#Life_Game
পর্ব – ১১
#writer_rukaiya_rakhi
শ্রাবণীর কিছুদিন হলোই মনে হতে থাকে যে কেউ তাকে ফলো করছে। আসে পাশে অনেক খুঁজে দেখে কিন্তু কাওকে খুজে পায় না। তবুও শ্রাবণীর সন্দেহ যায় না।
– আদিত্য , আমার কেনো যেনো মনে হচ্ছে কেউ আমাকে ফলো করছে!
– কি বলছ! কেউ আবার জেনে গেলো না তো?
– হুম আমি সিয়োর কেউ জেনে গেছে ! হয়তো আমার চেনা কেউ! আমার মনে হয় সঠিক সময় এসে গেছে আদিত্য।এটারই অপেক্ষায় ছিলাম আমি!এখন প্ল্যানিং শুরু করতে হবে!
– কি প্ল্যান?
– ওয়েট, আমি কফি নিয়ে আসছি!
– ঠিক আছে।
– শোনো যেটা বলছিলাম। আমি যেকোনো সময় কিড*ন্যাপ হতে পারি । তাই আমি আমার শরীরের ভিতর একটা গোপন ট্রাকিউশন সেট করে রাখবো। যাতে আমি যেখানেই থাকি না কেনো তুমি ট্র্যাক করতে পারো। আর আমার কাছে ব্লে*ট রাখবো যাতে বেধে রাখলেও দড়ি কাটতে পড়ি। তুমি সমসময় তৈরি থাকবে বুঝতে পারছ?
– ওকে ডান! আই অ্যাম অন ইট!
শ্রাবণীর মুখে একটা পৈশা*চিক হাসি ফুটে ওঠে।মনে মনে বলে
– আমি আসছি!!!
(তারপরের ঘটনা তো আপনারা জানেনই)
————–
বর্তমানে
-কি ব্যাপার চাচ্চু অবাক হচ্ছো!আরে এখনি তো পুরোটা বলিই নাই।তোমার কি মনে হয় তুমি এখানে আমাকে নিয়ে এসেছ? হা হা হা।হাউ স্টুপিড! আমি নিজের ইচ্ছায় এসেছি। আমি জানতাম তোমাকে খুজে পাওয়া এত সহজ না। তাই ইচ্ছা করেই সেদিন নিজের ফিঙ্গার প্রিন্ট রেখে এসেছিলাম। যাতে তুমিই আমাকে খুঁজে বের করো। আর তুমি বোকার মত তাই করেছ!এখন চলো আমার সাথে!
– ক,,কই?
– আমার বাবাকে যেখানে মে*রেছ সেখানেই নিয়ে যাচ্ছি তোমায়। একটু সৃতি চারণ করতে হবে না!
– আ,,আমি যাবো না!
– নো নো তোমাকে যেতেই হবে। চলো! আর হে আদিত্য , আমি চাইনা তুমি সেখানে থাকো ।আমি এই মিশন টা নিজের মত কমপ্লিট করতে চাই। তুমি এদিকটা দেখ!
– ওকেহ!
————–
শ্রাবণী আজাদ খান কে চেয়ারের সাথে বেধে রেখেছে। মুখও বন্ধ করে রেখেছে যাতে কথা না বলতে পারে। নিজের হাতের চা*কুটাকে ধার দিতে ব্যস্ত সে। পুরো সাই*কোর মত করছে শ্রাবণী। তার ভিতরের সাইকো টা যেনো আজ পুরোপুরি প্রকাশ পেয়েছে । চোখদুটো র*ক্ত লাল। মনে হয় এখনি র*ক্ত গড়িয়ে পড়বে। যে কেউ ভয় পেয়ে যাবে তাকে দেখলে। ধার দেয়া শেষ হলে পাশে থাকা রড টা গরম করে শ্রাবণী। তারপর আজাদ খানের কাছে যায়। এইদিকে তিনি তো ভয়ে শেষ।
– যানো চাচ্চু, আমি তোমার থেকে কখনো এটা আসা করিনি নি। ছোটবেলায় যে এত ভালোবাসতে, এত খেয়াল রাখতে ওগুলো সব কি নাটক ছিল? কেনো করলে এমন ?আমরা তো অনেক হ্যাপি ছিলাম। শুধু মাত্র কিছু টাকা আর ক্ষমতার জন্য আমার বাবাকে মে*রে ফেললে। কতো বিশ্বাস করতাম আমি আর বাবা তোমায়!
– উম উম উম!
– কিছু বলবে চাচ্চু? দাড়াও তোমার মুখ খুলে দিচ্ছি আমি!
– আমাকে ক্ষমা করে দে ! আমি কথা দিচ্ছি আমি তোর অনেক খেয়াল রাখবো। একদম আগের মত হয়ে যাবো আমরা!
তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে
– সেটার জন্য অনেক দেরি হয়ে গেছে চাচ্চু! তুমি তো আমার থেকে আমার সব সুখ কেরে নিয়েছ। আমার বাবা !যে আমার দুনিয়া ছিল তাকে মে*রে ফেলেছ। তোমার সঙ্গীদেরকে তো উপরে পাঠিয়ে দিয়েছি। তোমারও মনে হয় অনেক ইচ্ছা করছে ওদের সাথে দেখা করতে। চিন্তা কর না পাঠিয়ে দিবো! হা হা হা!
শ্রাবণীর হাসিতে কেপে উঠছেন আজাদ খান।শ্রাবণী পাশে থাকা উত্তপ্ত রোডটি আজাদ খানের সামনে নিয়ে আসে।
– ক,,,কি করতে যাচ্ছ তুমি! গরম রড কেনো?
শ্রাবণী কিছু বলে না।শুধু পাগলের মত হাসতে থাকে। তারপর চুপ হয়ে যায় । কিছু সময় ওভাবেই থাকে।
হঠাৎই সেই রড দিয়ে আজাদ খান কে এলোপাতাড়ি আ*ঘাত করতে শুরু করে। গরম হওয়ায় আজাদ খানের শরীরের জায়গা জায়গা ঝ*লসে যাচ্ছে।ব্যা*থায় চিৎকার করছেন তিনি। কিন্তু এতে শ্রাবণীর কোনো হেলদোল নেই।সে মা*রছে আর বলছে
– কেনো করলে এমন কেনো? না মে*রে ফেললে কি এমন হতো? এতই লোভ ছিল আমাদের প্রপার্টির! তো সেটা আমার বাবাকে বলতে সে তো এমনিতেই দিয়ে দিত। আমার বাবা তো তোমার জন্য জা*ন দিতেও তৈরি ছিল। আর তুমি ই তার জা*ন নিয়ে নিলে। বেঈ*মান! বিশ্বাস*ঘাতক!
শ্রাবণীর রাগ যেনো কমছেই না! একসময় সে এমনি থেমে যায়। কিন্তু তার চোখের লাল আভা এখনও সরেনি। যায় অর্থ এখনি শেষ নয়। পুরো দৃশ্য পরেই আছে! এইদিকে আজাদ খানের শরীর পুরো ঝাঁ*জরা হয়ে গেছে। সব শক্তি তার ফুরিয়ে এসেছে ব্যা*থায়। তবুও বলছে
– আমাকে ক্ষমা কর প্লিজ। আমি আর সহ্য করতে পারছিনা!
– শ্রাবণীর খাতায় ক্ষমা বলতে কোনো শব্দ নেই। বেই*মানির একটাই শাস্তি তা হলো মৃ*ত্যু!নির্মম মৃ*ত্যু!
রড রেখে শ্রাবণী যেই চাকুটা ধার দিয়েছিল সেটা নিয়ে আসে।
– এই হাত দিয়ে তুমি আবার বাবাকে মে*রেছ না? তোমার এই হাত আমি আস্ত রাখবনা ।
এই কথা বলেই শ্রাবণী চা*কু নিয়ে হাতের কাছে যায়। তারপর সুন্দর করে হাতের আঙ্গুল গুলো কা*টতে শুরু করে । যেনো কোনো ফল কাটছে! প্রথমে দান হাত তার পর বা হাত। এভাবে সব গুলো আঙ্গুল কে*টে ফেলে। একটু ভেবে দেখুন তো কত ভয়া*নক দৃশ্য টা। আজান খান তো চিৎ*কার করতে করতে গলাই ফা*টিয়ে ফেলেছেন।
– এই মুখ দিয়ে বিশ্বাস*ঘাতকতা করেছিলে তাই না চাচ্চু?
– প্ল,,প্লীজ শ্রাবণী এত ক*ষ্ট দিয়ো না আ,, আমাকে । আমি আর সইতে প,,পারছি না । এ,,এর চেয়ে একবারে মে*রে ফেলো।
– হা হা হা! তা কি করে হয় চাচ্চু! আমি তো তোমাকে অনেক আদর করে মা*রবো। এক মাত্র চাচ্চু বলে কথা!!!!
শ্রাবণী কিছুক্ষণ হিংস্র চোখে তাকিয়ে থাকে আজাদ খানের দিকে। তারপর……..
চলবে?
( আর একটা পর্বেই গল্পটার ইতি টানবো। আর হে নেক্সট পর্বে একটা টুইস্ট আছে 😉।নেক্সট পর্বের জন্য সঙ্গেই থাকুন । ধন্যবাদ🥰)