#প্রেমের_রঙ
#পর্ব_২২
#মোহনা_হক
‘ইজহান হাসছে পদ্মের অপ্রাসঙ্গিক কথা শুনে। সে নিজেই বাচ্চা আবার আরেকটা বাচ্চা চায়। বাচ্চার থেকে বাচ্চা হবে। কোন ভুত এখন মাথায় চেপে বসেছে কি জানি। এখন এই আধ পাগলটাকে সামলাবে কিভাবে। ইজহান বুঝছে না হঠাৎ পদ্ম বাচ্চার জন্য এমন পাগলামো করছে কেনো। দিন দিন সীমা অতিক্রম করে ফেলছে মেয়েটা। সারাদিন পদ্মের এমন প্যারা আর সহ্য হচ্ছে না।’
“তুমি এখনো নিজেই বাচ্চা আবার কোন মুখে বাচ্চার কথা বলো?”
‘পদ্ম মুখটা কুচকে ফেললো ইজহানের এই কথা তার পছন্দ হয় নি।’
“আমি আমার মুখ দিয়ে বলেছি আপনার কোনো সমস্যা? আর আমি বাচ্চা? তাহলে আদর করার সময় মনে রাখেন না কেনো?”
‘ইজহান হো হো করে হেসে উঠলো। ইজহানের হাসি পদ্মের ভালো লাগলো না।’
“আদর করা আর বাচ্চা গিফট দেওয়া অনেক পার্থক্য আছে পদ্ম।”
‘পদ্মের মন মানলো না ইজহানের কথায়। মেধা আপুর বাচ্চা হবে তাই এখন তারও বাচ্চা লাগবে। তারপর দু’জন প্রেগন্যান্ট হয়ে সারাদিন আড্ডা দিবে। আপাতত যেকোনো মূল্যে তার বাচ্চা চাই।’
“উহু আপনার কথা আমি মানতে চাচ্ছি না। আমার একটা বাচ্চা লাগবে ইজহান ভাইয়া।”
‘ইজহানের চোখ কপালে। এই পদ্মকে চিনতে পারছে না সে। হতভম্ব হয়ে আছে পুরো। বাচ্চার শোকে পাগল হয়ে এখন বর কে ভাই ডাকছে। পদ্মকে আধ পাগল ভেবেছিলো এখন দেখি পুরাই পাগল মেয়েটা। পদ্মের ভাইয়া ডাকা ইজহানের পছন্দ হয়নি। জোর করে নিজের থেকে পদ্মকে সরিয়ে দিলো।’
‘ইজহান পদ্মের মুখ চেপে ধরলো। খুবই হালকা ভাবে ধরেছে যেনো ব্যাথা না পায়। গম্ভীর কণ্ঠে বললো-‘
“তুমি নিশ্চয়ই তোমার কোনো ভাইকে বিয়ে করোনি রাইট?”
‘পদ্ম মাথা নাড়লো। অর্থাৎ ইজহানের বলা কথাটা সত্যি।’
“তাহলে আর কখনো ভাই ডাকবে না। এসব আমার পছন্দ না পদ্ম। নেক্সট টাইম যেনো তোমার মুখে এসব না শুনি। নাহলে খুব খারাপ হয়ে যাবে।”
‘পদ্ম ইজহানের গালের দাঁড়ি গুলো আলতো করে ছুঁয়ে দিলো। আহ্লাদী কন্ঠে বললো-‘
“আচ্ছা বলবো না কিন্তু আমার একটা বাচ্চা লাগবেই লাগবে।”
‘ইজহান বিরক্ত হলো। প্রচুর বিরক্ত সে। আর ভালো লাগছে না পদ্মের এসব কথা শুনতে। নিজে তো পাগল এখন তাকেও পাগল বানাতে চাচ্ছে।’
‘ইজহান ধমক দিলো পদ্মকে।’
“সব সময় ফাজলামো করবে না। এখনো বয়স হয়নি বিয়ে করার তাও বিয়ে হয়েছে মানলাম। এখন আবার কিসের পাগলামো শুরু করেছো? এই বয়সে বাচ্চা নেওয়া কতোটা রিস্ক বুঝো তুমি? শুধু বললেই হয় না সবকিছু। সময় হলে ঠিকই বাচ্চা হবে এখন চুপচাপ ঘুমাও।”
‘পদ্ম কেঁদে দিলো ইজহানের কথায়। সুন্দর মতো বললেই তো হতো এভাবে ধমক দিয়ে বলার কি আছে। মানুষটা দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। একটুও ভালো করে কথা বলে না।’
“আপনি আমাকে আজ দু দু’বার কাঁদিয়েছেন। আপনার কি মনে একটুও মায়া দয়া নেই? বদ লোক। আর আমার কাছে আসবেন না আপনি। এখন আর আমাকে ভালো লাগেনা জানি তো। সোজাসাপটা বলে দিন আমি গ্রামে চলে যাবো।”
‘প্রচন্ড বিরক্ত হলো ইজহান একে তো সারাদিন শুধু তাকে জ্বালাচ্ছে তারউপর এখন আবার কাঁদছে। কিছু বললেই কেঁদে দেয়। তাই বেশিরভাগ সময়েই ইজহান তার কথা গুলো হজম করে নেয়। ছোট মানুষ বলে কোনো রকম কষ্ট দিতে চায় না। উঁচু গলায় ও কথা বলে না। তবে মাঝে মাঝে নিজের এই রাগটাকে কন্ট্রোল করতে পারে না সে।’
“আমার তো সব সময় আমার নিজের ব্যক্তিগত পদ্মফুল কে ভালো লাগে। শুনো তুমি আর একটু বড় হও তারপর বাচ্চা নিয়ে ভাববে। ঘুমাও তো পদ্মফুল।”
“ঠিক আছে তাহলে আপনিও আমাকে আর আদর করতে পারবেন না। যদি আমার কাছে এসেছেন তো দেখবেন পদ্মের আসল রুপ। অসহ্যকর লোক।”
‘পদ্ম অন্য দিকে ফিরে গেলো। ইজহান পদ্মকে বেশি জোর করলো না। সকালে উঠলে ঠিকই রাগ কমে যাবে। এমন রাগ দেখায় যেনো আর কখনো কথা বলবে না পরে নিজেই আসে কথা বলার জন্য। ইজহান পদ্মের পাশ থেকে ল্যাপটপ টা নিলো। মনে মনে বলছে ভালোই হয়েছে পদ্ম অন্য দিকে ফিরে শুয়েছে। এখন সে একটু কাজ করতে পারবে। ইজহান বেশ খুশি হয়েছে। তপঃপর আবার কাজে মন দিলো। সবার উপরে তার কাজ, পেশা এগুলো ছাড়া সে কিছু ভাবতেই পারে না। দরকার পড়লে সে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে দিবে তাও নিজের পেশা থেকে এক চুল ও নড়বে না। এই একটা জিনিস দিয়ে সে মানুষের সেবা করতে পারে। এর থেকে আর ভালো কাজ কিই বা হতে পারে। এইজন্য ই পেশাটা তার এতো পছন্দের।’
‘রাত ২টা।’
‘ইজহানের কাজ শেষ হলো। এখন প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছে। চোখ থেকে চশমাটা খুলে রাখলো। তারপর পদ্মের পাশে শুয়ে পড়েছে। পদ্মকে জড়িয়ে ধরার সময় ইজহান শুনতে পেলো পদ্ম বিরবির করছে ‘আমার বাচ্চা লাগবে’। ইজহান পদ্মের ঘুমঘুম কণ্ঠে এই কথা শুনে হাসলো। ঘুমাচ্ছে তাও বাচ্চার কথা সরছে না মুখ থেকে। এটা পুরোই পাগল। আর এই পাগলটা কেই ইজহান বেশি পছন্দ করে। পদ্মকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে পদ্মের ঘাড়ে মুখ লুকালো। এই যে তার এখন বেশ শান্তি লাগছে। যখন পদ্মকে এভাবে জড়িয়ে ধরে মনের ভিতর এক ভালো লাগা কাজ করে। ইজহান উঠে পদ্মের সেই ঘুমন্ত মায়াবী চেহেরা দেখে নিলো। পদ্মকে এভাবে ঘুমাতে দেখে ইজহানের মনে হলো তার প্রাণটা যেনো এখানেই লুকিয়ে আছে। পদ্মের কানে হালকা করে ওষ্ঠ ছুঁইয়ে আবারও জড়িয়ে ধরলো খুব গভীর ভাবে। সারাদিন পরিশ্রম করে রাতে একটু শান্তি পদ্মই দেয়।’
(*)
‘সকাল ৮:৩০।’
‘পদ্মের ঘুম ভাঙলো। তাও তীব্র রোদের আলোয়। যেনো সূর্য মামা তার দিকেই মুখটা রেখেছে। পদ্মের চোখ মুখ কুচকে এলো। উঠে গিয়ে পর্দাটাও দিতে পারছে না। কারণ ইজহান তাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রেখেছে। ইজহানের সব নিঃশ্বাস গুলো আচড়ে পড়ছে পদ্মের ঘাড়ে। চোখটা বুজে অনুভব করতে লাগলো। সুন্দর এক অনুভূতি। হঠাৎ তার মাথায় কাল রাতের কথাগুলো চলে আসলো। পরক্ষণেই রাগে মুখটা লাল হয়ে উঠলো। একদিক দিয়ে বাচ্চা চায় না এখন জড়িয়ে ধরে দিব্যি ঘুমাচ্ছে। একে তো রাগ ইজহানের উপর আবার রাগ হচ্ছে সূর্য মামার উপর। দু’জন যেনো ইচ্ছে করেই সকাল সকাল তাকে বিরক্ত করতে এসেছে। ইজহানকে জোর করে নিজের থেকে সরিয়ে দিলো। ইজহান তো ঘুমেছিলো তাই পদ্মকে কিছুই করতে পারেনি।’
‘পদ্ম সকালের নাস্তা বানাচ্ছে। আজ শুক্রবার তাই ইজহান ও হসপিটাল যাবে না। এইজন্যই এতোক্ষণ ঘুমাচ্ছে নাহলে কখন ঘুম থেকে উঠে হসপিটালে চলে যেতো। পদ্ম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রুটি বানাচ্ছে আবার সেটা সেটা শেঁক দিচ্ছে।’
‘হঠাৎ পিছন থেকে পদ্মকে ইজহান জড়িয়ে ধরলো। মৃদু কেঁপে উঠলো সে।’
“আজ তো শুক্রবার তুমি এতো তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছো কেনো? বাহির থেকেও নাস্তা আনা যেতো। আমার সাথে কিছু সময় শুয়ে শুয়ে সকালটা প্রেম আলাপ দিয়ে শুরু করতে।”
‘পদ্ম রেগে যাচ্ছে ক্রমাগত। আর ভালো লাগছে না ইজহান কে। মন চাচ্ছে দৌড় দিয়ে দূরে সরে যেতে।’
“ছাড়ুন। আপনি দেখছেন না আমি কাজ করছি। কেনো বিরক্ত করছেন? সকাল সকাল প্রেমের আলাপ করার সময় নেই।”
“তুমি ঘুম থেকে এতো তাড়াতাড়ি উঠেছো কেনো সেটা বলো আগে?”
“আমার ইচ্ছে হয়ে আমি উঠেছি। আপনার কোনো সমস্যা আছে নাকি?”
‘ইজহান পদ্মের গাল দুটু টেনে দিলো। যা পদ্মকে আরও রাগিয়ে তুলেছে।’
“জ্বী ম্যাডাম অবশ্যই সমস্যা আছে।”
‘পদ্ম রেগে গিয়ে বললো।’
“ছাড়ুন তো। আমি এখন কাজ করছি আপনি এখান থেকে যান। আপনার জন্য ঠিকঠাক মতো কাজও করতে পারছি না।”
‘ইজহান সরে আসলো। বুঝেছে পদ্ম কালকের বিষয়টা নিয়ে নিয়ে পদ্মের মন মেজাজ ভালো না। যতোই হোক পদ্মের এসব কথাকে গুরুত্ব দিলে হবে না। এটা যে তার জন্যই ক্ষতি এটা কে বোঝাবে তাকে। কিসের পাগলামো শুরু করলো। এই মেয়ে কবে বুঝদার হবে কে জানে?’
‘সারাদিন পদ্ম একবারও ইজহানের কাছে যায়নি। দুদন্ড বসছেও না পাশে। পদ্ম খুব করে বোঝাচ্ছে সে ভিষণ রাগ করে আছে। ইজহান তাকে ধরলেই সে রাগ দেখিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছে। তার বাচ্চা লাগবে। আর ইজহান সে তো তার কথা একটুও নড়চড় করবে না। যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাই করবে। একদিন বায়না করছে দু’দিন করবে তিনদিন করবে কিন্তু চারদিনের সময় ঠিকই এসব কথা ভুলে যাবে।’
‘ইজহান প্রতি শুক্রবারের মতো আজও বিকেলে বের হলো। যেদিন সবাই আড্ডা দেয়। একটু মন খুলে কথা বলার সুযোগ পায়।’
ইজহান চলে যাওয়ার পর পদ্ম মেধা কে কল দিলো। কিছু সময় বাদে মেধা কলটা রিসিভ করলো।’
‘মেধা হাসি মুখে পদ্মকে বললো-‘
“কেমন আছো আমার প্রাণের বন্ধুর বউ?”
‘পদ্ম মনমরা হয়ে বললো-‘
“ভালো নেই আপু। তুমি কেমন আছো?”
‘পদ্মের কথায় মেধার খটকা লাগলো। অন্যদিন হলে সে সুর টেনে বলতো খুব ভালো আছি আজ একেবারে প্রথমেই বলে দিলো ভালো নেই?’
“আমি তো আছি ভালোই। কিন্তু তুমি ভালো নেই কেনো?”
“আপু একটা কথা বলবো? আমার তো আবার লজ্জা করছে। কিভাবে যে বলি?”
“নির্দ্বিধায় বলতে পারো।”
“আসলে আপু আমার বাচ্চা চাই এখনই কিন্তু ওনি রাজি হচ্ছেন না।”
‘মেধার হাসি আসলো পদ্মের কথা শুনে। কি সুন্দর করে বলছে বাচ্চা চাই এখনই। বাচ্চা কি কিনে আনবে নাকি?
“বাচ্চা কি কিনবে নাকি?”
‘মেধার কথা শুনে পদ্ম ঠোঁট উল্টাল।’
“কিনে আনা যায় নাকি?”
“আচ্ছা বুঝলাম বাচ্চা লাগবে কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি কেনো বাচ্চা নিতে চাইছো পদ্ম? তোমার বয়স অল্প। রিস্ক থাকবে পুরো প্রেগন্যান্সির সময়ে। এটা বলা যতোটা সহজ বিষয়টা ততটাই কঠিন। ইজহানের সাথে আমি একমত।”
“তুমিও চাচ্ছো না?”
“না বোন। দেখো আমার বয়স এখন ত্রিশ আমি প্রেগন্যান্ট অবশ্যই অনেকে বলবে যে কেনো এতো পরে বাচ্চা নিচ্ছি। আমি তো ডাক্তার আমি বুঝি সব। তুমি এসব কথা পরে ভেবো। ভুলবশত যদি প্রেগন্যান্ট হয়েও যাও তাহলে তোমার নিজেরই লাইফ রিস্ক থাকবে বুঝেছো।”
‘পদ্ম ঠান্ডা মাথায় মেধার কথাগুলো শ্রবণ করলো। মেধা আপু কখনো তাকে খারাপ পরামর্শ দেয়নি। নিশ্চয়ই এটাও খারাপ কিছু হবে না। যদি ভালো হতো তাহলে মেধা আপুই সবার আগে হ্যাঁ বলে দিতো। যেহেতু মানা করেছে তাই সে এই বিষয়টা মাথা থেকে ঝেড়ে নিলো।’
“কিন্তু আপু আমি তো ওনার সাথে রাগ করে আছি এই বিষয় নিয়ে এখন কি হবে? লজ্জা পাবো তো ওনার সামনে দাঁড়াতে।”
“আরে বোকা লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। ইজহান জানে তো তুমি পিচ্চি একটা মেয়ে ও গিয়ে দেখো এসব কথা নিয়ে মাথা ঘামায়ও নি। আর রাগ কিভাবে ভাঙাবে সেটা অন্তত আমার বলে দিতে হবে না আশাকরি।”
‘পদ্ম হাসলো।’
“না আপু। আচ্ছা তুমি বিশ্রাম করো আমি ফোন রাখছি। নিজের খেয়াল রেখো। আমি ওনাকে বলে তোমার সাথে দেখা করতে যাবো।”
——–
‘রাত ৯টা।’
‘ইজহান বাসায় ফিরলো। পদ্ম দরজা খুলেছে। পদ্মের রুপ দেখে ইজহান অবাক হয়ে চেয়ে আছে। কালো শাড়ি পরিহিত কিশোরী কে দেখে বুকের বা পাশটা নাড়া দিয়ে উঠলো। ইজহান বাসায় আসার আগে পদ্ম এভাবে সেজেছে। মিটমিট করে হাসছে সে। কিভাবে পদ্মের দিকে তাকিয়ে আছে তার ডাক্তার সাহেব।’
“ভিতরে আসবেন না?”
‘ইজহান হুশে ফিরলো। তড়িঘড়ি করে বাসার ভিতরে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে নিলো। ব্যালকনিতে গ্রিলের সাথে দাঁড়িয়ে ফোনটা ঘাটছে। পদ্ম ইজহানের বক্ষে মাথা রাখলো। ইজহান ফোনটা পকেটে ঢুকালো। আপাতত পদ্মকে ছাড়া অন্য কিছুতে এটেনশন দিতে চাচ্ছে না সে। ‘
“তুমি না বলেছিলে আমি যেনো তোমার কাছে না যাই তাহলে নিজ থেকে আবার এসেছো কেনো?”
‘পদ্ম যেনো কথাটা শুনেও শুনলো না এমন ভাব করলো। পদ্ম ইজহানের টি-শার্টের ধরে তার দিকে ঝুঁকালো। ইজহান ভ্রু কুচকে প্রশ্ন করলো।’
“কি চাই ম্যাডাম।”
“আপনাকে চাই ডাক্তার সাহেব।”
‘ইজহান আর নিজেকে কন্ট্রোলে রাখতে পারলো না। পদ্মের ওষ্ঠে তার ওষ্টের ভালোবাসার ছোঁয়া দিতে লাগলো। দু’জন যেনো ভালোবাসার রাজ্যে ডুব দিয়েছে। ব্যস আর কিছুই চাইনা তার। এটুকুতেই যেন এক টুকরো শান্তি।’
#চলবে…