মিশেছো_আলো_ছায়াতে #Writer_Sintiha_Eva #part : 03

0
482

#মিশেছো_আলো_ছায়াতে
#Writer_Sintiha_Eva
#part : 03

🍁🍁🍁

সিমথি : কি আশ্চর্য আমাকে এভাবে টানছিস কেনো!

সিমথির কথা রোজ দাঁড়িয়ে পড়ে। অতঃপর গাল ফুলিয়ে বলে,,,

রোজ : আসার পর থেকে আমাদের একটু ও সময়,দাও নি সিমথিপু। ছাঁদে সবাই ট্রুথ ওর ডিয়ার খেলছে তুমি ও চলো।

সিমথি : আমার কাজ আছে রোজ তোরা খেল গিয়ে। আর এই সন্ধ্যায় কেউ ছাঁদে থাকে।

সিমথির কথা রোজ মুখ খিঁচে বায়না ধরে বসে।

রোজ : নাহহহহ তুমি ও খেলবে। এতো কাজ করতে হবে না। আর সন্ধ্যায় তো কি হয়েছে। কাল থেকে তো সবাই আবার আগের লাইফে লিড করবে। তুমি ও হসপিটাল জয়েন করবে তখন তো তোমাকে বেশী সময় পাবোই না। আজকেই খেলি চলো না প্লিজ প্লিজ।

সিমথি : কিন্তু,,,

সিমথি কে কিছু বলতে না দিয়ে রোজ সিমথি কে টানতে টানতে ছাঁদে নিয়ে যায়। অগত্যা সিমথি ও বাধ্য হয়ে যায়। ছাঁদে পৌঁছাতেই চোখ যায় ছাঁদের বিপরীত পাশে পাটি বিছিয়ে বসে থাকা মানুষগুলোর উপর। সবাই বসে আছে আর টুকটাক কথা বলছে। রোজ সিমথিকে নিয়ে সবার সামনে দাঁড়ায়।

রোজ : দিজ ইজ নট ফেয়ার আমাদের রেখে সবাই বসে পড়লে কেনো। আমার কোথায় বসবো? ( গাল ফুলিয়ে)

ইফাজ : তুই ওদিকে বসে যা আর সিমথি এখানে বসুক

রোজ কিছু না বলে ইফাজ কে ঠেলে আদির দিকে ফাঁকা জায়গায় পাঠিয়ে নিজে বসে সমথিকে ঠান দিয়ে নিজের সাথে বসায়। ইফাজ বিড়বিড়িয়ে বলে,,,,

ইফাজ : পা’গ’ল মেয়ে একটা। এই পা’গ’ল কিভাবে আমার বোন হলো যে।

রোজ: কি বিড়বিড় করছিস নিশ্চয়ই আমাকে পা’গ’ল বলছিস। তোর চৌদ্দ গোষ্ঠী পা’গ’ল আমি আর সিমথিপু বাদে ( ভেংচি কেটে)

রোজের কমন ডায়লগের মধ্যে একটা।রোজের কথায় ইফাজ থতমত খেয়ে যায় চুরি করে ধরা পরার মতো চোরের মতো মুখ করে রোজের দিকে তাকিয়ে আমতা আমতা শুরু করে তা দেখে সবাই মুচকি হাসে। এটা প্রতিটা ভাই বোনের সম্পর্ক এমনই হওয়া দরকার। যেখান ভালোবাসা-খুনসুটি, আদর-শাসনে পরিপূর্ন। বোন যতই ছোট হোক না কেনো বড় ভাইকে বোনের সামনে মাথা নত করতেই হয়। আবার সেই ভাই’ই বিপদে উপরওয়ালা-মা-বাবার পর চতুর্থ ব্যক্তির মতো আশ্রয়দাতা হয়ে যায়।

সায়ন: ইফাজ বাদ দে মেয়ে মানুষ পারবি না

সায়নের কথায় সিমথি ভ্রু কুঁচকে তাকায় কিন্তু কিছুই বলে না কারণ সায়নের সাথে আপাতত সিমথির কথা অফ। সায়ন এবার ও হতাশ হয়। ভেবেছিলো এখন হয়তো সিমথি ওর সাথে ঝগড়ার ছলে হলেও কথা বলবে কিন্তু সে আর হলো কই। কালকের কাহিনী কে কেন্দ্র করেই যে সিমথি সায়নের সাথে কথা বন্ধ করেছে সেটা সায়নের ও জানা। মিম সিমথির কতটা পছন্দের একজন মানুষ এটা সায়ন জানে। তার জন্যই রহিমা বেগম আর তরীকে শক্ত গলায় কিছু না বলাতেই সিমথি ওর উপর ছটে আছে এটা সায়ন খুব ভালোই অনুধাবন করতে পারছে। এই রাগ ভাঙ্গাতে ও সায়নের বেশ কষ্ট হবে তা সায়নের জানা হয়ে গেছে।

মেঘা : এভাবে বোর হতে ভালো লাগছে না চলো না খেলা স্টার্ট করিইই

মেঘার কথায় সবাই সহমত জানায়। খেলা স্টার্ট হয় প্রথমই বোতলের মুখ পড়ে এসে মেঘার দিকে। সঙ্গে সঙ্গে মেঘার মুখটা ছোট হয়ে যায়। মেঘার মুখ দেখে আয়াশ মুচকি হেসে বলে,,,,,

আয়াশ : বেশি লাফালে এমনই হয়

আয়াশের কথায় মেঘা তিড়িং বিড়িং করে উঠে।

মেঘা : আমাকে লাফাতে দেখেছেন হা।

আয়াশ : মেয়ে মানুষের সাথে আমি কথা বলি না। নেহাৎ ই একজন ভদ্র ছেলে আমি।

আয়াশের কথায় মেঘা মুখ ভেংচি কেটে ব্যঙ্গ স্বরে বলে,,

মেঘা : আচ্ছা আপনি সায়ন ভাইয়ার সেই বন্ধু টা না যে আমাদের ক্লাসমেট কে প্রপোজ করেছিলেন।আবার বলছে “আমি মেয়ে মানুষের সাথে কথা বলি না ”
হাহহ!

মেঘার কথায় আয়াশ প্রচন্ড জোরে একটা বিষম খায়। সিমথি বাদে উপস্থিত সবাই শব্দ করে হেসে উঠেমেঘার কথা বলার ধরন দেখে। আয়াশ অবাক হয়ে মেঘার দিকে তাকায় এতোবছর আগের কথা এখনো ভুলেনি এই মেয়ে।

আয়াশ : ওটা ডেয়ার ছিলো অর নাথিং।

মেঘা : ও মা তাই। প্রমাণ করুন ওটা ডেয়ার ছিলো নয়তো বিশ্বাস করবো কেনো।

আয়াশ : প্রমাণ আর বিশ্বাস দুইটাই আমার ফিউচার বউকে করাতে আমি অলওয়েজ রাজি বাট Obviously সেই ফিউচার বউ টা তুমি নও। তাহলে তোমাকে কেনো প্রুভ দেবো এন্সার মি।

আয়াশের কথায় আবারো সবাই হেসে উঠে। মেঘা দাঁত কিড়মিড় করে কিছু না বলে দমে যায়। মেঘার মুখের ভঙ্গিমা দেখে আয়াশ নিঃশব্দে হাসে।

রোদেলা : ওকে গাইস এবার থামো। মেঘ বল কি নিবি ট্রুথ না ডেয়ার

মেঘা : Obviously ডেয়ার। ইউ নো না আমি অলওয়েজ সাহসী।

রোদেলা : ওকেহ।

তুহিন : ওকে কে ডেয়ার দেবে?

মেঘা : এই দাঁড়া দাঁড়া আয়াশ ভাইয়া ডেয়ার দিলে হবে না। উনি একটা নাউজুবিল্লাহ মার্কা পাবলিক।

আয়াশ : তোমার সাথে আমি কি করলাম যে এটা বললা।

মেঘা : আমি আবার অপরিচিত ছেলে মানুষের সাথে কথা বলিনা। ( মুখ ঘুরিয়ে )

রোদেলা : থাম ভাই তোরা ওকে আমিই দিচ্ছি। তুই একজন বৃদ্ধ মহিলার এক্টিং করে দেখা।

রোদেলার ডেয়ার শুনে মেঘা মুখ টা লটকিয়ে ফেলে বাকি সবাই হেসে দেয়।

মেঘা : বেস্ট ফ্রেন্ড নামে কলঙ্ক তুই দু’ষ’মন ও ভালো তোর থেকে।

রোদেলা : যাও যাও সোনা থুক্কু বুড়ি মা।

রোদেলার কথায় সবাই হেসে দেয়। মেঘা উঠে ছাঁদে ওপাশ থেকে একটা ওড়না নিয়ে মাথায় ঘোমটা দেয় আর একটা লাঠি কোণা থেকে নিয়ে এসে লাঠিতে হাত দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ওদের সামনে আসে।

মেঘা : বুঝলে মিনসে আজকা আকাশ ডা দেইখা মনে হইতাছে ঝড় হইবো। তোমার আর কাজে গিয়া দরকার নাইগা। আমার একটাই মিনসে তাও আবার এইডা চিকন চাকন। এরে ও যদি ঝড়ে উড়াইয়া নিয়া ফালে আমার কিতা হইবো কও। তুমি ছাড়া এই ছুডু মুডু জীবনে আর কেডা আছে। ( এতোটুকু বলেই নেকা কান্না শুরু করে)

মেঘার কথার বলার ভঙ্গিমা, হাত নাড়ানোর স্টাইল আর চলার ধরন দেখে সবাই হাসতে হাসতে শেষ। সিমথি ঘাড়ে স্লাইড করে কোনোমতে হাসি আটকায়। এই দৃশ্য টা কারোর চোখে না পড়লেও তন্ময় আর আদির চোখে পড়ে। তন্ময় একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।

তন্ময় : সিমথি কি কোনোদিন স্বাভাবিক হবে আর ( মনে মনে)

মেঘা : নাও আমার এক্টিং দেখে তো বহুত হাসলা এল্লা নিজেরা করো।

তুহিন : কিসব ভাষাই না দিলি

মেঘা : All credit gose to Megha

রোদেলা : হুহহহ। ওকে আবার শুরু করো।

এবার একে একে সবার দিকে বোতলপড়লে কেউ ট্রুথ আবার কেউ ডেয়ার নিয়ে নিজেদের টাস্ক পূরণ করে। এবারের টার্নে বোতল এসে পড়ে রোদেলার দিকে। রোদেলা চোখ বন্ধ কর হালকা চেঁচিয়ে বলে,,,,

রোদেলা : আমি ডেয়ারররর

রোদেলার কথায় তুহিন আর মেঘা ওর পিঠে একটা কিল বসিয়ে দেয়।

তুহিন : হা’রামি ট্রুথ নে বলতাছি।

রোদেলা : হাহহ আসছে তুমি নিজেও তো ডেয়ার নিছিলা তখন আমি কিছু কইছি।

মেঘা : সত্যি কথা বলার সাহস নাই ভীতু একটা।

রোদেলা : যা খুশি ভাব আমার জামাইয়ের বাপের ছেলের বউয়ের কি।

রিক : আচ্ছা বাদ দাও। তুমি বরং তোমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের সবার একটা করে মোমেন্ট দেখাও।

রোদেলা : ওকেহহ ( খুশি হয়ে) এট ফাস্ট কার টা দেখাবো।

রোজ : তোমার ইচ্ছে রোদাপু

রোদেলা : ওকে তাহলে প্রথমে মেঘা কে দিয়েই স্টার্ট করি।

রোদেলা উঠে যায়।

রোদেলা : যখন কোনো ছেলে ওকে প্রপোজ করে তখনের টা দেখায়।।

” আমি বুঝি না এদের কি কপালে চোখ নেই আমাকে কেনো প্রপোজ করে। আমি কি ওদের একবার ও বলছি এদের আমি পছন্দ করি, আজব। এদের বাড়ির মানুষ গুলো এদের একটু শাসন করতো যদি তাহলে নিজের বউ রেখে অন্য কোনো মেয়ের পেছনে ঘুরতো না। মুখপোড়ার দল, হনুমান আফ্রিকার জঙ্গলে যা যা পাওয়া যায় সব এরা। না মানে তোরা জাস্ট ভাব একবার আমার ইন ফিচার বর যদি জানতে পারে আমার সংসার গড়ার আগেই তো ভেঙ্গে যাবে। তাহলে আমার না হওয়া বাচ্চা কাচ্ছা গুলার কি হবে এ কথা একবারো ভাবে এই ছা’গল গুলা। তোদের কপালে জীবনে ও বউ জুটবে না দেখে নিস আরেক বার আয় না প্রপোজ করতে ঝাঁটা মারবো এ্যাহহ আসছে ভালোবাসা দেখাইতে। ”

রোদেলা ড্রামা শেষে হাসতে হাসতে থেমে যায়। মেঘা গাল ফুলিয়ে রোদেলার দিকে তাকায়। বাকি সবাই হাসতে হাসতে মেঝেতে গড়াগড়ি খেতে শুরু করে। রোদেলা হাসি থামিয়ে তুহিনের ক্যারেক্টার স্টার্ট করে।

” বন্ধু নামে কলঙ্ক তোরা এতোবছরে ও একটা জিএফ এনে দিতে পারলি না। তোদের রেখে কি লাভ। আমার সামনে দিয়া যখন মানুষ জোড়ায় জোড়ায় হাইটা যায় ফাইটা যায় আমার বুক টা ফাইটা যায়। ”

তুহিন : রোদের বাচ্চা থাম বলছি।

মেঘা : আহারে দোস্ত আমাদের লজ্জা পাইছে।

রোদেলা : ওকে এবার তন্ময়।

” দেখ ফ্রেন্ডশিপে আমি অলওয়েজ লয়াল কিন্তু তাই বলে তোরা আমার সাথে এমন করবি। কি আর করি একটা রিলেশনই করি তাও এটা ভাঙার জন্য উঠে পড়ে লাগছোস । বন্ধু মানেই হারামির দল। এই কয়েকদিন আগেই ট্রিট দিলাম রিলেশনে যাওয়ার। রিলেশনে আছি দুই বছর কিন্তু তোরা মাসের পর মাস ট্রিট চাস। মাঝে মাঝে আমি ভাবি কি ভাই আমি কি প্রতিদিন রিলেশনে যায় নাকি। ভাই-বোন তোদের মতো বেস্ট ফ্রেন্ড কারো না হোক। আমারেই জ্বালা অন্য কাউরে না। ”

মিম : কি রে ভাই তুই রিলেশনে আছিস

মিমের কথায় তন্ময় শুকনো ঢোক গিলে সিমথির দিকে তাকায়।

রোদেলা : ওকে নেক্সট সিমথি। তন্ময় ভাই একটু আসবি এখানে ওর ক্যারেক্টারে তোকে লাগবে।

তন্ময় উঠে রোদেলার কাছে যায়।

” দেখ আমি সিরিয়াস ফা’জলামির মুডে নেই। ওই মেয়ের সাহস কিভাবে হয় তন্ময়ের গায়ে হাত তোলার হাউ ডেয়ার সি? ”

তন্ময় : দেখ সিমথি বাদ দে যা হবার হয়ে গেছে।

” ওকে বাদ দিলাম। গাল টা এদিকে নিয়ে আয় ”

তন্ময় গাল এগিয়ে দিতেই রোদেলা ঠাসস করে তন্ময়ের গালে থাপ্পড় মারে তন্ময় এক লাফে পিছনে সরে যায় বাকি সবাই হা হয়ে যায়।

তন্ময় : সিমথি তুই ও এতো জোরে মারিস না এই রোদেলা যেই থাপ্পড় লাগাইছে।

সিমথি : দিজ ইজ নট ডান রোদ শুধু শুধু ওকে মারলি।

রোদেলা : হিহিহি তোর ক্যারেক্টার করা ইজি না এটা আমার দ্বারা পসিবল না। ওকে এবার আমার ডেয়ার ডান হয়ে গেছে আমি বসলাম। এবার বাকি আছে আদি ভাইয়া, সিমথি আর তন্ময়।

এই বলে রোদেলা বোতল ঘুরায়। এবারের টার্নে বোতল এসে সিমথির দিকে পড়ে। সবাই চিল্লিয়ে উঠে।

সিমথি : ট্রুথ

মেঘা : তের সব সত্যিই তো জানা ডেয়ার নিতি তাহলে একটা গান শুনতে পারতাম।

সিমথি : সো সরি বুঝতে পারিনি রে আর আমি এতো মানুষের সামনে গান গাইবো বলে তোর মনে হয়।

আয়াশ : ওর সব সত্যি তোমরা জানো আমরা তো জানি না।

মিম : আমি কুয়েশ্চন করি।

সিমথি : ওকে।

মিম : কাউকে ভালোবাসো।

মিমের কথায় সিমথি থমকে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তন্ময়,তুহিন, মেঘা, রোদেলার মুখ আধার হয়ে আসে। আদিরা সিমথির মুখের দিকে থাকায়।

সায়ন : বাসলে বলতেই পারিস আমার কোনো আপত্তি নেই।

সায়নের কথায় সিমথি একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দেয়।

সিমথি : ভালোবাসতাম ( তাচ্ছিল্যের সুরে)

সিমথির কথায় সবাই চমকায় শুধু মেঘারা বাদে।

রিক : এখন আর বাসো না

সিমথি জোরপূর্বক মুখে হাসি টেনে বলে,,,

সিমথি : নিয়ম তো একটা কুয়েশ্চন করার এমন আই রাইট

রিক : ইয়াহ বাট

সিমথি : তোমরা কন্টিনিউ করো আমি আসছি বাই কাজ আছে।

সিমথি দ্রুত পায়ে চলে যায় সবাই সিমথির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। কেউই কিছু বুঝতে পারলো না মেঘারা ও বাই বলে সিমথির পেছন পেছন চলে আসে। সঙ্গে সঙ্গে হাসি-খুশি পরিবেশ নিরব হয়ে যায় আদি সবার অগোচরে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।

আদি : আম সরি সিয়াজান তোকে এতোটা কষ্ট দেওয়ার জন্য ( মনে মনে)

( বিঃদ্রঃ গল্পের নায়িকা হচ্ছে সিমথি জাহান সিয়া পেশায় একজন ডক্টর। গল্পের নায়ক আদিত্য চৌধুরী আদি একজন বিজনেস ম্যান )

চলবে,,,,,

( কাল থেকে গল্পের মেইন প্লট স্টার্ট হবে। ভালোবাসা অবিরাম ❤️)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here