#Life_Game
পার্ট -২
#writer_Rukaiya_Rakhi
রড গরম হলে শ্রাবণী আবার শিহাবের কাছে যায়।তারপর শিহাবকে বলে
– তুই কি মনে করেছিলি ! গোপনে আরেক জনের সাথে প্রেম করবি আর আমি কিছুই জানতে পারবোনা?অন্য কাওকে পেয়ে আর আমাকে ভালো লাগেনা তাই না?
বেঈমানের একমাত্র শা*স্তি আমার কাছে মৃ*ত্যু। তাই তোকেও ম*রতে হবে।
শিহাবের হাতের দিকে তাকিয়ে
– আমি অনেক বিশ্বাস নিয়ে তোর হাত ধরেছিলাম। ভেবেছিলাম এই হাত ধরেই সারাজীবন পার করে দিবো। কিন্তু তুই কি করলি? বেইমানি!!
তোর সাহস হয় কি করে!!(প্রচন্ড রেগে)
শিহাবের হাতে গরম রড এর সে*ক দিতে শুরু করে শ্রাবণী। শিহাব ব্যাথায় চিৎকার দিয়ে উঠছে কিন্তু শ্রাবণীর সেদিকে কোনো খেয়াল নেই। সে তো প্রতিশোধ নিতে ব্যাস্ত।কিছুক্ষণ পর শ্রাবণী থেমে যায়।শিহাবের দুই হাতের চামড়া তাপে পুরো ঝ*লসে গেছে। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে সে।
এবার একটা কু*ড়াল নিয়ে আসে শ্রাবণী।প্রথমে শিহাবের ডান হাত ধরে। কু*ড়াল দিয়ে এক কোপ এ শিহাবের শরীর থেকে হা*ত আলাদা করে ফেলে শ্রাবণী।শিহাব ব্যাথায় গগন ফাটানো চিৎকার দিয়ে ওঠে। কিন্তু শ্রাবণী পাষাণের মত শিহাবের বা হাত টাও কে*টে ফেলে। আর সহ্য করতে না পেরে ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ করে ফেলে শিহাব।
——-
কি ভাবছেন আপনারা?শিহাব মারা গেছে? মোটেও না।এখনও বেঁচে আছে সে।
প্রায় ৩ ঘণ্টা পর শিহাবের জ্ঞান ফিরে আসে।চোখ খুলে নিজের দিকে তাকাতেই আতকে ওঠে শিহাব। কারণ ওর শরী*রের সাথে হাত পা নেই। সব কে*টে ফেলেছে শ্রাবণী। নিজেকে এখন দুনিয়ার সব চেয়ে অসহায় লাগছে শিহাবের।
শ্রাবণী এতক্ষণ শিহাবের জ্ঞান ফেরার অপেক্ষায় ছিল।
– কেমন লাগছে শিহাব? শরীরের সাথে হাত পা নেই এটা দেখে? খুব মজা তাই না! হা হা হা।
চিন্তা করিস না তোকে আমি আরো নির্মম মৃ*ত্যু দিবো।
শ্রাবণী ওর পাশে থাকা ধারালো ছু*রি দিয়ে শিহাবের বুকে আঁকিবুকি করতে শুরু করে। শিহাব চিৎকার করছে বাঁচার জন্য।কিন্তু ওর চিৎকার শোনা যাচ্ছে না ।কারণ ও এতো বেশি চিৎকার করেছে যে এখন আর গলা থেকে আওয়াজ বের হচ্ছে না। শুধু গোঙরানর শব্দ শোনা যাচ্ছে। শ্রাবণী শিহাবের ক্ষ*ত বিক্ষ*ত শরীরে লবণ – মরিচ লাগিয়ে দেয়। শিহাব শুধু অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে শ্রাবণীর দিকে, ওর যে কিছু করার নেই। এবার শ্রাবণী একদম শিহাবের কলিজা বরাবর ছুরি ঢুকিয়ে দেয় আর ওর কলিজা বের করে ফেলে। এতক্ষণে শিহাব একদম শান্ত হয়ে যায়।
ঠিকই ভেবেছেন আপনারা। শিহাব মারা গেছে। কিন্তু শ্রাবণী এখনও থামেনি। শ্রাবণী শিহাবের কলিজা টুকরো টুকরো করে ফেলে, পেটের নাড়িভুড়ি সব বের করে ফেলে। পাগলের মত ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকে শিহাবের নিথর শরীরে। এক পর্যায়ে এসে শ্রাবণী থেমে যায়।
—–
শিহাবের ছিন্ন ভিন্ন লাশটাকে সামনে নিয়ে বসে আছে শ্রাবণী। খুব খারাপ লাগছে ওর । যতই হোক ও তো শিহাবকে প্রচন্ড ভালোবাসতো। কিন্তু ও যে বেইমানি করেছিল ওর তো মরতেই হতো।
শ্রাবণী শিহাবের লাশটাকে একটা বস্তায় ভরে । গভীর রাতে সব নিস্তব্দ হয়ে গেলে সতর্ক ভাবে শিহাবের লাশটাকে ডাস্টবিনে ফেলে আসে।
——–
শ্রাবণী টেলিভিশনের নিউজ দেখে খুব মজা পাচ্ছে।কেউ বুঝতেই পারবেনা যে ও খু*ন করেছে শিহাবকে। কারণ ওর এটা প্রথম খু*ন না!! এর আগেও খু*ন করে লা*শ গুম করেছে শ্রাবণী। তবুও কেও শ্রাবণীর ধারের কাছেও আসতে পারেনি।
।শ্রাবণী অনেক ঠান্ডা মাথায় শিহাবকে মে*রেছে । যাতে কেউ বুজতে না পারে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক থেকেছে সে। কিন্তু সবার কাছে শ্রাবণী অনেক সাধা সিধা মেয়ে। ও যে এত ভয়ংকর কাজ করতে পারে সেটা কেউ কল্পনাই করতে পারবেনা।
কিছুক্ষণ পর টেলিভিশন ওফ্ করে নিজের রুমে চলে যায় শ্রাবণ। রুমে যেতেই হাসি মুখটা হটাৎ কেমন যেনো গম্ভীর হয়ে যায় ওর।
– দুনিয়াটা অনেক সার্থপর বাবা। কেউ বিশ্বাসের যোগ্য না।একজনকে বিশ্বাস করতাম কিন্তু সে ও বেইমানি করলো । কেনো বাবা সবারই কেনো এমন হতে হবে?
নিজের বাবার ছবিটা বুকে জড়িয়ে কান্নায় ভেংগে পরে শ্রাবণী। কিন্তু পরক্ষণেই আবার চোখ মুছে ফেলে।
– মেরে দিয়েছি তাকে আমি বাবা । চিন্তা করোনা বাবা ওদেরকেও ছাড়বোনা আমি। সব গুলোকে আমি তিলে তিলে মেরে ফেলবো। এতো বছর ধরে ধীরে ধীরে নিজেকে প্রস্তুত করেছি আমি। শুধু প্রতিশোধ নিবো বলে।তোমার খুনের প্রতি*শোধ আমি নিবোই। ”
– রেডী থাকিস তোরা, আমি আসছি তোদের সবাইকে জোমের বাড়ি পাঠাতে!!
চলবে?
( শ্রাবণী এর আগেও খু*ন করেছে? কাকে করেছে?কাদের থেকে প্রতি*শোধ নেয়ার কথা বলছে সে?কাদের মে*রে ফেলবে শ্রাবণী ?আর ওর বাবাকে কে খু*ন করলো ? জানতে চোখ রাখুন নেক্সট পর্বে 🤫)