Life_Game পর্ব – ৯ #Writer_rukaiya_rakhi

0
181

#Life_Game
পর্ব – ৯
#Writer_rukaiya_rakhi

মধ্যরাত হতেই শ্রাবণী আর আদিত্য তাদের প্ল্যানিং মত কাজে লেগে পরে।

-সবার আগে গার্ডস দের কিছু করতে হবে।

শ্রাবণী আর আদিত্য তাদের হাতে একটা ব্লে*ট নিয়ে নেয়।যেহেতু গেট এ ২ জন গার্ড ছিল ।সুযোগ এর জন্য অপেক্ষা করে । সুযোগ পাওয়ার সাথে সাথে গেট এ দাড়িয়ে থাকা গর্ডস দের পিছন থেকে মুখ চেপে ধরে ওদের গ*লার রগ কে*টে দেয় । গলা কা*টা মুরগির মত ছোট ফট করতে করতে ওরা নিশ্চুপ হয়ে যায়। ওদের মে*রে ধীরে ধীরে সামনে এগোতে থাকে ওরা। শ্রাবণী যায় মেনশান এর দিকে আর আদিত্য কন্ট্রোল রুম এ যায় যেখানে সব সিসি টিভি কন্ট্রোল করা হয়।
——–
ম্যানশন এর কাছাকাছি যেতেই শ্রাবণী কিছু গার্ডস কে দেখতে পায় । শ্রাবণী ম্যানশন পিছনের দিকে লুকিয়ে পরে। তারপর একটা গার্ড কে লক্ষ্য করে একটা ইনজেকশন তাক করে। সাথে সাথে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এভাবে একজন লুটিয়ে পড়াতে অন্য গার্ডস রা হকচকিয়ে ওঠে । এত রাতে কে ম্যানশন এর ভিতরে ঢুকে এই কাজ করলো সেটা খুঁজতে শুরু করে ।
– ওর মাথায় ইনজেকশন কই থেকে আসলো! নিশ্চই কেউ ঢুকেছে এখানে।
– হুম কার এত সাহস মানশন এ ঢুকে!তাড়াতাড়ি খুঁজে বের কর। এই তুই এইদিকে যা। আমি অন্য পাশে দেখছি।
তারপর ওরা খুঁজতে থাকে। শ্রাবণী তো এই অপেক্ষায় ই ছিল। একটা গার্ড খুঁজতে খুঁজতে ম্যানশন এর পিছন দিকে চলে যায়। সাথে সাথে শ্রাবণী পিছন থেকে পেটে ছু*রি ঢুকিয়ে দেয়। ব্যাথায় চিৎকার দিয়ে ওঠে ওই গার্ড টা। ওর চিৎকার শুনে অন্যরা সেখানে চলে আসে। কিন্তু কাওকে দেখতে পায় না
– কিরে একটু আগেই তো চিৎকার শুনলাম । কই কেউ তো নেই।
তারপর পিছনে তাকিয়ে দেখে ওর সাথে যে ছিল সে ও নেই।কারণ শ্রাবণী ওকেও সরিয়ে ফেলেছে ।এখন শুধুমাত্র একজন ই আছে। তাই ভ*য় পেয়ে যায়। বন্দুক তাক করে এদিক সেদিক খুঁজতে থাকে।হটাৎ করেই শ্রাবণী সামনে চলে আসে
– হাই!
একথা বলেই ওর গলা বরাবর ব্লে*ট চালিয়ে দেয়।কিছু সময় এর মধ্যেই ওই গার্ড টাও শেষ হতে যায়।
– বাইরের মিশন কমপ্লিট। এখন ভিতরে যাওয়ার পালা। আই এম কামিং মিস্টার নিখিল শেখ!
——–
কন্ট্রোল রুম এর দিকে এগিয়ে যেতে থাকে আদিত্য। যাওয়ার আগে গেট এ যাদের মে*রেছিল তাদের ড্রেস নিয়ে পরে ফেলে। কন্ট্রোল রুম এর ভিতরে গিয়ে দায়িত্বে থাকা লোক টিকে বলে
– আপনাকে বাইরের গার্ডসরা ডাকছে।
– কি জন্য?
– একটা জরুরী কাজ ছিল।
– ঠিক আছে।
লোকটা কিছু দুর যাওয়ার পর্ মনে পড়ে ওকে তো কোনদিন দেখেনি। আবার রুমের দিকে যায়।
– এই ছেলে তোমাকে তো কোনোদিন দেখিনি। কে তুমি!
– সেটা তোর জেনে লাভ নেই আপাতত গুড বাই!
আদিত্য আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ওকে গু*লি করে দেয়।কন্ট্রোল রুম ম্যানশন থেকে দূরে হওয়ায় কেউ বুঝতে পারে না। তারপর সব সিসি টিভি ফুটেজ গুলো অফ করে দিয়ে বেরিয়ে পরে।
———-
দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে আদিত্য আর শ্রাবণী।
– কি? সব প্ল্যান মনে আছে তো?
– হুম অবশ্যই!
– তাহলে যাও। কাজ হয়ে গেলে আমাকে সিগনাল দিয়ো।
– ওকে!
———
আদিত্য ম্যানশন এর ভিতরে ঢুকে পড়ে। গার্ড এর ড্রেস থাকায় অন্য গার্ড রা অত খেয়াল করে না। অনেক সাবধানের সাথে সার্কিট এর দিকে এগিয়ে যায়। তারপর সার্কিট এর লাইন খুলে দেয়। সাথে সাথে ইলেক্ট্রিসিটি অফ হয়ে যায়। তারপর আদিত্য শ্রাবনীকে ভিতরে আসতে বলে
– শ্রাবণী, ইউ ক্যান কাম ইন নাও!

কিছু সময় পর শ্রাবণী ভিতরে প্রবেশ করে। এইদিকে ভিতরে কেউ বুঝতে পারছে না যে কারেন্ট ক্যামনে গেলো। (এইখানে একটা কথা বলে রাখি । বাহিরে ইলেক্ট্রিসিটি না থাকলেও নিখিল শেখ এর রুম এ অল টাইম ইলেক্ট্রিসিটির বেবস্থা করে আছে তাই সে টের পাবে না আর শ্রাবণী সব খবর নিয়ে ই এসেছে)
শ্রাবণী আর আদিত্য নিজেদের অ্যাকশন শুরু করে দেয়। একে একে সব গুলো গার্ডগুলো কে নিশ্চুপ এ শে*ষ করে দেয়। আগেই বলেছি ওদের কাছে ব্লে*ট আছে।এরপর এগোতে থাকে উপরের দিকে। শ্রাবণী ওর ফ্যামিলি কে কোনো ক্ষতি করতে চায় না তাই ওদের একটা রুম এ এনে বে*ধে রাখে। এরপর নিখিল শেখ এর রুমের দিকে যায় এবং দরজায় নক করে। কিছুক্ষণ নক করার পর তিনি খুলে দেন ।

চোখ কচলাতে কচলাতে বলেন
– কে? এত রাতে ডিস্টার্ব করছো কেনো?
কথা টা বলে সামনে তাকাতেই অবাক হয়ে যায়।
– কে তোমরা?
– তোর জম।
বলেই নিখিল শেখের পেট এ জোরে লা*থি মারে। তিনি পিছনে গিয়ে ছিটকে পড়েন। তাড়াতাড়ি উঠে নিজের ফোন টা নিয়ে সবাইকে কল করেন। কিন্তু কেউ ই ফোন ধরছে না। শ্রাবণী গিয়ে ফোন টা কেরে নেয়।
– লাভ নেই কেউ ফোন ধরবে না। ওদের সবাইকে আগেই সরিয়ে ফেলেছি!
– ক কে তোমরা? আমাকে এভাবে মা*রছো কেনো?
– একটু পর এমনি বুঝতে পারবি! এখন চল আমার সাথে।
– ক কই নিয়ে যাচ্ছ আমায়।
– তোর জ*মের বাড়ি ! হা হা হা!

চলবে?

( নিখিল শেখ কে কই নিয়ে যাচ্ছে শ্রাবণী? কি উদ্দেশ্য ওর? জানতে চোখ রাখুন পরের পর্বে 🥰এখানে আমি কিছুটা রহস্য রেখেছি ।আপনাদের মনে হয়তো অনেক প্রশ্ন ই জাগতে পারে যেমন ওরা নিখিল শেখ এর ম্যানশন এর খবর এত ক্যামনে জানলো। কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর না জানাই ভালো। তাহলে টুইস্ট থাকে না । আর কমেন্ট করে আপনাদের মূল্যবান মতামত জানিয়ে দিবেন♥️)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here