বেড়ে গেল।দাঁতে দাঁত পিষে ক্রোধান্বিত চোখে তাকিয়ে রইলো অবনির হাস্যোজ্জ্বল মুখের দিকে। কই তার সাথে এতো হেসে কথা বলে না। লুটোপুটিও খায় না।

ওয়েটার কফির কাপটা সামনে এনে রাখতে নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারলো না সে। কৌশল করে সম্পূর্ণ গরম কফিটা নিজের হাতে ঢেলে দিলো মাহফুজ।

তৎক্ষনাৎ আফসানা খানম আর্তনাদ করে উঠলেন।

‘এটা কি করলি বাবা?’

মাথায় উঁচিয়ে তাকায় অবনি। আফসানা খানমকে ব্যতিব্যস্ত হতে দেখে দ্রুত পায়ে গেল সেখানে।

মাহফুজ আগুন লাল চোখে এক পলক তাকায় অবনির দিকে। কঠিন গলায় বলে,

‘অসতর্কতাবশত হয়ে গেছে মা।’

‘ইশ! কতখানি লাল হয়ে গেলো।’

মাহফুজের ক্রোধানলে দগ্ধ চোখ। নিরেট কন্ঠস্বর। হিংসাপরায়ণ মনোভাব। সব মিলিয়ে কান ভাসতে লাগল,

‘পুরুষ মানুষ প্রেমে পড়লে হিংসুটে হয়ে যায়।’

#চলবে

আর একটা দিন গত হলেই রোজা। একদিন পরপর গল্প দিলে সমস্যা হবে? আমার পড়াশোনা আছে। তার উপর কয়েকজন ছোট ছোট ছেলেমেয়ে পড়াই। সব মিলিয়ে হাতে একটুও সময় নেই লেখার। একটা সময় পেলে একটু একটু করে গুছিয়ে লিখতে পারতাম। এলোমেলো হতো বা।তাড়াহুড়ো করলে গল্প অগোছালো হতে। আপনাদের মতামত জানতে চাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here